16/08/2023
অবৈধ যৌ-ন জীবনঃ-
বিবাহ ব্যতিত অন্য যেকোন উপায়ে যৌ-ন চাহিদা পূরণ করাটাই তো অবৈধ!!
এটা নারী পুরুষকে যেকোনো সময় যেকোনো বয়সে ধোঁকা দিতে পারে। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি প্রকৃতিগত ভাবে অনেকের মধ্যেই কম বেশি ঝুঁকে যাওয়ার প্রবনতা থাকে।
কেউ ইচ্ছেই আবার কেউ অনিচ্ছায় এই পথে পা বাড়ায়।
এক পর্যায়ে অবৈধ যৌ-ন জীবন খারাপ লাগলেও পরবর্তীতে অনেকেরই নেশার মতো পরিনত হয়ে যায় যা থেকে চাইলেও বেরিয়ে আসতে পারেনা।ভেতরে ভেতরে অনুশোচনার একটা আগুন জ্বলতে থাকে।
কয়েকধরণের অবৈধ যৌন জীবন দেখা যায়ঃ-
১.হস্ত-মৈ-থুন
২.পর-কীয়া
৩.যৌ-ন কর্মীদের কাছে যাওয়া
৪.নিজের পরিচিত বন্ধু বা বান্ধবীর সম্মতিতে অবাধ মেলামেশা করা
৫.সম-কামী বা পশু-গামি বা বিকৃত যৌ-না-চার ইত্যাদি।
কি কি ক্ষতি হয়?
১.এদের মানসিক বিকৃতি দেখা যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, ভালো কাজ আর ভালো লাগেনা।
সবসময়ই হতাশা ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে, কোন কাজে আনন্দ পায়না।
২.বিয়ের পর যৌ-ন জীবনে সুখি হওয়া যায় না।
৩.বিভিন্ন ধরনের যৌ-ন রোগ বাসা বাধে।
৪.অনেক ঔষধ সেবন করতে হয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এদের ঔষধ ও আর কাজ করেনা।
৫.অবৈধ যৌ-ন জীবনে অভ্যাস থাকলে বিয়ে করতেও ভয় পায়।
৬.সমাজে, ব্যক্তিগত জীবনে চরম অপমানের শিকার হতে হয়।
৭.কর্মজীবন,পড়ালেখা, ক্যারিয়ারে ধীরে ধীরে পিছিয়ে পরে।
করনীয় কি??
১.যদি ভুল হয়ে যায় মন থেকে তওবা করা
এবং তওবার পথে অবিচল থাকা।
আপনি যে ধর্মের ই হোন না কেন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।
২.একাকি না থাকা,ভালো লাগার কাজগুলো খুঁজে বের করা,যে কাজে আনন্দ পাবেন সেই কাজে ব্যস্ত থাকা।
৩.অল্প বয়সে চরিত্রবান জীবনসঙ্গী দেখে বিবাহ করা।
৪.নিজেকে যাচাই বাছাই করার জন্য পর-কীয়া, খারাপ জায়গায় না যাওয়া।
৫.প-র্ণ মুভি না দেখা,নেশার জগতে না যাওয়া।
৬.ভালো বই পড়ার অভ্যাস করা এবং ব্যক্তিজীবনে অনুশীলন করা।
৭.নিজের ভালো থাকার জন্য নিজের নফসের সাথে, শয়তানের সাথে সর্বদা সংগ্রাম সাধনা চালিয়ে যাওয়া
৮.মনে রাখতে হবে সাময়িক সুখ আনন্দ ত্যাগ করতে পারলেই আপনি সত্যি ই সফল হতে যাচ্ছেন, যতো কষ্টই হোক নিষিদ্ধ জিনিস কে না বলুন।
খুব শীঘ্রই আপনি বিজয়ের হাসি হাসবেন ইনশাআল্লাহ।