Azad Homoeo Hall BD

  • Home
  • Azad Homoeo Hall BD

Azad Homoeo Hall BD Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Azad Homoeo Hall BD, Doctor, .

হোমিও চিকিৎসালয় ও রিসার্চ সেন্টার।
প্রভাষক ডা. আবুল কালাম আজাদ রোগীদের গবেষণাপূর্বক রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে সঠিক পর্যবেক্ষণ করে দীর্ঘ ইতিহাস জেনে বুঝে জেনেটিক ও বংশগতভাবে প্রাপ্ত উপবিস নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

লাইক ফলো দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন.. 👉 প্রভাষক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রাই ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা, শিক্ষা এবং গবেষণায় সময় অতিক্রম করে আসছেন। তিনি জীবনের সর্বোচ্চট

া দিয়ে আত্ম মানবতার সেবা ও মানব কল্যাণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এবং গবেষণা করে বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে চলছেন। তিনি তার চিকিৎসা জীবনে বহু সংখ্যক জটিল ও মারাত্মক দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি আক্রান্ত রোগীদের সকল ভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছেন, তার চিকিৎসায় সফলতা প্রায়ই শতভাগ। তিনি আরো বলেন প্রত্যেক রোগেরই চিকিৎসা করা সম্ভব, রোগ-ব্যাধি যত বড়ই হোক না কেনো। তিনি ডা. জেমস টাইলার কেন্ট স্যারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন স্যার ক্যান্ট বলেছেন প্রতিটা শিশু শত সহস্র বছরের রোগ ব্যাধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। অতএব সকল ধরনের রোগ-ব্যধির চিকিৎসা করা সম্ভব যদি তাহা জেনেটিক সিমটম অনুযায়ী করা যায়? স্যার ডা. জেমস টাইলার কেন্ট ছিলেন (1849-1916) একজন আমেরিকান চিকিত্সক, যিনি আধুনিক হোমিওপ্যাথির পূর্বপুরুষ হিসাবে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় ও পরিচিত।

👉 ডা. আবুল কালাম আজাদ থেকে ডি এইচ এম এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং অন্যান্য হোমিও মেডিসিন ও হোমিও গবেষণা সংক্রান্ত বিশেষ বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি তার ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বাস্তব জীবন ও চিকিৎসা জীবনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে ছাত্র ছাত্রী ও হোমিও চিকিৎসক ও হোমিও অনুরাগীদের ব্যাপক এক মহলের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ডা. আবুল কালাম আজাদ সুনামের সাথে প্রায় ২০ বছরেরও বেশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবায় অবদান রেখে চলছেন।

👉 পরামর্শের জন্য, প্রভাষক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর ঠিকানা :- 🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪০, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬। প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ ঘকিটা পর্যন্ত।
🏠 চেম্বার দাগনভূঞা, ফেনী : তৈয়্যেবা মার্কেট (দ্বিতীয় তলা), দাগনভূঞা চৌরাস্তা, বসুরহাট রোড, দাগনভূঞা, ফেনীতে অবস্থিত, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকেল ০৫ ঘটিকা পর্যন্ত, চেম্বারে আসতে পারেন। একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক বা সিরিয়াল করাতে এবং বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে নিম্নলিখিত নাম্বরে যোগাযোগ করুন : 01716-768210 (Whats App, IMO, Botim)

👉 প্রভাষক ডা. আবুল কালাম আজাদ রোগীদের গবেষণাপূর্বক রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে সঠিক পর্যবেক্ষণ করে দীর্ঘ ইতিহাস জেনে বুঝে জেনেটিক ও বংশগতভাবে প্রাপ্ত উপবিস নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাগত পরামর্শ সহ নিজের লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে সুস্বাস্থ্যর জন্য, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নির্দেশনা পরামর্শ বা বিশেষ বিশেষ দিকের আলোচনা সম্পর্কে জানতে উক্ত পেজে লাইক শেয়ার করে যুক্ত থাকুন। আপনার সুস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আপনার নিজের ও পরিবারে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখবেন।

01/06/2025

মায়াজম তত্ত্বের বিশ্লেষণ:
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির জনক/প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় স্যার ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ ব্যাখ্যা করতে মায়াজম তত্ত্ব (Miasm Theory) প্রদান করেন। তাঁর মতে, বেশিরভাগ দীর্ঘস্থায়ী রোগ (Chronic Diseases) শুধুমাত্র সাময়িক লক্ষণ নয়, বরং শরীরের গভীরে লুকিয়ে থাকা কিছু মৌলিক "দোষ" বা "প্রবণতা" থেকে উদ্ভূত হয়, যা বংশানুক্রমিকভাবেও চলে আসতে থাকে। এই মৌলিক দোষগুলোকেই তিনি মায়াজম (Miasm) নাম দিয়েছেন।
শ্রদ্ধেয় স্যার ডা. হ্যানিম্যানের মায়াজম তত্ত্ব অনুসারে, প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে এক বা একাধিক মায়াজমের প্রভাব থাকতে পারে এবং এটি তাদের রোগপ্রবণতা নির্ধারণ করে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়, কেবল বর্তমান লক্ষণগুলির উপর ভিত্তি করে নয়, বরং রোগীর সামগ্রিক শারীরিক ও মানসিক অবস্থা এবং কোন মায়াজম প্রভাবশালী, তা বিবেচনা করে ঔষধ নির্বাচন করা হয়। এর উদ্দেশ্য হলো শুধু বর্তমান রোগ সারানো নয়, বরং মায়াজমের গভীর প্রভাব থেকে শরীরকে মুক্ত করে দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা অর্জন করা।
শ্রদ্ধেয় স্যার ডা. হ্যানিম্যান তিনটি প্রধান মায়াজমের কথা উল্লেখ করেছেন:
১) Psora, ২) Sycosis, ৩) Syphilis-এর মতো মায়াজমগুলোর আধুনিক ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের উপর গভীর গবেষণা বিশ্লেষণ।
________________________________________
১. Psora সোরিক মায়াজম (Psora Miasm)
• উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য: শ্রদ্ধেয় স্যার ডা. হ্যানিম্যান মনে করতেন, সোরিক মায়াজম হলো সমস্ত দীর্ঘস্থায়ী রোগের মূল উৎস এবং এটি মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এর উৎপত্তি মূলত ত্বকের সমস্যা, যেমন – চুলকানি, খোস-পাঁচড়া, একজিমা ইত্যাদি থেকে। যখন এই ধরনের চর্মরোগগুলোকে বাহ্যিক মলম বা লোশন দিয়ে দমন করা হয়, তখন রোগটি শরীরের গভীরে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সমস্যা সৃষ্টি করে।
• লক্ষণ ও প্রবণতা: সোরিক মায়াজমের অধীনে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে সাধারণত দুর্বলতা, এলার্জি, হজমের সমস্যা, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, চর্মরোগের প্রবণতা, শুষ্ক ত্বক, ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা, অস্থিরতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। তাদের রোগগুলো প্রায়শই ঋতু পরিবর্তনের সাথে বাড়ে।
________________________________________
২. Sycosis সাইকোটিক মায়াজম (Sycosis Miasm)
• উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য: সাইকোটিক মায়াজম মূলত গণোরিয়া (Gonorrhea) নামক যৌনবাহিত রোগকে দমন করার ফলে উদ্ভূত হয় বলে শ্রদ্ধেয় স্যার ডা. হ্যানিম্যান মনে করতেন। এই মায়াজম শরীরের অতিরিক্ত বৃদ্ধি বা "বাড়াবাড়ি" প্রবণতার সাথে সম্পর্কিত।
• লক্ষণ ও প্রবণতা: সাইকোটিক মায়াজমের রোগীরা সাধারণত মাংসপিণ্ড (Warts), আঁচিল (Moles), টিউমার, সিস্ট, অতিরিক্ত শ্লেষ্মা, জয়েন্টে ব্যথা, মূত্রনালীর সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম, এবং স্থূলতার প্রবণতা দেখাতে পারে। মানসিক দিক থেকে এরা গোপনীয়তা, সন্দেহপ্রবণতা, ভীরুতা এবং স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা অনুভব করতে পারে। এই মায়াজমের রোগীরা সাধারণত ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বেশি ভোগে।
________________________________________
৩. Syphilis সিফিলিটিক মায়াজম (Syphilis Miasm)
• উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য: সিফিলিটিক মায়াজম সিফিলিস (Syphilis) নামক যৌনবাহিত রোগকে দমন করার ফল। এই মায়াজম সাধারণত ধ্বংসাত্মক বা ক্ষয়কারী প্রকৃতির।
• লক্ষণ ও প্রবণতা: সিফিলিটিক মায়াজমের লক্ষণগুলো তীব্র এবং ধ্বংসাত্মক হয়। এর অন্তর্ভুক্ত রোগগুলো হলো – আলসার, হাড়ের ক্ষয়, টিস্যুর অবক্ষয়, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ, মানসিক সমস্যা যেমন – হতাশা, আত্মহত্যার প্রবণতা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, এবং বিভিন্ন ধরনের বিকৃতি। এই মায়াজমের রোগীরা রাতের বেলায় বেশি কষ্ট পায় এবং তাদের মধ্যে ধ্বংসাত্মক প্রবৃত্তি দেখা যেতে পারে।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা)।
এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন কোর্স)।
হোমিও গবেষক ও চিকিৎসক।

💌 বিঃ দ্রঃ- বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে কুরিয়ারে/পার্সেলে ঔষধ পাঠানো হয়।

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪২, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত।
+8801716768210 (Whatsapp and Imo).

Call now to connect with business.

29/05/2025

***ডা. ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Christian Friedrich Samuel Hahnemann) এর জীবনী***

📕 ডা. ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Christian Friedrich Samuel Hahnemann) * হলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির প্রতিষ্ঠাতা ও জনক ।
# # #* ডাঃ ক্রিস্টিয়ান স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এর জীবনী নিচে দেওয়া হলো:

* জন্ম ও প্রাথমিক জীবন # # #*
*জন্ম:* ১০ এপ্রিল ১৭৫৫, মেইসেন, জার্মানি (তৎকালীন স্যাক্সনি রাজ্য)।
*পিতা:* ক্রিস্টিয়ান গটফ্রিড হ্যানিম্যান।
*মাতা:* জোহানা ক্রিস্টিয়ানা।
*শিক্ষা:* মেইসেনের প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে লিপজিগ ও ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন নিয়ে পড়েন। ১৭৭৯ সালে এরল্যাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডি ডিগ্রি লাভ করেন।

# # # *চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন*
প্রথমে তিনি প্রচলিত চিকিৎসা (অ্যালোপ্যাথি) অনুশীলন করলেও, রাসায়নিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও রক্তমোক্ষণ (ব্লাডলেটিং) পদ্ধতির উপর তাঁর সন্দেহ জন্মায়। অতঃপর তিনি চিকিৎসা পদ্ধতির বিকল্প নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।

# # # *হোমিওপ্যাথির আবিষ্কার*
১৭৯০ সালে, তিনি *সিনকোনা বার্ক* (ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত) নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন যে, এটি সুস্থ ব্যক্তিকে ম্যালেরিয়ার মতো লক্ষণ সৃষ্টি করে। এই পর্যবেক্ষণ থেকে তিনি *"লিক কিয়ার্স লিক" (Like Cures Like)* নীতিটি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৭৯৬ সালে, তিনি *"এ নিউ প্রিন্সিপল ফর অ্যাসার্টেইনিং দ্য কিউরেটিভ পাওয়ার অব ড্রাগস"* শীর্ষক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, যা হোমিওপ্যাথির ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃত।

# # # *প্রধান রচনা: "অর্গানন অব মেডিসিন"*
১৮১০ সালে, তিনি *"অর্গানন অব দ্য রেশনাল আর্ট অব হিলিং"* (Organon of Medicine) প্রকাশ করেন, যেখানে হোমিওপ্যাথির দর্শন ও প্রয়োগ পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। এটি হোমিওপ্যাথির মূল গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।

# # # *পরবর্তী জীবন ও মৃত্যু*
তিনি জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ফ্রান্সে হোমিওপ্যাথি প্রচার করেন।
১৮৩৫ সালে প্যারিসে স্থায়ী হন এবং সেখানে চিকিৎসা ও গবেষণা চালিয়ে যান।
*মৃত্যু:* ২ জুলাই ১৮৪৩, প্যারিস, ফ্রান্সে।

# # # *হ্যানিম্যানের উত্তরাধিকার*
তাঁর প্রতিষ্ঠিত হোমিওপ্যাথি আজও বিশ্বব্যাপী বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে প্রচলিত। তাঁর নামে বিশ্বজুড়ে অসংখ্য হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে।
হ্যানিম্যানকে *"হোমিওপ্যাথির জনক"* হিসেবে সম্মান দেওয়া হয়, যদিও তাঁর পদ্ধতি নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে বিতর্ক রয়েছে।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা)।
এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন কোর্স)।
হোমিও গবেষক ও চিকিৎসক।

💌 বিঃ দ্রঃ- বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে কুরিয়ারে/পার্সেলে ঔষধ পাঠানো হয়।

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪২, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত।
+8801716768210 (Whatsapp and Imo).

28/05/2025

🔰 কেন এই দুর্বলতা আসে?
👉 যদি শারীরিকভাবে (যৌন) নিজেকে পূর্বের চেয়ে দুর্বল মনে হয় তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই; শুধু প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন এবং সঠিক চিকিৎসা ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন।
👉 বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে অথবা খুব বেশি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে শারীরিক যৌন দুর্বলতা আসতে পারে তবে হতাশ হবার কিছু নেই।
👉 নিজের ধারন ক্ষমতার চাইতে বেশি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা কিংবা চাকুরী অথবা নিজ ব্যবসার বিভিন্ন দায়িত্ব গ্রহণ করা এর মাধ্যমে শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা আসাটা খুব একটা অসম্ভব নয়।
👉 উক্ত বিষয়ের ফলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি, সুখ শান্তি বিনষ্ট ইত্যাদি দূর করনে নিজ উদ্যোগে উদ্যোগী হয়ে সঠিক জীবন যাপন ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
👉 শেষ চি-কিৎ-সা হিসাবে একবার প্রমান করুন।
👉 দীর্ঘ গবেষণার সুফল; বিফল হবে না ইনশাআল্লাহ।
📕 জীবনচক্রের নানা ধাপে, বিশেষ করে বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিংবা তীব্র মানসিক চাপ, অতিরিক্ত কাজের বোঝা বা ব্যক্তিগত উদ্বেগের কারণে শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা অনুভব করা অস্বাভাবিক নয়। এমনটা হলে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন, যা দাম্পত্য জীবনে অশান্তি ডেকে আনতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সঠিক মানসিকতা, জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
________________________________________
কেন এই দুর্বলতা আসে?
• শারীরিক কারণ: বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে, যার মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা একটি প্রধান কারণ। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো কিছু শারীরিক অসুস্থতাও যৌন দুর্বলতার কারণ হতে পারে।
• মানসিক চাপ ও উদ্বেগ: বর্তমান যুগে কাজ বা ব্যবসার চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, তা আমাদের যৌন স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মনকে অস্থির করে তোলে, যা স্বাভাবিক যৌন জীবনকে ব্যাহত করে।
• অতিরিক্ত কর্মপরিকল্পনা: নিজের ধারণক্ষমতার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত কাজের দায়িত্ব নেওয়া বা দিনরাত একটানা কাজ করার ফলে শরীর ও মন উভয়েই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই ক্লান্তি সরাসরি যৌন দুর্বলতায় রূপান্তরিত হতে পারে।
________________________________________
সমাধানের পথ: সঠিক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যসেবা
শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আলোচনা করা হলো:
• মানসিকতার পরিবর্তন: প্রথমেই প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতা। মনে রাখবেন, এটি একটি সাধারণ সমস্যা এবং এর সমাধান সম্ভব। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখুন এবং সঙ্গীর সাথে খোলামেলা কথা বলুন।
• সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ:
o বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: যেকোনো ধরনের যৌন দুর্বলতা অনুভব করলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা যৌন বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। তিনিই আপনার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয় করবেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতির পরামর্শ দেবেন।
o হরমোন পরীক্ষা: প্রয়োজনে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ধরা পড়লে সে অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন।
o অন্তর্নিহিত রোগের চিকিৎসা: যদি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতার কারণে যৌন দুর্বলতা দেখা দেয়, তবে সেগুলোর যথাযথ চিকিৎসা করানো আবশ্যক।
• জীবনযাত্রার পরিবর্তন:
o স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: সুষম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। তাজা ফল, শাকসবজি, শস্য এবং পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলুন।
o নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা অন্য যেকোনো শারীরিক কার্যকলাপে যুক্ত হন। ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, মানসিক চাপ কমায় এবং যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
o পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন। ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে crucial ভূমিকা পালন করে।
o মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা: যোগা, মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ বা শখের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
o ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ: ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা যৌন দুর্বলতার অন্যতম কারণ। এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
________________________________________
👉 চূড়ান্ত চিকিৎসা এবং আশার বাণী
শারীরিক ও যৌন দুর্বলতার জন্য কোনো একক "শেষ চিকিৎসা" নেই। বরং, এটি একটি ব্যাপক এবং সুসংগঠিত পদ্ধতির (Holistic Approach) মাধ্যমে চিকিৎসাযোগ্য। দীর্ঘ গবেষণার সুফলস্বরূপ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনে যে অগ্রগতি এসেছে, তা এই সমস্যা সমাধানে আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা।
ইনশাআল্লাহ, সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি অবশ্যই সুস্থ ও সুখী দাম্পত্য জীবন ফিরে পাবেন। প্রয়োজন শুধু আপনার সদিচ্ছা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ।
✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা)।
এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন কোর্স)।
হোমিও গবেষক ও চিকিৎসক।

💌 বিঃ দ্রঃ- বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে কুরিয়ারে/পার্সেলে ঔষধ পাঠানো হয়।

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪২, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত।
+8801716768210 (Whatsapp and Imo).

ডিপ্লোমা- ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী  (ডি এইস এম এস) প্রথম বর্ষের সিলেবাস পাঠ; মেটেরিয়া মেডিকা এর মেডিসিন- Ar...
02/03/2025

ডিপ্লোমা- ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডি এইস এম এস) প্রথম বর্ষের সিলেবাস পাঠ; মেটেরিয়া মেডিকা এর মেডিসিন- Arnica Montana (আর্নিকা মন্টানা)

আর্নিকা মন্টেনার প্রতিশব্দ :
ওলফ বেন, লিওপার্ডস বেন, ক্যালথা, আলপিনা, পর্বতের আর্নিকা, সেলটিক নার্ড, ক্রাইস্যান্থেমাম, ল্যাটিফোলিয়াম।

উৎস (Source) :
এক কথায় বলিতে গেলে ‘ওলফ বেন নামক বক্ষই আর্নিকার উৎস।

আর্নিকা মন্ট গাছের বর্ণনা (Description of the Arnica Mont plant) :
উত্তর গোলার্দের পর্বতময় অঞ্চলে এই বহুবর্ষজীবী গাছড়াসমূহ জন্মিয়া থাকে। এই গাছের পাতাগুলি দের হইতে ০৩ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং গাছের কান্ড ১০ হইতে ১২ ইঞ্চি লম্বা সোজা এবং আমসৃণ। আর্নিকা মন্টেনা গাছে জুলাই ও আগস্ট মাসে হলুদ বর্ণের অনেক ফুল ফুটিয়া থাকে। এই সকল ফুলের দল ০৫টি বিস্তৃত দাঁতের ন্যায় ছড়ানো ও নলাকৃতি বিশিষ্ট। শিকড়সহ সমগ্র টাটকা গাছরা আর্নিকা মন্টানা ঔষধে ব্যবহৃত হয়।

আর্নিকা মন্টানার প্রাপ্তিস্থান (Where to get Arnica Montana) :
মধ্য ইউরোপের শীতলতম স্থানে, রাশিয়া এবং সাইবেরিয়ায় এই সকল উদ্ভিদ জন্মিয়া থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পশ্চিম অংশে ইহা দেখা যায়।

প্রস্তুত প্রণালী (Preparation method) :
সমগ্র গাছড়া, মূল, পত্র ও পুষ্পের রস হইতে সূরাসার সহযোগে মূল আরিষ্ট প্রস্তুত হয়। অতঃপর হোমিও ফার্মাকোপিয়ার নিয়ম অনুসারে ১x শক্তি প্রস্তুত করিতে এক ভাগ অরিষ্ট, ০২ ভাগ পরিশ্রুত পানি ও ০৬ ভাগ সুরাসার, ৩x এবং উচ্চশক্তিতে শুধুমাত্র পরিশ্রুত সূরাসার ব্যবহার করিয়া প্রস্তুত করা হইয়া থাকে।

প্রবক্তা (Prover) :
শ্রদ্ধেয় স্যার ডাঃ ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এই ওষুধটি প্রথম পরীক্ষা করেন।

আর্নিকা মন্টানার প্রস্তুত ফর্মুলা (Ready-made formula of Arnica Montana) :
এফ-৩, জার্মানী-এফ-৪।

আর্নিকা মন্টের প্রধান ক্রিয়াস্থান বা ক্রিয়া কেন্দ্র (The main action or center of action of Arnika Mont) :
রক্তের উপর আর্নিকার বিশিষ্ট কার্যকারিতা রয়েছে। সিরা মন্ডলকে ইহা আক্রমণ করে এবং তাহার ফলে রক্ত সঞ্চালনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। আঘাত লাগা, কোন স্থান হইতে পড়িয়া যাওয়া, মচকাইয়া যাওয়া প্রভৃতি কারণে ব্যথা হইলে; বহুদিন পূর্বে আঘাত লাগার জন্য কোন পীড়া হইলে এবং প্রহার জর্জরিতের ন্যায় শরীর শাখাসমূহ বেদনায় আর্নিকা বিশেষভাবে ক্রিয়া করিয়া থাকে।

দ্রষ্টব্য- ইহা মোটা, কালো ও খর্বাকৃতি ব্যক্তিদের পক্ষে উপযোগী।

আর্নিকা মন্টের মানসিক লক্ষণ (Mental symptoms of Arnica Mont) :
১। রোগী সর্বদাই বিষন্ন থাকে এবং একাকী থাকিতে চায়।
২। উত্তেজনা প্রবণ, বিষন্ন, দুঃখিত, ভয়পূর্ণ নানা রূপ কল্পনা করে; বিশেষতঃ ভাবে যে তার কোন হৃদরোগ হইয়াছে অথবা পচনশীল ক্ষতরোগে মরিতে হইবে অথবা তাহাকে কোন গভীর ভয়ানক রোগে আক্রমণ করিয়াছে।
৩। বুক চাপা স্বপ্ন দেখে, ভয়ংকর স্বপ্ন, চোর, দস্যু প্রভৃতির স্বপ্ন। রাত্রিকালে ভয় পায়।
৪। আর্নিকা মন্টের রোগী খুবই স্পর্শ কাতর, সে চায় না যে তাকে কেউ স্পর্শ করে।
৫। স্মৃতিলোপ, ভ্রান্তি ও মস্তিষ্কের গোলমাল, অচৈতন্য ভাব, সর্ববিষয়ে তাচ্ছিল্য, অমনোযোগিতা। রোগী মনে করে সে ভালো আছে।
৬। সামান্য কারণে চমকিয়া উঠে।
৭। প্রলাপ বকে, কখনো বিড়বিড় করিয়া প্রলাপ করে, আবার কখনোবা ভয়ানক আক্রোশের সাহিত প্রলাপ করে।
৮। রাত্রিকালে হৃদপিণ্ড সম্বন্ধীয় উদ্বেগের সাহিত সেই মুহূর্তেই মৃত্যু ভয়, হৃৎপিণ্ড হইতে উদ্বেগ সারা দেহে বিস্তৃত হয়। বিশেষ লক্ষণটি হইল, সেই মুহূর্তেই মৃত্যু হইবে এমন ভয় ও আশঙ্কা করিতে থাকে।

আর্নিকা মন্টের চরিত্রগত বা বৈশিষ্ট্যগত লক্ষণ (Characteristic symptoms of Arnica montana) :
১। দেহে অত্যন্ত ক্ষতবোধ বেদনা, কেহ তাহাকে স্পর্শ করুক ইহা তাহার কাম্য নয়।
২। আঘাত হেতু বা অতিরিক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনার নিমিত্ত পীড়া, কোনও পীরায় রোগী অজ্ঞান ও অচৈতন্য অবস্থায় পড়িয়া বাহ্য পস্রাব (মল, মূত্র ত্যাগ) করে।
৩। শোক, দুঃখ, ভয়, আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি উৎপন্ন পিড়া।
৪। অসাড় ভাব ও সড়সড়ানি।
৫। বাম পার্শ্ব আক্রান্ত।
৬। পক্ষাঘাত হেতু আক্রান্ত অংশ শীর্ণ হইয়া যায়।
৭ সমগ্র দেহ শীতল কিন্তু মাথা গরম।
৮। চর্মের নিচে কালো শিরা দাগ।
৯। রক্তস্রাব, কালো শিরার দাগ, রক্তহীনতা, ফুলিয়া শক্ত হওয়া, পুঁজোৎপত্তি হেতু পীড়া, রক্ত দূষিত হইয়া কঠিন পিড়া।
১০। কঠিন পীড়া সত্ত্বেও রোগী বলে তাহার কোনো পীড়া নাই।
১১। অতিশয় বল ক্ষয় ও অবসাদ। কাঁপুনি, পক্ষাঘাত, হস্ত পদাদির হঠাৎ স্পন্দন, তড়কা।
১২। বেদনাযুক্ত ক্ষত, উদ্ভেদ ও স্ফোটক।
১৩। চোখ বন্ধ করিলে শিরো ঘূর্ণন।
১৪। দুগ্ধে ও মাংসে অরুচি।
১৫। জিহ্বা লেপাবৃত- মাঝখানে বাদামি বর্ণের ডোরা।
১৬। ঘ্রাণ, স্পর্শ ও শ্রবণেন্দ্রিয়ের প্রাখর্য, কখনো অবসাদ।

আঘাত জনিত রোগ (Traumatic disease) :
আঘাত জনিত যেকোনো তরুণ বা পুরাতন উপসর্গে আর্নিকা মন্ট উপযোগী…

মৃগীরোগ (Epilepsy) :
ডাঃ জ্বার এর মতে- অচৈতন্য অবস্থায় অসারে মল মূত্র ত্যাগ করিলে আর্নিকা বিশেষ উপকারী।

ডিসপেপসিয়া (Dyspepsia) :
আহারের সময় পাকস্থলীতে ব্যথা; আহারের পরে দপদপানি মাথা ব্যাথা ও তন্দ্রালোতা, মুখে দুর্গন্ধ, তিতো অস্বাদ; জিহ্বায় পিচ্ছিল হলুদ ময়লা; উদগারের সাহিত পচা ডিমের মত দুর্গন্ধময় বায়ু নির্গমন, পেট অত্যন্ত ফোলা, মল মারাত্মক দুর্গন্ধময়। এত দুর্বলতা বোধ করে যে প্রত্যেকবার মল ত্যাগের পর শুইয়া থাকিতে বাধ্য হয়।

আমাশয় (Dysentery) ও উদরাময় (Diarrhea) :
মুখের স্বাদ টক, তিতা, পিচ্ছিল, পচা পচা বোধ। মাংসে ও ঝোলে অরুচি; পিপাসা আছে কিন্তু কি যে পান করিতে চায় নিজেও জানেনা, কারণ সকল প্রকার পানীয়তেই অরুচি। পেট ফুলিয়া উঠে, প্রায়ই ঢেকুর উঠে; ঢেকুর তিতা, টক অথবা পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধযুক্ত। আমাশয় ও উদরাময় ইত্যাদিতে উক্ত লক্ষণ গুলো বিশেষভাবে জ্ঞাপক।

শিশু (শিশুকাল ) কলেরা (Cholera infantum) :
শিশু কলেরায় মলে অত্যন্ত দুর্গন্ধ; হড়হড়ে, রক্ত মিশ্রিত, এমনকি কখনো কখনো ফূঁজযুক্ত- সেই সঙ্গে অত্যন্ত বেগ ও কোঁথানী এবং পেটে সুচফোটানোর মত যন্ত্রণা।

খুংরি কাশি (Whooping cough) :
গলা সুড়সুড় করে ভয়ানক কাশি; কন্ঠনালী, বায়ুনালীর শাখা সমূহ অথবা ষড়যন্ত্রে ব্যাথা হইয়া কাশি আরম্ভ হয়। বিকাল হইতে দুপুর পর্যন্ত কাশি বাড়ে। কাশির পূর্বে ও পরে শিশুরা কাদিয়া উঠে। কাশিবার সময় শিশু হাত দিয়া বুক চাপিয়া ধরে। শিশুর বাম গাল লাল দেখায় ও শরীরের অন্যান্য অংশ ঠান্ডা থাকে।

এপেন্ডিসাইটিস (Appendicitis) :
অত্যন্ত দুর্বলতা এবং পেটে মারাত্মক ব্যাথা, এত ব্যথা যে রোগী পেটে হাত দিতে দেয় না; এই লক্ষণে আর্ণিকাই একমাত্র ঔষধ। (ডাঃ জে. এম. মিত্র)

স্ত্রীরোগ (Gynecology) :
গর্ভাবস্থায়- সর্বাঙ্গে, পেট, জরায়ু ও তলপেটে অত্যন্ত বেদনা ও স্পর্শকাতরতা। ভ্রূণের নড়া চড়া অত্যন্ত কষ্ট বোধ হয়; এজন্য রাতে ঘুমাতে পারেনা।

দ্রষ্টব্য- প্রসবের পর হেতালের ব্যথা- প্রসব ব্যথা অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকিলে ও কষ্টকর প্রসব হইবার পর আর্নিকা প্রয়োগ করলে ব্যথা ও টানানি শীঘ্রই দূর হয়। প্রসবের পর প্রস্রাব না হইলে অথবা সর্বদা ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব ঝরিতে থাকিলে আর্নিকা অব্যর্থ।

দ্রষ্টব্য- জরায়ু হইতে রক্তস্রাব- স্বামী সঙ্গমের পর জরায়ুতে আঘাত লাগার দরুণ জরায়ু থেকে রক্তস্রাব হইতে থাকিলে আর্নিকা বিশেষ পলপ্রদ।

বাতব্যাধি (Arthritis) ও গেঁটেবাত (Gout) :
বৃদ্ধদের পুরাতন বাতে; আক্রান্ত গাঁটগুলিতে অত্যন্ত স্পর্শানুভূতি। রোগী কাহাকেও ঐ স্থানে হাত ছোঁয়াইতে দেয় না; কেউ নিকটে আসিলে ভয় পায়; মনে হয় গায়ে আসিয়া লাগিবে; ছোট বড় যে কাউকেই নিকটে আসিতে দেখিলেই চেঁচা-মেচি করিতে থাকে; চেঁচাইয়া বলিতে থাকে শীঘ্রই ওকে এখান থেকে নিয়ে যাও; ‘গায়ে লাগবে..’।

ক্ষুদ্র ফোড়া (Small abscess) (Boils) :
একবারে অনেকগুলো ছোট ছোট ফোড়া উঠে; ফোড়া গুলিতে খুব যন্ত্রণা হয় এবং পাকিতে থাকে; অতঃপর পুনরায় কতগুলো ফোড়া উঠে।

টাইফয়েড জ্বর (Typhoid fever) :
মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চয় হয়; রোগী অচৈতন্য অবস্থায় পড়িয়া থাকে; নিচের চোয়াল ঝুলিয়া পরে, এক দৃষ্টে চাহিয়া থাকে; নাকে ঘড় ঘড় শব্দ হইতে থাকে। মুখ গাঢ় লাল ও গরম কিন্তু শরীরের অন্যান্য অংশ ঠান্ডা। শরীরের স্থানে স্থানে লাল শিরারমত দাগ পড়ে; অসাড়ে বাহ্য প্রসাব হয়।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা) এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন)।
হোমিও গবেষক ও বিজ্ঞ চিকিৎসক।
Call : 01716768210 (Whats App, IMO, Botim)

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪০, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ ঘকিটা পর্যন্ত।

🏠 চেম্বার দাগনভূঞা, ফেনী : তৈয়্যেবা মার্কেট (দ্বিতীয় তলা), দাগনভূঞা বাজার, চৌরাস্তা, (বসুরহাট রোড) দাগনভূঞা, ফেনী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকেল ০৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

ডিপ্লোমা- ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী  (ডি এইস এম এস) প্রথম বর্ষের সাবজেক্ট মেটেরিয়া মেডিকা- এর মেডিসিন : Aloe...
10/02/2025

ডিপ্লোমা- ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডি এইস এম এস) প্রথম বর্ষের সাবজেক্ট মেটেরিয়া মেডিকা- এর মেডিসিন : Aloe Socotrina (এলো সকোট্রিনা)

এলো সকোট্রিনার প্রতিশব্দ :
এলো গামি, হেপাটিক, বোম্বাই মোচা, সংস্কৃত এবং বাংলা ঘৃতকুমারী, আরবি মুসাব্বর।

এলো সকোট্রিনার উৎস :
ঘৃতকুমারী হইতে এই ওষুধটি প্রস্তুত হয়। ইহা মাত্র সামান্য কয়েক ফুট উঁচু হয়; এইসব গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ কতকগুলি সোজা শাখা বিশিষ্ট ডাঁটার সমষ্টি লইয়া গঠিত। সোজা পাতাগুলি মাংসল অথবা রসালো হয় এবং ইহার একপ্রান্ত ক্রমশঃ সরু হইয়া যায়। অনেকগুলি ঘৃতকুমারী গুল্মের শুধুমাত্র রসালো পাতাগুলি মাটির উপরিভাগ হইতে বাহির হইয়া চতুর্দিকে ছড়াইয়া পড়ে; ডাঁটা হয় না। পাতাগুলির উভয় প্রান্তে কাটা থাকে এবং সমস্ত পাতা জেলীর ন্যায় রসে পরিপূর্ণ থাকে। এই জাতীয় গুল্ম বিভিন্ন জাতের হইয়া থাকে, যেমন- কেপ এলোজ, কিউরাকাও এলোজ; জানজিবার এলোজ; সাকোট্রিণা এলোজ প্রভৃতি।

এলো সকোট্রিনার প্রাপ্তি স্থান :
পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, আফ্রিকা, আরব, ভারত ও বাংলাদেশে এই উদ্ভিদ জন্মে থাকে।

এলো সকোট্রিনার প্রুভার :
জার্মানীর শ্রদ্ধেয় স্যার ডাঃ হেলবিন ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে এই ওষধটি প্রুভ করেন।

এলো সকোট্রিনার প্রস্তুত প্রণালী :
ঘৃতকুমারীর পাতার স্বচ্ছ চটচটে পদার্থ হইতে মূলরিষ্ঠ প্রস্তুত অর্থাৎ ঘৃতকুমারী পাতার ঘনীভুত রস কঠিন করিয়া চুর্ন করিতে হয়, সেই মোটা চূর্ণ পর্যাপ্ত পরিমাণে তীব্র সুরাসারের সাহিত মিশ্রিত করিয়া মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়। ২ X এবং উচ্চ শক্তি পরিশ্রুত সূরাসারের সাহিত প্রয়োগ হয়। বিচূর্ণ আকারেও ইহা প্রস্তুত করা যায়।

এলো সকোট্রিনার ক্রিয়ার স্থান :
উদর, অন্ত্র, মলদ্বারে এর বিশেষ ক্রিয়া দেখা যায়; লিভারের উপর ইহা ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া লিভার ধমনিতে রক্তাধিক্য ও প্রচুর পরিমাণে পিত্ত নিঃসরণ করিয়া ক্রিয়া বৃদ্ধি করে।

এলো সকোট্রিনার মানসিক লক্ষণ :
১। রোগী মানসিক পরিশ্রম কাতর; রাগী ও খিটখিটে।
২। কোষ্ঠবদ্ধ অবস্থায় মেজাজ রাগী হয়; রোগে ভোগার পর মেজাজ খিটখিটে হয়।
৩। নড়াচড়া করার অনিচ্ছা; অবসাদগ্রস্ত।
৪। মেঘলা দিনে সকল যন্ত্রণার বৃদ্ধি।
৫। রসালো জিনিস খাইবার ইচ্ছা; মাংস খাইতে অনিচ্ছা।

এলো সকোট্রিনার চরিত্রগত লক্ষণ বা পরিচায়ক লক্ষণ :
১। মলদ্বারের পেশীর সংকোচন ক্ষমতা কমিয়া যায়, সেই জন্য রোগী বায়ু নিঃসরণ করিতে অথবা প্রস্রাব করিতে অসারে মলত্যাগ করিয়া ফেলে।
২। আমযুক্ত উদরাময়; সকালে বাহ্যের বেগ চাপিয়া রাখিতে পারা যায় না; প্রাতে বিছানা হইতে উঠার পূর্বেই বাহ্যের বেগ; বিছানা হইতে উঠিবার দেরিও অসহ্য হইয়া পড়ে।
৩। কোন কিছু পানাহারের পরই বাহ্যের বেগ, তাড়াতাড়ি পায়খানায় ছোটে, মলদ্বার যেন খোলা থাকে। …
৪। বায়ু নিঃসরণের সময় মলদ্বারে জ্বালা; বায়ু নিঃসরণ হইলেই প্রায় অসাড়ে বাহ্য হইয়া যায়; নিঃসৃত বায়ুতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ বাহির হয়; বাহ্যের সময় বায়ু নিঃসরণ হয় বেশি, মলের ভাগ অল্প।
৫। বাহ্যের পূর্বে পেট ঘড় ঘড় কড় কড় করিয়া ডাকে, হঠাৎ বাহ্যের বেগ, বাহ্যের পর দুর্বলতা ও মুর্ছার ভাব।
৬। কঠিন মল হইলেও অসাড়ে নির্গত হয়।
৭। অর্শ পিড়ায় আঙ্গুর ফলের মত বলি;... সর্বদাই মলদ্বারে ঠেলা মারা মত বেদনা; মলদ্বার গরম; জ্বালা করে; ভয়ানক চুলকানি এবং রক্তস্রাব হয়।
৮। লিভার; সরলান্ত্র অথবা জরায়ুর পীড়া ঐ সমস্ত যন্ত্রের ফোলা ফোলা ভাব থাকে।
৯। শরীরের চর্ম শুষ্ক; জালাযুক্ত ও গরম অনুভূত হয় অথচ থার্মোমিটার লাগাইলে তাপ উঠে না।
১০। প্রতি বছর শীতকালে পাঁচড়া হয়।

বৃদ্ধি : পান বা আহারের পর; উষ্ণ বায়ুতে চলাফেরা করিলে; দাঁড়াইলে; সাধারণত ভোর ৫টায় ও গ্রীষ্মের সময় ৬ টায়।

হ্রাস : শীতল জলে; খোলা বাতাসে; বায়ু নিঃসরণে ও মল নির্গমনে।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা) এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন)।
হোমিও গবেষক ও বিজ্ঞ চিকিৎসক।
Call : 01716768210 (Whats App, IMO, Botim)

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪০, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ ঘকিটা পর্যন্ত।

🏠 চেম্বার দাগনভূঞা, ফেনী : তৈয়্যেবা মার্কেট (দ্বিতীয় তলা), দাগনভূঞা বাজার, চৌরাস্তা, (বসুরহাট রোড) দাগনভূঞা, ফেনী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকেল ০৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

ডিপ্লোমা- ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী  (ডি এইস এম এস) প্রথম বর্ষের সাবজেক্ট মেটেরিয়া মেডিকা- এর মেডিসিন : Alli...
21/01/2025

ডিপ্লোমা- ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডি এইস এম এস) প্রথম বর্ষের সাবজেক্ট মেটেরিয়া মেডিকা- এর মেডিসিন : Allium Cepa (এলিয়াম সিপা)

উৎস (Source) : পেঁয়াজ হইতে এই ওষুধটি প্রস্তুত হইয়া থাকে। ইহা বর্ষজীবী স্থায়ী উদ্ভিদ যাহা সংকুচিত গোলাকার অথবা আয়তাকার হইয়া থাক।

ইহা- হাঁচি, সর্দি ও কাশির একটি প্রধান ঔষধ।

প্রস্তুত প্রণালী (Preparation method) : টাটকা লাল পেঁয়াজ পিষিয়া উহার রস লইয়া সুরাসার সহযোগে ইহার মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়।

প্রবক্তা (Prover) : ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে শ্রদ্ধেয় স্যার; ডাঃ হেরিং এই ওষুধটি প্রথম প্রুভ করেন।

বিশিষ্ট লক্ষণাবলী : সর্দির সাহিত বার বার জোরে হাঁচি এবং ক্ষতকর ঝাঝালো সর্দি স্রাব; ঐ স্রাব লাগিয়া উপরের ওষ্ঠ ও নাকের ঘা হয়; ওই সঙ্গে চক্ষু দিয়া জল পড়ে, কিন্তু চক্ষুর জল ক্ষতকর ঝাঝালো নয়। ব্রংকাই (বায়ুনালি) পর্যন্ত সর্দি বিস্তৃত হইয়া প্রচুর পরিমাণে কফ নিঃসৃত হয়; কাশি ও গড়ঘড়ানি থাকে। শুষ্ক কাশি সহ কণ্ঠনালী ছাড়িয়া যাইবে এরূপ বোধ হয়; পেটে প্রচুর বায়ু জমে।

সর্দি ও কাশি : নাক ও চোখ দিয়া জল পড়ে। নাক দিয়া যেই জল পড়ে সেই জলে নাক ও উপরের উষ্ট হাজিরা যায়; কিন্তু চোখ দিয়া যেই জল পড়ে সেই জল ক্ষতকর নয়। সর্দির সাথে বার বার হাঁচি হয়। গলার ভিতরে ছ্যাঁক ছ্যাঁক করে; গলার ভিতরে সুর সুর করিয়া কাশির উদ্রেক হয়। রাত্রে শয়ন করিলে ওই কাশির বৃদ্ধি হয়। কাশি আরম্ভ হইলে রোগী হাত দিয়া বুক চাপিয়া ধরিতে বাধ্য হয়। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে লইতে কষ্ট হয় ও সরভঙ্গ হয়। ঘরের বাহিরে গেলে সর্দির উপশম হয়।

হুপিং কাশি (Whooping cough) : হুপিং কাশিতে এলিয়াম সিপা একটি চমৎকার ওষুধ। কণ্ঠনালীতে সুর সুর বোধ হইয়া শুষ্ক ঠনঠনে আক্ষেপযুক্ত কাশি হয়। আপেল খাইলে কাশির সাময়িক উপশম হয়। গরম ঘরে থাকিলে কাশি বাড়ে এবং খোলা বাতাসে বেড়াইলে উপশম বোধ হয়। হুপিংকাশির সাহিত শিশুর অজীর্ণ, বমন ও পেটো বায়ু থাকে। শিশু অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু ত্যাগ করে এবং পেট ব্যথায় বাকা হইয়া যায়।
কানে ব্যথা (Ear pain) : সর্দির জন্য কানে ভয়ানক ব্যাথা হয়; সেই ব্যথা কানের ভিতর দিয়া গলা পর্যন্ত ছরাইয়া যায়।

দ্রষ্টব্য- শ্রদ্ধেয় স্যার ডাক্তার জেমস টাইলার ক্যান্ট এর মতে এলিয়াম সিপা, ক্যামোমিলা ও পালসেটিলা দ্বারা শিশুদের অধিকাংশ কানের ব্যথা আরোগ্য হয়।

শিশুর পেটব্যথা (Child's stomachache) : শিশুর পেটে বায়ু জন্মে। কাটা, ছেঁদা করা, সুই ফোটানো ও ছিরিয়া ফেলার মত যন্ত্রণা। যন্ত্রণায় শিশুটি বাঁকাইয়া দুভাজ হয়ে যায়। যকৃৎ প্রদেশ হইতে ব্যথা আরম্ভ হইয়া সমুদয় পেটে ছরাইয়া পড়ে; নাভির চারিদিকেই যন্ত্রণা বেশি হয়; বসিয়া থাকিলে যন্ত্রণা বাড়ে।

শিরঃপীড়া : (Headache) সর্দিসহ মাথাব্যথা; মাথার সম্মুখ দিকে আরম্ভ হইয়া কপালে এবং তথা হইতে চোখ ও মুখ মন্ডলে ছরাইয়া পড়ে। রজঃস্রাবের সময় শিরঃপীড়া থাকেনা; কিন্তু স্রাব না থাকিলে বা স্রাব বন্ধ হইয়া গেলে মাথাব্যথা পুনরায় আরম্ভ হয়।

দ্রষ্টব্য- সাইনোসাইটিস এবং পলিপাস জনিত রোগীদের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় বার বার হাচি হয়; একসাথে অনেকগুলো হাচি আসে, হাচির সাথে চোখ নাক দিয়ে জল পড়ে, রাতে শোয়ার পর নাক বন্ধ হয়ে যায়; সর্দি ঠান্ডা লেগেই থাকে; মাথাব্যথা লেগেই থাকে।

বৃদ্ধি : সন্ধ্যা কালে, গরম ঘরে।

উপশম : ঠান্ডা ও খোলা বাতাসে।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা) এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন)।
হোমিও গবেষক ও বিজ্ঞ চিকিৎসক।
Call : 01716768210 (Whats App, IMO, Botim)

06/01/2025

যদি কারো উপকারে আসে সেই স্বার্থে রোগী লিপি উপস্থাপন:

প্রায় ১০ বছর আগের ঘটনা মিস্টার (নাম প্রকাশ করিলাম না) আমার চেম্বারে উপস্থিত হয়, অতঃপর বলিল ডাক্তার সাহেব আমার এক বন্ধু আপনার সম্পর্কে অনেক প্রসংশা করিয়া “আপনার কাছে আমাকে পাঠিয়েছে চিকিৎসার জন্য” ডাক্তার সাহেব আপনি আমার জন্য কিছু একটা করেন, বর্তমানে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে যন্ত্রণাদায়ক কষ্টে আছি; তা থেকে আমাকে মুক্তি দিন প্লিজ।
অতঃপর আমি বলিলাম আপনার কি সমস্যা বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বলেন; তিনি আমাকে তাহার সকল বিষয় বুঝাইয়া বলিলেন এবং আমি বুঝিতে সক্ষম হইলাম তিনি দুঃখের সাথে বলিলেন ডাক্তার সাহেব আমার “স্ত্রীর কাছে আমার এক পয়সা মূল্য নেই আমি তার কাছে খুবই মূল্যহীন” এমনকি কখনো কখনো স্ত্রী আমাকে খাট থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, আবার কখনো নিজের ফ্ল্যাট থেকে বের করে দেয়; শুধুমাত্র আমার যৌন দুর্বলতার জন্য “আমি তার কাছে ব্যর্থ”
অতঃপর আমি বলিলাম এতে অবাক হবার কিছু নেই! এরকম ঘটনা আমার অনেক জানা, আমি আমার চিকিৎসা জীবনে বহু রোগীদের থেকে এরকম ঘটনা বহুবার শুনেছি এবং অনেক রোগীদেরকে এই একই যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চিকিৎসা দিয়েছি; তারা অনেকেই আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে মুক্তি পেয়েছে।
অতঃপর আমি রোগীকে প্রশ্ন করিলাম আপনার পেশা কি? কি করেন আপনি? তিনি বলিলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী; গুলশানে আমার অফিস। ব্যবসায়িকভাবে আমি অনেক ভালো আছি, তবে দাম্পত্য জীবনে অত্যন্ত হতাশা ও দুশ্চিন্তায় আছি, স্ত্রীর কাছে “প্রতিনিয়ত লজ্জা পাইতেছি” ঝগড়া কলহ জীবনে লেগেই আছে, এই যন্ত্রণা থেকে কি আমি মুক্তি পাবো? অতঃপর রোগীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলিলাম “ইনশাল্লাহ এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন” তবে ছয় মাসের কোর্স হিসাবে চিকিৎসা করিতে হইবে।
অতঃপর আমি উক্ত রোগীর রোগ হিস্ট্রি ভালোভাবে কালেক্ট করে চিকিৎসা শুরু করিলাম এবং চিকিৎসা চলিতে থাকিলো; রোগীকে লাইফস্টাইল মানিয়া চলিবার পরামর্শ দিলাম এবং সুষম খাদ্য তালিকা নির্ধারণ করিয়া দিলাম। পরবর্তী আমি বুঝিতে পারিলাম উক্ত রুগী আমার প্রতি সন্তুষ্ট। বর্তমানে উক্ত ভদ্রলোক কোথায় আছে কিভাবে আছে আমার জানা নেই এবং যোগাযোগ নেই।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা) এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন)।
হোমিও গবেষক ও বিজ্ঞ চিকিৎসক।
Call : 01716768210 (Whats App, IMO, Botim)

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪০, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ ঘকিটা পর্যন্ত।
🏠 চেম্বার ফেনী : তৈয়্যেবা মার্কেট (দ্বিতীয় তলা), দাগনভূঞা বাজার, চৌরাস্তা, (বসুরহাট রোড) দাগনভূঞা, ফেনী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকেল ০৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: পার্সেল এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে ওষুধ পাঠানো হয়)

05/01/2025

👉 যদি শারীরিকভাবে (যৌন) নিজেকে পূর্বের চেয়ে দুর্বল মনে হয় তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই; শুধু প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন এবং সঠিক চিকিৎসা ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন।
👉 বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে অথবা খুব বেশি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে শারীরিক যৌন দুর্বলতা আসতে পারে তবে হতাশ হবার কিছু নেই।
👉 নিজের ধারন ক্ষমতার চাইতে বেশি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা কিংবা চাকুরী অথবা নিজ ব্যবসার বিভিন্ন দায়িত্ব গ্রহণ করা এর মাধ্যমে শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা আসাটা খুব একটা অসম্ভব নয়।
👉 উক্ত বিষয়ের ফলে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি, সুখ শান্তি বিনষ্ট ইত্যাদি দূর করনে নিজ উদ্যোগে উদ্যোগী হয়ে সঠিক জীবন যাপন ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
👉 শেষ চি-কিৎ-সা হিসাবে একবার প্রমান করুন।

👉 দীর্ঘ গবেষণার সুফল; বিফল হবে না ইনশাআল্লাহ।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা)।
এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন কোর্স)।
হোমিও গবেষক ও চিকিৎসক।

💌 বিঃ দ্রঃ- বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে কুরিয়ারে/পার্সেলে ঔষধ পাঠানো হয়।

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪০, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত।
+8801716768210 (Whatsapp and Imo).

18/12/2024

ডিপ্লোমা- ইন হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এন্ড সার্জারী (ডি এইস এম এস) প্রথম বর্ষ সাবজেক্ট মেটেরিয়া মেডিকা- এর মেডিসিন 📕 এন্টিমোনিয়াম টার্টারিকাম (Antimonium Tartaricum)

📔 উৎস (Source) : এন্টিমনিয়াম অক্সাইড এবং পটাশিয়াম টার্টারেট যোগে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ইহা প্রস্তুত হয়।

👉 ইহা- গভীরক্রিয় এন্টি সোরিক, সিফিলিটিক, সাইকোটিক ও টিউবারকুলার মেডিসিন। বর্ণহীন নির্মল স্ফটিকরূপে পাওয়া যায় । বায়ুতে রাখিলে ইহা সাদা ও অস্বচ্ছ হইয়া যায়। ইহা জলে দ্রবর্ণীয়।

🥣 প্রস্তুত প্রণালী (Preparation method) : এন্টিমোনি ও পটাশের রাসায়নিক সংমিশ্রণে এক প্রকার অম্লাকার পদার্থ উৎপন্ন হয়। ঔষধার্থে ইহার তরল ও বিচূর্ণ প্রস্তুতসহ উভয়ক্রম প্রস্তুত হইয়া থাকে। দুগ্ধ শর্করা সহযোগে বিচূর্ণ প্রস্তুত হয়। উক্ত বিচূর্ণ হইতে হোমিও ফার্মাকোপিয়ার নিয়মে বিভিন্ন ক্রমের ঔষধ প্রস্তুত করা হয়।

📂 প্রবক্তা (Prover) : শ্রদ্ধেয় স্যার ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কিছু সহযোগী নিয়ে (ডা: হেস্কি, ডা: স্টাফ, ডা : স্ট্রিংক) এই ওষুধটি প্রুভ করেন।

👉 উপযোগী (Suitable for) : বৃদ্ধ ও বালক এবং যে সকল ব্যক্তির সহজে সর্দি লাগে, যাহারা অলস তাহাদের পক্ষে বেশি উপযোগী।

👉 শ্বাসযন্ত্রের রোগ (Diseases of respiratory): ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি কাশি ও হুপিং কাশি অথবা যে কোন প্রকারের কাশি হোক না কেন যদি গলায় ও বুকে সর্দি জমিয়া ঘড় ঘড় শব্দ হয় অথবা গলায় যেন অনেকটা সর্দি আটকাইয়া রইয়াছে মনে হয় অথচ রোগী শ্লেষ্মা তুলিতে পারে না, এ রূপ লক্ষণ থাকে, তবে অ্যান্টিম টার্টের কথা প্রথমেই মনে করিতে হইবে। যদিও সকল বয়সের ব্যক্তির পিড়াতেই এই লক্ষণ দেখিতে পাওয়া যায়, তবুও শিশু ও বৃদ্ধদের রোগেই বেশি উপযোগী।

👉 দ্রষ্টব্য- নিউমোনিয়ায় ভোগার পর ফুসফুস যকৃতের মত শক্ত হইয়া থাকিলে এবং ঐ সঙ্গে অত্যন্ত নিদ্রালোতা ও অচৈতন্য ভাব থাকিলে উহা উপকারী।

👉 শিশুদের ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া (Bronchopneumonia in children) : শিশু স্তন্যপান করিতে করিতে হঠাৎ স্তন ছাড়িয়া কাদিয়া ওঠে, মনে হয় যেন তাহার নিঃশ্বাস বন্ধ হইয়া গেল; তখন তাকে সোজা করিয়া কোলে লইয়া বেড়াইলে ভালো বোধ করে, মনে রাখিতে হইবে এই লক্ষণটি ব্রঙ্কোনিউমোনিয়ার সূচনার অবস্থা। এই সময় এন্টিম টার্ট প্রয়োগ করিতে পারিলে রোগ গোড়া হইতে নষ্ট হইয়া যায়। শিশুর যখন প্রথম গলা ও বুকে সর্দি বসিয়ে যায় ও বুকে ঘর ঘর শব্দ হয় বারে বারে কাশি হইতে থাকে এবং গয়ার উঠে তখন ইপিকাককে প্রয়োজন হয়, কিন্তু কাশি যখন বাড়ে বাড়ে কমিয়া যায় অথচ বুকের সর্দি ও ঘড়ঘড়ানি পূর্বের মতো থাকে, কিছু মাত্র উপশম হয় না, শিশু নিঝুম হইয়া পড়িয়া থাকে, তখন এন্টিম টার্ট প্রয়োগ করিতে যেন ভুল না হয়। এন্টিম টার্টে জল পিপাসা একেবারেই থাকে না।

👉 দ্রষ্টব্য- এন্টিম টার্টের লক্ষণ মত উক্ত ঔষধ প্রয়োগ করিলে শিশুর যদি কোন উপকার না হয়, তবে হিপার সালফার ব্যবহার করা উচিত।

👉 হুপিং কাশি (Whooping cough) : রোগীর গলায় যদি ঘড় ঘড় শব্দ থাকে অথচ গয়ার কিছুতেই উঠে না, রাগিলে, কাঁদিলে এবং আহার করিলে যদি কাশি উপস্থিত হয় এবং কাশিতে কাশিতে রোগী বমি করিয়া ফেলে, বমির সাহিত্য লালা ও ভুক্তদ্রব্য পড়ে, তবে এন্টিম টার্ট উপযোগী।

👉 হাঁপানি (Asthma) : যে সকল স্বাস্থ্যভগ্ন ও দুর্বল বৃদ্ধব্যক্তিরা বৎসর ধরিয়া সর্দি কাশিতে ভূগীতে থাকে এবং যাহাদের শীতকালে একটু বেশি ঠান্ডা লাগিয়াই বুকে সর্দি জমিয়া ঘর ঘর শব্দ হইতে থাকে গয়ার ওঠে না উঠলেও সামান্য গারো সাদা গয়ার উঠে মাত্র, শ্বাসকষ্ট উপস্থিত থাকায় বিছানায় শুইতে পারে না, শুইলেই শ্বাসকষ্টের বৃদ্ধি হয়, বাতাস করিতে বলে, তাহাদের পক্ষে এন্টিম টার্ট উপকারী।

👉 হাম (Measles) ও বসন্ত (Pox) : হাম ও বসন্তে গুটি রীতিমতো না উঠিলে অথবা উঠিয়াও বসিয়া গেলে এবং সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থাকিলে ও মুখশ্রী নীল বর্ণ হইয়া গেলে এবং খুব জ্বর ও কষ্টকর নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সাহিত ঘড়ঘড়ানি শব্দ থাকলে এন্টিম টার্ট প্রয়োগে গুটিগুলি পুনরায় বাহির হইয়া রোগী ক্রমশ আরোগ্য লাভ করিবে।

👉 সবিরাম/বিরতিহীন জ্বর (Intermittent fever) : জ্বর সাধারণত বেলা তিন টায় আসে, কখনো কখনো বেলা নয়টা বা সন্ধ্যা ছয়টার সময় আসিতে দেখা যায়। খুব স্যাঁৎসেঁতে ঘরে বাস করার জন্য অথবা ঐরূপ স্থানে বসিয়া কাজ করা হেতু অথবা ঠান্ডা হাওয়া লাগাইবার ফলে জ্বর হয়। জ্বর আসিবার পূর্বে রোগী খুব হাই তুলিতে থাকে ও আর মোরা ভাঙ্গিতে থাকে।

👉 দ্রষ্টব্য- (শীতাবস্তা) যতক্ষণ শীত থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত পিপাসা থাকে না। একবার শীত ও একবার উত্তাপ হয়। এত শীত হয় যে, যেন মনে হয় হাড়ের ভিতর হইতে শীত বাহির হইতেছে। শীতে রোগী ঠক ঠক করিয়া কাফিতে থাকে, কখনো শীত বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় আবার কখনো শীত অল্প সময় থাকিয়া উত্তাপ বেশিক্ষণ থাকে। সাধারণত এই দুই অবস্থাতেই দেখিতে পাওয়া যায়, শীত আরম্ভ হইলে রোগী নিদ্রালু হয়, নড়াচড়া করিলে বেশি শীতবোধ হয়।

👉 উদরাময় (Diarrhea) : অত্যন্ত অধিক পরিমাণে সরল ভেদ হয়, ভেদের রং ঘাসের মতো সবুজ, অত্যন্ত দুর্গন্ধ, ভেদের মধ্যে হরহরে পদার্থ থাকে, ভেদের পূর্বে পেট কলিকের মতো বেদনা, ভেদের সঙ্গে ঠান্ডা ঘাম।

👉 বৃদ্ধি : ঠান্ডা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়, রাত্রিতে, বসন্ত ঋতুতে, ঋতু পরিবর্তনে, বুকের অবস্থা প্রাতে ও বেলা দ্বিপ্রহরে।

👉 উপশম : নির্মল বায়ুতে, শ্লেষ্মা বাহির হইলে, ডান পাশে শয়ন।

✍️ ডা. আবুল কালাম আজাদ
প্রভাষক : ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (প্রঃ)।
ডি এইচ এম এস, (ঢাকা) এইচ এম পি সি (হোমিও মেডিসিন)।
হোমিও গবেষক ও বিজ্ঞ চিকিৎসক।
Call : 01716768210 (Whats App, IMO, Botim)

🏠 চেম্বার মিরপুর ঢাকা : বাড়ি- ৪০, রোড- ২৯, ব্লক- ডি, মিরপুর ১২, পল্লবী, ঢাকা ১২১৬।
প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার, বিকাল ০৫ ঘটিকা থেকে রাত ১১ ঘকিটা পর্যন্ত।

🏠 চেম্বার দাগনভূঞা, ফেনী : তৈয়্যেবা মার্কেট (দ্বিতীয় তলা), দাগনভূঞা বাজার, চৌরাস্তা, (বসুরহাট রোড) দাগনভূঞা, ফেনী।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকা থেকে বিকেল ০৫ ঘটিকা পর্যন্ত।

👉 প্রভাষক ডা. আবুল কালাম আজাদ রোগীদের রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে গবেষণা পূর্বক সঠিক পর্যবেক্ষণে দীর্ঘ ইতিহাসের ভিত্তিতে জেনেটিকস ও শারিরীক এবং মানষিক সিনডম (বংশগতভাবে প্রাপ্ত উপবিস বা মায়াযম) নির্ণয় সাপেক্ষে চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

👉পরামর্শ- আপনার সুস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আপনার নিজের ও পরিবারে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখবেন।

Address


Opening Hours

Tuesday 17:00 - 23:00
Friday 17:00 - 23:00
Sunday 17:00 - 23:00

Telephone

+8801716768210

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Azad Homoeo Hall BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Azad Homoeo Hall BD:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Contact The Practice
  • Claim ownership or report listing
  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share