14/07/2021
আসসালামু আলাইকুম
আজকের বিষয়: স্ট্রোক
স্ট্রোক কি?
মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়ে আক্রান্ত অংশের কোষ নষ্ট হওয়াকে স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোক বলে আখ্যায়িত করা হয়।
স্ট্রোকের লক্ষণ ?
বর্তমান বিশ্বে স্ট্রোক মানুষের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
মস্তিষ্কের অংশ বিশেষ নষ্ট হওয়ায় রোগীর দেহে বেশ কিছু শারীরিক অক্ষমতা দেখা দেয়। যেগুলোকে স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন : প্যারালাইসিস, পা, হাত, মুখ অথবা শরীরের ডান বা বাম অংশ অবস হয়ে যাওয়া। কথা বলতে বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া, বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পতিত হওয়া, কথা জড়িয়ে আসা, একটা চোখে অথবা উভয় চোখে দেখতে সমস্যা হওয়া, অথবা ঝাপসা দেখা, চলাফেরা করতে না পারা, চলাফেরায় ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্রমে অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়া, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা দেখা দেওয়া। প্রাথমিক অবস্থায় কারও স্ট্রোক দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত তা না হলে রোগীর মস্তিষ্কের বেশি অংশ নষ্ট হয়ে জটিল আকার ধারণ করতে পারে অথবা রোগীর দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা বা মৃত্যু ঘটতে পারে। মস্তিষ্কের রক্তনালি বন্ধ হয়ে ইসকেমিক স্ট্রোক হতে পারে অথবা রক্তনালি ফেটে গিয়েও হিমোরজিক স্ট্রোক হতে পারে। অল্প সময়ের (পাঁচ মিনিটের কম সময়ে) জন্য অজ্ঞান হওয়া, মাথাঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা, কথা বলতে সমস্যা, শরীরের কোনো অংশ অবস হয়ে যাওয়া এবং পাঁচ থেকে ১০ মিনিটে রোগীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে মিনি স্ট্রোক বলা হয়। এ অবস্থাকে অবজ্ঞা না করে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। অধিক পরিমাণে লবণ খাওয়া, চর্বি খাওয়া এবং রক্তে অতিমাত্রায় কোলেস্টেরলের উপস্থিতি, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি করে। আমাদের দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৬০-৭০ ভাগ রোগী অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা হিসেবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যদিও স্ট্রোকের সঠিক কারণ নির্ণয় করা এখনো সম্ভব হয়নি। তবে বেশ কিছু শারীরিক অবস্থা স্ট্রোকের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যেমন—শারীরিক কর্মতৎপরতার অভাব, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস বিদ্যমান থাকা, বংশগতভাবে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস বিদ্যমান।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়:
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রন করা
ধূমপান ও মধ্যপান ত্যাগ করা
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহন করা
আপনার শরীরে যে কোন রোগের লক্ষন/উপসর্গ দেখা দিলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন এবং সুস্থ্য থাকুন।
ঢাকা শহর সহ সারা বাংলাদেশে যেকোনো ঔষধ এবং চিকিৎসা উপকরণ ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে দিচ্ছি আপনার দুয়ারে। এছাড়াও ঢাকা শহরে রয়েছে ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি সুবিধা।
☎️ +৮৮০১৭১৮৪৬৮৯৯৬
শর্ত প্রযোজ্য।
পেইজ লিংক:
https://www.facebook.com/Pujikom-Medicine-and-Medical-Services-102992454867708/
বিশেষ দ্রষ্টব্য: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অথবা প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন