Prof. Dr. Haradhan Deb Nath

Prof. Dr. Haradhan Deb Nath MBBS, MS (Neuro Surgery) Stroke Specialist, Neuro & Spinal Surgeon.
(1)

হাইড্রোসেফালাস হলো একটি স্নায়ুজনিত অবস্থা, যেখানে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF) জমে যায়। এই তরল স্বা...
13/10/2025

হাইড্রোসেফালাস হলো একটি স্নায়ুজনিত অবস্থা, যেখানে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF) জমে যায়। এই তরল স্বাভাবিকভাবে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের চারপাশে ঘোরাফেরা করে, তবে যদি তা সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হয়, তবে চাপ সৃষ্টি করে যা মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। যখন এই অবস্থা জন্মের সময় থেকেই থাকে, তখন একে জন্মগত (Congenital) হাইড্রোসেফালাস বলা হয়।

🧬 কারণসমূহ (Causes)
জন্মগত হাইড্রোসেফালাস সাধারণত গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যার কারণে হয়। এর প্রধান কারণগুলো হল:

🟥 জেনেটিক বা বংশগত ত্রুটি

যেমন: একুয়েডাক্টাল স্টেনোসিস (Aqueductal stenosis) – যেখানে মস্তিষ্কের তরল বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে যায়।

🟥 জন্মের আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ

সাধারণত অপরিণত শিশুদের (premature babies) ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।

🟥 ইনফেকশন

গর্ভাবস্থায় মা যদি টক্সোপ্লাজমোসিস, রুবেলা, সিফিলিস, সাইটোমেগালোভাইরাস বা হার্পিস এ আক্রান্ত হন, তবে শিশুর মস্তিষ্কের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত হতে পারে।

🟥 নিউরাল টিউব ডিফেক্ট

যেমন স্পাইনা বাইফিডা (Spina Bifida), যেখানে মেরুদণ্ডের বিকাশ অসম্পূর্ণ থাকে।

⚠️ লক্ষণসমূহ (Symptoms)
👉 নবজাতক বা শিশুদের মধ্যে হাইড্রোসেফালাসের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:

👉 অস্বাভাবিকভাবে বড় মস্তিষ্কের গড়ন (Head enlargement)

👉 মাথার উপরের কোমল অংশ (Fontanel) ফুলে ওঠা

👉 ত্বকের নিচে মস্তিষ্কের শিরা স্পষ্টভাবে দেখা যাওয়া

👉 কান্নার সময় বা সাধারণত শিশুর চোখ নিচের দিকে চলে যাওয়া (setting sun sign)

👉 খাওয়ায় অনীহা, বমি করা

👉 ঝিম ধরা বা অস্বাভাবিক ঘুম

👉 দৃষ্টির সমস্যা বা খিঁচুনি

👉 বিকাশজনিত দেরি (Motor delays)

🩺 নির্ণয় (Diagnosis)
📍 আল্ট্রাসনোগ্রাফি (Ultrasound) – গর্ভকালীন বা জন্মের পর করা যায়।

📍 সিটিস্ক্যান (CT Scan) ও এমআরআই (MRI) – মস্তিষ্কে তরলের পরিমাণ ও কোন অংশে বাধা আছে তা নির্ধারণ করে।

📍 ফান্ডোস্কপি – চোখের ফান্ডাস পরীক্ষা করে মস্তিষ্কে চাপের লক্ষণ বোঝা যায়।

🧠 চিকিৎসা (Treatment)
জন্মগত হাইড্রোসেফালাসের জন্য চিকিৎসার প্রধান পদ্ধতিগুলো হলো:

১. শান্ট সার্জারি (Shunt Surgery)
সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা। এতে একটি পাতলা টিউব (shunt) মস্তিষ্ক থেকে শরীরের অন্য অংশে (সাধারণত পেটের ভেতরে) তরল নিষ্কাশনের জন্য স্থাপন করা হয়।

২. এন্ডোস্কোপিক থার্ড ভেন্ট্রিকুলোস্টমি (ETV)
একটি ছোট ছিদ্র করে তরল নির্গমন করানোর বিকল্প পদ্ধতি, কিছু ক্ষেত্রে কার্যকর।

৩. সংক্রামণ প্রতিরোধ
শান্ট বসানোর পর সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।

💡 পরবর্তী যত্ন ও সাবধানতা
👨‍🔬 চিকিৎসার পর শিশুর বিকাশ ও মানসিক বিকাশ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

👨‍🔬 সময়মত ফলো-আপ ও শান্ট কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করা জরুরি।

👨‍🔬 মাথার আকার, খিঁচুনি ও আচরণে পরিবর্তন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

জন্মগত হাইড্রোসেফালাস একটি গুরুতর কিন্তু চিকিৎসাযোগ্য রোগ। সময়মতো নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুর জীবন রক্ষা ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব। সচেতনতা ও দ্রুত পদক্ষেপ এই রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রধান হাতিয়ার।

#হাইড্রোক্যাফালাসে


#অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_নাথ

স্ট্রোক একটি মারাত্মক চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে ঘটে। স্ট্রোকের দ্রুত চিকিৎসা না হ...
07/10/2025

স্ট্রোক একটি মারাত্মক চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থা, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে ঘটে। স্ট্রোকের দ্রুত চিকিৎসা না হলে মারাত্মক শারীরিক জটিলতা বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই স্ট্রোকের লক্ষণগুলো দ্রুত চিনতে পারা এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ (FAST মেথড)
✅ F (Face drooping): মুখের একপাশ ঝুলে পড়ছে? হাসতে বলুন, মুখ সমান আছে কি না দেখুন।
✅ A (Arm weakness): হাতের বা পায়ের একপাশ দুর্বল লাগছে? উভয় হাত উঠিয়ে রাখতে বলুন, একপাশ নামছে কি না দেখুন।
✅ S (Speech difficulty): কথা জড়িয়ে যাচ্ছে বা অস্পষ্ট হয়ে গেছে? সাধারণ একটি বাক্য বলতে বলুন।
✅ T (Time to call for help): উপরের যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যান বা অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন!

স্ট্রোক হলে করণীয়:
🔹 রোগীকে শুয়ে দিন এবং মাথা সামান্য উঁচু করে দিন।
🔹 দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে যান।
🔹 যদি রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়, তবে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক আছে কি না পরীক্ষা করুন।
🔹 মুখে কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।
🔹 রক্তচাপ বেশি থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

স্ট্রোক প্রতিরোধে যা করবেন:
✔ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন।
✔ ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
✔ নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
✔ মানসিক চাপ কমান ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
✔ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব—সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন!

বর্তমানে যারা দীর্ঘদিন ধরে কোমর, পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন, বিশেষ করে যাঁদের PLID (Pr*****ed Lumbar Intervertebral Disc...
06/10/2025

বর্তমানে যারা দীর্ঘদিন ধরে কোমর, পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন, বিশেষ করে যাঁদের PLID (Pr*****ed Lumbar Intervertebral Disc) বা ডিস্ক স্লিপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য সুখবর – এখন আছে মিনিমালি ইনভেসিভ স্পাইন সার্জারি (Minimally Invasive Spine Surgery)।

🔍 এটি কী?
এটি একটি আধুনিক সার্জারি পদ্ধতি, যেখানে খুব ছোট কাটা দিয়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে মেরুদণ্ডের অপারেশন করা হয়। ফলে রোগীর শরীরে বড় কোনো ক্ষত হয় না এবং খুব দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব।

✅ এই পদ্ধতির সুবিধাসমূহঃ
• ছোট কাটা
• দ্রুত আরোগ্য লাভ
• কম ব্যথা
• দাগ কম পড়ে
• রক্তপাতের পরিমাণ খুবই কম
• সহজে চলাফেরা করা যায়
• উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার
• রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করেও করা যায়
• জটিলতার সম্ভাবনা কম
• চিকিৎসার ফলাফল আরও ভালো

👨‍⚕️প্রফেসর হারাধন দেবনাথ
নিউরো ও স্পাইনল সার্জন,
অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

📍 রোগী দেখেন:
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮.৩০ (শুক্রবার ব্যতীত)
ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫
🟢 এপয়েন্টমেন্ট: ১০৬০৬
📞 ০১৭১১ ৩৫৪১২০

🌐 www.drhaidardebnath.com

অমঙ্গলের বিনাশ হোক সকলের জীবনেবিরাজ করুক শান্তি। সকলকে সার্বজনীন দুর্গা পূজার শারদীয়া শুভেচ্ছা। #অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_ন...
01/10/2025

অমঙ্গলের বিনাশ হোক সকলের জীবনে
বিরাজ করুক শান্তি। সকলকে সার্বজনীন দুর্গা পূজার
শারদীয়া শুভেচ্ছা।

#অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_নাথ

‘কায়িক শ্রমের অভাবে নারী-পুরুষে উভয়ের মধ্যেই স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে,২০-৩৯ বছর বয়সে নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁ...
25/09/2025

‘কায়িক শ্রমের অভাবে নারী-পুরুষে উভয়ের মধ্যেই স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে,
২০-৩৯ বছর বয়সে নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনুরূপ বয়সী পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ। তাই সতর্ক না হলেই সবারই বিপদ’
বিশ্বে নারী মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ স্ট্রোক। আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন বলছে, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে যত মানুষ স্ট্রোকের কারণে মারা যায়, তাদের ৬০ শতাংশই নারী। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হলে অথবা রক্তনালি ফেটে গেলে স্ট্রোক হয়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বিঘিœত হলে কোষগুলো মরে যায়। ফলে স্ট্রোকের লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জরুরি চিকিৎসা নিতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০-৩৯ বছর বয়সে নারীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনুরূপ বয়সী পুরুষদের তুলনায় দ্বিগুণ।
বিস্তারিত জানতে 👇👇

https://www.dailyjanakantha.com/health/news/856712

স্ট্রোক একটি বিপজ্জনক স্বাস্থ্যঝুঁকি, যা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জীবনহানির কারণ হতে পারে। এটি মূলত মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ ব...
24/09/2025

স্ট্রোক একটি বিপজ্জনক স্বাস্থ্যঝুঁকি, যা দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জীবনহানির কারণ হতে পারে। এটি মূলত মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হওয়া বা রক্তক্ষরণের কারণে ঘটে। স্ট্রোকের লক্ষণ দ্রুত চিহ্নিত করে সঠিক ব্যবস্থা নিলে অনেক মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
________________________________________
স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণসমূহ:
1. মুখ বা শরীরের একপাশ দুর্বল বা অবশ হয়ে যাওয়া।
2. কথা বলার অসুবিধা বা কথা জড়িয়ে যাওয়া।
3. দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বা কিছু না দেখতে পারা।
4. হঠাৎ ভারসাম্যহীনতা, হাঁটতে অসুবিধা।
5. মাথায় তীব্র ব্যথা বা মাথা ঘোরা।
________________________________________

যা করবেন:
• সময় নষ্ট করবেন না: লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।
• জরুরি সেবা নিন: নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
• সচেতন থাকুন: স্ট্রোক প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করুন।
________________________________________

আপনার পদক্ষেপই জীবন বাঁচাতে পারে! স্ট্রোক সম্পর্কে জানুন, সতর্ক থাকুন।

#স্ট্রোক #জরুরি_চিকিৎসা #সচেতনতা


#অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_নাথ

🏥 পিএলআইডি বিশেষজ্ঞ, নিউরো ও স্পাইনাল সার্জন! 🧠✨প্রফেসর ডাঃ হারাধন দেব নাথরোগীদের সেবা দিচ্ছেন নিয়মিত।যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা...
22/09/2025

🏥 পিএলআইডি বিশেষজ্ঞ, নিউরো ও স্পাইনাল সার্জন! 🧠✨
প্রফেসর ডাঃ হারাধন দেব নাথ
রোগীদের সেবা দিচ্ছেন নিয়মিত।
যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা:
📜 এমবিবিএস, এমএস (নিউরো সার্জারি), এফএসিএস (আমেরিকা)
👨⚕️ সদস্য, AO স্পাইন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস, নিউ দিল্লি, ভারত
🎓 অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল)
চেম্বার:
📍 ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯
⏰ সময়: প্রতিদিন বিকাল ৪:০০ - ৭:৩০
বিশেষজ্ঞতা:
✅ কোমর ব্যাথা (PLID)
✅ ব্রেইন টিউমার
✅ পিটুইটারি টিউমার
✅ হাইড্রোসেফালাস
✅ ঘাড়ে ব্যাথা (Cervical Spondylosis)
✅ স্ট্রোক ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা
👨⚕️ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞ হাতে চিকিৎসার জন্য আজই যোগাযোগ করুন!
📞 এপয়েন্টমেন্ট: 10606
📞 সরাসরি যোগাযোগ: 01711-354120

হাইড্রোক্যাফালাস (Hydrocephalus) হলো একটি চিকিৎসাবিষয়ক অবস্থা, যেখানে মস্তিষ্কের ভেতরে মগজ-তরল বা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুই...
20/09/2025

হাইড্রোক্যাফালাস (Hydrocephalus) হলো একটি চিকিৎসাবিষয়ক অবস্থা, যেখানে মস্তিষ্কের ভেতরে মগজ-তরল বা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড (CSF) অতিরিক্ত জমা হয়। এই তরল মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডকে সুরক্ষা দেয়, তবে হাইড্রোক্যাফালাসে এ তরল ঠিকভাবে শোষিত বা নিষ্কাশিত না হয়ে জমে যায়, ফলে মস্তিষ্কের ভেতরে চাপ বেড়ে যায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

হাইড্রোক্যাফালাসের কারণ:
হাইড্রোক্যাফালাস সাধারণত কয়েকটি কারণে হতে পারে, যেমন:

তরল নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা: মস্তিষ্কের ভেতরে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে তরল জমে যায়। জন্মগত বা স্নায়বিক কিছু রোগের কারণে এমনটা হতে পারে।
সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের অতিরিক্ত উৎপাদন: CSF যদি মস্তিষ্কের ভেতরে অতিরিক্ত পরিমাণে উৎপাদিত হয়, তাহলে জমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
শোষণে প্রতিবন্ধকতা: মস্তিষ্কের বুকে যেই সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড শোষিত হয়, সেখানেও কোনো ত্রুটি থাকলে এই সমস্যা হতে পারে।
আঘাত বা ইনফেকশন: মস্তিষ্কে আঘাত বা সংক্রমণের কারণে স্নায়বিক প্রতিবন্ধকতা হতে পারে, যা হাইড্রোক্যাফালাসের সৃষ্টি করে।
লক্ষণ:
হাইড্রোক্যাফালাসের লক্ষণ বয়সভেদে ভিন্ন হতে পারে।

শিশুদের ক্ষেত্রে:

>মস্তিষ্কের আকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে যাওয়া
>মাথায় অতিরিক্ত চাপের কারণে শিরাগুলো ফুলে ওঠা
>খিঁচুনি বা বমি হওয়া
>খাওয়াতে অনীহা বা শারীরিক দুর্বলতা
>চোখের দিকে তাকিয়ে রাখার সমস্যাজনিত সমস্যা

প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে:

>মাথাব্যথা, বিশেষত সকালে
>ঘাড় বা মাথায় ব্যথা
>বমি বা বমি ভাব
>দৃষ্টি সমস্যার সৃষ্টি হওয়া (দ্বৈত দেখা বা ঝাপসা দেখা)
>ভারসাম্যহীনতা বা হাঁটার সমস্যার সৃষ্টি হওয়া
>আচরণগত পরিবর্তন, যেমন মেজাজের অস্বাভাবিকতা, স্মৃতিশক্তির হ্রাস

চিকিৎসা:
হাইড্রোক্যাফালাসের চিকিৎসা সাধারণত শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে করা হয়, কারণ এই রোগের মূল কারণ তরল জমে যাওয়া। চিকিৎসার প্রধান লক্ষ্য মস্তিষ্কের ভেতরে জমে থাকা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডকে নিষ্কাশিত করা।

১। শান্ট (Shunt) প্রক্রিয়া: এটি হাইড্রোক্যাফালাসের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত চিকিৎসা। শান্ট হলো একটি ছোট টিউব বা নল, যা মস্তিষ্ক থেকে অতিরিক্ত তরলকে শরীরের অন্য কোনো অংশে প্রবাহিত করে, যেখানে তা শোষিত হয়। এই পদ্ধতিতে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের সঠিক প্রবাহ নিশ্চিত হয়।

২। এন্ডোস্কোপিক থার্ড ভেন্ট্রিকুলোস্টোমি (ETV): যদি শান্ট প্রক্রিয়া সবসময় কার্যকর না হয়, তবে ETV প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটি ছোট ক্যামেরা দিয়ে মস্তিষ্কের ভেতরে একটি নতুন পথ তৈরি করা হয়, যা তরলকে নিষ্কাশিত হতে সাহায্য করে।

৩। ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে, তরল উৎপাদন কমানোর জন্য ওষুধ দেওয়া যেতে পারে, তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয় এবং সাধারণত শুধুমাত্র সাময়িক উপশমের জন্য ব্যবহৃত হয়।

সঠিক সময়ে চিকিৎসার গুরুত্ব:
হাইড্রোক্যাফালাস দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে অধিকাংশ রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

#হাইড্রোক্যাফালাসে


#অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_নাথ

বর্তমানে মাথা ব্যথা একটি কমন রোগে পরিনত হয়েছে। অনেক কারনেই মাথা ব্যথা হতে পারে।আমাদের ভিতর অনেকেই মনে করেন যে প্রচণ্ড মা...
14/09/2025

বর্তমানে মাথা ব্যথা একটি কমন রোগে পরিনত হয়েছে। অনেক কারনেই মাথা ব্যথা হতে পারে।
আমাদের ভিতর অনেকেই মনে করেন যে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা মনেই মাইগ্রেনের ব্যথা। কিন্তু বিষয়টা আসলে মোটেও তা না।
মাথা ব্যথা অনেক কারনেই হতে পারে। মাইগ্রেন যেমন একটি কারন, তেমনি ব্রেইন টিউমার সহ আরো অনেক কারন রয়েছে।
তাই আজকের আলোচনায় থাকছে মাথা ব্যথার সাধারন কিছু কারন ও তার প্রতিকার সম্পর্কে।

বর্তমানে সাধারন মাথা ব্যথার কিছু কারন নিম্নরূপঃ
• চোখের পাওয়ারে পরিবর্তন, বা একটানা কম্পিউটার বা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা।
• মদ্যপান, ও অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি পান।
• অতিরিক্ত ঠাণ্ডা খাবার খওয়া।
• অতিরিক্ত রাত জাগা।
• রাতে ঘুমানোর সময় ভুলবশত ঘাড়ে চাপ লাগা এবং এ থেকে মাথা ব্যথা।
• অনেক সময় ধরে খালি পেটে থাকা।
• অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে।
• হঠাৎ করে অ্যালার্জি সৃষ্টি হওয়া।
• ধূপ বা মশার কয়েল অথবা কোনো সুগন্ধির কড়া গন্ধ।
• দীর্ঘক্ষন খুব টাইট করে চুল বেঁধে রাখা বা আঁটসাঁট টুপি বা ক্যাপ পরে থাকলে।
• একটানা অতিরিক্ত ভ্রমন করলে ইত্যাদি কারনে মাথা ব্যথা হয়।
উপরোক্ত কারনে যদি মাথা ব্যথা হয়। সে ক্ষেত্রে কী করবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
• পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
• কখনো খালি পেটে থাকবেন না
• খুব কড়া গন্ধ, যেখান থেকে মাথা ব্যথা হতে পারে সেখান থেকে দূরে থাকুন।
• মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দা থেকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিন
• অতিরিক্ত রাত জাগা থেকে বিরত থাকতে হবে।
• টানা ভ্রমন শেষে ভালভাবে গোসল করে পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম নিতে হবে। এবং চাইলে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন এতে ভ্রমনের ক্লান্তি কেটে গিয়ে ব্রেইন উজ্জীবিত হবে।
এসবেও মাথা ব্যথা না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মাথা ব্যথা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন-
অধ্যাপক ডা. হারাধন দেবনাথ ।
এমবিবিএস, এমএস ( নিউরো সার্জারি )
ব্রেইন টিউমার, স্পাইন সার্জারি , শিশু নিউরো সার্জারিতে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বিভাগ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল), ঢাকা।
চেম্বার : ধানমন্ডি ল্যাবএইড হসপিটাল
ফোন নাম্বার : ০১৭১১৩৫৪১২০
#মাথা_ব্যথা #মাইগ্রেন #ব্রেইন_টিউমার


#অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_নাথ

07/09/2025

পিটুইটারি গ্ল্যান্ড আমাদের ব্রেনের সামনের দিকে নাকের ৩-৪ ইঞ্চি ভেতরে এবং ব্রেনের তলার দিকে থাকে।
পিটুইটারি গ্ল্যান্ডকে মাস্টার গ্ল্যান্ড বলা হয়ে থাকে। যত ব্রেন টিউমার আছে, তার শতকরা ৫-১০ ভাগ হলো পিটুইটারি টিউমার। পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের হরমোন শরীরের বেশিরভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
পিটুইটারি টিউমার নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সার্জারি বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড.হারাধন দেব নাথের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
#পিটুইটারি_টিউমার


#অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_নাথ

আমাদের মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডের চারদিকে যে সূক্ষ্ম টিস্যুর স্তরের আবরণ রয়েছে, তাকে মেনিনজেস বলে। এই টিস্যু স্তরের আব...
04/09/2025

আমাদের মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ডের চারদিকে যে সূক্ষ্ম টিস্যুর স্তরের আবরণ রয়েছে, তাকে মেনিনজেস বলে। এই টিস্যু স্তরের আবরণে সংক্রমণের ফলে যে প্রদাহ সৃষ্টি হয় তাকেই মেনিনজাইটিস বলে।

মেনিনজাইটিস সাধারণত অণুজীবের সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়া আরও অন্যান্য কারনেও মেনিনজাইটিস হতে পারে, যেমন-

ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: নিসেরিয়া মেনিনজাইটিস বা স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ এবং ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাল মেনিনজাইটিস: ভাইরাসের কারণে হয় যা হাঁচি, কাশি এবং অস্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

প্যারাসাইট মেনিনজাইটিস: প্রাথমিক অ্যামিওবিক মেনিঙ্গএনসেফালাইটিস (পিএএম) প্যারাসাইট মেনিনজাইটিসের একটি খুব বিরল রূপ যা মস্তিষ্কে প্রাণঘাতী সংক্রমণ সৃষ্টি করে।

ফাঙ্গাল মেনিনজাইটিস: ফাঙ্গাল মেনিনজাইটিস বিরল এবং মেনিনজেসে রক্ত দ্বারা বাহিত হয়। যে কোনও মানুষ ফাঙ্গাল মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে এইডস্, ডায়াবেটিস বা ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাঁদের এই রোগ হওয়ার বেশি ঝুঁকি থাকে।
অসংক্রামক মেনিনজাইটিস: একজন মানুষের থেকে অন্য জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে না, তবে অসংক্রামক মেনিনজাইটিস হওয়ার কারণ হল,
১. ক্যানসার।
২. সিস্টেমেটিক লুপাস এরিথিমেটোসাস (লুপাস)।
৩. কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ।
৪. মাথায় আঘাত।
৫.মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার।

প্রাথমিক লক্ষণ থেকে মেনিনজাইটিস শনাক্ত করা কষ্টকর। আর শনাক্ত করা গেলেও প্রায় ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মাঝে মৃত্যুবরণ করে আর ২০ শতাংশ রোগী বেঁচে গেলেও প্রতিবন্ধিতা বরণ করে নিতে হয়। ৫ বছরের নিচে শিশুরা আর ১৫-১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মাঝে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। তবে সব ক্ষেত্রে এ রকম হয় এমনটি বলা যাবে না।

মেনিনজাইটিসের প্রধান লক্ষণগুলো হল-
তীব্র মাথা ব্যথা, গলার মাংস শক্ত হয়ে যাওয়া, স্মৃতি বিভ্রম, বমি, বমি বমি ভাব, আলোর দিকে তাকাতে না পারা, অস্বস্তি, শরীরে বিশেষ দাগ, মূর্ছা যাওয়া, প্রচণ্ড ঘুম পাওয়া, শরীরে ভারসাম্য হারানো প্রভৃতি।
তবে বয়সভেদে এই উপসর্গগুলোর কিছুটা ভিন্নতা দেখা যেতে পারে।

মেনিনজাইটিস রোগ নির্ণয় করার জন্য যে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় তা হল-

১. রক্ত পরীক্ষা: রক্তে কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কিনা, তা দেখা হয়।

২. লাম্বার পাংচার: মস্তিষ্কসুষুম্না তরল (সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড) সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয় সেখানে কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস রয়েছে কিনা।

৩. সিটি স্ক্যান: মস্তিষ্কে কোনও সমস্যা আছে কিনা দেখার জন্য সিটি স্ক্যান করা হয়।

মেনিনজাইটিস একটি প্রাণঘাতী রোগ এবং সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা না হলে মৃত্যুও হতে পারে। তাই লক্ষণ প্রকাশের সাথে সাথেই একজন নিউরোলজিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা উচিত।

মেনিনজাইটিসের সঠিক কারন নির্ণয় করে এর চিকিৎসায় নিম্নোক্ত ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

১. ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস: ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিসের ক্ষেত্রে সেফালোস্পরিনস এর মত অ্যান্টিবায়োটিক ভাল কাজ করে। এছাড়া, ক্লোরামফেনি কল একা বা অ্যাম্পিসিলিনের সঙ্গেও এই রোগ সারাতে সাহায্য করে।

২. ভাইরাল মেনিনজাইটিস: ভাইরাসজনিত মেনিনজাইটিস ব্যাকটিরিয়া মেনিনজাইটিসের মত প্রাণঘাতী নয়। এটিতে কেবল সহায়ক থেরাপি প্রয়োজন কারণ মেনিনজাইটিস সৃষ্টিকারী বেশিরভাগ ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসা উপযুক্ত নয়।

৩. ফাঙ্গাল মেনিনজাইটিস: ক্রাইপ্টোকক্কাল বা কোক্সিডায়োডস মেনিনজাইটিসের মতো ফাঙ্গাল মেনিনজাইটিসের চিকিৎসায় উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিফাঙ্গাল দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয়।

মেনিনজাইটিসের ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস এমন একটি রোগ, যা চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাওয়া যায় তাই এর প্রতিরোধ স্বরূপ মেনিনগোকক্কাস ভ্যাকসিন গ্রুপ-এ, সি, ডাব্লিও-১৩৫ এবং ওয়াই টিকা গ্রহন করা উচিত।

#মেনিনজাইটিস



#অধ্যাপক_ডা_হারাধন_দেব_নাথ

Address

House-1-6, Road No 4
Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prof. Dr. Haradhan Deb Nath posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Prof. Dr. Haradhan Deb Nath:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category