Dr.Shyamal Sarker

Dr.Shyamal Sarker of Pediatric Neurology). National Institute of Neurosciences and Hospital, Agargaon, Dhaka

Pediatric Neurologist and Child Specialist

MBBS, FCPS(Pediatrics), FCPS ( Pediatric Neurology and Development), PGPN ( Boston, USA), BCS (Health)
Consultant (Dept.

শিশুটির বাবা মা আমার চেম্বারে আজ এসেছিলেন বাচ্চাটির জন্ডিস হয়েছে এই সমস্যা নিয়ে। ভালো করে খেয়াল করে দেখুন ফুটফুটে এই বাব...
03/05/2025

শিশুটির বাবা মা আমার চেম্বারে আজ এসেছিলেন বাচ্চাটির জন্ডিস হয়েছে এই সমস্যা নিয়ে। ভালো করে খেয়াল করে দেখুন ফুটফুটে এই বাবুটার হাত ও পা হলুদ। কিন্তু চোখের দিকে তাকালে দেখবেন চোখ হলুদ না, ওর প্রস্রাব হলুদ না, বমি নাই, খাবারে অরুচি নাই। তাহলে সমস্যা কোথায়???
মাকে জিজ্ঞেস করলাম 'বাবুকে কি খাওয়ান?'
মা প্রতিদিন তাকে গাজর আর অন্য দু'একটা সবজি দিয়ে খিচুরি রান্না করে খাওয়ান। বিপত্তিটা এখানেই। গাজরে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন থাকে। তাই গাজর, স্কোয়াস, মিস্টি আলু এগুলো বেশি খাওয়ালে শরীরে ক্যারোটিন বেড়ে গিয়ে চামড়ার রঙ হলুদ বা কমলা হয়। একে ক্যারোটেনেমিয়া বলে। কিছুদিন গাজর খাওয়ানো বন্ধ করলেই এটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।
তবে অন্য কারনেও গায়ের রঙ হলুদ হতে পারে যেমন লিভারের সমস্যা বা রক্ত স্বল্পতার জন্য ও হতে পারে এমন সমস্যা। তাই কোন কিছু সন্দেহ হলে অবশ্যই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিবেন।
আপনার সন্তানের সুস্থতা কামনা করছি। ভালো থাকবেন সবাই।

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Shentu Rahat, Joy Hazra, Mukta Rajib
17/04/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Shentu Rahat, Joy Hazra, Mukta Rajib

17/04/2025

আমার মেডিকেলের ( চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ) বড় আপা মুন্নি আপা। একজন অসম্ভব মেধাবী মানুষ। যেমন পড়ালেখায় তেমনি পড়ালেখার বাইরে যে কোন বিষয়ে সমান পারদর্শী। কিন্তু কোথাও অহংকার এর ছিটে ফোটা নেই।
আপার জীবনের কথা তার নিজের হাতে লেখা। আমার অটিজম রোগীদের বাবা মায়েদের জন্য খুব শিক্ষনীয় একটি লেখা, একই সাথে খুব প্রেরণা দায়ক। সময় থাকলে পড়ে দেখবেন।
★***********★*************★************★
আচ্ছা, আপনাদের কি কখনো মরে যেতে ইচ্ছে করে? এক অসম্ভব বিষাদে ভাসতে ভাসতে মনে হয় আর বাঁচতে চাইনা, একেবারেই না। আমারও খুব মরে যেতে ইচ্ছে হয়েছিল, জীবনে মাঝে মাঝে এমন মনে হয়, কিন্তু প্রচন্ড কষ্টে খানখান হতে হতে নিজেকে শেষ করে দেয়ার সেই ইচ্ছে একেবারে অন্যরকম। সেদিন ছিলো আগষ্টের পোড়া গরমের শেষে একটা গুমোট বিকেল। আমি আমার দু বছরের ছেলেটাকে বুকে নিয়ে ধানমন্ডির এক হাসপাতালে ডাক্তারের রুমের সামনে বসে আছি, থরথর কাঁপছি। খানিক আগেই শুনেছি আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টকর সংবাদ, আমার ছেলেটার সমস্যা, যা নিয়ে থাকতে হবে আজীবন, করতে হবে এক অসম যুদ্ধ।

বাসায় কিভাবে ফিরেছি জানিনা, ফিরে আমাদের বিশাল শোয়ার ঘরের মোজাইক করা ঠান্ডা মেঝেতে গড়িয়ে গড়িয়ে কেঁদেছি। আমার মনে হয়েছে, আর নয়, আমি আর বাঁচতে চাইনা একটি মূহুর্তও। বড্ড অভিমানে এই জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে বহুদূরে চলে যেতে ইচ্ছে করছিলো ভীষণ। একদিন গেছে, দু'দিন গেছে, আমি কেঁদেই গেছি। মরে যাওয়ার ওই ইচ্ছেটার মাঝখানেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসেছি, চোখ মুছতে মুছতে ভেবেছি, আরে! কি বোকার মতো ভাবছি মরে যাবো বলে! আমার তো মরা চলবেনা, আমাকে তো বরং বাঁচতে হবে দারুণ সুস্থ, সুন্দর ভাবে। নাহলে আমার এই দেবশিশুর মতো সন্তান, যে কিনা অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জীবন কাটাবে, তার পাশে থাকবে কে? তার হাত ধরে রাখবে কে? সেই থেকে মরে যাবো বলে ভাবিনা, কোন অভিমান, কোন বিষাদ বেদনায় ভেঙে যেতে যেতেও ভাবি বাঁচতে হবে, আমার আজীবন শিশু হয়ে রয়ে যাওয়া বাপজানের জন্য। শতেক কষ্টেও স্রস্টার কাছে পরমায়ু চাই, আমার ছেলের সমান পরমায়ু।

আমি জানি, আর জানে আমার মতো শত হাজার মায়েরা, বাবারা। নিজের সন্তানের প্রতিবন্ধকতার এই সংবাদে কি এক অসম্ভব আঘাতে জর্জরিত হতে হয়। জীবন পালটে যায়, জীবনের পরিকল্পনাগুলো এলোমেলো হয়ে যায়, তবুও তো জীবন এগোয়, দিনগুলো কাটে, সময় গড়ায়। এক হঠাৎ আঘাত, মেনে নেয়া খুব কঠিন, কিন্তু মেনে না নিয়েও উপায় নেই।

আপনার সন্তানের অটিজম সনাক্ত হলে কি করবেন? করতে হবে অনেক কিছুই। প্রথমে কাঁদুন প্রাণ ভরে, তারপর মেনে নিন, সমস্যাটিকে। সমস্যা স্বীকার না করলে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। কখনো নিজের দোষী বা দায়ী ভাববেন না। এই সমস্যার পেছনে আপনার কোন হাত নেই। সমস্যা লুকিয়েও রাখার দরকার নেই। কাছের নির্ভরযোগ্য মানুষদের সাথে আলোচনা করুন, প্রয়োজনে সাহায্য প্রার্থনা করুন। মনে রাখবেন, এ আপনার লজ্জা, দোষ বা দায় নয়, একটা সমস্যা মাত্র, যা যে কারোরই হতে পারতো বা পারে।

এরপর প্রয়োজন ভালো কোন বিশেষজ্ঞ বা সেন্টারের দ্বারস্থ হয়ে অটিজম আছে কিনা পুনরায় নিশ্চিত হওয়া এবং কোন পর্যায়ে আছে তা নির্নয় করা। তারপর শিশুটির কি চিকিৎসা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা। সবার সব চিকিৎসা দরকার পড়েনা। আর চিকিৎসা নিয়ে খুব অস্থির হয়ে একযোগে সবকিছু শুরু করলে তা খুব একটা ভালো ফল আনেনা।

সবচেয়ে ভালো হয় নিজেরা, মা বাবা বা পরিবারের আপনজনেরা যদি পর্যাপ্ত সময় দেন। তবে একজনের জন্য সেটা বেশ ক্লান্তিকর বলেই সময় ভাগ করে নিলে খুব ভালো। তবে, এইসব শিশুরা যেহেতু তাদের সমস্যা বা অসুবিধার কথা বর্ণনা করতে পারেনা, অবশ্যই অন্য কারোর সাথে বাচ্চা থাকলে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ছোট ছোট গঠনমূলক কাজ বা খেলা শিশুর বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটাতে পারে। কিন্তু মোবাইল বা টেলিভিশন মস্তিষ্কের বিকাশ ধীর করে, তাই ছবির বই, ব্লকের খেলনা, কাগজ বা কাঠ ইত্যাদি দিয়ে কিছু তৈরি করা, ইত্যাদি ব্যাপারগুলো শিশুর মানষিক বিকাশের জন্য উপকারী।

যেহেতু এটি দীর্ঘমেয়াদি এক কার্যক্রম, বলা যায় সারাজীবনের যুদ্ধ, তাই প্রথমেই খুব অস্থির হয়ে সব শক্তি বা অর্থবিত্ত খরচ করে ফেলা যাবেনা। মনে রাখতে হবে এদের জন্য আর্থিক ব্যাক আপ রাখতে হবে, তাই মা বাবাকে উপার্জন করতে হবে, শক্ত ও সুস্থও থাকতে হবে। সব চাকুরী ব্যবসা গুটিয়ে ফেলা, সামাজিক সম্পর্কে ছেদ টানা খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা।

অটিজম চ্যালেঞ্জড শিশুরা ধীর গতিতে হলেও শিখতে পারে। তাদের জন্য আদরে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটা শান্ত সুন্দর পরিবেশ দিতে পারলে তাদের অস্থিরতা কম হয়, শিখেও তাড়াতাড়ি। প্রথম উদ্দেশ্য থাকবে তাদের শান্ত করা, ভাষা বা দেহভঙ্গির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে শেখানো, তারপর ধীরে ধীরে নিজের প্রাত্যহিক কাজকর্মে অভ্যস্ত করা।

পরবর্তীতে শিশুর যত্নের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। কোন স্কুল বা ডে কেয়ার অথবা কোন শিক্ষক। খুঁজে বার করুন আপনার শিশু কিসে আগ্রহ বোধ করছে, কিসে অস্থির হচ্ছে, কিসে তার সমস্যা হচ্ছে। শেখান খুব ধৈর্যের সাথে ছোট ছোট বিষয়গুলো। কঠিন বটে, কিন্তু অসম্ভব নয়।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মা বাবার মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটি। এই ক্লান্তিকর কাজটি করতে গিয়ে অনেকেই নিজেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই বিষয়ে খুব লক্ষ্য রাখতে হবে। এই বিষয়ে লিখবো আগামীতে। ভালো থাকুন।

শিশুটির বয়স প্রায় দুই বছর। বিশ্বাস হয়? ওর এখনো ঘাড় শক্ত হয়নি,বসতে পারেনা, কথা বলতে পারেনা। অথচ সঠিক সময়ে রোগটি সনাক্ত কর...
12/04/2025

শিশুটির বয়স প্রায় দুই বছর। বিশ্বাস হয়? ওর এখনো ঘাড় শক্ত হয়নি,বসতে পারেনা, কথা বলতে পারেনা। অথচ সঠিক সময়ে রোগটি সনাক্ত করতে পারলে এবং চিকিৎসা পেলে ও এখন একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশু হিসেবে বেড়ে উঠতো।
রোগের নাম "কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়ডিজম"।
জন্মগত ভাবে থাইরয়েড হরমোনের অভাব। থাইরয়েড হরমোন আমাদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিশুর জন্মের এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই এর লক্ষ্মণ দেখা দিতে পারে। শিশুর মধ্যে চঞ্চলতার অভাব, অতিরিক্ত ঘুম, কোস্টকাঠিন্য, করকশ গলার স্বর, মৃদুকান্না, খসখসে ও ঠান্ডা চামড়া, বোকার মত চাহনি ইত্যাদি নানারকম লক্ষ্মণ দেখে এই রোগ সনাক্ত করা যায়। TSH, FT4, রক্তের দুটি পরীক্ষা করে এই রোগ সঠিক সময়ে নিরনয় করে
"লিভোথায়রক্সিন" নামে একটি খুব কম দামের ওষুধ সঠিক নিয়মে খাওয়াতে পারলে একটি শিশুকে একটি সুস্থ সুন্দর জীবন দেয়া যায়।
তাই এই রোগ টি সম্মন্ধে অল্পবিস্তর জানা থাকলে তা আমাদের আশেপাশের অনেক শিশুর জীবনে কল্যান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।

আব্রাহাম, আমার খুব আদরের এক ছোট্ট রোগী। আমার জন্য চকোলেট নিয়ে এসেছে। দুই মাস আগেও চেম্বারে ঢুকতেই ভয় পেতো,এখন কিছু হলেই ...
25/02/2025

আব্রাহাম, আমার খুব আদরের এক ছোট্ট রোগী। আমার জন্য চকোলেট নিয়ে এসেছে। দুই মাস আগেও চেম্বারে ঢুকতেই ভয় পেতো,এখন কিছু হলেই বাবা মাকে বলে ডাক্তার আংকেলের কাছে নিয়ে যেতে।
আব্রাহাম এর খুব অল্পবয়সে ধরা পরে যে ওর মাথার হাড়গুলো সময়ের আগেই জোড়া লেগে গেছে( Craniosynostosis). শিশু নিউরোসার্জন দের কাছে পাঠালাম। তারা সব দেখে জানালেন অপারেশন করতে হবে। বাবা মা খুব ভয় পেয়ে গেলেন, এত ছোটো বাচ্চার অপারেশন তাও আবার মাথার!! সাহস দিলাম, তা না হলে ওর ব্রেইন বাড়তে পাড়বেনা,ভিতরের প্রেসার বেড়ে যাবে,চোখ গুলো বাইরে বের হয়ে আসতে চাইবে।
বাবা মা রাজি হলেন,অপারেশন হলো, তারপর আস্তে আস্তে আব্রাহাম বড় হতে লাগলো, ওর সব ধরনের ডেভেলপমেন্ট বয়সের সাথে ঠিক ভাবেই হচ্ছে। আব্রাহাম ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। একজন চিকিৎসক এর এর কাছে এর চেয়ে ভালোলাগার গল্প আর কী হতে পারে!

22/02/2025

এপিলেপ্সি বা মৃগিরোগ বিভিন্ন ধরনের হয়। অনেক সময় বাবা-মায়েরা এসে বলে তাদের ছেলে/ মেয়ে ইদানিং খুব অন্যমনস্ক হয়ে গেছে,পড়া লেখা ভালো হচ্ছেনা।
দিনের মধ্যে অনেকবার অল্প সময়ের জন্য কোথায় যেন হারিয়ে যায়,ডাক দিলেও সাড়া দেয়না কিন্তু কয়েক সেকেণ্ড পর আবার ঠিক হয়ে যায়।
এটি হতে পারে একধরনের মৃগীরোগ। নাম
Absence Epilepsy. ভিডিও টি খেয়াল করলেই বোঝা যাবে।

একটি জনসচেতনতা মূলক পোস্ট।

Let's show our empathy for the persons with Disability
03/12/2024

Let's show our empathy for the persons with Disability

02/07/2024
আজি এ বসন্ত জাগ্রত দ্বারেসবাই কে ফাগুন শুভেচ্ছা। আমার সকল বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, আমার ছোট্ট সোনা মনিরা যারা আমার কাছ...
14/02/2024

আজি এ বসন্ত জাগ্রত দ্বারে
সবাই কে ফাগুন শুভেচ্ছা।
আমার সকল বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, আমার ছোট্ট সোনা মনিরা যারা আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসে তাদের সবার জন্য আমার নিরন্তর শুভ কামনা।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে রয়েছে অগনিত শিশু যারা বিভিন্নধরনের নিউরোলজিকাল এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছে। কারো এপিলেপ্সি বা
মৃগী রোগ, কেউবা ভুগছে অটিজম, অতিচঞ্চলতা, অস্থিরতা, মনযোগের অভাব, দেরী করে কথা বলা, সেরিব্রাল পালসি, মুভমেন্ট ডিসওর্ডার, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সহ আরো অনেক রোগে। আমরা সবাই যদি সচেতন হই তাহলে অনেক গুলো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব আবার অনেক রোগ আছে যেগুলো সঠিক চিকিৎসা নিলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।
আসুন আমরা শিশুদের সমস্যা গুলো নিয়ে সচেতন হই এবং তদেরকে একটি সুন্দর নিরাপদ ভবিষ্যৎ দেই।

21/01/2024

এপিলেপ্সি বা মৃিগী রোগ একটি নিরাময় যোগ্য রোগ। দরকার সঠিকভাবে নিরনয় এবং সঠিক চিকিৎসা। আজও এ রোগ নিয়ে সমাজে নানা ধরনের ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার রয়েছে।
মোবাইল ফোনে একটি ভিডিও খুব সাহায্য করে খিচুনির সঠিক ধরন নিরনয়ে।

Address

282/1, Almas Tower, 1st Colony, Mazar Road, Mirpur
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Shyamal Sarker posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Shyamal Sarker:

Share

Category