ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস-Dhaka

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস-Dhaka

ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস-Dhaka কম খরচে দেশ সেরা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।
(1)

  Spondylosis কী?Cervical Spondylosis হলো ঘাড়ের মেরুদণ্ডের (cervical spine) হাড় (vertebrae), ডিস্ক, জয়েন্ট ও লিগামেন্টের...
11/09/2025

Spondylosis কী?

Cervical Spondylosis হলো ঘাড়ের মেরুদণ্ডের (cervical spine) হাড় (vertebrae), ডিস্ক, জয়েন্ট ও লিগামেন্টের ধীরে ধীরে ক্ষয়জনিত সমস্যা। এই অবস্থা ঘাড়ে ব্যথা, হাড়ের গোড়ায় চাপ, মাথাব্যথা, এমনকি হাত অবশ হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন উপসর্গ তৈরি করতে পারে।

#কেন হয় (কারণসমূহ):

1. বার্ধক্যজনিত ক্ষয় (Degeneration): বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ও ডিস্কের স্বাভাবিক ক্ষয় হয়।

2. ডিস্ক শুকিয়ে যাওয়া (Disc Dehydration): ডিস্কগুলো তাদের পানি হারিয়ে সংকুচিত হয় ও cushioning ক্ষমতা হারায়।

3. হাড়ে বাড়তি গঠন (Bone Spurs): ক্ষয়জনিত কারণে হাড়ের প্রান্তে অতিরিক্ত হাড় গঠন হয়, যা স্নায়ুতে চাপ দেয়।

4. হঠাৎ ইনজুরি বা দুর্ঘটনা

5. অনিয়মিত ভঙ্গি (Poor Posture): দীর্ঘক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটার বা মাথা নিচু করে কাজ করা।

6. পেশির দুর্বলতা ও বেশি চাপ

7. জেনেটিক প্রবণতা

#লক্ষণসমূহ :

-ঘাড়ে ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়া

-ঘাড় নড়াতে কষ্ট হওয়া

-মাথাব্যথা (ঘাড় থেকে শুরু)

-ঘাড় থেকে কাঁধ বা হাতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া

-হাত-পা অবশ বা দুর্বল লাগা

-ভারসাম্যহীনতা, মাথা ঘোরা

-রাতে ঘাড় বা হাত ঝিমঝিম করা

#ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা:

*Cervical Spondylosis – Assessment (মূল্যায়ন ধাপ):

একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বুঝে নিচের ধাপগুলো অনুসারে সম্পূর্ণ মূল্যায়ন (Assessment) করেন—

#রোগীর বর্ণনা:

ব্যথার স্থান, প্রকৃতি (ধরে, টানে, ঝাঁকুনি দেয়), তীব্রতা

-ব্যথা কবে থেকে শুরু, কোন সময় বেশি হয়

-কি করলে ব্যথা বাড়ে বা কমে

-আগের কোনো ইনজুরি বা অপারেশন ছিল কিনা

-ঘুম, কাজ, লাইফস্টাইল কেমন

assessment (শারীরিক পরীক্ষা):

*Range of Motion (ROM):

-ঘাড় কোন দিকে কতটা নড়াচড়া করছে সেটা পরিমাপ করা হয়:

-Flexion (নিচে ঝোঁকা)

-Extension (উপরে ওঠানো)

-Rotation (বামে/ডানে ঘোরানো)

-Side Bending (পাশে ঝোঁকা)

Strength Testing:

ঘাড়, কাঁধ ও পিঠের পেশিগুলোর শক্তি কতটা আছে তা পরীক্ষা করা হয়।

(স্পর্শমূলক পরীক্ষা):

-ঘাড়ের কোন অংশে ব্যথা আছে তা আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে বোঝা যায়।

-Muscle tightness বা tenderness ধরা পড়ে।

Examination:

-Sensation (চামড়ার অনুভূতি)

-Reflexes (স্নায়ুর রিফ্লেক্স কমে গেছে কিনা)

-Muscle weakness (হাত বা পা দুর্বলতা)

-Nerve root compression এর লক্ষণ

Tests:

Shoulder Abduction Relief Test
(এগুলো দিয়ে নির্ধারণ করা হয় স্নায়ুতে চাপ পড়ছে কিনা)

Analysis:

রোগীর বসার, দাঁড়ানোর ভঙ্গি কেমন সেটা বিশ্লেষণ করা হয়।

Therapy:

-Cervical traction

-Joint mobilization

-Myofascial release

-Soft tissue manipulation

Therapy:

*Stretching Exercises:

-Sternocleidomastoid stretch

-Upper trapezius stretch

-Levator scapulae stretch

*Strengthening Exercises:

-Isometric neck exercises

-Scapular stabilization

-Deep cervical flexor strengthening

Training:

-ঘাড়, কাঁধ ও পিঠের সঠিক ভঙ্গি শেখানো

-Desk setup ও ergonomics correction
- Gliding Exercises

যদি হাতে ঝিম বা অবশভাব থাকে।

#যে কাজ করা যাবে না :

-দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার দেখা

-বালিশ খুব উঁচু বা নিচু ব্যবহার

-ভারী ওজন তোলা

-মাথা নিচু করে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা

উপদেশ :

-ঘন ঘন বিরতি নিয়ে কাজ

-পিঠ সোজা রেখে বসা

-সঠিক বালিশ ও ঘুমানোর পজিশন

#ফিজিওথেরাপির উপকারিতা:

-ব্যথা হ্রাস করে।

-ঘাড়ের নড়াচড়া বৃদ্ধি করে।

-পেশি শক্তি বাড়ায়।

-স্নায়ুর ওপর চাপ কমায়।

-অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন কমে যায়।

-দৈনন্দিন কাজ সহজ হয়।

#রোগীর উন্নতির ধাপ:

1. Acute Phase: ব্যথা কমানো, বিশ্রাম, হালকা মুভমেন্ট

2. Subacute Phase: Stretching ও posture correction

3. Chronic Phase: Strengthening, return to work/activity ত্রাইনিং

#সঠিক চিকিৎসা নিন সুস্থ থাকুন

#ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস পেতে কল করুন
০১৮৩৫৩৩০৬২৮

PLID (Disc Prolapse) – অপারেশন ছাড়াই মুক্তি সম্ভব!📌 আপনার কি… কোমরে ব্যথা নিচের দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে?– পায়ে ঝিঁ ঝিঁ, অব...
09/09/2025

PLID (Disc Prolapse) – অপারেশন ছাড়াই মুক্তি সম্ভব!

📌 আপনার কি… কোমরে ব্যথা নিচের দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে?
– পায়ে ঝিঁ ঝিঁ, অবশভাব বা দুর্বলতা অনুভব হচ্ছে?
– দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে পারছেন না?
-কোমর এক পাশে বেকেঁ যাচ্ছে?

👉 তাহলে আপনি হয়ত PLID (Pr*****ed Lumbar Intervertebral Disc) সমস্যায় ভুগছেন, যাকে অনেকে বলে "ডিস্ক স্লিপ"।

🔍 PLID কী?
মেরুদণ্ডের মাঝখানে থাকা নরম ডিস্ক সরে গিয়ে যখন পাশে থাকা নার্ভে চাপ দেয়, তখনই এই সমস্যা তৈরি হয়। এতে কোমর, পা এমনকি হাঁটা-চলার ক্ষমতাও ব্যাহত হয়।

#কারণ:

-ভারী জিনিস ভুল ভঙ্গিতে তোলা
-দীর্ঘ সময় বসে থাকা (desk job)
-ওবেসিটি (মো
টাপনা)
-হঠাৎ আঘাত
#মেরুদণ্ডের দুর্বলতা বা বয়সজনিত পরিবর্তন

উপসর্গ (Symptoms):

কোমরে ব্যথা

এক পা বা দুই পায়ে ব্যথা/ঝিঁ ঝিঁ (sciatica)

পায়ে অবশভাব, দুর্বলতা

লম্বা সময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে না পারা

হাটা চলার সময় পায়ে টান লাগা

প্রস্রাব/পায়খানার নিয়ন্ত্রণ হারানো (সিরিয়াস কেসে – ক্যাডা ইকুইনা সিনড্রোম)

কোমর এক দিকে বেকেঁ যাওয়া

#ইভিডেন্স ও চিকিৎসা তুলনা (Evidence-Based Comparison)

*চিকিৎসা ধরন কার্যকারিতা ঝুঁকি সময় ইভিডেন্স

💊 মেডিসিন সাময়িক ব্যথা উপশম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ১–২ সপ্তাহ [Gugliotta et al., 2016]
🔪 সার্জারি (Microdiscectomy) দ্রুত আরাম (কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ) ইনফেকশন, ব্যর্থতা ১–২ মাস [Peul et al., NEJM, 2007]
#ফিজিওথেরাপি নিরাপদ, কার্যকর, পুনর্বাসন নেই বললেই চলে ৪–৮ সপ্তাহ [Delitto et al., 2012 Clinical Guidelines]

👉 অনেক রিসার্চ বলছে যে, সঠিকভাবে নির্ধারিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদে PLID-এর জন্য সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ উপায়।

---

#কেন ফিজিওথেরাপি সবচেয়ে কার্যকর?

১. রুট কজ (মূল কারণ) ধরতে পারা: শুধু ব্যথা নয়, কেন হলো সেটাও ধরা হয়।

২. ম্যাসেল ব্যালান্স ও ডিস্ক পজিশন রিস্টোর: স্পাইনকে সাপোর্ট দেয় এমন মাংসপেশি শক্তিশালী করে।

৩. ম্যানুয়াল থেরাপি ও cyriax, ম্যাকেঞ্জি থেরাপি: ডিস্ককে তার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

৪. নন-ইনভেসিভ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত: ওষুধ বা অপারেশনের মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

৫. রোগী নিজের কাজে ফেরে দ্রুত ও স্থায়ীভাবে।

***সঠিক চিকিৎসা নিন সুস্থ থাকুন
#ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস পেতে কল করুন
০১৮৩৫৩৩০৬২৮

🦶 পায়ের গোড়ালি ব্যথা ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা –✅ গোড়ালি ব্যথা কী এবং কেন হয়?গোড়ালি (Ankle Joint) হলো আমাদের শরীরের একটি গুর...
07/09/2025

🦶 পায়ের গোড়ালি ব্যথা ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা –

✅ গোড়ালি ব্যথা কী এবং কেন হয়?

গোড়ালি (Ankle Joint) হলো আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জয়েন্ট, যা হাঁটাচলা, দৌড়ানো, ওজন বহনসহ প্রতিটি দৈনন্দিন কাজের মূল সহায়ক। যখন এই স্থানে প্রদাহ, আঘাত বা অতিরিক্ত চাপ পড়ে, তখন ব্যথা হয়। যদি তা অবহেলা করা হয়, সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

---
#গোড়ালি ব্যথার প্রধান কারণসমূহ

১. Sprain বা মোচ – হঠাৎ ভুল ভঙ্গিতে হাঁটার ফলে গোড়ালির লিগামেন্টে টান পড়া বা ছিঁড়ে যাওয়া।
২. Achilles Tendinitis – অ্যাকিলিস টেন্ডনে প্রদাহ, যা অতিরিক্ত দৌড়ানো বা অনিয়মিত ব্যায়ামের কারণে হতে পারে।
৩. Plantar Fasciitis – পায়ের তলার টিস্যুতে প্রদাহ, সাধারণত দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা মোটা ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
৪. Arthritis – বয়সজনিত জয়েন্টের ক্ষয় বা প্রদাহ।
৫.পুরনো ইনজুরি – আগে পাওয়া আঘাত সঠিক চিকিৎসা না হলে ক্রনিক ব্যথা তৈরি হয়।
৬.অতিরিক্ত হাঁটাচলা বা দৌড়ানো – বিশেষ করে সঠিক জুতা ব্যবহার না করলে।

#গোড়ালি ব্যথার লক্ষণসমূহ

✔ হাঁটার সময় বা ভার নেয়ার সময় ব্যথা
✔ গোড়ালি ফুলে যাওয়া
✔ লালচে ভাব বা উষ্ণতা
✔ গোড়ালির চলাচলে সীমাবদ্ধতা
✔ সকালের দিকে বেশি ব্যথা অনুভব হওয়া

#ডায়াগনোসিস (রোগ নির্ণয়):
✅ রোগীর ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষা করা।
✅ প্রয়োজন হলে X-ray, MRI বা Ultrasound করে দেখা।

# ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পরিকল্পনা -

ফিজিওথেরাপি হলো প্রমাণ-ভিত্তিক চিকিৎসা যা ব্যথা উপশম ও কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

১. ব্যথা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি:

Cryotherapy: বরফ থেরাপি প্রদাহ হ্রাস করে।

Manual Therapy: হালকা ম্যাসাজ ও জয়েন্ট মোবিলাইজেশন রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

২. ব্যায়াম থেরাপি:

✔ Stretching Exercise: Achilles tendon ও calf muscle স্ট্রেচিং।
✔ Strengthening Exercise: গোড়ালি ও পায়ের পেশি শক্তিশালী করা।
✔ Balance Training: গোড়ালির স্ট্যাবিলিটি উন্নয়ন।

# বাড়িতে যত্নের টিপস:

✅ গোড়ালি উঁচু করে বিশ্রাম নিন
✅ দিনে ২-৩ বার ১৫-২০ মিনিট বরফ সেঁক
✅ সাপোর্টিভ ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন
✅ সঠিক জুতা পরিধান করুন
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন

#সতর্কতা:
গোড়ালি ব্যথা অবহেলা করলে তা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে এবং সার্জারি পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। তাই দ্রুত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
#ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস নিতে কল করুন
০১৮৩৫৩৩০৬২৮

♥ ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস ♥ আপনি কি ঢাকা শহরে বাসায় ফিজিওথেরাপি সেবার জন্য অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফিজিওথেরাপিষ্ট খুঁজছেন? আমরাই র...
31/08/2025

♥ ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস ♥ আপনি কি ঢাকা শহরে বাসায় ফিজিওথেরাপি সেবার জন্য অভিজ্ঞ ও দক্ষ ফিজিওথেরাপিষ্ট খুঁজছেন? আমরাই রোগীর বাসায় গিয়ে অতি যত্ন সহকারে ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করে থাকি। আমাদের রয়েছে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডিপ্লোমা ও বিএসসি ফিজিওথেরাপিষ্ট।

📞 ০১৮৩৫৩৩০৬২৮

👉 আমাদের উদ্দেশ্য আপনার অসুস্থ্য বাবা-মা কিংবা ভাই-বোনকে ম্যানুয়াল থেরাপি ও ইলেক্ট্রথেরাপি চিকিৎসার সমন্বয়ে রোগীকে সুস্থ্য করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা।

👉 আমাদের সেবা সমূহঃ

1. কোমরের ব্যথা /
2. পিঠে ব্যথা / Dorsal or
3. হাঁটুতে ব্যথা / Knee Pain
4. পায়ের গোড়ালি ব্যথা / Foot or
5. পা মচকে যাওয়া /
6. ঘাড়ে ব্যথা /
7. মাংসপেশির ব্যথা /
8. কাঁধে ব্যথা /
9. প্যারালাইসিস /
10. মুখ বেকে যাওয়া /
11. ডায়াবেটিসের কারনে মাংসপেশির ব্যথা / for Diabetes
12. নার্ভের ব্যথা /
13. লিগামেন্ট ব্যথা /
14. ফ্রোজেন সোলডার ব্যথা / Pain
15. হাত-পা অবশ বা ঝিম ঝিম / or
16. টেনিস এলবো /
17. স্পোর্টস ইনজুরি /
18. অস্টিওআর্থাইটিস /
19. অস্টিওপরোসিস /
20. এনকাইলজিং স্পন্ডালাইটিস /

👉 প্রতিদিন আমরা অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট দ্বারা যেকোন বাত-ব্যথা এবং প্যারালাইসিস রোগীদের সঠিক রোগ নির্নয় করে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

তাই যদি আপনার বাসায় ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা আছি সব সময় আপনার পাশে। আপনি ঢাকা শহরে যে কোন এলাকায় থাকেন না কেন আমাদের সেবা পাবেন সব এলাকায়।

আমাদের এরিয়া সমূহঃ

♥(সমগ্র ঢাকা শহর)--
👉সমগ্র মিরপুর
👉ভাষানটেক
👉ঢাকা ক্যান্টমেন্ট এরিয়া(সেনানিবাস এলাকা)
👉সমগ্র উওরা
👉দিয়াবাড়ি
👉আব্দুল্লাপুর
👉টঙ্গী
👉কামারপাড়া
👉এয়ারপোর্ট
👉ক্ষিলখেত
👉কুড়িল বিশ্বরোড
👉বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা
👉গুলশান
👉বারিধারা
👉নতুনবাজার
👉বনানী
👉মহাখালী
👉নাবিস্কো
👉তেজগাঁও
👉বাড্ডা
👉রামপুরা
👉বনশ্রী
👉মালিবাগ
👉মুগদা
👉মগবাজার
👉কাকরাইল
👉কমলাপুর
👉মতিঝিল
👉ডেমরা
👉সায়েদাবাদ
👉যাএাবাড়ী
👉লালবাগ
👉সমগ্র পুরাতন ঢাকা
👉সদরঘাট
👉বাবুবাজার
👉গুলিস্থান
👉পল্টন
👉বাংলা মটর
👉হাতিরপুল
👉চাংখারপুল
👉আগারগাঁও
👉শাহাবাগ
👉প্রান্থপথ
👉গ্রীনরোড
👉আজিমপুর
👉নিউ মার্কেট
👉কারওয়ান বাজার
👉ফার্মগেট
👉ধানমন্ডি
👉মোহম্নদপুর
👉রাজারবাগ পুলিশ লাইন
👉শিকদার মেডিকেল
👉রায়ের বাজার
👉আসাদ গেট
👉শ্যামলী
👉কল্যানপুর
👉গাবতলী
👉আমিনবাজার সহ
ঢাকা শহর এর ভিতর সব এলাকায় পাবেন আমাদের এই সেবা।♥

তাই ফিজিওথেরাপি সেবা আপনার বাসায় প্রয়োজন হলে ফোন করুন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুন আমাদের পেজ এর নাম্বারে:- ০১৮৩৫৩৩০৬২৮ অথবা ০১৮৮৭৩২৬০০৫


#ফিজিওথেরাপিহোমসার্ভিস #ফিজিওথেরাপিহোমসার্ভিসঢাকা
#ফিজিওথেরাপি

30/08/2025

# #ফ্রোজেন শোল্ডারে ফিজিওথেরাপি:

শোল্ডার জয়েন্ট বা কাঁধের জোড়ের একটি পরিচিত সমস্যা হলো অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস বা পেরি-আর্থ্রাইটিস বা ফ্রোজেন শোল্ডার। কাঁধের জোড়ে ক্যাপসুল নামক একটি পদার্থ থাকে, যার কাজ হচ্ছে নড়াচড়ায় সাহায্য করা।

কোনো কারণে এই ক্যাপসুলে প্রদাহ হলে তখন একে অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস বলা হয়। এ প্রদাহের কারণে যদি কাঁধের জোড়ের চারপাশে আর্থ্রাইটিস হয় বা প্রদাহ জয়েন্ট বা জোড় পর্যন্ত ছড়ায়, তবে এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে। তখন একে বলা হয় পেরি–আর্থ্রাইটিস।

এরই পরবর্তী পর্যায়ে কাঁধের জোড়ের ভেতরকার তরল বা সাইনোভিয়াল ফ্লুয়িড ধীরে ধীরে শুকিয়ে গিয়ে কাঁধ শক্ত হয়ে যায়। এ অবস্থাকে বলা হয় ফ্রোজেন শোল্ডার।

#কারণ:
সাধারণত ৪০-৬০ বছর বয়সের মানুষ এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। নারীদের আক্রান্ত হওয়ার হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নামক হরমোনের ঘাটতির কারণে নারীরা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন।

আরও নানা কারণে ফ্রোজেন শোল্ডার হতে পারে। যেমন অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, স্ট্রোক–পরবর্তী সমস্যা, আঘাতজনিত সমস্যা, ভারী বস্তু বহন করা, কাঁধের অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পর্যায়ে, ওপেন হার্ট সার্জারির পর, থাইরয়েডের সমস্যায়, কাঁধের জোড় সরে গেলে ইত্যাদি।

#কীভাবে বুঝবেন:
ফ্রোজেন শোল্ডার হলে হাত নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। হাত ওপরে ও নিচে নামাতে কাঁধে ব্যথা হয়। ব্যথা ক্রমে কনুই, ঘাড় ও পিঠে যেতে পারে। আক্রান্ত কাঁধে পাশ ফিরে শুতে কষ্ট হয়। আক্রান্ত হাতে জামা পরতে, হাত পেছনে নিয়ে পিঠ চুলকাতে বা চুল আঁচড়াতে কষ্ট হয়। এমনকি মুখ ধুতে ও দাঁত মাজতেও সমস্যা হতে পারে।
ফলো করুন

শোল্ডার জয়েন্ট বা কাঁধের জোড়ের একটি পরিচিত সমস্যা হলো অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস বা পেরি-আর্থ্রাইটিস বা ফ্রোজেন শোল্ডার। কাঁধের জোড়ে ক্যাপসুল নামক একটি পদার্থ থাকে, যার কাজ হচ্ছে নড়াচড়ায় সাহায্য করা।

কোনো কারণে এই ক্যাপসুলে প্রদাহ হলে তখন একে অ্যাডহেসিভ ক্যাপসুলাইটিস বলা হয়। এ প্রদাহের কারণে যদি কাঁধের জোড়ের চারপাশে আর্থ্রাইটিস হয় বা প্রদাহ জয়েন্ট বা জোড় পর্যন্ত ছড়ায়, তবে এর স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে। তখন একে বলা হয় পেরি–আর্থ্রাইটিস।

এরই পরবর্তী পর্যায়ে কাঁধের জোড়ের ভেতরকার তরল বা সাইনোভিয়াল ফ্লুয়িড ধীরে ধীরে শুকিয়ে গিয়ে কাঁধ শক্ত হয়ে যায়। এ অবস্থাকে বলা হয় ফ্রোজেন শোল্ডার।
#চিকিৎসা:
ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক বা এনএসএআইডি গোত্রের ওষুধ, সঙ্গে পেশি শিথিলায়নের জন্য মাসল রিলাক্স্যান্ট দরকার হয়। এর সঙ্গে কার্টিলেজ রিজেনারেটিভ ওষুধ, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি দেওয়া যায়। কখনো ইন্ট্রা আর্টিকুলার ইনজেকশন দিতে হতে পারে।

তবে এ সমস্যার মূল চিকিৎসা হলো ফিজিওথেরাপি। মেকানিক্যাল ও ম্যানুয়াল—দুই ধরনের থেরাপি রয়েছে। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট আপনার সমস্যা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

💚 আমরা দিচ্ছি বিশেষায়িত থেরাপি সেবা, যেখানে আপনার সমস্যা অনুযায়ী বেছে নেয়া হবে সঠিক চিকিৎসা

📞 আজই যোগাযোগ করুন – হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার :01835330628
👉 সুস্থ জীবনের জন্য ফিজিওথেরাপির দিকে এগিয়ে আসুন।

✅ নিরাপদ | ✅ আধুনিক | ✅ কার্যকর
#ফিজিওথেরাপি #থেরাপি
# #ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস নিতে কল করুন এই নাম্বারে ০১৮৩৫৩৩০৬২৮

🌿 অপারেশন নয়, এখন সমাধান থেরাপিতেই! 🌿অনেকেই মনে করেন জটিল সমস্যার একমাত্র সমাধান অপারেশন। কিন্তু জানেন কি❓👉 আধুনিক থেরাপ...
25/08/2025

🌿 অপারেশন নয়, এখন সমাধান থেরাপিতেই! 🌿

অনেকেই মনে করেন জটিল সমস্যার একমাত্র সমাধান অপারেশন। কিন্তু জানেন কি❓
👉 আধুনিক থেরাপি এখন অনেক ক্ষেত্রেই অপারেশনের বিকল্প।
👉 ঝুঁকি কম, খরচ কম, আর সেরে ওঠা হয় দ্রুত।
👉 প্রাকৃতিক ও নিরাপদ উপায়ে সমস্যা দূর করার সুযোগ।

💚 আমরা দিচ্ছি বিশেষায়িত থেরাপি সেবা, যেখানে আপনার সমস্যা অনুযায়ী বেছে নেয়া হবে সঠিক চিকিৎসা – কোনো কাটাছেঁড়া ছাড়াই!

📞 আজই যোগাযোগ করুন – হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার :01835330628
https://wa.me/8801835330628
👉 সুস্থ জীবনের জন্য অপারেশনের ভয় ভুলে, থেরাপির দিকে এগিয়ে আসুন।

✅ নিরাপদ | ✅ আধুনিক | ✅ কার্যকর
#ফিজিওথেরাপি #থেরাপি

 #স্ট্রোকের পর ফিজিওথেরাপি -কোনো কারণে মস্তিষ্কের নিজস্ব রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে স্নায়ুকোষ নষ্ট হয়ে যাওয়াক...
24/08/2025

#স্ট্রোকের পর ফিজিওথেরাপি -

কোনো কারণে মস্তিষ্কের নিজস্ব রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে স্নায়ুকোষ নষ্ট হয়ে যাওয়াকে স্ট্রোক বলে। স্ট্রোককে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট বলা হয়; যা বাংলা করলে দাঁড়ায়, মস্তিষ্কের রক্তনালির দুর্ঘটনা। মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গা শরীরের বিভিন্ন কাজের জন্য নির্দিষ্ট থাকে। তাই মস্তিষ্কের কোথায়, কতটুকু আক্রান্ত হয়েছে, সেটির ওপর নির্ভর করে স্ট্রোকের তীব্রতা ও লক্ষণ।
#স্ট্রোকের কারণ:
● মস্তিষ্কের রক্তনালিতে বাধা বা ব্লক সৃষ্টি হলে আক্রান্ত অংশের স্নায়ুকোষগুলো অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়।
● মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটলে আক্রান্ত অংশটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উচ্চ রক্তচাপ এ স্ট্রোকের অন্যতম কারণ; যেখানে ছোট ছোট রক্তনালি ছিঁড়ে রক্তক্ষরণ হয়। ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে চাপ বাড়ে।
#প্রাথমিক উপসর্গ:
● হঠাৎ অতিরিক্ত মাথাব্যথা।
● মুখ, হাত ও পা অবশ হয়ে যাওয়া (সাধারণত শরীরের যেকোনো এক পাশ)।
● কথা বলতে ও বুঝতে সমস্যা।
● এক বা দুই চোখে দেখতে সমস্যা।
● ব্যালান্স বা ভারসাম্য নষ্ট হওয়া।
● মাথা ঘোরা ও হাঁটতে সমস্যা।

#স্ট্রোক–পরবর্তী সমস্যা :
● শরীরের এক পাশ অথবা অনেক সময় দুই পাশ দীর্ঘ সময়ের জন্য অবশ হয়ে যায়।
● মাংসপেশির টান প্রথমে শিথিল হয়ে কমে গেলেও পরে আস্তে আস্তে টান বাড়তে থাকে ও শক্ত হয়ে যায়।
● হাত–পায়ে ব্যথা, পেশি শুকিয়ে যাওয়া, হাঁটাচলা ও নড়াচড়ার ক্ষমতা হ্রাস, শুয়ে থাকার জন্য চাপজনিত ঘা দেখা দেওয়া, শোল্ডার বা ঘাড়ের জয়েন্টে সমস্যা।

#কেন ফিজিওথেরাপি:
স্ট্রোকের রোগীর চিকিৎসায় মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিমের চিকিৎসা প্রয়োজন। ওষুধ পুরোপুরি শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারে না। তাই স্ট্রোক–পরবর্তী সমস্যা দূর করে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সঠিক ফিজিওথেরাপি। স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে ২৪ ঘণ্টার ভেতর ফিজিওথেরাপি শুরুর ব্যাপারে পরামর্শ করা উচিত। মনে রাখবেন, স্ট্রোকের পর যত দ্রুত ফিজিওথেরাপি শুরু করা যাবে, রোগীর কার্যক্ষমতা ফিরে আসার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
#প্রাথমিক অবস্থায় ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব:
● শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিককরণ।
● সঠিক পজিশনিং।
● মাংসপেশির স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য বজায় রাখা।
#দুই-তিন সপ্তাহ পর গুরুত্ব:
● মাংসপেশির স্বাভাবিক টান ফেরানো।
● শরীরের স্বাভাবিক অ্যালাইনমেন্ট ফেরানো।
● বিভিন্ন জয়েন্টের স্বাভাবিক নাড়ানোর ক্ষমতা বা মুভমেন্ট ফেরানো।
● ব্যালান্স ও কো-অর্ডিনেশন উন্নত করা এবং স্বাভাবিক হাঁটার ক্ষমতা ফেরানো।
● রোগীর কর্মদক্ষতা বাড়ানো।
● রোগীর মানসিক অবস্থা উন্নতি করা।
●রোগীকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরতে সহায়তা করা।

**স্ট্রোক-পরবর্তী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার জন্য একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত। তিনি রোগীর অবস্থা অনুযায়ী একটি উপযুক্ত পুনর্বাসন পরিকল্পনা তৈরি করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যায়াম ও কৌশল বলে দেবেন

#ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস পেতে কল করুন এই নম্বরে ০১৮৩৫৩৩০৬২৮

 #বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়ায় আতঙ্ক নয়, চিকিৎসায় মিলে সমাধান.....বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়ায় আতঙ্ক নয়, চিকিৎসায় মি...
22/08/2025

#বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়ায় আতঙ্ক নয়, চিকিৎসায় মিলে সমাধান.....

বেলস পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়ায় আতঙ্ক নয়, চিকিৎসায় মিলে সমাধান
এই রোগ প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম থাকে। তা ছাড়া শুধু ফিজিওথেরাপি মাধ্যমেই এর চিকিৎসা সম্ভব।
বেলস পালসি মুখের পেশির প্যারালাইসিস। অর্থাৎ বেলস পালসি হলো এমন একটি অবস্থা, যা মুখের পেশীগুলোর অস্থায়ী দুর্বলতা বা পক্ষাঘাত ঘটায়। মস্তিষ্ক থেকে আসা ৭ নম্বর ক্রেনিয়াল নার্ভের নাম ফেসিয়াল নার্ভ, যা মুখের পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে গেলে তাকে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা বেলস পালসি বলে। যেকোনো বয়সের নারী-পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ রোগের কারণ এখনও অজানা। এই রোগের বা ভাইরাসের প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা কম থাকে। আবার এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতিও খুবই সহজ। ফিজিওথেরাপিই হচ্ছে এর প্রধান চিকিৎসা।

স্কটিশ অ্যানাটমিস্ট চার্লস বেলের নামে এই স্বাস্থ্য সংকটটির নামকরণ করা হয়েছে।

#বেলস পালসি কী?

বেলস পালসি হলো ফেসিয়াল পালসি। ফেসিয়াল পালসি দুই ধরনের হয়।

১. মুখের এক পাশ কপাল থেকে শুরু করে একদম থুতনি পর্যন্ত যদি প্যারালাইজড হয়ে গেলে এটাকে লোয়ার মোটর নিউরন টাইপ অব ফেসিয়াল পালসি বলে।
২. কপালের অংশ বাদে চোখ থেকে নিচের অংশ প্যারালাইজড হলে সেটাকে আপার মোটর নিউরন টাইপ অব ফেসিয়াল পালসি বলে।

সহজ ভাষায় মুখের যেকোনো এক সাইডের প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়াই বেলস পালসি। এর জেনেটিক কোনো কারণ নেই এবং যে কোনো বয়সের মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে তরুণ বয়সে বেশি হয়। পুরুষ, মহিলা, এমনকি শিশুদেরও এ রোগ হতে পারে।

#কেন হয়?

এই রোগটি হওয়ার মূল কারণ অজানা। কিন্তু তথ্য প্রমাণ আছে যে, কিছু কিছু ভাইরাসের কারণে এই বেলস পালসি হয়। যেমন, হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের ও হার্পিস জোস্টার ভাইরাস দিয়ে বেলস পালসি হয়। এ ছাড়া সারকোডোসিস, লাইম ডিজিজের কারণেও বেলস পালসি হতে পারে।

#এই ভাইরাস কখন হয়?

সিজনাল পরিবর্তন হলে তখন এই ভাইরাস হয়। শীতের পরে গরম অথবা গরমের পর শীতকালে ভাইরাসের বংশ বৃদ্ধির মোক্ষম সময়। বংশ বৃদ্ধি বেশি হলে তখন ভাইরাসের আক্রমণও বেশি হবে। এই সময়গুলোতে বেলস পালসি বেশি হয়। আবার অন্য সময়গুলোতেও হতে পারে।

#আক্রান্ত রোগীর পরিসংখ্যান?

সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে আমাদের নিউরোলজির জার্নাল বা বই পত্রে দেখা যায়, প্রতি লাখে ২০ জন লোক এই রোগে আক্রান্ত। শতকরা হিসাব করলে দশমিক ০২ শতাংশ হতে পারে।

#শঙ্কা?

অসুখ বড় না হরেও এটা ঘাবরানোর মতোই একটি রোগ। কারণ সুস্থ স্বাভাবিক একজন লোক হঠাৎ করে সকালে উঠে দেখেন নিজের মুখ এক দিকে বাঁকা হয়ে গেছে। চোখ একটা বন্ধ হচ্ছে, একটা হচ্ছে না। কুলি করতে গেলে কুলির পানি একদিকে পড়ে যাচ্ছে। এতে রোগী ভড়কে যান। মনে করেন স্ট্রোক হয়েছে। বেলস পালসিতে রোগীসহ তার আশপাশের মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে যায়। অসুখ ছোট হলেও উপসর্গ দেখেই সবাই ভয় পেয়ে যায়।

#উপসর্গ?

মুখ যেকোনো একদিকে বাঁকা হয়ে যাবে। ডান দিকে বেলস পালসি হলে মুখ বাম দিকে এবং বাম দিকে হলে ডান দিকে বাঁকা হবে। এক চোখ বন্ধ হলে অন্যটি বন্ধ হবে না। খাবার খেতে গেলে বেলস পালসিতে আক্রান্ত পাশের খাবার আটকে থাকবে। খাবার চিবিয়ে খেতে পারবে না, খাবার আটকে যাবে। কুলি করতে গেলে মুখের একপাশ দিয়ে পানি বের হয়ে যাবে।

#ফেসিয়াল নার্ভ??

ফেসিয়াল নার্ভের একটা কোষ আছে। এটা কোথা থেকে উৎপত্তি? আমাদের ব্রেইনে ব্রেইন স্টেম নামে একটা জায়গা আছে। ব্রেইন স্টেমের একটা অংশ হলো পন্স। এই পন্স থেকে ফেসিয়াল নার্ভের উৎপত্তি হয়। ফেসিয়াল নার্ভ আক্রান্ত হলে কখনও কখনও একটা লোক কানে বেশি শুনতে পায়। এটাকে মেডিকেলের ভাষায় বলা হয় হাইপার এ্যাকিউসিস। যেহেতু ফেসিয়াল নার্ভের সঙ্গে কানের নার্ভের সংযুক্তি আছে, তাই ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে কানের নার্ভটাও আক্রান্ত হয়। আর তখন বেশি বেশি শব্দ শোনা যায়। ফেসিয়াল নার্ভের কাজ হলো আমাদের জিহ্বাকে সাপ্লাই দেয়া। দেখা যায়, জিহ্বার যে পাশের নার্ভ আক্রান্ত হয়েছে সেই পাশের জিহ্বায় স্বাদ একটু কম হয়।

#রোগ নির্ণয়?

একদম ক্লিনিক্যালি নির্ণয় করা হয়। রোগী দেখে, রোগীর ইতিহাস জেনে নির্ণয় করা হয়। শুধু মুখই আক্রান্ত হয়েছে নাকি, হাত-পায়ে কোথাও দুর্বলতা আছে। কারণ হাত পায়ে দুর্বলতা থাকলে তখন আর বেলস পালসি থাকবে না, এটা স্ট্রোকের দিকে চলে যাবে। এরপর আমরা পরীক্ষা করি অর্থাৎ রোগীকে বলি চোখ বন্ধ করেন, কপাল উপরের দিকে কুচকান, দাঁত দেখান। এসব দেখে আমরা বুঝি এটা বেলস পালসি কিনা। এর জন্য কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হয় না। যদি দেখা যায়, রোগীর এর সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ আছে, তখন আমরা রোগীকে পরীক্ষা করি। এ ছাড়া বেলস পালসি নির্ণয় করতে পরীক্ষা লাগে না। যাদের ডায়াবেটিস থাকে, উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাদের বেলস পালসি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ জন্য বেলস পালসি রোগীদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে কিনা—এসব দেখে নিই।
#চিকিৎসা?
রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই সহজ। একটা হলো, মেডিকেল চিকিৎসা আরেকটা হলো ফিজিওথেরাপি। ফেসিয়াল নার্ভ আক্রান্ত হলে এই রোগ হয়। এতে ফেসিয়াল নার্ভ ফুলে যায়। এই ফুলা কমানোর জন্য স্বল্প মেয়াদি হাই ডোজের স্টেরয়েড দেওয়া হয়। এতে দ্রুত ফেসিয়াল নার্ভের ফুলা কমে যায়। ফলে তার উপসর্গও দ্রুত কমতে থাকে। আমরা ইদানীং এন্টিভাইরাল ড্রাগও ব্যবহার করে থাকি। যদিও এটা নিয়ে নানান কথা আছে। কিন্তু আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো, এন্টিভাইরাল ড্রাগ কাজ করে। এটাও স্বল্প মেয়াদের জন্য দেওয়া হয়। তবে ওষুধের চেয়ে মূল চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। ফিজিওথেরাপি দিলে আর স্টেরয়েড স্বল্প মেয়াদি কোর্স খেলে রোগী দুই তিন সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে একটু সময় বেশি লাগে। তরুণরা দ্রুত সুস্থ হয়। বয়স্কদের সুস্থ হতে সময় লাগে। ৯০ শতাংশ পুরোপুরি সুস্থ হয়। ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে কিছু দুর্বলতা থাকে। যেমন, মুখ কিছুটা বাঁকা থেকে যেতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে ফিজিওথেরাপি দিতে পারলে সে বাঁকাটও ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে অবশ্যই নিউরোলজিস্টদের কাছে যেতে হবে।

#প্রতিকার?

এই ভাইরাসের প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই। ভাইরাস তো বাতাসে ঘুরে, এটাকে কি দিয়ে ঠেকাবেন? প্রতিকার করার কোনোই সুযোগ নেই। যার হবে হবেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বলা আছে, ডায়াবেটিস ও প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। যাদের একটুতেই সর্দি কাশি হয়, তাদের ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একটু হলেও কম থাকে।

এই রোগে একবার আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার পর জীবন যাপন স্বাভাবিকই থাকবে। পরিবর্তন কোনো দরকার নেই। শুধু ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।

#জটিলতা?

৫ শতাংশ মানুষের বেলস পালসির কিছু জলিতা হতে পারে। মুখের এক অংশ কিছুটা দুর্বল থাকে। অনেক সময় ফেসিয়াল নার্ভের কোষ বেলস পালসিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে নার্ভ ঘুরে চোখের দিকে যেতে পারে। তখন খাবার খেলে নার্ভ কাজ করে চোখে অর্থাৎ দেখা যায়, মুখ দিয়ে খাবার খাচ্ছে আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এটাকে বলা হয় ক্রোকোডাইল আই। এমনটা কারো কারো ক্ষেত্রে ঘটতে পারে

#ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস পেতে এখনই কল করুন ০১৮৩৫৩৩০৬২৮

Address

Mohammadpur Dhaka
Dhaka
1207

Telephone

+8801789906242

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস-Dhaka posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to ফিজিওথেরাপি হোম সার্ভিস-Dhaka:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram