Dr. G R Rifat

Dr. G R Rifat MBBS (DU), MD(BSMMU) [On course]
MCGP(BGHRI), PGT(Medicine),
CCD(BIRDEM)

আন্দোলন সফল হোক❤️
20/12/2024

আন্দোলন সফল হোক❤️

MBBS কোর্সের ৫ বছরের পরীক্ষার হিসাব  -🔷 1st prof -Anatomy item =93physiology item =49Bio chemistry item=32total item=174...
20/08/2024

MBBS কোর্সের ৫ বছরের পরীক্ষার হিসাব -

🔷 1st prof -
Anatomy item =93
physiology item =49
Bio chemistry item=32
total item=174
card+ term+practical +viva+ospe=54
1st prof exam. written +viva+practical+ospe=18
Total exam in 1st 1.5 yr( 174+54+18)= 246

🔷 2nd prof+ 3rd prof -
microbiology item=70
pharmacology item=40
pathology item. =70
community medicine =35
Forensic medicine =43
total item.=258
term exam.( writer+viva +ospe+practical) =54
2nd prof exam=23
Total exam
in 3rd and 4th yr(258+54+25)= 337

🔷 Final prof(5th yr)
(medicine,surgery,gynae)
item total around 200
pre prof=32
Final prof =32
Total = 264
TOTAL exam in 5 yrs=(246+335+264)
=845

এছাড়া ward final, block final, year final exam এর সংখ্যা medical college ভেদে ভিন্ন ভিন্ন
প্রতিটি পরীক্ষাতে ৬০% নম্বর নিয়ে পাস করতে হয়।
ফেল করলে সংখ্যা আরো বাড়তে থাকে।
৮৪৫ টি পরীক্ষায় প্রতিটাতে ৬০% পেয়ে নামের আগে Dr. বসে, এমনি এমনিতেই বসে না। পূর্ণ রেজিষ্ট্রেশন পেতে আরো ১বছরের ইন্টার্ন করতে হয়।

আর আপনারা SSC তে কোনোরকম টেনে টুনে পাশ করে ৬ মাস এর কোর্স করে নামের আগে Dr. চান, লজ্জা করেনা?

আর আমাদের BM&DC এর মাননীয়রা একদিনের আন্দোলন দেখে রাজি ও হয়ে গেলেন!

Shame! Shame!

Long March to BMDC সফল হোক!
২১ আগস্ট, সকাল ১০ টা।

18/07/2024

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা টিয়ার গ্যাসের সম্মুখীন হচ্ছে সেক্ষেত্রে টিয়ার গ্যাসের জন্যে চোখের চিকিৎসা নিচে দেয়া হলো:
১)প্রচুর পরিমানে নরমাল পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলতে হবে
২) Optimox /Moxilocin /Vigalon eye drop ( any )
১ ফোটা করে ৬ বেলা উভয় চোখে ব্যবহার করবে ৭ দিন
৩)Tearfresh ,/Aquafresh /Bestfresh /Polytear /Lubrimax eye drop
১ ফোটা করে ৪ বেলা - 1 month

Tab
Ceevit
1+1+1 - 1 month

#মনে রাখতে হবে প্রধান চিকিৎসা কিন্তু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা।তাই টিয়ার গ্যাস এক্সপোজ হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ঈদ মোবারকআলহামদুলিল্লাহ ❤️
11/04/2024

ঈদ মোবারক
আলহামদুলিল্লাহ ❤️

24/02/2024
23/02/2024

লাষ্ট কয়েকদিন দুইটা ক্লিনিকে এনেস্থিসিয়া দেয়ার পর কয়েকটা রোগী আই সি ইউ তে শিফট হয়েছে। কয়েকজন এনেস্থেটিক ডক্টরদের বিষয় আলাপ শুনেছি। যা গত ১৫ বছরের ইতিহাসে ছিলোনা স্যারদের বলাবলিতে বুঝলাম তারা ধারনা করছেন। যে মেডিসিন ইউজ করা হয়েছে ওগুলো নকল ছিলো।

আমরা সিজারের পর প্যাথেডিন দেই। অনেক রোগীদেরই প্যাথেডিনে এখন কাজ করেনা। কারন বাজারে মারাত্মক হারে নকল প্যাথেডিন ছড়িয়ে পড়েছে। রোগীদের ব্যথাই কমে না। রোগীরাও এ বিষয় একমত হবে হয়তো।

হার্টের ওষুধ পর্যন্ত নকল হচ্ছে।এমন কোন ওষুধ নাই যা নকল হচ্ছেনা। লাষ্ট ১৫ বছরে ওষুধ দেয়ার পর মারা গেছে এমন ঘটনা আমি দেখিনি। কিন্তু গত এক বছরে কয়েকটা ঘটনায় ওষুধ ,জি এ তে ইউজড গ্যাস এ সব নিয়ে ভাবতে হবে। নকল ওষুধ নকল গ্যাসে বাজার ছয়লাব।
আল্লাহ মানুষকে হেদায়েত দান করুন।
কিছু হলেই ডাক্তারের দোষ,কিন্তু মেডিসিন টা যদি ভেজাল থাকে তাহলে কার দোষ।অনেক কিছুই ভাবার বিষয়,,,,
বাংলাদেশ বলেই সব কিছুই সম্ভব,একটা ছোট দেশ এত গুলো কোম্পানি কিভাবে সম্ভব,ইন্ডিয়া তেও এতগুলো কোম্পানি নেই।বসবাসের অনুপযোগী একটা দেশ©

ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমাম।ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছ...
10/01/2024

ছবিতে যাকে দেখছেন তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ বায়তুল আমিন জামে মসজিদের দীর্ঘদিনের খতিব এবং ইমাম।ছোট একটা বাচ্চা কুকুর আঁচড় দিয়েছিলো।আঁচড় টা নরমাল ছিলো তাই তিনি এতোটা পাত্তা দেয় নাই বিষয় টা।রেবিস হওয়ার পর ডাক্তারা ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছিলো কিন্তু তিনি তার আগেই মারা গেছেন।তার মৃত্যু আমি সরাসরি দেখেছি কি ভয়ানক মৃত্যু।রেবিস রোগী মৃত্যুর আগে পাগলের মত আচরণ করে তখন ডাক্তাররা বুজে যায়।।সে দিন এই ইমাম সাহেব যখন শেষ পর্যায়ে তখন দেখলাম নার্স রা রুম থেকে সবাইকে বের করে দিয়েছে,আর রুম কে তালা মেরে দিয়েছে,কারন শেষ মুহূর্তে তারা পাগল হয়ে যায় সামনে যাকে পাবে তাকে কামড় বা আঁচড় দিবে,এই রোগী যাকে কামড় দিবে তারও মৃত্যু ১০০০% নিশ্চিত হয়ে যাবে।।দরজা তালা মেরে দেওয়ার পর বাঁচার জন্য কি করলো,কত চাইলো রুম থেকে বের হতে,রুমের ভিতর দৌড়া,দৌড়ি করতে লাগলো আর শুধু ধাক্কা খাচ্ছিলো দেওয়াল আর চৌকির সাথে,এটা দেখে তাদের আত্নীয়রা নার্সদের থেকে অনুমতি চাইলো দরজা খুলে তাকে একটু ধরে রাখবে যাথে ধাক্কা না খাই।কিন্তু নার্সরা অনুমতি দিলো না,তারা বললো তিনি আর ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে মারা যাবে অপেক্ষা করুন,ওনার জন্য তো আমরা আপনাদের মৃত্যুর মুখে ফেলে দিতে পারি না।একটা দেশি মুরগী জবাই দেওয়ার পর মুরগী যেভাবে চটপট চটপট করে মৃত্যু হয় জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু একদম সেম ভাবে হয়।।।
১৪০০শ বছর আগে আমাদের প্রিয় নবী বলে গিয়েছেন কুকুর নাপাক প্রানী।।১৪০০ বছর পর মেডিকেল সায়েন্স বলছে জলাতঙ্ক ভেকসিন করা নাই ঐ ধরনের কুকুরকে আপনি হাত দিয়ে স্পর্শ করলে আপনারও হয়ে যেথে পারে জলাতঙ্ক,কুকুর স্পর্শ করে আমরা যদি আমাদের শরীর চুলকায় বা আমাকের শরীরের কোন ক্ষত স্থানে সে হাত লেগে যায় তাহলেও রিক্স থাকে জলাতঙ্কের,রেবিস ভাইরাস রক্তের মাধ্যম আমাদের শরীরে প্রবেশ করে না,রেবিস ভাইরাস আমাদের চামড়ার নিচে যে সাদা একটা চর্বির আস্তর থাকে সেই চর্বি থেকে মাথায় চলে যায়,প্রথমে আমাদের ব্রেন আক্রমন করে ব্রেন ইনজুরি করে দেয়,পরে আস্তে আস্তে আমাদের গলাতে নামতে শুরু করে,আমাদের গলার যে নার্ভ থাকে সে নার্ভকে ধ্বংস করে দেয়,গলার নার্ভের মাধ্যমে আমরা পানি খেয়ে থাকি বা অন্যন্য খাবার খেয়ে থাকি।নার্ভ যখন পুরাপুরি বিকল হয়ে যায় তখন এই রোগী গলা দিয়ে কোন পানি বা খাবার খেতে পারবে না,গলাতে কিছু গেলেই তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে কারন যেই নার্ভ খাবার গিলতে সাহায্য করে তা আর কাজ করছে না,তাই সে পানির পিপাসায় একটা সময় মারা যায়।।তারা পানি দেখলেই ভয় পাই কারন পানি গলায় গেলে সে আর শ্বাস নিতে পারে না, যদি আপনি জলাতঙ্ক ভেকসিন না নিয়ে থাকেন।আমাদের একটা ভুল ধারনা আছে,আমরা মনে করি কুকুর কামড়ালে বা আছড় দিলে রেবিস ভেকসিন দিতে হয়,মেডিকেল সায়েন্স বলছে,কুকুরের লালা তে সবচেয়ে বেশি জলাতঙ্ক ভাইরাস রেবিস থাকে,কুকুর তার জিহবা দিয়ে তার শরীল চাটে,এই চাটার কারনে কুকুরের পুরা শরীলে রেবিস জীবানু থাকার রিক্স থাকে মনে রাখবেন যদি দেখেন কুকুরের শরীল পানি ধারা ভেজা সে ভেজা কুরুর আপনার হাত স্পর্শ হয় বা পায়ে স্পর্শ হয় তাহলে সাথে সাথে এই স্থান কাপড় কাঁচা সাবান নিয়ে ১৫ মিনিট ওয়াশ করবেন।।তাই সকলে কুকুর থেকে সাবধানে থাকবেন।কুকুর আপনার শরীল স্পর্শ করলে সাথে সাথে ১৫ মিনিট কাপড়কাচার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করবেন। তারপর বেরিস ভেকসিন দিয়ে দিবেন,আর রেবিস ভেকসিন কখনো সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,যে কোন টিকা সরকারি মেডিকেল ছাড়া অন্য যায়গায় দিবেন না,আমরা অনেকে ফার্মেসিতে ভেকসিন বা টিকা দিয়ে থাকি এটা উচিত না,একজন ফার্মেসির কাজ ঔষধ বিক্রি করা টিকা দেওয়া না,ভেকসিন দেওয়ার নিয়মই তারা জানে না,,রেভিস ভেকসিন নিদিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা লাগে না হয় সেই ভেকসিন কাজ করবে না ,।মেডিকেল সায়েন্স বলছে ৯৯ % জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায় কুকুর।।বিড়ালেরও জলাতঙ্ক হয় যদি সেই বিড়াল কুকুরের কামড় খায় বা কুকুর যে যায়গায় খাবার খাই একই যায়গায় বিড়াল মুখ দেয় তাহলে সে বিড়ালও জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়।তাই বিড়ালের কামড় বা বিড়ালের আচড় বা বিড়াল আপনার পা চেটে দিয়েছে তাহলেও আপনাকে ভেকসিন দিতে হবে।একবার আপনার শরীলে রেবিস ভাইরাস ঢুকে গেলে নিশ্চিত মৃত্যু, কারন জলাতঙ্ক রোগের কোন চিকিৎসা নাই।আল্লাহ সবাইকে সুস্থ রাখুক।।। জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু হয় অনেক কষ্টদায়ক ভাবে।।২/৩ টা জলাতঙ্ক রোগীর মৃত্যু নিজ চোখে দেখার পর আমি শপথ নিয়েছি এই বিষয়ে আমি সবাইকে সতর্ক করবো।।
আমার পোষ্টটা সবাই শেয়ার করবেন যাথে সবাই একটু সতর্ক হয়।রেবিস ভেকসিন সকল টপিক্যাল সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ ফ্রিতে দেওয়া হয়।কেউ যদি কখনো কুকুরের আক্রমণে আক্রান্ত হন আমার সাথে যোগাযোগ করবেন,ইনশাআল্লাহ আমি আমৃত্যু সবাইকে সাহায্য করবো,আমি চাইনা এই করুণ মৃত্যু আর কোন ব্যক্তির হোক।।কুকুরের আক্রমণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভেকসিন দিতেই হবে।আপনারা ইউটিউবে জলাতঙ্ক রোগী দিয়ে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন এই রোগ কতটা ভয়াবহ।আমরা রাস্তার কুকুরকে পাত্তাই দি না সবাই দয়া করে একটু সচেতন হয়।।।

রোগী নুরুল আলম,বয়স-৫৫ বছর।নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিচ্ছিলেন  ফিমোরাল ক্যাথেটারে। অসর্তকতা বশত নিজেই দীর্ঘ দিন পূর্বে ক্যাথেটার...
04/12/2023

রোগী নুরুল আলম,বয়স-৫৫ বছর।নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিচ্ছিলেন ফিমোরাল ক্যাথেটারে। অসর্তকতা বশত নিজেই দীর্ঘ দিন পূর্বে ক্যাথেটার টেনে খুলে ফেলেন,পরবর্তীতে সেখানে ইনফেকশন ও গ্রেনুলোমা তৈরি হয়।
আলহামদুলিল্লাহ আজকে সেটা অপসারন করা হলো।

“সবাই ক্যাথেটার ব্যবহারের রোগীর যত্ন নিন ও রোগীকে সর্তক করুন”

Dr.Mahfuz Ahmed
Mbbs(DU)
PGT(Medicine)
CCD(Birdem)

যে খবরে আপনার আতংকিত হওয়া জরুরী:এন্টিবায়োটিক এর মত অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ এরযথেচ্ছ  ব্যবহার চলছে এই দেশের আনাচে কানা...
28/11/2023

যে খবরে আপনার আতংকিত হওয়া জরুরী:

এন্টিবায়োটিক এর মত অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ এর
যথেচ্ছ ব্যবহার চলছে এই দেশের আনাচে কানাচে যা আমার কাছে এক ধরনের অনাচার মনে হয়।
একটা বিভীষিকাময় সময় আমাদের খুব সন্নিকটে যখন সকল এন্টিবায়োটিক তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলবে।লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না।

এখন ই চারদিন বয়সী বাচ্চার শরীরে প্রায় জীবন রক্ষাকারী সকল এন্টিবায়োটিক অকার্যকর এমন কেইস পাওয়া গেছে।

এর জন্য দায়ী কে?
প্রথমেই আমি দায়ী করবো আপনাকেই।

আপনার অসচেতনতা ই আপনাকে সেই বিপর্যয়ের মুখোমুখি করে দিচ্ছে বা দিবে নিকট ভবিষ্যতে।

দেশে প্রচুর এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স পাওয়া যাচ্ছে।
মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ইনফেকশন পাওয়া যাচ্ছে ভুরি ভুরি।

আগে টাইফয়েড জ্বরে সিপ্রোফ্লক্সাসিন কে Gold standard এন্টিবায়োটিক বলা হতো।
৭-১৪ দিনের কোর্সে খরচ হতো ২১০ থেকে ৪২০ টাকা।
আপনার ইউরিন ইনফেকশন এর জন্য ৭ দিনের সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর খরচ ২১০ টাকায়।
২১০-৪২০ টাকায় আপনার যেই রোগ সেরর যেতো,সেটা থেকে এখন সুস্থ হতে কারো কারো মেরোপেনামের মতো দামী এন্টিবায়োটিক লাগছে যার ৭ দিনের কোর্স কম্পলিট করতে খরচ হচ্ছে ৩০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
আবার এসব ইঞ্জেকশন দিতে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এডমিট থাকা লাগছে কারো কারো।সেক্ষেত্রে খরচ কোথায় গিয়ে পড়ে ভাবতে পারেন?

হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ব্যতীত এন্টিবায়োটিক বিক্রি নিষিদ্ধ।
কিন্ত এন্টিবায়োটিকের এই অযাচিত ব্যবহার ও বিক্রি প্রতিরোধ করা যাচ্ছেনা।

আমাদের মত রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে আসার আগেই এক দুই দিনের জ্বরে আপনি যখন একজন ঔষধ বিক্রেতাকে ডাক্তার মেনে ফার্মেসী থেকে এন্টিবায়োটিক খেয়ে আসেন,তখন অসহায় লাগে আমাদের।

ইদানিং ঔষধ কোম্পানি নেমেছে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায়। তারা বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জে পল্লী চিকিৎসকদের পিসি কনফারেন্স করে মক্সিফক্সাসিন ,সেফটিবিউটেন এর মত পাওয়ারফুল এন্টিবায়োটিক বিক্রিতে উৎসাহ দিচ্ছেন যা ইতিমধ্যেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে।অনেক কোম্পানি যত বেশি এন্টিবায়োটিক চালাতে পারবে, তার জন্য বিভিন্ন মাসোহারা ও উপহার দিয়ে ফার্মেসীর মেডিসিন বিক্রেতাদের লোভী করে তুলছেন।
সরকারি হসপিটাল, ইউনিয়ন সাব সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে ফ্রি ঔষধ এর জন্য মানুষ ভীড় করে,সেখান থেকে পূর্ণ কোর্স এন্টিবায়োটিক না দিয়ে দুই বা তিন দিনের এন্টিবায়োটিক সরবরাহ করা হয় যা এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর অন্যতম আরেকটা কারণ।
রুগী কিন্ত নিজের টাকায় সেই এন্টিবায়োটিকের কোর্স এর বাকী মেডিসিন গুলো কিনে খায়না।

অনেক রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ও অনেক অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক লিখে থাকেন যা চূড়ান্ত হতাশাজনক।
অনেক রুগী আছেন এমন ভাবেন,আরে এত সামান্য জ্বর সর্দি, এর জন্য ডাক্তার দেখিয়ে ভিজিট দিবো কেন?
ফার্মেসী থেকে কিনে মেডিসিন খেলেই তো হয়।
আপনি যখন ফার্মেসী তে যাচ্ছেন, উনি আপনাকে ম্যাজিক দেখানোর জন্য এজিথ্রোমাইসিন,মক্সিফক্সাসিন,সেফটিবিউটেন,
সেফিক্সিম দেওয়া ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারেন না।
অথচ একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ভাইরাল ফিভারে আপনাকে কখনোই এন্টিবায়োটিক দিবেন না।
আপনার ভাইরাল ফিভারে প্যারাসিটামল আর এন্টি হিস্টামিন মিলে একশো টাকার মেডিসিনে আপনি সুস্থ হয়ে যেতেন, সেখানে এক সপ্তাহ সেফিক্সিম গিলে হাজার টাকা খরচ করছেন।

বাচ্চাদের জ্বর হলেই মা বাবা অস্থির হয়ে যান।
এক বেলা মেডিসিন খাওয়ায়ে জ্বর ভালো হয়ে যেতে হবে।
ধৈর্য্য বলে কিছুই নেই উনাদের।
আমি একবার এক বাচ্চা রুগী পেলাম যার মা সেই বাচ্চাকে দুই দিনে তিনজন ডাক্তার দেখিয়েছেন।
আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম সেই মায়ের দিকে।
আমি ছিলাম চতুর্থ ডাক্তার।।
আমার কাছে আসার আগেই এজিথ্রোমাইসিন, সেফিক্সিম ও সেফট্রিয়াক্সন ইঞ্জেকশান মেরে আসছে।
দুইদিনের জ্বরে তিনটা এন্টিবায়োটিক।
অথচ সেটা ছিল ভাইরাল ফিভার।
মায়েদের অশান্তিতে কিছু কিছু রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ও রুগী হাতছাড়া হবার ভয়ে অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন।

আপনার তিন বার পাতলা পায়খানা হলেই আপনি একটা ফিলমেট,একটা সিপ্রোসিন, দুইটা এজিথ্রোমাইসিন খেয়ে ফেলছেন নিজে নিজেই বা ফার্মেসীর বিক্রেতার পরামর্শে।
ডায়ারিয়াতে মূল চিকিৎসা খাবারের স্যালাইন। কিন্ত অনেক মা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে আমাদের কাছে আসেন যেখানে সেই দরকারি স্যালাইন না দিয়ে একগাদা এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর পর আমাদের কাছে আসেন।
যদি জিজ্ঞেস করি,স্যালাইন খাওয়াইছেন,তখন বিরস মুখে উত্তর দেন,বাচ্চা স্যালাইন খায়না।
মুখে না খেলে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে যখন বলি, তখন মামাবাড়ির আবদার করে বসেন,আপনি এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন।

দুই দিন আগে স্থানীয় একজন ভদ্রলোক উনার নয় মাসের বাচ্চা কে নিয়ে রাত ১২ টায় আমার চেম্বারে আসলেন।জ্বর কাশি,ব্রিদিং ডিফিকাল্টি নিয়ে।
Acute bronchiolitis এর রুগী।
আমি যখন জানতে চাইলাম কি মেডিসিন খাওয়াচ্ছেন,উত্তর সেফিক্সিম চলছে স্যার কিন্ত জ্বর কমছেনা। ৭ দিন আগে আবার সেফট্রিয়াক্সন দিছি।
এখন আপনার কাছে আসছি।
আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলাম।।

কিছুদিন আগে আরেকটা অদ্ভুত প্রেসক্রিপশান ফেলাম।
রুগীর একদিনের জ্বর।
এক ডোজ সেফট্রিয়াক্সন ২ গ্রাম ইঞ্জেকশন দিয়ে পরে
তিন দিনের এজিথ্রোমাইসিন দেওয়া।

কিছু কোম্পানি এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশনে বিশেষ ছাড় দেয়,লোভনীয় অফার দেয়,এক শ্রেণীর ফার্মেসীর
বিক্রেতারা যাদের আপনি ডাক্তার বানিয়েছেন, সেই সুযোগ এর উত্তম ব্যবহার করছেন।।

প্রেসক্রিপশান ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ এসেছে।
কিন্ত আপনি যদি নিজে সচেতন না হউন,আপনি যদি নিজেকে না ভালোবাসেন, তাহলে আইন করে কি এন্টিবায়োটিক এর যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে আমি সন্ধিহান।।

একমাত্র এবং একমাত্র আপনার সচেতনতা ই পারে এই এন্টিবায়োটিক এর অপব্যবহার ও এন্টিবায়োটিক নিয়ে অনাচার রোধ করতে।

আসুন নিজে সচেতন হই।
আগামী প্রজন্ম কে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এর ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা করতে আজই নেমে পড়ি।

রেজিস্টার্ড চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া ফার্মেসী থেকে এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ভয়ংকর বদ অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।।
পুর্ন মেয়াদে এন্টিবায়োটিক খাবেন।
আপনাকে কেন এন্টিবায়োটিক খেতেই হবে এটা আপনার চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করুন।
তবে সবার আগে কে ডাক্তার সেটা জেনে নিবেন।
আপনার চিকিৎসক কে প্রশ্ন করুন আমার কি রোগ ডায়াগনোসিস করলেন?
এন্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে আপনার চিকিৎসককে আপনার রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় ইনভেস্টিগেশন কর‍তে বলুন।
ব্লাড ইউরিন স্পুটাম সহ বিভিন্ন ইনফেকশনে Culture and sensitivity টেস্ট করে আপনি কোন জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত এবং সেই জীবানুর এগেনেস্টে কোন এন্টিবায়োটিক সেন্সিটিভ তা জেনে এন্টিবায়োটিক খেতে সচেতন থাকুন।

আপনার সচেতনতাই আপনাকে ও আপনার প্রিয়জন কে নিরাপদ রাখতে পারে।।

ডাঃ আহমেদ আহমেদ।

Address

Sector-11, Uttara
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. G R Rifat posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. G R Rifat:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category