শিশুর বিকাশ

শিশুর বিকাশ � সুস্থ শিশু, সুস্থ দেশ �

♦ সৃষ্টি জগতের মাঝে সব থেকে দূর্বল হয়ে জন্মগ্রহন করে একটি মানব শিশু। বিকাশের বিভিন্ন ধাপে পরবর্তিতে পরিবেশের বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক নিয়ামকের ভেতর দিয়ে গিয়ে গড়ে তোলে নিজেকে একজন স্বতন্ত্র হিসেবে। তবে সবাই যে স্বাভাবিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে তেমনটি নয়।অনেকে নিজেকে আবিস্কার করতে গিয়ে জন্মগত বিকাশগত কিছু ত্রুটি বা পরিবার বা সমাজের ভুল কিছু আচরনের শিকারে হারিয়ে ফেলে নিজেকে। তখন’ই দেখা দেয় তার ভেতরে বিভিন্ন আচরনগত সমস্যার। যার ক্ষতিকর প্রভাব সবাইকে পীড়িত করে। এর থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে সন্তানের বিকাশে আমরাই পারি তার প্রিয় সহযোগী হতে। আসুন জেনে নেই তাহলে – শিশুর বিকাশ। ♦
♥ বিঃদ্রঃ আমরা কখনই অন্যকে বা অন্যদের পরিবর্তন করতে পারব না। তবে আমরা আমাদের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ ও পরিবেশের দ্বারা তাদের আচরণ পরিবর্তনে প্রভাবিত অর্থাৎ পরোক্ষভাবে উদ্বুদ্ধ বা উৎসাহিত করে তুলতে পারি।

♥♥♥ “উন্নত মন, সুস্থ জীবন ♥♥♥..♥♥ প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।” ♥♥...

22/09/2025
20/09/2025

🎄সুস্থ নবজাতক শিশু সহ
🧨Red flag sings আছে এমন শিশু

#দেরিতে কান্না করা শিশু
#অতিমাত্রায় জন্ডিস আক্রান্ত শিশু
#খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত শিশু
#সেপটিসেমিয়া আক্রান্ত শিশু
#অন্যান্য যে কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত শিশুর
#মেডিকেশন ম্যানেজমেন্ট চিকিৎসা নেয়ার পর তার

🍁Development Assessment " এবং Early Intervention 🍁প্রদান অত্যন্ত জরুরী।
🎀 কেননা, নবজাতককালে নিউরণ কানেকশন হার বেশি হতে থাকে । Early stimulation পেলে ব্রেইনের সেল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া স্বত্বেও ভাল থাকা সেলগুলো active হয়। ফলে শিশুর বিকাশ অনেকক্ষেত্রে বয়স অনুযায়ী স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে। তাদের প্রতিবন্ধী হবার সম্ভাবনা কমে যায়। বা প্রতিবন্ধী হলেও প্রতিবন্ধিতার মাত্রা কমে যায়।

06/04/2025
14/03/2025

১৫ মার্চ, ২০২৫ শনিবার
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত
৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে
নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান৷
- জাতীয় পুষ্টিসেবা, ডিজিএইচএস৷

শিশুর সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল অপরিহার্য!

✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: শিশুকে ডায়রিয়া, হামের মতো সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখে।

✅ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে: রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ও চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করে।

✅ শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে: শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সহায়তা করে।

✅ কোষের সুরক্ষা দেয়: ত্বক, অন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রের কোষকে শক্তিশালী করে।

❌ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল না খাওয়ালে ঝুঁকি কী?

⚠️ বারবার অসুস্থ হওয়া: জ্বর, ঠান্ডা, ডায়রিয়া বা সংক্রমণ সহজেই হতে পারে।

⚠️ রাতকানা বা স্থায়ী দৃষ্টিহীনতা: চোখ শুষ্ক হয়ে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করতে পারে।

⚠️ শারীরিক ও মানসিক বিকাশে বাধা: ওজন কমে যেতে পারে, শেখার ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে।

⚠️ জীবনের ঝুঁকি বাড়তে পারে: অপুষ্টিজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।

একটি ছোট ক্যাপসুল, একটি বড় সুরক্ষা!
জাতীয় পুষ্টিসেবা, ডিজিএইচএস।

সমাজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যে জীবন উৎসর্গীকৃত মানুষগুলো বেতন বিহীন অবস্থায়ও যে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, দোয়া করি সৃ...
26/10/2024

সমাজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যে জীবন উৎসর্গীকৃত মানুষগুলো বেতন বিহীন অবস্থায়ও যে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই এর প্রতিদান দিবেন৷

আমি শেয়ার দিচ্ছি যেন, সরকারের এটি নজরে আসে৷ চাইলে, আপনিও শেয়ার দিতে পারেন৷

11/01/2024

জঙ্গলের রাজা বাঘ মশাই ঢাকঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিলো - "কোনো শিশুকে নিরক্ষর রাখা চলবে না।। সবার জন্য যথাযথ শিক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে।।"

সব ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে হবে।। পড়াশুনা শেষ হলে,, সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।।

শুরু হলো সর্ব শিক্ষা অভিযান!!

হাতির বাচ্চা স্কুলে এলো।‌। বাঁদর,, মাছ,, কচ্ছপ,, বিড়াল,,উট ,, জিরাফ,, সবার বাচ্চা স্কুলে পৌঁছে গেলো।।

শুরু হলো ধুমধাম করে পড়াশোনা।‌।

"ফার্স্ট ইউনিট টেষ্ট" হলো।। হাতির বাচ্চা ফেল।।

- "কোন সাবজেক্টে ফেল ??" হাতি এসে প্রশ্ন করে।‌।

-- "গাছে ওঠা" সাবজেক্টে ফেল করেছে।।"

হাতি পড়লো মহা চিন্তায়।। তার ছেলে ফেল ?? এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।।

শুরু হলো খোঁজাখুঁজি,, ভালো টিউটর পেতেই হবে।। সন্তানের শিক্ষার ব্যাপারে কোনো রকম কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।।

হাতির এখন একটাই টেনশন,, যেভাবেই হোক,, ছেলেকে গাছে চড়া শেখাতে হবে !! "গাছে ওঠা' সাবজেক্টে টপার করে তুলতে হবে।।

ফার্স্ট সেশন অতিক্রান্ত।। ফাইনাল রেজাল্ট আউট হলো।। দেখা গেলো - হাতি,, উট,, জিরাফ,, মাছ,, সবার বাচ্চা ফেল।। বাঁদরের বাচ্চা টপার হয়ে গেছে।।

প্রকাশ্য মঞ্চে বিভিন্ন গেষ্টদের আমন্ত্রিত করে,, বিরাট অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলো।। সেখানে টপার হিসাবে বাঁদরের বাচ্চার গলায় মেডেল পরিয়ে দেওয়া হলো।।

চুড়ান্ত অপমানিত হয়ে হাতি,, উট,, জিরাফ,, নিজ নিজ সন্তানকে দারুণ পিটুনি দিলো।। এতো টিউশন,, এতো খরচ,, এর পরেও চূড়ান্ত অসম্মান!!
তারা মেনে নিতে পারলো না।।

-- "ফাঁকিবাজ,, এতো চেষ্টা করেও তোর দ্বারা গাছে চড়া সম্ভব হলো না ?? নিকম্মা কোথাকার।। শিখে নে, বাঁদরের বাচ্চার কাছে শিক্ষা নে,, কিভাবে গাছে চড়তে হয়।।"

ফেল কিন্তু মাছের ছেলেও হয়ে গেছে।। সে আবার প্রত্যেক সাবজেক্টে ফেল,, কেবলমাত্র "সাঁতার" কাটা ছাড়া।।

প্রিন্সিপাল বললো -- "আপনার সন্তানের এ্যটেন্ডেন্স প্রবলেম।। পাঁচ মিনিটের বেশী ক্লাসে থাকতে পারে না।।"

মাছ নিজের সন্তানের দিকে ক্রোধান্বিত হয়ে তাকিয়ে রইলো।।

বাচ্চা বলে --" মা-গো,, দম নিতে পারি না,, ভীষণ কষ্ট হয়।। আমার জন্য জলের মধ্যে কোনো স্কুল দেখলে হতো না ??"

মাছ বলে -- "চুপ কর বেয়াদব।। এতো ভালো স্কুল আর কোথাও খুঁজে পাবি না।। পড়াশোনায় মন দে,, স্কুল নিয়ে তোকে ভাবতে হবে না।।"

হাতি,, উট,, জিরাফ,, নিজের নিজের ফেলিওর বাচ্চাকে পিটুনি দিতে দিতে বাড়ি ফিরে চলেছে।। পথিমধ্যে বুড়ো খেঁকশিয়ালের সঙ্গে দেখা।।

শিয়াল বলে -- "কি হয়েছে সেটা তো বলো ??"

হাতি বলে -- "এত বড়ো শরীর নিয়ে,, গাছে চড়তে পারলো না।। বাঁদরের ছেলে টপার হলো,, মান ইজ্জত কিছুই অবশিষ্ট থাকলো না।।"

শিয়াল অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।।
শিয়াল বলো -- "তোমাদের গাছে চড়ার কি প্রয়োজন সেটাই তো বুঝতে পারলাম না‌।। শোনো হাতি,, তুমি নিজের বিশালাকার শুঁড় উঠিয়ে ধরো,, গাছের সবচেয়ে বড়ো ফলটি পেড়ে ভক্ষণ করো।। তোমার গাছে ওঠা লাগবে না।।"

-- "উট ভাই,, তোমার অনেক উঁচু ঘাড় রয়েছে।। ঘাড় বাড়িয়ে দাও,, গাছের সর্বশ্রেষ্ঠ ফল,, পাতা পেড়ে খাও।।"

-- "বোন মাছ,, তোমার সন্তানকে নদীর স্কুলে ভর্তি করে দাও।। ওকে মনভরে সাঁতার কাটতে শেখাও।। দেখবে,, একদিন তোমার ছেলে নদী অতিক্রম করে সমুদ্রে পাড়ি দেবে।। সাত সমুদ্র পার করে,, তোমার নাম উজ্জ্বল করে দেবো।। ওকে রাজার স্কুলে মোটেও পাঠিও না।। ও মারা যাবে।।"

মনে রাখতে হবে,, *শিক্ষা আপনার সন্তানের জন্য,, শিক্ষার জন্য আপনার সন্তান নয়*
প্রত্যেক শিশুর মধ্যেই কিছু না কিছু স্পেশালিটি আছে।
আমাদের দায়িত্ব হলো, সেটা খুঁজে বের করা। তাকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া। তাহলেই দেখবেন,, সে নিজেই নিজের গন্তব্য খুঁজে নেবে।

[লেখাটিঃ সংগৃহীত]😊
আমি নিয়েছি Naima Akter আপুর টাইমলাইন থেকে৷
ধন্যবাদ আপু, এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে৷

নবজাতকের জন্ম পরবর্তী যত্ন(Care at Nursery) : কারো কারো মতে জন্ম মুহূর্ত থেকে প্রথম ২ সপ্তাহ আবার কেউ কেউ বলেন ২৮ দিনের ...
30/12/2023

নবজাতকের জন্ম পরবর্তী যত্ন(Care at Nursery) : কারো কারো মতে জন্ম মুহূর্ত থেকে প্রথম ২ সপ্তাহ আবার কেউ কেউ বলেন ২৮ দিনের কম বয়সী শিশুই নবজাতক।
কোন দম্পতির ঘর আলো করে যখন সন্তান আসে তখন ঐ নতুন অতিথি সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়া, নাভিরুজ্জু কেটে মায়ের শরীর থেকে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র শ্বাস-প্রশ্বাস সক্রিয় হওয়া... জন্মের পর এরকম গুরুত্বপূর্ণ কাজ শিশুকে সম্পন্ন করতে হয়। জীবনের প্রথম এক ঘন্টা সময় শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই এই সময়কে "Golden one hour" বলা হয়ে থাকে। immediate care at bath খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে আজ care at nursery নিয়ে কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর প্রয়োজনে জন্মের প্রথম সপ্তাহ তেই শিশুর ওজন ৫ থেকে ১০% হ্রাস পায়।এ সময় শিশু খুব অসহায় আর দুর্বল থাকে তবে পারিপার্শ্বিক ও অনুকূল পরিবেশ সম্পর্কে সে এই বয়স থেকে সজাগ আর অনুভূতিশীল হয়। তাই সুষ্ঠ বিকাশের জন্য চাই উপযুক্ত যত্ন ও পরিচর্যা। শিশু লালন-পালনে কিছুটা অজ্ঞতা, কিছুটা দায়িত্বজ্ঞানের অভাব আর কিছুটা সামাজিক কুসংস্কার শিশু লালন পালনে আমাদেরকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ভাবি মা ও শিশু লালন পালনে যারা আগ্রহী তাদের এ বয়সে শিশুর কতগুলো মৌলিক চাহিদা সম্পর্কে জানা অত্যাবশ্যক যেমন উপযুক্ত খাবার, ঘুম, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, আদরস্নেহ ইত্যাদি।
নবজাতকের যত্ন :

🍀 উপর্যুক্ত খাবার : এ বয়সি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ সর্বোৎকৃষ্ট খাবার। এর উত্তাপ শরীরের তাপমাত্রা অনুযায়ী হয়ে থাকে। এছাড়া রোগ জীবাণু প্রবেশের ভয়ও থাকে না। শিশুর ৬ মাস বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধির জন্য খাবারে যে যে উপাদান যতটুকু পরিমাণে প্রয়োজন তার সবটুকুই আছে।
নবজাতক শিশুকে ৩-৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর ১০ থেকে ২০ মিনিট খাবার খাওয়ালে তার পেট ভরে সে ঘুমিয়ে পড়বে। এভাবে রুটিন মেনে চললে মা যেমন মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন তেমনি শিশুর খাবার গ্রহণ ও হজম প্রক্রিয়ায় সমন্বয় হবে। যদি শিশু ৫/১০ মিনিট খাবার গ্রহণের পর ঘুমিয়ে পড়ে এবং ঘন্টাখানেক এর মধ্যে কান্নাকাটি শুরু করে তাহলে বুঝতে হবে যে শিশুর পেট ভরেনি বা তার অন্য কোন সমস্যা আছে। এক্ষেত্রে শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এখানে উল্লেখ্য মাকে ও পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি,তরল ও পুষ্টিকর খাবার এবং বিশ্রাম নিতে হবে। বাবা ও পরিবারের সকলেরই মায়ের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

সঠিক position ও attachment খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । ধীর স্থির ও ধৈর্য সহকারে খাবার না খাওয়ালে খাবার গ্রহনে শিশুর অতৃপ্তি আসবে। পরবর্তীতে যা শিশুর আবেগিক, সামাজিক তথা সার্বিক বিকাশের উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

🍀 ঘুম : নবজাতক শিশু দিন রাত মিলিয়ে ১৮-২০ ঘন্টা ঘুমাতে পারে। শান্ত পরিবেশ শিশুর ঘুমের জন্য ভালো। তবে কিছু কিছু শিশু রাত্রে খেলা করতে পছন্দ করে আবার দিনে টানা ঘুমায়। এটা বাবা-মা বা লালন পালন কারীর জন্য সমস্যা তৈরি করে। বিশেষ করে মায়েদের ৯ মাসের প্রেগনেন্সি, ডেলিভারি, সেই সাথে শিশুর যত্ন নেওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে শিশু যখন ঘুমাবে তখন মাকে ঘুমানোর সুযোগ করে দিতে হবে। সাথে সাথে রাত্রে ঘুমানোর পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেমন রাতে ঘুমের সময় রুম শান্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন রাখা আবার দিনে রুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করা। শিশুর বারবার ঘুম ভেঙ্গে গেলে শারীরিক কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেদিকেও খেয়াল করতে হবে। একটু সচেতনতা, ধৈর্য, প্রচেষ্টা আর পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার মাধ্যমে ছোটবেলা থেকেই শিশুর ঘুমের রুটিন তৈরির চেষ্টা করা যেতে পারে।

🍀 বিছানা : খুব নরম বিছানা শিশুর শিরদাঁড়ার জন্য ভালো না। তাই মাঝা মাঝি শক্ত তোষকের উপর চাদর বিছিয়ে তার ওপর প্লাস্টিক দিয়ে কাঁথা বা চাদর টেনে দেওয়া যেতে পারে।

🍀 শিশুর পোশাক : শিশুর জন্য নরম সুতি কাপড় সব থেকে ভালো। বোতাম বা হুক ব্যবহার না করে ফিতা ব্যবহার করাই উত্তম। শীতের দিনে উল বা ফ্ল্যানেল কাপড়ের ড্রেস ভালো। ড্রেসের সামনে বা পেছনের অংশ সম্পূর্ণ খোলা থাকলে সহজেই শিশুকে পড়ানো বা খোলা যায়। ড্রেস, কাঁথা, ন্যাপকিন নিয়মিত গরম পানিতে সাবান দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে। শিশুর পরিচর্যা কারীকে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

🍀 মলমূত্র ত্যাগ : সদ্যপ্রসূত শিশুর মল অনেকটা বাদামি বর্ণের হয়। একে Meconium বলে। সাধারণত খাবার পরপরই অন্ত্রনালীতে চাপ পড়ে বলে শিশু মলত্যাগ করে। যে শিশু বুকের দুধ খায় সে বারবার মলমূত্র ত্যাগ করে। সাধারণত ২৪ ঘন্টায় ৬ বার প্রস্রাব করলে বুঝতে হবে যে শিশু পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে। বুকের দুধ পান করা শিশুর মল তরল, হালকা হলুদ বর্ণের হয় তবে অন্য দুধ খাওয়া শিশুর মল একটু কঠিন হয়। মলের রং বা গন্ধের পরিবর্তন হলে অবশ্যই শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

🍀 ন্যাপকিন বা ডাইপার পরিবর্তন : মলমূত্র ত্যাগের পর বেশিক্ষণ ভেজা ন্যাপকিন বা ডাইপার-এ কিছুকে না রাখাই ভালো। এতে ত্বকে চুলকানি বা র‍্যাশ হতে পারে। এক্ষেত্রে শিশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন । মলমূত্র ত্যাগের পর শিশুকে পরিষ্কারের সময় ভেজা টিস্যু দিয়ে উপর থেকে নিচের দিকে মুছে পরিষ্কার করা আবশ্যক।

🍀 নাভির যত্ন : নবজাতকের নাভির সাথে সংযুক্ত আম্বিলিক্যাল কর্ড পড়ে যেতে ৫ থেকে ৯ দিন সময় লাগে।এই সময় নাভিকে জীবাণুমুক্ত রাখাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কর্ড পড়ে গেলে নাভি শুকিয়ে যায়।

🍀 ব্যায়াম : নাভি পরার পর নিয়মিত এমন ভাবে তেল দেওয়া দরকার যাতে শিশুর পেশির ব্যায়াম হয়।

🍀 নবজাতকের গোসল : আমাদের দেশে খুব সাধারন একটা ব্যাপার দেখা যায় যে জন্মের পরপরই আমরা শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করাতে চাই। এর ফলে শিশুর শরীরে যে প্রাকৃতিক তেলের স্তর আছে সেটি দ্রুত সরে যাবে। নবজাতকের গোসলের নিয়ম হচ্ছে সপ্তাহে তিনবার স্পঞ্জ বা নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে শরীর মুছে ফেলা বা গোসল করানো।

🍀 ত্বকের যত্ন : এসময় শিশু ত্বক খুবই নরম আর সংবেদনশীল বেবি অয়েল, অলিভ অয়েল, বেবি সোপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

🍀 নবজাতকের নখ: এ বয়সে নখ খুব দ্রুত বাড়ে ও শিশু বেশি নড়াচড়া করে। নিজের নখের আঘাতে নিজের ত্বকেই আঁচড় লাগতে পারে। তাই ঘুমিয়ে গেলে নেইলকাটার জীবাণুনাশক পানিতে ধুয়ে নখ কেটে দিতে হবে।

🍀 চোখের যত্ন: চোখের ময়লা পরিষ্কার করতে কুসুম গরম পানিতে নরম কাপড়ের টুকরো বা তুলা ভিজিয়ে হালকা করে চেপে পানি ঝরিয়ে শিশুর চোখ মুছে দিতে হবে৷
শিশুর চোখে চোখ রেখে মাথা ও হাত নাড়িয়ে কথা বলুন।
এ সময় হালকা শব্দ যুক্ত, উজ্জ্বল রং এর ঘুরন্ত ফুল জাতীয় খেলনা (মেরিগো রাউন্ড)বা উজ্জ্বল রঙের কাগজের ফুল শিশুকে দেখানো যেতে পারে।

অনেক সময় অসাবধানে শিশুর চোখে বুকের দুধ যেয়ে প্রদাহ হতে পারে ৷ তাই বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।

কিছু কিছু শিশুর চোখ দিয়ে পানি পড়ে। বেশি সমস্যা মনে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🍀 জিহ্বা যত্ন : দুধ খাবার কারনে শিশুর জিহ্বায় সাদা আস্তর পড়তে দেখা যায় ৷ পরিষ্কার নরম কাপড় ব্যবহার করে মুছে দিতে হবে।

🍀 কানের যত্ন: কানের চারপাশ নরম তুলা বা কাপড়ের সাহায্যে বেবি অয়েল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। গোসলের সময় কানের ভেতরে যেন পানি না যায় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

🍀 নাকের যত্ন: নাকে সর্দি বা ময়লা জমে নাক বন্ধ হয়ে থাকলে শিশু মুখ দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নেয় এবং দুধ খেতে চায় না, অনেক ক্ষেত্রে শিশুর বমিও হতে পারে । কুসুম গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে নাক পরিষ্কার করে দিতে হবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

🍀 সূর্যের আলো ও বাতাস : শিশুর ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল ব্যবস্থা করতে হবে। ভোরের নরম রোদে শিশুর কোমল ত্বকের জন্য উপযুক্ত। সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর উৎস যা রিকেট প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

🍀 হ্যান্ডল করা: এ বয়সে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই শিশুকে হ্যান্ডেল করার আগে অবশ্যই নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। একসাথে বেশি মানুষ শিশুর কাছে ভিড় না করাই ভালো। নবজাতককে কোলে নেওয়ার সময় অবশ্যই মাথা ও ঘাড়ের নিচে হাত দিয়ে support দিয়ে তুলতে হবে।

জন্মগত ও প্রকৃতিগত ভাবে নবজাতক ভিন্ন ভিন্ন মেজাজের অধিকারী। প্রকৃতির এই বিভিন্নতা প্রতিটি শিশুর কাজ ও সংবেদনশীলতায় ধরা পড়ে। এই পার্থক্য থেকেই পরবর্তী জীবনে একেকজনের একেক রকম ব্যক্তিত্ব গুণাবলীর অধিকারী হয়ে ওঠে। আসলে জন্ম মুহূর্ত ব্যক্তি স্বতন্ত্রতা বোঝা যায় যা পরবর্তীতে পরিবেশের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়।

আশরাফুন নাহার
ডেভেলপমেন্টাল থেরাপিস্ট
শিশু বিকাশ কেন্দ্রে
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর।

তথ্যসূত্র : শিশু বিকাশ পরিচিতি, মা ও শিশু স্বাস্থ্য - গাজী হোসনে আরা; শিশু বর্ধন বিকাশ ও পরিচালনা - শাহিনা আহমেদ; শিশু বিকাশ - দরিয়ানূর বেগম; বিকাশ মনোবিজ্ঞান - ড. সুলতানা বানু; বিবাহ, গর্ভধারণ ও নবজাতকের যত্ন - ডাক্তার আহমদ মরতুজা চৌধুরী, গুগল লিঙ্ক।

07/12/2023

১২ই ডিসেম্বর, ২০২৩ মঙ্গলবার
সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত
৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ‍শিশুকে
নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান।

জাতীয় পুষ্টিসেবা, ডিজিএইচএস।

10/10/2023

০৮-১৪ অক্টোবর ২০২৩
জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে
৫-১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে
বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মাধ্যমে
ভরাপেটে ১ ডোজ কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ান৷

প্রচারে,
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,
স্বাস্থ্য ও প. ক. মন্ত্রণালয়।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিশুর বিকাশ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to শিশুর বিকাশ:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category

Our Story

♦ সৃষ্টি জগতের মাঝে সব থেকে দূর্বল হয়ে জন্মগ্রহন করে একটি মানর শিশু। পরবর্তিতে বিকাশের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রমের সময় বিভিন্ন ইতিবাচক ও নেতিবাচক নিয়ামকের ভেতর দিয়ে গিয়ে গড়ে তোলে নিজেকে একজন স্বতন্ত্র হিসেবে।তবে সবাই যে স্বাভাবিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে তেমনটি নয়।অনেকে নিজেকে আবিস্কার করতে গিয়ে বাধাগ্রস্থ হয় শারিরিক ও বিকাশগত কিছু ত্রুটির বা পরিবার/ সমাজের নেতিবাচক কিছু আচরনের শিকারে হারিয়ে ফেলে নিজেকে। তখন’ই দেখা দেয় তার ভেতরে বিভিন্ন আচরনগত সমস্যার। যার ক্ষতিকর প্রভাব সবাইকে পীড়িত করে। এর থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে সন্তানের উত্তম আচরণ তৈরিতে আমরাই পারি তার প্রিয় সহযোগী হতে। আসুন জেনে নেই তাহলে – শিশুর শারিরিক, মানসিক ও বিকাশগত বিকাশ সম্পর্কে কিছু তথ্য। ♦ ♥ বিঃদ্রঃ আমরা যা কিছু শিখি/শিখছি - তা হয় শুনে শিখি বা দেখে শিখি বা শোনা ও দেখার সম্বনয়ে শিখি। তাই আপনার সন্তানও সেই নিয়মের ভেতর দিয়ে শিখবে। তাই আসুন, আমরা আমাদের পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ ও তাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের শারিরিক বিকাশ ও উত্তম আচরণ গঠনে উৎসাহ প্রদান করে একটি উন্নত ভবিষৎ গড়ে তুলি। ♥♥♥ “উন্নত মন, সুস্থ জীবন ♥♥♥ ...♥♥ প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।” ♥♥...