Dr. Zeena Salwa

Dr. Zeena Salwa Dr Zeena Salwa is a renowned and qualified Paediatrician, Paediatrics Neurology & Child Development expert.

She is working as Consultant in Paediatrics & Child Development Center (CDC) in Square Hospitals.

27/09/2024

শিশুর স্বাভাবিক ও মানসিক বিকাশের
মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয়তা:

👶শিশুর বিকাশ একটা চলমান প্রক্রিয়া।জন্মের পর থেকে তা শুরু হয়। বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রতিটি শিশু তাদের বয়স অনুযায়ী নতুন নতুন কাজ আয়ত্ত করতে শিখে। ঠিকমতো শিখতে পারছে কি না, তা নিয়মিত লক্ষ্য রাখা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রতিটি শিশুর বিকাশ একই গতিতে হবে এমন নয়, একটু আগে পরে হতে পারে।
★প্রায় সব মা–বাবাই সাধারণত বেশি গুরুত্ব দেন
👉শিশু কবে বসতে শিখল,
👉 কবে হামাগুড়ি দিল,
👉কখন হাঁটতে পারল,
👉কখন কথা বলা শিখল—এসবের ওপর।
এগুলো শিশুর বিকাশ, তবে তা শারীরিক বিকাশ(Motor Development )।

👩‍👧শিশুর বিকাশের প্রতিটি পর্যায়ে শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মানসিক পরিবর্তনও ঘটতে থাকে।
# # # আপনার শিশুর বয়স যদি ০১-৪২ মাস বয়স হয়ে থাকে তবে Bayley scales of infant and toddler development third edition -standardized assessment টি র মাধ্যমে শিশুর শারীরিকও মানসিক বিকাশ সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা তা জেনে নিতে পারেন।

👉👉👉Bayley scales of infants and toddler development third edition/বেলে স্কেলস অফ ইনফ্যান্ট অ্যান্ড টডলার ডেভেলপমেন্ট -তৃতীয় সংস্করণ -এই অভীক্ষা টির মাধ্যমে একটি শিশুর তিনটি প্রধান দিকের বিকাশের মাত্রা পরিমাপ করা যায়।
★Cognitive /বুদ্ধিমত্তা... জ্ঞানীয় স্কেল বিভিন্ন ধরণের ক্ষমতা মূল্যায়ন করে - স্মৃতি মনে রাখার দক্ষতা, সমস্যা সমাধান, বিমূর্ত চিন্তার ভিত্তি, অভ্যাস এবং প্রতিক্রিয়া।

★ভাষার স্কেল দুই প্রকার।
👉Receptive language
👉Expressive language
এটি পূর্বের মৌখিক আচরণ, শব্দভান্ডার, বিকাশ-নামকরণ বস্তু, ছবি, দুই শব্দ উচ্চারণ, বহুবচন পরিমাপ করে।

★Motor/শারীরিক বিকাশ... দুই ধরনের।
👉Fine motor
👉Gross motor
মোটর দক্ষতা শরীরের নিয়ন্ত্রণের মাত্রা, বৃহৎ পেশী সমন্বয়, হাত এবং আঙ্গুলের সূক্ষ্ম ম্যানিপুলেটরি দক্ষতা, গতিশীল নড়াচড়া এবং স্পর্শের অনুভূতি দ্বারা বস্তু সনাক্ত করার ক্ষমতা মূল্যায়ন করে।
🔶এটি শিশুদের বর্তমান উন্নয়নমূলক কার্যকারিতা বর্ণনা করতে এবং বিকাশগত বিলম্ব বা অক্ষমতা সহ শিশুদের জন্য রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সা পরিকল্পনায় সহায়তা করার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
👉 কোন শিশু যদি এক বা ততোধিক দিকে পিছিয়ে পরে মানে developmental delays or disabilities হয়, তবে তার সঠিক ব্যবস্হাপনার পরিকল্পনা করা যায়।

👍সুস্থ শিশু বলতে শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ শিশুকেই বোঝায় না; শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবে শিশুকে সুস্থ রাখতে হবে। সাধারণভাবে আমরা শিশুর শারীরিক বিকাশে যতটা মনোযোগ দিই, মানসিক বিকাশে ততটা মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। কিন্তু মানসিকভাবে সুস্থ না হলে একটি শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়। আসুন আমরা আমাদের শিশুদের পরিপূর্ণভাবে গড়ে তুলি, তাদেরকে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য যত্নবান হই।

➡️Refference: Bayley scales of infants and toddler development third edition.

অটিজমে আক্রান্ত শিশু- কিশোরদের খাবার খাওয়ানো বেশ challenging এবং তা কিভাবে manage করা যায়.
29/02/2024

অটিজমে আক্রান্ত শিশু- কিশোরদের খাবার খাওয়ানো বেশ challenging এবং তা কিভাবে manage করা যায়.

অটিজম শিশুর খাদ্যাভ্যাস | Eating Disorders and Treatment | Doctor's ChamberFull Episode Link : https://youtu.be/z7XkKd_T82oঅনুষ্ঠান: "স্কয়ার হসপিটাল ডক্টরস্ ...

সকলকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি আগামীকাল শুক্রবার  (০৬/০১/২৩) মাছরাঙ্গা টিভির পর্দায় সন্ধা ৬ টার অনুষ্ঠানে । আমরা আসছি শিশুর বিক...
05/01/2023

সকলকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি আগামীকাল শুক্রবার (০৬/০১/২৩) মাছরাঙ্গা টিভির পর্দায় সন্ধা ৬ টার অনুষ্ঠানে । আমরা আসছি শিশুর বিকাশজনিত সমস্যার প্রতিকার ও ব্যাবস্হাপনা নিয়ে।

"গনিম-আল-মুফতাহ্" প্রমাণ করে দিলেন,, শারিরীক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে কোনো অন্তরায় নয়। কাতারের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং বি...
22/11/2022

"গনিম-আল-মুফতাহ্" প্রমাণ করে দিলেন,, শারিরীক প্রতিবন্ধকতা সাফল্যের পথে কোনো অন্তরায় নয়।

কাতারের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত এবং বিখ্যাত একজন ব্যক্তি।। কারণ,, এনার হাত ধরেই বেজে উঠলো ফিফা বিশ্বকাপের দামামা।। 2022 সালের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলের আসরের উদ্বোধন করলেন গনিম-আল-মুখতাহ্।।" আল বাইয়াত ষ্টেডিয়ামের এই অনুষ্ঠান উপভোগ করলো গোটা বিশ্বের ফুটবল প্রেমী মানুষ।।

"গনিম-আল-মুখতাহ্" এর শরীরের নিচের অংশ নেই,, জন্মের আগেই দুটো পা হারিয়ে ফেলেন।। "কোডাল রিগ্রেশন সিনড্রোম" রোগে আক্রান্ত গনিমের শরীরের নিম্নাংশ না থাকা সত্বেও তিনি গোটা কাতার তথা আরব দুনিয়ার একজন রোল মডেল।। আরবের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর ভক্ত,, সমর্থকবৃন্দ।।

তিনি একজন বিশ্ববিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পীকার।। তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে উজ্জীবিত,, বর্ণময় হয়ে ওঠে হাজার বর্ণহীন জীবন।।

গনিম যখন মাতৃগর্ভে রয়েছেন,, তখনই আলট্রা-সাউন্ড মেশিনে ধরা পড়ে তাঁর শরীরের অবিকশিত অংশ।। ডাক্তার গর্ভপাতের নিদান দেন।। কারণ,, অপূর্ণাঙ্গ সন্তানের জন্ম দেওয়ার চেয়ে তাকে জঠরে হত্যা করে দেওয়া শ্রেয়।।

গনিমের মাতা-পিতা এই সিন্ধান্ত মেনে নিতে পারলেন না।। কারণ,, ইসলামের নিদান অনুযায়ী গর্ভপাত হলো চূড়ান্ত অপরাধ।।

মাতা "ইমান-উল-আবদেলি" এবং পিতা "মুহাম্মদ-আল-মুফতাহ্" এটাকে মহান আল্লাহর সিন্ধান্ত হিসেবে মেনে নিয়ে,, বিকলাঙ্গ সন্তানের জন্ম দিলেন।। মাতা পিতার উদ্দেশ্যে বলেন - "আমি হবো সন্তানের বাম পা,, আর,, তুমি হবে তার ডান পা।। আমরা দুজনে সন্তানকে কখনো নিম্নাংশের অভাব টেপ পেতে দেবো না।।"

5-ই মে 2002 সালে পৃথিবীর আলো দেখেন গনিম।। শিশুকাল থেকেই পদে পদে সামাজিক বঞ্চনার শিকার হয়ে পড়েন তিনি।। স্কুল,, খেলার মাঠ সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে অপমানিত করা হতো।। তিনি এসবের তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যেতেন নিজ পথে,, একেবারে নিজস্ব ছন্দে।। বন্ধুদের বোঝাতেন - তাঁর অসম্পূর্ণ শরীরের জন্য তিনি মোটেও দোষী নন।। আল্লাহ তাঁকে যে পরিমাণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ প্রদান করে পাঠিয়েছেন,, এর জন্য তিনি কৃতজ্ঞ।।

নিজের সহপাঠী,, বন্ধুবান্ধব-কে এসব বোঝাতে বোঝাতে নিজের অজান্তেই তিনি হয়ে ওঠেন একজন মোটিভেশনাল স্পীকার।।

একদিন যাঁর ভুমিষ্ট হওয়া নিয়েই যথেষ্ট সন্দেহ ছিলো,, তাঁর হাতে উদ্বোধন হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত এক প্রতিযোগিতার আসর।।

কাতারের 20 বছর বয়সী প্রতিবন্ধী যুবক আজ সেদেশের শান্তির দূত হিসাবে গোটা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গেছেন।। এছাড়া তিনি একজন মোটিভেশনাল স্পীকার,, কবি,, সাহিত্যিক,, দারুণ বক্তা হিসাবে আরব দুনিয়া তথা গোটা বিশ্বের কাছে সমাদৃত।।

আজ তিনি কাতার সরকারের প্রধান প্রতিনিধি হিসাবে বিশ্বের দরবারে নিজের পরিচিতি তুলে ধরলেন।।

অভিনন্দন “গনিম-আল-মুফতাহ্।।"

(সংশোধিত এবং সংকলিত)

আমার সন্তান: কেমন হবে?বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে“বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”-সঞ্জিব চট্টোপাধ্যায...
06/11/2022

আমার সন্তান: কেমন হবে?

বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে

“বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”-সঞ্জিব চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উক্তি। স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতি আর প্রকৃতির কোল জুড়ে যারা আছে, সবার বিকাশ আর বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে হয় বা হবার কথা।কিন্তু আজ আর তা যেন হচ্ছে না।
তাই “শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” বড় হলেও তাদের সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন বাবা মায়ের প্রস্তুতি। যাকে আমরা প্যারেন্টিং বলি।
প্যারেনটিং হচ্ছে বাবা মায়ের করনীয় যা একটি শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চ্চার মাধ্যমে জন্ম থেকে শুরু করে নিজের উপর সাবলম্বী করে গড়ে তোলা পর্যন্ত।
তাই বাবা মায়ের একটি শিশুকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার দায়ীত্ব অপরিসীম। এ জন্য তাদের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। শিশু নেবার পুর্বে কিছু ঔষুধ খাবার জন্য উপদেশ দেয়া হয় যাতে করে একটি সুস্হ স্বাভাবিক শিশু জন্ম নেয়। তা ছাড়া মায়ের পুষ্ঠী, বিশ্রাম, ব্যায়াম, যে কোন অসুস্হতার চিকিৎসা নেয়া উচিত। সর্বপরি মানসিকভাবে মাকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা। গর্ভকালীন সময়টা আনন্দময় করা, প্রতিটি মুহুর্ত অনুভব করা। বাবার ভুমিকা এখানে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে বিষন্নতায় আক্রান্ত বাবা মায়ের সন্তানরা সঠিকভাবে গড়ে উঠে না। তাড়াও বিষন্নতায় আক্রান্ত হতে পারে, আত্মবিশ্বাস কম হতে পারে।
তাই বাবা মায়ের কিছু সুন্দর আনন্দময় সময় কাটাতে হবে। বন্ধু বা আত্মীয়স্বজন, যারা হাসি খুশি থাকেন তাদের সাথে সময় কাটানো। জানতে হবে কিভাবে সুখি এবং সুন্দর সময় কাটানো যায় বা বিষন্নতাকে জয় করা যায়। এর গুরত্ব অপরিসীম সেই ভ্রুন অবস্হা থেকে শুরু করে শিশুর বড় হওয়া পর্যন্ত। একজন সুস্হ শিশু আমাদের সবার কাম্য যা একটি পরিবার, সমাজ বা দেশের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয়। (চলবে)
পুর্ববর্তী লিংক: https://www.facebook.com/DrZeenaSalwa/posts/121796640683596

05/11/2022

Good morning. Let’s dance with this happy child to be happy.

আমার সন্তান: কেমন হবে?আদর এবং ভালবাসাআমাদের সন্তান আদর এবং ভালবাসার পাত্র এবং এটা তাদের জন্মগত অধিকার। এই ভালবাসা সৃষ্টি...
23/10/2022

আমার সন্তান: কেমন হবে?

আদর এবং ভালবাসা

আমাদের সন্তান আদর এবং ভালবাসার পাত্র এবং এটা তাদের জন্মগত অধিকার। এই ভালবাসা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত, স্বতস্ফুর্ত এবং নিরাকার, শুধু অনুভবেই আসে। অনেক সময় ছোট ছোট উপহার দিয়ে শিশুর কোন বিশেষ প্রাপ্তি বা অর্জনকে স্বিকৃতি স্বরুপ দেয়া হয়। এই রকম অর্জনের স্বীকৃতি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং কর্ম দক্ষতা বাড়ায়। এটি গ্রহনযোগ্য।
কিন্তু আমরা এই ভালবাসাকে আজকাল বস্তুবাদী করে তুলি। অকারনে শিশুদের বড় বড় উপহার দিয়ে ফেলি। এতে করে শিশুটির কোন উন্নয়ন হয় না এবং সে ভাবে অকারনে উপহার পাওয়া তার অধিকার।যেমন স্কুলে যাওয়া কিশোর একটা গাড়ী (সত্যিকার) উপহার হিসেবে দাবী করছে! ভালবাসা বস্তুবাদে রুপান্তরিত হয়ে যায়। শিশুরা অলস এবং দক্ষতাহীন হয়ে পরে এবং তাদের চাহিদা বাড়তে থাকে। যা কখনই গ্রহনযোগ্য নয়। বরং সন্তানকে শেখাতে হবে বড় হয়ে যেন সে নিজেই গাড়ী কিনতে পারে। সেখানেই বাবা মায়ের কৃতিত্ব।
তাই নিয়ন্ত্রিত ভালবাসা শিশুদের উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভুমিকা রাখে।

বিশ্বস্ততা

দৈনন্দিন জীবনে পারষ্পরিক বিশ্বস্ততা অত্যান্ত জরুরী। আমরা শিশুদের প্রায় প্রতিটা বিষয়ে একটু সন্দেহপ্রবণ থাকি যেমন নিজে হাতে খেলে কম খাবে, নিজের কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারবে কিনা, তাদের লেখা পড়া একা একা পারবে কি? এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের খাইয়ে দিচ্ছি, জামা কাপড় পরিয়ে দিচ্ছি, স্কুলের শেষে কোচিং- হাজারো ব্যাপার। এতে করে শিশুরাও বড়দের তথা নিজের উপরে ভরসা হারিয়ে ফেলছে। তাদের নিজস্ব স্বকিয়তা, মেধা সঠিকভাবে বিকাশে বাধাগ্রস্হ হচ্ছে। শিশুদের উপর ভরসা করে দায়িত্ববান করে গড়ে তোলা উচিত। একজন শিশু একজন পরিপুর্ন মানুষ। তা তাদেরকে বুঝতে দিতে হবে। তার পছন্দ অপছন্দের মুল্য দিতে হবে। তাকে তার মত করে বড় হতে সাহায্য করতে হবে।
(চলবে)
পুর্ববর্তী লিংক:
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=116498327880094&id=100085597813635

আজ ১০ ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক সচেতনতা দিবস। এবারের থিম হলো “Make mental health & well-being for all a global priority.” ম...
10/10/2022

আজ ১০ ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক সচেতনতা দিবস। এবারের থিম হলো “Make mental health & well-being for all a global priority.” মানসিক সাস্হ্য বিষয়ে আমরা অনেকেই সচেতন নই যদিও মানসিক বল বা শক্তি দ্বারা অনেক কঠিন কাজ অনাসয়ে করা সম্ভব। মন বিকল হলে কোন অসুস্হতা ছাড়াই মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে পরে।
তাই মানসিক সাস্হ্য বিষয়ে সচেতনতা অত্যান্ত জরুরী।

আমার সন্তান: কেমন হবে?আমার বা আমাদের সন্তান, অনেক অনেক আদরের। আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান জেম বা অর্জন। যার কোন শ্রেণী ভেদ নে...
06/10/2022

আমার সন্তান: কেমন হবে?

আমার বা আমাদের সন্তান, অনেক অনেক আদরের। আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান জেম বা অর্জন। যার কোন শ্রেণী ভেদ নেই। সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য একইভাবে প্রযোজ্য। তাই সন্তানকে সঠিকভাবে বড় করা একটি চ্যালেন্জ, যদিও বিষয়টি প্রাকৃতিকভাবে হওয়ার কথা কিন্তু তা আজকাল যেন হচ্ছে না। বিশেষ করে নগরভিত্তিক আদলে বিষয়টি জটিল হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। যান্ত্রিক জীবনের ডামাডোলে কোমলমতি শিশুদের বৃদ্ধি বিকাশ যেন বাঁধা পরে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে এখনিই সজাগ হওয়া জরুরী। সময়ের সঠিক ব্যাবহার করতে না পারলে, হয়তো আমাদের সন্তানটি সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে না।
একটি শিশু একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তাদের ইচ্ছে, প্রয়োজন বা
চাহিদা আছে। অনেক সময়ে আমরা তা মুল্যায়ন করি না বরং আমাদের ইচ্ছে বা স্বপ্নের কাছে তাদের চাহিদাগুলো পরাজিত হতে থাকে। সকালে উঠতে হবে, প্রাইভেট শিক্ষক আসবেন, তারপর স্কুল, স্কুল থেকেই কোচিং অথবা বাসায় ফিরে একটু কিছু খেয়ে আবার সময়টা প্রাইভেট শিক্ষকের দখলে। তারপর সন্ধ্যা। পড়াশুনা রাতের খাবার এবং ঘুম। তারপর আর একটি সকাল। কর্মজীবী বাবা মা সারাদিন খাটাখাটুনির পর কিভাবে সুন্দর আদুরে সময় দেবেন সন্তানকে সেটাও চিন্তার বিষয়।
কোথায় খেলার মাঠ, কোথায় বন্ধু, কখন খেলা- যা শিশুর দৈহিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। ওদের জীবনের ছোট্ট সমস্যাগুলো ওদেরকে সমাধান করতে দিন। আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী হতে সাহায্য করুন।
আমাদের দেয়া শাসন অনুশাসন যেন তাদের শৈশব চুরি না করে - এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
(চলবে)

আমার শিশু কিছুই খায় না: মা-বাবার আকুতিএই লেখায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সব মন্তব্যই উৎসাহ মুলক। প্রতিটি সন্তানই তার বাবা ম...
22/09/2022

আমার শিশু কিছুই খায় না: মা-বাবার আকুতি

এই লেখায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সব মন্তব্যই উৎসাহ মুলক। প্রতিটি সন্তানই তার বাবা মায়ের কাছে অত্যান্ত মুল্যবান। সবাই চান তার শিশুটিই হবে সেরা। সবকিছুতেই তারই প্রয়াস। সুতরাং বাবা মায়ের কোন প্রচেষ্ঠাই ভুল নয়। তবে যখন এই প্রচেষ্ঠা হবে বিজ্ঞান ভিত্তিক, নিয়ম বা রুটিন মাফিক তখনিই হবে সকল চেষ্ঠা ও পরিশ্রমের সুফল অর্জন। শিশুটির স্বাভাবিক বিকাশ ও বৃদ্ধি হবে নিশ্চিত।

এই পর্যায়ে একজন মায়ের মন্তব্য শেয়ার করছি যিনি আমার লেখাতেই মন্তব্য করেছেন তার নিজের শিশুটিকে নিয়ে।

15/09/2022

আমার শিশু কিছুই খায় না: মা-বাবার আকুতি

আমাদের শস্য সফলা সবুজ দেশের মানুষেরা অনেক অতিথি পরায়ন। আপ্যায়নে দক্ষ। আমার দাদীর কথা মনে পরে ছোটবেলায় যখন আমরা খাওয়া শেষ করতাম তখন ওনি হাত ধুয়ে নতুন করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতেন। এটাই আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের আদর আর সামাজিকতা।

গল্প ১:

এক মা শিশুকে কোলে করে আমার চেম্বারে এসে বললেন, ডাক্তার আপা আমার বাচ্চা মুখে কিছুই খায় না। আমার অবাক এবং প্রশ্নবোধক চোখ দেখে ওনি কেঁদেই ফেললেন, বিশ্বাস করেন আপা, আমার ছেলে কিছুই মুখে দেয় না। আমি মনে মনে হিসেব করছিলাম শিশুটির বয়স ২ বৎসরের কাছাকাছি, ওজন ২১ কেজি, মানে মোটু (Obese) বাবু, খায়না ব্যাপারটি বোধগম্য হচ্ছে না। মা অত্যান্ত সততার সাথে কান্না করে যাচ্ছেন, এখানে ওনাকে
অবিশ্বাস করার কোন অবকাশ নেই। কিন্তু শুভংকরের ফাঁকি একটা আছে, তা বের করতে হবে।
>প্রশ্ন করলাম আপনার ছেলে কতবার শুশ্ ( প্রস্রাব ) করে?
>আপা ওইটা ঠিক আছে। দিনে ৭/৮ বার তো হবেই।
আমার বিষম খাবার মত অবস্থ!
>কিভাবে এতবার শুশ্ করে?
>ওকেতো আমি ঘুমের মধ্যে ফিডারে দুধ খাওয়াই।
>কতটুকু খাওয়ান?
>১২০-১৪০ এমএল প্রতিবার। এভাবে ৫/৬ বার। কিন্তু সে স্বাভাবিক খাবার কিছুই মুখে নিচ্ছে না। আপা একটা বুদ্ধি দেন।

গল্প ২:
৩ বৎসর বয়সী শিশুকে নিয়ে বাবা-মা এলেন। সমস্যা ছিল গত ১ মাস থেকে সে কিছুই খাচ্ছে না। শুধু দুধ আর ফলের রস খাচ্ছে। শক্ত খাবার নিচ্ছে না। সে বলছে তার গলা দিয়ে খাবার যেতে পারছে না!
পরীক্ষা করে দেখি গলা, মুখের আস্তরণ (oral mucosa) ঠিক আছে। তাহলে সমস্যা কোথায় ???

এ ধরনের সাধারন কিন্তু খুব স্পর্শকাতর সমস্যা নিয়ে আমাদের দেশের বাবা মায়েরা তাদের শিশুদের নিয়ে ভুগছেন। কিন্তু কেন এমনটি হচ্ছে? ওই যে একটু আগে আমার দাদীর আদরের কথা বললাম। খাওয়া শেষ হলেও শেষ হয় না।

সহজভাবে শিশুদের খাবারের তালিকা :
> প্রথম ৬ মাস শুধুই মায়ের বুকের দুধ ( শিশুর চাহিদা অনুযায়ী)
> প্রথম ৬ মাসের পর থেকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার
>১ বৎসরের পর থেকে পরিবারের স্বাভাবিক খাবার খেতে পারে।
সকালের নাস্তা, ১১টার দিকে হাল্কা খাবার, দুপুরের খাবার, বিকেলে হাল্কা খাবার, রাতের খাবার। ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ দেয়া যেতে পারে।
ঘুমের মাঝে কিছু না খাওয়ানোই ভালো। কারন এতে করে শিশুটি বুঝতে পারে না সে কি খেলো এবং তার পেট ভরা থাকায় খাবারের চাহিদা থাকে না।
আজকাল মোবাইল দেখিয়ে শিশুদের খাওয়ানো খুব জনপ্রিয়।
মোবাইলের সামনে বসে শিশুরা গপ গপ করে খেয়ে যাচ্ছে। কি খাচ্ছে, কতটুকু খাচ্ছে- কোন নিয়ন্ত্রন নেই। মা-বাবারা এই সুযোগটি নিচ্ছেন। অনেক সময়েই এই কারনে শিশুটি মোটু হয়ে যাচ্ছে। সে জানতে পারছে না কি খাবার সে খেল, তার গন্ধ কেমন, দেখতে কেমন। এক কথায় খাবারের সাথে শিশুটির পরিচয় হয় না।
আমি ৬/৭ বৎসর বয়সী বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেছি ,
>তুমি খেয়েছ?
>হু খেয়েছি।
>কি খেয়েছ?
তখন মায়ের দিকে তাকায় সাহায্যের আশায়।
অনেক সময়ে মায়েরা ২ ঘন্টা পর পর ১ বৎসরের বেশী বয়সী বাচ্চাদের খাওয়াতে চান। যা একেবারেই সঠিক নয়।
আজকাল শিশুরা চকলেট, চিপস্ চানাচুর, কোক, আইসক্রীম এবং জাংক খাবারে আসক্ত হয়ে পরছে। এসব খাবার রুচি নষ্ঠ করে। বাচ্চাদের পুষ্ঠি মান কমে যায়। ফলশ্রুতিতে তারা অপুষ্টিতে ভুগতে থাকে।
অনেক সময় জোর করে বাচ্চাকে খাওয়ানো হয়। ফলে শিশুরা খাবারের বিষয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে পরে।
পরিশেষে বলতে চাই-
>শিশুদের বয়সের সাথে সাথে খাবারের রুটিন ঠিক করতে হবে।
>শিশুকে নিয়ে পরিবারের সকলে মিলে এক সাথে খাওয়ার অভ্যাস উত্তম।
>যাতে করে শিশুটি খাওয়ার বিষয় টিকে খেলা বা আনন্দের বিষয় মনে করে।
>শিশুটি কোন খাবার পছন্দ করে, তা তাকে পরিবেশন করা
>বার বার খাবার খাওয়ানোর নামে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত না করা বা আতংকগ্রস্ত না করা।
>শিশুকে বুঝতে দিতে হবে, ও কি খাচ্ছে, তার স্বাদ কেমন, রং কেমন, স্পর্শ কেমন।
আমরা যদি সাধারন ভাবে শিশুর খাবারের অভ্যেস গড়ে তুলতে পারি, তাহলে সহজেই শিশুর বিকাশ, বৃদ্ধি এবং পুষ্টি নিশ্চিত করা সম্ভব।

11/09/2022

Address

18/F, Bir Uttam Quazi Nuruzzamn Sarak, West Pathopatha
Dhaka
1205

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Zeena Salwa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Zeena Salwa:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category