দি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট _ The Clinical Psychologist

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • দি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট _ The Clinical Psychologist

দি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট _ The Clinical Psychologist Expert Clinical Psychologist serving around 20 years by conducting more than 5000 sessions dealing Anxiety, Depression and other psychological problems.

মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন।

04/02/2023

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতের অমিল, ঝগড়া, রাগ করে কথা না বলা, আলাদা রুমে ঘুমানো ইত্যাদি বিষয়গুলি খুবই প্রাচীন চর্চার মধ্যে পড়লেও ইদানিং এগুলো আরো প্রকটভাবে দেখা যাচ্ছে। এ‘ধরনের মৃদু মাত্রার দ্বন্দ খুব বেশী সিরিয়াস হলে সেগুলি হাতাহাতি, মারামারি, বিষন্নতা, ডিভোর্স, মামলা ইত্যাদি পর্যায় পর্যন্ত গড়াচ্ছে। বাবা-মায়ের এহেন অবস্থার কারণে এসবের বিরূপ প্রভাব পড়ছে সন্তানদের উপরেও। অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বা আসক্তি, সহনশীল ক্ষমতার অভাব, বৈবাহিক সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব, পরকীয়ার সম্পর্ক, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পরোক্ষ মতামত ও অবস্থানের প্রভাব, আত্ন-অহংকার, প্রতিদ্বন্দিতামূলক মানসিকতা, আত্ননির্ভরশীলতা ইত্যাদি নানাবিধ কারণে বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিটাই কেন জানি অনেকটা ঠুনকো হতে চলেছে। সুতরাং, উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য যারা আলাদা থাকা বা বিচ্ছেদমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন বা নিতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য তথ্য হচ্ছে, গবেষণা মতে, দ্বিতীয় বিয়েতে সুখী হওয়া বা সুথে থাকার সুযোগ খুবই কম। যদিও এর কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। কিন্তু, বিচ্ছেদ হওয়া বেশীর ভাগ দম্পতিরা-ই পরে আফসোস ভরে উপলব্ধি করেছেন যে, প্রথম সংসারটিতে মানিয়ে নিলেই ভালো হতো। আর, সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়ে বাচ্চাগুলো। তাদের মানসিক সমস্যা, অনিরাপত্তাবোধ, বুলিং, বিষন্নতা, আত্নহত্যার চিন্তা ও আত্নহত্যার ঘটনা খুবই সচরাচর। এমনকি, প্রথম ঘরের কিশোরী মেয়ের তার দ্বিতীয় বাবা দ্বারা (মায়ের দ্বিতীয় স্বামী) বিভিন্নভাবে শারিরীক, মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি ব্লাকমেইল করার মাধ্যমে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করার ঘটনাও আছে আমাদের দেশেই। সুতরাং, পরে আফসোস করার চেয়ে শুরুতেই মানিয়ে নিতে পারা উত্তম।

প্রেক্ষাপট এমন হয়েছে যে, বিবাহ করার পূর্বে এখন বিবাহ-পূর্ব কাউন্সেলিং (Pre-Marital Counseling) জরূরী হয়ে পড়েছে। কারণ, বিবাহের পরে মানসিক, আবেগীয়, পারিবারিক, জৈবিক ও সামাজিক বিষয়গুলোতে একজন মানুষের আচরণগত ভুমিকাগুলোকে স্বাস্থ্য সম্মত পন্থায় প্রয়োগ ও চর্চা করতে পারা জরূরী। জেনে রাখা প্রয়োজন যে, বিবাহ শুধুমাত্র দুইজন মানুষের একসাথে বসবাস-ই নয়, এর সাথে আরো অনেক আনুষাঙ্গিক বিষয় রয়েছে। যেমন,

মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও নৃবিজ্ঞানী-এই তিন ধারার সম্মিলিত অনুসিদ্ধান্ত ও ব্যাখ্যা অনুযায়ী বিয়ের প্রথাটি নিম্নলিখিত কয়েকটি ক্ষেত্রকে একত্রিত করে। যেমন:
১. সামাজিক
২. রাষ্ট্রীয়/আইনগত
৩. ধর্মীয়
৪. শ্বশুর-বাড়ীর আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক (In-laws relationship)

অর্থাৎ, সামাজিক প্রেক্ষাপট মতে, দু‘জন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ সারা জীবনের জন্য একসাথে বসবাস করবে এবং তাদের মধ্যকার শারিরীক, মানসিক, বৈষয়িক ও আবেগিক বিষয়গুলোকে শেয়ার করবে।

রাষ্ট্রীয়/আইনগত প্রেক্ষাপট মতে, তারা রাষ্ট্রের কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার মাধ্যমে এই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সচেষ্ট থাকবে এবং তাদের একটি লিখিত অঙ্গীকার নামা (নিকাহনামা বা কাবিননামা) থাকবে। তারা কখনো আলাদা হতে চাইলে রাষ্ট্র-স্বীকৃত সেই নিয়ম অনুযায়ী-ই (তালাক) আলাদা হবার অধিকার রাখবে।

ধর্মীয় যুক্তি মতে, তারা তাদের স্ব-স্ব ধর্মের বিধান অনুযায়ী একে অপরকে গ্রহন করবে ও প্রয়োজনে ধর্মীয় নিয়মেই প্রত্যাখ্যান করবে।

প্রত্যেকেই তাদের In-laws relationship কে মূল্যায়নের মাধ্যমে, সম্মান প্রদর্শন ও চর্চার মাধ্যমে সুসম্পর্ক রক্ষা করে চলবে। In-laws relationship বলতে শুধুমাত্র শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর সাথের সম্পর্কককেই বোঝায় না, শ্বশুর বাড়ীর অন্যান্য আত্নীয়-স্বজনের সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলবে।

সংক্ষেপে বলতে গেলে বিষয়গুলোর ধারণা এমনই। ইতিবাচক মানসিকতা ও প্রকৃত অর্থে সংসার করতে চাওয়ার আকাংখা থাকলেই এবং কেবল উপরোক্ত বিষয়গুলি মনে ও বিশ্বাসে ধারণ করে চর্চা করলেই সুখী দাম্পত্য জীবন গঠন করা সম্ভব।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী

02/10/2022

“ধর্ষকের মনস্তত্ত্ব (Rappist's Psychology)” নিয়ে মনোবৈজ্ঞানিক আলোচনা... পর্ব-০২।

02/10/2022

“ধর্ষকের মনস্তত্ত্ব (Rappist's Psychology)” নিয়ে মনোবৈজ্ঞানিক আলোচনা... পর্ব-০১।

মনের কথা-কাকে  বলবো. কাকে বলবো না...বিভিন্ন সময়ে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দু:খ কষ্টে ভূগে থাকি। বিষয়গুলো একান্ত ব্যক্তিগত ...
01/10/2022

মনের কথা-কাকে বলবো. কাকে বলবো না...

বিভিন্ন সময়ে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দু:খ কষ্টে ভূগে থাকি। বিষয়গুলো একান্ত ব্যক্তিগত হলে আমরা মনে মনে এমন কারো সাথে শেয়ার করতে চাই যাতে আমরা কিছুটা হালকা বোধ করতে পারি। আবার, সমস্যাগুলোর সম্ভাব্য সমাধান অনেক ক্ষেত্রেই নিজে বুঝতে পারলেও অন্যের মুখ থেকে শোনা কথাগুলো বা সমাধানমূলক আলোচনা থেকে আমরা এক ধরনের সমর্থন পাই এবং সে অনুযায়ী প্রয়োগের চেষ্টা করি। শেয়ার করে আবার কখনো কখনো এক ধরনের মন:কষ্টে ভূগি এই ভেবে যে, কেন বলতে গেলাম? পাছে ভয় কাজ করে যখন ভাবতে শুরু করি যে, যাকে বললাম সে যদি আবার অন্য কাউকে বলে দেয় ! আমাকে বা আমার সংশ্লিষ্টদেরকে খারাপ মনে করে, অবমূল্যায়ন করে ! সুতরাং, এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় যে, এমন কারো সাথে শেয়ার করবো যাতে সে আমার বলা কথাগুলোর গোপনীয়তা রক্ষা করে অর্থাৎ (Confidentiality break না করে)।

আবার, কারো কারো সাথে শেয়ার করলে মনে হয়, আমার এত কষ্টের কথাগুলো শুনে সে আমাকে পাত্তাই দিল না। এতে কষ্ট কমে যাবার চেয়ে আরো বেড়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হয়। সুতরাং, এমন কাউকে নির্বাচন করা দরকার যাতে সে আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং আমার কষ্টের অনুভূতিগুলোর যথাযথ মূল্যায়ন করে।

কেউ কেউ আছে যার সাথে শেয়ার করলে Judgmental বা বিচার মূলক আচরণ করে থাকে। বিষয়টির প্রেক্ষাপট পূর্নাঙ্গভাবে যাচাই না করেই আলোচনা প্রত্যাশী ব্যক্তিকে খারাপ বা মন্দের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফেলে । সুতরাং, এক্ষেত্রে সমাধান হলো শেয়ার করার জন্য এমন কাউকে নির্বাচন করুন যে আপনাকে Judge বা বিচার করবে না।

কারো কারো মধ্যে এমন প্রবণতা খুবই সহজাত যে, আপনি হয়তো গেছেন আপনার কষ্টের কথা বলতে, উল্টো সেই ব্যক্তিই তার নিজের অনেক কষ্টের কথা বলে তার কষ্টের অনেকটা ভাগ আপনার উপর চাপিয়ে দিলো; আপনার কষ্টের বিষয় এবং অনুভূতির সাথে আরো কিছু যোগ করে আপনার কষ্টের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিলো—এ‘রকম ক্ষেত্রে যার সাথে শেয়ার করতে চান তার সম্পর্কে আগেই জেনে নিন, নয়তো আপনার কষ্টের মাত্রা আরো বেড়ে গিয়ে আপনাকে বিধ্বস্ত করে দিতে পারে।

আমাদের নিজেদের কিছু অজ্ঞতাও আছে যেমন, আমরা অনেক সময়েই বুঝতে চাই না যে, যার সাথে শেয়ার করবো সেই মানুষটি কি আমার সমস্যা শোনার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত কিংবা সমর্থ কি- না, ঐ ব্যক্তির শোনার যথেষ্ট সময় আছে কি-না এবং ঐ ব্যক্তির বিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টি থাকাটাও অনেক জরূরী বিষয়।

কখনো কখনো আমরা সুযোগ সন্ধানীও হয়ে থাকি যেমন, দু:খ কষ্টের কথা বলে সহানুভূতি বা সহমর্মিতা ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে কিংবা কাছে আসার জন্য অনেকের কাছে মনের কথা ভাগাভাগি করতে চাই। এটি এক ধরনের মনোযোগ আকর্ষণের আচরণ এবং অন্যের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহনেরই শুরু মাত্র। বিবাহপূর্ব, কিংবা বিবাহ-বহির্ভূত বা পরকীয়া জাতীয় সম্পর্ক গঠনের ক্ষেত্রে উপরোক্ত ধরনের শেয়ারিং অনেকখানি সম্পর্কযুক্ত। তবে, এ‘রকম শেয়ারিং প্রেমের সম্পর্ক গঠনেও অনেক ভূমিকা রাখে।

সুতরাং, শেয়ারিং এর ক্ষেত্রে আমরা উপরেল্লিখিত ৪/৫টি বিষয় মাথায় রেখেই আমাদের মনের কথাগুলো অন্যের সাথে শেয়ার করবো। মনে রাখা দরকার যে, আমরা কেবল সমস্যা সমাধানের জন্যই শেয়ার করি না বরং মনটাকে একটু হালকা করতে, মনের কষ্টটাকে একটু প্রশমিত করতেই শেয়ার করি। তবে, এক্ষেত্রে আদর্শ হচ্ছে একজন পেশাদার চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর সহযোগীতা নেয়া যেখানে আপনি নির্ধিদ্বায় আপনার সমস্যাগুলো নিয়ে পেশাদার পরিবেশে বলতে পারবেন এবং সমাধানের উপায় খুঁজে নিতে পারবেন।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী

https://mizankhan.com/

06/06/2022

৬ মাস থেকে ২৪ মাস বয়সী শিশুদের বিকাশের স্তরসমূহ বনাম সম্ভাব্য ঝুঁকি---

শিশুরা এই বয়সে সাধারণত ৪ টি মূল স্তরে শিশুরা বিকাশ লাভ করে থাকেঃ

১. বুদ্ধিমত্তার/জ্ঞানীয় বিকাশ (Cognitive Development): এটি বাচ্চাদের শিক্ষণ (Learning) স্তর। এ স্তরে বাচ্চারা তাদের চিন্তাশক্তির প্রয়োগ, সমস্যার সমাধান এবং স্মৃতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়। বাবা, মা, পরিবারের আত্নীয়স্বজন, প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগ, সময় কাঁটানো, কথা বলা, তার প্রয়োজনগুলোর পূর্ণতা, তার নির্ভরতা ও স্বস্তি, নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা, বাব-মায়ের মধ্যে বোঝাপড়া ও সুস্থ সম্পর্ক, স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন, খাদ্য ও পুষ্টির পরিপূর্ণতা ইত্যাদি বিষয়গুলো তার বুদ্ধিমত্তার বিকাশকে প্রভাবিত করে। উপরোক্ত বিষয়গুলো যতটা ভারসাম্যপূর্ণ, সমন্বিত ও সহজাত হবে শিশুর বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ততটাই উন্নত হবে।

২. ভাষাগত বিকাশ (Language Development): এই স্তরে শিশুরা প্রথমে আওয়াজ করে, তারপর শব্দ বলে এবং তারপর ধীরে ধীরে বাক্য গঠন করে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে। যেমন- প্রথমে উ, আ, উম্ শব্দ করে আওয়াজ করে। ধীরে ধীরে এক অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ যেমন, “মা” শব্দটি বলে এবং তারপরে দুই অক্ষর বা শব্দ বিশিষ্ট বাক্য যেমন, “ভাত খাবো”, “এটা দাও” বলে বাক্য গঠন করে।

৩. পেশীর সঞ্চালন (Motor Development): এটি হচ্ছে শিশুদের নড়াচড়া এবং সমন্বয় করার প্রক্রিয়া। এটা দুই অংশে অন্তর্ভূক্ত। সুক্ষ পেশীর সঞ্চালন এবং সামগ্রিক পেশীর সঞ্চালন।

ক. সুক্ষ পেশীর সঞ্চালন (Fine Motor Development): এক আঙ্গুল দিয়ে ধরার চেষ্টা করা কিংবা দুই আঙ্গুল দিয়ে কোনো কিছু ধরতে চাওয়া। তবে, কোনো কিছু ধরতে চেষ্টা করার শুরুর দিকে শিশুরা তাদের সবগুলো আঙ্গুল দিয়ে যেকোন জিনিস ধরতে চায় বা নড়াচড়া করে যেমন - কোনো জিনিস ধরা, ছেড়ে দেয়া, ফেলে দেয়া এবং কিছু কাজ করা যেমন-আঁকাআঁকি করা, লিখতে চেষ্টা করা ইত্যাদি ।

খ. সামগ্রীক পেশীর সঞ্চালন (Gross Motor Development): বড় পেশীর ব্যবহার করে কাজ করা যেমন-হাঁটা, খেলাধুলা করা, দৌঁড়ানো, লাফ দেয়া ইত্যাদি।

৪. সামাজিক-আবেগীয় বিকাশ (Social-Emotional development): যদিও এই বয়সের আগেই তারা তাদের কিছু অনুভ‚তি প্রকাশ করে থাকে, যেমন-- অস্বস্তি বা আরাম, আনন্দ বা দুঃখ প্রকাশ করে থাকে হাসি কিংবা কান্না করার মাধ্যমে। ৬ মাস বয়সের আগে শিশুর এ’ধরনের আচরণ অনেকটা প্রতিবর্ত ক্রিয়ার (Reflex Action) মতোই। তথাপিও, এ স্তরে (৬ মাস বয়স থেকে) শিশুদের আবেগের কিছুটা প্রস্তুতিমূলক বিকাশ ঘটতে থাকে যার মাধ্যমে তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে থাকে এবং নিয়ন্ত্রণ করারও ক্ষমতা অর্জন করতে থাকে। যেমন-রাগ, দু:খ, ভয়। অন্যদের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ এবং ভাবের আদান প্রদান করার চেষ্টা করে, যেমন-বন্ধুত্ব তৈরী, বাবা মা এবং শিক্ষকদের সাথে শান্ত এবং ভদ্র আচরণ করা ও অন্যদের সামনে শান্ত এবং ভদ্র হয়ে থাকার চর্চা করা।

মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে বলা যায় যে, শিশুদের মধ্যে যদি তাদের সামাজিক সম্পর্ক ও আবেগীয় যোগাযোগের কোনো লক্ষনীয় মাত্রার অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হওয়া উচিত। ভাষাগত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হলে অবশ্যই ৩ বছরের মধ্যে তা গভীরভাবে খেয়াল করা উচিত। এক্ষত্রে, বাবা-মা বা পরিবারের সদস্যরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক বেশী দেরী করে চিকিৎসা নিতে আসেন--যেটি উচিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা মনে করেন যে, বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে। যদিও কিছু কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে বড় হবার সাথে সাথে ঠিক হয়েও যায়, তবে সব শিশুর ক্ষেত্রে সেটি হয় না বলেই ঝুঁকি থেকে যায়। অতএব, ভাষাগত বিলম্বিত বিকাশের ক্ষেত্রে বুঝতে পারার শুরুতেই স্পীচ থেরাপিস্টের কাছে যাওয়া উচিত। তবে, অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা, কলহ-বিবাদ, শারিরীক প্রহার, বিবাহ-বিচ্ছেদ ইত্যাদি কারণেও শিশুদেও ভাষাগত বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত বা বাঁধাগ্রস্ত হয়। এরকম হলে অবশ্যই চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়া জরূরী।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার আদর্শ পদ্ধতি:এতদিনে আমরা অনেকেই জেনে গেছি যে, সব ধরনের মানসিক কিংবা ব্যক্তিগত ও পারিবা...
12/12/2021

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসার আদর্শ পদ্ধতি:

এতদিনে আমরা অনেকেই জেনে গেছি যে, সব ধরনের মানসিক কিংবা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা অথবা সম্পর্কের সমস্যা শুধুমাত্র ওষুধে ভালো হয় না। যারা জানিনা, কেবলমাত্র তারাই এখনো মানসিক সমস্যা কিংবা সম্পর্কের জটিলতার চিকিৎসার জন্য সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে গিয়ে থাকেন। চিকিৎসা হিসেবে অল্প কয়েকটি কথা বা পরামর্শ নিয়ে আসেন। পাশাপাশি, চিকিৎসক কর্তৃক শুধুমাত্র ওষুধ সেবনের নিদের্শনা প্রদানই যেন সেখানে মূখ্য চিকিৎসা এবং রোগীগন‘ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞগনের এ‘ধরনের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক কায়মনোবাক্যে ওষুধগুলো খেয়েই নিজেকে সুস্থ্য ভাবতে স্বস্তি পান এবং নির্ভর করে থাকেন। এরপরে গড়ে প্রতি পনেরো দিন বা একমাস পরপর হাজিরা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যান। অনেকে আবার দীর্ঘ মেয়াদে এই চিকিৎসা নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে এক সময়ে থামিয়েও দেন। ফলে, রোগীর সমস্যাগুলো কিন্তু আসলে থেকেই যায়। ব্যতিক্রম হলো, তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু মানসিক সমস্যার চিকিৎসার জন্য ওষুধ অবশ্যই প্রয়োজনীয় তবে ঢালাওভাবে সব ধরনের মানসিক সমস্যার জন্য দীর্ঘদিন ব্যাপী ওষুধের চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।

এমনকি, অনেক ধরনের মানসিক সমস্যার জন্য ওষুধের দরকারই হয় না, তথাপিও, ওষুধের উপরে আমাদের নির্ভরতারও যেন কোনোমতেই কোনো কমতি নেই। সুতরাং, এটি বুঝতে পারা জরূরী যে, কখন ওষুধ লাগবে এবং কখন ওষুধ ছাড়াই সুস্থ হওয়া সম্ভব। এই সিদ্ধান্তটি নেবার জন্য প্রথমত: আপনি একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যান এবং কথা বলে আসুন। উনি নি:সন্দেহে আপনাকে একটি প্রেসকিপসনের পাশাপাশি কিছু পরামর্শ দিবেন বলে আশা করাই যায়। ডাক্তার সাহেবের চেম্বার থেকে বেরিয়ে ওষুধ না কিনে বাসায় চলে যান। এখনি ওষুধ খাওয়া শুরু করবেন না। অতপর, একজন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর কাছে যান এবং তার মতামত শুনুন। এবার, দুই বিশেষজ্ঞের (সাইকিয়াট্রিস্ট ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী) মতামতের ভিত্তিতে নিজে বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন। এতে আপনার চিকিৎসার শুরুর দিকটা একটু ঝামেলার মনে হলেও আপনি একটি উপযুক্ত অর্থাৎ, আপনার জন্য যে চিকিৎসাটি আদর্শ এবং আপনার সুস্থতার রাস্তা তৈরী করে দিবে, সেটি পাবেন। প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করবেন, অথবা, ওষুধ এবং চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর নিকট থেকে সাইকোথেরাপী, একসাথে এই দু‘টিই নিবেন , অথবা, শুধুমাত্র সাইকোথেরাপী নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী।

বি: দ্র: আলোচ্য বিষয়ের চুম্বক অংশ বিভিন্ন সময়ে দেখা বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ধরনের পেশাগত বৈরিতা থেকে নয়।

14/09/2021

বাইপোলার ডিসঅর্ডার (Bipolar Disorder):

বাইপোলার ডিসঅর্ডার এমন এক ধরনের মানসিক অবস্থা যেটির কারণে আমাদের মুড বা ভাব বা আবেগের এক ধরনের চরম মাত্রার ওঠা-নামা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, বাইপোলার ডিসঅর্ডারে ভূগতে থাকা মানুষগুলোর আবেগ সাধারণত উচ্চ মাত্রার বা অতিরিক্ত আনন্দদায়ক অবস্থানে থাকে অথবা, খুবই নিম্ন মাত্রার কষ্টদায়ক/বিষন্ন অবস্থায় অবস্থান করে। আবেগের এই চরম মাত্রার বা উপরের অবস্থাকে বলা হয় ম্যানিয়া বা হাইপোম্যানিয়া । ম্যানিয়া বা ম্যানিক অবস্থাকে আবার দ্বিগুন/ডাবল ফূর্তি বলা হয় এবং আবেগের চরম নিম্ন মাত্রার অবস্থাকে বলা হয় বিষন্নতা। হাইপোম্যানিয়া হচ্ছে, ম্যানিয়ার কাছাকাছি অবস্থা যেটি সাধারণ আনন্দ এবং চরম আনন্দের (ম্যানিয়া) মাঝামাঝি অবস্থা। হাইপোম্যানিয়াও মানুষের এক ধরনের অস্বাভাবিক অবস্থা।

বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যখন বিষন্নতায় ভোগে, তখন তার খুব মন খারাপ হয়, দু:খিত বা হতাশ বোধ করতে পারে এবং বেশিরভাগ কাজকর্মে আগ্রহ বা আনন্দ হারিয়ে ফেলে। আবার, যখন কারো মধ্যে ম্যানিয়া বা হাইপোম্যানিয়া দেখা দেয়, তখন সে খুব বেশী পরিমাণে উচ্ছ্বসিত বোধ করে এবং তার মধ্যে অস্বাভাবিক রকমের অস্থিরতা বা খিটখিটে ভাব লক্ষ্য করা যায়। আবেগের এই ধরনের অস্বাভাবিক পরিবর্তনগুলি তার কাজকর্ম, ঘুম, শক্তি, বিচার বিশ্লেষন ক্ষমতা, আচরণ এবং স্পষ্টভাবে চিন্তা করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এই রোগটির দুইটি পর্যায়-ই একই ব্যক্তির মধ্যে বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দেখা দিতে পারে এবং বছর ধরে আবেগ পরিবর্তনের এই অবস্থাগুলি খুব অল্প সময় ধরে একাধিকবার অথবা দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে দেখা দিতে পারে। তবে, এধরনের রোগে ভূগতে থাকা বেশিরভাগ মানুষই ম্যানিয়া কিংবা বিষন্নতা, এই দুই ধাপের মধ্যকার কিছু আবেগের লক্ষণ অবশ্যই অনুভব করবে।

চিকিৎসা না করলে বাইপোলার ডিসঅর্ডার সারা জীবন ধরে চলতে থাকে। তাই, যথাযথ এবং কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে মুড বা ভাব বা আবেগ পরিবর্তন এবং এ সম্পর্কিত অন্যান্য উপসর্গগুলি থেকে ভালো থাকা সম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাইপোলার ডিসঅর্ডার, ফার্মাকোথেরাপী বা ঔষধ এবং মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ (সাইকোথেরাপি), এই দুইয়ের সমন্বয়ে চিকিৎসা করলে এধরনের অসুস্থতা থেকে ভালো থাকা সম্ভব।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী

ফেইসবুক আসক্তিবাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ফেইসবুক আমাদেরকে এক ধরনের বৈশ্বিক ভোক্তা বা Global C...
27/08/2021

ফেইসবুক আসক্তি

বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বিশেষ করে ফেইসবুক আমাদেরকে এক ধরনের বৈশ্বিক ভোক্তা বা Global Consumer এ পরিণত করেছে। বর্তমানে ফেইসবুকের সাথে অতিরিক্ত মাত্রার সংযোগ আমাদের মধ্যে অনেকাংশেই আসক্তি তৈরী করেছে। এই আসক্তি এখন এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, অনেকের মধ্যে মানসিক সমস্যাও তৈরী হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা একজন মহিলার কথা বলা যেতে পারে। উনি বলছিলেন যে,

“আমি ফেইসবুকে আসক্ত হয়ে পড়েছি এবং যখন আমি ফেইসবুকে বসি, আমি তখন হারিয়ে যাই। ফেইসবুকে বসার কারণে আমি আমার ছোট্ট মেয়েটির হোমওয়ার্ক তৈরীতেও সাহায্য করতে পারি না। আমি ব্যস্ত থাকি চ্যাটিং এবং ব্রাউজিং নিয়ে, বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা ও যোগাযোগ নিয়ে । আমার এ অবস্থা আমি উপলব্ধি করতে পারি এবং আমার মধ্যে অস্বস্তিও সৃষ্টি হয়। তথাপিও, আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। পাশাপাশি এটাও মনে করি না যে, এটির ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চলতে থাকার কারণে আমার মধ্যে কিছু মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সন্তানের সাথে এবং আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সম্পর্কেরও অবনতি হচ্ছে।“

এবার তাহলে দেখা যাক এ বিষয়ে গবেষণা কি বলে। গবেষকরা আসক্তিকে পাঁচ ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন :

১. কম্পিউটারে গেম খেলার আসক্তি (Computer Gaming Addiction)
২. নেট সার্ফিং আসক্তি (Net Surfing Addiction)
৩. অনলাইনে জুয়া খেলা কিংবা কেনা-কাটা করার আসক্তি (Internet Compulsion)
৪. অনলাইনে পর্নোগ্রাফি বা যৌন-সম্পর্কিত সাইট দেখার আসক্তি (Cyber Sexual Addiction) এবং
৫. অনলাইনে সম্পর্ক স্থাপনের আসক্তি (Cyber Relationship Addiction)।

উপরোক্ত আসক্তিজনিত বিষয়গুলোর মধ্যে আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটি দেখা যাচ্ছে সেটি হলো শেষেরটি অর্থাৎ অনলাইনে সম্পর্ক স্থাপনের আসক্তি (Cyber Relationship Addiction)। এ‘ধরনের আসক্তির মূল কথা হচ্ছে, অনলাইন বা অফলাইনে সম্পর্ক স্থাপন বা সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যাবার চর্চা। চিকিৎসা মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এটিকে ফেইসবুক অ্যাডিকশন ডিজঅর্ডার অথবা, সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমজনিত আসক্তি (Social Networking Addiction Disorder) বলা যেতে পারে। কারণ, Addiction বা আসক্তির যেসকল লক্ষণ বা বৈশিষ্ট সেগুলো এই অবস্থাটির সাথে মিলে যায়- যেমন,

(ক) ব্যক্তিগত জীবনকে অবজ্ঞা করা বা এড়িয়ে চলা,

(খ) বিভিন্ন ধরনের মানসিক অশান্তি বা অস্বস্তি অনুভব করা,

(গ) দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে দুরে থাকা,

(ঘ) অনুভতি বা আবেগের ওঠা-নামা, যেমন, কখনো কখনো চুপচাপ থাকা বা খুব উত্তেজিত থাকা,

(ঙ) নেশা বা আসক্তিজনিত আচরণ গোপন করা বা গোপন করার চেষ্টা করা, এবং তাদের সামনেই তার নেশা সংক্রান্ত আচরণ প্রকাশ করা যারা এই একই ধরনের আচরণ করে।

অর্থাৎ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে এমন এক ধরনের ভার্চুয়াল যোগাযোগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্র যেখানে একটি ভার্চুয়াল সম্প্রদায় বা কমিউনিটি তাদের মধ্যে একটি সামাজিকতা ও সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে এক ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করে চলে।

অতএব, উপরোক্ত কারণে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ফেইসবুক ব্যাপক জনপ্রিয়তার সাথে চলতে থাকে এবং বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ২৬৯ কোটি মানুষ ফেইসবুক ব্যবহার করে এবং এদের মধ্যে প্রায় ১৭৩ কোটি মানুষ প্রতিদিনই ফেইসবুকে সময় কাঁটায়। জুন, ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ ফেইসবুক ব্যবহার করে যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ২৮ ভাগ। মোট ব্যবহারকারীদের মধ্যে শতকরা ৩১ ভাগ মহিলা এবং বাকী ৬৯ ভাগ হচ্ছে পুরুষ। ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশীর ভাগের বয়স ১৮-২৪ বছরের মধ্যে। আমাদের দেশে প্রতি ২০ সেকেন্ডে ফেইসবুকে একজন করে নতুন ইউজার যোগ দেয় এবং গত এক বছরে ৯০ লক্ষেরও বেশী মানুষ নতুনভাবে ফেইসবুক ব্যবহার শুরু করেছে।

সুতরাং, উক্ত পরিসংখ্যানই বলে দেয় যে, ফেইসবুক একদিকে যেমন বড় ধরনের আবেদন ও আকর্ষণ তৈরী করেছে তেমনি আসক্তিও তৈরী করেছে ভয়াবহভাবে।

অতএব, এই ধরনের আচরণগত যে আসক্তি অর্থাৎ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে যে আসক্তি তৈরী হয়েছে তার একটি দেহ-মনো-সামাজিক (Bio-Psycho-Social) দিক আছে যা যেকোনো ধরনের নেশা দ্রব্যের (যেমন, এলকোহল, গাজা, ইয়াবা, হেরোইন, আইস ইত্যাদি) আসক্তিজনিত প্রভাব ও ক্ষতির সমতুল্য। এখানে দেহ বলতে দৈহিক বা শারীরবৃত্তীয়, মনো অর্থাৎ মানসিক বা আবেগীয় এবং সামাজিক বা পারিবারিক অবস্থার অবনতি বোঝানো হয়েছে যা দীর্ঘদিন ফেইসবুক ব্যবহারের কারণেও হয়ে থাকে। এ অবস্থাগুলোকে একজন ফেইসবুকে আসক্ত ব্যক্তি অস্বীকার করবে যেটি অন্যান্য নেশাদ্রব্যের আসক্তির ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। বৈজ্ঞানিকভাবে ”অস্বীকার” করার এই লক্ষনকে ইংরেজীতে ডিনায়াল (Denial) বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, নেশাদ্রব্যের আসক্তির সংজ্ঞা বা লক্ষণ বিশ্লেষনে যে ধরনের ক্রিয়াচক্র বা সাইকেল (Cycle) আছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেইসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ”আসক্তি ক্রিয়াচক্র“ বা ”Addiction Cycle“ এর ধাপসমূহ কাজ করে।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী

মানসিক সমস্যা সমাধানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর ভূমিকা --             https://youtu.be/1dWa9g_qTIc?t=507
05/08/2021

মানসিক সমস্যা সমাধানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর ভূমিকা --


https://youtu.be/1dWa9g_qTIc?t=507

Role of a Clinical Psychologist (Part 01)| মানসিক সমস্যা সমাধানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীর ভূমিকা-পর্ব ০১The presentation has been given by Mohammad Mizanur Rahma...

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও এর চিকিৎসা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: mizankhan.com
30/07/2021

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা ও এর চিকিৎসা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
mizankhan.com

বর্তমানে আমাদের সুগঠিত সমাজ আছে, আছে সমাজবিজ্ঞান; মনস্তত্ত্ব আছে, আছে মনোবিজ্ঞান; সেক্সথেরাপি আছে, আছে নির্যাতনবিরোধী আই...
02/07/2021

বর্তমানে আমাদের সুগঠিত সমাজ আছে, আছে সমাজবিজ্ঞান; মনস্তত্ত্ব আছে, আছে মনোবিজ্ঞান; সেক্সথেরাপি আছে, আছে নির্যাতনবিরোধী আইন। এমনকি, পারিবারিক মূল্যবোধও আছে যা বর্তমানের মতো অতীতে এতটা সমৃদ্ধ ছিল না। এতোটা তথ্যসমৃদ্ধ গবেষণাও ছিল না। আমাদের অনেক অনেক বই আছে, ম্যাগাজিন আছে, গবেষণামূলক আর্টিকেল আছে, সেমিনার কেংবা ওয়েবিনার আছে, অনলাইন জ্ঞানের ভান্ডারও আছে পর্যাপ্ত। কিন্তু, এতোসবের পরেও আমাদের ডিভোর্স বা তালোকের সংখ্যাও ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে। পাহাড়সম সমৃদ্ধ তথ্য থাকা সত্ত্বেও, ভালো থাকার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমরা আমাদের বৈবাহিক কলহ/দ্বন্দ কমানোর চেষ্টা যেমন করছি না, তেমনি দাম্পত্য সংকট সারিয়ে তোলার কোনো চর্চাও করছি না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য ঝগড়া-বিবাদ হলেই পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় কিংবা সবচেয়ে বড় যে ধর্মীয় বিধান ও মূল্যবোধের তোয়াক্কা না করে খুব সহজেই একে অপরকে তালাক বা ডিভোর্স দিবো কথাটি খুব সহজেই আমাদের মুখ থেকে বেরিয়ে যায় এবং আমরা দিয়েও ফেলি। এ‘ধরনের চর্চা থেকে বের হওয়া খুবই জরূরী হয়ে পড়েছে কারণ, আবেগের বসে খুব সহজেই ডিাভোর্স দিয়ে ফেললেও, একমাত্র এ‘ধরনের কাজে ভূল করা ভূক্তভোগীরা-ই জানেন যে ডিভোর্স পরবর্তী জীবন কতটা দুর্বিষহ ও ভয়াবহ হয় (দু‘একটি ব্যতিক্রম ছাড়া)।

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান
চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী

যেসব কারণে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি মাদকের চিকিৎসা নিতে চান না, এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও চিকিৎসা করাতে অনীহা প্রকাশ করে...
05/05/2021

যেসব কারণে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি মাদকের চিকিৎসা নিতে চান না, এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও চিকিৎসা করাতে অনীহা প্রকাশ করেন . . .

মাদকাসক্ত ব্যক্তি কেন চিকিৎসা নিতে চায় না I Mohammad Mizanur Rahman Khan I The Clinical PsychologistDrug addiction and its treatment is a very complex phenom...

কখন বুঝবো আমি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং আমার চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন . . .
24/04/2021

কখন বুঝবো আমি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং আমার চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন . . .

When to take Mental health treatment I কখন বুঝবো আমি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং আমার চিকিৎসা প্রয়োজনMany people in Bangladesh are not aware of their mentak health...

22/03/2021

নিজের মোটিভেশনকে স্থায়ী, কার্যকর ও সুদৃঢ় করতে মোটিভেশনাল স্পিচ (Motivational Speech) কিংবা মাইন্ডসেট ট্রেনিং (Mindset Training) এর চেয়ে কার্যকর পদ্ধতি . . .

লিডারশীপ নিতে চান বা নেতৃত্ব দিতে চান? তাহলে, নিচে উল্লেখ করা সমস্যাগুলো আপনার মধ্যে আছে আছে কি না তা আগে যাচাই করুন।সমা...
17/03/2021

লিডারশীপ নিতে চান বা নেতৃত্ব দিতে চান?
তাহলে, নিচে উল্লেখ করা সমস্যাগুলো আপনার মধ্যে আছে আছে কি না তা আগে যাচাই করুন।

সমাধান খুব সহজ। জানি, আপনার জন্য বিশ্বাস করা কঠিন।

মানুষের সামনে কথা বলতে ভয় পান?
একটি মুক্ত আলোচনায় অনেক কথা বলার ইচ্ছা পোষন করলেও বলতে গিয়ে থেমে যান?
অন্যদের সামনে কথা বলতে যাবেন ভাবলেই গলা, মুখ শুকিয়ে আসে?
সাহস নিয়ে কথা বলতে গেলেও কি দিয়ে কি বলবেন গুলিয়ে ফেলেন?
কথা বলা শুরু করলেই হাঁটু থেকে শুরু করে পুরো শরীর কাঁপতে থাকে, তোতলানো শুরু হয়ে যায়।
মঞ্চ বা স্টেজে উঠলেই মনে হয়, কথাগুলো লিখে নিয়ে আসলে বোধ হয় ভালো করতাম।
কথাগুলো লিখে নিয়ে আসলেও সব কথা শেষ না করার আগেই মাইক্রোফোন ছেড়ে দোড় দেন?
মনে হয় যে, পালাতে পারলে বাঁচি?
পরে আফসোস হয় কেন পারলাম না।

আবারও বলছি, সমাধান খুবই সহজ। শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টার সেশনমাত্র...

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের (২০২১) প্রতিপাদ্য “করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব“, বিষয়ে আজ থাকছি জুম মি...
12/03/2021

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এবারের (২০২১) প্রতিপাদ্য “করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব“, বিষয়ে আজ থাকছি জুম মিটিংয়ে রাত নয়টায়। করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে নারীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও তার ভারসাম্য বিষয়ে “মানসিক ও আবেগীয় অবস্থার সংকট এবং করনীয়“ নিয়ে আজকের (১২ ই মার্চ, শুক্রবার) এই আলোচনা...

Address

Flat _ A/3, House _ 117, Arjotpara, Mohakhali, Tejgaon
Dhaka
1215

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট _ The Clinical Psychologist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to দি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট _ The Clinical Psychologist:

Share

Category