Quranic Ruqyah

Quranic Ruqyah তাবিজ-কবজ শিরক-কুফর মুক্ত ইসলামিক চিক?

টাচ করে রোগী সুস্থ করা «দাজ্জালের কৌশল»চিকিৎসার প্রয়োজনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গায়রে মাহরাম নারীর শরীরে সীমিত স্পর্শের প্রয়...
28/09/2025

টাচ করে রোগী সুস্থ করা «দাজ্জালের কৌশল»

চিকিৎসার প্রয়োজনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গায়রে মাহরাম নারীর শরীরে সীমিত স্পর্শের প্রয়োজন থাকতে পারে।
কিন্তু সে যা করে,
নারীদের শরীরে হাত রেখে নাটকীয় ভঙ্গিতে চিকিৎসা, তারপর সেটি ভিডিও করে বিশ্বব্যাপী জনসমক্ষে ছড়িয়ে দেওয়া,
এটাই তার আসল ভণ্ডামী ও শরীয়তবিরোধী কাজ।

কুরআনের দৃষ্টিতে:
আল্লাহ বলেন –
“তাদের কৃতকর্ম তো জাদুকরের কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়; আর জাদুকর কখনো সফল হয় না।”
(সূরা ত্বাহা: ৬৯)

এখান থেকে স্পষ্ট হয়, চোখ ধাঁধানো কৌশল দ্বারা মুহূর্তে সুস্থ করে দেওয়া জাদুর কাজ।

হাদীসের দৃষ্টিতে:
রাসূল ﷺ দাজ্জাল সম্পর্কে বলেছেন –
“সে মানুষকে ফিতনায় ফেলবে, অসুস্থকে সুস্থ করবে, মৃতকে জীবিত করবে বলে দাবি করবে; অথচ এগুলো হবে ধোঁকা ও জাদু।”
(সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ফিতান)

অতএব, স্পর্শ বা অলৌকিক টাচ দ্বারা সুস্থ করার দাবি আসলে দাজ্জালের নিদর্শন।

উলামায়ে কেরামের বক্তব্য:

ইমাম ইবন কাসীর (রহ.) বলেন: “দাজ্জালের অলৌকিক চিকিৎসা ও মৃত জীবিত করা বাস্তব নয়; বরং শয়তান ও জাদুর কৌশল।” (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)

শাইখ সালেহ ফাওজান বলেন: “শরীয়তের বাইরে গায়রে মাহরাম স্পর্শ বা টাচ দ্বারা চিকিৎসা করাকে জাদুর অন্তর্ভুক্ত ধোঁকা বলা হয়।”

উপসংহার:
স্পর্শ বা টাচ করে রোগীকে মুহূর্তে সুস্থ করা আল্লাহর শরীয়ত নয়। এটি দাজ্জালের ফিতনা ও জাদুরই অংশ।

প্রকৃত শিফা কেবল কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক রুকইয়াহ ও আল্লাহর ইচ্ছাতেই আসে।

তাবিজ-কবজ, শিরক-কুফর মুক্ত কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ পেতে 01986-679887

21/09/2025

রিজিক ভাগ হয় না
নিজের রিজিক অন্যের নয়,
অন্যের রিজিকও আপনার না।
তবু হিংসা, জাদু — কেন?

13/09/2025

দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য আমলঃ

বিবাহ ইসলামের অন্যতম প্রধান সামাজিক বিধান এবং মহানবী ﷺ-এর এক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ।

বিয়ে করা শুধু মহানবী মুহাম্মাদ ﷺ-এর সুন্নাহই নয়; বরং তা অন্যান্য নবীগণেরও সুন্নাহ। আল্লাহ তা'আলা বলেন:

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلاً مِنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجاً وَذُرِّيَّةً

আমি আপনার পূর্বে অনেক রাসূল প্রেরণ করেছি এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান দিয়েছি। (সূরা রাদ : ৩৮)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: "নিশ্চয়ই আমি নারীদের বিয়ে করি। সুতরাং যে আমার সুন্নাহ থেকে বিমুখ হবে, সে আমার (উম্মাহর) অন্তর্ভুক্ত নয়।"
(সহিহ বুখারী : ৫০৬৩;
সহিহ মুসলিম : ১৪০১)

দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য আমলঃ

(প্রতিদিন ফজর এবং মাগরীবের ফরয সালাতের পর পড়বেন)

দরূদে ইব্রাহীম (৩ বার)

اَللّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَىٰ اٰلِ مُحَمَّدٍ

হে আল্লাহ্‌! মুহাম্মাদ(সঃ)-এর উপর এবং মুহাম্মাদ(সঃ)-এর বংশধরগণের উপর রহমত নাযিল করুন।

كَمَا صَلَّيْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَعَلَىٰ اٰلِ إِبْرَاهِيمَ

যেমন আপনি রহমত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম(আঃ) এবং ইবরাহীম(আঃ)-এর বংশধরগণের উপর।

إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ

নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসনীয়,সম্মানীয়।

اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَىٰ اٰلِ مُحَمَّدٍ

হে আল্লাহ্‌! মুহাম্মাদ(সঃ)-এর উপর এবং মুহাম্মাদ(সঃ)-এর বংশধরগণের উপর বরকত দিন।

كَمَا بَارَكْتَ عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَعَلَىٰ اٰلِ إِبْرَاهِيمَ

যেমন আপনি বরকত দিয়েছিলেন ইবরাহীম(আঃ) এবং ইবরাহীম(আঃ)-এর বংশধরগণের উপর।

إِنَّكَ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ

নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসনীয়,সম্মানীয়।

(বুখারী : ৩৩৭০)

• সূরা কাসাসের ২৪ নং আয়াতের অংশ (৭ বার)

رَبِّ اِنِّيْ لِمَاۤ اَنْزَلْتَ اِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيْرٌ

আয়াতের অর্থঃ
হে আমার রব, নিশ্চয় আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহই নাযিল করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী।

কখন, কোন পরিস্থিতিতে মূসা (আঃ) এই দু'আ করেছিলেন তা বুঝতে সূরা কাসাস এর (১৫-২৪) নাম্বার আয়াত পড়তে পারেন এখান থেকে– **লিংক প্রথম কমেন্টে**

• সূরা তাওবাহ্ ১২৯ নং আয়াতের অংশ (৭ বার)

حَسْبِيَ اللّٰهُ ﻵ إِلٰهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

আয়াতের অর্থঃ
আমার জন্য আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন সত্য ইলাহ্ নেই । আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহা’আরশের রব।

ইস্তিখারার সংক্ষিপ্ত দু'আ (৭ বার)

‏ اللَّهُمَّ خِرْ لِي وَاخْتَرْ لِي ‏

"আল্লহুম্মা খিরলী ওয়াখ তারলী।"
(আরবি পড়া উত্তম, বাংলায় পড়লে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে)

আয়াতের অর্থঃ
হে আল্লাহ্‌! আমার জন্য যেটা মঙ্গল সে দিকে আমাকে চালিত করুন।

(সুনান তিরমিযী : ৩৫১৬;
সুনান ইবনু মাজাহ্ : ১৫৫৭)

দরূদে ইব্রাহীম (৩ বার)

- মুফতি আরিফুল ইসলাম উস্তায কর্তৃক আমলকৃত এবং বর্ণনাকৃত (ইরানের একজন শায়েখ থেকে সংগৃহীত)


এই আমলটি করার পর এক গ্লাস পানি নিন। তাতে নিয়্যাত সহ সাত বার করে সূরা ফাতিহা, সূরা নাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা ইখলাস, সূরা কাফিরুন এবং আয়াতুল কুরসী পড়ে ফুঁ দিন। প্রতিবার সূরা পড়ার পর একবার করে পানিতে ফুঁ দিবেন। এরপর এই পড়া পানিটুকু নিয়্যাত অনুযায়ী পান করবেন।

নিয়্যাতঃ বিয়ের উপর থাকা সকল বাঁধা অথবা যাদু, নজর, হাসাদ ও জ্বীনকে ধ্বংস করা।

• দ্রুত বিয়ের আমল হিসেবে শায়খ আতিক উল্লাহ হুজুরের লিখাটি নিচে সংযুক্ত করে দেওয়া হলো–

১. বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। যথাসম্ভব সার্বক্ষণিক এস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা।
২. সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতটা পড়তে পারি। প্রতি ফরজ নামাজের পর তো বটেই, সুযোগ পেলেই দোয়াটি গভীর আবেগ নিয়ে পড়তে পারি।

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

৩. বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে দুয়া কবুল হওয়ার সময়গুলো একটাও যেন দোয়াবিহীন না যায়।

৪. আমল-দোয়ার পাশাপাশি হালাল পন্থায় পাত্র/পাত্রীর খোঁজ করাও জরুরী।

৫. অনেক সময় জাদু-সিহর করে বিয়ে আটকে রাখা হয়। এজন্য রুকইয়া করা।

৬. নিয়মিত সদকা করা।

রেজওয়ান আলম ভাই
সংগৃহীত

ব্লাড মুনের ভয়ঙ্কর রাত: যাদুকরদের নবায়ন কার্যক্রম ও আক্রান্তদের জন্য জরুরি রুকইয়াহ নির্দেশিকাআজকের ব্লাড মুন (Blood Moon...
07/09/2025

ব্লাড মুনের ভয়ঙ্কর রাত: যাদুকরদের নবায়ন কার্যক্রম ও আক্রান্তদের জন্য জরুরি রুকইয়াহ নির্দেশিকা

আজকের ব্লাড মুন (Blood Moon) নিয়ে যাদুকররা যে বিশেষ পরিচর্চা বা রিনিউ করে থাকে, সেটি আসলে কালো জাদুর এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতা। জ্যোতিষ ও চন্দ্র-গ্রহনের সময়কালকে তারা শক্তি সঞ্চয়ের সময় বলে মনে করে। বিশেষ করে ব্লাড মুনের রাতকে তারা নতুন জাদু বাঁধার, পুরোনো জাদু শক্তিশালী করার এবং আক্রান্তদের উপর প্রভাব আরও গভীর করার জন্য ব্যবহার করে।

#ব্লাড_মুন_কি?
ব্লাড মুন ( ) আসলে একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের বিশেষ অবস্থা।
🔹 যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে এসে যায়, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে।
🔹 সরাসরি সূর্যের আলো না গিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে ছেঁকে আসা সূর্যের লালচে আলো চাঁদে প্রতিফলিত হয়।
🔹 তাই চাঁদকে তখন রক্তের মতো লালচে দেখা যায়, যাকে বলা হয় ব্লাড মুন।

📌 সংক্ষেপে:
ব্লাড মুন = পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, যখন পৃথিবীর ছায়ার কারণে চাঁদ লালচে-লাল হয়ে যায়।

🔴 আজকের রাতের তাৎপর্য (বাংলাদেশ সময় রাত ১১:৩০ মিনিট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে):

এসময় অনেক আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ মাথা ভারি হয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, অকারণ ভয় লাগা, ঘুম না আসা বা হঠাৎ হাহাকার করে কান্না আসা – এরকম উপসর্গ টের পাবেন।

কারও কারও ক্ষেত্রে পুরোনো ব্যথা, শরীরের দুর্বলতা বা অবসাদ দ্বিগুণভাবে বেড়ে যাবে।

কিছু রোগী যাদের উপর "আশিক জিন" বা "বিচ্ছেদের জাদু" করা আছে, তারা অস্বাভাবিক টান, দুঃস্বপ্ন বা অকারণ ঝগড়া-বিবাদের মধ্যে জড়িয়ে পড়বেন।

অনেকের মধ্যে মানসিক অস্থিরতা ও আত্মহত্যার প্রলুব্ধ চিন্তা পর্যন্ত জেগে উঠতে পারে।

✅ কেন জাদুকররা ব্লাড মুনকে বেছে নেয়?
কারণ তারা বিশ্বাস করে এই সময়ে প্রকৃতির এক বিশেষ শক্তি (যা বাস্তবে শয়তানি প্রভাব ছাড়া আর কিছু নয়) তাদের জাদু কাজে সাহায্য করে। তাই তারা পুরোনো তাবিজ, মন্ত্র ও আত্মিক দাসত্ব নবায়ন করে।

#আক্রান্তদের_জন্য_করণীয় আজকের রাতে:

১. বেশি বেশি করে আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস এবং সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ুন।
২. পানিতে ফুঁ দিয়ে পরিবার-পরিজন সবাইকে খাওয়ান এবং ঘরে ছিটিয়ে দিন।
৩. আক্রান্তরা বিশেষভাবে সূরা ইয়াসিন বা সূরা সাজদা তিলাওয়াত করলে অনেক প্রশান্তি পাবেন।
৪. রাতের বেলায় যতটা সম্ভব তাহাজ্জুদ ও দোয়ার মধ্যে সময় কাটান।

# আজকের রাতে যদি কারও উপসর্গ হঠাৎ বেড়ে যায় বা অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দেয়, সেটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরা হবে—কারণ জাদুর নবায়নকালে শয়তানি প্রভাব দ্বিগুণ সক্রিয় থাকে।

ঠিক আছে। আজকের ব্লাড মুনের (বাংলাদেশ সময় আনুমানিক রাত ৮:২৮ মিনিট থেকে) প্রভাব মোকাবিলার জন্য আক্রান্তদের উদ্দেশ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ রুকইয়াহ গাইডলাইন সাজিয়ে দিলাম।

ব্লাড মুন রুকইয়াহ গাইডলাইন (আক্রান্তদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা)

🔹 ধাপ ১: নিয়ত ও প্রস্তুতি

প্রথমে মনে দৃঢ় নিয়ত করুন: “আমি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো কাছে সাহায্য চাই না, এই রুকইয়াহ কেবল আল্লাহর জন্য।”

ওযু করে পরিষ্কার কাপড়ে নামাজের স্থানে বসুন।

🔹 ধাপ ২: পরিবেশ প্রস্তুতি

ঘর থেকে যতটা সম্ভব ছবি, গান-বাজনা ও অশরীয় নাজায়েজ জিনিস সরিয়ে ফেলুন।

এক গ্লাস পানি ও এক বোতল খেজুরের তেল (অথবা সরিষার তেল) পাশে রাখুন।

🔹 ধাপ ৩: সুরক্ষার আমল

১. আযকার:
৩ বার সূরা ইখলাস
৩ বার সূরা ফালাক
৩ বার সূরা নাস

প্রতিবার শেষে শরীরের ওপর ফুঁ দিন, বিশেষ করে মাথা ও বুকের দিকে।

২. আয়াতুল কুরসি (১ বার)

তারপর হাত দিয়ে পুরো শরীর মুছে নিন।

৩. সূরা বাকারা শেষ দুই আয়াত (২৮৫-২৮৬)

পড়ার পর পানি ও তেলের ওপর ফুঁ দিন।

🔹 ধাপ ৪: মূল রুকইয়াহ পাঠ

ধীরে ধীরে এবং তাদব্বুর সহকারে পড়ুনঃ

সূরা ফাতিহা (৭ বার)
সূরা বাকারা (আয়াত ১-৫, ১০২, ১৬৩-১৬৪, ২৫৫, ২৮৫-২৮৬)
সূরা আলে ইমরান (১৮-১৯)
সূরা আ’রাফ (১১৭-১২২)
সূরা ইউনুস (৮১-৮২)
সূরা ত্বাহা (৬৯)
সূরা মুমিনুন (১১৫-১১৮)
সূরা সাফফাত (১-১০)
সূরা জিন (১-১০)
সূরা ফালাক, সূরা নাস (প্রতিটি ৭ বার)

প্রতিবার পড়া শেষে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের দিকে বা পানির দিকে ফুঁ দিন।

🔹 ধাপ ৫: ব্যবহারিক প্রয়োগ

পানি আক্রান্তকে পান করান এবং গোসলের সময় শরীরে ঢালতে দিন।
তেল আক্রান্তের মাথা, বুক ও পায়ের পাতায় মালিশ করুন।

🔹 ধাপ ৬: নামাজ ও দোয়া

আজ রাতে অন্তত ২ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ুন।

সিজদার মধ্যে বেশি করে বলুন:
اللهم اشفني شفاءً تامًا عاجلًا من عندك
(আল্লাহুম্মা ইশফিনি শিফা’ন তাম্মান ‘আাজিলান মিন ‘ইন্দিকা)
👉 “হে আল্লাহ! আমাকে এমন পূর্ণ সুস্থতা দাও যা দ্রুত হবে এবং কেবল তোমার পক্ষ থেকেই আসবে।”

🔹 ধাপ ৭: লক্ষণ পর্যবেক্ষণ (Feedback)

আজকের রাতে আক্রান্তরা লক্ষ্য করবেনঃ

১) কারও মাথাব্যথা হঠাৎ বেড়ে যাবে।

২) কারও মধ্যে চিৎকার, কান্না, হাসাহাসি বা অস্বাভাবিক নড়াচড়া দেখা দিতে পারে।

৩) কেউ হঠাৎ ভারি হয়ে শুয়ে থাকতে চাইবে।

৪) কেউ অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাবে।

👉 এগুলো রুকইয়াহ কার্যকর হওয়ার লক্ষণ। ভয় পাবেন না, বরং বেশি বেশি পড়তে থাকুন।

🔰 সতর্কতা:

এই রাতে আতঙ্কিত হয়ে রুকইয়াহ বন্ধ করবেন না।

নিয়মিত চালিয়ে যান এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন।

কাল সকালেই আক্রান্তদের ফিডব্যাক নোট করুন।

সমস্যা বেশি হলে অভিজ্ঞ রাক্বির পরামর্শ নিন।

28/06/2023

মনে রাখা জরুরীঃ
গরু জবাই দেখলে মাথা ঘোরা অস্থির লাগা বা গরুর গোস্ত খেলে বমি ভাব বা পেটে ব্যাথা করা।
শরীরে অমুসলিম জ্বিন থাকার লক্ষণ।

বাংলাদেশ উল্লেখ যোগ্য সকলের পরিচিত জনপ্রিয় বক্তা হাবিবুর রহমান মিছবাহ সাহেব জ্বিন ও মারাত্মক  জাদুটোনায় আক্রান্ত।আল্লাহ ...
24/05/2023

বাংলাদেশ উল্লেখ যোগ্য সকলের পরিচিত জনপ্রিয় বক্তা হাবিবুর রহমান মিছবাহ সাহেব জ্বিন ও মারাত্মক জাদুটোনায় আক্রান্ত।

আল্লাহ পাক তাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন #আমিন

আমি সবাইকে সব সময় সতর্ক করি যেহেতু আমাদের শেষ নবী (সাঃ) জাদুটোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাঁর মানে তাঁর উম্মতের মধ্যে কমবেশি অনেকেই জ্বিন ও জাদুটোনায় আক্রান্ত হতে পারে এজন্য সব সময় সতর্ক থাকা জরুরী।

 #বাঁচতে_হলে_জানতে_হবে, বুঝেশুনে চলতে হবে।বেশিরভাগ মানুষ বদনজর-হিংসাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। ভাবে দুর এতে আর কি হবে??এতো ...
29/11/2022

#বাঁচতে_হলে_জানতে_হবে, বুঝেশুনে চলতে হবে।

বেশিরভাগ মানুষ বদনজর-হিংসাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। ভাবে দুর এতে আর কি হবে??

এতো কোন সমস্যা 'ই হবেনা, নজর লাগলে কি কি সমস্যা হতে পারে পড়ুন।

তাদের জন্য দুইটি হাদিস।

✅যদি বুঝা যায় নজর লেগেছে অমুক ব্যক্তি দ্বারা তাহলে তার ওজুর পানি দ্বারা গোসল দিলেই নজর কেটে যায়।

🔴একজন মানুষ দির্ঘদিন নজর দ্বারা আক্রান্ত থাকলে তার মাঝে জ্বিনের উপস্থিতি এমনি থাকে ৭০% রুগীকেই জ্বিনে আছর করে কিন্তু হিডেন থাকে, কেউ বুঝতে পারেনা।

বদনজরে আক্রান্তের লক্ষণঃ

১। ব্যবসা বানিজ্য ঝামেলা লেগে থাকে, ইনকামে বরকত হয়না, আস্তে আস্তে ইনকাম কমে আসে।

২। দোকানে আগে বিক্রি ভালো হলেও পরবর্তীতে কমতে থাকে।

৩। সংসারে আয় উন্নতি হয়না। কোন কাজ হয়ে গিয়েও হয়না

৪। চাকরি হয়েছে সব কিছু ঠিক আছে কিন্তু দেখা যায় সেই চাকরিটা চলে গেছে কোন কারন ছাড়াই।

৫। কারো নজর লাগলে অসুস্থতা, রোগ বালাই পিছু ছাড়েনা!

৬। যে কোনো সমস্যা লেগেই থাকে একের পর এক।

৭। বাঁধাগ্রস্থ হওয়া। (বিবাহ, চাকরি, ব্যাবসা বানিজ্য, বিদেশে যাওয়া বা আয় উন্নতি সহ যে কোনো কাজে ঝামেলা লেগে থাকা)

৮। মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, স্বামী স্ত্রী অল্পতেই রাগারাগি করে! আর আবিয়াত্তা গুলি মেজাজ দেখায়।

৯। খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়না! নাকে গ্রাণ পাওয়া যায়না!

১০। শরীরের তাপমাত্রার কখনো সহনীয় আবার কখনো উচ্চমাত্রা হয়ে যায়।

১১। প্রেশার কখ‌নো হাই আবার কখ‌নো লো হয়ে যায়।

১২। শরীরের জ্বর জ্বর ভাব থাকেই ডাক্তার জ্বর খুজে পায়না। তবে ডাক্তার এইডারে বাতজ্বর বইলা দেয়।

১৩। ইবাদত করতে ইচ্ছে করেনা! জিকির আজকার ভালো লাগেনা।

১৪। যে কোনো রোগ বা অসুস্থতা দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও ভালো না হওয়া।

১৫। বাচ্চাদের নজর লাগলে তাদের ঠান্ডা কাশি পিছু ছাড়েনা -খাবার খেতে চায়না -কান্নাকাটি করে -ঘুমাতে চায়না -ইত্যাদি

১৬। দীর্ঘদিন বদনজরের কারণে খাদেম জ্বিন আছে কিনা সেটা বোঝার সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে সরাসরি রুকইয়াহ করতে বাঁধাগ্রস্থ হওয়া, সেল্ফ রুকইয়াহ আমল করতে ভুলে যাওয়া বা কষ্ট হওয়া।

✅আর একটা বিষয় সকলের জানা জরুরী হিংসা থেকেই সকল প্রকার জাদুটোনা শুরু হয়। সময় থাকতে রুকইয়াহ করুন তাহলে কেউ জাদু করতে পারবেনা বা করলেও কাজ হবেনা। ইনশাআল্লাহ

জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ

العين تدخل الرجل القبر وتدخل الجمل القدر

অর্থঃ বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত পৌছে দেয় এবং উটকে পাতিলে ।
(সহীহ আল জামেঃ শাইখ আলবানী (রহঃ) সহীহ বলেছেনঃ ১২৪৯)

অর্থাৎ মানুষের নজর লাগায় সে মৃত্যুবরণ করে, যার ফলে তাকে কবরে দাফন করা হয়। আর উটকে যখন বদ নজর লাগে তখন তা মৃত্যু পর্যায়ে পৌছে যায় তখন সেটা যবাই করে পাতিলে পাকানো হয় ।

জাবের (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ

أكثر من يموت من أمتي بعد قضاء الله وقدره بالعين

অর্থঃ আমার উম্মতের মধ্যে তাকদীরের মৃত্যুর পর সর্বাধিক মৃত্যু বদ নজর লাগার দ্বারা হবে। (মুসনাদে বাযযার)

আয়াতুল কুরসির ফজিলত নিয়ে একটি চমকপ্রদ ঘটনা #শানে_নুজুলপবিত্র কোরআনের সুরা বাকার ২৫৫ নং আয়াত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আয়...
03/11/2022

আয়াতুল কুরসির ফজিলত নিয়ে একটি চমকপ্রদ ঘটনা

#শানে_নুজুল

পবিত্র কোরআনের সুরা বাকার ২৫৫ নং আয়াত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আয়াত। তা আয়াতুল কুরসি নামে পরিচিত। দুনিয়া ও আখেরাতের সব অকল্যাণ থেকে মুক্তি লাভে হাদিসে এ আয়াত পাঠের নির্দেশনা এসেছে।

মৃত্যুর পর জান্নাতের নিশ্চয়তা : প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর এই আয়াত পাঠে জান্নাতের নিশ্চয়তার কথা বর্ণিত হয়েছে। আবু উমামা আল বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যুর ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (নাসায়ি, হাদিস নং : ৯৯২৮)

কিয়ামতের দিন মানুষ নিজকর্মের ফল ভোগ করবে। এতে অনেক মুমিন কেউ সরাসরি জান্নাত লাভ করবে। অনেকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগের পর জান্নাতে যাবে। অবশ্য মানুষের নিষ্ঠাপূর্ণ অনেক আমলের কারণে আল্লাহ নিজের বিশেষ অনুগ্রহে অনেক পাপী মুমিনকে সরাসরি জান্নাত দেবেন।

آية الكرسي مكتوبة

সুরা বাকার ২৫৫ নং আয়াত।

কোরআনের সবচেয়ে সম্মানিত আয়াত : উবাই বিন কাব (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন রাসুল (সা.) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আবুল মুনজির, তুমি কি জানো, কোরআনের কোন আয়াত সবচেয়ে সম্মানিত?’ আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই তা বেশি জানেন। রাসুল (সা.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আবুল মুনজির, তুমি কি জানো, কোরআনের কোন আয়াত সবচেয়ে সম্মানিত?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহ হুওয়াল ...’ অর্থাৎ আয়াতুল কুরসি। রাসুল (সা.) আমার বুকে হাত দিয়ে বললেন, হে আবুল মুনজির! তোমাকে উত্তম জ্ঞানের জন্য শুভেচ্ছা।’ অন্য বর্ণনা এসেছে, তিনি বলেন, ‘সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, এ সুরার একটি জিহ্বা ও দুটো ঠোঁট আছে, যা দিয়ে সে আরশের অধিপতির পবিত্রতা বর্ণনা করে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ৮১০)

শয়তানের সঙ্গে সাহাবির আলাপ : অনেক সময় মানুষের রূপ ধারণ করে শয়তান মানুষের কাছে আসে। বিভিন্ন পবিত্র কোরআন ও হাদিসে মানুষের চিরশত্রু শয়তানের এমন বর্ণনা এসেছে। নিম্নে সহিহ বুখারি গ্রন্থে উল্লিখিত একটি প্রশিদ্ধ ঘটনা বর্ণনা করা হলো।

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘আমাকে রাসুল (সা.) জাকাতের সম্পদ সংরক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করেন। অতঃপর এক খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। আমি ধরে ফেলি। তাকে বললাম, আমি তোমাকে রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব। সে বলল, আমি অভাবী। আমার অভাব-অনটন। আমি তাকে ছেড়ে দেই। সকালবেলা রাসুল (সা.) বললেন, হে আবু হুরায়রা, গত রাতে তোমার বন্দী কী করেছে? আমি বললা, হে আল্লাহর রাসুল, পরিবারের অভাব-অনটনের কথা জানায়। তার প্রতি আমার করুণা হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সে তোমাকে মিথ্যা বলেছে। সে আবার আসবে। রাসুল (সা.)-এর কথায় আমার বিশ্বাস হলো, সে অবশ্যই আবার আসবে।

অতঃপর আমি তার অপেক্ষায় থাকলাম। সে আবার এসে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। এবার তাকে ধরে বললাম, আমি তোমাকে রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব। সে বলল, আমি অভাবী। আমার অভাব-অনটন। আমি তাকে ছেড়ে দেই। সকালবেলা রাসুল (সা.) বললেন, হে আবু হুরায়রা, গত রাতে তোমার বন্দী কী করেছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, পরিবারের অভাব-অনটনের কথা জানায়। তার প্রতি আমার করুণা হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছি।’

যে আমল শিখিয়ে শয়তানের মুক্তি : ‘অতঃপর আমি তৃতীয় রাতেও তার অপেক্ষায় থাকলাম। সে আবার এসে খাবার নিয়ে যাচ্ছিল। এবার তাকে ধরে বললাম, এবার আমি তোমাকে অবশ্যই রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব। এবারের মতো তৃতীয় বারও তুমি না আসার কথা বলবে। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি আপনাকে এমন কিছু কথা শেখাব যেগুলো পড়লে আল্লাহ আপনার উপকার করবেন। আমি বললাম, তা আবার কী? সে বলল, যখন আপনি বিছানায় যাবেন তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন। অতঃপর সে পুরো আয়াত পাঠ করে। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য একজন প্রহরী থাকবে। আর সকাল পর্যন্ত কোনো শয়তান আপনার কাছে আসবে না।’

মিথ্যুক যখন সত্য বলে : ‘তার কথা ‍শুনে আমি তাকে ছেড়ে দেই। সকালবেলা রাসুল (সা.) বললেন, হে আবু হুরায়রা, গত রাতে তোমার বন্দী কী করেছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আজ সে বলল, আমাকে সে এমন কিছু কথা শেখায় যা পড়লে আল্লাহ আমার উপকার করবেন। তাই আমি তাকে ছেড়ে দেই। তিনি বললেন, সে কী বলেছে? আমি বলল, সে আমাকে বলেছে, ‘আপনি যখন বিছানায় যাবেন তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য একজন প্রহরী থাকবে। আর সকাল পর্যন্ত কোনো শয়তান আপনার কাছে আসবে না।’ রাসুল (সা.) বলেন, শুনে রাখো, সে সত্য বলেছে যদিও সে চরম মিথ্যুক। হে আবু হুরাইরা, তুমি কি জানো, গত তিন রাতে কার সঙ্গে আলাপ করেছ? আমি বললাম, না। রাসুল (সা.) বললেন, সে ছিল শয়তান।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ২৩১১)

বিবাহিত জীবনে আসিক জ্বিনের লক্ষণপ্রেমিক বা আসিক জ্বিন  হল সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রকারের জ্বীনদের মধ্যে একটি, এই জ্বিন  একজন ...
26/10/2022

বিবাহিত জীবনে আসিক জ্বিনের লক্ষণ

প্রেমিক বা আসিক জ্বিন হল সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রকারের জ্বীনদের মধ্যে একটি, এই জ্বিন একজন ব্যক্তিকে ভালোবাসেন এবং তারপর তাকে স্পর্শ করেন।

আসিক বা প্রেমিক জ্বিন দুইভাবে একজন মানুষ কে প্রভাবিত করে। কখনও সে নিজের ইচ্ছে
হিংসা করে বসবাস শুরু করে আবার কখনো যাদু দ্বারা দেহে বাস করে এবং সময়ের সাথে সাথে এটি প্রেমিকে পরিণত হয় এবং বসবাস শুরু করে যা পুর্বে অন্য এক লিখায় লিখেছি।

অনেক বিবাহিত পুরুষ মহিলা যারা চরম ক্লান্তিতে ভোগেন তারা অবাক হয়ে যান এবং এর কারণ হল তারা আসিক জ্বীনের দ্বারা তীব্র স্পর্শে উন্মোচিত হয়েছেন বিশেষ করে বিবাহিত পুরুষ মহিলাদের জন্য, যখন একজন মহিলা একজন পুরুষকে বিয়ে করে,বা একজন পুরুষ একজন মহিলাকে বিয়ে করেন এবং তারা প্রেমিক বা আসিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত তারা জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হবেন! বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝামেলা সৃষ্টি করেই রাখে। যৌন মিলন থেকে বিরত থাকে। সে তার সাথে সহবাস ঘৃণা করে এবং তার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পছন্দ করে।


বিবাহিত জীবনে আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত লক্ষণ সমুহ :-

(১) একজন বিবাহিত নারী ঘুমের সময় তার কাছাকাছি কেউ শ্বাস নিচ্ছে অনুভব করা ।

(২) কোনো হাত তাকে স্পর্শ করছে বা তার চুলে স্পর্শ করছে।
(৩)কখনো কল্পনা বা স্বপ্নে দেখতে পান যে তিনি তার এবং তার স্বামীর মধ্যে তুচ্ছ কারণে ঝামেলা করছেন।

(৪) স্বামীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করা এবং তাকে দেখলে মন খারাপ করা।

(৫)পায়ে এবং উরুতে বেশ কয়েকটি ক্ষতচিহ্নের উপস্থিতি, ক্ষতচিহ্ন রঙ নীল বা সবুজ দেখতে পাওয়া।

(৬)একজন মহিলা তার স্বপ্নে পোশাক ছাড়া একজন পুরুষকে দেখেন এবং তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হচ্ছে বা কোন পরিচিত ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক করছে দেখা।
(৭) স্বামী এবং তার স্ত্রীর মধ্যে যৌন সম্পর্কের অনুপস্থিতি এবং ফিজিক্যাল ভাবে মিলিত হতে অনিচ্ছা।

(৮) স্বামী এবং স্ত্রী নির্জনতায় আরাম খোঁজে, আর তার ঢিলেঢালা পোশাক পরার আকাঙ্ক্ষা।

(৯) পুরুষদের মধ্যে পুরুষত্বহীনতা, অকাল বীর্যপাত।

(১০) স্বামী স্ত্রী উভয়ই বিনা কারণে নাভি, যৌনাঙ্গে ব্যথা অনুভব করা।

(১১)উভয়ই বাথরুমে বসে অনেকক্ষণ সময় কাটা‌নো।

(১২) ঘুমানোর সময় পারফিউমের গন্ধ অনুভব করা।

(১৩)একজন বিবাহিত পুরুষ মহিলার সাথে কথা বলার সময় ঘেমে যাওয়া এবং তার অন্ডকোষে ব্যথা অনুভব করে। মহিলারা ডিম্বাশয়ে /জরায়ুতে ব্যথা অনুভব করেন।

(১৪)একজন নারী কখনো তার গোপন অঙ্গ পিঁপড়ে মতো কিছু চলাচল করে অনুভব করা এবং জরায়ুতে কিছু নড়াচড়া অনুভব করা এবং সাদা স্রাব নির্গত হওয়া।

(১৫)বাচ্চা কন্সিব করার এক দুই মাসের মধ্য তা কোন কারণ ছাড়া নষ্ট হয়ে যাওয়া (এটা কখনো গর্ভে সন্তান নষ্টের যাদু করে থাকলে এমন হয়)

(১৬)স্বামী স্ত্রী বিছানায় শুইতে গেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এটা কখনো হাসাদের সমস্যা জন্য হয়।

(১৭)স্বামী স্ত্রী উভয়ই কখনো কখনো অন্যজনের সাথে প্রণয়ের কথা বলতে আগ্রহ জাগা এবং বলা।
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রণয়ের কথা বলার চরম বিরক্ত লাগা।

কি কি উদ্যেশ্যে যাদু করা হয়ে থাকে সাধারনত?(ক,খ,গ এগুলো রিয়েকশন। মুল উদ্যেশ্য না। যাদুর কারনে হয় আবার যাদু ছাড়াও হতে পারে...
21/10/2022

কি কি উদ্যেশ্যে যাদু করা হয়ে থাকে সাধারনত?

(ক,খ,গ এগুলো রিয়েকশন। মুল উদ্যেশ্য না। যাদুর কারনে হয় আবার যাদু ছাড়াও হতে পারে)....

১) অসুস্থ করার যাদু
ক) বোবা করার যাদু
খ) প্যারালাইজড করার যাদু
গ) অন্ধ বধির বানানোর যাদু
ঘ) শ্বাসকষ্টের সমস্যার যাদু
ঙ) যে কোনো রোগ মেডিকেল ডাক্তার চিকিৎসায় স্থায়ী কাজ না করা, সাময়িক কিছুদিন কাজ করলেও পরে আবার যা-তাই।

২) পাগল করার যাদু
ক) অন্তরের উপর, ঈমানের উপর যাদু
খ) চরিত্র ধংসের উদ্যেশ্যে করা যাদু
গ) কল্পনাপ্রবন যাদু (হ্যালুসিনেশন)
ঘ) কুমন্ত্রনার যাদু (সিহরুল ওয়াসওয়াস)
ঙ) ভুলে যাওয়ার যাদু
চ) নিরাবেগ বা হতাশার যাদু

৩) মেরে ফেলার যাদু

৪) উন্নতির উপরে যাদু। যেমন-
ক) অবমাননা ও আপমানের উদ্যেশ্যে করা যাদু

৫) রিযিকের উপর যাদু যেমন-
ক) আয় উন্নতি বরকত নষ্টের যাদু (অনেক টাকা ইনকাম করার পরে কোথায় কিভাবে নষ্ট হচ্ছে হিসাব মিলাতে না পারা
খ) ব্যবসায় দেউলিয়া বানানোর যাদু
ঘ) চাকরি না পাওয়া ইত্যাদি।

৬) কাজ ধংস করার যাদু

৭) বিচ্ছেদের যাদু। যেমন-
ক) ভাইয়ে ভাইয়ে বিচ্ছেদের যাদু
খ) হাজবেন্ড ওয়াইফের মধ্যে বিচ্ছেদের যাদু
গ) বাবা মা ও সন্তানের মধ্যকার বিচ্ছেদের যাদু

৮) বিয়ে বন্ধের যাদু। যেমন-
ক) প্রস্তাব আসলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া
খ) প্রস্তাব অযৌক্তিকভাবে একেবারেই না আসা
গ) প্রস্তাব আসলে কোন কারন ছাড়াই ফিরে যাওয়া

৯) বাচ্চা নষ্ট হওয়ার যাদু
১০) আসক্ত করা বা বশীকরন যাদু
১১) পড়াশুনা ধংসের যাদু
১২) সম্পত্তি দখলের উদ্যেশ্যে যাদু
১৩)যৌন ক্ষমতা অক্ষম করার যাদু

বিঃদ্রঃ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া যাদু কার্যকর হয় না।

অনেকেই অবগত আছেন, গতমাস ২বার হোম সার্ভিসে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম।এটা ছিল গতমাসের চট্টগ্রামের প্রথম পেশেন্ট যার পেট থেকে একে...
18/10/2022

অনেকেই অবগত আছেন, গতমাস ২বার হোম সার্ভিসে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম।
এটা ছিল গতমাসের চট্টগ্রামের প্রথম পেশেন্ট যার পেট থেকে একেরপরএক জাদু বের হয়েছিল।
১ম বের হলো সুতা, তার পর আবারও সুতা, পরবর্তীকে বের হলো তাবিজ। তারপর বের হলো নক। এর পর ঘরে থাকা জাদু উদ্ধার হলো সর্বশেষ আমি চলে আসার পরে পেট থেকে আবারও বমির মাধ্যমে সুতা বের হলো।

#পেশেন্টের সমস্যা ছিল হত্যা এবং বিয়ে বন্ধের জাদু।
জাদুকরের চলানকৃত জ্বিন বা খাদেম জ্বিন, আশিক জ্বিন, মারিদ বা জদুকর জ্বিন।
আলহামদুলিল্লাহ এতো সমস্যা থাকার পরেও মাত্র ৩ দিনের এক সেশন রুকইয়াহ'তে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে।

আগামী কাল পেশেন্ট এর বিয়ে দোয়া করি দাম্পত্য জীবন সুখী শান্তির জীবন জাপান করুক। আমিন

 #সকলের_পড়া_এবং_জানা_জরুরীজীবরিল আলাইহিস সালাম রাসুল সাঃ এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন। হে মুহাম্মাদ! আপনি কী আপনার রবের কাছ...
17/10/2022

#সকলের_পড়া_এবং_জানা_জরুরী

জীবরিল আলাইহিস সালাম রাসুল সাঃ এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন। হে মুহাম্মাদ! আপনি কী আপনার রবের কাছে কোন (অসুস্থতার) ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন? রাসুল সাঃ বললেন, হ্যা। প্রতি উত্তরে জীবরিল আঃ বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি। এমন প্রত্যেক বস্তু থেকে যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। প্রত্যেক কষ্টদানকারী ব্যক্তি থেকে এবং হাসাদ দানকারীর বদনজর থেকে। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুক। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে রুকইয়াহ করছি।

أنَّ جِبْرِيلَ أَتَى النَّبيَّ صلَّى اللَّهُ عليه وسلَّمَ فقالَ: يا مُحَمَّدُ اشْتَكَيْتَ؟ فقالَ: نَعَمْ، قالَ: باسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ، مِن كُلِّ شَيءٍ يُؤْذِيكَ، مِن شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ، أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللَّهُ يَشْفِيكَ، باسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ.

الراوي : أبو سعيد الخدري | المحدث : مسلم | المصدر : صحيح مسلم

এই হাদিস থেকে সমাজে প্রচলিত দুটো ভুল ধারনার উত্তর পাওয়া যায়।

এক. অনেকেই বলেন, সেল্ফ রুকইয়াহ করলেই সবাই পরিপূর্ন সুস্থ হয়ে উঠবেন, এবং যারা সরাসরি রাক্বীর দ্বারস্থ হন তাদেরকে কুৎসাপূর্ন কথা শুনিয়ে থাকেন। এটা ভুল ধারনা। কারন রাসুল সাঃ থেকে অধিক আযকারকারী, সেল্ফ রুকইয়াহকারী কেউ নেই। অথচ এরপরও ওনার অপরের কাছে রুকইয়াহ করার প্রয়োজন হয়েছিলো। ফলে আল্লাহ তা'লা রাসুল সাঃ এর রুকইয়াহ করার জন্য জীবরিল আঃ কে পাঠালেন। সেল্ফ রুকইয়াহ করা আবশ্যক। এটা কোন রাকীর দ্বারস্থ হন বা না হন সুস্থতা ও নিরাপত্তার জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ একটি সার্বজনীন আমল। কিন্তু যার জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ যথেষ্ঠ হচ্ছেনা। তাকে অপরের কাছে রুকইয়াহ করতে বাধা দেওয়া অথবা যারা রাক্বীর কাছে রুকইয়াহ করেন তাদের ঈমান আমল কম বলে অপবাদ দেওয়া -এগুলো প্রত্যেকটি অজ্ঞতা, মিথ্যাচার ও নোংরামি। যারা রোগের বাস্তবতা না বুঝে এসব কথা বলে বেড়ান তাদের আল্লাহর পাকড়াও কে ভয় করা উচিত। জ্বীন যাদুর সমস্যা অন্য যেকোন রোগের ন্যায় একটি রোগ। নিজের পক্ষে সমাধান সম্ভব না হলে আমরা যেভাবে ডাক্তারের দ্বারস্থ হই তেমনিভাবে রুকইয়াহর ক্ষেত্রেও নিজের প্রচেষ্টা যথেষ্ঠ না হলে বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়ার মাঝে কোন সমস্যা নেই। এটা আমাদের যে কারো জন্যই প্রয়োজন হতে পারে যেমনিভাবে রাসুল সাঃ এর প্রয়োজন হয়েছিলো আর আল্লাহ ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

দুই. আপনি অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহ কে ডাকছেন। সর্বদা এরুপ হবে না যে, আপনি দু'আর ফলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এরুপও হতে পারে যে আপনি দু'আ করেছেন আর আল্লাহ আপনার দু'আ কবুল করার ফলে তিনি আপনার সুস্থতা পাওয়ার রাস্তা খুলে দিয়েছেন। এমন ডাক্তার বা চিকিৎসক মিলিয়ে দিয়েছেন যিনি আপনার সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম। যেমনটি রাসুল সাঃ এর দু'আর ফলে আল্লাহ ওনাকে সরাসরি সুস্থতা না দিয়ে ওনার জন্য রাকী হিসেবে জীবরিল আঃ কে পাঠিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর কাছে চাওয়া থামাবেন না। দু'আ কিভাবে কবুল হবে তা আপনি জানেন না।

লিখেছেন, আব্দুল্লাহ ফাহাদ
(প্রফেটিক কিউর সেন্টার, ঢাকা)

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Quranic Ruqyah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram