BD Osud

BD Osud Get your All kind of medicine & medical equipment from Online with Home Delivery

শিশুর বুকে কফ জমলে যা করবেনবড়দের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয় শিশুরাও। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়, নিঃশ্বাস নি...
11/06/2024

শিশুর বুকে কফ জমলে যা করবেন
বড়দের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয় শিশুরাও। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়, নিঃশ্বাস নিতে ছটফট করতে থাকে, পরে কান্না জুড়ে দেয়। বুকে জমে থাকা কফ ও কাশির কারণে ঘুমাতে পারে না।
এ সমস্যার সমাধান পেতে অনেক মা- বাবা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হাই-এন্টিবায়োটিক ও ঠাণ্ডার ওষুধ খাওয়ান শিশুকে। তবে এসব হালকা বিষয়ে শিশুকে কড়া পাওয়ারের ওষুধ না খাওয়ানোই ভালো। এক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর বুকে জমানো কফ দূর করতে পারেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ঘরোয়া কার্যকরী উপায়গুলো:

১. গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ান। এটি আপনার শিশুটিকে আরাম দেবে।

২. সর্দি, জ্বরে শিশুকে ঘুমানোর সময় মাথা কিছুটা উঁচু করে রাখুন। এতে করে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া অনেকটা সহজ হবে।

৩. ঠাণ্ডায় শিশুকে টমেটো এবং রসুনের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কফ গলিয়ে শিশুকে আরাম দেবে।

৪. একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে সেটি দিয়ে শিশুটিকে ভাপ দিন। এভাবে শিশুটিকে কিছুক্ষণ রাখুন। গরম পানিরভাব শিশুর নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করে দেয়।

৫. অনেক অভিভাবক শিশুর সর্দি কাশি হলে গোসল করাতে চান না। এটা ঠিক নয়, প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে শিশুটিকে গোসল করাতে হবে। এতে সর্দি বুকে বসতে পারে না।

৬. রোগ জীবাণুর কারণে আপনার শিশুটি ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে সে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এসময়টা শিশুর পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।

৭. সর্দি-কাশিতে দ্রুত আরাম পেতে শিশুকে নাকের ড্রপ দেওয়া যেতে পারে। আপনি চাইলে এই ড্রপ ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। একটি পাত্রে ৪ চা চামুচ গরম পানির সঙ্গে আধা চা চামচ লবণ দিয়ে ভালো করে জ্বাল দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এটি নাকের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করুন।

৮. ২টি রসুনের কোয়া ও ১ টেবিল চামচ মৌরি ভালো করে ভেজে বেটে নিন। এবার এই মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে পুটলি তৈরি করে শিশুর ঘুমানোর স্থানে রেখে দিন। এটি গরম হয়ে এর থেকে বের হওয়া বাষ্প শিশুর বন্ধ নাক খুলে দেবে এবং কফ চলে যাবে। রসুন ও মৌরিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে, যা শিশুর ঠাণ্ডা দূর করতে সাহায্য করে।

অ্যানেস্থেসিয়া সম্পর্কে যা জানা জরুরিহাফিজ সাহেবের বাবার খাদ্যনালীতে ক্যান্সার। অপারেশন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বেশ জটিল অপ...
23/02/2024

অ্যানেস্থেসিয়া সম্পর্কে যা জানা জরুরি

হাফিজ সাহেবের বাবার খাদ্যনালীতে ক্যান্সার। অপারেশন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বেশ জটিল অপারেশন। অপারেশনের ধকল সামলে উঠতে পারলে দিতে হবে-কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি। তাই অপারেশনের আগে হাফিজ সাহেবের প্রশ্ন, এমন জটিল অপারেশনের অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

তিন বছর বয়সী আবরারের মুসলমানি হবে। অল্প সময়ের অপারেশন হলেও অ্যানেস্থেসিয়া দিতে হবে। তাই বাবা-মা খুবই চিন্তিত। তাদের দুশ্চিন্তার বড় অংশ জুড়ে অ্যানেস্থেসিয়া।

ওপরের ঘটনা দু’টি অ্যানেস্থেসিয়াভীতির বাস্তব উদাহরণ। অ্যানাস্থেসিয়া অপারেশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও খুব কম মানুষই আছেন যাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই অংশ নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা আছে। অপারেশনের আগে সার্জারির ব্যাপারে মোটামুটি একটা ধারণা থাকলেও অ্যানেস্থেসিয়া নিয়ে আমাদের খুব একটা জানা হয়ে উঠে না। এর কারণ দুটো হতে পারে। ১. রোগী বা রোগীর লোক রোগ ও রোগের অপারেশন নিয়ে বেশি চিন্তিত। ২. সার্জনরা সাধারণত অপারেশন নিয়েই বিশদ আলোচনা করেন। অ্যানেস্থেসিয়া নিয়ে বলার সুযোগ খুব একটা হয়ে উঠে না।

এই চিত্র যে শুধু বাংলাদেশে তা নয়, সারাবিশ্বের বড় একটা অংশের মানুষের অ্যানেস্থেসিয়া সম্পর্কে ধারণা নেই। ২০১৬ সালে এক জরিপে দেখা গেছে, ৭২ দশমিক ৬৩ শতাংশ রোগী অ্যানেস্থেসিয়ার ব্যাপারে অজ্ঞতা নিয়েই অপারেশন থিয়েটারে যায়। তাই আপনার অপারেশনের অ্যানেস্থেসিয়া সম্পর্কে জানুন।

অ্যানেস্থেসিয়া ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট

চিন্তা করে দেখুন, আপনার পেটের ভেতর অপারেশন চলছে কিন্তু আপনি ঘুমন্ত, কিছুই টের পাচ্ছেন না অথবা আপনি জেগে আছেন। শরীরের যে অংশে অপারেশনের আগেও ব্যথা ছিলো, এখন সার্জনের কাটাকাটির সময়েও আপনি ব্যথা অনুভব করছেন না। ঠিক এই কাজটাই সম্ভব করেছে চিকিৎসাবিজ্ঞানের অদ্ভুত এক আশীর্বাদ অ্যানেস্থেসিয়া। এই পুরো সময়টাতে যিনি আপনাকে দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকেন চিকিৎসাবিজ্ঞানে আমরা তাদের বলি অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট (অবেদনবিদ)। শুরু থেকে শেষ অব্দি আপনার নিরাপদ সার্জারি নিশ্চিত করাই একজন অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের প্রধান দায়িত্ব। আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও আপনার শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা, রক্ত চাপ, শরীরের সমস্ত জায়গায় রক্তপ্রবাহসহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ভারসাম্য রক্ষা নিশ্চিত করে থাকেন তিনি। সার্জনের আগে অ্যানেস্থেসিয়লজিস্টের কাজ শুরু হলেও শেষ হয় আপনার ঘুম ভাঙানোর মধ্য দিয়ে।

অ্যানেস্থেসিয়া সম্পর্কে জানুন

একটা সময় ছিলো যখন অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়া অপারেশন হত। ভেবে দেখুন, কত কষ্টকর। অ্যানেস্থেসিয়ার ধারণা তৈরি হওয়ার পর ধীরে ধীরে তা চিকিৎসাবিদের আয়ত্তে আসলেও প্রথম দিকে এর পরিমাণ ও প্রয়োগ নির্ধারণ করা নিয়ে হিমশিম খেতে হত। ওষুধগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ছিলো বেশ। আধুনিক যুগে এসে অ্যানেস্থেসিয়ার ধরন, ওষুধ ও পর্যবেক্ষণ করার যন্ত্রপাতি সবকিছু এত উন্নত হয়েছে যে-বয়স, রোগ, অপারেশন ভেদে ঝুঁকি থাকলেও তা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই অবদান শুধু রোগীর জন্য আশীর্বাদ তা নয়, সার্জন ও অ্যানেস্থেসিয়লজিস্টকেও অনেকটা সাবলীল ও দুঃশ্চিন্তামুক্ত হয়ে কাজ করতে সাহস জুগিয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে যদি বলা হয়, একজন রোগীর এক হাতে অপারেশন হবে। তাকে পুরো অবশ না করে শুধু এক হাত অবশ করা সম্ভব। কিংবা গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি ব্যথামুক্ত করার জন্য ‘এপিডুরাল এনালজেসিয়া’ (প্রসব ব্যথার অনুভূতি অনেকাংশে কমিয়ে আনার জন্য শরীরের নিচের অংশ আংশিকভাবে অবশ করা) এর ধারণা এখন প্রচলিত। অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা শুধু অপারেশনের সময় যে ব্যথামুক্ত রাখেন তা নয়। অপারেশন পরবর্তী দীর্ঘসময় ব্যথামুক্ত রাখা আধুনিক অ্যানেস্থেসিয়া একটি অংশ।

পেইন ক্লিনিক (দীর্ঘমেয়াদী ব্যথা বিভিন্ন ইন্টারভেনশনের মাধ্যমে কমানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়ার একটি আধুনিক উপশাখা) অ্যানেস্থেসিয়ার একটি নতুন ও সফলতম ধারণা, যা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমাদের দেশে এ সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেশ লক্ষণীয়।

ধরুন আপনি ইউরোপে ভ্রমণ যাবেন। সাতদিনের প্যাকেজের বেশি আপনাকে আর কিছু জানানো হলো না। আপনি কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কোথায় ঘোরাফেরা করবেন-আপনার মাঝে একটা অস্থিরতা কাজ করবে। কিন্তু আপনি যদি একটা পরিষ্কার ধারণা নিয়ে ভ্রমণ শুরু করেন তাহলে দুঃশ্চিন্তার বোঝাটা দেশে রেখেই যেতে পারবেন। তেমনি আপনার অ্যানেস্থেসিয়া হবে অথচ অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগ পর্যন্ত জানেন না, আপনার সার্জারিতে কী ধরনের অ্যানেস্থেসিয়া হবে। ব্যাপারটা আপনার জন্য বাড়তি টেনশন ছাড়া আর কিছুই না।

কিছু কমন প্রশ্ন

কখন জ্ঞান ফিরবে? আদৌ জ্ঞান ফিরবে তো? এত ছোট বাচ্চা, কোন সমস্যা হবে না তো? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটা আপেক্ষিক। খুব ব্যতিক্রম না হলে রোগীর জ্ঞান না ফেরার কোন কারণ নেই। এখন প্রশ্ন হলো ব্যতিক্রমটা কি! বয়স্ক রোগী, জটিল রোগ, বড় সার্জারি, দুর্বল শারীরিক অবস্থা, হৃদরোগ, শ্বাসজনিত সমস্যা, কিডনি, লিভার, এমন বেশ কিছু কারণ আছে যার ফলে অ্যানেস্থেসিয়া ও সার্জারি দুটোই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বলতে গেলে ভয়টা অমূলক। বর্তমানে বাচ্চাদের অ্যানেস্থেসিয়ার উপযুক্ত মেশিন, ওষুধ ও অ্যানেস্থেসিয়া ধরন এমন আধুনিকায়ন হয়েছে যে, অ্যানেস্থেসিয়া নিয়ে ঝুঁকিটা আগের তুলনায় বেশ হ্রাস পেয়েছে। যদিও একটা বিষয় সত্য যে, বাচ্চাদের অ্যানেস্থেসিয়ার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ ও প্রতিক্রিয়া হতে হয় অত্যন্ত চৌকস। তবে তা অ্যানেস্থেসিয়লজিস্টের মাথাব্যথা, আপনার নয়।

শেষ কথা

নিরাপদ ও সফল অপারেশনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হলো অ্যানেস্থেসিয়া। সার্জনের ছুরির নিচে আপনাকে যেতে হলে অ্যানেস্থেসিয়ার ধাপ পার করেই যেতে হবে। অমূলক ভয় না পেয়ে তাই অ্যানেস্থেসিয়া সম্বন্ধে জানুন, মতামত দিন এবং সচেতন হোন।

এখন ঘরে বসেই সংগ্রহ করুন প্রয়োজনীয় ঔষধ!হোম কোয়ারেন্টাইনে আপনি বাড়িতেই থাকুন। আপনার প্রয়োজনীয় ঔষধ ঘরে পৌঁছে দিবে  B...
05/07/2021

এখন ঘরে বসেই সংগ্রহ করুন প্রয়োজনীয় ঔষধ!

হোম কোয়ারেন্টাইনে আপনি বাড়িতেই থাকুন। আপনার প্রয়োজনীয় ঔষধ ঘরে পৌঁছে দিবে Bd Osud।

পুরো ডেলিভালী সিস্টেম COD (CASH ON DELIVERY), অর্থাৎ ডেলিভালী বুঝে পেয়ে টাকা পেমেন্ট করবেন।

ঘরে বসেই আপনি পেতে পারেন আমাদের সেবা। আর এজন্য ফোন করুন আপনার নিকটস্থ আউটলেটে। অথবা পেজের মেসেজ সেন্টারে মেসেজ করুন।

       Weaning food for babyWeaning food এর অর্থ হচ্ছে বাচ্চার বয়স ৫ মাসের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার প...
03/07/2021



Weaning food for baby

Weaning food এর অর্থ হচ্ছে বাচ্চার বয়স ৫ মাসের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার প্রদান। ইহার মানে এই নয় যে হঠাৎ করে মায়ের দুধ বন্ধ করে দাওয়া।বাচ্চার বয়স ৫-৬ মাস হলে মায়ের দুধ বাচ্চার সম্পূর্ণ পুষ্টির চাহিদা পূরণ কোড়টে পারে না। তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার প্রদান করে বাচ্চার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার নামই হচ্ছে weaning.

Weaning food দেওয়ার নিয়মঃ
প্রথমে যে কোন একটা খাবার (মুলত-পাকা কলা, খিচুরি,ভা্ত) অল্প করে দিতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে পরিমান বাড়াতে হবে। ১-২ সপ্তাহ পর পর আরেকটা করে Weaning food খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে।

Weaning food দেবার ক্ষেত্রে প্রথমে পাকা কলা নরম করে দিতে হবে। তারপর ১ সপ্তাহ পর রান্না করা ভাত,ডাল দিতে হবে।এরপর ডাল,চাল এবং সবজি অল্প তেল দিয়ে খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়াতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম একটা একটা করে খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে। Weaning food এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৯ মাস থেকে ১ বছর এর মধ্যে যখন বাচ্চারা সম্পূর্ণ বড়দের মত খাবার খেতে পারবে।বাজারে বিক্রত Weaning food গুলো বাচ্চাকে খাওয়ানো যেতে পারে।তবে সেগুলো ব্যয়বহুল।

Weaning এর সময় কাল একজন বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। কেননা এই সময় বাহিরের খাবার দেওয়ার জন্য বাচ্চাদের ইনফেকশন এর সুযোগ অনেক বেড়ে যায়। Weaning food যদি সঠিক উপায়ে করা না যায় তবে ডায়রিয়া,বাচ্চার বৃদ্ধি কম হওয়া সহ নানা সমস্যা হতে পারে যার ফলে Kwashiorkor, marasmus এবং recurrent infection সহ নানা জটিল রোগ হতে পারে যা বাচ্চার জন্য, মারাত্মক ক্ষতির কারন হতে পারে।

ব্রেইন বা মস্তিষ্কের টিউমার শব্দযুগল অচেনা নয় আমাদের কাছে। যেকোনো বয়সেই মস্তিষ্কের টিউমার হতে পারে। এই টিউমারের সঠিক কোন...
16/02/2021

ব্রেইন বা মস্তিষ্কের টিউমার শব্দযুগল অচেনা নয় আমাদের কাছে। যেকোনো বয়সেই মস্তিষ্কের টিউমার হতে পারে। এই টিউমারের সঠিক কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। রেডিয়েশন বা বিকিরণ একটা কারণ হতে পারে। অতীতে পরিবারে কারও মস্তিষ্কে টিউমার হয়ে থাকলে অন্যদেরও খানিকটা ঝুঁকি থাকে।

এই টিউমার মোটামুটিভাবে দুরকমের। একটি হলো ক্যানসারজাতীয় টিউমার। অন্যটি টিউমার, কিন্তু ক্যানসার নয়। টিউমার কোষের ভিত্তিতে এই দুই ধরনের টিউমারকে আরও নানা ভাগে ভাগ করা হয়। একেক বয়সে মানুষের একেক ধরনের টিউমার হতে দেখা যায়।

বেশ কিছু লক্ষণ থেকে মস্তিষ্কের টিউমার সন্দেহ করা হয়। যার মধ্যে প্রচণ্ড মাথাব্যথা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে থাকতে পারে খিঁচুনি, বমি বা বমিভাব, আচরণগত পরিবর্তন, শরীরের এক পাশ দুর্বল হয়ে পড়া কিংবা এক পাশ ঝিমঝিম করা বা অবশ অনুভব করা, শরীরের ভারসাম্য হারানো বা হাঁটতে অসুবিধা হওয়া, দেখা, শোনা বা কথা বলার ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হওয়া, স্মরণশক্তিতে ঘাটতি দেখা দেওয়া কিংবা মনোযোগ দিতে না পারা।

এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। মস্তিষ্কের টিউমার ছাড়াও নানা কারণে এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে। রোগীর মধ্যে থাকা লক্ষণগুলোকে বিশ্লেষণ করে এবং আনুষঙ্গিক শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে চিকিৎসক সে অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ইনভেস্টিগেশন) করতে দেবেন। টিউমার ধরা পড়লে সেটির আকার, প্রকার এবং অবস্থানের (মস্তিষ্কের মধ্যে ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে) ওপর নির্ভর করে চিকিৎসাপদ্ধতি নিরূপণ করা হয়। রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হতে পারে চিকিৎসা। নানা ধরনের চিকিৎসার সমন্বয়ও করতে হতে পারে। লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসারও প্রয়োজন পড়তে পারে।

ডা. রমা বিশ্বাস : সহযোগী পরামর্শক, নিউরোমেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা।

ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বেশি আমাদের সকলেরই আছে। বয়সের সাথে সাথে যা কমতে থাকে। বয়স বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেহ...
12/02/2021

ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বেশি আমাদের সকলেরই আছে। বয়সের সাথে সাথে যা কমতে থাকে। বয়স বৃদ্ধির ফলে আমাদের দেহে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। যার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। তবে শিশু ও কম বয়সী মানুষদেরও মাঝেমাঝে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে। ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই জরুরি। রোগ প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত শক্তি না থাকলে যে কোন রোগেই জর্জরিত হয়ে যেতে পারেন আপনি। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও তখন বেশি হয়। ইমিউন সিস্টেমে ঘাটতি দেখা দিলে সারা বছরই রোগে ভুগতে হয় মানুষদের। পর্যাপ্ত শক্তি না থাকার ফলে দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নানান কারণে আমাদের দেহের শক্তি বা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তখন দেহে নানান ঘাটতি দেখা দেয়। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ও কায়িক পরিশ্রম করলে এই ঘাটতি পূরণ হতে পারে। তবে আগে আমাদের জানা উচিত কেন আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমে ঘাটতি কেন দেখা দেয়!

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন কমে ও বাড়ানোর উপায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেন কমে?
১) অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় খুব জলদি। বাইরের কোমল পানীয়, টমেটো সস ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই খাদ্য তালিকা থেকে এসব বাদ দিতে হবে।



২) অতিরিক্ত স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা খুব বাজেভাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কেড়ে নেয়। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত টেনশন করে দেহের ক্ষতি করবেন না।

৩) অতিরিক্ত পরিশ্রম কখনোই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত কাজের চাপ আপনাকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে দেয়। ফলে অচিরেই আপনি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিভাবে বাড়ানো যায়?
আরো নানা কারণে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। যে কারণেই হোক না কেন, রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেম বারানোর জন্য কিছু সামান্য পরিবর্তনই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই কী কী উপায়ে আমরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে পারবো।

১) প্রোটিন

প্রোটিন গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন। প্রোটিন আমাদের দেহের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। বিভিন্ন রোগ বালাই মোকাবেলা করতে প্রোটিনের জুড়ি নেই। শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াতেও প্রোটিন বেশ কার্যকরী। রোগ বালাই, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে উন্নত মানের প্রোটিন গ্রহণ করা অতীব জরুরি। ডিম, মুরগীর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, কচু শাক ও বিভিন্ন প্রকার ডালে রয়েছে ভালো মানের প্রোটিন। তাই আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সমন্বিত খাদ্য রাখুন।

২) ভিটামিন সি
ভিটামিন সি দেহের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এটি মানব দেহের জন্য অনেক জরুরি একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। যা আমাদের দাতেঁর গোঁড়া শক্ত করতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ও বয়সের ছাপ লুকাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের মতো রোগ মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। দেশীয় কিছু ফলে আপনি খুব সহজেই ভিটামিন সি পেতে পারেন। যেমন- আমড়া, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী, বরই, বাতাবী লেবু ও কমলালেবু ইত্যাদি। সবুজ শাক সবজী যেমন- কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, পুঁইশাক ও পালং শাকেও প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে।

৩) জিঙ্ক
জিঙ্ক রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা হ্রাস পেলে দেহের ইমিউন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। দৈনিক খাদ্যতালিকায় কাঠ বাদাম, চীনাবাদাম, কাজু বাদাম, শিমের বিচি, দুধ, মাখন ও পনির রাখলে জিঙ্কের অভাব পূরণ হয়।

৪) ভিটামিন বি-১২
দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন বি-১২ বেশ কার্যকরি। এর পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাদ্যে ও ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিতামিন বি-১২ রয়েছে।

৫) ব্যায়াম


ঘরে সামান্য ব্যায়াম, যোগাসন ও ধ্যানের মাধ্যমেও ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম করতে না পারলে রোজ ৪০-৪৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এতেও আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কেননা রোজকার এই সামান্য ব্যায়াম আপনার দেহের রক্ত চলাচল করার ক্ষমতাকে সচল রাখে। যা রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।
তাছাড়া নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ, পরিমিত ঘুম মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনবে আপনার জন্য।

মনে রাখবেন সুস্থ থাকার জন্য হাসিখুশি থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ ও মানসিক চাপ এড়িয়ে বাড়িয়ে ফেলুন আপনার দেহের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দূরে রাখুন রোগ বালাই, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণকে।

একজন নিরক্ষর ডাক্তার……। তিনি লেখাপড়া জানতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের বাসিন্দা, বিখ্যাত সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন। যাকে...
25/01/2021

একজন নিরক্ষর ডাক্তার……।

তিনি লেখাপড়া জানতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের বাসিন্দা, বিখ্যাত সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন। যাকে "মাষ্টার অফ মেডিসিন" সম্মানে সম্মানিত করা হয়।

এটা কিভাবে সম্ভব ?

চলুন, একটু জেনে নেওয়া যাক।

"কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি" চিকিৎসা জগত এবং ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত এক প্রতিষ্ঠান।এই বিশ্ববিদ্যালয় এমন একজন ব্যাক্তিকে মাষ্টার অফ মেডিসিন সম্মান জানিয়েছে, যিনি জীবনে কখনো স্কুলে যাননি।

পৃথিবীর প্রথম "বাইপাস সার্জারি" হয়েছিল, কেপটাউনের এই ইউনিভার্সিটিতে।

2003 সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রফেসর "ডাঃ ডেভিড ডেট" এক আড়ম্বর- পূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, " আজ আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে সম্মান জানাতে চলেছি, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাজারো পড়ুয়া সার্জারি শিখেছেন। যিনি কেবলমাত্র একজন শিক্ষক নন, বরং একজন উচ্চ মানের সার্জন এবং ভালো হৃদয়ের মানুষ।। ইনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে অবদান রেখে গেছেন, সেটা পৃথিবীর খুব কম মানুষই রাখতে পেরেছেন।"

এরপর প্রফেসর "ডেভিড" সাহেব "সার্জন হ্যামিল্টন" এর নাম নিতেই,, উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে পড়েন। উল্লাসে ফেটে পড়ে সভা ঘর। এটাই ছিলো এই বিশ্ব-বিদ্যালয়ের সবচেয়ে আড়ম্বর এবং ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান।

হ্যামিল্টনের জন্ম কেপটাউনের প্রত্যন্ত এলাকা সোনিট্যানি ভিলেজ। তার পিতা-মাতা ছিলেন পশুপালক। ভেঁড়া এবং ছাগল পুষে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে,, হ্যামিল্টন কাজের খোঁজে কেপটাউন সিটি চলে যান।

শহরে গিয়ে তিনি রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে হিসাবে কাজ শুরু করেন। কেপটাউন মেডিক্যালে তখন চলছে নির্মাণ কাজ। বেশ কয়েক বছর তিনি সেখানে কাজ করেন। এরপর নির্মাণ কার্য সমাপ্ত হয়ে যায়।

হ্যামিল্টনের কাজের মানসিকতা এবং কর্মের প্রতি নিষ্ঠা দেখে,, তাকে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সেখানেই রেখে দেয়। তার কাজ ছিলো টেনিস কোটে ঘাস ছাঁটাই করা। তিন বছর এভাবেই চলতে থাকে। এরপর তার সামনে আসে, এক সুবর্ণ সুযোগ।এবং সেই সুযোগ তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন এক স্তরে পৌঁছে দেয়, যেখানে যাওয়া একজন সাধারণ মানুষের কাছে,আকাশ ছুঁয়ে দেখার সমতুল্য।

সেদিন প্রফেসর "রবার্ট ডায়াস" একটি জিরাফ নিয়ে গবেষণা করছেন। জিরাফ ঘাড় নিচু করে জলপান করার সময়, তার গলার ব্লাড সার্কুলেশন কমে কেনো? এটাই তার গবেষণার বিষয়। নিয়মমাফিক জিরাফকে অজ্ঞান করে দেওয়া হলো।অপারেশন চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে জিরাফ ঘাড় নাড়তে শুরু করে দিলো।এমতবস্থায় জিরাফের ঘাড়টা শক্ত করে ধরে রাখার জন্য, একজন শক্তপোক্ত মানুষের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

হ্যামিল্টন তখন ঘাস কাটায় মগ্ন।প্রফেসর তাকে ডেকে নিলেন,, অপারেশন থিয়েটারে। হ্যামিল্টন জিরাফের গর্দান ধরে রয়েছেন, অপারেশন করে চলেছেন
প্রফেসর।

অপারেশন কন্টিনিউ আট ঘন্টা চলতে থাকে। এর মধ্যে ডাক্টার-টিম ব্রেক নিতে থাকেন। কিন্তু হ্যামিল্টন টানা আট ঘন্টা ধরে থাকলেন জিরাফের গলা। অপারেশন সমাপ্ত হতেই, হ্যামিল্টন চুপচাপ বাইরে বেরিয়ে গিয়ে টেনিস কোর্টে ঘাস কাটতে লেগে যান।

প্রফেসর রবার্ট ডায়াস তার দৃঢ়তা এবং কর্মনিষ্ঠা দেখে আপ্লুত হয়ে গেলেন।। তিনি হ্যামিল্টনকে "ল্যাব এসিষ্ট্যান্ট" হিসাবে পদোন্নতি করিয়ে দেন।প্রতিদিন বিভিন্ন সার্জন তার সামনে হাজারো অপারেশন করে চলেছেন, তিনি হেল্পার হিসাবে কাজ করে চলেছেন।এভাবেই চলতে থাকে বেশ কয়েক বছর।

এরপর ডাঃ বার্নড একদিন অপারেশন করে, হ্যামিল্টনকে ষ্টিচ দেওয়ার দায়িত্ব দেন। তার হাতের সুনিপুণ সেলাই দেখে, ডাঃ বার্নড অবাক হয়ে যান। এরপর,বিভিন্ন সার্জন তাকে সেলাইয়ের কাজ সপে দিতে থাকেন।

দীর্ঘকাল অপারেশন থিয়েটারে থাকার কারনে,, মানব শরীর সম্বন্ধে তার যথেষ্ট ধারণা তৈরী হয়ে যায়। তিনি ডিগ্রীধারী কোনো সার্জনের চেয়েও বেশী জানতেন, মানব দেহ সম্পর্কে। এরপর ইউনিভার্সিটি তাকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রাকটিক্যাল শেখানোর কাজে নিয়োগ করে।

জুনিয়র ডাক্তারদের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ইউনিভার্সিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। তিনি অবলীলায় যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করেদিতে পারতেন। বহু সার্জন যে অপারেশন করতে কুন্ঠিত হতেন, তিনি অতি সহজেই সেই কাজ করে ফেলতে পারতেন।

1970 সালে এই ইউনিভার্সিটিতে লিভার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা শুরু হয়।তিনি লিভারের মধ্যে অবস্থিত এমন একটি ধমনী চিহ্নিত করেন, যার কারনে লিভার প্রতিস্থাপন অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়।বিশ্ব বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান।।আজ তার দেখানো পথ ধরেই,লিভার ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে।

নিরক্ষর হ্যামিল্টন জীবনের পঞ্চাশ বছর কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়ে দেন।এই পঞ্চাশ বছরে তিনি একদিন ও ছুটি নেননি। প্রতিদিন ১৪ মাইল পায়ে হেঁটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন। তার অবদান কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি তথা বিশ্ব চিকিৎসা বিজ্ঞান কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।

তিনি মোট ত্রিশ হাজার সার্জনের শিক্ষা-গুরু ছিলেন।

2005 সালে এই কিংবদন্তি মানুষটি মারা যান। তার মৃতদেহ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের মধ্যেই দাফন করা হয়। এই বিরলতম সম্মান একমাত্র তিনিই অর্জন করতে পেরেছেন।

কিংবদন্তি সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন প্রমাণ করে গেছেন, কেবলমাত্র পুঁথিগত শিক্ষাটুকুই যথেষ্ট নয়।

-------------------------
© ডাঃ হায়দার রিজভী

       আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের অবদানের শেষ নেই। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার আমাদে...
23/01/2021



আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের অবদানের শেষ নেই। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার আমাদের ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া-জনিত সংক্রমণ দূর করতেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া হয়। তবে তা নিয়ম মেনেই খাওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার অভ্যাস থাকলে জেনে নিন, কখন কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন। অ্যান্টিবায়োটিং ওষুধ খাওয়া নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের ডাঃ রাজা ভট্টাচার্য।

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কী?

অ্যান্টিবায়োটিক অর্থাৎ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ড্রাগ। এই ধরনের ওষুধ মানুষের শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করে, পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার দৈহিক বৃদ্ধি এবং তার কলোনিগুলিতে বংশবিস্তার রোধ করা। তবে অ্যান্টিবায়োটিক কেবল নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকটেরিয়া-ঘটিত ইনফেকশনই প্রতিরোধ করে।

অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে কোন কোন বিষয় জেনে রাখা উচিত?

ওষুধ দেওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত, সেই ওষুধের কোনো বিক্রিয়া (রিয়্যাকশন) বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা। ওষুধ দেওয়ার আগে স্কিন টেস্ট করে নেওয়া উচিত। ইন্ট্রাভেনাস বা ইন্ট্রামাসকুলার ইনজেকশন দেওয়ার আগে স্কিনে অবশ্যই পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। যদি রিয়্যাকশন দেখা দেয় তাহলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। যথেচ্ছ পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। রোগীর লিভার ও কিডনির অবস্থা বুঝে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত। অ্যান্টিবায়োটিক খেলে যদি মলত্যাগে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে প্রিপোবাইটিকা দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: কী করলে কম ভুগতে হবে অস্টিও-আর্থরাইটিস রোগে?

কোন রোগে দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত?

ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ মুক্ত করতেই মূলত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত। যে কোনো ইনফেকশনের সময় যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাকটেরিয়ার দৈহিক বৃদ্ধি ও তার কলোনির বংশবিস্তার রোধ করা প্রয়োজন। মেনিনজাইটিস, নিউমোনিয়া, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন এবং সেপটিসিমিয়া, এই চারটি রোগে দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: চুল-ত্বক উজ্জ্বল রাখতে মাখুন ভাতের মাড়, হাতে নাতে ফল পাবেন

জ্বর হলেই কি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত?

জ্বর হলে আগে থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। কারণ পরবর্তীকালে রক্ত পরীক্ষা করলে সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যায় না। তার ফলে চিকিৎসায় দেরি হতে পারে। জ্বর হলে প্রথমে তার কারণ খোঁজা উচিত। বয়স্কদের জ্বর হলে অবশ্য তাঁদের ক্ষেত্রে এখন প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেওয়া হয়। কারণ পরবর্তীকালে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ম মেনে না খেলে কী হবে?

অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খাওয়াও ক্ষতিকারক, পাশাপাশি কম খাওয়াও উচিত নয়। কম খেলে ব্যাকটেরিয়া যদি সম্পূর্ণ ভাবে না মরে যায়, তাতে ফের সংক্রমণ দেখা দেবে। বেশি খেলে ক্ষুদ্রান্ত ও বৃহদান্ত্রে অনেক উপকারি ব্যাকটেরিয়া থাকে, সেগুলিও মরে যায়। যার ফলে বেশ কিছু খারাপ রোগ দেখা দেয়। একইসঙ্গে অপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি তখন বৃদ্ধি পেতে থাকে।

শীতের সময় অসুখবিসুখ বাড়ে না; বরং কিছু কিছু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তীব্র শীত আসার আগেই কিছু রোগের প্রকোপ ঠেকাতে সতর...
20/01/2021

শীতের সময় অসুখবিসুখ বাড়ে না; বরং কিছু কিছু রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তীব্র শীত আসার আগেই কিছু রোগের প্রকোপ ঠেকাতে সতর্ক থাকা ভালো। শীতের রোগ বিষয়ে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডিন ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

শীতের সময় কমন অসুখ হলো সর্দিজ্বর, কাশি। এ ছাড়া নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চোখ ওঠা, ডায়রিয়া, খুশকি, খোসপাঁচড়া বা চর্মরোগ প্রভৃতিরও প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। তবে শীত সামনে রেখে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে এসব রোগের জটিলতা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

সর্দি-কাশি-জ্বর
সর্দি-কাশি-জ্বর বা কমন কোল্ড শীতের সময়কার একটি সাধারণ রোগ। সর্দিজ্বর দেহের শ্বাসনালির ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমণ। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগ বেশি দেখা যায়। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা যাদের কম তাদের এ রোগ বেশি হয়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এসব রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়ায়। সর্দিজ্বর হলে প্রথমে নাকে ও গলায় অস্বস্তি লাগে, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে। নাক বন্ধও থাকতে পারে। মাথাব্যথা, মাথা ভারী বোধ হওয়া, শরীরে ব্যথা, জ্বর, গলাব্যথা প্রভৃতি উপসর্গও দেখা যায়।

সর্দি-কাশি-জ্বর প্রতিরোধে করণীয় হলো :

♦ সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যদের সঙ্গে, বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সতর্কতা অবলম্বন করুন।

♦ হাঁচি দেওয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে রুমাল বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।

♦ রোগীর ব্যবহৃত রুমাল বা গামছা অন্যদের ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখুন। যেখানে সেখানে কফ, থুথু বা নাকের শ্লেষ্মা ফেলা যাবে না।

♦ স্বাস্থ্যকর, খোলামেলা, শুষ্ক পরিবেশে বসবাস করতে হবে।

♦ প্রয়োজনমতো গরম কাপড় পড়ুন, বিশেষ করে তীব্র শীতের সময় কান ঢাকা টুপি এবং গলায় মাফলার ব্যবহার করুন।

♦ তাজা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন, যা দেহকে সতেজ রাখবে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

♦ মাঝেমধ্যে হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন বা হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।

নিউমোনিয়া
এটি একটি মারাত্মক অসুখ। নিউমোনিয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগে। পৃথিবীব্যাপী পাঁচ বছরের নিচের শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। বাংলাদেশেও শিশুমৃত্যুর প্রধান কারণ এ রোগটি। যদিও এটি প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য একটি রোগ, তথাপিও মৃদু বা হালকা নিউমোনিয়া থেকে জীবনহানিও হতে পারে।

নিউমোনিয়া থেকে বাঁচতে কিছু করণীয় হলো :

♦ সব সময় শিশুর সঠিক যত্ন নিন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, বিশেষ করে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।

♦ শীত উপযোগী হালকা ও নরম গরম কাপড় ব্যবহার করুন।

♦ সহনীয় গরম পানিতে শিশুকে গোসল করান।

♦ বেশি মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। অসুস্থ লোক, বিশেষ করে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত লোকের সামনে শিশুদের যেতে দেবেন না।

♦ সুস্থ শিশুকে সর্দি-কাশি, ব্রংকিওলাইটিস, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর কাছে যেতে দেবেন না।

♦ শিশুর সামনে বড়দের হাঁচি-কাশি না দেওয়া বা মুখে রুমাল বা কাপড় ব্যবহার করার অভ্যাস করান।

♦ সব সময় নাক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।

♦ চুলার ধোঁয়া, মশার কয়েল ও সিগারেটের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকুন।

♦ সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রহণ করুন।

♦ ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন।

অ্যাজমা
হাঁপানি বা অ্যাজমাজাতীয় শ্বাসকষ্টের রোগ শুধু শীতকালীন রোগ নয়, তবে শীতে এর প্রকোপ অনেকাংশে বেড়ে যায়। অ্যাজমা একবার হলে এর ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয় সারা জীবনই। তবে অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে জটিলতা বা ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। এ জন্য কিছু করণীয় হলো :

♦ অ্যাজমার রোগীরা শীতে পর্যাপ্ত গরম জামা-কাপড়ের বন্দোবস্ত করুন।

♦ ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করুন। বিশেষ করে শোবারঘরটি উষ্ণ রাখার চেষ্টা করুন।

♦ অ্যাজমার ট্রিগারগুলো জেনে সতর্কভাবে চলুন।

♦ শীতের আগেই চিকিৎসককে দেখিয়ে ইনহেলার বা অন্যান্য ওষুধের ডোজ সমন্বয় করে নিন।

চর্মরোগ
শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে। শুষ্ক বাতাস ত্বক থেকে শুষে নেয় পানি। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে দুর্বল। ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি ও তেলগ্রন্থি ঠিকমতো ঘাম বা তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে না। এতে ত্বক আস্তে আস্তে আরো শুষ্ক, ফাটল ধরে ও দুর্বল হয়। একসময় ত্বক ফেটে যায়। শীতের সময় নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। বিশেষ করে ঠোঁট, হাত ও পায়ের ত্বকে দেখা দেয় চুলকানি, একজিমা, স্ক্যাবিস, চর্মরোগ প্রভৃতি। এ ছাড়া মাথায় প্রচুর খুশকি দেখা যায়। এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে করণীয় হলো—

♦ অলিভ অয়েল ত্বকে আলাদা আস্তর তৈরি করে বলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শীতের সময় তাই অলিভ অয়েল বা লুব্রিকেন্টজাতীয় কিছু ব্যবহার করুন।

♦ খুশকি দূর করতে অন্য সময়ের চেয়ে শীতে বেশি করে চুল শ্যাম্পু করুন।

♦ হাত ও পায়ের তালু এবং ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে দিন। ত্বকের সুরক্ষায় ময়েশ্চারাইজার যেমন : ভ্যাসেলিন, গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল ব্যবহার করুন।

♦ বেশিক্ষণ রোদে থাকবেন না বা কড়া আগুনে তাপ পোহাবেন না। এতে চামড়ায় সমস্যা তৈরি হতে পারে।

নাক-কান-গলার অসুখ
এসব সমস্যাও শীতে বাড়ে। এসব রোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নবজাতক, শিশু, বৃদ্ধ ও ধূমপায়ীর। শীতকালে নাকের দুই পাশের সাইনাসে ইনফেকশন দেখা দেয়, একে বলে সাইনোসাইটিস। কারো সাইনোসাইটিস দেখা দিলে নাকের দুই পাশে ব্যথা ও মাথাব্যথা হতে পারে। অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যাগুলো থেকে এই রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। কারো যদি অ্যালার্জি থাকে, সে ক্ষেত্রে জেনে নিতে হবে অ্যালার্জির কারণ। যাতে সতর্ক হয়ে তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। পাশাপাশি ধূমায়িত এবং দূষিত পরিবেশ পরিত্যাগ করে চলা, ধূমপান পরিত্যাগ করা, ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখা (যাতে সাইনাস নিজে থেকেই পরিষ্কার হতে পারে), নাকে খুব জোরে আঘাত লাগতে না দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

যাঁদের গলা ব্যথা, স্বরভঙ্গ, কণ্ঠনালির নানা সমস্যাসহ টনসিলের প্রদাহ বা টনসিলাইটিস রয়েছে, তাঁরা লবণ মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে আরাম পাবেন। ঠাণ্ডা পানি পরিহার করে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন এবং গলায় গরম কাপড় বা মাফলার জড়িয়ে রাখুন। সেই সঙ্গে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করলে ভালো থাকা যায়। জ্বর থাকলে প্যারাসিটামল ও সর্দি-কাশি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করা উচিত।

বাতব্যথা
আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যা শীতের সময় বেড়ে যায়। মূলত বয়স্কদেরই এ সমস্যা হয় বেশি। বিশেষ করে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা এনকাইলোজিং স্পন্ডিওলাইটিস, স্পন্ডাইলো আর্থ্রাইটিস, রি-অ্যাকটিভ আর্থ্রাইটিস, সোরিয়াসিটিস, অস্টিও আর্থ্রাইটিস রোগীদের শীতের সময় চলাফেরা বা মুভমেন্ট কম হয় বলে ব্যথার প্রকোপ বেড়ে যায়। বাতব্যথা প্রতিরোধে করণীয় হলো—

♦ যথাসম্ভব গরম উত্তাপে থাকুন।

♦ সব সময় হাত ও পায়ের মোজা পরিধান করুন।

♦ ব্যয়াম ও খাদ্যাভাসের মাধ্যমে দেহের অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমিয়ে আনুন।

♦ একটানা অনেকক্ষণ বসে না থেকে যতটুকু সম্ভব ঘরেই হালকা মুভমেন্ট করুন।

♦ প্রয়োজনে গরম পানি ব্যবহার করুন।

♦ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

♦ গরম ছেঁক দিন বা ফিজিওথেরাপি নিন।

নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে। যেমন, ডিপ্রেশন কিংবা বিষণ্ণতায় ভ...
19/01/2021

নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় ভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে। যেমন, ডিপ্রেশন কিংবা বিষণ্ণতায় ভোগার আশঙ্কা পুরুষদের চাইতে নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। মানসিক সমস্যার প্রভাব নারীদেরকে শারীরিকভাবেও দুর্বল করে তুলতে পারে। আবার হরমোনের পরিবর্তনের কারণে বিশেষভাবে নারীরাই কিছু মানসিক রোগের সম্মুখীন হয়ে থাকেন।

এসবের মধ্যে অন্যতম দুটি রোগ হলো, প্রসবোত্তর ডিপ্রেশন এবং ঋতুকালীন মানসিক সমস্যা। আবার পুরুষদের তুলনায় নারীরা নিজের মানসিক সমস্যাও ভিন্নভাবে মোকাবেলা করেন। যেমন, ডিপ্রেশনের সময় পুরুষদের মধ্যে ক্রোধ বা রাগের প্রকাশ ঘটা স্বাভাবিক। কিন্তু ডিপ্রেশনে পড়লে নারীরা সাধারণত ক্লান্ত অথবা বিষণ্ণ হয়ে পড়েন। একইসাথে তারা কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।

এতে করে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেও নারীরা নিজেদের অবস্থার কথা সহজে প্রকাশ করে না। ফলে চিকিৎসা নেয়াটা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একাধিক জরিপে উঠে এসেছে, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছরই পুরুষদের তুলনায় নারীরা মানসিক সমস্যায় বেশি ভোগেন। তাই আপনিও যদি মানসিক সমস্যার মধ্যে থাকেন, তাহলে নিজেকে একা ভাববেন না। বরং পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য এবং পরামর্শ গ্রহণ করুন।

চিকিৎসাঃ যদি আপনার পরিচিত মানুষদের মধ্যে কেউ মানসিক সমস্যার মধ্যে থাকে, তাহলে তাকে সাহায্য করাটা আপনার দায়িত্ব। তাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারেন, সেই বিষয়ে চিকিৎসক কিংবা অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন। তাদের পরামর্শ অনুসারে সমস্যায় থাকা মানুষটিকে নতুন নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন। এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা বিশেষজ্ঞদের সাথে তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।

যাদের সাথে আলাপ করতে পারেন, তারা হতে পারে:

- আপনার পরিচিত অভিজ্ঞ কোনো চিকিৎসক

- প্রসূতি বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ

- মনোরোগ বিশেষজ্ঞ

- কাউন্সেলিং করেন, এমন কোনো বিশেষজ্ঞ। সমস্যা বেশি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

চুল পড়ার সমস্যাটি সবার কাছেই অস্বস্তিকর ও অসহনীয় একটি সমস্যা। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা অনেক বড় সমস্যা। আমাদের এই সমাজে সুন...
19/01/2021

চুল পড়ার সমস্যাটি সবার কাছেই অস্বস্তিকর ও অসহনীয় একটি সমস্যা। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা অনেক বড় সমস্যা। আমাদের এই সমাজে সুন্দর, স্বাস্থ্যোজ্জল চুল না হলে নারীদের খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না। আসুন জেনে নেই চুল পড়ার কারণ-

হরমোনজনিত সমস্যাঃ চুল পড়ার একটি প্রধান কারণ হলো হরমোন জনিত সমস্যা। শরীরে হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে চুল পড়া শুরু হয়। তবে হরমোন সমস্যাত সমাধানের মাধ্যমে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

সন্তান জন্মদানের কারণেঃ গর্ভবতী মা সন্তান প্রসবের তিন মাস পর্যন্ত চুল পড়তে থাকে। সাধারণত এটি হরমোনের কারণেই হয়ে থাকে। যদি সমস্যাটি বেশি প্রকট হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

রজঃনিবৃত্তি সমস্যাঃ অনেক সময় মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণে মহিলাদের চুলের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াঈ হরমোন থেরাপি শরীরে পুষ হলে চুল পড়ার সমস্যা হয়ে থাকে।

কখনো কখনো নানা ধরণের অসুস্থতার কারণেও হয়ে থাকে। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার চুলের নানা ফ্যাশন যেমন- রিবন্ডিং, স্টেইট, পার্ম, ডাই, ব্লোয়ার ড্রাই ইত্যাদি করার কারণে চুল ঝরে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া অনেকে নিজে থেকে ওজন কমানোর জন্য কম খান কিংবা পুষ্টিকর খাবার খান না। এতে করেও চুলের ক্ষতি হয়। ওজন কমাতে নিজে নিজে খাওয়া বন্ধ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পাকস্থলীর ভেতরের আবরণের অস্বস্তি, ব্যথা কিংবা ক্ষয় জন্য যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাকে গ্যাসট্রাইটিস বলে। গ্যাসট্রাইটিস আচ...
19/01/2021

পাকস্থলীর ভেতরের আবরণের অস্বস্তি, ব্যথা কিংবা ক্ষয় জন্য যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাকে গ্যাসট্রাইটিস বলে। গ্যাসট্রাইটিস আচমকা (অ্যাকিউট) অথবা ধীরে (ক্রনিক) হতে পারে। পাকস্থলীর আলসারের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য গ্যাসট্রাইটিসের ব্যথা হয়। গ্যাসট্রাইটিস থেকে আলসার এবং ভবিষ্যতে পাকস্থলীর ক্যান্সার হবার ঝুঁকি থেকে যায়।

লক্ষণ বা উপসর্গ
গ্যাসট্রাইটিসে আক্রান্তদের তলপেটের ওপরে, বুক এবং নিতম্বের মাঝখানে ব্যথা কিংবা অস্বস্তি হয়। গ্যাসট্রাইটিসের লক্ষণ অনেক সময়ে নাও বোঝা যেতে পারে।

লক্ষণ বোঝা গেলে সেই লক্ষণগুলো হল-

বমি এবং বদহজম।
গা গোলানো কিংবা মাঝে মাঝেই পেটের গোলমাল।
খাবার খাওয়ার পরে কিংবা রাতে পেট কামড়ানো বা যন্ত্রণা।
পেটে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া।
খাবারে অনীহা।
কালো এবং আলকাতরার মতন মলত্যাগ।
কারণ
চাপ, অতিরিক্ত মদ্যপান, প্রচণ্ড বমি কিংবা অ্যাসপিরিন বা ব্যথা কমাবার ওষুধ খাওয়ার কারণে গ্যাসট্রাইটিস হয়।

গ্যাস্ট্রাইটিসের কারণ:-

হেলকোবাক্ট্যার ফাইলোরি (এইচ.ফাইলোরি)- পাকস্থলীর ভেতরের আবরণে এই ব্যাকটেরিয়া থাকে। ঠিক মতন চিকিৎসা না হলে ভবিষ্যতে পাকস্থলীর আলসার এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

পারনিসিয়াস অ্যানিমিয়া- ভিটামিন বি১২ শোষণ এবং হজমে সাহায্য করে। পাকস্থলীতে ভিটামিন বি১২-র অভাবে এই অ্যানিমিয়া বংশবিস্তার করে।

বাইল রি-ফ্লাক্স- পিত্তনালী (যা যকৃত এবং পিত্তকোষকে যুক্ত করে) থেকে পাকস্থলীতে বাইলের ব্যাক-ফ্লো।

গ্যাস্ট্রাইটিস কয় প্রকারের হতে পারে
গ্যাসট্রাইটিস প্রধানত দুধরনের: ক্রনিক এবং অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস।

অ্যাকিউট গ্যাসট্রাইটিস আচমকা হয়।

ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিস ধীরে ধীরে হয়।

পরীক্ষা এবং রোগ নির্ণয়
গ্যাস্ট্রাইটিসের ডায়াগনোসিস যার ওপর ভিত্তি করে করা হয় –

চিকিৎসা বা ওষুধ খাওয়ার ইতিবৃত্ত- গ্যাস্ট্রাইটিসের রোগ নির্ণয়ের জন্য, একজন রোগীর তার নিজের চিকিৎসা বা ওষুধের ইতিবৃত্ত জানা এবং সেটা ডাক্তারকে জানানোটা দরকার।

আপার গ্যাস্ট্রোইটেস্টাইনাল এন্ডোক্সোপি- এন্ডোক্সোপ হল ক্যামেরা-যুক্ত সরু নল। এই যন্ত্র মুখের মধ্যে দিয়ে ঢুকিয়ে পাকস্থলী পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে ব্যথার পরীক্ষা করা হয় এবং বায়োপসিও করা হতে পারে। টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানোকে বায়োপসি বলে।

পরিপাকতন্ত্রের ওপরের অংশের এক্স-রে- এক্স-রে করে খাদ্যনালী, পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের ছবি তুললে অস্বাভাবিকতা থাকলে সেটা ধরা পড়বে। আলসার পরীক্ষার জন্য বেরিয়াম সংবলিত সাদা ধাতব তরল গিলে নিতে বলা হয়। বেরিলিয়াম পরিপাকনালীর ওপর একটা আস্তরণ তৈরি করে।

ফ্যাইকাল অকাল্ট রক্ত পরীক্ষা (স্টুল পরীক্ষা)- স্টুলের ভেতরে রক্তের উপস্থিতি দেখর জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। স্টূলের মধ্যে রক্তের উপস্থিতি গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণ।

জটিলতা
ঠিক সময়ে গ্যাসট্রাইটিস চিকিৎসা না হলে, পাকস্থলীর আলসার এবং রক্তপাত পর্যন্ত হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিস থেকে পাকস্থলীর ক্যান্সার হবার ঝুঁকি থেকে যায়।

চিকিৎসা
গ্যাস্ট্রাইটিসের কি কারণের হয়েছে তার ওপর চিকিৎসা নির্ভর করে। নন স্টেরয়ডাল অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটারি ওষুধ বা মদ্যপানের জন্য অ্যাকিউট গ্যাস্ট্রাইটিসের ক্ষেত্রে এই ওষুধ বা মদ্যপান বন্ধ করবার জন্য চিকিৎসা করা হয়। এইচ-ফাইলোরিক সংক্রমণে ক্রনিক গ্যাসট্রাইটিস হলে অ্যান্টিবডির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।

অ্যান্টিবডি মেডিকেশানঃ পরিপাকনালীতে এইচ-ফাইলোরিক থাকলে, ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করবার জন্য অ্যান্টিবডির একটা মিশ্রণ, যেমন ক্লারিথ্রোমাইসিন ও মেট্রোনিডাজোল বা অ্যামক্সিসিলিনের সুপারিশ করা হয়।

ওষুধ, যা অ্যাসিডের উৎপাদন বন্ধ করে এবং ক্ষত নিরাময় করে: প্রোটন পাম্প ইনহিবিটার অ্যাসিড উৎপাদনকারী কোষের কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ওষুধের মধ্যে অন্যতম হল ডিস্কালন্সসোপ্রেজাল, ল্যান্সোপ্রাজোল, রেবেপ্রোজেল, এসোমেপ্রোজেল, প্যান্টাপ্রোজেল এবং ওমেপ্রোজেল।

অ্যাসিড ব্লকার ওষুধ: হিস্টামিন (এইচ-২) ব্লকার, যা আমাদের পরিপাকনালীতে নিঃসৃত অ্যাসিডের পরিমাণ এবং গ্যাস্টাইটিসের ব্যথা কমায়, তাছাড়াও ক্ষত নিরাময় করে। অ্যাসিড ব্লকারের অন্তর্গত হল সিমেটাইডিন, ফ্যামোটাইডিন, নিজাটাইডিন এবং র‍্যান্টিডিন। অ্যান্টাসিড পাকস্থলীর অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে- অ্যান্টাসিড পাকস্থলীর মধ্যস্থ অ্যাসিডকে নিষ্ক্রিয় করে চোখের পলকে ব্যথা কমায়।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BD Osud posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram