Adnan Abir Udoy

Adnan Abir Udoy DMF, Dhaka
(1)

সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষম খাদ্য প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো ...
22/03/2025

সুস্থ থাকার জন্য খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুষম খাদ্য প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত নিম্নলিখিত খাবারগুলো খেলে একজন মানুষ সুস্থতার সাথে জীবনযাপন করতে পারে:

১. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার

মাছ, মুরগি, ডিম

বাদাম, ডাল, সয়াবিন

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন দই, পনির)

২. শর্করা ও ফাইবারযুক্ত খাবার

বাদামি চাল, ওটস, গমের রুটি

মিষ্টি আলু, সবজি

ফলমূল (আপেল, নাশপাতি, কমলা)

৩. ভালো ফ্যাট (স্বাস্থ্যকর চর্বি)

অলিভ অয়েল, নারকেল তেল

বাদাম ও বীজ (বাঁশ বাদাম, চিনাবাদাম, চিয়া বীজ)

অ্যাভোকাডো, মাছের তেল

৪. ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার

সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, লাল শাক, ব্রোকলি)

ফলমূল (বেরি, আম, কলা, পেয়ারা)

দই, দুধ, বাদাম (ক্যালসিয়ামের জন্য)

৫. পর্যাপ্ত পানি পান করা

প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

৬. ফার্মেন্টেড খাবার (গাট হেলথের জন্য ভালো)

দই, ছানা, আচারি খাবার

কিমচি, কম্বুচা

৭. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার

গ্রিন টি, ডার্ক চকলেট

বেরি জাতীয় ফল

হলুদ ও আদা

যে খাবারগুলো কম খাওয়া উচিত

অতিরিক্ত চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার

প্রসেসড ফুড (ফাস্ট ফুড, প্যাকেটজাত খাবার)

অতিরিক্ত লবণ ও তৈলাক্ত খাবার

সফট ড্রিংকস বা কোল্ড ড্রিংক

নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা

খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাও সুস্থ জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তবে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

সিপিআর (CPR) সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর (বাংলায়)প্রশ্ন ১: সিপিআর (CPR) কী?উত্তর: সিপিআর (Cardiopulmonary Resuscitation) হল...
09/03/2025

সিপিআর (CPR) সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর (বাংলায়)

প্রশ্ন ১: সিপিআর (CPR) কী?

উত্তর: সিপিআর (Cardiopulmonary Resuscitation) হলো একটি জীবনরক্ষাকারী প্রক্রিয়া, যা হার্ট অ্যাটাক, ডুবে যাওয়া, শ্বাসরোধ বা হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়। এটি বুকের ওপর চাপ (চেস্ট কমপ্রেশন) ও কৃত্রিম শ্বাস (রেসকিউ ব্রেথিং) দিয়ে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করে।

প্রশ্ন ২: CPR কখন প্রয়োগ করা হয়?

উত্তর: CPR প্রয়োগ করা হয় যখন কেউ শ্বাস নিচ্ছে না বা তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ:

হার্ট অ্যাটাক

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া

পানিতে ডুবে যাওয়া

শ্বাসরোধ হওয়া

মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়া

প্রশ্ন ৩: CPR দেওয়ার সঠিক নিয়ম কী?

উত্তর: CPR দেওয়ার সাধারণ নিয়ম হলো:

1. পরিস্থিতি মূল্যায়ন করুন – ভিকটিম অচেতন কিনা তা পরীক্ষা করুন এবং সাহায্যের জন্য চিৎকার করুন।

2. জরুরি সাহায্য ডাকুন – ৯৯৯ বা স্থানীয় জরুরি নম্বরে ফোন করুন।

3. চেস্ট কমপ্রেশন দিন –

ব্যক্তি যদি শ্বাস না নেয়, তবে তার বুকের মাঝখানে হাত রেখে দ্রুত ও শক্তভাবে চাপ দিন।

প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার কমপ্রেশন করুন।

প্রতিটি কমপ্রেশনের গভীরতা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রায় ২ ইঞ্চি হতে হবে।

4. কৃত্রিম শ্বাস (রেসকিউ ব্রেথিং) দিন –

যদি প্রশিক্ষিত হন, তাহলে ৩০টি কমপ্রেশনের পর ২টি শ্বাস দিন।

শ্বাস দেওয়ার আগে নাক চেপে মুখে শ্বাস দিন এবং দেখুন বুক উঠছে কি না।

5. প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যান – যতক্ষণ না ব্যক্তি সাড়া দিচ্ছে বা জরুরি সেবা পৌঁছাচ্ছে।

প্রশ্ন ৪: CPR কি সবাই দিতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, CPR শেখা সহজ এবং যে কেউ এটি প্রয়োগ করতে পারে। তবে CPR প্রশিক্ষণ থাকলে আরও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব।

প্রশ্ন ৫: শিশুদের ক্ষেত্রে CPR-এর নিয়ম কি আলাদা?

উত্তর: হ্যাঁ, শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য রয়েছে:

একটি হাত ব্যবহার করে বুক চাপ দিতে হয় (প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দুই হাত)।

প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার কমপ্রেশন করতে হয়, তবে চাপের গভীরতা কম (প্রায় ১.৫ ইঞ্চি)।

৩০টি কমপ্রেশনের পর ২টি শ্বাস দিতে হয়।

প্রশ্ন ৬: CPR দেওয়ার সময় কী ধরনের ভুল এড়ানো উচিত?

উত্তর: কিছু সাধারণ ভুল এড়িয়ে চলা উচিত:

বুকের যথেষ্ট গভীরতা পর্যন্ত চাপ না দেওয়া।

খুব ধীরে বা খুব দ্রুত কমপ্রেশন করা।

কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার সময় সঠ

অনেক সময় শুনে থাকবেন, এই ওষুধটি Pregnancy Category B কিংবা C, কোন ক্যাটাগরি বলতে কী বুঝায় জেনে নিন। অবশ্যই গর্ভাবস্থায় শ...
22/02/2025

অনেক সময় শুনে থাকবেন, এই ওষুধটি Pregnancy Category B কিংবা C, কোন ক্যাটাগরি বলতে কী বুঝায় জেনে নিন।

অবশ্যই গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে নিয়মিত একজন গাইনী ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে। নিজে নিজে ফার্মেসী থেকে ওষুধ খাওয়া যাবে না, ওষুধ পরিবর্তন করা যাবে না।

  Terminology  #অনেক সময় প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য অথবা প্রেসক্রিপশন বোঝার জন্য শব্দগুলো প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ▪LAP = Lower Abd...
18/06/2024

Terminology
#অনেক সময় প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য অথবা প্রেসক্রিপশন বোঝার জন্য শব্দগুলো প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

▪LAP = Lower Abdominal Pain. = তলপেটে ব্যথা।
▪LBP = Low Back Pain.= মাজাব্যথা।
▪RA = Rheumatic Arthritis.= বাতজনিত সন্ধিপ্রদাহ।
▪OA = Osteo-arthritis.= অস্থি এবং অস্থিসন্ধিমূলক প্রদাহ।
▪MI = Myocardial Infraction. = একপ্রকার হৃৎপিন্ডের রোগ।
▪DUB = Disfunctional Uterine Bleeding. = জরায়ু থেকে একাধিকবার, দীর্ঘস্থায়ী, অনিয়মিত রক্তক্ষরন।
▪ PCOS = Poly-Cystic Ovarian Syndrome.=পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম।
▪ DM = Diabetes Mellitus.= ডায়াবেটিস মেলিটাস।
▪ NIDDM = Non- Insulin Dependent Diabetes Mellitus.= ইনসুলিন অনির্ভর ডায়াবেটিস মেলিটাস।
▪ IDDM = Insulin Dependent Diabetes Mellitus.= ইনসুলিন নির্ভর ডায়াবেটিস মেলিটাস।
▪ CKD = Chronic Kidney Disease.= ক্রনিক কিডনী ডিজিজ।
▪ LVeF = Left Ventricle Failure.= বাম নিলয়ের কার্যকারীতার অভাব।
▪ COPD = Chronic Obstructive Pulmonary Disease.= ফুসফুসের পুরাতন প্রকৃতির প্রতিবন্ধকতামূলক রোগ।
▪ RTI = Respiratory Tract Infection.= শ্বাসতন্ত্রে সংক্রামসজনিত প্রদাহ।
▪ RTA = Road Trafic Accident. = সড়ক দূর্ঘটনা।
▪ UTI = Urinary Tract Infection.= মূত্রনালীর সংক্রামনজনিত রোগ।
▪ GBS = Guillain-Barre Syndrome.= গুলিয়েন-বেরী সিনড্রোম, একধরনের স্নায়ু রোগ।
▪ IBS = Irritable Bowel Syndrome.= অন্ত্রের বিশেষ ধরনের এক রোগ।
▪ IBD = Irritable Bowel Disease. / Inflammatory Bowel Disease.= অন্ত্রের বিশেষ ধরনের এক রোগ।
▪ DU = Duodenal Ulcer.= ডুওডেনামের ক্ষত।
▪ GU = Gastric Ulcer.= পাকস্থলীর ক্ষত।
▪ GU = Ge***al Ulcer.= জননাঙ্গের ক্ষত।
▪ ARI = Acute Respiratory Infection.= সদ্য শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ।
▪ HTN = Hypertension.= উচ্চরক্তচাপ।
▪ VD = Venereal Disease.= যৌনরোগ।
▪ VD = Village Doctor.= পল্লী চিকিৎসক।
▪ STD = Sexually Transmitted Disease.= যৌন সংক্রামক রোগ।
▪ NS = Nephrotic Syndrome.= কিডনী সংক্রান্ত রোগ।
▪ ALL = Acute Lymphocytic Leukemia.= এক ধরনের রক্তরোগ বিশেষ।
▪ AML = Acute Myelogenous Leukemia.= এক ধরনের রক্তরোগ বিশেষ।
▪ CML = Chronic Myeloid Leukemia = এক ধরনের রক্তরোগ বিশেষ।
▪ AAA = Abdominal Aortic Aneurysm. = পেটে অবস্থিত মহাধমনী বেলুনের মতো ফুলে যাওয়া।
▪ TAA = Thoracic Aortic Aneurysm.= বক্ষ গহ্বরে অবস্থিত মহাধমনী বেলুনের মতো ফুলে যাওয়া।
▪ PUO = Pyrexia of Unknown Origin.= যে জ্বরের কারন নির্য়য় করা যায় না।
▪ GERD = Gastro-esophageal Reflex Disease.= পাকস্থলী থেকে অন্ননালীর দিকে খাদ্যকনার রিফ্লেক্স জনিত উপসর্গ।
▪ NSAID = Non-Steroidal Anti-Inflammatory Drugs. = এ্যালোপ্যাথিতে ব্যবহৃত বেদনানাশক ঔষধ।
▪ IHD = Ischemic Heart Disease. = হৃৎপিন্ডে “ইস্কেমিয়া”জনিত রোগ।
▪ P/V = Per Vaginal ....= যোনীপথ, যোনীপথে বা যোনীপথ হতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
▪ P/R = Per Re**al ....= মলদ্বার, মলদ্বারে, মলদ্বার হতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
▪ IUCD অথবা শুধু CD = Intra-uterine Contraceptive Device অথবা শুধু Contraceptive Device.= জরায়ুর ভেতরে প্রবিষ্ট জন্মবিরতীকরন যন্ত্র বিশেষ। যেমন “কপার-টি।”
▪ A.N = Anxiety Neurosis.= একধরনের মানসিক রোগ। অকারন উদ্বিঘ্নতা।
▪ E.D = Erectile Dysfunction = লিঙ্গোথ্বানজনিত গোলযোগ।
▪ PME = Premature Ejaculation.= সময়ের পূর্বে বীর্যপতন।শীঘ্রপতন।
▪ GIT = Gastro-intestinal Tract.= পরিপাক নালী।
▪ MR = Menstruation Regulation.= ঋতুস্রাব নিয়মিতকরনের জন্য ছোট একধরনের সার্জারী। সাধারনত: ভ্রুন নষ্ট করার পদ্ধতি।
▪ D & C = Dilatation & Curettage.= একধরনের স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের সার্জারী।এতে জরায়ু মুখ সম্প্রোসারিত করে জরায়ুর অভ্যান্তর চাঁছা হয়।
▪ VSD = Ventricular Septal Defect.= হৃৎপিন্ডের ব্যবধায়ক পেশীর ক্রুটি।
▪ DNS = Deviation Nasal Septum. = নাকের মাঝখানের নরম অস্থি বাঁকা।
DMF Doctor "Adnan Abir Udoy "

★কোন রোগের জন্য কী টেস্ট করা হয়ঃ🔴  যে যে রোগে করা হয়ঃ"""''''''''""""""""""""""'"''"'""""'''⏩জ্বর হলে কী কারণে হচ্ছে তার ...
17/12/2023

★কোন রোগের জন্য কী টেস্ট করা হয়ঃ

🔴 যে যে রোগে করা হয়ঃ
"""''''''''""""""""""""""'"''"'""""'''
⏩জ্বর হলে কী কারণে হচ্ছে তার ধারণা নেয়ার জন্য। অনেক সময় Blood Culture করতে হয়।
⏩শরীরে রক্তের পরিমাণ কেমন আছে জানার জন্য।
⏩রক্তের ঘাটতি থাকলে সেটা আয়রণ বা ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে কিনা জানার জন্য।
⏩শরীরে এলার্জি কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্তে ইনফেকশন বা প্রদাহ কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়।
⏩রক্ত জমাট বাধার উপাদান কি পরিমাণ আছে তা জানা যায়।
⏩ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।

🔵 R/E প্রস্রাব টেস্ট যে যে কারণে করা হয়ঃ
""'''''''''''''''''''''''''''""""""""""""""""""
👉ইনফেকশন আছে কিনা,থাকলে সিভিয়ারিটি কতটুকু।
👉ডায়াবেটিস আছে কিনা।
👉প্রোটিন যায় কিনা।
👉রক্ত যায় কিনা।
👉কিডনীতে পাথর আছে কিনা।

🔴 -Random Blood Sugar: ডায়াবেটিস আছে কিনা তার ধারণা করার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।

🔵 Creatinine: যেইসব রোগীর কিডনীর সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হয় এ টেস্ট তাদের করা হয়।(প্রেশার ও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক টেস্ট। ব্যথার ঔষধ দেয়ার আগেও এই টেস্ট করা উচিত)।

🔴 profile: রক্তে চর্বির পরিমাণ বুঝার জন্য এটা করা হয়।হার্টের ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য এটা খুব জরুরি।

🔵 Bilirubin: জন্ডিস আছে কিনা দেখা হয়। একদম প্রাথমিক টেস্ট। জন্ডিস হয়ে গেলে আরো টেস্ট করতে হয়।

🔴 /SGOT: লিভারের কন্ডিশন বুঝার জন্য এটা করা হয়।লিভার কতটুকু এনজাইম উৎপন্ন করছে তা দেখা হয়।

🔵 Electrolyte: রক্তে খনিজের পরিমাণ জানার জন্য এটা করা হয়। শরীর দূর্বল লাগলে, বেশীবমি, ডায়রিয়া এসব ক্ষেত্রে এ টেস্ট করা হয়।

🔴 : জন্ডিস এবং লিভার কন্ডিশন বুঝার জন্য এ টেস্ট করা হয়।
🔵 : ডায়বেটিস বা রক্তে গ্লুকোজের কয়েক মাসের গড় নির্ণয়ের জন্য এই টেস্ট করা হয়।
🔵 : লিভারের সমস্যা বুঝতে এ টেস্ট করা হয়।
🔴 -CT: রক্ত রােগের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
🔵 Test: সার্ভিক্সের ইনফেকশন বা ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এ টেস্ট করা হয়।
🔴 : Thyroid Stimulating Hormone এই টেস্ট হরমোন নির্ণয়ের জন্য করা হয়।
🔵 : হৃদরােগের অবস্থা বুঝার জন্য প্রাথমিক টেস্ট।

 #পিল এটা আমরা ছোট হই কিংবা বড় হই সবাই চিনি।এটার উপকারিতা সবাই কম বেশি জেনে থাকি আদো পিল আমাদের উপকার করেনা ক্ষতি ছাড়া, ...
18/11/2023

#পিল এটা আমরা ছোট হই কিংবা বড় হই সবাই চিনি।
এটার উপকারিতা সবাই কম বেশি জেনে থাকি
আদো পিল আমাদের উপকার করেনা ক্ষতি ছাড়া, আমরা নতুন বিবাহিত যারা আগে একটি বেবি নিয়ে তারপর জন্ম নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করুন। কেননা মা ডাক নিজের জন্য শুনা বন্ধ করিও না।

#আসো আজ জেনে নেও পিলের ক্ষতিকর দিক!!!

#বেশির ভাগ মেয়েই জন্মনিয়ন্ত্রন পিল খায়। জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য পিল খাওয়া মেয়েদের কাছে একটি সাধারন ব্যাপার, তাছাড়া মাসিক ঠিক করার জন্য ও অনেক সময় মেয়েরা পিল খায়। কিন্তু এই পিল সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব কম। একজন মেয়ের জন্য পিল কখনোই ভাল কিছু না বরং একটা মেয়ের জীবনকে ধিরে ধিরে শেষ করতে এই পিলই যথেষ্ট।

#কি কি সমস্যা হতে পারে পিল খেলেঃ
১) হার্ট হ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ৩৫ বছরের বেশি মহিলাদের কখনোই পিল খাওয়া উচিত না কারণ এতে হার্ট এট্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২) পিলে লেভেনোগ্যাস্ট্রেল ও ৩০ মিলিগ্রাম ইস্ট্রোজেন থাকে, যেসব মেয়েদের মাইগ্রেন থাকে তারা যদি পিল কন্টিনিউ করে তাহলে তাদের স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৩) উচ্চ রক্তচাপের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হল পিল সেবন।
৪) যারা বেশি পিল খায় তাদের ভেনাস থ্রোম্বোএম্বলিসম নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৫) বেশি মাথা ব্যথা হয়।
৬) হতাশার একটি কারণ ও হল অতিরিক্ত পিল খাওয়া।
৭) খিটখিটে মেজাজ ও দেখা যায় পিল খাওয়ার কারণে।
৮) বমি বমি ভাব এবং বমি হয়।
৯) ব্রেস্টে অনেক ব্যথা হয়।
১০) সাদা স্রাব হয়।
১১)যারা পিল খায় নিয়মিত তারা সেক্সের সময় তেমন আনন্দ পায় না।
১২) জরায়ু সিস্ট ও জরায়ু টিউমারও হতে পারে।
১৩) স্তন ও জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
১৪) পিল খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যায়।
১৫) ১ বছরের বেশি পিল খেলে তাদের গ্লুকোমা হয়।
*দীর্ঘদিন পিল খেলে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
#সুতরাং যত কম পিল খাওয়া যায় একটা মেয়ের জন্য তা ততই মঙ্গলজনক।
DMF Doctor "Adnan"

এন্টিবায়োটিক কি? এর ব্যবহার এবং সাবধানতা এন্টিবায়োটিক হলো এমন একটা উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস থেকে সংগ্রহ করে অন্য...
02/09/2023

এন্টিবায়োটিক কি? এর ব্যবহার এবং সাবধানতা

এন্টিবায়োটিক হলো এমন একটা উপাদান যা ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস থেকে সংগ্রহ করে অন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস কে ধ্বংস জন্য বা তার বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

ব্যাকটেরিয়া নিজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারেনা বিধায় নিজেদের অঞ্চল থেকেই তাদের খাদ্য সংগ্রহ করার কারনে তারা একই অঞ্চলে থাকা অন্য ব্যাকটেরিয়া গুলোর সাথে প্রতিযোগীতা করে। এক ব্যাকটেরিয়া আরেক ব্যাকটেরিয়া কে মারার জন্য এন্টিবায়োটিক তৈরী করে। এই এন্টিবায়োটিক ই আমরা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করি।

এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সতর্কতা :

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী “বিশ্ব এ্যান্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ” (১৬-২২ নভেম্বর) পালন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে এটা মনে করিয়ে দেয়া যে এন্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, তাই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া দরকার।

তা না হলে ওষুধ হিসেবে এটা কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলবে। আমাদের দেশে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। জীবন রক্ষাকারী অতীব প্রয়োজনীয় ওষুধ এর ব্যবহার হওয়া উচিত পরিমিত, সীমিত ও শুধুমাত্র প্রয়োজনে।

সর্দি, কাশি, জ্বরের মত সাধারন রোগের জন্য আমরা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এন্টিবায়োটিক সেবন করি যা একদমই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার মাঝে “এন্টিবায়োটিক-রোধী” ক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে।

এতে অনেক সময় সাময়িকভাবে রোগ সেরে গেলেও রোগীকে পরবর্তীতে ঐ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগতে হয়, যেমনঃ যক্ষা, শ্বাসতন্ত্রের রোগ এবং গণোরিয়ার মতো যৌনরোগের চিকিৎসার কার্যকারিতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এন্টিবায়োটিক রেজিষ্ট্যান্ট যক্ষা এখন প্রায়ই পাওয়া যাচ্ছে।

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কি?

এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে বলা হয় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স যা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ক্ষেত্রে ঔষধ খেয়েও ভালো ফল পাওয়া যায় না, কারন জীবাণুর বিপক্ষে এন্টিবায়োটিক আর কাজ করতে পারেনা।

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কিভাবে হয়?

প্রয়োজনের অতিরিক্ত, অপ্রয়োজনে অথবা অতিরিক্ত এ্যান্টিবায়োটিক সেবনে শরীরের ক্ষতিকর জীবাণু তার নিজের জিনেটিক কোডে এমন পরিবর্তন আনে যে সেই এন্টিবায়োটিক তার তেমন কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

এন্টিবায়োটিকের অন্যান্য ক্ষতিকর দিকগুলো:

স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়: এন্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শারীরিক স্থূলতার ঝুঁকি থাকে।

পেটের প্রদাহঃ দীর্ঘস্থায়ী এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারে অন্ত্রের প্রাচীরে ঘা সৃষ্টি করতে পারে।

লিভারের ক্ষতিসাধন: লিভারের ক্ষতিসাধনের জন্য অন্যান্য ঔষধের মধ্যে এন্টিবায়োটিক সবচেয়ে দায়ী।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস জন্য দায়ী: এন্টিবায়োটিক অন্ত্রের অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে যাতে অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

এজমার জন্য দায়ী: এন্টিবায়োটিক এজমা থেকে রক্ষাকারী ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে ফেলায় এজমা হওয়ার সমাভবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক রোধে আমাদের করনীয়:

১) ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সাধারন রোগে ভুগলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার না করা।

২) ডাক্তারের পরামর্শ মত ডোজ ও সময় অনুসারে এন্টিবায়োটিক সেবন করা।

৩) ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রে দেয়া ঔষধের ব্যাপারে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করা, কোন ঔষধ কেন দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে ধারনা নেয়া।

৪) মেয়াদ উত্তীর্ণ এন্টিবায়োটিক সেবন না করা।

হেপাটাইটিস বি: লক্ষণ, চিকিৎসা-• হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে? • হেপাটাইটিস-বি কিভাবে ছড়ায়? • হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস • হেপাটাইটিস...
12/08/2023

হেপাটাইটিস বি: লক্ষণ, চিকিৎসা-
• হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে?

• হেপাটাইটিস-বি কিভাবে ছড়ায়?

• হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস

• হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ

• হেপাটাইটিস-বি রোগ নির্ণয়ঃ

• হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা

• হেপাটাইটিস বি এর জন্য ডায়েট

• হেপাটাইটিস রোগী মানেই সমস্ত সুস্বাদু খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে এমন নয়।প্রচুর স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু খাবারের বিকল্প রয়েছে, যা লিভারের জন্য শুধু উপকারীই নয় সেটি যকৃতের ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে।

• হেপাটাইটিস ডায়েটে কি কি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

• হেপাটাইটিস বি নিরাময়যোগ্য

• হেপাটাইটিস বি-তে সংক্রমিত অঙ্গ

হেপাটাইটিস বি সম্পর্কে?

সারা বিশ্বের সর্বাধিক ব্যক্তি যকৃতের যে গুরুতর সংক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত হন তা হল হেপাটাইটিস-বি।এটি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস জনিত রোগ যা লিভারকে আক্রমণ করে এবং লিভারের ক্ষত সৃষ্টি করে।দুই বিলিয়ন মানুষ (প্রতি 3 জনের মধ্যে 1 জন) সংক্রামিত হয়েছে এই রোগটিতে এবং প্রায় 300 মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের সাথে জীবন অতিবাহিত করছেন। প্রতি বছর প্রায় 1 মিলিয়ন পর্যন্ত মানুষ হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, যদিও এটি একটি প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য অসুখ।

আমাদের শরীরে যকৃত বা লিভারের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি হল মানবদেহে বর্তমান সব থেকে বড় পাচন গ্রন্থি। আসুন জানা যাক, আপনার শারীরিক ক্রিয়াকলাপগুলোকে মসৃণভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনার লিভার নীরবে যে কাজগুলো অবিরত করে চলেছেঃ

• আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দিতে সাহায্য করার জন্য ভিটামিন, শর্করা এবং আয়রন সঞ্চয় করে।

• কোলেস্টেরল উৎপাদন ও অপসারণ নিয়ন্ত্রণ করে।

• বর্জ্য পদার্থ সমূহ, ওষুধ এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ থেকে আপনার রক্তকে ​​পরিশ্রুত করে।

• কাটা বা আঘাতের পরে অতিরিক্ত রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ও রক্ত জমাট বাঁধার জন্য যে উপাদানগুলি দরকার যেমন ফাইব্রিনোজেন, প্রোথ্রম্বিন ফ্যাক্টর ফাইভ, সেভেন, নাইন, টেন ইত্যাদি সহ প্রোটিন সি সংশ্লেষ করে।

• ইমিউন ফ্যাক্টর তৈরি করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রক্তপ্রবাহ থেকে ব্যাকটেরিয়া সরিয়ে দেয়।

• খাদ্য হজম করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করার জন্য "পিত্ত" উৎপাদন করে।

আগেই বলা হয়েছে হেপাটাইটিস হল যকৃতের প্রদাহ। আর হেপাটাইটিস-বি হল যকৃতের সংক্রমণ জনিত প্রদাহ। এটি হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ফলেই হয়ে থাকে।

হেপাটাইটিস-বি কিভাবে ছড়ায়?

এটি সাধারণত হেপাটাইটিস-বি সংক্রামিত রক্ত সঞ্চালন ​​বা ব্লাড ট্রান্সফিউসনের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। অন্যান্য দেহতরল যেমন সিমেন, লসিকা, ভ্যাজাইনাল ফ্লুইডের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।হেপাটাইটিস-বি আক্রান্ত গর্ভবতী মা এর থেকে গর্ভস্থ সন্তানের দেহে এই রোগটি প্ল্যাসেন্টাল আদান প্রদানের সময় রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। জীবানুযুক্ত দাঁতের বা অপারেশনের সরঞ্জাম, টুথব্রাশ, নিডল ইত্যাদির মাধ্যমেও এই রোগটি ছড়াতে পারে।তা ছাড়াও জীবানুযুক্ত ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ থেকে এই অসুখটি মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পরে, বিশেষত যারা ড্রাগ অ্যাডিক্ট তারা একই সিরিঞ্জ অনেকে ব্যবহার করে।ফলে এটা জেনে রাখা ভাল যে তাদের জন্য রোগটি কিন্তু মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে।

হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস

হেপাটাইটিস-বি রোগটির জন্য দায়ী ভাইরাসটি হল একটি দ্বিতন্ত্রী ডি এন এ ভাইরাস যা হেপাডনাভিরিডেয়ী ফ্যমিলির অন্তর্গত। এটির বৈশিষ্ট্য রেট্রোভাইরাসের কাছাকাছি। এটা অন্যতম ক্ষুদ্র প্রাণী ভাইরাস যার ভিরিয়িনের ব্যাস 42nm.।এই ভাইরাসটি মানুষ ছাড়াও কাঠবেড়ালি, হেরন, পিকিং হাঁস ইত্যাদি প্রাণীর মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়।

হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ

সাধারণত সংক্রমণের প্রায় 1 থেকে 4 মাস পরে এই লক্ষণগুলো বোঝা যায়।যদিও আপনি সংক্রামিত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেগুলি দেখতে পাবেন।বেশ কিছু লোকের ক্ষেত্রে, সাধারণত ছোট বাচ্চাদের মধ্যে এর কোন উপসর্গ নাও থাকতে পারে।

হেপাটাইটিস-বি এর সাধারণ লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো নিম্নরূপঃ

• পেটে ব্যথা

• গাঢ় প্রস্রাব

• জ্বর

• সন্ধিতে যন্ত্রনা

• ক্ষুধামান্দ্য

• বমি বমি ভাব এবং বমি

• দুর্বলতা এবং ক্লান্তি

• ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া, যাকে সাধারণ কথায় জন্ডিস বলা হয়

হেপাটাইটিস-বি রোগ নির্ণয়ঃ

এখন প্রশ্ন হল এই রোগ নির্ণয় করা যায় কীভাবে? একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে দেহে হেপাটাইটিস-বি এর সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা বোঝা যায়।এক্ষেত্রে হেপাটাইটিস-বি সারফেস অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়ে থাকে।প্রয়োজনে আলট্রাসাউন্ড(ইউ.এস.জি) এবং এল এফ টি করা হয়ে থাকে।

হেপাটাইটিস বি এর চিকিৎসা

হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসাযোগ্য।দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। একজন ডাক্তারবাবু আপনার শারিরীক অবস্থা এবং ঝুঁকির বিষয়গুলি মাথায় রেখে চিকিৎসার সুপারিশ করে থাকেন।

বর্তমানে যে ওষুধগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ভাইরাসটি যে হারে পুনরুৎপাদন করে তার গতি কমিয়ে দেয়।তবে সেগুলো ভাইরাসকে সম্পূর্ণরূপে মেরে ফেলে না।আপনার যকৃতকে যতটা সম্ভব সেফ গার্ড দেয়।মূলত দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

• ইমিউন মডুলেটর ওষুধঃ ইমিউন মডুলেটর, ইন্টারফেরন নামেও পরিচিত, পেগিন্টারফেরন আলফা-২এ এবং ইন্টারফেরন অ্যাপফা-২বি এর অন্তর্ভুক্ত।এগুলি হল অ্যান্টিবডিগুলির সিন্থেটিক সংস্করণ যা আমাদের দেহে রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এগুলি 6 থেকে 12 মাসের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।এগুলি সাধারণত কিছু প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য ফার্স্ট-লাইন চিকিৎসা হিসাবে নির্ধারিত।

• মৌখিক অ্যান্টিভাইরাল ওষুধঃ মুখের মাধ্যমে নেওয়া অ্যান্টিভাইরালগুলি হেপাটাইটাইটিস-বি দমনের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ। আপনার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ডাক্তারবাবু এই ওষুধগুলি নির্বাচন করে থাকেন।প্রথম সারির অ্যান্টিভাইরালগুলির মধ্যে রয়েছে টেনোফোভির ডিসোপ্রক্সিল বা টেনোফোভির অ্যালাফেনামাইড এবং এনটেকাভির।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যারা এই ওষুধগুলি শুরু করেছেন তাদের সারাজীবন এই ওষুধগুলো ব্যবহার করে যেতে হচ্ছে।

তবে কোনোভাবেই নিজে থেকে ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা বিশেষে যে ওষুধই গ্রহণ করতে হোক না কেন তা একমাত্র আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মেনেই নেওয়া উচিত।

হেপাটাইটিস বি এর জন্য ডায়েট

হেপাটাইটিস রোগী মানেই সমস্ত সুস্বাদু খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে এমন নয়।প্রচুর স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু খাবারের বিকল্প রয়েছে, যা লিভারের জন্য শুধু উপকারীই নয় সেটি যকৃতের ক্ষত নিরাময়েও সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর হেপাটাইটিস ডায়েটের অংশ হিসেবে গোটা শস্য খাওয়া খুবই উপকারী। সেটা হতে পারে- গমের রুটি বা সিরিলস, বাদামী চাল, পুরো শস্যের পাস্তা বা পোরিজ। এছাড়াও অন্যান্য শস্য যেমন ওটস, রাই, ওটমিল এবং ভুট্টা আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

যকৃতের রোগ থেকে পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার জন্য ফল এবং শাকসবজির কোনো বিকল্প নেই।এগুলি প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে পূর্ণ এবং হজম করা সহজ।বোনাস হিসাবে, এগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে, যা লিভারের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।স্টার্চ জাতীয় সবজি যেমন আলু, মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় দ্রুত লিভারকে সুস্থ করার জন্য।টিনজাত বা হিমায়িত ফলগুলি যথা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল। তাজা মরসুমী ফল খাওয়ার চেষ্টা করা সবসময়ই ভাল।

অলিভ অয়েল, ক্যানোলা অয়েল এবং ফ্ল্যাক্সসিড অয়েলে থাকে ভাল লিপিড যা হেপাটাইটিস রোগীদের জন্য ডায়েটের প্রয়োজনীয় অংশ হয়ে উঠতে পারে।

চিকেন, মটরশুটি, ডিম এবং সয়া পণ্যগুলির সাথে কম চর্বিযুক্ত দুধ এবং এর মধ্যে থাকা প্রোটিনগুলিও একটি স্বাস্থ্যকর লিভার ডায়েটের অংশ হয়ে উঠতে পারে।

হেপাটাইটিস ডায়েটে কি কি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

খাবারের ব্যাপারে বাছবিচার করাটা খুবই জরুরী।হেপাটাইটিসের সময় নির্দিষ্ট কিছু খাবার এড়িয়ে চলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।লিভারের ক্ষতি করতে পারে এমন খাবার অত্যাধিক পরিমাণে গ্রহণ করা রোগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এমনকি তা লিভারের স্থায়ী ক্ষতির কারণও হতে পারে।প্রক্রিয়াজাত খাদ্য আইটেমগুলির মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা হজম করা শক্ত এবং তুলনামূলকভাবে পুষ্টিহীন। প্রক্রিয়াজাত পাউরুটি, পনির এবং প্রায় সব ফাস্ট ফুড আইটেমগুলিও এড়িয়ে যাওয়া উচিত, কারণ এগুলো লিভারের আরো ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং যকৃতের পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করে নিরাময় লাভের সময়কে দীর্ঘায়িত করে।

খাদ্য তালিকা থেকে হাইড্রোজেনেটেড তেল অবশ্যই বাদ দিতে হবে।প্রকৃতপক্ষে আজীবন সুস্থ লিভারের জন্য স্বাস্থ্যকর তেলে স্যুইচ করা উচিত।স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা ট্রান্স-ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

একটি সুস্থ লিভারের জন্য চিনি গ্রহণ সীমিত করা আবশ্যক।বিভিন্ন রেডিমেড জুসগুলিতে চিনির উচ্চ ঘনত্ব থাকে, যা শরীরে হেপাটাইটিস ভাইরাসের আক্রমণে লিভারের পক্ষে হজম করা কঠিন হতে পারে।কোল্ড ড্রিংস একদম না খাওয়াই উচিত।মদ্যপান এবং ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।

এখন অনেকের মনেই এই প্রশ্ন থাকে যে, হেপাটাইটিস-বি হলে তা নিরাময় করা যায় কি যায় না?

হেপাটাইটিস বি নিরাময়যোগ্য

আপনি যদি অস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি দ্বারা আক্রান্ত হন তাহলে সাধারণ নিয়মগুলি মানলেই আপনার শরীরের সহজাত অনাক্রম্যতা এই রোগটিকে সারিয়ে তুলতে পারবে।আপনি সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন কিনা তা জানার জন্য একটি রক্ত পরীক্ষাই যথেষ্ট।সংক্রমণ কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে না পারলে, আপনি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের শিকার হবেন যা আজীবন স্থায়ী হবে।দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি নিরাময়যোগ্য নয়, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

হেপাটাইটিস বি-তে সংক্রমিত অঙ্গ

লিভার এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা সম্পূর্ণরুপে স্তব্ধ হয়ে গেলে আমরা মাত্র এক বা দুই দিনই বেঁচে থাকতে পারি - যদি লিভার ব্যর্থ হয় তবে আপনার শরীরও ব্যর্থ হবে। যকৃতের 80% পর্যন্ত খারাপ বা অপসারিত হলেও অবশিষ্ট অংশটুকু দিয়ে আমাদের কাজ চলে যায়, এটাই বিরাট সৌভাগ্যের কথা।এর কারণ হল সুস্থ লিভার কোষ নতুন লিভার কোষ পুনরুৎপাদন করে, যা আমাদের শারিরীক ক্রিয়াকলাপগুলোকে অব্যাহত রাখে।

"হেপাটাইটিস" শব্দের প্রকৃত অর্থ হল লিভারের "প্রদাহ"। সুতরাং, "হেপাটাইটিস বি" হেপাটাইটিস বি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট লিভারের প্রদাহকে বোঝায়। প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং যথাযথ ফলো-আপ চিকিৎসা, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ও যত্নের মাধ্যমে, দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের সাথে বসবাসকারী লোকেরাও কিন্তু দীর্ঘ এবং স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করতে পারে।তাই কোনওরকম, উপসর্গ বা শারিরীক অসুস্থতা দেখা মাত্র বিলম্ব না করে ।
আপনার নিকটবর্তী ডাক্তার এর শরণাপন্ন হন।
Everyone Md Rahool Hasan Anamul Haque

ডেঙ্গু জ্বর - কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ওচিকিৎসা• ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর কি? • ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ • ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ...
12/08/2023

ডেঙ্গু জ্বর - কারণ, লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ওচিকিৎসা
• ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর কি?

• ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

• ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ গুলি হোল -

• ডেঙ্গুতে প্লেটলেটের সংখ্যা সাধারণত কত হয়?

• ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

• ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের জন্য ডায়েট

• ডেঙ্গু হলে অনুচিত খাবার

• ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার

• উপসংহার

ডেঙ্গু বা ডেঙ্গু জ্বর কি?

উপক্রান্তিয় এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের গ্রীষ্ম-প্রধান দেশে ডেঙ্গু এবং ডেঙ্গু জ্বর একটি অত্যন্ত সাধারণ ভেক্টর-বাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়। ভারতবর্ষে প্রধানত প্রাক-গ্রীষ্ম এবং বর্ষা সময় এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। ডেঙ্গু সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি থাকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত যায়। এপ্রিল মাসে এই হাড় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। জুন-জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাধারণত হ্রাস পেতে দেখা যায়।

ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ অংশেও এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে। সময় এবং অঞ্চল-বিশেষে এই রোগ মহামারির আকারও ধারণ করে। বিনা চিকিৎসায়, ভুল চিকিৎসায়, এবং দেরিতে চিকিৎসার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের কোন বিশেষ লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসায় বাড়ি তে থেকেই এই রোগের নিরাময় করা সম্ভব। শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রেই রোগীকে হসপিটালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। সেই ক্ষেত্রেও 1–2 সপ্তাহের মধ্যে রোগী ভাল হয়ে যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা থাকে। এই রোগ সম্বন্ধে জনমানসে সচেতনতা বৃদ্ধি ভীষণ জরুরী। সামান্য কিছু উপায় মেনে চললে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করেতে পারি। এই রোগ লোকালয়ে ছড়িয়ে পরার হাত থেকে সহজেই নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

ডেঙ্গু (DENG-gey) জ্বর হল একটি মশা-বাহিত ভাইরাস-ঘটিত রোগ। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে প্রথমবার ডেঙ্গু-তে আক্রান্ত রোগীর বিশেষ কোন উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় না। শুধু অল্প কিছু ক্ষেত্রেই রোগের প্রভাব গভীর হয়। ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ গুলি হোল -

• উচ্চ জ্বর (40°C/104°F)

• তীব্র মাথার যন্ত্রণা

• চোখের পিছনে ব্যথার অনুভূতি

• মাংসপেশি এবং অস্থি সন্ধি (bone) তে যন্ত্রণা

• বমিভাব

• মাথাঘোরা

• গ্রন্থি ফুলে যাওয়া

• ত্বকে বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি

এই উপসর্গ গুলি রোগ সংক্রমণের 4 থেকে 10 দিনের মধ্যে দেখা দেয়। সাধারণত 2 থেকে 7 দিন পর্যন্ত উপসর্গ স্থায়ী হতে পারে। দ্বিতীয় বার ডেঙ্গু তে আক্রান্ত হলে রোগের ভয়াভয়তা বৃদ্ধি পায়। সেই কারনে পূর্বে ডেঙ্গু তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়।

ডেঙ্গুর গুরুতর উপসর্গ গুলি হোল -

• প্রচণ্ড পেট ব্যথা

• ক্রমাগত বমি হওয়া

• মারি বা নাক থেকে রক্তপাত

• প্রস্রাবে এবং মলের সাথে রক্তপাত

• অনিয়ন্ত্রিত পায়খানা

• ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ (যা ক্ষতের মতো দেখাতে পারে)

• দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস

• ক্লান্তি

• বিরক্তি এবং অস্থিরতা

ডেঙ্গুর জীবাণু মানুষের শরীরের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে রক্তনালীতে ছিদ্র তৈরি হয়। রক্ত রবাহে ক্লট-তৈরির কোষগুলির (প্ল্যাটলেট) সংখ্যা কমে যেতে থাকে। এর জন্য মানুষের শরীরে শক লাগা, শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তপাত, যে কোন অঙ্গের ক্ষতি এবং শেষ পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু হতে পারে। রোগীর শরীরে গুরুতর উপসর্গ গুলির কোন একটি দেখা দিলে অতি অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত বা রোগী কে নিকটবর্তী হসপিটালে ভর্তি করানো দরকার। অন্যথায় রোগীর প্রাণসংকট হতে পারে।

ডেঙ্গুতে প্লেটলেটের সংখ্যা সাধারণত কত হয়?

স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সম্পন্ন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের প্লেটলেট সংখ্যা হয় 150,000 থেকে 450,000 প্লেটলেট প্রতি microliter রক্তে। উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীদের এই সংখ্যা 20,000 এর নিচে চলে যেতে পারে। এই সময় রক্তপাতের ঝুঁকি সর্বোচ্চ হয়। মাঝারি ঝুঁকি পূর্ণ রোগীদের প্লেটলেট সংখ্যা 21-40,000/cumm মধ্যে থাকে। অবশ্য ডেঙ্গু সংক্রমণে অনেক ক্ষেত্রেই প্লেটলেট সংখ্যার দ্রুত পরিবর্তন হয়। প্লেটলেট কাউন্ট কম এবং রক্তক্ষরণের লক্ষণ প্রকাশ পেলে তবেই প্লেটলেট প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। অন্যথায় সংক্রমণ কমার সাথে সাথে আমাদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে প্লেটলেট কাউন্ট বৃদ্ধি পায়। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ফোলেট এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহন।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

ডেঙ্গুর চিকিৎসার বিশেষ কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। গবেষকরা কাজ করে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘরোয়া চিকিৎসাতেই কমে যায়। চিকিৎসকরা পেরাসিটামিল জাতীয় ওষুধ দিয়ে যন্ত্রণা এবং জ্বরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেন। Non-steroidal প্রদাহ-প্রতিরোধী ওষুধের রক্ত ক্ষরণের সম্ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রোগের মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি পেলে রোগী কে হসপিটালে ভর্তি এবং ডাক্তারি নজরদারি তে রাখা একান্ত জরুরী। হসপিটালে ডেঙ্গু রোগীদের শিরায় (IV) ইলেক্ট্রোলাইট (লবণ) তরল দেওয়া হয়। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় জল এবং লবণের যোগান বজায় থাকে।

ডেঙ্গু জ্বরের রোগীদের জন্য ডায়েট

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের জন্য, কিছু পুষ্টি উপাদান বিশেষ ভাবে উপকারী হতে পারে, যেমন

• ভিটামিন সি (সাইট্রাস ফল, বেরি এবং শাক-সবজিতে পাওয়া যায়),

• জিঙ্ক (সামুদ্রিক খাবার, মটরশুটি এবং বাদামে পাওয়া যায়)

• আয়রন (মাংস, মটরশুঁটিতে পাওয়া যায়)

• ওটমিল (সহজপাচ্য কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ)

• পেঁপে

• নারিকেলের জল

সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা দরকার শরীর কে হাইড্রেট করার জন্য।

ডেঙ্গু হলে অনুচিত খাবার

সহজে হজম হয়না এমন খাবার ডেঙ্গু রোগী দের খাওয়া উচিত নয়। যেমন -

• আমিষ খাবার

• চর্বি

• তৈলাক্ত খাবার

• ভাজাভুজি

ডেঙ্গু জ্বরের ঘরোয়া প্রতিকার

• ডেঙ্গু একটি মশা-বাহিত রোগ। তাই মশার কামড়ের হাত থেকে নিজেকে এবং আপনার পরিবার কে বাঁচান।

• বাড়ির চারপাশে জল জমতে দেবেন না। জমা জলে মশারা বংশবিস্তার করে। জল জমতে না দিয়ে মশার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সপ্তাহে অন্তত একবার জল জমতে পারে এমন জায়গা পর্যবেক্ষণ করুন। এবং গাছের টব, ফুলদানি, পরে থাকা গাড়ির টায়ারের জমে থাকা জল ফেলে দিন।

• শরীর ঢাকা জামা কাপড় যেমন লম্বা-হাতা শার্ট, লম্বা প্যান্ট, মোজা এবং জুতা পরুন।

• ডেঙ্গু ভাইরাস বহনকারী মশা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। এই সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকুন।

• রাতে শোবার সময় মশারী ব্যবহার করুন।

• মশা নিরোধক কেমিক্যাল যেমন পারমেথ্রিন ব্যবহার করুন।

উপসংহার

ডেঙ্গু জ্বর একটি সাধারণ রোগ। কিন্তু অবহেলা করলে এই রোগ মারাত্মক হতে পারে। শহরাঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। তাই নগরবাসীকে আরেকটু সজাগ ও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে যাদের ডেঙ্গু হয়েছে তাদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। দ্বিতীয় ডেঙ্গু সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং ভালো থাকুন।
প্রয়োজনে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
Everyone

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Adnan Abir Udoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Adnan Abir Udoy:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram