Dr M A Halim Khan- Endocrinologist

Dr M A Halim Khan- Endocrinologist To provide health related solution
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিশেষজ্ঞ
(1)

26/06/2025

পারস্যের বিজ্ঞানীদের অবদান ..............................................

ইরান (প্রাচীন পারস্য) একটি প্রাচীন সভ্যতার দেশ, যেখানে বহু জ্ঞানী-গুণী বিজ্ঞানী জন্মগ্রহণ করেছেন। তারা বিজ্ঞানের নানা শাখায় যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন। নিচে যুগে যুগে ইরানে জন্ম নেওয়া বিখ্যাত কিছু বিজ্ঞানীর নাম ও তাদের অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:

১. আবু আলী ইবনে সিনা (Avicenna)
• জন্ম: ৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ, আফশানা (বর্তমান উজবেকিস্তান, তখন পারস্য সাম্রাজ্যের অংশ)
অবদান:
• চিকিৎসাশাস্ত্রের গ্রন্থ “The Canon of Medicine” (আল-কানুন ফি আল-তিব্ব): এটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মেডিকেল টেক্সটবুক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
• দর্শন, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞানেও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন।
• মন ও শরীরের সম্পর্ক নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেছেন।

২. আল-রাজী (Rhazes)
• জন্ম: ৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দ, রায় (Ray), ইরান
অবদান:
• আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের পথিকৃৎ।
• “Al-Hawi” বা “The Comprehensive Book of Medicine”—চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশাল এনসাইক্লোপিডিয়া।
• গুটিবসন্ত ও হাম সম্পর্কে প্রথম আলাদা বিবরণ প্রদান করেন।
• অ্যাসিড ও অ্যালকোহল সংক্রান্ত রাসায়নিক গবেষণাও করেছিলেন।

৩. ওমর খৈয়াম
• জন্ম: ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দ, নিশাপুর, ইরান
অবদান:
• বিশিষ্ট গণিতবিদ, জ্যোতির্বিদ ও কবি।
• ক্যালেন্ডার সংস্কার করেন—খৈয়ামী ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের থেকেও নিখুঁত।
• ঘন ঘনী সমীকরণ (Cubic Equation) সমাধানে অগ্রগণ্য।

৪. আল-খাওয়ারিজমি
• জন্ম: ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দ (সম্ভবত খোরাসান অঞ্চলে), পারস্য সাম্রাজ্যে
অবদান:
• “অ্যালজেবরা” শব্দটি তাঁর নাম থেকেই এসেছে (His book: Al-Kitab al-Mukhtasar fi Hisab al-Jabr wal-Muqabala)।
• আধুনিক গাণিতিক অ্যালজেবরার ভিত্তি স্থাপন করেন।
• তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ভূগোলবিদ ছিলেন।

৫. নাসির আল-দীন তুসি
• জন্ম: ১২০১ খ্রিষ্টাব্দ, তুস, ইরান
অবদান:
• জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত ও দর্শনে বিশেষ অবদান।
• মারাগেহ জ্যোতির্বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন।
• ইউরোপীয় রেনেসাঁর জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের উপর প্রভাব ফেলেন (উদাহরণ: কপারনিকাস)।

৬. বাহা আল-দীন আল-আমিলি
• জন্ম: ১৫৪৭ খ্রিষ্টাব্দ, বাইরুত (কিন্তু ইরানে বসবাস ও কর্মজীবন)
অবদান:
• গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, স্থাপত্যশিল্পে পারদর্শী।
• ইসফাহানে অনেক স্থাপত্যকর্মের নকশা করেন, যেমন: শাহ মসজিদ।

৭. আবু রেহান আল-বিরুনি
• জন্ম: ৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দ, খোয়ারিজম (বর্তমানে উজবেকিস্তান, পারস্য সাম্রাজ্যের অংশ)
অবদান:
• ভূবিজ্ঞান, ইতিহাস, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি অধ্যয়নে অগ্রণী।
• পৃথিবীর পরিধি হিসাব করেছিলেন আধুনিক মানের কাছাকাছি।
• ভারতীয় বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করেছেন।

৮. জিবরাইল ইবনে বখতিশু
• জন্ম: ৮ম শতাব্দী, গণ্ডেশাপুর, ইরান
অবদান:
• খলিফা হারুন আল-রশিদের চিকিৎসক ছিলেন।
• ইসলামি যুগের প্রথমদিকে চিকিৎসাশাস্ত্র বিকাশে সহায়তা করেন।

🔵 উপসংহার:

ইরানের প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বিজ্ঞানীরা চিকিৎসা, গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন ও দর্শনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শাখাগুলিতে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানের বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাদের রচনাবলি ইউরোপের রেনেসাঁ যুগেও অনুবাদ হয়ে পড়া হয়েছে এবং এখনও ইতিহাসে মূল্যবান বলে গণ্য।
..................
ডা. এম এ হালিম খান
সহযোগী অধ্যাপক
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

24/06/2025

সাবেক মিশরীয় রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাতের হত্যাকারীকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক- "প্রেসিডেন্ট সাদাতকে কেন হত্যা করেছ তুমি?

হত্যাকারী জবাব দিয়েছিল- "কারণ সে সেক্যুলার ছিল।"
বিচারক তখনই পরের প্রশ্নটি করলেন- "সেক্যুলার মানে কী?"
হত্যাকারী জানালো- "আমি জানি না।"

প্রয়াত মিশরীয় লেখক নাগিব মাহফুজকে ছুরি মেরে হত্যা-চেষ্টাকারীর একজনকে প্রশ্ন করেছিলেন বিচারক- "নাগিব সাহেবকে তুমি ছুরিকাঘাত করেছ কেন?"
জবাবে সন্ত্রাসী বলেছিলো- "কারণ সে ধর্মবিরোধী 'চিলড্রেন অভ গেবালাবি' উপন্যাসটি লিখেছে।"
বিচারক আগ্রহ দেখালেন- "উপন্যাসটি পড়েছ তুমি?"
অপরাধী জবাব দিয়েছিলো- "না।"

মিশরীয় সাহিত্যিক ফারাজ ফাউদাকে হত্যাকারী সন্ত্রাসীটিকে বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন- "ফারাজ ফাউদাকে মেরে ফেললে কেন?"
হত্যাকারী জবাব দিয়েছিল- "কারণ তার ঈমান নাই।"
বিচারক জানতে কৌতূহলী হলেন- "তুমি কিভাবে বুঝলে যে তাঁর ঈমান নেই?"
সন্ত্রাসীর জবাব ছিল- "তার বইগুলা পড়লেই সব বোঝা যায়।"
বিচারকের কৌতূহল বেড়ে গেলো- "তাঁর কোন্‌ বইটিতে তুমি তাঁর ঈমানহীনতার প্রমাণ পেলে?"
হত্যাকারী স্বীকার করলো- "বইয়ের নাম আমি জানি না। আমি পড়িনি ওসব।" বিচারক বিস্মিত হলেন- "কেন পড়োনি?"
খুনীটি বলেছিলো- "আমি লিখতে-পড়তে জানি না।"

ঘৃণা, কখনোই জ্ঞানের মাধ্যমে ছড়ায় না। ঘৃণা ছড়িয়ে পড়ে অজ্ঞতার মাধ্যমে। সমাজ অজ্ঞতার খেসারত, অজ্ঞ করে রাখার খেসারত এভাবেই দেয়।

সুতরাং কারো বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে- "তুমি আদৌ বিষয়টি পরিস্কার ভাবে, প্রমান সহকারে জানো কিনা?"
(সংগৃহীত পোষ্ট)

17/06/2025

উজান-ভাটি

17/06/2025

ডায়াবেটিসের মেডিসিন কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর? /ডা. এম এ হালিম খান, এন্ডোক্রাইনোলজি, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিশেষজ্ঞ / 01884693642

17/06/2025

ডায়াবেটিসের মেডিসিন কি হার্টের ক্ষতি করে? /ডা. এম এ হালিম খান, এন্ডোক্রাইনোলজি, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিশেষজ্ঞ / 01884693642

13/06/2025

উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস থাকলে কি মাংস খাওয়া যাবে? ........................................................

উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) এবং ডায়াবেটিস (Diabetes) থাকলে মাংস খাওয়া যাবে, তবে কিছু সতর্কতা ও পরিমিতিবোধ মেনে চলা জরুরি। নিচে বিস্তারিতভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো:

✅ খাওয়া যাবে – তবে কীভাবে?

১. মাংসের ধরন বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ
• কম চর্বিযুক্ত মাংস বেছে নিন:
• মুরগির বুকের মাংস (চামড়া ছাড়া)
• গরু বা খাসির চর্বি ছাড়া লীন মাংস
• মাছ – যেমন রুই, কাতলা, স্যালমন, টুনা ইত্যাদি
• বর্জনীয় বা কম খাওয়া উচিত:
• চর্বিযুক্ত লাল মাংস (যেমন গরুর রানের চর্বি বা খাসির পাঁজরের মাংস)
• প্রক্রিয়াজাত মাংস (সসেজ, সালামি, বেকন, হটডগ) – এগুলোর মধ্যে উচ্চমাত্রায় লবণ, প্রিজারভেটিভ এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে

🥗 মাংস খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্যকর নিয়ম:

1. সেদ্ধ, গ্রিল, বা বেক করে রান্না করুন – ভাজা বা ফ্রাই নয়
2. প্রতিদিন না খেয়ে সপ্তাহে ২–৩ বার খান
3. সবজি ও আঁশযুক্ত খাবারের সাথে খান
4. এক বেলায় ৫০–১০০ গ্রাম পরিমাণ রাখুন

🐟 বিকল্প হিসেবে প্রোটিনের উৎস:
• ডাল, ছোলা, মসুর
• ডিম (সাদা অংশ)
• দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (লো-ফ্যাট)
• বাদাম (সীমিত পরিমাণে)

🔍 উপসংহার:
হ্যাঁ, মাংস খাওয়া যাবে, তবে
✔ পরিমিত পরিমাণে
✔ স্বাস্থ্যকরভাবে প্রস্তুত করে
✔ সঠিক প্রকার নির্বাচন করে
✔ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী

প্রশ্ন: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী কি আম খেতে পারবে?উত্তর (বিজ্ঞানের আলোকে): হ্যাঁ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী সীমিত পরিমাণে...
04/06/2025

প্রশ্ন: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী কি আম খেতে পারবে?

উত্তর (বিজ্ঞানের আলোকে): হ্যাঁ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী সীমিত পরিমাণে ও সচেতনভাবে আম খেতে পারেন। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।

✅ কেন ডায়াবেটিসে রোগীরা আম খেতে পারেন:

আম একটি প্রাকৃতিক ফল, যাতে আছে:
• প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ)
• ফাইবার (আঁশ)
• ভিটামিন সি, এ, ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
• কিছু পরিমাণে ভিটামিন বি ও খনিজ

এগুলো শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু যেহেতু আমে চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য তা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে খাওয়াটাই মূল বিষয়।



✅ কিভাবে আম খেলে উপকার পাওয়া যাবে:
1. মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন: দিনে ১টি ছোট পিস বা ১/৩ কাপ (প্রায় ৫০ গ্রাম) খাওয়া নিরাপদ অনেকের জন্য।
2. খালি পেটে খাবেন না: আম খেলে তার সাথে প্রোটিন বা আঁশযুক্ত খাবার (যেমন বাদাম বা দই) খান, এতে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি ধীরে হয়।
3. একই দিনে অন্য ফল খাওয়া পরিহার করুন: যেন চিনি মাত্রা না বাড়ে।
4. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে তবেই খান। অনিয়ন্ত্রিত সুগার থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
5. শরীরচর্চা করুন: ফল খাওয়ার পর হালকা হাঁটা বা ব্যায়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

🚫 যেসব অবস্থায় সাবধানতা জরুরি:
• যদি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা > 250 mg/dL থাকে।
• যদি আপনি ইনসুলিন বা স্যুলফোনাইল ইউরিয়া জাতীয় ওষুধ খান, যা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
• যদি আপনি ওবেসিটি বা ওজনাধিক্যে ভুগে থাকেন, কারণ আমে ক্যালরি বেশি।

🔬 গবেষণার দৃষ্টিতে:
• একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, আমে থাকা ম্যাঙ্গিফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
• কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, কম পরিমাণে আম রক্তে চিনি বাড়ায় না যদি সেটা ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য পরিকল্পনার অংশ হয়।

📌 উপসংহার:

হ্যাঁ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী নিয়ন্ত্রিত মাত্রায়, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ও চিকিৎসকের পরামর্শে আম খেতে পারেন। একে একেবারে নিষিদ্ধ না করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে খাদ্য পরিকল্পনার অংশ করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

01/06/2025

Life is a book.
Every day, a new page.
Every month, a fresh chapter.
Every year, a brand-new series.

Fill it with purpose, passion, and progress.

27/05/2025

আপনার ওজন কত হওয়া উচিৎ তা কিভাবে বের করবেন / ডা. এম এ হালিম খান, এন্ডোক্রাইনোলজি, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিশেষজ্ঞ / 01884693642

16/05/2025

পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক দেশ একসময় একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, কিন্তু পরে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তারা মিত্র বা বন্ধুও হয়ে উঠেছে। নিচে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ দেওয়া হলো:

১. জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র
• যুদ্ধ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে (১৯৪১-১৯৪৫), জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েছিল। বিশেষ করে, ১৯৪১ সালে পার্ল হারবার আক্রমণের ফলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়।
• মিত্রতা: যুদ্ধ শেষে জাপান আত্মসমর্পণ করে এবং যুক্তরাষ্ট্র জাপানের পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বর্তমানে তারা ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক মিত্র।

২. জার্মানি ও ফ্রান্স
• যুদ্ধ: ফ্রান্স ও জার্মানি একাধিকবার একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে (বিশেষ করে ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধ ১৮৭০-৭১, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪-১৯১৮, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯-১৯৪৫)।
• মিত্রতা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠায় একসাথে কাজ করে এবং বর্তমানে ইউরোপীয় রাজনীতিতে ঘনিষ্ঠ মিত্র।

৩. যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র
• যুদ্ধ: ১৮১২ সালের যুদ্ধসহ ব্রিটেন ও আমেরিকার মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধ হয়েছিল।
• মিত্রতা: পরে দুই দেশই ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও সামরিক মিত্র হয়ে ওঠে, বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত।

৪. চীন ও রাশিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন)
• যুদ্ধ: ১৯৬০-এর দশকে সীমান্ত দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল (উদাহরণ: উসুরি নদী সীমান্ত সংঘর্ষ)।
• মিত্রতা: পরবর্তীতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নত হয় এবং বর্তমানে তারা স্ট্র্যাটেজিক সহযোগী।

৫. ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্র
• যুদ্ধ: ভিয়েতনাম যুদ্ধ (১৯৫৫-১৯৭৫), যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম একপক্ষে ছিল এবং উত্তর ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল।
• মিত্রতা: এখন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে।

এই উদাহরণগুলো থেকে বোঝা যায়, আন্তর্জাতিক রাজনীতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়।

কোনো সম্পর্কই চিরন্তন নয়।

ডা. এম এ হালিম খান
সহযোগী অধ্যাপক ( এন্ডোক্রাইনোলজি)
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ,ঢাকা।

১৯৪৫ সাল।যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান।এক কিশোর তার মৃত ভাইকে মাটি চাপা দিতে পিঠে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একজন আর্মি অফিসার বিষয়টি ...
13/05/2025

১৯৪৫ সাল।
যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান।
এক কিশোর তার মৃত ভাইকে মাটি চাপা দিতে পিঠে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একজন আর্মি অফিসার বিষয়টি লক্ষ্য করে কিশোরকে বললেন, "লাশটা পিঠ থেকে ফেলে দাও, ওটা অনেক ভারী।"

কিশোরটি সঙ্গে সঙ্গে দৃঢ় স্বরে জবাব দিল, "সে ভারী নয়, সে আমার ভাই!" আর্মি অফিসারের কিছুক্ষণ সময় লাগে ঘটনাটি বুঝতে। এরপর পুরো বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এই ঘটনা নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র জাপান জুড়ে। সেই থেকে ছবিটি হয়ে ওঠে দেশটির ঐক্যের প্রতীক। ভাইকে পিঠে তুলে নেওয়া কিশোরের ওই উক্তি হয়ে যায় তাদের জাতীয় স্লোগান: "সে বোঝা নয়, সে আমার ভাই/বোন।" (He’s not a burden, he’s my brother/sister.)

আপনার ভাই বা বোন যদি পড়ে যায়, তাকে উঠান। যদি তার সামর্থ্য না থাকে, যদি সে দুর্বল হয়, তার পাশে দাঁড়ান। আর যদি সে ভুল করে, তাকে ক্ষমা করে দিন। পৃথিবী যদি তাকে পরিত্যাগ করে, আপনি তাকে আপনার পিঠে তুলে নিন। কারণ সে বোঝা নয়, সে আপনার ভাই/বোন।

11/05/2025

"মা দিবসের গল্প ".................................

এমন মা ভক্ত মানুষ আমি জীবনে কখনো দেখিনি। তিনি একজন বহুজাতিক কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।আমি তাঁর মায়ের নিয়মিত চিকিৎসক। তাঁর মায়ের একটি জটিল হরমোনের সমস্যা এবং ডায়াবেটিস আছে।

চেম্বারে ঢুকেই প্রথমে তিনি অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আমার পা ছুঁয়ে সালাম করেন। আমি খুব বিব্রতবোধ করি।

একদিন জিজ্ঞেস করলাম "পা ছুঁয়ে সালাম করলে খুব অস্বস্তিবোধ করি।সালাম দেয়াটাই যথেষ্ট এবং উত্তম।"

তিনি বললেন " স্যার, আমি আমার মাকে খুব ভালোবাসি। আপনি আমার মায়ের খুব প্রিয় একজন চিকিৎসক। আপনাকে দেখানোর পর থেকে আমার মা অনেক ভালো আছেন। আমি শ্রদ্ধাবোধ থেকেই আপনার পাঁ ছুঁয়ে সালাম করি।তাছাড়া আমিতো আগে সালাম দেই এবং পরে আপনার পা ছুঁয়ে সালাম করি।" আমি বিষয়টি নিয়ে আর বেশি কথা বলতে চাইনি।

কোনো নতুন ওষুধ লিখলেই ওষুধটি কেন লিখেছি এবং এই ওষুধ সেবন করলে মায়ের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কিনা সে বিষয়ে বিনয়ের সাথে জানতে চেয়ে বলেন
"কিছু মনে করবেন না স্যার।কোনো ওষুধ খেয়ে মা কষ্ট পেলে আমি খুব আহত হই।সেজন্যে আপনাকে বিরক্ত করি।মা-ই আমার সব।"

প্রতিবার চেম্বার থেকে তিনি যখন বের হয়ে যান তখনি আমার কাছে মনে হয় মাকে এভাবেই যত্ন করে ভালোবাসতে হয়।আর এভাবে ভালোবাসতে পারিনি বলেই মা এখন দূর আকাশের তারা হয়ে গেছেন।
...........................................

ডা. এম এ হালিম খান
সহযোগী অধ্যাপক
এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ ,শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ,ঢাকা।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr M A Halim Khan- Endocrinologist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr M A Halim Khan- Endocrinologist:

Share