Dr M A Halim Khan- Endocrinologist

Dr M A Halim Khan- Endocrinologist To provide health related solution
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন বিশেষজ্ঞ
(1)

তোমার চোখ এত লাল কেন ..............................নির্মলেন্দু গুণ...................আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই...
14/10/2025

তোমার চোখ এত লাল কেন ..............................

নির্মলেন্দু গুণ...................

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভিতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক। আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেক্ট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে।

আমি চাই কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কিনা, নুন লাগবে কিনা।
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না।
এঁটো বাসন গেজ্ঞি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : ’তোমার চোখ এত লাল কেন?’

কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরী সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন!দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষক...
14/10/2025

কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরী সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন!

দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সাথে ঢাকায়।

হেলাল হাফিজও চলেন আসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।

তার এক মাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম "যে জলে আগুন জ্বলে!"

হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেন কে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বই জুড়ে কবির আকুতি। তাকে না পাওয়ার।

হেলেন সে কবিতার বই পড়ার পর মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়।

নেত্রকোনায় বাবার বাড়ি ফিরে যান হেলেন। তাকে শেকল দিয়ে ঘরে বেধে রাখতে হয়।

হেলাল হাফিজ নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারেননি। কিংবা সে প্রেম থেকে বের হতে পারেননি।

তাই আর কখনো বিয়ে করেননি।

খুব গুছিয়ে থাকতেন। গোছালো মানুষ ছিলেন। তাকে দেখে বুঝা যেতো না, ভেতরে ভেতরে তার ভেতর এতোটা ভাঙ্গন।

13/10/2025
কয়েক বছর আগে পোস্টগ্র‍্যাজুয়েট মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সাথে আমার ভালো যোগাযোগ ছিলো। তারা হরহামেশাই আমাকে তাদের ক্যারিয়ার...
01/10/2025

কয়েক বছর আগে পোস্টগ্র‍্যাজুয়েট মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সাথে আমার ভালো যোগাযোগ ছিলো। তারা হরহামেশাই আমাকে তাদের ক্যারিয়ার প্ল্যান নিয়ে জানতে চাইতো। বিদেশে চলে যাবার ব্যাপারে আমার মতামত জানতে চাইতো।আমি মোটামুটি জোরজবরদস্তি করেই তাদেরকে দেশে থাকার জন্য পরামর্শ দিতাম।

কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরে যারা জানতে চায় তাদেরকে এখন বলি ''যদি ভালো মনে হয় তাহলে চলে যাও"।

ইদানিং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানতে চায় পুলিশ,এডমিন,এনবিআর ক্যাডারে চলে যাবে কিনা। তাদের কথা গুলো শুনে আমার ভিতরে ভিতরে খুব কষ্ট হয়।তারপরও বলি ''যদি ভালো মনে হয় তাহলে চলে যাও''।

কেউ কেউ হয়তো প্রশ্ন মনে করবেন শুধু বেতন কম বলেই কি চিকিৎসকরা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে? উত্তর হলো "না"।

নতুন পে কমিশন শুনলাম চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বেতার কাঠামোর জন্য বিবেচনা করছেন। কয়েক হাজার টাকা বাড়িয়ে দিলেই কি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে?
উত্তর হলো "না"।
তাহলে সমাধানের উপায় কি?

উপায় আছে। আরেকদিন লিখবো। আজ খুব ব্যস্ত।

01/10/2025

হরমোন ,জীবন ও যৌবন

লেখক: ডা. এম এ হালিম খান

ভূমিকা:
--------
মানুষের শরীরকে আমরা প্রায়শই একটি যন্ত্রের সঙ্গে তুলনা করি। যন্ত্রের কাজ চলে বিদ্যুৎ দিয়ে, আর মানুষের শরীর চলে হরমোনের অদৃশ্য শক্তিতে। হরমোন হলো বিশেষ রাসায়নিক বার্তাবাহক যা রক্তের মাধ্যমে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বার্তা পৌঁছে দেয় এবং প্রতিটি অঙ্গকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। জন্মের মুহূর্ত থেকে শুরু করে শৈশব, কৈশোর, যৌবন, মধ্যবয়স, এমনকি বার্ধক্য ও মৃত্যুর প্রাক্কালে—মানুষের প্রতিটি ধাপেই হরমোন নীরবে নিয়ন্ত্রণ চালিয়ে যায়।

আমরা চোখে দেখতে পাই না, কিন্তু অনুভব করি। ভ্রূণের গঠন, শিশুর বৃদ্ধি, কিশোরের কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে ওঠা, নারীর মাসিক চক্র, মায়ের মাতৃত্ব, পুরুষের পিতৃত্ব, বয়ঃসন্ধির উত্তেজনা, যৌবনের স্বপ্ন, এমনকি বার্ধক্যের ক্লান্তি—সবই আসলে হরমোনের ইঙ্গিতে পরিচালিত। হরমোন যেন আমাদের জীবনের নেপথ্যের পরিচালক; আমাদের সুখ-দুঃখ, শক্তি-দুর্বলতা, ইচ্ছা-অনিচ্ছা—সবই কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

চলুন, বিজ্ঞানের আলোকে দেখে নেই জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হরমোন কিভাবে আমাদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায়কে প্রভাবিত করে।

১. গর্ভকালীন জীবন : অস্তিত্বের সূচনা..................................................
মানুষের জীবনের শুরু হয় মাতৃগর্ভে। এ সময় হরমোনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• hCG (Human Chorionic Gonadotropin): গর্ভধারণ বজায় রাখে।
• Estrogen ও Progesterone: ভ্রূণকে সুরক্ষিত পরিবেশ দেয় এবং জরায়ু প্রস্তুত করে।
• Thyroid hormone: ভ্রূণের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটায়।
• Growth hormone ও Insulin: অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি ও শক্তি জোগাতে কাজ করে।

👉 বলা যায়, জন্মের আগেই জীবন গড়ে তোলার কাজে হরমোন অগ্রণী ভূমিকা রাখে।

২. শৈশব : বৃদ্ধি ও বিকাশের অধ্যায়.............................................
শিশুর জন্মের পর হরমোন আরও নতুনভাবে কাজ শুরু করে।
• Growth Hormone (GH): হাড় ও পেশি বাড়ায়।
• Thyroid hormone: বুদ্ধিবিকাশ, শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
• Insulin: খাবার থেকে পাওয়া শক্তিকে কাজে লাগায়।
• Melatonin: ঘুম-জাগরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
• Thymus hormone: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।

👉 হরমোন ছাড়া শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধিবিকাশ অসম্ভব।

৩. কৈশোর : জীবনের মোড় পরিবর্তন................................................
কৈশোরে হরমোনের প্রভাব নাটকীয়ভাবে দৃশ্যমান হয়।
• GnRH, LH, FSH: যৌন হরমোন উৎপাদন শুরু করে।
• Testosterone (পুরুষ): কণ্ঠস্বর ভারী হয়, দাড়ি-গোঁফ গজায়, পেশি শক্তিশালী হয়।
• Estrogen ও Progesterone (নারী): স্তন বিকাশ, মাসিক চক্র ও প্রজনন ক্ষমতা তৈরি হয়।
• Growth hormone: দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে।

👉 কৈশোর হলো হরমোনের এক বৈপ্লবিক রূপান্তরের সময়।

৪. যৌবন : পূর্ণতার অধ্যায়......................................
প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে হরমোন যৌনতা, প্রজনন ও শক্তি বজায় রাখে।
• Testosterone ও Estrogen: যৌন ইচ্ছা ও প্রজনন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে।
• Insulin ও Metabolic hormones: খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
• Cortisol (স্ট্রেস হরমোন): চাপ সামলায়, তবে বেশি হলে ক্ষতিকর হয়।
• Thyroid hormones: দেহের মেটাবলিজম ও শক্তি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে।

👉 যৌবনকাল হলো হরমোনের সর্বাধিক সক্রিয় অধ্যায়।

৫. মধ্যবয়স : পরিবর্তনের সূচনা............................................
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে।
• পুরুষদের ক্ষেত্রে Testosterone কমে যায় → যৌন আগ্রহ হ্রাস, পেশি দুর্বলতা, স্থূলতা।
• নারীদের ক্ষেত্রে Menopause-এ Estrogen কমে যায় → মাসিক বন্ধ, গরমে হঠাৎ ঘাম, যোনি শুষ্কতা, হাড় ভাঙার ঝুঁকি।
• Insulin resistance বাড়ে → ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
• Cortisol দীর্ঘস্থায়ীভাবে বাড়তে থাকে → মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ।

👉 মধ্যবয়সে হরমোন-নির্ভর রোগ বেড়ে যায়, যা জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলে।

৬. বার্ধক্য : ক্ষয়ের অধ্যায়.....................................
বার্ধক্যে হরমোন ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে।
• Growth hormone কমে যায় → শরীর শুকিয়ে যায়, চামড়া পাতলা হয়।
• Testosterone ও Estrogen হ্রাস পায় → যৌন আগ্রহ কমে, হাড় ভঙ্গুর হয়।
• Melatonin কমে যায় → ঘুমের সমস্যা বাড়ে।
• Dopamine ও Serotonin কমে যায় → বিষণ্নতা, আলঝেইমার, পারকিনসনসের ঝুঁকি।

👉 হরমোনের পতনই বার্ধক্যের সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।

৭. জীবনের অন্তিম অধ্যায়......................................
জীবনের শেষ সময়ে হরমোন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। কর্টিসলসহ নানা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দুর্বল করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। অবশেষে এই পরিবর্তনই মৃত্যু ডেকে আনে।

উপসংহার............

জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের প্রতিটি ধাপের পেছনে হরমোনের অদৃশ্য হাত রয়েছে। গর্ভে ভ্রূণের বিকাশ, শৈশবে বৃদ্ধি, কৈশোরে যৌন পরিচয়, যৌবনে শক্তি, মধ্যবয়সে পরিবর্তন এবং বার্ধক্যে ক্ষয়—সবই হরমোনের ফলাফল। তাই হরমোনকে বুঝে জীবনকে পরিচালনা করাই বিজ্ঞানসম্মত বুদ্ধিমানের কাজ।

ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সপ্তাহে একদিন ইঞ্জেকশন টিরজেপেটাইড নিয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় প্যানেল অফ এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিল...
17/09/2025

ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সপ্তাহে একদিন ইঞ্জেকশন টিরজেপেটাইড নিয়ে বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় প্যানেল অফ এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলাম।

হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগের জন্য এক রোগী এই হারবাল ওষুধ খেয়ে হরমোনের বারটা বাজিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।যারা বাংলাদ...
10/09/2025

হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট রোগের জন্য এক রোগী এই হারবাল ওষুধ খেয়ে হরমোনের বারটা বাজিয়ে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।যারা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের বিশ্বাস না করে ফেইসবুক, ইউটিউব দেখে উনার মতো চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জন্য একরাশ সমবেদনা!!

🏛️  ঢাকার ধানমন্ডির ইতিহাস / OLD DHANMONDI ||ঢাকা শহরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও অভিজাত অঞ্চল ধানমন্ডি। আজ এটি আধুনিক নগরীর এ...
27/08/2025

🏛️ ঢাকার ধানমন্ডির ইতিহাস / OLD DHANMONDI ||

ঢাকা শহরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ও অভিজাত অঞ্চল ধানমন্ডি। আজ এটি আধুনিক নগরীর একটি ব্যস্ততম আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকা হলেও এর ইতিহাস অনেক পুরনো, যা মুঘল আমল পর্যন্ত গড়ায়।
---

📜 ধানমন্ডি নামকরণের ইতিহাস :----

"ধানমন্ডি" নামটি এসেছে ধান + মণ্ডি থেকে। মুঘল আমলে এ অঞ্চল ছিল গ্রামীণ চরিত্রের, চারদিকে ধানক্ষেত, খাল-বিল ও ছোট ছোট গ্রামের সমাহার। এখানে প্রচুর ধান চাষ হতো, তাই জায়গাটির নাম হয়েছিল ধানমণ্ডি।

🌾 ধানমন্ডির নামকরণের ইতিহাস (বিস্তারিত)

১️⃣ ধান – উৎপত্তি ও গুরুত্ব

ঢাকা অঞ্চল একসময় ছিল নদীনির্ভর। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ,ধলেশ্বরীসহ অসংখ্য নদী ঘিরে তৈরি হয়েছিল এ জনপদ।

নদীর তীরে উর্বর পলি জমে এখানে প্রচুর কৃষিজমি তৈরি হয়েছিল। সেই জমিতে প্রধান শস্য হিসেবে ধান চাষ হতো।

ধান শুধু খাদ্য নয়, অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ছিল। মুঘল আমলে বাংলাকে বলা হতো "ধানের দেশ"। বাংলার ধান মুঘল রাজধানী দিল্লি ও আরও বহু জায়গায় রপ্তানি হতো।

ঢাকার আশপাশে ধান ছিল সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত শস্য। এই ধান সংগ্রহ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কর ব্যবস্থার কারণে জায়গাগুলো নাম পেত ধানকেন্দ্রিক শব্দ থেকে।

২️⃣ "মণ্ডি" শব্দের অর্থ

"মণ্ডি" শব্দ এসেছে সংস্কৃত ও প্রাকৃত ভাষা থেকে, যার অর্থ বাজার বা সমাবেশস্থল। বাংলায় পরে এটি ব্যবহার হয়েছে "বাজার" বা "বড় আড়ত"-এর অর্থে।

বিশেষ করে কৃষিপণ্য কেনাবেচার কেন্দ্রকে বলা হতো "মণ্ডি"।

যেমন:

নারায়ণগঞ্জের "মণ্ডলপাড়া"

ঢাকার "শঙ্কার মণ্ডি"

কলকাতার "বড়বাজার মণ্ডি"

তাই "ধানমণ্ডি" শব্দের অর্থ দাঁড়ায় — ধানের বাজার বা ধান লেনদেনের কেন্দ্র।

৩️⃣ ধানমন্ডির অর্থ ও বাস্তবতা

মুঘল আমলে এখানে ধান চাষ ও ধান বেচাকেনার আড়ত বসত।

কৃষকরা আশপাশের জমি থেকে ধান নিয়ে আসত, আর এখানে বড় আকারে পাইকারি লেনদেন হতো।

ধীরে ধীরে জায়গাটি পরিচিত হয় ধানমন্ডাই নামে,আর ধানমন্ডাই থেকেই আজকের "ধানমণ্ডি"।

নামটি এতো জনপ্রিয় হয় যে, আধুনিক ঢাকা গড়ে ওঠার পরও সরকারি পরিকল্পনায় এই এলাকার নাম ধানমণ্ডি হিসেবেই বহাল থাকে।

---

📌 অর্থাৎ, ধানমণ্ডি মানে শুধু ধানক্ষেত নয়, বরং ধানকেন্দ্রিক অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক বাজারের ঐতিহাসিক প্রতিফলন।

---

🏞️ মুঘল আমলে ধানমন্ডি

মুঘল আমলে ঢাকা ছিল বাংলার রাজধানী। ধানমন্ডি তখন শহরের বাইরে গ্রামীণ অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত ছিল।

এখানে ধানক্ষেত, খাল, পুকুর ও বাগানবাড়ি ছিল। ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও জমিদার শ্রেণির অনেকে এ অঞ্চলে বসতি গড়ে তুলেছিল।

মুঘল আমলে ধানমন্ডি ছিল শান্ত, প্রাকৃতিক পরিবেশে ভরা, নগরীর কোলাহল থেকে দূরে এক শান্তিপূর্ণ বসতি।

---

🇬🇧 ব্রিটিশ আমলে ধানমন্ডি

ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকা শহর ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকে।

ধানমন্ডি ততদিনে নগরীর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়লেও তখনও বেশিরভাগ জায়গা ছিল কৃষিজমি, খাল-বিল আর গ্রামের মতো পরিবেশে ভরা।

ব্রিটিশরা মূলত অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্য, ইউরোপীয় কায়দায় বসবাস পুরান ঢাকা, সাদার্ন অংশে গড়ে তুললেও ধানমন্ডি তেমন ছোঁয়া পায়নি।

---

🇵🇰 পাকিস্তান আমলে ধানমন্ডি

পাকিস্তান আমলে ঢাকা শহর নতুন করে গড়ে ওঠে। ঢাকার আধুনিক আবাসিক এলাকা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৫০-এর দশকে ধানমন্ডি হাউজিং স্কিম তৈরি হয়।

ধানমন্ডি তখন শহরের প্রথম আধুনিক আবাসিক এলাকা হিসেবে পরিচিতি পায়।

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা ধানমন্ডিতে বাড়ি করতে শুরু করেন।

এ সময় ধানমন্ডি হয়ে ওঠে অভিজাত মহল্লা।

---

🕊️ স্বাধীনতা আন্দোলনে ধানমন্ডি

ধানমন্ডির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে এখান থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি সেনারা।

স্বাধীনতার পর ধানমন্ডি ৩২ পরিণত হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

---

🏙️ আধুনিক ধানমন্ডি

আজকের ধানমন্ডি হলো ঢাকার অন্যতম অভিজাত ও ব্যস্ত নগরী।

এখানে রয়েছে আধুনিক শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি), সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ব্যবসায়িক হাব।

ধানমন্ডি লেক এলাকা আজ নগরবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র।

একসময়কার ধানক্ষেতের অঞ্চল এখন আধুনিক ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে।

__________________

🌊 ধানমন্ডি লেকের ইতিহাস:---

ধানমন্ডি আজ ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, আর ধানমন্ডি লেক এ এলাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। তবে এই লেক কেবল একটি সৌন্দর্য্যবর্ধনকারী স্থান নয় — এর পেছনে আছে প্রায় ৪০০ বছরের ইতিহাস।

---

🏞️ মুঘল আমলে ধানমন্ডি লেকের উৎপত্তি

মুঘল আমলে ঢাকা ছিল বাংলার রাজধানী (১৬০৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে)।

সেই সময় শহরের চারপাশ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য কৃত্রিম খাল ও লেক খনন করা হয়। ধানমন্ডি লেকও সেই সময়েরই সৃষ্টি।তবে এই খালটি বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে সংযুক্ত ছিলো।

আসলে এটি ছিল একটি খাল, উদ্দেশ্য ছিল—

শহরে সহজে নৌপথে যাতায়াত

কৃষিপণ্য পরিবহন

এবং শহরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা।

---

🌳 পাকিস্তান আমলে ধানমন্ডি লেক

পাকিস্তান আমলে (১৯৫০-এর দশকে) ধানমন্ডি হাউজিং স্কিম চালু হয়। তখন লেকের চারপাশে পরিকল্পিতভাবে প্লট তৈরি করা হয়।

শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকার মধ্যে লেককে রাখা হয় সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষার জন্য।

তবে ধীরে ধীরে বর্জ্য ফেলা, অবৈধ দখল ও অব্যবস্থাপনার কারণে লেক নষ্ট হতে শুরু করে।

---

🌿 ধানমন্ডি লেক থেকে ধানমন্ডি পার্ক

১৯৯০-এর দশকে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় ধানমন্ডি লেককে আধুনিক পার্কে রূপান্তরিত করার।

১৯৯৮ সালে ধানমন্ডি লেক ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প শুরু হয়।

তৎকালীন সরকারের নির্দেশে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং “ধানমন্ডি লেক পার্ক” নামে পরিচিতি পায়।

পার্কটি তৈরি করা হয় নাগরিকদের হাঁটা, ব্যায়াম ও বিনোদনের জন্য। আজ এটি ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় উন্মুক্ত স্থান।

ধানমন্ডি লেক শুধু একটি জলাশয় নয়; এটি ঢাকার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুঘলদের নৌপথ, পাকিস্তান আমলের পরিকল্পিত নগরায়ন, স্বাধীন বাংলাদেশের সৌন্দর্য বর্ধন — প্রতিটি যুগেই ধানমন্ডি লেক তার গুরুত্ব ধরে রেখেছে।

________________________

🚤 জাহাজ বাড়ির ইতিহাস:----

ধানমন্ডি লেকের পাশে একসময় ছিল একটি বিখ্যাত বাড়ি, যেটি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছিল “জাহাজ বাড়ি” নামে।

কারণ বাড়িটি ছিল একেবারে জাহাজের আকৃতিতে তৈরি।

এটি ছিল ধানমন্ডির অন্যতম আকর্ষণ, এবং অনেকেই লেক ভ্রমণে এ বাড়িটি দেখতে আসত।

বর্তমানে জাহাজ বাড়িটি নেই, তবে ধানমন্ডি লেকের ইতিহাসে এটি একটি অনন্য অধ্যায় হয়ে আছে।
_________________
Collected

19/08/2025

জাতীয় পতাকা শুধু একটি কাপড় নয়, বরং ঐক্য, স্বাধীনতা, ত্যাগ এবং গৌরবের প্রতীক।

আমেরিকায় গিয়েছিলাম প্রায় ২ বছর আগে। যেদিকে তাকাতাম সেদিকেই দেখতাম আমেরিকার জাতীয় পতাকা। বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।

জো বাইডেন তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। রাস্তাঘাট কিংবা প্রতিষ্ঠান কোথাও জো বাইডেন এর কোনো ছবি কিংবা পোস্টার চোখে পড়েনি।চোখে পড়েছে পতাকা। (আমাদের দেশের কথা না হয় না-ই বললাম।)

পতাকা আমার কাছে একটি আবেগের নাম। আমার গাড়ির সামনে এভাবেই সাজিয়ে রেখেছি আমার প্রিয় জাতীয় পতাকা। যতই দেখি ততই ভালো লাগে।

16/08/2025
হাস্যরসের খনিআবু হেনা রনি
15/08/2025

হাস্যরসের খনি
আবু হেনা রনি

15/08/2025

সারাহ রিসোর্ট
drmahalimkhan.com

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr M A Halim Khan- Endocrinologist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr M A Halim Khan- Endocrinologist:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram