Mind to Heart

Mind to Heart Mind to Heart: Your trusted partner in mental wellness, guiding you toward a brighter, healthier future.

Let's heal and grow together.
📞 Contact: +8801715769060
🪩Website: https://mindtoheart.com.bd/
📱WhatsApp: +88 01715769060 Mind to Heart Mental Health Services is a global standard mental health centre catering to the needs of corporations, government, and non-governmental development organizations’ and a one-stop centre for individual care and mental health services. Mind to Heart Mental Health Services is a private, affordable & convenient mental health service for all ages. Mind to Heart Mental Health Services ensures the highest qualities of international standard mental health services effective and Proven Therapies, Certified Therapists is working with a caring approach to Mental Health. Mind to Heart is a place of quality care for mental health services and client satisfaction. The qualified team of psychiatrists and psychologists are addressing the client’s needs through assessment and deep understanding of their functional processes to create an impactful intervention for both individual and group recovery. Mind to Heart provides a range of different seminars, workshops, and need-based training sessions to various client organizations. Mind to Heart proactively seeks to provide services nationwide. There are numerous wellness activities conducted by Mind to Heart Mental Health Services, including collaborations with other service providers to host various events and training sessions. Our Mission
Mind to Heart Mental Health Services strives to serve health care services locally and globally. Its goal is to be easily accessible to everyone who needs mental health support. Moreover, it really wants to educate people about mental health, cure mental disorders, and achieve victory over mental illness. Our Vision
Mind to Heart Mental Health Services wants to be the leading mental health organization in the country that provides top-class comprehensive mental health services in 64 districts of Bangladesh. We are working to eradicate superstitions, stigmas about mental illness from the society and encourage people to fight against mental disorders with love, care, courage, and proven scientific knowledge. It yearns to be the first choice of people regarding mental health services too in the coming years.

চতুর্থ ধাপে বেদনাদায়ক স্মৃতির তীব্রতা কমে যাওয়ার পর, আপনার মস্তিষ্ক এখন একটি নতুন, ইতিবাচক এবং শক্তিশালী বিশ্বাস গ্রহণ ক...
08/10/2025

চতুর্থ ধাপে বেদনাদায়ক স্মৃতির তীব্রতা কমে যাওয়ার পর, আপনার মস্তিষ্ক এখন একটি নতুন, ইতিবাচক এবং শক্তিশালী বিশ্বাস গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। পঞ্চম ধাপ বা ‘ইন্সটলেশন’ পর্বের মূল লক্ষ্যই হলো এটি। এখানে কেবল নেতিবাচকতাকে দূর করা হয় না, বরং সেই শূন্যস্থানে একটি ইতিবাচক ও ক্ষমতায়নমূলক বিশ্বাসকে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা হয়।

এই পর্বে, থেরাপিস্ট আপনাকে মূল ঘটনার স্মৃতি এবং তৃতীয় ধাপে চিহ্নিত করা আপনার কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক বিশ্বাসটি (Positive Cognition) একসাথে মনে আনতে বলবেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার নেতিবাচক বিশ্বাস হয় “আমি অসহায়” এবং ইতিবাচক বিশ্বাস হয় “আমি এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম”, তবে আপনাকে ঘটনার কথা মনে রেখে এই নতুন বিশ্বাসটিতে মনোযোগ দিতে বলা হবে।

এরপর, থেরাপিস্ট আবার সংক্ষিপ্ত আকারে বাইলেটারাল স্টিমুলেশন (BLS) প্রয়োগ করবেন। এটি আপনার মস্তিষ্কে মূল স্মৃতির সাথে নতুন ইতিবাচক বিশ্বাসটিকে সংযুক্ত করতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়াটি আপনার স্নায়ুতন্ত্রে নতুন একটি নিউরাল পাথওয়ে বা সংযোগ তৈরি করে। থেরাপিস্ট বারবার জিজ্ঞাসা করবেন, এই ইতিবাচক বিশ্বাসটি আপনার কাছে কতটা সত্য মনে হচ্ছে। যতক্ষণ না এটি আপনার কাছে সম্পূর্ণরূপে সত্য এবং শক্তিশালী বলে মনে হবে, ততক্ষণ এই পর্বটি চলবে। এর মাধ্যমে, পুরনো আঘাতের জায়গায় কেবল শূন্যতা নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ও শক্তির একটি নতুন ভিত্তি তৈরি হয়।

মাইন্ড টু হার্ট-এ আছে বিশেষজ্ঞ ইএমডিআর থেরাপিস্ট।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

এটাই EMDR থেরাপির সেই পর্ব, যাকে কেন্দ্র করে পুরো প্রক্রিয়াটি তৈরি হয়েছে। এখানেই মস্তিষ্কের ‘রিওয়্যারিং’ বা পুনর্গঠনের ম...
07/10/2025

এটাই EMDR থেরাপির সেই পর্ব, যাকে কেন্দ্র করে পুরো প্রক্রিয়াটি তৈরি হয়েছে। এখানেই মস্তিষ্কের ‘রিওয়্যারিং’ বা পুনর্গঠনের মূল কাজটি সংঘটিত হয়। তৃতীয় ধাপে যে বেদনাদায়ক স্মৃতি, নেতিবাচক বিশ্বাস এবং শারীরিক সংবেদনকে সক্রিয় করা হয়েছিল, এই ধাপে সেগুলোর তীব্রতা কমানো হয়।

থেরাপিস্ট আপনাকে সেই কষ্টকর স্মৃতিতে মনোযোগ দিতে বলবেন এবং একই সাথে বাইলেটারাল স্টিমুলেশন (Bilateral Stimulation - BLS) শুরু করবেন। এটি হতে পারে আপনার চোখের সামনে তাঁর আঙুল বা আলোর নড়াচড়া, আপনার দুই হাতে মৃদু টোকা দেওয়া, অথবা হেডফোনের মাধ্যমে দুই কানে পর্যায়ক্রমিক শব্দ শোনানো। এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, আপনাকে কষ্টকর স্মৃতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে বা বর্ণনা করতে হয় না। আপনাকে শুধু একজন পর্যবেক্ষকের মতো লক্ষ্য করতে বলা হয় আপনার মনে কী আসছে, তা হতে পারে কোনো নতুন চিন্তা, ছবি, আবেগ বা শারীরিক অনুভূতি।

প্রতিটি BLS সেটের পর থেরাপিস্ট আপনাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন, “আপনি কী লক্ষ্য করলেন?” আপনার উত্তর যাই হোক না কেন, তিনি আপনাকে বলবেন, “শুধু এটা লক্ষ্য করুন” এবং আবার BLS শুরু করবেন। এই প্রক্রিয়া বারবার চলতে থাকে। প্রতিটি সেটের সাথে সাথে আপনি খেয়াল করবেন যে, মূল স্মৃতির সাথে জড়িত ভয়, কষ্ট বা উদ্বেগ ধীরে ধীরে কমে আসছে। আপনার মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিটিকে প্রসেস করতে শুরু করে এবং এর ভেতরের ‘আটকে যাওয়া’ আবেগগুলোকে মুক্ত করে দেয়। যতক্ষণ না স্মৃতির তীব্রতা প্রায় শূন্যে নেমে আসে, ততক্ষণ এই পর্ব চলতে থাকে।

মাইন্ড টু হার্ট-এ আছে বিশেষজ্ঞ ইএমডিআর থেরাপিস্ট।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

একবার আপনি প্রয়োজনীয় মানসিক সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত হয়ে গেলে, নিরাময়ের পরবর্তী ধাপে একটি নির্দিষ্ট বেদনাদায়ক স্মৃতি বা ‘টার্...
06/10/2025

একবার আপনি প্রয়োজনীয় মানসিক সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত হয়ে গেলে, নিরাময়ের পরবর্তী ধাপে একটি নির্দিষ্ট বেদনাদায়ক স্মৃতি বা ‘টার্গেট মেমোরি’ নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য প্রস্তুত। তৃতীয় ধাপ বা অ্যাসেসমেন্ট পর্বে, থেরাপিস্ট আপনাকে প্রথম ধাপে চিহ্নিত করা তালিকা থেকে একটি স্মৃতি বেছে নিতে সাহায্য করেন। এরপর সেই স্মৃতিটিকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে ‘সক্রিয়’ বা ‘অ্যাক্টিভেট’ করা হয়, যাতে মস্তিষ্ক সেটিকে প্রসেস করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

এই প্রক্রিয়াটি চারটি প্রধান উপাদান নিয়ে গঠিত:

১. ছবি (Image): আপনাকে সেই বেদনাদায়ক ঘটনার সবচেয়ে কষ্টদায়ক মুহূর্তের একটি স্থিরচিত্র বা ছবি কল্পনা করতে বলা হয়।

২. নেতিবাচক বিশ্বাস (Negative Cognition): সেই ছবিটি ভাবার সময় নিজের সম্পর্কে যে নেতিবাচক বিশ্বাসটি মনে আসে (যেমন: “আমি অসহায়”, “আমার জীবন বিপন্ন”, “আমি ব্যর্থ”), সেটি শনাক্ত করতে বলা হয়।

৩. ইতিবাচক বিশ্বাস (Positive Cognition): আপনি সেই নেতিবাচক বিশ্বাসের পরিবর্তে নিজের সম্পর্কে কোন ইতিবাচক কথাটি বিশ্বাস করতে চান (যেমন: “আমি এখন নিরাপদ”, “আমি পরিস্থিতি সামলাতে পারি”), সেটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।

৪. আবেগ ও শারীরিক সংবেদন (Emotion & Body Sensation): সবশেষে, মূল ছবিটি এবং নেতিবাচক বিশ্বাসটি মনে রাখার সময় আপনার শরীরে ও মনে যে আবেগ (ভয়, রাগ, কষ্ট) এবং শারীরিক সংবেদন (বুক ধড়ফড়, গলা শুকিয়ে যাওয়া) অনুভূত হয়, তা শনাক্ত করা হয়।

এই ধাপটি অনেকটা মঞ্চ প্রস্তুত করার মতো। মূল প্রক্রিয়াকরণ শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় সব উপাদানকে সামনে নিয়ে আসা হয়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কারণ পুরো প্রক্রিয়াটি খুব সংক্ষিপ্ত এবং আপনার থেরাপিস্ট আপনাকে প্রতিটি পদক্ষেপে নিরাপদে পরিচালনা করেন।

মাইন্ড টু হার্ট-এ আছে বিশেষজ্ঞ ইএমডিআর থেরাপিস্ট।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

মানসিক আঘাত বা বেদনাদায়ক স্মৃতির মোকাবিলা করা অনেকটা ঝড়ের মুখোমুখি হওয়ার মতো। আর ঝড়ের মধ্যে নিরাপদে থাকতে হলে যেমন একটি ...
05/10/2025

মানসিক আঘাত বা বেদনাদায়ক স্মৃতির মোকাবিলা করা অনেকটা ঝড়ের মুখোমুখি হওয়ার মতো। আর ঝড়ের মধ্যে নিরাপদে থাকতে হলে যেমন একটি মজবুত আশ্রয় প্রয়োজন, তেমনি EMDR-এর গভীরে যাওয়ার আগেও মানসিক আশ্রয় বা প্রস্তুতির প্রয়োজন। দ্বিতীয় ধাপটি সম্পূর্ণভাবেই এই প্রস্তুতির উপর কেন্দ্র করে তৈরি। এই ধাপের মূল উদ্দেশ্য হলো আপনাকে এমন কিছু কৌশল শেখানো, যা থেরাপির সময় এবং দৈনন্দিন জীবনে আপনাকে শান্ত, স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রিত থাকতে সাহায্য করবে।

থেরাপিস্ট আপনাকে বিভিন্ন ‘রিসোর্সিং’ বা মানসিক শক্তি সঞ্চয়ের কৌশল শেখাবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি হলো ‘শান্ত স্থান’ বা ‘Calm Place’ অনুশীলন। আপনাকে আপনার কল্পনায় এমন একটি নিরাপদ ও শান্তিময় স্থানের ছবি তৈরি করতে শেখানো হবে, যেখানে আপনি যেকোনো মানসিক চাপে আশ্রয় নিতে পারেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো ‘কনটেইনার’ বা পাত্রের কল্পনা, যেখানে আপনি সেশনের মাঝপথে উঠে আসা কোনো কষ্টকর অনুভূতি বা স্মৃতিকে সাময়িকভাবে জমিয়ে রাখতে পারবেন, যাতে সেশন শেষে আপনি শান্তভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন।

এছাড়াও, বিভিন্ন গ্রাউন্ডিং টেকনিক (যেমন - শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, বর্তমান মুহূর্তে মনোযোগ দেওয়া) শেখানো হয়, যা আপনাকে অতিরিক্ত আবেগ বা উদ্বেগের মুহূর্তে নিজেকে সামলে নিতে সাহায্য করে। এই ধাপটি নিশ্চিত করে যে, আপনি নিরাময় প্রক্রিয়ার চালকের আসনে আছেন। আপনার হাতে প্রয়োজনীয় টুলস বা সরঞ্জাম তুলে দেওয়াই এই পর্বের লক্ষ্য, যাতে আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে পরবর্তী ধাপগুলোর জন্য প্রস্তুত হতে পারেন।

মাইন্ড টু হার্ট-এ আছে বিশেষজ্ঞ ইএমডিআর থেরাপিস্ট।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

যেকোনো সফল যাত্রার আগে যেমন একটি সুস্পষ্ট মানচিত্র প্রয়োজন, তেমনি মানসিক নিরাময়ের যাত্রার শুরুতেও একটি সঠিক পরিকল্পনা অপ...
04/10/2025

যেকোনো সফল যাত্রার আগে যেমন একটি সুস্পষ্ট মানচিত্র প্রয়োজন, তেমনি মানসিক নিরাময়ের যাত্রার শুরুতেও একটি সঠিক পরিকল্পনা অপরিহার্য। EMDR থেরাপির প্রথম ধাপটিই হলো এই মানচিত্র তৈরির কাজ। এই ধাপে থেরাপিস্ট আপনার সাথে কথা বলে আপনার জীবনের সামগ্রিক চিত্র বোঝার চেষ্টা করেন। এটিকে কেবল তথ্য সংগ্রহ ভাবলে ভুল হবে; এটি মূলত আপনার এবং থেরাপিস্টের মধ্যে একটি বিশ্বাস ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রথম পদক্ষেপ।

এই পর্বে, থেরাপিস্ট আপনার অতীত জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বর্তমানের চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্য সম্পর্কে জানবেন। আপনার কাছে বেদনাদায়ক মনে হতে পারে এমন কোনো স্মৃতি নিয়ে বিস্তারিত বলতে আপনাকে জোর করা হবে না। বরং মূল উদ্দেশ্য হলো, কোন কোন ‘টার্গেট মেমোরি’ বা নির্দিষ্ট স্মৃতি আপনার বর্তমান সমস্যাগুলোর (যেমন - উদ্বেগ, রাগ, বা আত্মবিশ্বাসের অভাব) পেছনে মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে, তা চিহ্নিত করা। থেরাপিস্ট আপনার ভেতরের শক্তি, মানসিক দৃঢ়তা এবং সাপোর্টিভ রিসোর্সগুলোও খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন, যা থেরাপি চলাকালীন আপনার সহায়ক হবে।

এই ধাপের শেষে, আপনারা দুজন মিলে একটি সুনির্দিষ্ট ‘ট্রিটমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি করবেন। কোন স্মৃতি নিয়ে প্রথমে কাজ করা হবে, কোনগুলো পরে তার একটি কাঠামো দাঁড় করানো হবে। এই পর্বটি নিশ্চিত করে যে, আপনার নিরাময়ের যাত্রাটি লক্ষ্যহীনভাবে নয়, বরং একটি নিরাপদ, সংগঠিত এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো পথে এগোবে। এটিই পরবর্তী ধাপগুলোর জন্য একটি মজবুত ভিত্তি স্থাপন করে।

মাইন্ড টু হার্ট-এ আছে বিশেষজ্ঞ ইএমডিআর থেরাপিস্ট।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

আমাদের মস্তিষ্ককে একটি শক্তিশালী কম্পিউটারের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যা প্রতিনিয়ত তথ্য প্রসেস করে চলেছে। আমরা যখন ঘুমা...
03/10/2025

আমাদের মস্তিষ্ককে একটি শক্তিশালী কম্পিউটারের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যা প্রতিনিয়ত তথ্য প্রসেস করে চলেছে। আমরা যখন ঘুমাই, বিশেষ করে ঘুমের REM (Rapid Eye Movement) পর্যায়ে, আমাদের মস্তিষ্ক দিনের বেলার ঘটনা ও অভিজ্ঞতাগুলোকে সংগঠিত করে এবং স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণ করে। কিন্তু যখন কোনো অত্যন্ত বেদনাদায়ক বা ভয়াবহ ঘটনা ঘটে, তখন মস্তিষ্কের এই স্বাভাবিক প্রসেসিং সিস্টেম ওভারলোড হয়ে যায়। ফলে, সেই স্মৃতিটি সঠিকভাবে প্রসেস না হয়ে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রে ‘আটকে’ যায়। এটি একটি করাপ্টেড ফাইলের মতো, যা বারবার খুলতে গিয়ে সিস্টেমকে বিপর্যস্ত করে তোলে। এই আটকে যাওয়া স্মৃতিই পরবর্তীতে ফ্ল্যাশব্যাক, দুঃস্বপ্ন, উদ্বেগ এবং প্যানিক অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

EMDR থেরাপি মস্তিষ্কের এই ‘রিপ্রসেসিং’ প্রক্রিয়াটিকে কৃত্রিমভাবে উদ্দীপ্ত করে। থেরাপিস্ট বাইলেটারাল স্টিমুলেশন (Bilateral Stimulation - BLS) ব্যবহার করেন, যা হতে পারে ক্লায়েন্টের চোখের সামনে আঙুল বা আলো এদিক-ওদিক ঘোরানো, দুই হাতে পর্যায়ক্রমে ট্যাপ করা, অথবা দুই কানে হেডফোনের মাধ্যমে শব্দ শোনানো। এই BLS মস্তিষ্কের ডান এবং বাম—উভয় গোলার্ধকে সক্রিয় করে তোলে, যা অনেকটা ঘুমের REM পর্যায়ের মতোই কাজ করে।

যখন ক্লায়েন্ট বেদনাদায়ক স্মৃতির কথা ভাবার পাশাপাশি এই BLS অনুসরণ করেন, তখন তাঁর মস্তিষ্ক সেই আটকে যাওয়া স্মৃতিটিকে ‘আনলক’ করে এবং নতুন করে প্রসেস করার সুযোগ পায়। এর ফলে স্মৃতিটি মুছে যায় না, বরং এর সাথে জড়িত তীব্র আবেগ, কষ্টকর শারীরিক অনুভূতি এবং নেতিবাচক বিশ্বাসগুলো (যেমন - "আমি অসহায়" বা "আমার দোষ ছিল") শক্তি হারাতে শুরু করে। স্মৃতিটি তখন অতীতের একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে মস্তিষ্কে সংরক্ষিত হয়, বর্তমানকে আর প্রভাবিত করে না। এই পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন আপনি সম্পূর্ণ সচেতন থাকেন এবং নিয়ন্ত্রণে থাকেন, তাই এটিকে হিপনোসিস ভাবার কোনো কারণ নেই।

মাইন্ড টু হার্ট-এ আছে বিশেষজ্ঞ ইএমডিআর থেরাপিস্ট।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

আপনি কি কখনও কোনো বেদনাদায়ক স্মৃতি বা ঘটনায় আটকে গেছেন? এমন কোনো অভিজ্ঞতা, যা বহু বছর পরেও আপনার মনে তীব্র ভয়, কষ্ট বা উ...
02/10/2025

আপনি কি কখনও কোনো বেদনাদায়ক স্মৃতি বা ঘটনায় আটকে গেছেন? এমন কোনো অভিজ্ঞতা, যা বহু বছর পরেও আপনার মনে তীব্র ভয়, কষ্ট বা উদ্বেগ তৈরি করে? অনেক সময় মনে হয়, এই স্মৃতিগুলো থেকে হয়তো কোনোদিনও মুক্তি মিলবে না। এখানেই আই মুভমেন্ট ডিসেনসিটাইজেশন অ্যান্ড রিপ্রসেসিং (EMDR) থেরাপি একটি বৈপ্লবিক সমাধান হিসেবে কাজ করে।

EMDR একটি শক্তিশালী সাইকোথেরাপি যা মূলত মানসিক আঘাত বা ট্রমা (Trauma) থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। ১৯৮৭ সালে ডক্টর ফ্রান্সিন শাপিরো (Dr. Francine Shapiro) এটি আবিষ্কার করেন। মজার বিষয় হলো, তিনি পার্কে হাঁটার সময় লক্ষ্য করেন যে, তাঁর চোখের দ্রুত নড়াচড়ার সাথে সাথে তাঁর নিজের কিছু বিরক্তিকর চিন্তার তীব্রতা কমে যাচ্ছে। এই পর্যবেক্ষণ থেকেই তিনি এক নতুন থেরাপির সম্ভাবনা খুঁজে পান এবং তার উপর ভিত্তি করে EMDR পদ্ধতিটি তৈরি করেন।

এই থেরাপির মূল লক্ষ্য স্মৃতি মুছে ফেলা নয়, বরং স্মৃতির সাথে জড়িত মানসিক এবং শারীরিক কষ্টকে নিষ্ক্রিয় করা। এটি আমাদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক তথ্য প্রক্রিয়াকরণ (Information Processing) ক্ষমতাকে কাজে লাগায়। অনেক সময় কোনো ভয়াবহ ঘটনা আমাদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক প্রসেসিং সিস্টেমে ‘আটকে’ যায়। EMDR সেই ‘আটকে যাওয়া’ স্মৃতিকে মুক্ত করে এবং সেটিকে নতুন করে মস্তিষ্কে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে, যাতে সেটি আর পীড়াদায়ক না থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন (APA)-এর মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD)-এর চিকিৎসায় EMDR-কে অত্যন্ত কার্যকর বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

মাইন্ড টু হার্ট-এ আছে বিশেষজ্ঞ ইএমডিআর থেরাপিস্ট।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে-
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

"বস মিটিংয়ে গম্ভীর হয়ে আছেন, তার মানে নিশ্চয়ই আমার কাজে উনি খুশি নন।" "বন্ধুটি ফোন ধরেনি, নির্ঘাত সে আমাকে এড়িয়ে চলছে।" ...
01/10/2025

"বস মিটিংয়ে গম্ভীর হয়ে আছেন, তার মানে নিশ্চয়ই আমার কাজে উনি খুশি নন।" "বন্ধুটি ফোন ধরেনি, নির্ঘাত সে আমাকে এড়িয়ে চলছে।" "তিনি মেসেজ সিন করে রিপ্লাই দিচ্ছেন না, তার মানে আমার ওপর রেগে আছেন।" এই ধরনের চিন্তাগুলো কি আপনার মাথায় প্রায়ই ঘোরে?

যদি উত্তর "হ্যাঁ" হয়, তাহলে আপনি 'মাইন্ড রিডিং' নামক এক মানসিক ফাঁদে আটকা পড়েছেন। এটি এমন একটি অভ্যাস যেখানে আমরা কোনো বাস্তব প্রমাণ ছাড়াই ধরে নিই যে, অন্যেরা আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু ভাবছে বা আমাদের ওপর কোনো কারণে বিরক্ত।

এই অভ্যাসটি আমাদের ভেতর ক্রমাগত উদ্বেগ, নিরাপত্তাহীনতা এবং মানসিক চাপ তৈরি করে। আমরা এমন সব কাল্পনিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে কষ্ট পাই, যার হয়তো কোনো বাস্তব অস্তিত্বই নেই। এর ফলে সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, আমরা নিজেদেরকে অন্যদের থেকে গুটিয়ে নিই এবং অনেক সময় এমন কাল্পনিক আক্রমণের জবাবে আত্মরক্ষামূলক আচরণও করে বসি। এক কথায়, আমরা অন্যের মনে কী চলছে তা না জেনেই, নিজের মনের বানানো এক নাটকের শিকার হয়ে অকারণে কষ্ট পেতে থাকি।

এই ফাঁদ থেকে বের হওয়ার সেরা উপায় হলো নিজের অনুমানকে চ্যালেঞ্জ করা। পরেরবার এমন চিন্তা মাথায় এলে নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করুন:

১। আমি যে ভাবছি, তার পক্ষে কি আমার কাছে কোনো অকাট্য প্রমাণ আছে?

২। এর পেছনে অন্য কী কী কারণ থাকতে পারে? (হয়তো বস ব্যক্তিগত কোনো কারণে চিন্তিত, বন্ধুটি হয়তো ব্যস্ত, অথবা মেসেজের উত্তরটি গুছিয়ে দেওয়ার জন্য সময় নিচ্ছে)।

নিজের অনুমান এবং বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য করতে শিখুন। মনে রাখবেন, আপনার ভাবনাগুলো নিছকই 'ভাবনা', এগুলো ধ্রুব 'সত্য' নয়।

আমরা কেউই অন্যের মন পড়তে পারি না। তাই অন্যের আচরণকে নিজের মতো করে নেতিবাচকভাবে ব্যাখ্যা করার আগে, বিকল্প এবং ইতিবাচক সম্ভাবনাগুলোর কথা ভাবুন। এই ছোট্ট অভ্যাসটি আপনাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে। যদি এই 'মাইন্ড রিডিং'-এর অভ্যাস আপনার সম্পর্ক এবং মানসিক শান্তিতে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে একজন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলা আপনাকে এই চক্র থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে।

কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

একটা ছোট ভুলেই কি আপনার মনে হয় "সব শেষ, আমার দ্বারা আর কিচ্ছু হবে না"? পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ায় মনে হয়, "আমার জীবনট...
30/09/2025

একটা ছোট ভুলেই কি আপনার মনে হয় "সব শেষ, আমার দ্বারা আর কিচ্ছু হবে না"? পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ায় মনে হয়, "আমার জীবনটাই ব্যর্থ"? কিংবা সঙ্গীর সাথে সামান্য তর্কেই কি ভাবেন, "এই সম্পর্ক আর টিকবে না"?

যদি এই প্রশ্নগুলোর কোনো একটির সাথেও আপনি নিজেকে মেলাতে পারেন, তাহলে আপনি হয়তো 'ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট থিংকিং' বা 'অল-অর-নাথিং' চিন্তার ফাঁদে আটকে আছেন। এটি এমন একটি মানসিক অবস্থা যেখানে কোনো কিছুর মধ্যবর্তী বা ধূসর অবস্থা থাকে না; আপনার কাছে সবকিছুই হয় সম্পূর্ণ সফল, নাহলে পুরোপুরি ব্যর্থ, হয় নিখুঁত, নাহলে নষ্ট।

এই চিন্তার ধরন আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়। যেমন, কর্মক্ষেত্রে একটি প্রেজেন্টেশন ১০০% নিখুঁত না হলে মনে হয় পুরো পরিশ্রমই বৃথা। সম্পর্কে সঙ্গী একটি মেসেজের উত্তর দিতে দেরি করলে মনে হয়, সে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না। আবার, কঠোর ডায়েটের মাঝে একটি মিষ্টি খেয়ে ফেললে মনে হয়, পুরো ডায়েটটাই নষ্ট হয়ে গেল এবং চেষ্টা করে আর লাভ নেই। এই চরমপন্থী চিন্তাগুলো আমাদের বাস্তবতাকে সঠিকভাবে দেখতে বাধা দেয় এবং ছোট ছোট আনন্দ বা আংশিক সাফল্যকে পুরোপুরি অস্বীকার করে।

এই চরমপন্থী চিন্তার প্রভাব কিন্তু সুদূরপ্রসারী। এটি আমাদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ, হতাশা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব তৈরি করে। যখন সফল হওয়ার একমাত্র মাপকাঠি হয় 'নিখুঁত' হওয়া, তখন সামান্য ভুলের ভয়টাই আমাদের নতুন কিছু চেষ্টা করা থেকে বিরত রাখে বা অচল করে দেয়। এর ফলে আমাদের সম্পর্কগুলো ভঙ্গুর হয়ে ওঠে এবং যেকোনো ছোট ব্যর্থতাতেই আমরা সহজেই হাল ছেড়ে দিই।

তাহলে এই মানসিক ফাঁদ থেকে বের হওয়ার উপায় কী? এর মূল চাবিকাঠি হলো ইচ্ছাকৃতভাবে 'ধূসর জায়গাটা' (The Grey Area) খুঁজে বের করা। পরেরবার যখনই মাথায় এমন কোনো চরম চিন্তা আসবে, নিজেকে থামিয়ে প্রশ্ন করুন: "এটা কি আসলেই ১০০% ব্যর্থতা?" অথবা "এই পরিস্থিতির কোনো একটিও ভালো দিক কি ছিল না?"। ব্যর্থতার মাত্রা ০ বা ১০০ না ভেবে, ১ থেকে ১০ এর একটি স্কেলে মাপার চেষ্টা করুন। আপনি অবাক হয়ে দেখবেন, বেশিরভাগ জিনিসই ০ বা ১০০-এর ঘরে পড়ে না, বরং এর মাঝামাঝি কোনো একটি জায়গায় থাকে।

জীবনটা সাদা-কালো নয়, বরং অসংখ্য ধূসর রঙের মিশ্রণ। এই মধ্যবর্তী অবস্থাগুলোকে গ্রহণ করতে পারলেই মানসিক শান্তি মেলে। যদি এই 'ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট' চিন্তা আপনার জীবনকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে এবং তা থেকে বের হতে আপনার কষ্ট হয়, তবে একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্য আপনার জন্য এই পথচলাটিকে সহজ করে দিতে পারে।

কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

"আপনার ভালোর জন্যই বলছি" এই কথাটা শোনার পর কি ভালো লাগার বদলে আপনার নিজেকে আরও অযোগ্য মনে হয়?যদি উত্তরটা "হ্যাঁ" হয়, তবে...
29/09/2025

"আপনার ভালোর জন্যই বলছি" এই কথাটা শোনার পর কি ভালো লাগার বদলে আপনার নিজেকে আরও অযোগ্য মনে হয়?

যদি উত্তরটা "হ্যাঁ" হয়, তবে আপনি একা নন। বসের ফিডব্যাক, সঙ্গীর পরামর্শ বা বন্ধুর কোনো গঠনমূলক সমালোচনা শুনলেই আমাদের ভেতরটা আত্মরক্ষার জন্য শক্ত দেয়াল তুলে দেয়। মনে হয়, কেউ যেন আমাদের যোগ্যতা বা বুদ্ধিমত্তাকে সরাসরি আক্রমণ করছে। আমাদের মস্তিষ্ক এটিকে একটি বিপদ হিসেবে দেখে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে চায়। এই অনুভূতিটা খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু সমস্যাটা হয় তখন, যখন এই আত্মরক্ষার প্রবণতা আমাদের শেখার এবং বেড়ে ওঠার পথটাকেই বন্ধ করে দেয়।

গঠনমূলক সমালোচনাকে ভয় পেয়ে এড়িয়ে গেলে আমরা মূল্যবান শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হই এবং আমাদের সম্পর্কগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাহলে কীভাবে এই পরিস্থিতি শান্তভাবে সামলাবেন? পরেরবার ফিডব্যাক পেলে এই ৪টি ধাপ চেষ্টা করে দেখুন:

১. ফিডব্যাক শোনার পর তাৎক্ষণিক উত্তর দেওয়ার বা ব্যাখ্যা করার তীব্র ইচ্ছাকে দমন করুন। কয়েক সেকেন্ডের জন্য থামুন, একটি গভীর শ্বাস নিন। এই ছোট্ট বিরতি আপনার মস্তিষ্কের আবেগীয় অংশকে শান্ত হতে এবং যুক্তিবাদী অংশকে সক্রিয় হতে সাহায্য করবে, যা আপনাকে পরিস্থিতিটি শান্তভাবে দেখতে সাহায্য করবে।

২. নিজের ভেতরের তর্ক বা অজুহাতগুলোকে একপাশে সরিয়ে রেখে শুধু এটা বোঝার চেষ্টা করুন, অপরদিকের মানুষটি ঠিক কী বলতে চাইছেন। তার কথার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। "আমি কি তার কথাটা ঠিকভাবে বুঝতে পারছি?"— নিজেকে এই প্রশ্ন করুন। প্রয়োজনে clarifying প্রশ্ন করতে পারেন, যেমন: "আপনি কি একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলতে পারবেন?"

৩.মনে রাখবেন, বেশিরভাগ সময় ফিডব্যাকটি আপনার কোনো নির্দিষ্ট কাজের ওপর, আপনার পুরো অস্তিত্ব বা চরিত্রের ওপর নয়। "আপনার প্রেজেন্টেশনের এই স্লাইডটা অস্পষ্ট" মানে এই নয় যে, "আপনি একজন অযোগ্য ব্যক্তি"। নিজেকে কাজ থেকে আলাদা করতে শিখলে সমালোচনাটিকে আর ব্যক্তিগত আক্রমণ মনে হবে না।

৪. সমালোচনা হজম করা কঠিন, কিন্তু কেউ আপনাকে সময় নিয়ে ফিডব্যাক দিচ্ছেন মানে তিনি আপনার উন্নতির কথা ভাবছেন। একটি সাধারণ "ধন্যবাদ, বিষয়টি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য" আপনার পরিণত মানসিকতার পরিচয় দেয় এবং সম্পর্ককে সহজ করে তোলে। এরপর আপনি উন্নতির জন্য পরামর্শ চাইতে পারেন। এটি দেখায় যে আপনি শিখতে এবং বিকশিত হতে আগ্রহী।

গঠনমূলক সমালোচনাকে আক্রমণ হিসেবে না দেখে নিজের উন্নতির একটি উপহার হিসেবে দেখুন। মনে রাখবেন, যারা আপনার ভালো চায়, তারাই আপনাকে বিকশিত হওয়ার পথ দেখায়।

যদি দেখেন এই বিষয়টি আপনার আত্মবিশ্বাস এবং সম্পর্কে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তবে এর পেছনে আরও গভীর কোনো কারণ থাকতে পারে। একজন প্রফেশনালের সাথে কথা বললে এই আত্মরক্ষার দেয়াল ভাঙা সহজ হতে পারে।

কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

সবাই বলে 'মন খারাপ' তো কেটে যায়। কিন্তু আপনারটা যদি না কাটে, তখন?জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে আমাদের মন ভারাক্রান্ত হওয়াটা ...
28/09/2025

সবাই বলে 'মন খারাপ' তো কেটে যায়। কিন্তু আপনারটা যদি না কাটে, তখন?

জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতে আমাদের মন ভারাক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। অফিসের চাপ, সম্পর্কের টানাপোড়েন বা কোনো ব্যর্থতায় দুঃখ পাওয়া জীবনেরই অংশ। এই সাময়িক অনুভূতিকে আমরা বলি Sadness বা মন খারাপ, যা সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো কারণে হয় এবং কয়েকদিন পর পরিস্থিতি বদলালে ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু যদি এই অনুভূতিটা দীর্ঘস্থায়ী হয়? যদি কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ভেতরটা গভীর শূন্যতায় ছেয়ে যায়? যদি দিনের পর দিন সবকিছু অর্থহীন আর অন্ধকার মনে হতে থাকে এবং এই মেঘ কিছুতেই কাটতে না চায়, তবে তা সাধারণ মন খারাপ নয়। এটি হতে পারে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার লক্ষণ, যা আপনার পুরো সত্ত্বাকেই প্রভাবিত করতে শুরু করে।

মূল পার্থক্যটা হলো, সাধারণ দুঃখে আপনি কষ্ট পেলেও জীবনের অন্য দিকগুলোতে হয়তো সাময়িক আনন্দ খুঁজে নিতে পারেন, কিন্তু ডিপ্রেশন আপনার আনন্দ পাওয়ার ক্ষমতাটাই কেড়ে নেয়। একসময় যা করতে ভালো লাগতো, সেসব কিছুতেও আর আগ্রহ থাকে না। এটি আপনার ঘুম, খাদ্যাভ্যাস, কাজ করার শক্তি এবং মনোযোগকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। নিজের প্রতি এক ধরনের তীব্র আত্মগ্লানি ও মূল্যহীনতার অনুভূতি জন্মায়, যা আপনাকে ভেতর থেকে আরও একা করে দেয়।

মনে রাখবেন, ডিপ্রেশন মস্তিষ্কের একটি মেডিকেল কন্ডিশন, যার জন্য সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। শরীরের অসুখের জন্য যেমন আমরা ডাক্তারের সাহায্য নিই, মনের এই কঠিন অবস্থার জন্যও বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়াটা ততটাই জরুরি। যদি এই কথাগুলো আপনার বা আপনার পরিচিত কারো সাথে মিলে যায়, তবে একা লড়াই না করে সাহায্য চান। মনের যত্ন নিন, কারণ আপনি একা নন।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:

কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

আপনার হাসিখুশি, চঞ্চল সন্তানটি কি ইদানীং খুব চুপচাপ হয়ে গেছে? সারাদিন নিজের ঘরে একা থাকে? বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা প্রিয় শ...
27/09/2025

আপনার হাসিখুশি, চঞ্চল সন্তানটি কি ইদানীং খুব চুপচাপ হয়ে গেছে? সারাদিন নিজের ঘরে একা থাকে? বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা প্রিয় শখের কাজগুলোও আর তাকে টানে না? আপনি হয়তো ভাবছেন, এটা বয়ঃসন্ধিকালের স্বাভাবিক পরিবর্তন।

কিন্তু এর আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে এক তীব্র, না বলা যন্ত্রণা। আত্ম-আঘাত বা সেলফ-হার্ম কোনো মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা নয়, এটি মূলত তীব্র মানসিক যন্ত্রণা বা কষ্টকে সামলানোর একটি ভুল এবং মরিয়া কৌশল। যখন ভেতরের আবেগীয় কষ্ট (যেমন - একাকিত্ব, প্রত্যাখ্যান, ব্যর্থতা) অসহ্য হয়ে ওঠে, তখন কিছু টিনএজার সেই মানসিক যন্ত্রণা থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে শারীরিক কষ্টের আশ্রয় নেয়। শারীরিক ব্যথা তাদের ভেতরের কষ্টটাকে ভুলিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আপনার সন্তানের এই আচরণটি তার ভেতরের ঝড়ের একটি ভয়াবহ সংকেত।

কোন সতর্ক সংকেতগুলোর দিকে নজর রাখবেন?

শারীরিক লক্ষণ:
১।শরীরের বিভিন্ন জায়গায় (বিশেষ করে হাত, পা, বা পেট) необъяснимый কাটা, পোড়া বা আঁচড়ের দাগ।
২।ধারালো জিনিসপত্র, যেমন - ব্লেড, কাঁচি, সেফটিপিন নিজের কাছে বা লুকানো অবস্থায় রাখা।
৩। আঘাত ঢাকার জন্য সব সময় লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক পরা।

আচরণগত ও আবেগীয় লক্ষণ:
১। নিজেকে বন্ধু-বান্ধব বা পরিবার থেকে গুটিয়ে নেওয়া।
২। মেজাজের আকস্মিক এবং তীব্র পরিবর্তন (হঠাৎ খুব ভালো, পরমুহূর্তেই প্রচণ্ড রেগে যাওয়া)।
৩। নিজের সম্পর্কে হতাশাজনক বা নেতিবাচক কথা বলা, যেমন - "আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না," "সব আমার দোষ," বা "বেঁচে থেকে কী লাভ?"
৪। মৃত্যু, মরে যাওয়া বা আত্মহত্যা নিয়ে কথা বলা বা লেখালেখি করা। (এটি সর্বোচ্চ বিপদ সংকেত)
৫। খাবার বা ঘুমের অভ্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন।

আপনি কী করবেন?
যদি এই লক্ষণগুলোর কোনোটি আপনার সন্তানের মধ্যে দেখতে পান, আতঙ্কিত না হয়ে বা তাকে বকাঝকা না করে, শান্তভাবে তার পাশে দাঁড়ানোটা সবচেয়ে জরুরি। তাকে বোঝান যে আপনি তার সাথে আছেন, তাকে সাহায্য করতে চান এবং কোনোভাবেই তাকে বিচার করছেন না।

এই পরিস্থিতি একা সামলানো প্রায় অসম্ভব এবং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যখন আত্মহত্যার চিন্তা বা ঝুঁকি থাকে, তখন প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। কিন্তু আমাদের দেশে জরুরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াটা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে।
এই সংকটময় মুহূর্তে আপনার এবং আপনার সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, Mind to Heart যেকোনো আত্মহত্যার ঝুঁকিযুক্ত রোগীর জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিশ্চিত করছে।

যদি সামান্যতম ঝুঁকিও অনুভব করেন, এক মুহূর্তও অপেক্ষা করবেন না। আপনার একটি সঠিক পদক্ষেপই পারে আপনার সন্তানের জীবন বাঁচাতে।

জরুরি যোগাযোগের জন্য:
কল করুন: 01715769060
ইনবক্স করুন
WhatsApp: 01715769060
ইমেইল: mindtoheart.bd@gmail.com

Address

Mind To Heart, 27 Shaptak Square, Lift-7 Moar, Level 8, Holding 02, Road 16 (Old: 27), Dhanmondi
Dhaka
1209

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mind to Heart posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram