12/10/2024
হিজামা অতি প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি। হিজামা আরবি শব্দ ‘আল-হাজম’ থেকে এসেছে। অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া।হিজামা প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়। এই চিকিৎসাপদ্ধতি আরব, আফ্রিকা, চীন, ভারত ও আমেরিকায় বহু আগে থেকেই প্রচলিত ছিল।হিজামার মাধ্যমে দূষিত রক্ত, ইউরিক অ্যাসিড, রোগের জন্য দায়ী জীবাণু প্লাজমা বা ফ্লুইডের সঙ্গে বের করে নিয়ে আসা হয়। এর ফলে শরীরের মাংসপেশিগুলোর রক্তপ্রবাহ দ্রুততর হয়। পেশি, চামড়া, ত্বক ও শরীরের ভেতরের অরগানগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।হিজামার মাধ্যমে যে দূষিত প্লাজমা বেরিয়ে আসে, তাতে থাকে একাধিক রোগের জীবাণু। যেমন ঠাণ্ডা, কাশি, বিষণœতা, আর্থ্রাইটিস, চিন্তা, ঘুমের সমস্যা, মাংসপেশির ব্যথা এবং অন্যান্য রোগের জীবাণু বেরিয়ে এসে যেকোনো রোগের তীব্রতা কমিয়ে দেয়। হিজামার মাধ্যমে বর্তমানে অনেক সংক্রামক রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অসংক্রামক অনেক রোগও ভালো হয় নিয়মিত হিজামা করালে।হিজামার মাধ্যমে ব্যাকপেইন, উচ্চ রক্তচাপ, পাব্যথা, হাঁটুব্যথা, মাথাব্যথা (মাইগ্রেন), ঘাড়ব্যথা, কোমরব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, জাদু, বাত, ঘুমের ব্যাঘাত, থাইরয়েড ব্যাঘাত, জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তিহীনতা, ত্বকের বর্জ্য পরিষ্কার, অতিরিক্ত স্রাব নিঃসরণ বন্ধ করা, অর্শ, অণ্ডকোষ ফোলা, পাঁচড়া, ফোঁড়া ইত্যাদি প্রতিরোধ হয়।