Dr. Rasel Ahmed - Physiotherapist

Dr. Rasel Ahmed - Physiotherapist Trust your physiotherapist and live a problem-free life. verified

05/06/2025

🐄 কোরবানির সময় গুরুত্বপূর্ণ কিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ

১. কোরবানির পূর্বে ছুরি প্রস্তুত কিনা নিশ্চিত করুন:
কোরবানি করার আগে ছুরির ধার ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিন। ছুরিটি যেন যথেষ্ট ধারালো ও পরিষ্কার থাকে, তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ধারালো ছুরি ব্যবহার করলে পশুকে কম কষ্ট হয় এবং কোরবানির কাজটি দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়।
অধিক ধারালো ছুরি না হলে, পশু অপ্রয়োজনীয় কষ্ট পায় এবং কাজের সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। তাই আগেভাগেই ভালোভাবে ছুরি পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনে ধার করিয়ে নিন।

২. কোরবানির পরে নিজে নিজে স্পাইনাল কর্ড (মেরুদণ্ড) কাটতে যাবেন না:
অনেক সময় কোরবানির পরে ( পশুর মৃ_ত্যু নিশ্চিত হয়ার আগে) কেউ কেউ নিজেরা স্পাইনাল কর্ড কাটার চেষ্টা করেন, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মেরুদণ্ড কাটার সময় পশুর শরীর এখনও নড়াচড়া করতে পারে, ফলে ভুলভাবে ছুরি চালালে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই ধরণের কাজ অভিজ্ঞ কসাই বা প্রশিক্ষিত ব্যক্তির মাধ্যমে করানোই উত্তম। নিজের নিরাপত্তা এবং আশেপাশের লোকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ধাপটি অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ করুন।

*মৃ_ত্যু নিশ্চিত হওয়ার আগে মেরুদন্ডে আঘাত করলে সেই পশুর কোরবানি জায়েজ হওয়া নিয়েও মত ভিন্নতা আছে*

📝 অতিরিক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ :

৩. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
কোরবানির পর রক্ত, চামড়া বা অন্যান্য বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করুন। আশেপাশের পরিবেশ নোংরা রাখলে রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। সবসময় জীবাণুনাশক পানি ব্যবহার করুন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়ম মেনে চলুন।

৪. শিশুদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন:
অনেক সময় শিশুরা কৌতূহলবশত কোরবানির কাজের কাছে চলে আসে, যা বিপজ্জনক হতে পারে। তাদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন এবং যেন তারা ছুরি বা অন্য যন্ত্রপাতির কাছে না যায়, তা খেয়াল রাখুন।

৫. পশুর প্রতি সদয় হোন:
কোরবানি একটি ধর্মীয় ইবাদত, তাই পশুর প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল আচরণ করা উচিত। অপ্রয়োজনীয়ভাবে পশুকে মারধর, টানা-হেঁচড়া করা বা ভয় দেখানো থেকে বিরত থাকুন। শান্তিপূর্ণভাবে কোরবানি সম্পন্ন করা উত্তম।

🙏 আল্লাহ্‌ আমাদের কোরবানি কবুল করুন। সবাইকে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও বরকতময় ঈদের শুভেচ্ছা।
সতর্ক থাকুন, মানবিক থাকুন, ইবাদতকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করুন।

হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস:-১. হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস কী?প্লান্টার ফ্যাসাইটিস: পায়ের পাতার নিচের দি...
27/05/2025

হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস:-

১. হিল ইস্পার বা প্লান্টার ফ্যাসাইটিস কী?

প্লান্টার ফ্যাসাইটিস: পায়ের পাতার নিচের দিকে একটি মোটা টিস্যু ব্যান্ড থাকে যাকে Plantar Fascia বলে। এই টিস্যুতে প্রদাহ বা ক্ষত হলে তাকে বলা হয় Plantar Fasciitis।

হিল স্পার (Heel Spur): এটি হলো হিলবোনে (পায়ের গোড়ালির হাড়ে) ছোট হাড়ের কাঁটার মতো গঠন, যা দীর্ঘদিন প্লান্টার ফ্যাসিয়া টান পড়লে তৈরি হয়।

২. কেন হয়?

-পায়ে অতিরিক্ত চাপ বা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা।
-অপ্রচলিত জুতো ব্যবহার।
-ওজন বেশি হলে।
-দীর্ঘ সময় হাঁটা বা দৌড়ানো।
-পায়ের পাতার গঠনজনিত সমস্যা যেমন ফ্ল্যাট ফুট বা হাই আর্চ।
-অনিয়মিতভাবে পেশির নমনীয়তা হারানো (tight calf muscles)।

৩. কাদের বেশি হয়?

-৪০-৬০ বছর বয়সীদের।
-খেলোয়াড় বা নিয়মিত দৌড়বিদদের।
-যারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করেন (শিক্ষক, নার্স, কিচেন স্টাফ ইত্যাদি)।
-অতিরিক্ত ওজনধারীদের।
-ফ্ল্যাট ফুট বা অস্বাভাবিক গেইট (অস্বাভাবিক হাঁটার ধরন) যাদের আছে।

৪. কী কী সমস্যা হয়?

-সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম পা ফেলা খুব ব্যথাদায়ক হয়।
-হিল বা গোড়ালির নিচে ধারালো ব্যথা।
-দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে বা হাঁটলে ব্যথা বাড়ে।
-হাঁটাচলা করতে কষ্ট হয়।

৫. কীভাবে বুঝব আমার এই সমস্যা হয়েছে?

-সকালবেলা বা বিশ্রামের পর প্রথম হাঁটার সময় হিলের নিচে ব্যথা অনুভব করা।
-পায়ের আঙ্গুল উঁচু করলে বা গোড়ালি টিপলে ব্যথা বাড়ে।
-এক্স-রে করলে Heel Spur দেখা যেতে পারে।

৬. এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কী?

-বিশ্রাম ও অতিরিক্ত হাঁটাচলা কমানো।
-বরফ সেঁক (দিনে ২-৩ বার ১০-১৫ মিনিট)।
-সঠিক আকারের ও আরামদায়ক জুতো পরা।
-হিল কুশন বা অর্থোটিক ইনসোল ব্যবহার।
-ওজন নিয়ন্ত্রণ।
-স্ট্রেচিং ও ফিজিওথেরাপি।

৭. ফিজিওথেরাপি কেন প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে?

-প্লান্টার ফ্যাসিয়া ও কাফ মাংসপেশিকে স্ট্রেচ করে নমনীয় করা যায়।
-ব্যথা কমাতে আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, আইস প্যাক বা টেনস ব্যবহার করা হয়।
-ভিন্ন ধরনের ব্যায়াম শেখানো হয় যা দীর্ঘমেয়াদে সমস্যা কমায়।
-সঠিক হাঁটার কৌশল শেখানো হয়।

স্যারভাইকাল রিব:-স্যারভাইকাল রিব হলো গলার হাড়ের (সার্ভাইক্যাল স্পাইন) অতিরিক্ত একটি হাড় যা সাধারণত সপ্তম সার্ভাইক্যাল কশ...
27/05/2025

স্যারভাইকাল রিব:-

স্যারভাইকাল রিব হলো গলার হাড়ের (সার্ভাইক্যাল স্পাইন) অতিরিক্ত একটি হাড় যা সাধারণত সপ্তম সার্ভাইক্যাল কশেরুকা (C7) থেকে গজায়। এটি জন্মগত (Congenital) সমস্যা এবং সবার মধ্যে দেখা যায় না। অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তাদের এই হাড়টি আছে।

লক্ষণসমূহ:

সবার মধ্যে লক্ষণ দেখা যায় না। যাদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়, তাদের মাঝে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়:

1. ঘাড়, কাঁধ ও বাহুতে ব্যথা
2. বাহুতে অবশভাব, ঝিনঝিনি বা চুলচুলে অনুভূতি
3. হাত ও আঙ্গুলে দুর্বলতা
4. হাতের রঙ ফ্যাকাশে বা নীলচে হওয়া
5. ভার উত্তোলন বা হাত উঁচু করলে সমস্যার তীব্রতা বেড়ে যাওয়া
6. Thoracic Outlet Syndrome (TOS)-এর লক্ষণ দেখা দেওয়া

কারা এতে বেশি আক্রান্ত হন?

-নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হন।
-জন্মগত হাড়ের গঠনগত অস্বাভাবিকতা যাদের আছে
-দীর্ঘ সময় ধরে ভুল ভঙ্গিতে কাজ করা (যেমন: ডেস্ক জব, মোবাইল বা কম্পিউটারে বেশি সময় ব্যয়)

চিকিৎসা করা কেন জরুরি?

-যদি এটি স্নায়ু বা রক্তনালীর উপর চাপ সৃষ্টি করে, তবে সেটি দীর্ঘমেয়াদে স্নায়ুর ক্ষতি করতে পারে।

-রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা হতে পারে, যার ফলে হাত বা আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-প্রতিদিনের কাজ-কর্মে অসুবিধা হতে পারে।

*সময়মতো চিকিৎসা না করালে সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে।*

ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা:

ফিজিওথেরাপি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসার সবচেয়ে কার্যকর উপায়:

ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে যেসব উপকার হয়:
1. ঘাড়, কাঁধ ও পিঠের পেশি শক্তিশালী করা
2. স্নায়ুর উপর চাপ কমানো
3. ব্যথা ও ঝিনঝিনে ভাব কমানো
4. দৈনন্দিন কাজ স্বাভাবিকভাবে করার সক্ষমতা বাড়ানো
5. অঙ্গ-ভঙ্গি (posture) উন্নত করে উপসর্গ প্রতিরোধ করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যকে একেবারে হালকাভাবে নেয়াটা এক ধরণের ক্রাইম। দুই সপ্তাহ ধরে পায়খানা না হওয়ার পর অবশেষে এক্সরে করিয়েছে। এখন দ...
24/05/2025

কোষ্ঠকাঠিন্যকে একেবারে হালকাভাবে নেয়াটা এক ধরণের ক্রাইম। দুই সপ্তাহ ধরে পায়খানা না হওয়ার পর অবশেষে এক্সরে করিয়েছে। এখন দেখুন অবস্থা...

বাচ্চাদের তো বটেই, আপনার নিজেরও কোষ্ঠকাঠিন্য হলে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎকের পরামর্শ নেবেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকার জন্য কিছু খাবারের নাম বলে দিচ্ছি। শেয়ার করে রাখতে পারেন।

শাকসবজি: কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আঁশযুক্ত খাবারের কোনো বিকল্প নেই। আর শাকসবজি হলো আঁশের সবচেয়ে ভালো উৎস। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় তাজা মৌসুমি শাকসবজি রাখুন। সবজির মাঝে লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স রাখুন।

কলা: কলায় প্রচুর আঁশ রয়েছে। তাই যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সকালের নাশতায় একটি করে পাকা কলা রাখুন।

আপেল: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খোসাসহ আপেল খান। আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত আঁশ রয়েছে, যা মল নরম করে।

নাশপাতি: প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে আমাদের দৈনন্দিন আঁশের চাহিদা ২২ শতাংশ পূরণ হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।

ইসবগুলের ভুসি: ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিকভাবেই মল নরম করতে, মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা প্রচুর পানি শোষণ করে। সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একইভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সকালে মলত্যাগে কোনো সমস্যা হয় না। তবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। না হলে ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে পানি শোষণ করে মলত্যাগ আরও কষ্টসাধ্য করে তুলবে।

20/05/2025

একজন দক্ষ থেরাপিস্ট এভাবেই রোগীকে সুস্থ করে তোলো।

শিশুদের "গ্রোইং পেন" (Growing Pains) হল এমন এক ধরনের সাধারণ ব্যথা যা সাধারণত ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। ...
10/05/2025

শিশুদের "গ্রোইং পেন" (Growing Pains) হল এমন এক ধরনের সাধারণ ব্যথা যা সাধারণত ৩ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এটি হাড়ের বৃদ্ধিজনিত সমস্যা নয় বরং মাংসপেশি ও সন্ধিসংক্রান্ত সাময়িক ব্যথা।

লক্ষণসমূহ:

ব্যথা সাধারণত দুই পায়ের মধ্যে থাকে (উরু, পেছনের হাঁটু, পেছনের পায়ের পেশিতে)
রাতের বেলা বা সন্ধ্যায় বেশি হয়
সকালে উঠে গেলে ব্যথা থাকেনা
ব্যথা আসা-যাওয়া করতে পারে

কারণসমূহ:

সঠিকভাবে জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হয় পেশির অতিরিক্ত ব্যবহার বা ক্লান্তি এর জন্য দায়ী
শিশুর অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ বা খেলাধুলার পর হতে পারে

চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:

হালকা ম্যাসাজ
উষ্ণ পানির শেক (hot compress)
বয়স অনুযায়ী প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন (ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)
প্রসারণ (Stretching) ব্যায়াম
পর্যাপ্ত বিশ্রাম

চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় কখন:

যদি ব্যথা শুধুমাত্র এক পায়ে হয়
যদি পা ফুলে যায় বা লাল হয়ে যায়
চলাফেরায় সমস্যা হয়
জ্বর বা ওজন কমে যায়

সুস্থ জীবনের জন্য মেনে চলুন ৯-১ নিয়ম!শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একটু সচেতন থাকলেই অনেক বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। চল...
09/05/2025

সুস্থ জীবনের জন্য মেনে চলুন ৯-১ নিয়ম!

শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন একটু সচেতন থাকলেই অনেক বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব। চলুন জেনে নেই এই চমৎকার "৯-১ স্বাস্থ্য নিয়ম":

৯ = ৯,০০০ স্টেপ হাঁটা
প্রতিদিন অন্তত ৯ হাজার ধাপ হাঁটার লক্ষ্য রাখুন। এটি শরীরকে সচল রাখে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

৮ = ৮ গ্লাস পানি পান
শরীর হাইড্রেটেড রাখতে দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

৭ = ৭ ঘণ্টা ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম আপনার মন ও শরীরকে রাখে চাঙা ও সুস্থ।

৬ = ৬ মিনিট মেডিটেশন/মাইন্ডফুলনেস
প্রতিদিন অন্তত ৬ মিনিট মানসিক প্রশান্তির জন্য মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন করুন।
**যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন**

৫ = ৫ রকমের ফল/সবজি
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তত পাঁচ রকমের তাজা সবজি বা ফল রাখুন।

৪ = ৪ মিনিট বিরতি (প্রতি ২ ঘণ্টা পর)
দীর্ঘ সময় বসে কাজের মাঝে প্রতি ২ ঘণ্টা পর ৪ মিনিট বিরতি নিন। হালকা হাঁটাহাঁটি বা স্ট্রেচ করুন।

৩ = ৩টি স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন
সারাদিনের মধ্যে যেকোনো তিনটি খাবার স্বাস্থ্যকরভাবে বেছে নিন। অতিরিক্ত তেল-চর্বি পরিহার করুন।

২ = ঘুমের ২ ঘণ্টা আগে খাবার শেষ
ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করে ফেলুন।

১ = ১টি ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি
প্রতিদিন অন্তত একটি ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত থাকুন – হাঁটা, দৌড়, সাঁতার বা যে কোনও ব্যায়াম হতে পারে।

নিজেকে ভালোবাসুন, স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন – আজ থেকেই শুরু হোক পরিবর্তন!

মনে রাখবেন- সুস্বাস্থ্য সবথেকে বড় রহমত।
07/05/2025

মনে রাখবেন- সুস্বাস্থ্য সবথেকে বড় রহমত।

তারপর বল...
24/04/2025

তারপর বল...

কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (Carpal Tunnel Syndrome) কী?কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (CTS) হলো একটি স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা, যা কবজির ...
29/01/2025

কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (Carpal Tunnel Syndrome) কী?

কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম (CTS) হলো একটি স্নায়ুবিষয়ক সমস্যা, যা কবজির ভেতরে মিডিয়ান নার্ভ (Median Nerve) সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। এই নার্ভটি হাতের অনুভূতি ও কিছু পেশির নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে।

লক্ষণসমূহ:

হাত ও আঙুলে ঝিনঝিন বা অবশভাব,
বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী ও মধ্যমা আঙুলে ব্যথা ও দুর্বলতা,
রাতে বা সকালের দিকে ব্যথা বেশি অনুভূত হওয়া,
হাতের মুঠো শক্ত করে ধরতে সমস্যা,
কাজ করতে করতে হাত ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।

চিকিৎসা না নিলে কী ক্ষতি হতে পারে?

স্থায়ী স্নায়ু ক্ষতি: দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করলে মিডিয়ান নার্ভের ক্ষতি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।

হাতের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া: হাতের শক্তি কমে গিয়ে দৈনন্দিন কাজ (যেমন: লেখালেখি, টাইপিং, বোতাম লাগানো) কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

পেশির দুর্বলতা: আঙুল ও কবজির কিছু পেশি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়, যা স্থায়ী সমস্যা তৈরি করতে পারে।

অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে: যদি ব্যথা দীর্ঘদিন চলতে থাকে এবং নার্ভ খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে অপারেশন করতে হতে পারে।

ফিজিওথেরাপি কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের জন্য একটি কার্যকর, ওষুধবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ব্যথা কমায় এবং হাতের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

ফিজিওথেরাপির উপকারিতা:

ব্যথা ও ঝিনঝিন ভাব কমানো: হালকা স্ট্রেচিং ও নার্ভ গ্লাইডিং এক্সারসাইজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

স্নায়ুর সংকোচন কমানো: বিভিন্ন ম্যানুয়াল থেরাপি ও ব্যায়ামের মাধ্যমে মিডিয়ান নার্ভের উপর চাপ কমানো হয়।

কবজির নমনীয়তা ও শক্তি বৃদ্ধি: কবজি ও আঙুলের পেশির শক্তি ও নমনীয়তা বাড়িয়ে হাতের কার্যকারিতা স্বাভাবিক করা হয়।

অস্ত্রোপচার এড়ানো: যদি প্রাথমিক পর্যায়ে সঠিক ফিজিওথেরাপি নেওয়া হয়, তাহলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে না।

আপনি যদি কার্পাল টানেল সিন্ড্রোমের লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

রেফার্ড পেইন (Referred Pain) কী?রেফার্ড পেইন হল এমন এক ধরনের ব্যথা, যা শরীরের এক জায়গার সমস্যার কারণে অন্য জায়গায় অনুভূত...
29/01/2025

রেফার্ড পেইন (Referred Pain) কী?

রেফার্ড পেইন হল এমন এক ধরনের ব্যথা, যা শরীরের এক জায়গার সমস্যার কারণে অন্য জায়গায় অনুভূত হয়। অর্থাৎ, ব্যথার মূল কারণ এক জায়গায় থাকলেও তা শরীরের অন্য কোনো অংশে অনুভূত হতে পারে।

রেফার্ড পেইনের কারণ:
পেশি, জয়েন্ট বা নার্ভের সমস্যার কারণে।
ডিস্ক সমস্যা বা স্পাইনাল ইস্যু (যেমন: সার্ভাইক্যাল বা লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস)।
অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা (যেমন: হার্টের সমস্যা থেকে হাতে ব্যথা অনুভূত হওয়া)।

চিকিৎসা না নিলে কী ক্ষতি হবে?

ব্যথা দীর্ঘমেয়াদী হয়ে যেতে পারে,
দৈনন্দিন কাজকর্মে সমস্যা হতে পারে,
পেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে,
জয়েন্ট বা নার্ভের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে,
জীবনযাত্রার মান কমে যেতে পারে।

ফিজিওথেরাপির উপকারিতা:

ব্যথার মূল কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা হয়,
ওষুধ ছাড়াই ব্যথা উপশম করা যায়,
শরীরের নড়াচড়া ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,
পেশি ও জয়েন্টের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়,
ব্যথার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করে।

আপনার যদি রেফার্ড পেইন থাকে, তাহলে দেরি না করে একজন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পেইনফুল আর্ক সিন্ড্রোম হলো কাঁধের একটি সমস্যা, যেখানে কাঁধের নির্দিষ্ট কোণে হাত তুলতে ব্যথা অনুভূত হয়, সাধারণত ৬০° থেকে ...
28/01/2025

পেইনফুল আর্ক সিন্ড্রোম হলো কাঁধের একটি সমস্যা, যেখানে কাঁধের নির্দিষ্ট কোণে হাত তুলতে ব্যথা অনুভূত হয়, সাধারণত ৬০° থেকে ১২০° কোণে। এটি মূলত রোটেটর কাফ টেন্ডিনাইটিস, বার্সাইটিস, বা সাবঅ্যাক্রোমিয়াল ইমপিঞ্জমেন্ট এর কারণে হয়।

***চিকিৎসা না নিলে কী হবে?***

পেইনফুল আর্ক সিন্ড্রোম চিকিৎসা না নিলে দীর্ঘমেয়াদে নিচের সমস্যা দেখা দিতে পারে:

1. কাঁধের মুভমেন্ট কমে যাওয়া: ধীরে ধীরে কাঁধ শক্ত হয়ে যেতে পারে (ফ্রোজেন শোল্ডার)।

2. ব্যথা স্থায়ী হয়ে যাওয়া: ব্যথা ক্রমশ বাড়তে পারে এবং প্রতিদিনের কাজ করতে অসুবিধা হতে পারে।

3. টেন্ডনের ক্ষতি: রোটেটর কাফ টেন্ডনের ফাটল বা টিস্যুর আরও ক্ষতি হতে পারে।

4. দুর্বলতা: কাঁধের পেশি দুর্বল হয়ে কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।

5. জটিলতা: দীর্ঘ সময় ব্যথা অবহেলা করলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা না নিলে কী কী ক্ষতি হবে?

1. কাঁধের গতি ও কার্যক্ষমতা আরও কমে যাবে।

2. পেশির শক্তি কমে দৈনন্দিন কাজ (যেমন চুল আঁচড়ানো, কাপড় পরা) করতে সমস্যা হবে।

3. প্রদাহ ও ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি আকার নিতে পারে।

4. কাঁধের গঠন পরিবর্তন হয়ে অস্বাভাবিক অবস্থায় যেতে পারে।

5. রোটেটর কাফ টেন্ডনের ওপর চাপ বাড়ায় টেন্ডনের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।

ফিজিওথেরাপি নিয়মিত ও সঠিকভাবে নিলে রোগী দ্রুত সুস্থ হতে পারে। এতে কীভাবে সাহায্য হয়:

1. ব্যথা কমানো
2. পেশি শক্তিশালী করা
3. মুভমেন্ট রিস্টোর করা
4. রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
5. প্রদাহ কমানো

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ভূমিকা:

1. সঠিক রোগ নির্ণয়: ফিজিওথেরাপিস্ট প্রথমেই সমস্যার কারণ চিহ্নিত করেন।

2. কাস্টমাইজড থেরাপি: রোগীর জন্য নির্ধারিত থেরাপি প্রদান করা হয়।

3. ড্রাগ-ফ্রি চিকিৎসা: ফিজিওথেরাপি প্রাকৃতিক ও ওষুধ-মুক্ত পদ্ধতিতে সুস্থ হতে সাহায্য করে।

4. জটিলতা প্রতিরোধ: নিয়মিত থেরাপি নেওয়া রোগীকে সার্জারি থেকে রক্ষা করে।

5. লাইফস্টাইল পরিবর্তন: ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর দৈনন্দিন কাজকর্মে সঠিক পদ্ধতি শেখান, যাতে ভবিষ্যতে এ সমস্যা এড়ানো যায়।

সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করলে রোগী ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Rasel Ahmed - Physiotherapist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share