Nurses Cafeteria

Nurses Cafeteria Dhaka

02/09/2024

NCLEX-RN পরীক্ষার জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন:
NCLEX-RN, বা National Council Licensure Examination for Registered Nurses, যথাক্রমে 1982, 2015 এবং 2020 সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতে দেশব্যাপী পরিচালিত একটি Standardized পরীক্ষা। National Council of State Boards of Nursing (NCSBN) দ্বারা তৈরি, এই পরীক্ষাটি নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত, এন্ট্রি-লেভেল নিবন্ধিত নার্স (RN) হিসাবে নিরাপদ এবং কার্যকর Nursing practice এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলি মূল্যায়ন করে৷
আপনি যদি বাংলাদেশের একজন নার্স হন এবং NCLEX-RN পরীক্ষার জন্য আপনার প্রস্তুতি শুরু করতে চান কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন তা নিশ্চিত না হলে, এই নিবন্ধটি আপনাকে আপনার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করতে পারে।
অধ্যয়ন Materials এবং প্রস্তুতি পরিকল্পনা
1. Content Study পাঠ্যপুস্তক – NCLEX-RN পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত Textbook হল Saunders Comprehensive Review for the NCLEX-RN Examination, বর্তমানে এর 9ম সংস্করণে রয়েছে।
I. NCLEX-RN পরীক্ষার বিষয়বস্তু, প্রশ্ন types, format এবং কার্যকর প্রস্তুতির কৌশলগুলি জানতে এই পাঠ্যপুস্তকের Chapters 1-4 পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করুন।
2. Content ভিডিও - NCLEX-RN বিষয়বস্তুর জন্য Dedicated YouTube চ্যানেলগুলি মূল্যবান study material Free অফার করে। Simple Nursing, RegisteredNurseRN, এবং Level Up RN -এর মতো YouTube চ্যানেলগুলি NCLEX-RN পরিক্ষার বিভিন্ন বিষয় কভার করে অসংখ্য ভিডিও প্রদান করে।
3. নোট নেওয়া - পড়াশোনা করার সময় বিস্তারিত নোট রাখুন। পর্যালোচনার সুবিধার্থে আপনার নোটবুকে চ্যালেঞ্জিং বিষয় গুলো লিখে রাখুন৷
4. অনলাইন প্রশ্নব্যাঙ্ক (QBank)- প্রকৃত পরীক্ষার মতোই প্রশ্ন Practice করুন। অনেক গুলো অনলাইন NGN (New Generation NCLEX-RN) প্রশ্ন ব্যাঙ্ক আছে যেগুলো সাধারণত অ্যাক্সেসের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফি প্রয়োজন। জনপ্রিয় QBank মধ্যে রয়েছে UWorld, Kaplan, Archer Review, Simple Nursing, ATI, Nurselabs ইত্যদি। একটি অনলাইন QBank Subscription করা যথেষ্ট।
5. হার্ডকপি QBank - Lippincott Q&A Review for NCLEX-RN 14th Edition (NGN Edition), Saunders Q & A Review for the NCLEX-RN Examination 9th Edition, or Kaplan Next Generation NCLEX-RN Prep 2023-2024 এর মতো হার্ডকপি প্রশ্ন ব্যাঙ্কগুলি ব্যবহার করুন৷ একটি হার্ডকপি QBank Practice করা যথেষ্ট।
6. Study Plan - প্রতিদিন 4 ঘন্টা করে প্রতি সপ্তাহে 6 দিনের অধ্যয়নের সময়সূচী সহ 6 মাসব্যাপী একটি অধ্যয়ন পরিকল্পনা (সাপ্তাহিক Breakdown সহ) তৈরি করুন।
I. বিষয়বস্তু study, বিষয়বস্তু অনুযায়ি YouTube ভিডিও দেখা এবং নোট নেওয়ার জন্য দৈনিক অধ্যয়নের সময় 2 ঘন্টা বরাদ্দ করুন।
II. বাকি 2 ঘন্টা QBank অনুশীলনে উত্সর্গ করুন, প্রতিদিন 20-40 টি প্রশ্ন practice করুন এবং আপনার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। 6 মাসে কমপক্ষে 2000টি প্রশ্নের অনুশীলন করার লক্ষ্য রাখুন, গড় 70% এর বেশি স্কোর অর্জন করুন।
III. বেশ কিছু full-length Assessment পরীক্ষা বা CAT পরীক্ষা দিয়ে আপনার প্রস্তুতি শেষ করুন।
7. Sample Study Plan – NCSBN NCLEX-RN পরীক্ষা পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে এবং Saunders NCLEX-RN 9th সংস্করণ পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করে NCLEX-RN পরীক্ষার জন্য একটি নমুনা অধ্যয়ন পরিকল্পনা এখানে Post করেছি যেটা আপনার অধ্যয়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে আপনাকে সহায়তা করবে।
8. Study Materials তালিকা – আপনাদের সুবিধার্তে আমি একটি NCLEX-RN Study Material List এখানে Post করেছি যেটা আপনার study materials সংগ্রহ করতে help করবে।
এই post-এর ব্যপারে আপনার কোন inquiry থাকলে আমার সংগে contact করুন। ধন্যবাদ

লেখা কৃতজ্ঞতা : M. Zainul Abedin

22/06/2024

রাসেল’স ভাইপার নিয়ে গ্রামাঞ্চলে ভয় ও উদ্বেগের সত্যিই কোন কারণ আছে?



ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,বর্ষাকাল গ্রামাঞ্চলে আতঙ্কের বিষয় হয়ে ওঠে সাপের দংশনArticle information

• Author,রাকিব হাসনাত

• Role,বিবিসি নিউজ বাংলা

• ২১ জুন ২০২৪

বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেল’স ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে অনেকে নানাভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রচার করছেন যে সাপটি কামড় দিলে দ্রুত মানুষের মৃত্যু হয়।

পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে রাসেল'স ভাইপার সাপ মেরে ফেরার প্রচারণাও চালানো হচ্ছে ফেসবুকে। এমন অবস্থায় ফরিদপুরের একজন রাজনীতিবিদ প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে রাসেল'স ভাইপার সাপ মারতে পারলে প্রতিটির জন্য ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।

অনেকে বলছেন, রাসেল'স ভাইপার খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফলে সহসা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এই সাপের আধিক্য মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে।

প্রশ্ন হ্ছে, রাসেল’স ভাইপার নিয়ে যে মাত্রায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে তা কতটা যৌক্তিক?

সাপ গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ প্রজাতির সাপ কামড়ালে তারও চিকিৎসা আছে এবং সময়মত চিকিৎসা নিতে পারলে মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসে।

বেসরকারি সংস্থা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন বলছে রাসেল’স ভাইপার মোটেও দেশের সবচেয়ে বিষধর কিংবা প্রাণঘাতী সাপ নয়।

বরং দেশে প্রতি বছর সাপের কামড়ে যত লোক মারা যায় তার অর্ধেকই মারা যায় পাতি কেউটে সাপের কামড়ে। তবে সময়মত চিকিৎসা না নিলে রাসেল’স ভাইপারের কামড়েও মৃত্যু হতে পারে।

আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বিবিসি বাংলাকে বলেছেন দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিষ প্রতিষেধক বা অ্যান্টিভেনম (সাপ কামড়ালে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়) আছে এবং সব জায়গায় হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর বা বিষ নিষ্ক্রিয় করতে পারে এমন উপাদানকে অ্যান্টিভেনম বলা হয় ।

দ্রুত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে, অ্যান্টিভেনমের অ্যান্টিবডিগুলি বিষকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যায় ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি জেলা রাসেল’স ভাইপারের কামড়ে কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকার কাছেই মানিকগঞ্জের কিছু এলাকায় গত তিন মাসে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে অন্তত পাঁচজন মারা গেছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এরপর ভোলাসহ আরও কয়েকটি জেলায় এ ধরণের সাপ ধরে মারার খবর এসেছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে ২০২৩ সালে চার লাখ সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সাড়ে সাত হাজার মানুষ মারা গেছে যাদের বেশিরভাগই কোবরা ও কেউটে প্রজাতি সাপের কামড়ের শিকার হয়েছেন।

তবে রাসেল’স ভাইপারের কামড়ে ঠিক কতো জন মারা গেছে তার সুনির্দিষ্ট হিসেব পাওয়া যায়নি।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:

• বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার কীভাবে ফিরে আসছে১ সেপ্টেম্বর ২০২১

• বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জে এলো কীভাবে৩ জুন ২০২৪

• সাপের কামড়: কত ভয়ানক হুমকি?২৬ মে ২০১৮

• 

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,সাপ কামড়ালে একই সাথে নানাধরনের বিষক্রিয়া ঘটতে থাকে।

আতঙ্কের যৌক্তিকতা কতটা

রাসেল’স ভাইপার নামের সাপের এই প্রজাতিটি বাংলাদেশ থেকে বহু বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

কিন্তু গত ১০-১২ বছর আগে থেকে আবারো এই সাপের কামড়ের ঘটনায় এগুলোকে আবার দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক মাসে একাধিক জেলায় সাপটি দেখা গেছে।

রাসেল'স ভাইপার মারার জন্য ফরিদপুরে যে ব্যক্তি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তার নাম শাহ্ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক।

মি. আরিফ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সেখানকার মানুষ ভয়ে ক্ষেতে নামছে না ধান কাটার জন্য।

"ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে । তাই আমাদের সভায় নেতাকর্মীদের বলেছি যাতে তারা সচেতন হয়। সাপ বিতাড়ন করতে বলেছি। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা আলোচনা করবো এ নিয়ে কী করা যায়,” বলছিলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের অশোকা ফেলো বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মোঃ আবু সাইদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহসান সাপ বিষয়ে গবেষক ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে সুপরিচিত। তারা দুজন বাংলাদেশের সাপ ও সর্প দংশন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা বইটির রচয়িতা।

তারা উভয়ই অবশ্য বলছেন যে রাসেল’স ভাইপার নিয়ে যেভাবে আতঙ্কের কথা বলা হচ্ছে সেটি নিতান্তই ভয় থেকে এবং এটি অতিরঞ্জিত।

“অনেকে না জেনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সাপ দেখে সবাই ভয় পায় এবং এর কামড়ে মারা যায় এটাই মনে গেঁথে গেছে। চিকিৎসা নিলে যে ভালো হয় সেটা সবাই জানেনা বলেই আতঙ্ক হয়। খুব দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই সমাধান অনেকটা এগিয়ে নেয়া যায়,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন অধ্যাপক ফরিদ আহসান।

• 

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম আছে বাংলাদেশে

রাসেল'স ভাইপারের দশংনে দ্রুত মৃত্যু হয়?

গবেষক মোঃ আবু সাইদ বলছেন রাসেল’স ভাইপার কামড় দিলেই রোগী মারা যায় এটিও সত্য নয়, বরং রোগী সহজে মারা যায় না।

“ন্যূনতম ৭২ ঘণ্টার আগে সহজে রোগী মারা যায় না। বাংলাদেশে এ সাপের কামড়ের পর ১৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে ছিলো এমন তথ্যও আছে”।

বাংলাদেশ টক্সিকোলজি সোসাইটির সভাপতি ডাঃ মোঃ আবুল ফয়েজ সাপের দংশন ও এর চিকিৎসা নিয়ে বই লিখেছেন।

সেখানে তিনিও উল্লেখ করেছেন, গোখরো সাপের দংশনের গড় ৮ ঘণ্টা পর, কেউটে সাপের দংশনের গড় ১৮ ঘণ্টা পর ও চন্দ্রবোড়া সাপের দংশনের গড় ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন পর রোগীর মৃত্যু হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সময়সীমার মধ্যে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা জরুরি।

এই চন্দ্রবোড়া সাপটিই হলো রাসেল’স ভাইপার। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায়, বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী কয়েকটি জেলা ও চরাঞ্চলে এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন বলছে দেশের যে সব সাপের সাবকিউটেনাস মেডিয়ান লিথাল ডোজ জানা (বিষের মাত্রা) তাদের মধ্যে এটা সপ্তম (সামুদ্রিক সাপসহ)। তাই রাসেল’স ভাইপার দেশের সবচেয়ে বিষধর বা সবচেয়ে প্রাণঘাতী সাপ নয় ।

মোঃ আবু সাইদ ২০১৯ সালে প্রকাশিত রাসেলস ভাইপার অফ বাংলাদেশ ইটস গ্রুমস অ্যান্ড থ্রেটস অন হিউম্যান বিয়িং শীর্ষক গবেষণার যৌথ গবেষকদের একজন।

তিনি জানান দেশের ২২-২৪ টির মতো জেলার কিছু স্থানে রাসেল’স ভাইপারের উপস্থিতি দেখা গেছে। যদিও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেরে ভেনম রিসার্চ সেন্টারের হিসেবে এ সাপ আছে ২৭টির মতো জেলার কিছু কিছু জায়গায়।

তার মতে এটি কোবরা কিংবা কেউটের চেয়ে কম প্রাণঘাতী কিন্তু এই সাপের বিষে নানা ধরণের উপাদান বেশি। “ফলে চিকিৎসায় বিলম্ব হলে বহুমাত্রিক জটিলতা তৈরি করে শরীরে।

সেজন্য তখন আর অ্যান্টিভেনম দিয়ে কাজ হয় না। ক্রমান্বয়ে ফুসফুস, কিডনি আক্রান্ত হয়। এক পর্যায়ে অনেক রক্তক্ষরণ হয়, তখন আর রক্ত দিলে শরীরে তা থাকে না”।

আরও খবর:

• প্রাচীনকালে নারীরা যৌনতা নিয়ে আসলে কী ভাবতো?২০ জুন ২০২৪

• ইয়োগা বা যোগব্যায়াম নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর২১ জুন ২০২৪

• মিয়ানমার থেকে গুলি এলে পাল্টা গুলি চালাবে বাংলাদেশ- এ বার্তার অর্থ কী?২০ জুন ২০২৪

• 

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,রাসেল'স ভাইপার সাপ বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।

অধ্যাপক ফরিদ আহসানের মতে রাসেল’স ভাইপার কামড়ালে একশ মিনিটের মধ্যে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারলে ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়।

মি. সাইদ বলছেন কোবরা বা কেউটে কামড়ালে টেরও পাওয়া যায় না অনেক সময় কিন্তু রাসেল ভাইপার কামড় দিলে জায়গাটা সাথে সাথে ফুলে যায় এবং সাপটি সাথে সাথেই চলে যায় না।

“সেজন্য কামড় দেয়ার পর সাপটা দেখা যায় বলে রোগী বা অন্যরা নিশ্চিত হতে পারে। একজন চিকিৎসক দ্রুত অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করতে পারেন। সেটি হলে ঝুঁকিও কমে যায়। এ কারণেও এটি অন্য বিষধর সাপের চেয়ে কম আতঙ্কের,” বলছিলেন তিনি।

অবশ্য ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন বলছে বাংলাদেশে ব্যবহৃত পলিঅ্যান্টিভেনম দিয়ে রাসেলস ভাইপারের বিষের চিকিৎসা হয়।

তাই এন্টিভেনম নেই কথাটা সর্বৈব মিথ্যা। “তবে প্রশিক্ষিত ডাক্তার, অ্যান্টিভেনম সাপ্লাই এবং আইসিইউ এর স্বল্পতা আছে”।

জমি বা ক্ষেতে এই সাপ ছড়িয়ে পড়েছে বলে যে প্রচারণা চলছে সে বিষয়ে তিনি বলেন মানিকগঞ্জসহ কয়েকটি জায়গায় চরাঞ্চলে যেখানে আগে চর ছিলো সেখানে সব পরিষ্কার করে খামার বানানো হয়েছে।

“ফলে সাপের থাকা ও খাবার সংকট তৈরি হয়েছে। আবার কিছু এলাকায় জমিতে এখন একাধিক ফসল হওয়ায় শিয়াল, খাটাশ, বেজি, গুইসাপ আর নেই বললেই চলে"।

"ইকোসিস্টেমটাই নষ্ট হয়ে গেছে আবাস থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা এখন কচুরি পানায় ভেসে পদ্মা মেঘনা যমুনায় ভেসে ছড়াচ্ছে। কিন্তু তারপরেও এ নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ ঘটেনি,” বলছিলেন তিনি।

তিনি বলেন মানুষ একটু সাবধান হলেই সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। রাসেল’স ভাইপার তেড়ে এসে কামড়ায় বলে যে প্রচার চলছে সেটিও সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ফরিদ আহসান।

রাসেল’স ভাইপার সম্পর্কে আরও তথ্য

গবেষকরা বলছেন রাসেল’স ভাইপার ভালো সাঁতার কাটে এবং এই সাপ এক সাথে ৩-৬৩টি পর্যন্ত বাচ্চা দিয়ে থাকে। এসব বাচ্চা দুই বছরে পরিপক্ব হয়। এদের গর্ভধারণকাল ছয় মাস।

এই সাপটি সাধারণত নিশাচর বা রাতে চলাচল করতে পছন্দ করে এবং মানুষের বাড়িঘর এলাকায় সাধারণত এরা থাকে না। থাকার জন্য ঝোপ ঝাড়, ফসলের গোলা কিংবা জমির বড় গর্ত এদের পছন্দ।

অধ্যাপক ফরিদ আহসান বলছেন এ সাপ যে পরিমাণ ইঁদুর খায় সেটি না হলে ফসল উৎপাদনেরই ক্ষতি হতো।

“ঘাস বনে, ঝোপ ঝাড়ে এরা থাকে। তাই এসব জায়গায় গেলে সাবধানতা অবলম্বন করা যেতে পারে। বড় লাঠি দিয়ে নাড়ালেই সাপ সরে যায়। কৃষকরা গামবুট পড়লে এবং জমিতে নামার আগে লাঠি দিয়ে নাড়ালেই এরা সরে যাবে। তাই অপ্রয়োজনীয় আতঙ্কের কোন কারণই নেই। তবে সতর্ক অবশ্যই থাকতে হবে" বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি ।

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজদিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ র‌্যাবিস: অল ফর ওয়ান, ওয়ান হেলথ ফর অল’ যার বাংলা ভাবানুবাদ ‘জলাতঙ্কের অ...
28/09/2023

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ র‌্যাবিস: অল ফর ওয়ান, ওয়ান হেলথ ফর অল’ যার বাংলা ভাবানুবাদ ‘জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান’।

মেডিভয়েস রিপোট: বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ র‌্যাবিস: অল ফর ওয়ান, ওয়ান হেলথ ফর অল’ যার বাংলা ভাবানুবাদ ‘জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান’।
এবারের প্রতিপাদ্যে- জলাতঙ্ক নির্মূলে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা, সমতার গুরুত্ব এবং সামগ্রিক ব্যবস্থাকে ওয়ান হেলথ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করার বিষয়গুলোতে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী গত বছর প্রাণীর কামড়-আঁচড়ে আক্রান্ত প্রায় সাড়ে চার লাখেরও বেশি রোগীকে সরকার বিনামূল্যে জলাতঙ্কের টিকা দিয়েছে। এতে জলাতঙ্কে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বহুলাংশে কমেছে। বাংলাদেশে ২০১০ সালের আগে জলাতঙ্ক রোগে ২০০০ এর বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করতো, যা ২০২৩ সালের জুন মাসে কমে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৭।
মরণঘাতী জলাতঙ্ক বহু পুরোনো সংক্রামক রোগ। এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে মৃত্যু অনিবার্য। তবে সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা তথা টিকা গ্রহণ করলে এ রোগ শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি ও শিয়ালের কামড় বা আঁচড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষারযুক্ত সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান কমপক্ষে ১৫ মিনিট ধুয়ে নিতে হবে। সঙ্গে যথাসময়ে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হিসাবে গ্রহণ করে। স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রাণিসম্পদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ২০১১-১২ সাল থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় কৌশল পত্র প্রস্তুত করে দেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়ে এবং তা বাস্তবায়নে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়। আর এসব বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মাধ্যমে সারাদেশে সব জেলা সদর হাসপাতাল ও ৩৩৮টির বেশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমের দেশের সব উপজেলায় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও ঢাকার ৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জলাতঙ্কের আধুনিক চিকিৎসা কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে। কুকুর বা অন্যান্য প্রাণীর কামড়ের ঘটনায় এসব কেন্দ্রে আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্নভাবে বিনামূল্যে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় গাইডলাইন অনুসারে বর্তমানে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ তিনটি (০, ৩ ও ৭) দিনে নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় রোগীদের অর্থ ও সময়, দুই-ই সাশ্রয় হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সব সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। যা দক্ষিণ এশিয়ায় জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ল্যাবে প্রাণীদেহে জলাতঙ্কের জীবাণু নিশ্চিতকরণের কাজ করছে। এতে নির্দিষ্ট স্থানে এ রোগের উপস্থিতি ও প্রাদুর্ভাব নির্ণয় করে মানুষ ও প্রাণিদেহে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বর্তমানে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির ওপর নির্ভর করে পরিবেশে জলাতঙ্কের প্রধান উৎস কুকুরের মধ্যে ব্যাপকহারে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রমের মাধ্যমে এরইমধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় ১ম রাউন্ড, ৩৭টি জেলায় ২য় রাউন্ড এবং ৮টি জেলায় ৩য় রাউন্ড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে কুকুরকে প্রায় ২৭ লাখ ৭০ হাজার ডোজ জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হয়েছে, যা মানুষ ও প্রাণীদেহে জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

@ Medivoice

১৮ টি স্টাফ নার্স, ১৯ টি নার্স মিডওয়াইফ, ৯ টি এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেইনার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শুরু ০১.১...
27/09/2023

১৮ টি স্টাফ নার্স, ১৯ টি নার্স মিডওয়াইফ, ৯ টি এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেইনার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
আবেদনের শুরু ০১.১০.২৩, শেষ তারিখ ২৬.১০.২৩
এই তারিখের পর অর্জিত সকল ডিগ্রি, অভিজ্ঞতা অর্জনকারীদের আবেদনের প্রয়োজন নেই
পুরো বিজ্ঞপ্তি www.bpsc.gov.bd

একক অথবা পারস্পরিক বদলি হতে চাইলে স্থানীয় কতৃপক্ষের মাধ্যমে পিডিএস সহ আবেদন করুন।  ইতিপূর্বে যারা আবেদন করেছেন তাদেরকেও ...
27/10/2022

একক অথবা পারস্পরিক বদলি হতে চাইলে স্থানীয় কতৃপক্ষের মাধ্যমে পিডিএস সহ আবেদন করুন। ইতিপূর্বে যারা আবেদন করেছেন তাদেরকেও পুনরায় আবেদন করতে হবে।

আবেদন করতে পারেন।
25/10/2022

আবেদন করতে পারেন।

Address

Fulbaria
1

Telephone

+8801878072051

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nurses Cafeteria posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram