New Bijoy

New Bijoy Our clinical approach to drug and/or addiction treatment is to address our patients’ substance use

সুস্থতার ০৮ বছর পূর্তিতে Quazi Izharul Haque Shetu ভাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 💞।সুস্থ সুন্দর ভবিষ্যত জীবনের শুভকামনা এবং ...
30/12/2022

সুস্থতার ০৮ বছর পূর্তিতে Quazi Izharul Haque Shetu ভাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 💞।সুস্থ সুন্দর ভবিষ্যত জীবনের শুভকামনা এবং অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইলো।

বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের হিসেবে দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ এবং সবচেয়ে বেশি মাদক...
02/09/2021

বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের হিসেবে দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ এবং সবচেয়ে বেশি মাদক ব্যবহারকারী আছে ঢাকা বিভাগে। যদিও বেসরকারি হিসেবে, মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ লাখের কাছাকাছি বলে দাবি করে বিভিন্ন সংস্থা। মাদকসেবীর সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাই একমত যে দেশটিতে এ মুহূর্তে যে মাদকটি ব্যবহারের শীর্ষে আছে তা হল - ইয়াবা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসেবে, ২০০৮ সালে যে পরিমাণ ইয়াবা ব্যবহার হতো ২০১৬ সালে এর ব্যবহার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছিল।

এর বাইরে হেরোইন, গাঁজা ও ফেনসিডিল বহুকাল ধরেই এদেশে অনেক মাদকসেবী ব্যবহার করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নতুন যে মাদকের নাম শোনা যাচ্ছে তা হলো- ক্রিস্টাল মেথ বা আইস।

ক্রিস্টাল মেথ বা আইস আসলে কী?
ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খুরশীদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ইয়াবায় এমফিটামিন থাকে পাঁচ ভাগ আর ক্রিস্টাল মেথ বা আইসের পুরোটাই এমফিটামিন। "তাই এটি ইয়াবার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকর মাদক। ইয়াবার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে মানবদেহে।"

মাদকাসক্তি বিষয়ক গবেষক ও ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমদাদুল হক বলছেন, ইয়াবা বা হেরোইন হল ওপিয়ামের বাইপ্রডাক্ট।
"এগুলো থেকেই প্রসেস করে এখন নতুন নতুন মাদক তৈরি হচ্ছে। আইসও এমন একটি নতুন মাদক।" তিনি বলেন, মিয়ানমার ও ভারতের বাইরে থেকেও কিছু লোক এর বিস্তারে কাজ করছে। আফ্রিকান অঞ্চলে এর নেটওয়ার্ক আছে।

>>বাংলাদেশে কিভাবে পাওয়া গেলো?

গত ২৭শে জুন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ক্রিস্টাল মেথ বা মেথামফেটামাইন সহ নাইজেরীয় একজন নাগরিককে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ দফতর। তাদের ভাষ্য, নিষিদ্ধ ডার্ক নেটের সদস্য হয়ে তিনি মাদক ব্যবসা শুরু করেছেন এবং আফ্রিকা থেকে এনে তিনি এদেশে বিক্রির চেষ্টা করতেন। তার কাছে এ ধরণের ৫২২ গ্রাম মাদক পাওয়া যায়।

যদিও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খুরশীদ আলম বলছেন, ক্রিস্টাল মেথের কথা প্রথমে তারা জানতে পারেন গত ফেব্রুয়ারিতে। ২৬শে ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থেকে তিনজনকে মাদকসহ আটকের পর আমরা তার কাছে ৮ গ্রাম আইস পাই। এরপর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান ও আটককৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় একটি ল্যাবের সন্ধান পাওয়া যায়। মিস্টার আলম বলেন, পরে জড়িতরা বিষয়টি স্বীকার করে ও এর মূল হোতা এখন জেলে। "আমরা সে সময় তাদের ধরতে না পারলে এটি এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারতো।"

>>শরীরে কেমন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে?

গবেষক এমদাদুল হক বলছেন, এটা ইয়াবার মতোই সহজে বহনযোগ্য, তবে ইয়াবার চেয়ে বেশিগুণ ক্ষতিকর শরীরের জন্য। আর খুরশীদ আলম বলছেন, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস সেবন করলে কারও স্ট্রোক হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মানসিক অবসাদ বা বিষণ্ণতার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। আরও অন্যান্য ঝুঁকি তো আছেই। তবে আইস সেবন করে পরে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন ব্যক্তির খবর এখনো পাওয়া যায়নি। ফলে শুধুমাত্র আইস সেবনে বাংলাদেশে কারও শরীরে ঠিক কোন ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার না। তবে মিস্টার আলম ও এমদাদুল হক দুজনেই বলছেন যে, যেহেতু ইয়াবার মূল উপাদান দিয়েই পূর্ণাঙ্গ আইস তৈরি হয়, সে কারণে ইয়াবায় যেসব লক্ষণ বা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় সেগুলোই অনেক বেশি আকারে দেখা দেয় আইস সেবনের কারণে।

তারা বলেন, মূলত মানসিক ক্ষেত্রে এটি বেশি প্রভাব ফেলে। কেউ আসক্ত হলে এটি ছাড়া তিনি আর ঘুমাতে পারেন না।

>> এই মাদক কেউ সেবন করছে এটা কিভাবে বোঝা যাবে?

খুরশীদ আলম বলছেন, একটু লক্ষ্য করলেই আইস সেবনকারীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যেমন ধরুন দ্রুত উত্তেজিত হওয়া। এটি ইয়াবার চেয়ে ৫০/১০০গুন বেশি উত্তেজনা তৈরি করে। তিনি জানান, মাদক বিষয়ে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা এর লক্ষ্মণগুলো সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন সহজেই।

>>নতুন মাদক আসার কারণ কী?

খুরশীদ আলম বলছেন, এটি তরুণদের মধ্যে ছড়াতে পারলে বেশি অর্থ আয় করা সম্ভব হবে - এ কারণেই হয়তো মাদক ব্যবসায়ীরা এটি বাজারে আনার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশে সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জের ধরে সামনে আসে তরুণদের মধ্যে এলএসডি বা লাইসার...
02/09/2021

বাংলাদেশে সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের জের ধরে সামনে আসে তরুণদের মধ্যে এলএসডি বা লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড ব্যবহারের প্রবণতার খবর।

পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই শিক্ষার্থী বন্ধুদের সাথে মাদক এলএসডি সেবন করে একজন ডাব বিক্রেতার দা নিয়ে নিজেই নিজের গলায় আঘাত করেন।

এই ঘটনার তদন্তের জেরে পুলিশ আরো যেসব তথ্য দেয় তা হচ্ছে, বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি চক্র এই মাদক কেনাবেচার সাথে জড়িত। এছাড়া অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এই মাদক বিক্রির তথ্যও জানানো হয়।

এদিকে মাদক বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলএসডি গ্রহণ করে ভুল রাস্তা দেখে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া, বাড়ির জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়া বা অহেতুক আতঙ্কিত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার বেশ কিছু ঘটনা নথিবদ্ধ রয়েছে।

এলএসডি কী?

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনস্থ মাদক বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ড্রাগ অ্যাবিউজের তথ্য অনুযায়ী, ডি-লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড বা এলএসডি রাসায়নিক সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি একটি পদার্থ যা রাই এবং বিভিন্ন ধরণের শস্যের গায়ে জন্মানো এক বিশেষ ধরণের ছত্রাকের শরীরের লাইসার্জিক অ্যাসিড থেকে তৈরি করা হয়।

এটি স্বচ্ছ, গন্ধহীন একটি পদার্থ। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে এটি পাউডার, তরল, ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের আকারে পাওয়া যায়।

সংস্থাটির মতে, এটি মানুষের মস্তিষ্কের সেরোটোনিন নামক রাসায়নিকের কার্যক্রম প্রভাবিত করে ব্যবহার, অনুভূতি এবং পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন করে।

এলএসডি নেয়ার পর সাধারণত মানুষ 'হ্যালুসিনেট' করে বা এমন দৃশ্য দেখে যা বাস্তবে নেই। অনেক সময় অলীক দৃশ্য দেখার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে মানুষ।

তবে কেউ এলএসডি ব্যবহার করছে কিনা তা বোঝার উপায় সম্পর্কে নানা ধরণের মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, ইয়াবা আ হেরোইনের মতো মাদক দ্রব্যের তুলনায় এলএসডি-তে আসক্তিকর উপাদান (অ্যাডিক্টিভ প্রোপার্টি) কম থাকে। তবে তার মানে এই না যে, এতে আসক্তি তৈরি হয় না। একাধিকবার বা দীর্ঘসময় ধরে ব্যবহার করতে থাকলে এলএসডির প্রতিও আসক্তি তৈরি হয়।

তবে ব্যক্তিভেদে এই আসক্তির মাত্রা বা এলএসডির প্রতিক্রিয়া আলাদা হয়।

মিস সরকার মনে করেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা মাদক হিসেবে এলএসডি গ্রহণ করেন তারা একক মাদক হিসেবে একে গ্রহণ করেন না। বরং অন্য মাদকের সাথে সাথে এলএসডিও গ্রহণ করে থাকেন। তাই অন্য মাদকদ্রব্যে আসক্তির কারণে যে ধরণের বৈশিষ্ট্য ব্যবহারকারীর মধ্যে দেখা যায় এলএসডির ক্ষেত্রেও বৈশিষ্ট্য অনেকটা একই রকম হয়।

আবার অনেকেই নিয়মিত গ্রহণ না করে বরং মাঝে মাঝে বা কৌতূহলবশত এলএসডি ব্যবহার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে তাদের মধ্যে আলাদা করে কোন বৈশিষ্ট্য তৈরি হয় না।

মিস সরকার বলেন, মানুষ মাদক গ্রহণ করতে থাকলে তার শরীরে এক ধরণের সহনশীলতা তৈরি হয়। অর্থাৎ আগে কোন মাদক যে পরিমাণ গ্রহণ করলে যতটা নেশা হতো পরবর্তীতে হয়তো সেই একই মাদকে আর সেই আগের মতো নেশা হচ্ছে না। তখন আসক্ত ব্যক্তি অন্য মাদক দ্রব্যের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। এলএসডিও সে ধরণের মাদকদ্রব্য বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা এলএসডি ব্যবহার করেন তাদের মধ্যে নানা ধরণের হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে। তার হয়তো মনে হয় যে সে এমন কোন রঙ বা ঘটনা দেখছেন যা আসলে বাস্তবে নেই। এছাড়া নানা ধরণের শব্দও শুনতে পান বলে জানান মিস সরকার।

তবে কেউ যদি অন্যান্য মাদকের পাশাপাশি এলএসডি'র আসক্তিতেও ভোগেন তাহলে তার মধ্যে নানা ধরণের বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

১. অস্বাভাবিক আচরণ

জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. অরুপরতন চৌধুরী বলেন, এলএসডি গ্রহণের পর এর কার্যকারিতা সাধারণত ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। তবে অনেক সময় এটি ২০ ঘণ্টা পর্যন্তও কার্যকর হতে পারে।

তিনি বলেন, এই সময়ে ব্যবহারকারীরা নানা ধরণের অস্বাভাবিক আচরণ করে থাকে। অনেক সময় মানুষ আত্মঘাতীও হয়ে উঠতে পারে। এ ধরণের বৈশিষ্ট্য যদি পরিবারের কারো মধ্যে দেখা যায় তাহলে সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, যারা এলএসডি-তে আসক্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে খুব ছোট ঘটনায়ও সহিংস হয়ে উঠতে পারেন তারা।

২. ক্ষুধামন্দা

এলএসডিতে আসক্ত হলে তাদের মধ্যে ক্ষুধামন্দা দেখা দেয় বলে জানান মি. চৌধুরী।

৩. ঘুমের সমস্যা

ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন এর তথ্য অনুযায়ী, এলএসডিতে আসক্তদের মধ্যে ঘুম নিয়ে ব্যক্তিভেদে নানা ধরণের সমস্যা তৈরি হয়। অনেকের মধ্যে চরম মাত্রায় অনিদ্রা দেখা দেয়। তবে মি. চৌধুরী জানান, অনেকের মধ্যে অতিরিক্ত ঘুমের বৈশিষ্ট্যও দেখা দেয়। কোন ধরণের কারণ ছাড়াই ঘুমাতে থাকেন অনেকে।

ডা. মেখলা সরকার বলেন, যারা আসক্তিতে ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, রাতের বেলা তারা না ঘুমিয়ে জেগে থাকেন আবার দিনের বেলা ঘুমিয়ে থাকেন।

৪. শারীরিক পরিবর্তন

মি. চৌধুরী বলেন, এলএসডি-তে আসক্তদের যেসব শারীরিক পরিবর্তন ঘটে তার মধ্যে রয়েছে, চোখের মণিতে পরিবর্তন বিশেষ করে বড় হয়ে যাওয়া, শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হওয়া, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

এছাড়া এলএসডি সেবনের পর অনেক ব্যবহারকারীর শ্রবণ এবং দর্শন ইন্দ্রিয় বেশি সক্রিয় হয়ে যায় বলেও জানান তিনি। এ কারণেই অনেক সময় যারা দীর্ঘক্ষণ ধরে গান করেন তারা এই মাদক গ্রহণ করে থাকেন বলে জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য মতে, এলএসডি গ্রহণের কারণে দেহে অতিরিক্ত ঘামও হয়ে থাকে।

৫. জীবনযাত্রায় পরিবর্তন

ডা. মেখলা সরকার বলেন, মাদকে আসক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ব্যবহারকারীর জীবনযাত্রায় নানা ধরণের পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি হয়তো কারো সাথে মিশতে চাইছেন না বা বন্ধু বান্ধবের পরিমাণ কমে যেতে দেখা যায়।

অনেক সময় আবার এর বিপরীতও দেখা যায়। আগের বন্ধুদের সাথে না মিশলেও নতুন করে বন্ধুও তৈরি হতে পারে। আর্থিক চাহিদা আগের তুলনায় বেড়ে যেতে পারে। নিজের প্রতি যত্ন নেয়ার বিষয়ে উদাসীনতা দেখা দেয়া, ক্লাসে ফাঁকি দেয়ার মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যেতে পারে বলেও মনে করেন মিস সরকার।

মাদকাসক্তি বিষয়ক গবেষক ও ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এম ইমদাদুল হক বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে, সন্তানরা বাবা-মা থেকে আলাদা হয়ে পড়ছে বা তারা জীবন যাপনের ক্ষেত্রে ইচ্ছে করেই একাকী হয়ে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে এলএসডির মতো আসক্তি ধরাটা কঠিন। সেক্ষেত্রে বাবা-মাকে সন্তানের সাথে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে।

মি. হক মনে করেন, ঘুমের সমস্যা বা খাবারের অরুচি, নতুন বন্ধু তৈরি মানেই কেউ মাদকাসক্ত নয়। সন্তানদের প্রতি যাতে বাবা-মা অযাচিতভাবে সন্দেহের আওতায় নিয়ে না আসে সেদিকেও লক্ষ্য রাখাটা জরুরি। আর এ কারণেই বাবা-মা এবং পরিবারের সদস্যদের সচেতন থাকতে হবে।

মাদকনির্ভরতা ও আসক্তি সংশ্লিষ্ট কিছু প্রেক্ষাপট, সাধারন জিজ্ঞাসা এবং তার প্রেক্ষিতে বিবিধ পরামর্শঃপরিবার হচ্ছে সন্তানকে ...
15/06/2021

মাদকনির্ভরতা ও আসক্তি সংশ্লিষ্ট কিছু
প্রেক্ষাপট, সাধারন জিজ্ঞাসা এবং তার প্রেক্ষিতে বিবিধ পরামর্শঃ

পরিবার হচ্ছে সন্তানকে গড়ে তোলার প্রথম পাঠশালা। ছোট বেলা থেকেই সন্তানদের প্রতি যত্ন নিতে হবে। পরিবার থেকে নৈতিক ও মূল্যবোধের শিক্ষা জরুরি। পরিবারের সবার মধ্যে ভালো পারিবারিক বন্ধন তৈরি করতে হবে। সন্তানদের পরিবার থেকে যেকোনো অন্যায়কে না বলার শিক্ষা দিতে হবে। মা-বাবাকে সন্তানদের কার্যকর সময় দিতে হবে। সব সময় তাদের ভালো-মন্দ সব ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে হবে। এভাবে সন্তানদের দেখাশোনা করলে বড় হয়ে সন্তানরা খারাপ পথে যাবে না।

> প্রশ্ন: আমি আট বছর ধরে মাদকাসক্ত। কেন মাদক নিতাম জানি না। কয়েক মাস হলো মাদক ছেড়েছি। এখন কী করণীয়?

>> সমাধান: মাদক ছাড়ার জন্য আমাদের সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। মাদকাসক্ত রোগ অন্য সাধারণ রোগের মতো না। অন্য অসুখ থেকে কেউ মুক্তি পেলেও তা ফিরে আসা নিয়ে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকে না। কিন্তু কেউ মাদক ছেড়ে দিলে যেকোনো সময় আবার মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মাদকাসক্ত রোগটি বারবার ফিরে আসে। আপনি এখনও মাদকাসক্ত হওয়ার ঝঁুকিতে আছেন। আমরা বলি, কেউ মাদক ছেড়ে দেওয়ার পর কমপক্ষে দেড় থেকে দুই বছর মাদক গ্রহণ না করলে তিনি মাদকমুক্ত আছেন। মাদকমুক্ত থাকতে নিজের সঙ্গে করতে হয় যুদ্ধ। একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকুন। তা না হলে যেকোনো সময় আবার ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন। অনেকেরই এমন হয়েছে। প্রতি মাসে আমাদের এ অনুষ্ঠানে আসতে পারেন। আবার জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আসতে পারেন।

> প্রশ্ন: আমি ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল— সবই খেয়েছি। এখন মাদক নিই না। তবে বন্ধুদের সঙ্গে সিগারেট খাই। বন্ধুদের জন্য সিগারেট খেতে হয়। এখন কী করব?

>> সমাধান: মাদক ছেড়ে দিলে কেউ মাদকমুক্ত হয়েছে এটা কখনোই বলা যাবে না। কারণ, মাদক ছাড়ার পরও দীর্ঘদিন মাদকের প্রভাব শরীরে থাকে। তাই যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার ওপর সিগারেট নিজেই একটা মাদক। সিগারেট মাদক থেকেও ভয়ংকর। ভয়ংকর এ জন্য যে, অধিকাংশ মাদকাসক্ত সিগারেটের নেশা থেকেই মাদকের নেশায় জড়িয়ে গেছে। মাদকমুক্ত থাকতে হলে অবশ্যই সিগারেট থেকে দূরে থাকতে হবে। তা না হলে সিগারেটের নেশা আবার আপনাকে মাদকের দিকে নিয়ে যাবে। আপনি যেহেতু মাদক ছেড়েছেন, তাই সিগারেট ছাড়া আপনার জন্য খুব সহজ। মাদক ছেড়ে দিলে কিছু শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়। আবার মাদক না নিলে চরম অস্থিরতা তৈরি হয়। কিন্তু সিগারেটে এমন কিছু হয় না। শারীরিক কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। সিগারেটের বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক। কেবল মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, সহজেই সিগারেট ছাড়তে পারবেন। মনের দিক থেকে শক্তভাবে প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আমি আর কোনো দিন সিগারেট খাব না। মাত্র এক থেকে দুই সপ্তাহ না খেলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এরপরও কোনো সমস্যা থাকলে নিকোটিন গামসহ কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শে এগুলো খেতে পারেন।

> প্রশ্ন: আমার সন্তান দীর্ঘদিন মাদকাসক্ত। এখন মাদক ছেড়েছে। নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করে। পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মেশে। ওর জন্য আমাদের করণীয় কী?

>> সমাধান: আপনার সন্তান সম্প্রতি মাদক ছেড়েছে। সে এখনও সম্পূর্ণ ঝঁুকির মধ্যে আছে। যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারে। মাদক ছাড়ার পরও শরীরে মাদকের ভীষণ প্রভাব থাকে। তাই যেকোনো সময় আবার মাদকাসক্ত হতে পারে। পুরোনো বা মাদকাসক্ত বন্ধুদের সঙ্গে থাকলেও মাদক গ্রহণের ঝঁুকি থাকে। কেবল মাদক ছেড়ে দিলে তাকে বলে রিকভারি। কমপক্ষে এক বছর না নিলে তাকে বলে আরলি রিকভারি। দুই বছর মাদক না নিলে তাকে বলা হয় সাসটেইন রিকভারি। আপনার সন্তান প্রাথমিক রিকভারি পর্যায়ে আছে। তাই সবসময় তার দেখাশোনা করতে হবে। তত্ত্বাবধান করতে হবে। কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে সব ধরনের খোঁজখবর রাখতে হবে।
পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে একেবারেই মিশতে দেওয়া যাবে না। তাকে কোনো না কোনো ভালো রিহ্যাব সেন্টার অথবা মাদক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে থাকতে হবে। অবশ্যই পুরোনো বন্ধুদের থেকে দূরে থাকতে হবে। বন্ধুদের মধ্যে যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তাকে দেখলেই মাদক নিতে ইচ্ছে করবে। মাদকের ভাষায় একে বলে ‘ট্রিগার অন’। অর্থাৎ পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে মিশলে, যেসব জায়গায় মাদক নিত সেসব জায়গায় গেলে, কাউকে মাদক নিতে দেখলে, হাতে টাকাপয়সা থাকলে, মুঠোফোন ব্যবহার করলে এমনকি মাদকের ছবি দেখলেও তার মাদক গ্রহণের প্রবল ইচ্ছে তৈরি হবে। তাই পুরোনো বন্ধুসহ ক্ষতিকর অনেক কিছুই জীবন থেকে বাদ দিতে হবে। পরিচ্ছন্নভাবে দুই বছর সময় অতিবাহিত করতে পারলে সম্পূর্ণ মাদকমুক্ত হতে পারবে। আমাদের আয়োজিত বিবিধ কর্মকান্ড এবং অনুষ্ঠানে প্রতিমাসে অন্ততঃ একবার হলেও আসতে পারেন বা আসতে বলতে পারেন । তা হলে তার মাদকমুক্ত থাকার মানসিক শক্তি বাড়তে থাকবে।

> প্রশ্ন: আমি ছয়-সাত বছর মাদক নিয়েছি। এখন বন্ধ করেছি। কিন্তু মা-বাবা সন্দেহ করে। বাইরে থেকে বাসায় ফিরলেই মনে করে মাদক গ্রহণ করেছি। বকাঝকাও করে। এখন কী করতে পারি?

>> সমাধান: মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন না করলে যেকোনো সময় মাদকাসক্ত হতে পারে। আপনি অনেক বছর মাদকাসক্ত ছিলেন। মা-বাবাকে অনেক যন্ত্রণা দিয়েছেন। অনেক টাকাপয়সা নষ্ট করেছেন। জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন। এ জন্য হঠাৎ করে তাঁরা আপনাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাঁদের আস্থা অর্জনের জন্য আপনাকেও কিছু করতে হবে। তাঁদের প্রতি আপনাকে আরও বেশি বিনয়ী হতে হবে। তাঁদের কথা ঠিকভাবে শুনতে হবে। রাতে বাসায় ফেরা বন্ধ করুন। আপনার চলাফেরা, আচরণ, খারাপ— সব কিছু বদলে ফেলুন। এমন কাজ করুন, যাতে তাঁরা বিশ্বাস করতে পারেন আপনি আর এখন মাদক নিচ্ছেন না। দীর্ঘদিন মা-বাবাকে দুঃশ্চিন্তার মধ্যে রেখেছেন। অশান্তির মধ্যে রেখেছেন। তাই খুব সহজে আপনার প্রতি আস্থা ফিরে আসবে, এটা ঠিক না। আপনার প্রতি বিশ্বাস ফিরে আসার আস্থা আপনাকেই অর্জন করতে হবে।

> প্রশ্ন: আমার বয়স ২৮ বছর। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ইয়াবা খাই। কিছুদিন খাওয়ার পর ক্ষতিকর দিকগুলি বুঝতে পারি। এখন ছাড়তে চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। কীভাবে ইয়াবা ছাড়তে পারব?

>> সমাধান: ইয়াবা সম্পর্কে কিছু মিথ্যা ধারণা আছে। এটা খেলে ব্রেনে এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলক অনুভব হয়। বিভিন্ন রকম আনন্দ পাওয়া যায়। কয়েক দিন খেলে মানুষ ইয়াবার ওপর নির্ভরশীল হয়ে যায়। তারপর ইয়াবা ছাড়তে চাইলেও সহজে ছাড়া যায় না। ছেড়ে দিলে ঘুম আসে। শক্তিহীন লাগে। কোনো কিছুতে উদ্যম পাওয়া যায় না। সবকিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগে। তখন আবার ইয়াবা নিতে বাধ্য হয়। আপনার জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক হলো নিজেই ছাড়তে চাচ্ছেন। অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কোনো মাদকাসক্ত রোগী যদি নিজে ছাড়তে চায়, তা হলে সে অবশ্যই মাদক থেকে ফিরে আসতে পারে। আপনার পুরোনো বন্ধু, মুঠোফোন, টাকা, যে জায়গায় মাদক নিতেন, যে সময় মাদক নিতেন, এসব থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

> প্রশ্ন: আমার স্বামী ২০ বছর ধরে মাদক নিচ্ছে। সাত-আট বছর ধরে খুব বেশি নিচ্ছে। তার লিভারের অবস্থা খুব খারাপ। মাঝেমধ্যে উত্তেজিত হয়ে যায়। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কী করব?

>> সমাধান: আপনার স্বামীর লিভারের অবস্থা খারাপ। সম্ভবত অতিরিক্ত মাদক গ্রহণের ফলেই লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় তাঁর মাদক গ্রহণ করা অত্যন্ত ঝঁুকিপূর্ণ। যেকোনো সময় আরও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাঁর লিভার ও মাদক দুই ধরনের চিকিৎসারই প্রয়োজন হবে। পরিবারের দায়িত্বশীল সদস্যরা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।

> প্রশ্ন: আমার ছেলে প্রায় সাত বছর ধরে মাদক নেয়। চিকিৎসা করিয়েছি। ভালো হয় না। রাত জাগে। দিনে ঘুমায়। টাকাপয়সার জন্য সবসময় চাপ দেয়। পড়াশোনা, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করে না। ঢাকায় নিয়ে এসেছি। সে আবার এলাকায় ফিরে যেতে চায়। এখন কী করব?

>> সমাধান: মাদক চিকিৎসার পর যে কেউ পুনরায় মাদকাসক্ত হতে পারে। এতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। আপনাদের ধৈর্যে্যর সঙ্গে এ সমস্যাকে মোকাবিলা করতে হবে। হতাশ হলে চলবে না। চিকিৎসার মাধ্যমে মাদকাসক্ত রোগী নিশ্চিতভাবে ভালো হয়। প্রয়োজন ধৈর্যে্যর সঙ্গে চিকিৎসা করা। সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। ভালো হয় পারিবারিকভাবে সবাই তার সঙ্গে কথা বলা। তার কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। সে মাদকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। তার নিজের ওপর কীভাবে নিয়ন্ত্রণ আসে সে ব্যাপারে চেষ্টা করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

> প্রশ্ন: আমার ভাই এক বছর হলো বিয়ে করেছে। প্রচুর ইয়াবা খায়। বাসায় ভাঙচুর করে। অনেক টাকা খরচ করে। আবার ব্যবসা করার জন্য টাকা চায়।

>> সমাধান: মাদকাসক্তেরা চিকিৎসা করতে চায় না। তারা মনে করে, তারা ভালো আছে। চিকিৎসার দরকার নেই। টাকা নষ্ট করবে। ব্যবসা করবে নানা অজুহাত দেখাবে। তার সব কিছু মানা যাবে না। তার সমালোচনা করার দরকার নেই। এটা ধোঁয়ার মাধ্যমে ফুসফুসে যায়, রক্তে যায়, ব্রেনে যায়। এটা একটা মানব বোমা। মানুষের মধ্যে ঢুকে মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। মাদকাসক্তের ফলে ধীরে ধীরে দানবে পরিণত হয়। তখন সে নানা ধরনের অমানবিক কাজ করতে থাকে। তাকে যে করেই হোক চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।

> প্রশ্ন: আমি সিগারেট খাই। এখন ছাড়তে চাই। কিন্তু পারছি না। কীভাবে সিগারেট থেকে মুক্ত থাকব?

>> সমাধান: অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মাদকাসক্তদের অধিকাংশই ধূমপানের মাধ্যমে নেশায় জড়িয়েছে। ধূমপান না করলে মাদক গ্রহণের আশঙ্কা অনেকাংশে কম হতো। তা ছাড়া ধূমপানেরই মারাত্মক ক্ষতি রয়েছে। কোনো বাবা যদি ধূমপান করেন, তাহলে তাঁর স্ত্রীর ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে। সন্তানের শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ (ব্রঙ্কাইটিস) হতে পারে, সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে। ধূমপানের উল্লেখযোগ্য কিছু ক্ষতিকর দিক হলো, ফুসফুসে ক্যানসার, মুখে ক্যানসার, শ্বাসতন্ত্রে প্রদাহ, স্ট্রোক, বিকলাঙ্গ ইত্যাদি। এক জরিপে দেখা গেছে, ধূমপানের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুখের ক্যানসার হয় বাংলাদেশে। দিয়াশলাই, সিগারেট যেখানে থাকে সেসব জায়গা এড়িয়ে চলুন। তেঁতুলের চকোলেট, পোলো, দারুচিনি এগুলো জিহ্বায় রাখতে পারেন। কোনো ভাবে ছাড়তে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খেতে হবে। সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকা এবং বিনোদন মূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

আপনারা উপরের বিভিন্ন অভিজ্ঞতালব্ধ সমস্যা এবং তার প্রেক্ষিতে দেয়া পরামর্শ নিয়ে আপনাদের নিজস্ব বা ব্যক্তিগত পরিমন্ডলে কেউ উপকৃত হলে সেটা আমাদের আগামীর পথচলাকে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা সর্বতোভাবে ও সর্বক্ষন আপনাদের সহযোগিতা ও সেবায় নিয়োজিত আছি এবং আগামী'তেও থাকবো।

13/05/2021
রিকভারিঃএকটি ভ্রমনের নাম ......
21/02/2021

রিকভারিঃ
একটি ভ্রমনের নাম ......

নিজেকে জানুন, নিজের স্বার্থেই .......
21/02/2021

নিজেকে জানুন, নিজের স্বার্থেই .......

24/01/2021
Celebration 12 years clean and sober of shakil vai ❤️
09/01/2021

Celebration 12 years clean and sober of shakil vai ❤️

Don't approach the road,Without a road-map....
28/12/2020

Don't approach the road,
Without a road-map....

25/12/2020

Experiencing the darkness,
Within your soul, is severely savage...

We mourne for the losses of life,Yet we celebrate the birth and the victory....
15/12/2020

We mourne for the losses of life,
Yet we celebrate
the birth and the victory....

Address

House-# 1263, Avenue# 2, Road# 10, Mirpur DOHS, Mirpur
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when New Bijoy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to New Bijoy:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram