10/12/2025
দেহের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে বিদেশেও গিয়েছিলাম।
চোখ হারানোর কথা শুনে আবার নিজ মাতৃভূমিতেই ফিরে এলাম।
******************************************************************
জীবন বাঁচাতে বা একটু সুস্থতা ফিরে পেতে মানুষ কত কিছুই না করে। তেমনি একজন হলেন জনাব তসলিম আলী। প্যারোটিড গ্ল্যান্ডের একটি বিশাল টিউমার নিয়ে যখন আমার কাছে আসেন, আমি জানলাম যে তার শরীরের যন্ত্রণা দূর করতে তিনি দেশের মাটি পেরিয়ে গিয়েছিলেন বিদেশে।
বিদেশের চিকিৎসক যখন তাকে বললেন, “এই অপারেশনে আপনার মুখ বেঁকে যেতে পারে, চোখের সমস্যা হতে পারে,” তখন তিনি আর অপারেশন করালেন না। ভয় পেয়ে ফিরে এলেন নিজ দেশে। আসলে বড় বড় অপারেশনগুলোতে অনেক ঝুঁকি থাকে, যেগুলো রোগীকে বলে নিতে হয়। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও রোগীদের সম্মতি নিয়েই এই ধরনের বড় অপারেশন করতে হয়।
এই অপারেশনটি ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং অপারেশন। যেহেতু টিউমারটি ছিল প্যারোটিড গ্ল্যান্ডে, আর এই টিউমারের নিচেই ছিল পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু যা ফেসিয়াল নার্ভের শাখা হিসেবে পরিচিত। যার একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন্ধ হয়ে যাবে চোখের পলক, মুখের হাসি, কপালের ভাজ, দেহের শক্তি।
তবে থেমে থাকা যাবে না, কষ্ট দূর করতে- জীবন বাঁচাতে অপারেশনের বিকল্প আর কিছুই হবে না। রোগীকে এবং তার স্বজনদের সম্মতিতে আমি আমার টিম নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কৃপায়, সকলের দোয়ায় দীর্ঘ সময় অতিক্রম করে তার অপারেশনটি সফলভাবে সম্পন্ন করি। এই সফলতা শুধু আমার নয়, যারা এই মানুষটির জন্য দোয়া করেছেন, আমাকে সাপোর্ট করেছেন, তাদের সবার।
সকলের আশীর্বাদে ম্যালিয়াস ইএনটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রতিনিয়তই হচ্ছে এ ধরনের বড় বড় অপারেশন। রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তাদের আপনজনদের কাছে। এর চেয়ে বড় সুখ আর কী হতে পারে? যে মানুষটি ভেবেছিলেন আর কখনো সুস্থ হতে পারবেন না, আজ তিনি ভালো আছেন। এ যেন সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পরম প্রাপ্তি।
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ম্যালিয়াস ইএনটি স্পেশালাইজড হাসপাতালের চতুর্থতম শুভ জন্মদিনে এই মানুষটিকেও দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা। আর চিকিৎসক হিসেবে আমি দিয়ে যাবো আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা। আপনারা শুধু আমাকে এবং আমার রোগীদের সহ পৃথিবীর সকল মানুষকে দোয়ায় রাখবেন। সঠিক চিকিৎসা নিলেই সুস্থ থাকতে পারবেন সব সময়।
#ম্যালিয়াস
#৪র্থবর্ষপূর্তি
দেহের কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে বিদেশেও গিয়েছিলাম।
চোখ হারানোর কথা শুনে আবার নিজ মাতৃভূমিতেই ফিরে এলাম।
******************************************************************
জীবন বাঁচাতে বা একটু সুস্থতা ফিরে পেতে মানুষ কত কিছুই না করে। তেমনি একজন হলেন জনাব তসলিম আলী। প্যারোটিড গ্ল্যান্ডের একটি বিশাল টিউমার নিয়ে যখন আমার কাছে আসেন, আমি জানলাম যে তার শরীরের যন্ত্রণা দূর করতে তিনি দেশের মাটি পেরিয়ে গিয়েছিলেন বিদেশে।
বিদেশের চিকিৎসক যখন তাকে বললেন, “এই অপারেশনে আপনার মুখ বেঁকে যেতে পারে, চোখের সমস্যা হতে পারে,” তখন তিনি আর অপারেশন করালেন না। ভয় পেয়ে ফিরে এলেন নিজ দেশে। আসলে বড় বড় অপারেশনগুলোতে অনেক ঝুঁকি থাকে, যেগুলো রোগীকে বলে নিতে হয়। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও রোগীদের সম্মতি নিয়েই এই ধরনের বড় অপারেশন করতে হয়।
এই অপারেশনটি ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং অপারেশন। যেহেতু টিউমারটি ছিল প্যারোটিড গ্ল্যান্ডে, আর এই টিউমারের নিচেই ছিল পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ু যা ফেসিয়াল নার্ভের শাখা হিসেবে পরিচিত। যার একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বন্ধ হয়ে যাবে চোখের পলক, মুখের হাসি, কপালের ভাজ, দেহের শক্তি।
তবে থেমে থাকা যাবে না, কষ্ট দূর করতে- জীবন বাঁচাতে অপারেশনের বিকল্প আর কিছুই হবে না। রোগীকে এবং তার স্বজনদের সম্মতিতে আমি আমার টিম নিয়ে সৃষ্টিকর্তার কৃপায়, সকলের দোয়ায় দীর্ঘ সময় অতিক্রম করে তার অপারেশনটি সফলভাবে সম্পন্ন করি। এই সফলতা শুধু আমার নয়, যারা এই মানুষটির জন্য দোয়া করেছেন, আমাকে সাপোর্ট করেছেন, তাদের সবার।
সকলের আশীর্বাদে ম্যালিয়াস ইএনটি স্পেশালাইজড হাসপাতালে প্রতিনিয়তই হচ্ছে এ ধরনের বড় বড় অপারেশন। রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তাদের আপনজনদের কাছে। এর চেয়ে বড় সুখ আর কী হতে পারে? যে মানুষটি ভেবেছিলেন আর কখনো সুস্থ হতে পারবেন না, আজ তিনি ভালো আছেন। এ যেন সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পরম প্রাপ্তি।
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ম্যালিয়াস ইএনটি স্পেশালাইজড হাসপাতালের চতুর্থতম শুভ জন্মদিনে এই মানুষটিকেও দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা। আর চিকিৎসক হিসেবে আমি দিয়ে যাবো আজীবন বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা। আপনারা শুধু আমাকে এবং আমার রোগীদের সহ পৃথিবীর সকল মানুষকে দোয়ায় রাখবেন। সঠিক চিকিৎসা নিলেই সুস্থ থাকতে পারবেন সব সময়।
#ম্যালিয়াস
#৪র্থবর্ষপূর্তি