22/08/2025
আমি এবং আমার স্ত্রী দুজন ভিন্ন শহরে চাকরি করি। চাকরির স্থানে আমার বাসস্থানের ব্যবস্থা আছে। আমি স্ত্রীকে চাকরি করতে না করি, কিন্তু সে চাকরি করবেই, কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে যে চাকরি না করলে যদি তাকে গ্রামে আমার বাবা-মায়ের সাথে থাকতে বলি। সে নিজেও গ্রামে বড় হয়েছে এবং তার বাবা-মাও গ্রামে থাকেন। তারপরও সে গ্রামে থাকতে চায় না। ছুটির দিনগুলোতে আমি গ্রামে বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি, সে এটা সহ্য করতে পারে না।
স্ত্রীর চাকরির জন্য তার শহরে বাসা ভাড়া করা হয়েছে,আমার অফিস থেকে সেখানে যাতায়াত করতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ টাকা গাড়ি ভাড়া লাগে এবং এর সাথে ৪-৫ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। সে চাকরি করার জন্য আমার সাথে থাকতে পারে না, যার কারণে আমাকে প্রতিদিন বাইরে খাবার খেতে হয়। এতে প্রতিদিন ১৫০-২০০ টাকা খরচ হয়। হিসাব করলে দেখা যায়, যাতায়াত ও খাবার বাবদ মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। যাতায়াতের কষ্ট তো আছেই।
স্ত্রী তার বাসার ভাড়া, বাজার খরচ ও অন্যান্য যাবতীয় খরচের জন্য আমাকে চাপ দেয়। কয়েক মাস ঝগড়াঝামেলা এড়ানোর জন্য আমি সব খরচ বহন করেছি। সে বেতন পেয়ে তার নিজের বাবা-মাকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাঠায়, বাকি টাকা নিজের কাছে রাখে। তার বেতনের টাকা চাইলে বলে যে স্ত্রী হিসেবে তার যাবতীয় খরচ বহন করা আমার দায়িত্ব। আর আমার বেতনের টাকার হিসাব করে যে আমি কোথায় কত খরচ করি।
জমি কেনার জন্য আমার কিছু ঋণ আছে, যা আমি ধীরে ধীরে শোধ করছি। আমার ঋণের জন্য তাকে তার চাহিদা মতো বাইরে খরচ করতে পারি না। এটা তার কাছে অনেক বড় দুঃখ। এসব বলে সে আমার সাথে অনেক ঝগড়া করে। স্ত্রীর পরিবার সবকিছু জানে, কিন্তু তারা কোনো কিছু বলে না; বরং আমাকেই সব খরচ বহন করতে বলে। স্ত্রীর ৪ বছরের পড়ালেখার খরচও আমি চালিয়েছি।
এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তার কোনো খরচ দেব না এবং তার কাছেও আর যাব না। যেহেতু টাকাই জীবনের সবকিছু, তাই আমিও টাকা জমা করব এবং সংসারী একটি মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করব, যাতে আমার দেখাশোনা, যত্ন ও সঙ্গ পাওয়ার জন্য একজন থাকে। এতে আমার একাকীত্বও দূর হবে। এখন আপনাদের কাছে পরামর্শ, আমার এই সিদ্ধান্ত কি ভুল হচ্ছে?
পাঠিয়েছেন
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ভাইয়া
© 𝙈𝙆 𝘾𝙞𝙩𝙮 𝙊𝙛 𝙍𝙚𝙖𝙡 𝙎𝙩𝙤𝙧𝙮