29/10/2025
ফ্যাটি লিভার একদিনে তৈরি হয় না। এটি একটি নীরব ঘাতক, যা ধীরে ধীরে আপনার লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এটি লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
আজকের পর্বে আমাদের ডায়েট ও নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট, ফাহমিদা তারান্নুম, আলোচনা করছেন ফ্যাটি লিভারের বিভিন্ন স্তর বা গ্রেড এবং এর নীরব লক্ষণগুলো নিয়ে।
✒️ লিখেছেন:
ফাহমিদা তারান্নুম
ডায়েট ও নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট, 𝐍𝐮𝐭𝐫𝐢𝐋𝐞𝐚𝐫𝐧𝐁𝐃
ফ্যাটি লিভারের ৩টি গ্রেড: আপনি কোনটিতে আছেন?
⚠️ 𝐆𝐫𝐚𝐝𝐞 𝟏 (𝐒𝐢𝐦𝐩𝐥𝐞 𝐒𝐭𝐞𝐚𝐭𝐨𝐬𝐢𝐬):
এটি প্রথম ধাপ, যেখানে লিভারে শুধু ফ্যাট জমে। সাধারণত কোনো প্রদাহ বা লক্ষণ থাকে না। সুখবর হলো, এই পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে লিভারকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
⚠️ 𝐆𝐫𝐚𝐝𝐞 𝟐 (𝐍𝐀𝐒𝐇 - 𝐍𝐨𝐧-𝐚𝐥𝐜𝐨𝐡𝐨𝐥𝐢𝐜 𝐒𝐭𝐞𝐚𝐭𝐨𝐡𝐞𝐩𝐚𝐭𝐢𝐭𝐢𝐬):
এটি ঝুঁকিপূর্ণ ধাপ। এখানে ফ্যাটের পাশাপাশি লিভারে প্রদাহ এবং কোষের ক্ষতি শুরু হয়। অবহেলা করলে এটি দ্রুত সিরোসিসের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
⚠️ 𝐆𝐫𝐚𝐝𝐞 𝟑 (𝐅𝐢𝐛𝐫𝐨𝐬𝐢𝐬/𝐂𝐢𝐫𝐫𝐡𝐨𝐬𝐢𝐬):
সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ধাপ। দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহের কারণে লিভারে স্থায়ী ক্ষত বা ফাইব্রোসিস তৈরি হয়। সঠিক চিকিৎসা না করালে এটি লিভার ফেইলিওর বা লিভার ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
❓ যেহেতু ফ্যাটি লিভার সহজে ধরা পড়ে না, কীভাবে ঝুঁকি অনুমান করবেন?
আপনার ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে যদি:
➡আপনার লিপিড প্রোফাইল (কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড) অস্বাভাবিক থাকে।
➡পেটে অতিরিক্ত মেদ বা ভুঁড়ি থাকে।
➡প্রায়ই ক্লান্তি, ঝিমুনি বা কাজে অনীহা বোধ করেন।
➡পেটের উপরের ডান দিকে হালকা ব্যথা অনুভব করেন।
➡উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকে।
এছাড়াও, গলব্লাডারে পাথর, মেনোপজ বা অতিরিক্ত ঔষধ সেবনও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আপনার লিভারকে অবহেলা করবেন না। লক্ষণ মিলে গেলে আজই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।