04/06/2022
মাঝেমধ্যেই একা থাকলে বাস্তবতা নিয়ে ভাবি। জীবনে "বাস্তবতা " নিয়ে কতজন যে কতরকম জ্ঞান দিয়েছিলেন তাও সব মনে নাই। বয়সের বিভিন্ন সময় বাস্তবতা আসলে বিভিন্নভাবে ধরা দেয়। আবার, জীবনের প্রতিকূলতা আর সীমাহীন দায়িত্ব বাস্তবতাকে কিছুটা হলেও পরিবর্তন করে দেয়। আর এসব হবেই বা না কেন! বাস্তবতা যে একেকজনের কাছে একেক রকম। মাথার ভিতরে মস্তিষ্ক যে প্রতিনিয়ত বাস্তবতা নিয়ে খেলছে! আমাদের কান নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি ছাড়া শুনতে পায় না। আলোর নির্দিষ্ট ওয়েভ লেনথ ছাড়া আমরা দেখতে পাই না। আমরা যা দেখি, যা শুনি, তার বাইরেও আমাদের চারপাশেই অনেক কিছু আছে। কখনও যদি সার্জারী বা অন্য কোন কারণে Ketamine এনেস্থিসিয়ার ভিতর দিয়ে যান তো হয়তো কিছুক্ষণের জন্য হলেও জীবনের এক অন্য Reality আবিষ্কার করবেন । ভাবতে বাধ্য করবে, আসলেই কি জীবনের শেষ মুহূর্তে অন্য এক Reality সামনে দন্ডায়মান হবে! তাও এতটা অদ্ভুত, এতটা একা!!! (Hallucination বলবে অনেকে, but একটু গভীরভাবে চিন্তা আর গবেষণা করতে অনুরোধ করব)... বিজ্ঞান আমাদের মস্তিষ্ক নিয়ে খুব কমই জানে। আমাদের দেখা, শোনা এসব ইন্দ্রিয়ের ক্ষমতা কতই না কম (একটা কুকুর আমাদের থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সি বেশি শুনতে পারে)! আর বিশ্বজগতের কথা চিন্তা করতে গেলে তো পুরো পৃথিবীটাই যেন তুলনামূলকভাবে কিছুই না! কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে যারা গবেষণা করে, তাদের অবস্থা তো আরও খারাপ! সবকিছুর অস্তিত্বই তো সন্দেহজনক লাগে!
আপনি একা, আমি একা, আমাদের বাস্তবতা আলাদা আলাদা। একে অপরের সাথে অযথা প্রতিযোগিতার কোন মানে হয় না।
ডাঃ ফাহাদ বিন হালিম