Nature Version 3.0

Nature Version 3.0 দেহ ও মনের সুস্থতা'র জন্য উৎসর্গীকৃত 🍃

বুকে ব্যথা না থাকলেও যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকে 😒বুকে তীব্র ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ। তবে কোনো...
21/10/2025

বুকে ব্যথা না থাকলেও যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকে 😒

বুকে তীব্র ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম উপসর্গ। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যথা ছাড়াও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এমন অনেক উপসর্গই আছে, যেসবকে ঠিক হৃদ্‌রোগের উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন না অনেকে। তাই জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফরহাদ উদ্দিন হাসান চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন রাফিয়া আলম।

ভিন্ন কিছু উপসর্গ
অত্যধিক ক্লান্তি বা অবসন্নতাকে খুব সাধারণ উপসর্গ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। তবে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকেও।
তাই খুব ক্লান্ত বা অবসন্ন হয়ে পড়ার অন্য কোনো কারণ না থাকলে এ ধরনের উপসর্গকে একদম অবহেলা করবেন না। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠলে বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অন্য কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ খুব ঘাম হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সময়।
হার্ট অ্যাটাক হলে পেটের ওপরের অংশে ব্যথা হয় অনেকের। এই ব্যথাকে সাধারণভাবে গ্যাসের ব্যথা ধরে নেওয়ার ভুল করেন অনেকেই।
পেটের ওপরের অংশে মাঝারি বা হালকা ধরনের ব্যথা হলে গ্যাসের ওষুধ খেয়ে দেখতে পারেন। তাতে উন্নতি না হলে হাসপাতালে যান। ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে শুরুতেই হাসপাতালে যেতে হবে।
বাহু, কাঁধ, হাত, চোয়াল বা পিঠের দিকেও ব্যথা হতে পারে কারও কারও। মাথা হালকা হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে।

না বুঝলে বাড়বে বিপদ
হৃৎপিণ্ড সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে। তবে হৃৎপিণ্ডের নিজেরও তো রক্তের প্রয়োজন। সেই রক্ত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছায় কিছু নির্দিষ্ট ধমনির মাধ্যমে। একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অর্থ হলো তাঁর এসব ধমনির মধ্যে কোনো এক বা একাধিক ধমনির রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ওই ধমনি হৃৎপিণ্ডের যে নির্দিষ্ট জায়গায় রক্ত পৌঁছে দিত, সেই জায়গা তখন অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে। তাই ওই অংশের স্বাভাবিক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসা করানো না হলে হৃৎপিণ্ডের ওই অংশ আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। ফলে হৃৎপিণ্ড আর আগের মতো ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না।
এভাবে একসময় হৃৎপিণ্ড বিকল হতে পারে। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রক্তচাপ বিপজ্জনক পর্যায়ে নেমে যেতে পারে। রোগী জ্ঞান হারাতে পারেন। এমনকি হতে পারে মৃত্যুও।

খেয়াল রাখুন
অস্বাভাবিক ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তের সুগার কমে গেলে অর্থাৎ হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলেও ঘাম হতে পারে। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে প্রথমে জরুরি ভিত্তিতে সুগার মেপে দেখতে হবে।
সুগার কমে গিয়ে থাকলে চিনি মেশানো পানি খাইয়ে দিতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে। তবে তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, তাঁর ডায়াবেটিসের ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করার প্রয়োজনও হতে পারে।

প্রোস্টেট ক্যানসারের উপসর্গগুলো আপনার জানা আছে কি 🤔সেপ্টেম্বর মাস প্রোস্টেট ক্যানসার–সচেতনতার মাস হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীক...
19/09/2025

প্রোস্টেট ক্যানসারের উপসর্গগুলো আপনার জানা আছে কি 🤔

সেপ্টেম্বর মাস প্রোস্টেট ক্যানসার–সচেতনতার মাস হিসেবে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। প্রোস্টেট ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসায় সাফল্য আসার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সচেতন হওয়া প্রয়োজন প্রত্যেকেরই। বিশেষত বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ সদস্যকে এ বিষয়ে সচেতন করে তোলা জরুরি।
ডা. অরুনাংশু দাসকনসালট্যান্ট, স্কয়ার ক্যানসার সেন্টার, ঢাকা।

বয়সটাই যখন ঝুঁকি
বয়স বাড়লে, অর্থাৎ বয়স ৫০ বছর পেরোলেই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। তাই দেশে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের সংখ্যাও আগের চেয়ে বেশি। এই বিপুলসংখ্যক পুরুষের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি তরুণদের তুলনায় অনেক বেশি।

জীবনযাত্রার ধরনে বাড়ে আরও ঝুঁকি
জীবনযাত্রার আধুনিকায়ন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার এবং লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, মানসিক চাপ ও অনিয়মিত ঘুমের কারণে প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। নগরভিত্তিক ব্যস্ত জীবনে মানুষ যানবাহন এবং নানা ধরনের যন্ত্রের প্রতি অনেক বেশি নির্ভরশীল। প্রক্রিয়াজাত খাবারও সহজলভ্য আধুনিক শহুরে জীবনে। এসবই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।

যা করা প্রয়োজন
৫০ বছর বয়স পেরোলে সব পুরুষেরই নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। পরিবারের কারও প্রোস্টেট ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে আরও কম বয়স থেকেই সচেতন হয়ে ওঠা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন কম বয়স থেকেই।
নিয়মিত ব্যায়ামও করতে হবে তারুণ্যের দিনগুলো থেকে।
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা আবশ্যক।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যেকোনো বয়সেই নিজের দেহে কোনো অস্বাভাবিকতালক্ষ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।
বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষ সদস্যকে নিজের সমস্যার কথা জানাতে বলুন নিঃসংকোচে।

উপসর্গগুলো জানা থাক:
প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত বহু রোগীরই প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে কিছু সাধারণ পরিবর্তন দেখা দিতে পারে—
প্রস্রাবের শুরুতে কষ্ট হওয়া।
প্রস্রাবের প্রবাহ ক্ষীণ হয়ে যাওয়া।
বারবার প্রস্রাবের বেগ, বিশেষত রাতে।
প্রস্রাব করতে গিয়ে মাঝপথে আপনা–আপনি প্রস্রাবের গতি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
প্রস্রাবের শেষেও ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব ঝরা।
অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। বয়সের সঙ্গে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তাই ভয় পাবেন না।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে, সমস্যাগুলো কি প্রোস্টেট গ্রন্থি বয়সজনিত কারণে বড় হয়ে যাওয়ায় হয়েছে, নাকি এসবের জন্য দায়ী প্রোস্টেট ক্যানসার।

প্রাথমিক ধাপের পরের উপসর্গ:
ক্যানসার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে গেলে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়, সেসবও জেনে রাখা উচিত—
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
বীর্যে রক্ত যাওয়া।
প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করা।
তলপেটের নিচের অংশে বা কোমরে ব্যথা।
ওজন হ্রাস ও ক্ষুধামান্দ্য।
অস্বাভাবিক দুর্বলতা বা অবসাদ।
হাড়ে ব্যথা (যদি হাড়ে ছড়িয়ে যায়)।
শ্বাসকষ্ট (যদি ফুসফুসে ছড়িয়ে যায়)।

শেষ কথা
বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। জীবন হয়ে উঠছে আধুনিক। ফলে বাড়ছে প্রোস্টেট ক্যানসারের হার। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়লে চিকিৎসাপদ্ধতি সহজ। নিরাময়ের সম্ভাবনাও বাড়ে। তাই এই ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা আবশ্যক।

জরায়ুমুখের ক্যানসার কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন এবং প্রতিরোধে করণীয় 🤔বিশ্বে নারীদের যত ক্যানসার হয়, তার মধ্যে চতুর্থ ...
28/08/2025

জরায়ুমুখের ক্যানসার কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে আছেন এবং প্রতিরোধে করণীয় 🤔

বিশ্বে নারীদের যত ক্যানসার হয়, তার মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জরায়ুমুখের ক্যানসার। সামান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব।

বিশ্বে নারীদের যত ক্যানসার হয়, তার মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জরায়ুমুখের ক্যানসার। শহর ও গ্রামে যেকোনো স্থানে সামান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা গেলে প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।

প্রাথমিক পর্যায় থেকে জরায়ুমুখে পূর্ণ ক্যানসার রূপান্তরিত হতে ১০ থেকে ১২ বছর সময় লাগে। তাই চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। এই ক্যানসার সাধারণত নারীদের জীবনের দুটি পর্যায়ে হতে পারে। প্রথম পর্যায় ৩৫ থেকে ৩৯ বছর। আর দ্বিতীয় পর্যায় ৬০ থেকে ৬৯ বছর।

লক্ষণ কী, কারা ঝুঁকিতে
দুর্গন্ধযুক্ত ঋতুস্রাব, অনিয়মিত মাসিক, সহবাসের সময় রক্তপাত, মেনোপজ (রজঃনিবৃত্তি) হওয়ার পর রক্ত যাওয়া, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি জরায়ুমুখের ক্যানসারের প্রধান লক্ষণ।

যাঁরা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে খাচ্ছেন, অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে, কম বয়সে সন্তান নিয়েছেন, ঘন ঘন ও পাঁচটির বেশি সন্তান জন্মদান করেছেন, বিবাহবহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদি করছেন, তাঁরা জরায়ুমুখের ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়
জরায়ুমুখের ক্যানসারের চিকিৎসা নির্ভর করে রোগটি কোন পর্যায়ে রয়েছে, তার ওপর। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথমে সার্জারি, পরে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি নিতে হবে।

উচ্চতর পর্যায়ে প্রথমে সিসিআরটি কেমোরেডি ও রেডিওথেরাপির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় কেমোথেরাপির পর সার্জারিও করা হয়।

রেডিওথেরাপি দুই ধরনের—

ইবিআরটি বা পেটের ওপর বাইরে থেকে

আইসিআরটি বা জরায়ুর ভেতরে রেডিওথেরাপি

এই ক্যানসার প্রতিরোধের তিনটি পর্যায় রয়েছে—

প্রাইমারি প্রতিরোধ

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সব সুস্থ মেয়ে ও নারীর জন্য। এই টিকা নিলে এই ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সেকেন্ডারি প্রতিরোধ

সব সুস্থ নারীর ৩০ বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং করা।

টারশিয়ারি প্রতিরোধ

ক্যানসার নির্ণয়ের পর যথাযথ চিকিৎসা করা, দুর্ভোগ কমানো, সুস্থ ও সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করা।

ডা. পবিনা আফরোজ পারভীন: স্ত্রীরোগ, প্রসূতি, নারীদের ক্যানসার ও ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন, কনসালট্যান্ট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা।

দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক 🤔৩৫ বছর বয়সী এক চাকরিজীবী নারীর কথা ভাবা যাক। ধরা যাক, কর্মক্ষেত্রের ওয়াশরুম নিয়ে কিছ...
28/07/2025

দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক 🤔

৩৫ বছর বয়সী এক চাকরিজীবী নারীর কথা ভাবা যাক। ধরা যাক, কর্মক্ষেত্রের ওয়াশরুম নিয়ে কিছুটা খুঁতখুঁতে স্বভাব তাঁর। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার প্রস্রাব করেছিলেন। সারা দিনে পানিও খুব কম খেয়েছিলেন। এরপরই বাধল বিপত্তি। তলপেটে ব্যথা শুরু হলো আর অস্বস্তিকর একটা অনুভূতি। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হচ্ছিল খুব। কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও এল। প্রস্রাবে সংক্রমণ হওয়ায় সেই সময় বেশ ভুগেছিলেন তিনি। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার প্রস্রাব হওয়া যে অস্বাভাবিক, তা অনেকেরই জানা। তবে এক দিন বা ২৪ ঘণ্টায় অন্তত কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক, তা জানেন কি?

আমাদের দেহে নানান ক্রিয়া–বিক্রিয়া চলতে থাকে। সেসবের জন্য পানি প্রয়োজন। এমনকি দেহের কোষের গড়ন ঠিক রাখতেও পরিমাণমতো পানি প্রয়োজন। দেহের নানাবিধ ক্রিয়া–বিক্রিয়া শেষে যে ক্ষতিকর বর্জ্য তৈরি হয়, তা দেহ থেকে বেরিয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে। প্রস্রাব কম পরিমাণে তৈরি হলে এই বর্জ্য জমা হতে থাকে আমাদের দেহে। আর এই বিষাক্ত বর্জ্যের প্রভাব বেশ মারাত্মক। আবার প্রস্রাব তৈরি হওয়ার পর যদি তা চেপে রাখা হয়, তাহলে জীবাণু সংক্রমণসহ অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

একজন সুস্থ ব্যক্তিকে রোজ অন্তত দুই লিটার পানি পান করতেই হবে। তবে অনেকের এর বেশি পানিও প্রয়োজন হয়। যেমন কায়িক শ্রম বেশি হলে কিংবা খুব ঘাম হলে পানির চাহিদা বাড়ে। অর্থাৎ পানি পান করতে হবে দেহের প্রয়োজন বুঝে। তৃষ্ণা পেলে তো অবশ্যই পানি পান করতে হবে। প্রস্রাব করার সময় এর রং ও পরিমাণও খেয়াল করতে হবে। প্রস্রাব গাঢ় রঙের হলে বা পরিমাণে কম হলে পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রস্রাবের স্বাভাবিক রং হলো খড়ের মতো, তবে তা বেশ হালকা একটি রং।

ন্যূনতম কতবার প্রস্রাব হওয়া প্রয়োজন
২৪ ঘণ্টায় অন্তত চারবার প্রস্রাব হওয়া প্রয়োজন। এর কম হলে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। পানিশূন্যতা, কিডনির কিছু রোগ, মূত্রনালির পাথর কিংবা রক্তচাপ খুব বেশি কমে যাওয়ার মতো কিছু কারণে প্রস্রাব কমে যায়। তা ছাড়া কিছু ওষুধ সেবনের কারণেও প্রস্রাব কমতে পারে। পানি ও অন্যান্য তরল খাবার খেয়ে বিষয়টির সমাধান না হলে কিংবা এর সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন, পাতলা পায়খানার মতো সাদামাটা সমস্যায়ও রক্তচাপ কমে গিয়ে প্রস্রাবের পরিমাণ খুব কমে যেতে পারে। এমনকি এ সমস্যার কারণে কারও মৃত্যুও হতে পারে। বুঝতেই পারছেন, প্রস্রাব কমে যাওয়াকে অবহেলা করতে নেই।

কতটা বেশি হলে অস্বাভাবিক
২৪ ঘণ্টায় আটবারের বেশি প্রস্রাব হলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে। চা, কফি, চকলেট, মিষ্টি পানীয় প্রভৃতির পরিমাণ কমিয়ে দিন। এসব খাবার ও পানীয়ের কারণে প্রস্রাব বেশি হতে পারে। তবে বারবার অল্প পরিমাণ প্রস্রাব হওয়া সংক্রমণের লক্ষণও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য কতবার প্রস্রাব হচ্ছে, তার চেয়ে জরুরি বিষয় হলো সংক্রমণের আনুষঙ্গিক উপসর্গ থাকা। বয়োজ্যেষ্ঠ পুরুষের ক্ষেত্রে প্রোস্টেটের আকার বেড়ে যাওয়ার কারণেও বারবার প্রস্রাব হতে পারে। গর্ভাবস্থায় একজন নারীরও বারবার প্রস্রাব হতে পারে। কারণ, জরায়ুর আকার বড় হলে তা মূত্রথলিতে চাপ দেয়। ফলে বারবার প্রস্রাব পায়। এর সঙ্গে যদি অন্য কোনো উপসর্গ না থাকে, তাহলে এটি স্বাভাবিক।
যে কারও প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস। কিডনির কিছু সমস্যায়ও প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ে। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়লেও এমনটা হতে পারে। তাই কেবল খাবার ও পানীয় গ্রহণের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে যদি বিষয়টার সমাধান না হয় কিংবা এর সঙ্গে থাকে অন্য কোনো উপসর্গ, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

-ডা. মো. মতলেবুর রহমান
সহযোগী অধ্যাপক (মেডিসিন বিভাগ)
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

এই ৪ প্রবাদ থেকেই বোঝা যায়, ফিনল্যান্ড কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস প্রতিবেদনে এ বছরও সুখী দেশের তালিকা...
22/07/2025

এই ৪ প্রবাদ থেকেই বোঝা যায়, ফিনল্যান্ড কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস প্রতিবেদনে এ বছরও সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে ফিনল্যান্ড। এ নিয়ে টানা অষ্টমবার দেশটি সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করেছে। ফিনল্যান্ডের মানুষ এমন কী বিশেষ চর্চা করেন, যে কারণে জীবন নিয়ে তাঁরা সন্তুষ্ট, সিএনবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সে কথাই লিখেছেন ফিনল্যান্ডের মনোবিদ ও সুখগবেষক ফ্রাঙ্ক মারটেলা।

মারটেলার মতে, যে দেশের মানুষ সুখ খুঁজতে মরিয়া, তাঁদের মধ্যেই সুখ সবচেয়ে কম। সুখ খোঁজায় খুব বেশি মনোযোগ না দিলেই বরং সুখ এসে ধরা দেয়। এটিই মূলত ফিনিশদের সুখী হওয়ার মূলমন্ত্র। মানুষকে সুখী করার পেছনে রাষ্ট্রের ভূমিকা থাকে, এটা ঠিক। কিন্তু একটা জাতির নিজস্ব সংস্কৃতিতেও থাকতে পারে সুখী হওয়ার উপাদান। যেমন ফিনিশদের মধ্যে চারটি প্রবাদ খুব প্রচলিত। এই চার প্রবাদ থেকেই ধারণা করা যায়, কেন তাঁরা সুখী।

১. সুখ লুকিয়ে রাখো
ফিনল্যান্ডের মানুষ বিশ্বাস করেন, সুখ অন্যকে দেখানোর বিষয় নয়। এই আহ্বান মূলত এসেছিল ফিনল্যান্ডের জাতীয় কবি ইনো লিনোর কাছ থেকে। এ কারণেই ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকির রাস্তায় দামি গাড়ি খুব একটা দেখা যায় না। এমনকি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সিইওরাও সাদামাটা ভলভো বা ভক্সওয়াগন চালান। অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। এই তুলনা অনেক সময় আমাদের মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সে কারণেই সুখ দেখিয়ে বেড়ানোর পক্ষপাতী নন ফিনিশরা।

২. হতাশাবাদীরা কখনো হতাশ হয় না
এ কথাও ফিনিশদের মধ্যে প্রচলিত। তাঁরা মনে করেন, বাধাবিপত্তি জীবনেরই অংশ। তাই ধাক্কা তো আসবেই। যদি অপ্রাপ্তি, বাধা, ধাক্কার জন্য মনকে প্রস্তুত রাখি, তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু থাকে না। ফিনিশরা বিশ্বাস করেন, যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, সব সময়ই এর থেকে আরেকটু ভালো থাকার উপায় আছে। কী নেই, সেদিকে নজর না দিয়ে যদি এখনো আমার হাতে কী আছে, এ নিয়ে ভাবি, তাহলে সামনে এগোনো সহজ হয়।

৩. মানুষ নিজেই নিজের সুখের কারিগর
প্রবাদটা এসেছে মূলত প্রাচীন রোম থেকে। এই প্রবাদের মূল কথা হলো—সুখ কেউ রুপার থালায় সাজিয়ে আপনার সামনে হাজির করবে না। আপনার জীবনের সুখের দায়িত্ব আপনারই। আশপাশের মানুষের কাছ থেকে কতখানি সহায়তা পাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করছে আপনার সাফল্য। প্রবাদটা বোঝাতে ফিনিশরা তাঁদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা আইস-হকির উদাহরণ দেয়। আইস হকিতে আপনি যতই স্কোর করতে চান না কেন, যদি সতীর্থরা আপনাকে পাস না দেয়, আপনি গোলের দেখা পাবেন না। পারস্পরিক সহায়তাতেই সাফল্য পেতে হবে।

৪. সুখ কারও কারও, গ্রীষ্ম সবার
এ প্রবাদ ফিনল্যান্ডে প্রায় ১০০ বছর ধরে প্রচলিত। অধিকাংশ ফিনিশ বিশ্বাস করেন, জীবনে এমন কিছু কিছু ঘটনা ঘটে, যা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। যা আমার হাতে নেই, তা নিয়ে আমি কেন অস্থির হব! জীবন কখনো দেয়, কখনো কেড়ে নেয়। আজকে আমি ভালো অবস্থানে আছি, অন্য কেউ খারাপ অবস্থানে আছে। কাল হয়তো আমি খারাপ থাকব, অন্য কেউ ভালো থাকবে। তাই প্রবাদের মূল কথা হলো—হোক ধীরে বা শিগগিরই, গ্রীষ্ম সবার জীবনে আসবে।

নানা রকম ফলে এখন বাজার ভরা। তবে পছন্দের তালিকায় সবার শীর্ষে থাকে আম। শুধু স্বাদ-গন্ধেই অতুলনীয় নয়, আম পুষ্টিগুণেও ভরপুর।...
25/06/2025

নানা রকম ফলে এখন বাজার ভরা। তবে পছন্দের তালিকায় সবার শীর্ষে থাকে আম। শুধু স্বাদ-গন্ধেই অতুলনীয় নয়, আম পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আম অবশ্যই খাবেন, কিন্তু জানতে হবে কে কতটুকু খেতে পারবেন।

খোসা ও আঁটি ছাড়া ১০০ গ্রাম পরিমাণ আমে ৬৫-৭৫ ক্যালরি, ১৭ গ্রাম শর্করা, ক্যালসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-এ ২২০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি। এ ছাড়া পটাশিয়াম ১০০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ১৬০ মিলিগ্রাম, লাইকোপেন প্রায় ১২ মিলিগ্রাম থাকে।

অপরদিকে ১০০ গ্রাম ভাতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১২৫। কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ২৫ গ্রাম। অর্থাৎ আমের চেয়ে ভাতে ক্যালরি বেশি। কিন্তু অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ভাতের চেয়ে আমে বেশি পাওয়া যায়। তাই ভাতের পরিবর্তে পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া যেতে পারে। তাতে শর্করা ও ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

আমরা সাধারণত প্রধান খাবারের পর অথবা নাশতার সঙ্গে আম খেতে অভ্যস্ত। অনেকে রুটি বা দুধ-ভাত দিয়ে আম খান। এ কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। কারণ, রুটি আর ভাত দুটোই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। আমও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার।

কী পরিমাণে খাওয়া যাবে

যদি কারও নাশতায় ৭০ গ্রাম রুটি, একটি ডিম ও এক বাটি সবজি থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি সকালের নাশতার পরিবর্তে খোসা ও আঁটি ছাড়া ২৫০-৩০০ গ্রাম আম (পাল্প) খেতে পারবেন, যা দুই থেকে তিনটি মাঝারি আকারের আমের সমান। তবে এর সঙ্গে অন্য কোনো শর্করা খাওয়া যাবে না। অনেকেই মনে করেন খালি পেটে আম খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এটা ভুল ধারণা। আম মধ্য সকালে বা বিকেলের নাশতা হিসেবেও খাওয়া যায়।

সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবারের সময় খেতে হলে প্রধান শর্করা খাবারের (ভাত বা রুটি) পরিবর্তে সমপরিমাণ ক্যালরির আম খাওয়া যাবে।

মধ্য সকাল বা বিকেলের নাশতা হিসেবে অল্প পরিমাণে আম খাওয়া যেতে পারে।

আম খেলে আমের সঙ্গে অন্য কোনো খাবার খাবেন না। যেমন আম দিয়ে রুটি বা আম দিয়ে মুড়ি বা আম দিয়ে ভাত খাওয়া যাবে না।

বিকেলের পর আম খাবেন না। বিকেলের আগেই আম খেয়ে নেবেন।

আম জুস করে খাবেন না, খোসা ছাড়িয়ে টুকরা করে ভালো করে চিবিয়ে খান।

রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি থাকলে হৃদ্‌রোগীরা আম কম খাবেন। কিডনির রোগীরা আম খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাঁরাও আম খেলে দিনের অন্যান্য শর্করা কমাতে হবে।

শিশুদের বয়স, ওজন ও উচ্চতা এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে আম দিতে হবে। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

লেবুর খোসার বাইরের হলুদ স্তর ফেলে না দিয়ে খাওয়া উচিত। কারণ এটিকে পুষ্টিকর সোনার খনি বিবেচনা করা হয়। লেবুর খোসায় থাকে তেল...
18/06/2025

লেবুর খোসার বাইরের হলুদ স্তর ফেলে না দিয়ে খাওয়া উচিত। কারণ এটিকে পুষ্টিকর সোনার খনি বিবেচনা করা হয়। লেবুর খোসায় থাকে তেল, ভিটামিন এবং লিমোনিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো শক্তিশালী উদ্ভিদ যৌগ। এটি শরীরকে ডিটক্সিফাইং করতে সহায়তা দেয়। লেবুর খোসায় হালকা টক স্বাদ রয়েছে। লেবুর খোসায় লেবুর রসের চেয়েও পুষ্টির ঘনত্ব বেশি রয়েছে।

লেবুর খোসা যেভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখে

শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষা: লেবুর খোসায় থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ভিটামিন সি শরীরকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে। এসব উপাদান কোষের ক্ষতি করে এমন মুক্ত র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগেরও ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে: লেবুর খোসায় থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন এবং কার্যকলাপকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি কোলাজেন উৎপাদনও বাড়ায়, যা ত্বক ভালো রাখে। যেকোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে লেবুর খোসায় থাকা উপাদান।

হৃদরোগের উন্নতি করে: লেবুর খোসায় হেস্পেরিডিন এবং ডায়োসমিনের মতো যৌগ থাকে। যা রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। লেবুর খোসা থাকা পটাশিয়াম উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

লিভারের ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে: লেবুর খোসায় থাকা তেল ‘লিমোনিন’ লিভারের এনজাইমগুলোকে উদ্দীপিত করে যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি হজমে সহায়তা করে এবং লিভারের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়াগুলোকে উন্নত করে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: লেবুর খোসার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন সংশ্লেষণে সহায়তা করে, বলিরেখা কমায়, ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে এবং অতিবেগুনী রশ্মি এবং দূষণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। লেবুর থোসা খেয়ে ত্বকের স্বাস্থ্য ভেতর থেকে উন্নত করে তুলতে পারেন।

সূত্র: এনডিটিভি

গরমকালে শরীর সুস্থ ও চাঙা রাখতে যে কটি ফল বিশেষভাবে উপকারী, তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। স্বাদে মিষ্টি ও পুষ্টিতে ভরপুর এই ফ...
17/06/2025

গরমকালে শরীর সুস্থ ও চাঙা রাখতে যে কটি ফল বিশেষভাবে উপকারী, তার মধ্যে কাঁঠাল অন্যতম। স্বাদে মিষ্টি ও পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি শুধু রসনাতৃপ্তিই করে না, শরীরের নানা উপকারেও আসে। হজমে সহায়তা থেকে শুরু করে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো, ওজন নিয়ন্ত্রণসহ নানা কারণেই কাঁঠাল দারুণ উপকারী।
কাঁঠালে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যেমন সুক্রোজ ও ফ্রুকটোজ। এই প্রাকৃতিক চিনি শরীরে তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি জোগায়। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটও থাকে, তাই এটি একটি দারুণ প্রাকৃতিক শক্তির উৎস, যা গ্রীষ্মকালে সক্রিয় থাকতে সহায়তা করে।

হজমশক্তি উন্নত করে

অনেকে মনে করেন কাঁঠাল খেলে হজমে সমস্যা হয়, কিন্তু কাঁঠালে প্রচুর ডায়েটারি আঁশ থাকে, যা হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি মল সহজে বের হতে সাহায্য করে, ফলে পেট পরিষ্কার থাকে। পাশাপাশি কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এটি হজম নালি পরিষ্কার রাখে ও অন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে।

পানিশূন্যতা বা মাথাব্যথা প্রতিরোধ করে

কাঁঠালের পাকা কোষে জলীয় উপাদান থাকে প্রায় ৮৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, যা কাঁঠালের বিচির (প্রায় ৬০.০৭৫ শতাংশ) তুলনায় অনেক বেশি। গরমে ঘামে শরীর থেকে যে পানি বেরিয়ে যায়, তা পূরণে কাঁঠাল ভালো কাজ করে। কাঁঠালে ইলেকট্রোলাইটও থাকে, যা শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং পানিশূন্যতার কারণে ক্লান্তি বা মাথাব্যথা প্রতিরোধে সহায়ক।

রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে

কাঁঠালে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে বিশেষভাবে কার্যকর। গরমকালে অনেক সময় ঠান্ডা, সর্দিকাশি বা ভাইরাল জ্বরের ঝুঁকি থাকে, আর এসবের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়তে সাহায্য করে কাঁঠাল। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা সুস্থ থাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ত্বকের জন্য উপকারী

কাঁঠালে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের অক্সিডেটিভ চাপ কমায়, যা ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, কাঁঠালের উচ্চ জলীয় উপাদান গ্রীষ্মের রুক্ষতা, ব্রণ ও ত্বকের নির্জীব ভাব দূর করতে সহায়তা করে। নিয়মিত কাঁঠাল খাওয়ায় ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ, নরম ও দীপ্ত।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

মিষ্টি স্বাদের হলেও কাঁঠালে ক্যালরি ও চর্বি খুবই কম থাকে। এতে থাকা আঁশ পেট ভরাট রাখে, ফলে ঘন ঘন খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এড়াতে সহায়তা করে। এসব কারণে কাঁঠাল ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক একটি স্বাস্থ্যকর ফল।

শজনের ডাঁটা সবজি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। তবে শজনের পাতা খাওয়ার চলও বেশ পুরোনো। আজকাল আবার শজনেপাতার গুঁড়া খুব চলছে, ইংরেজি...
26/05/2025

শজনের ডাঁটা সবজি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। তবে শজনের পাতা খাওয়ার চলও বেশ পুরোনো। আজকাল আবার শজনেপাতার গুঁড়া খুব চলছে, ইংরেজিতে মরিঙ্গা পাউডার নামে অনলাইনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে নানা রকম পুষ্টিগুণ আর বলবর্ধক হিসেবে শজনেপাতার গুঁড়া খাওয়ার চল বেড়েছে। শাক হিসেবেও শজনেপাতা খাওয়ার প্রচলন আছে। শজনে খরাসহিষ্ণু ও গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের উদ্ভিদ। বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলেও আমাদের দেশে সাধারণত ডাল বা অঙ্গজ জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। গ্রীষ্মকাল বিশেষত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ডাল রোপণের উপযুক্ত সময়।

শজনের ডাঁটা সবজি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। তবে শজনের পাতা খাওয়ার চলও বেশ পুরোনো। আজকাল আবার শজনেপাতার গুঁড়া খুব চলছে, ইংরেজিতে মরিঙ্গা পাউডার নামে অনলাইনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে নানা রকম পুষ্টিগুণ আর বলবর্ধক হিসেবে শজনেপাতার গুঁড়া খাওয়ার চল বেড়েছে। শাক হিসেবেও শজনেপাতা খাওয়ার প্রচলন আছে। শজনে খরাসহিষ্ণু ও গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের উদ্ভিদ। বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলেও আমাদের দেশে সাধারণত ডাল বা অঙ্গজ জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। গ্রীষ্মকাল বিশেষত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ডাল রোপণের উপযুক্ত সময়।

সুপারফুড শজনেপাতা

শজনেগাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। এ জন্য গবেষকেরা শজনপাতাকে ‘নিউট্রিশনস সুপার ফুড’ উপাধি দিয়েছেন, একই সঙ্গে শজনেগাছকে বলা হচ্ছে মিরাকল ট্রি।

প্রতি গ্রাম শজনেপাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন থাকে। গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান আছে শজনেপাতায়। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতাসহ বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতিজনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। শজনেপাতায় গাজরের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ এবং শাকের চেয়ে বেশি আয়রন রয়েছে। পুষ্টির পরিমাণ কাছাকাছি বলে কেউ প্রতিদিন দুধ খেতে না পারলে এক চামচ করে শজনেপাতার গুঁড়া খেতে পারেন।

এতে প্রচুর জিংক থাকে এবং পালংশাকের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রন বিদ্যমান, যা অ্যানিমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শজনে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও অবদান রাখে। মানুষের শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ প্রোটিন, যার গাঠনিক একক হলো অ্যামাইনো অ্যাসিড। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেটাবলিজম এবং অন্য শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি পরিপূর্ণরূপে সম্পাদনে অ্যামাইনো অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের শরীরের যে ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিড খাদ্যের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হয়, তার সব কটিই এই মরিঙ্গার মধ্যে বিদ্যমান।

ইউএসডিএর মতে, ১০ গ্রাম শজনেপাতায় ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম (ডেইলি ভ্যালু ১৫ শতাংশ), ২ মিলিগ্রাম আয়রন (ডেইলি ভ্যালু ১১ শতাংশ), ১৬০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ৩ গ্রাম প্রোটিন আছে।

শজনের ডাঁটা সবজি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। তবে শজনের পাতা খাওয়ার চলও বেশ পুরোনো। আজকাল আবার শজনেপাতার গুঁড়া খুব চলছে, ইংরেজিতে মরিঙ্গা পাউডার নামে অনলাইনে দারুণ পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে নানা রকম পুষ্টিগুণ আর বলবর্ধক হিসেবে শজনেপাতার গুঁড়া খাওয়ার চল বেড়েছে। শাক হিসেবেও শজনেপাতা খাওয়ার প্রচলন আছে। শজনে খরাসহিষ্ণু ও গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের উদ্ভিদ। বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলেও আমাদের দেশে সাধারণত ডাল বা অঙ্গজ জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। গ্রীষ্মকাল বিশেষত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ডাল রোপণের উপযুক্ত সময়।

সুপারফুড শজনেপাতা

শজনেগাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। এ জন্য গবেষকেরা শজনপাতাকে ‘নিউট্রিশনস সুপার ফুড’ উপাধি দিয়েছেন, একই সঙ্গে শজনেগাছকে বলা হচ্ছে মিরাকল ট্রি।

প্রতি গ্রাম শজনেপাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন থাকে। গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান আছে শজনেপাতায়। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতাসহ বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতিজনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। শজনেপাতায় গাজরের চেয়ে বেশি ভিটামিন এ এবং শাকের চেয়ে বেশি আয়রন রয়েছে। পুষ্টির পরিমাণ কাছাকাছি বলে কেউ প্রতিদিন দুধ খেতে না পারলে এক চামচ করে শজনেপাতার গুঁড়া খেতে পারেন।

এতে প্রচুর জিংক থাকে এবং পালংশাকের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রন বিদ্যমান, যা অ্যানিমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শজনে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও অবদান রাখে। মানুষের শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ প্রোটিন, যার গাঠনিক একক হলো অ্যামাইনো অ্যাসিড। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেটাবলিজম এবং অন্য শারীরবৃত্তীয় কার্যাবলি পরিপূর্ণরূপে সম্পাদনে অ্যামাইনো অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের শরীরের যে ৯টি অ্যামাইনো অ্যাসিড খাদ্যের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হয়, তার সব কটিই এই মরিঙ্গার মধ্যে বিদ্যমান।

ইউএসডিএর মতে, ১০ গ্রাম শজনেপাতায় ১৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম (ডেইলি ভ্যালু ১৫ শতাংশ), ২ মিলিগ্রাম আয়রন (ডেইলি ভ্যালু ১১ শতাংশ), ১৬০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ও ৩ গ্রাম প্রোটিন আছে।

শজনেপাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে খাওয়া হলে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবেছবি: পেক্সেলস

হাজার গুণের এক পাতা

মানবদেহে যেসব উপাদানের নিয়মিত প্রয়োজন, তার সবই শজনেপাতায় আছে। এ পাতায় প্ল্যান্ট প্রোটিন ও আয়রনের উপস্থিতি বেশি। এটিকে শুকিয়ে গুঁড়া করে খাওয়া হলে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবে, একদম নষ্ট হবে না।

শজনেপাতা শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। নিয়ম করে দৈনিক শজনেপাতার গুঁড়া সেবন করলে শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শরীরের ওজন কমাতে ব্যায়ামের পাশাপাশি নিয়মিত শজনেপাতার গুঁড়া খেলে কার্যকরী ফল মেলে। শজনেপাতা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। ১ টেবিল চামচ শজনেপাতার গুঁড়ায় ১৪ শতাংশ প্রোটিন, ৪০ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ২৩ শতাংশ আয়রন বিদ্যমান। ৬ টেবিল চামচ মরিঙ্গা পাউডার একজন অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদায়ী মায়ের প্রতিদিনের আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। শজনেপাতার গুঁড়ায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি যকৃৎ ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবেও কাজ করে শজনেপাতা। শজনেতে ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এতে ৩৬টির মতো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এ ছাড়া এটি অকালবার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দারুণ কার্যকর।

এখানেই শেষ নয়, শজনেপাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা আপনার কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও শরীরের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে আপনার দেহকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। নিয়মিত শজনেপাতার পাউডার খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। করোনা প্রতিরোধে শজনেপাতা ও ফল উভয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ইসরাত জাহান: ধানমন্ডির স্পেশালাইজড গ্যাস্ট্রোলিভার কেয়ারের পুষ্টিবিদ

রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ একধরনের প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এটি শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমো...
23/02/2025

রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ একধরনের প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। এটি শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। সুস্থ জীবনযাপনে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা প্রয়োজন। কিছু খাবার খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মান ঠিক রাখা যায়।

ভারতের ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক মনোজ কে আহুজার মতে, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঝিম ধরা, ক্ষুধামান্দ্য ও দ্রুত হৃৎস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা যায়। যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক কম হয়, তবে রক্তাল্পতা বা এর চেয়েও মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসক আহুজার মতে, ‘সবার লৌহের দরকার হয়। তবে নারীদের ঋতুচক্রের সময়, গর্ভাবস্থায়, শিশুদের বেড়ে ওঠার সময়, রোগ থেকে সেরে ওঠার মুহূর্তে লৌহের বেশি দরকার হয়। সম্প্রতি এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর উপায় বর্ণনা করা হয়েছে। দেখে নিন কী খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে।

লৌহযুক্ত খাবার
শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি।

ভিটামিন সি
ভিটামিন সি-এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তা ছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া লোহা পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। পেঁপে, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি (ব্রকোলি), আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

ফলিক অ্যাসিড
ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।

বিট
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম। এর পুষ্টিমান শরীরের লাল রক্তকণিকা বাড়ায়।

আপেল
দিনে একটি করে আপেল খেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে পারেন। আয়রনের উৎস আপেলে আরও নানা প্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রতিদিন খোসাসহ একটি আপেল খান। অথবা সমানুপাতে আপেল ও বিটের রস মেশাতে পারেন।

ডালিম
আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের জুস খান।

-সংগৃহীত

গ্রিন চা কখন খাব আর কখন খাওয়া উচিত নয় 🤔শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে শ...
12/02/2025

গ্রিন চা কখন খাব আর কখন খাওয়া উচিত নয় 🤔

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়। তাই ওজন কমাতে সঠিক ডায়েট প্ল্যান গ্রহণ করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মেটাবলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট বার্নে সহায়তা করে গ্রিন টি, যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গ্রিন টি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। কিডনি রোগের জন্য গ্রিন টি বিশেষভাবে উপকারী। রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমাতে গ্রিন টি একটি যাদুকরী পানীয়।

গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ক্যাফেইন ও মেঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান৷ যা শরীরের ওজন ঝরাতে বেশ কার্যকর।

যারা মেদ ঝরাতে চান, তারা গ্রিন টিতেই ভরসা রাখেন। নিয়ম মেনে গ্রিন টি খেলে ক্যানসার, অ্যালজাইমার্স, স্ট্রোক ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে। এমনকি, ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও গ্রিন টি-র জুড়ি মেলা ভার।

কিন্তু ঠিক মতো উপকার পেতে কতটা গ্রিন টি খাওয়া জরুরি, জানেন কি? কেউ দিনে দু’ কাপ খান, কেউ কেউ আবার বেশি উপকার পেতে পাঁচ-ছ’কাপ এই চা খেয়ে ফেলেন। না জেনে বুঝেই কম বা বেশি খেয়ে ফেলছেন না তো? কিংবা দিনের এমন সময়ে খাচ্ছেন, যে সময়ে খাওয়াটা খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়।

গবেষণায় জানা গিয়েছে, গ্রিন টি-র সব গুণ যদি পেতে চান তাহলে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সকলেরই ধারণা গ্রিন টি খেলেই অতিরিক্ত মেদ ঝরবে তাড়াতাড়ি। তাই যখন তখন গ্রিন টি খাওয়া চলে। গ্রিন টি সাধারণত প্রতিদিন ২ থেকে ৫ কাপের মধ্যে খাওয়া চলে। তবে এই বিশেষ চা খাওয়ারও রয়েছে কিছু নির্দেশিকা। গ্রিন টি পান করার সময় কী কী একেবারেই করবেন না, তা জেনে নিন আগে...

গ্রিন টি খাওয়ার সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা হল খাওয়ার ঠিক পরে এই ভেষজ চা খেলে শরীরের ক্যালোরি বার্ন হয় দ্রুত। খাবারের প্রোটিনগুলো খাওয়ার পরই তা হজম হয় না। সময় লাগে। খাবার খাওয়ার ঠিক পরেই যদি গ্রিন টি খাওয়া হয় তাহলে তা উল্টে ক্ষতি হতে পারে।

খালি পেটে গ্রিন টি খাবেন না। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিন টি খেতে হলে দুটি ভারী খাবারের মাঝখানের বিরতিতেই খাওয়া উচিত। সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে হলে কোনও ভারী খাবার খাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে কিংবা ২ ঘণ্টা পরে গ্রিন টি খেতে পারেন।

এই চায়ে ক্যাফিন ও ক্যাটেচিন ভাল মাত্রায় থাকে, এই যৌগগুলি বিপাকহার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ওজন ঝরানোর জন্য গ্রিন টি খেতে হলে খাবারের মাঝে খাওয়াই শ্রেয়। খালি পেটে খেলে তেমন উপকার পাবেন না।

দিনে ৩-৫ বার গ্রিন টি খেতে পারেন, তবে তার বেশি নয়। গ্রিন টিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যেমন থাকে, তেমনই কিন্তু ক্যাফিনও থাকে। বেশি গ্রিন টি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, শরীরের অতি প্রয়োজনীয় পদার্থগুলিও বেরিয়ে যেতে পারে।

গ্রিন টি খাওয়ার সময় মাথায় রাখবেন একদম গনগনে গরম পানি নয়, হালকা গরম পানির গ্রিন টি পান করার চেষ্টা করুন। পানি যত বেশি গরম হবে, স্বাদও তত কমতে থাকবে। এছাড়া পেট ও গলায় ব্যথাও হতে পারে।

অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্রিন টি খান। এটা ভুল ধারণা। সকালে হালকা ব্রেকফাস্টের পর বেশ কয়েক ঘণ্টার ফাঁকে গ্রিন টি খেতে পারেন। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পনিফেনল, যা পাকস্থলীর অ্যাসিডের উত্পাদনকে আরও বাড়িয়ে তোলে। হজমের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। তাই সবসময় খাবার খাওয়ার পরই গ্রিন টি পান করুন।

আবার গ্রিন টি-র সঙ্গে মধু যোগ করে খান অনেকেই। চিনির বিকল্প হিসেবে স্বাদ যোগ করতে অনেকেই এই কাজ করেন। ফুটন্ত পানিতে গ্রিন টি ও মধু যোগ করলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। পানির অতিরিক্ত তাপ কমতে দিন, তারপর দারুচিনি, মধু যোগ করতে পারেন।

সকালে গ্রিন টি দিয়ে অনেকেই ওষুধ বা ট্যাবলেট খান। এর মতো ক্ষতিকারক কিছু হয় না। মেডিসিনের রাসায়নিক যৌগ গ্রিন টিয়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে অ্যাসিডিটির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ট্যাবলেট যদি খেতেই হয়, তাহলে জল দিয়ে খান।

দ্রুত রোগা হওয়ার চক্করে দিনে ১০ থেকে ১২ বার গ্রিন টি খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে মনে করলে ভুল করছেন। কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। চা বা কফির মতোই গ্রিন টিতেও রয়েছে ক্যাফেইন। দিনে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে মাথাব্যথা, ক্লান্তিভাব, উদ্বেগ, বিরক্তিভাবের মতো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে। দিনে ২-৩বার গ্রিন টি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

ফুটন্ত পানির মধ্য়ে বহুক্ষণ ধরে গ্রিন টি-র পাতা ফোটানো অধিকাংশেরই অভ্যাস। যতক্ষণ না রঙ গাঢ় হচ্ছে, ততক্ষণ ফুটিয়ে যান। প্রাকৃতিকভাবে স্বাদযুক্ত করতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চা বানিয়ে পান করতে পারেন।

গ্রিন টি পান করার সময় একেবারেই তাড়াহুড়ো করবেন না। অফিসের জন্য বের হওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করে চা পান করলে আজ থেকেই তা বন্ধ করুন। বিশ্রামের সময় চা পান করার গ্রিন টি খাওয়ার সর্বোত্তম উপায়।

একসঙ্গে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ যোগ করবেন না। এমন অভ্যাস থাকলে আজ থেকেই সতর্ক থাকুন। অনেকেই মনে করেন, একসঙ্গে ২টি ব্যাগ ভিজিয়ে চা খেলে বেশি মাত্রায় ক্যালোরি বার্ন হবে। ওজন ঝরবে তড়তরিয়ে! প্রতিদিন ২টি করে গ্রিন টি ব্যাগ যোগ করলে হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি হতে পারে।

-সংগৃহীত।

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801717983697

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nature Version 3.0 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nature Version 3.0:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram