Porom Sotto - পরম সত্য

Porom Sotto - পরম সত্য আত্মশুদ্ধির জন্য ইসলামিক মেডিটেশন

📖 ইউটিউব, ফেসবুক ও ভিডিও কন্টেন্ট আসক্তি থেকে মুক্তিপ্রিয় ভাই ও বোনেরা,আজ আমরা আলোচনা করবো আধুনিক যুগের এক বড় ফিতনা নিয...
01/09/2025

📖 ইউটিউব, ফেসবুক ও ভিডিও কন্টেন্ট আসক্তি থেকে মুক্তি

প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আজ আমরা আলোচনা করবো আধুনিক যুগের এক বড় ফিতনা নিয়ে—ইউটিউব, ফেসবুক এবং ভিডিও কন্টেন্ট আসক্তি।

👉 ভিডিও বা সোশ্যাল মিডিয়া স্বাভাবিকভাবে বিনোদনমূলক, কিন্তু যখন এটি জীবনের সময়, মনোযোগ, পড়াশোনা, পরিবার, স্বাস্থ্য ও আধ্যাত্মিকতা নষ্ট করে, তখন এটি আসক্তিতে পরিণত হয়।
👉 আজকের ক্লাসে আমরা দেখবো:

আসক্তির কারণ

মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষতি

কোরআন–হাদিসের আলোকে শিক্ষা

মুক্তির ইসলামিক উপায়

ধাপে ধাপে মেডিটেশন অনুশীলন

অংশ ১: আসক্তির কারণ

১. সহজলভ্যতা

মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়া সবসময় হাতে।

২. এলগরিদমের ফাঁদ

এক ভিডিও/পোস্ট দেখার পর আরেকটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাজেস্ট হয়।

৩. বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তি

স্ট্রেস বা একাকীত্ব থেকে মুক্তি পেতে ভিডিও বা ফেসবুক ব্যবহার।

৪. শূন্যতা ও অভ্যাস

ফাঁকা সময় বা খালি মুহূর্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রোল করা।

৫. আধ্যাত্মিক দুর্বলতা

আখিরাত বা নৈতিক চিন্তা কম থাকলে সহজে আসক্তিতে ফেলা।

অংশ ২: ক্ষতিকর প্রভাব
মানসিক ক্ষতি

মনোযোগ কমে যায়, পড়াশোনা ও কাজে ব্যাঘাত।

উদ্বেগ, হতাশা ও সময় অপচয়ের কারণে অপরাধবোধ।

সামাজিক ক্ষতি

পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক দুর্বল।

বাস্তব জীবনের দায়িত্ব অবহেলা।

শারীরিক ক্ষতি

দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের সামনে থাকার কারণে চোখ, ঘাড় ও মস্তিষ্ক ক্লান্তি।

ঘুমের ব্যাঘাত ও শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা।

আধ্যাত্মিক ক্ষতি

নামাজে মনোযোগ কমে যায়।

কোরআন–জিকিরে সময় কমে যায়।

আল্লাহর স্মরণ হারিয়ে যায়।

অংশ ৩: ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি
কোরআন

“মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; তারা ছাড়া যারা ঈমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্য ধরেছে।”
(সূরা আল-আসর, ১০৩:২-৩)

👉 সময় নষ্ট করা ক্ষতির কারণ, যা ভিডিও আসক্তিতে প্রমাণিত।

হাদিস

রাসূল ﷺ বলেছেন:
“দুটি নিয়ামতের ব্যাপারে মানুষ ধোঁকায় থাকে: স্বাস্থ্য এবং অবসর সময়।”
(বুখারি)

👉 ভিডিও বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় অপচয় হলো এই নিয়ামতের অপব্যবহার।

অংশ ৪: মুক্তির ইসলামিক উপায়

১. সময় ব্যবস্থাপনা

প্রতিদিন কাজের তালিকা ও সময় সীমা নির্ধারণ।

২. প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ

অপ্রয়োজনীয় চ্যানেল/ফেসবুক গ্রুপ আনসাবস্ক্রাইব।

Screen Time বা Digital Wellbeing অ্যাপ ব্যবহার।

৩. বিকল্প ইতিবাচক অভ্যাস

কোরআন তেলাওয়াত, বই পড়া, খেলাধুলা, বাস্তব বন্ধুত্ব।

৪. আধ্যাত্মিক সমাধান

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে খুশু ও মনোযোগ।

দোয়া: “হে আল্লাহ, আমাকে ফালতু কাজে সময় নষ্ট থেকে রক্ষা করুন।”

বেশি বেশি ইস্তিগফার।

৫. ধাপে ধাপে মুক্তি

হঠাৎ বন্ধ না করে ধীরে ধীরে সময় কমানো।

উদাহরণ: ৪ ঘণ্টা → ২ ঘণ্টা → ১ ঘণ্টা → শূন্য।

অংশ ৫: ইসলামিক মেডিটেশন অনুশীলন

মনে মনে বলুন:
“হে আল্লাহ, আমার সময়কে বরকতময় করুন।”

ধাপ ২: আত্মসমালোচনা

কল্পনা করুন: আপনি ভিডিও/ফেসবুকে ডুবে আছেন।

হঠাৎ আল্লাহ আপনাকে ডাকছেন:
“হে বান্দা, তোমাকে আমি সময় দিয়েছি, তুমি কোথায় নষ্ট করছো?”

মনে মনে বলুন:
“হে আল্লাহ, আমি সময়ের অপচয় থেকে মুক্ত হতে চাই।”

ধাপ ৩: ইতিবাচক সংকল্প

কল্পনা করুন: আপনি ভিডিও দেখার বদলে কোরআন পড়ছেন, নামাজে মন দিচ্ছেন, পরিবারকে সময় দিচ্ছেন।

মনে মনে বলুন:
“আমি ভিডিও/সোশ্যাল মিডিয়ার দাস নই, আমি আল্লাহর বান্দা।”

উপসংহার

👉 ইউটিউব, ফেসবুক ও ভিডিও কন্টেন্ট হারাম নাও হতে পারে, কিন্তু আসক্তি মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে।
👉 ইসলাম আমাদের শেখায় সময়কে বরকতময় কাজে ব্যবহার করতে।

আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করি:

আমি ভিডিও/সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি ছাড়ব।

আমি সময়কে আখিরাতের জন্য ব্যবহার করব।

আমি সর্বদা মনে রাখব: “আমি আল্লাহর বান্দা, সময়ের দাস নই।”

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের কাছেও যেও না — সূরা নিসা ৪৩☑️ মদের নিষিদ্ধ হওয়ার ধাপগুলো১ম ধাপ: মদের ক্ষত...
28/08/2025

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের কাছেও যেও না — সূরা নিসা ৪৩
☑️ মদের নিষিদ্ধ হওয়ার ধাপগুলো
১ম ধাপ: মদের ক্ষতির প্রতি ইঙ্গিত

আল্লাহ প্রথমে শুধু ইঙ্গিত দিলেন যে, মদে উপকার থাকলেও ক্ষতিই বেশি।
🔹 আয়াত:
“তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতে আছে বড় পাপ এবং মানুষের জন্য কিছু উপকারও আছে, তবে এর পাপ এর উপকার অপেক্ষা অনেক বেশি।”
— সূরা বাকারা (২:২১৯)

👉 এখানে সরাসরি হারাম বলা হয়নি, তবে বোঝানো হলো যে মদ ভালো জিনিস নয়।

২য় ধাপ: নামাজের সময়ে নিষেধ

এরপর আল্লাহ স্পষ্টভাবে বললেন—
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সালাতের কাছেও যেও না, যতক্ষণ না বুঝতে পারো কী বলছ।”
— সূরা নিসা (৪:৪৩)

👉 এই পর্যায়ে মদ পান করা সরাসরি নিষিদ্ধ হলো না, তবে নামাজের সময়ে তা সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলার আদেশ দেওয়া হলো।

৩য় ধাপ: চূড়ান্ত নিষিদ্ধকরণ

শেষে আল্লাহ মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য নির্ধারণের তীরকে শয়তানের অপবিত্র কাজ বলে ঘোষণা করলেন এবং সম্পূর্ণভাবে তা বর্জনের নির্দেশ দিলেন।
🔹 আয়াত:
“হে ঈমানদারগণ! মদ, জুয়া, মূর্তি ও ভাগ্য নির্ধারণের তীর — এগুলো তো অপবিত্র, শয়তানের কাজ। অতএব এগুলো থেকে বাঁচো, যাতে তোমরা সফল হও।”
— সূরা মায়েদা (৫:৯০-৯১)

👉 এখানে মদকে পুরোপুরি হারাম ঘোষণা করা হলো।

🔑 সারসংক্ষেপ

প্রথমে শুধু ক্ষতির কথা বলা হলো।

পরে বলা হলো নামাজের সময় মদ খাবেনা।

সবশেষে মদ পুরোপুরি হারাম করে দেওয়া হলো।

এভাবে ধাপে ধাপে নিষিদ্ধ করার মূল কারণ ছিল—
👉 সাহাবারা দীর্ঘদিন মদ্যপানের অভ্যাসে ছিলেন। যদি হঠাৎ করে একদিনে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আসত, তবে তা মানতে অনেকের কষ্ট হতো। তাই ইসলামের বিধান ধীরে ধীরে নামানো হয়েছে।

সেই নামাজীদের জন্য ধ্বংস যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে গাফলতি করে।  সূরাঃ আল মাউন ৪-৫। ٱلَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَ...
27/08/2025

সেই নামাজীদের জন্য ধ্বংস যারা নিজেদের নামাজের ব্যাপারে গাফলতি করে। সূরাঃ আল মাউন ৪-৫। ٱلَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
নামায পড়তে পড়তে ভুলে যাওয়া গোনাহের পর্যায়েও পড়ে না। বরং এটা আদতে কোন দোষ বা পাকড়াও যোগ্য কোন অপরাধও নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের নামাযের মধ্যে কখনো কখনো ভুল হয়েছে। তিনি এই ভুল সংশোধনের জন্য পদ্ধতি নির্ধারণ করেছেন। এর বিপরীতে عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ মানে হচ্ছে তারা নিজেদের নামায থেকে গাফেল। নামায পড়া ও না পড়া উভয়টিরই তাদের দৃষ্টিতে কোন গুরুত্ব নেই। কখনো তারা নামায পড়ে আবার কখনো পড়ে না। যখন পড়ে, নামাযের আসল সময় থেকে পিছিয়ে যায় এবং সময় যখন একেবারে শেষ হয়ে আসে তখন উঠে গিয়ে চারটি ঠোকর দিয়ে আসে। অথবা নামাযের জন্য ওঠে ঠিকই কিন্তু একবারে যেন উঠতে মন চায় না এমনভাবে ওঠে এবং নামায পড়ে নেয় কিন্তু মনের দিক থেকে কোন সাড়া পায় না। নামায পড়তে পড়তে কাপড় নিয়ে খেলা করতে থাকে। হাই তুলতে থাকে। আল্লাহর স্মরণ সামান্যতম তাদের মধ্যে থাকে না। সারাটা নামাযের মধ্যে তাদের এ অনুভূতি থাকে না যে, তারা নামায পড়ছে। নামাযের মধ্যে কি পড়ছে তাও তাদের খেয়াল থাকে না, নামায পড়তে থাকে এবং মন অনত্র পড়ে থাকে। তাড়াহুড়া করে এমনভাবে নামাযটা পড়ে নেয় যাতে কিয়াম, রুকূ’ ও সিজদা কোনটাই ঠিক হয় না। কেননা কোন প্রকারে নামায পড়ার ভান করে দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করে। আবার এমন অনেক লোক আছে, যারা কোন জায়গায় আটকা পড়ে যাবার কারণে বেকায়দায় পড়ে নামাযটা পড়ে নেয় কিন্তু আসলে তাদের জীবনে এ ইবাদাতটার কোন মর্যাদা নেই। নামাযের সময় এসে গেলে এটা যে নামাযের সময় এ অনুভূতিটাও তাদের থাক না। মুয়াজ্জিনের আজান কানে এলে কিসের আহবান জানাচ্ছেন, কাকে এবং কেন জানাচ্ছেন এ কথাটা একবারও তারা চিন্তা করে না। এটাই আখেরাতের প্রতি ঈমান না রাখার আলামত। কারণ ইসলামের সে তথাকথিত দাবিদাররা নামাজ পড়লে কোন পুরস্কার পাবে না বলে মনে করে না এবং না পরলে তাদের কপালে স্বার্থের ভোগ আছে এ কোথাও বিশ্বাস করে না। এ কারণে তারা এ কর্ম পদ্ধতি অবলম্বন করে। এজন্য হযরত আনাস ইবনে মালিক রাঃ ও হযরত আতা ইবনে দিনার বলেন- আল্লাহর শুকর তিনি ”ফি সালাতিহিম সাহুন” বলেননি বরং বলেছেন ”আন সালাতিহিম সাহুন।” অর্থাৎ আমরা নামাজে ভুল করি ঠিকই কিন্তু নামাজ থেকে গাফেল হই না। এজন্য আমরা মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত হবো না। কোরআন অন্যত্রে মুনাফিকদের অবস্থা বর্ণনা করেছেন- তারা যখনই নামাজে আসেন অবসাদগ্রস্তের মত আসে এবং যখনই আল্লাহর পথে খরচ করে অনিচ্ছাকৃতভাবে করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- এটা মুনাফিকের নামাজ। এটা মুনাফিকের নামাজ। এটা মুনাফিকের নামাজ। সে আসরের সময় বসে সূর্য দেখতে থাকে। এমনকি সেটা শয়তানের দুটো শিংয়ের মাঝখানে পৌঁছে যায়। অর্থাৎ সূর্যাস্তের সময় নিকটবর্তী হয়ে যায়। তখন সে উঠে চারটি ঠোকুর মেরে নেয়। তাতে আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করা হয়। যারা গড়িমসি করতে করতে নামাজের সময় শেষ হয় এমন অবস্থায় নামাজ পড়ে তারাই হচ্ছে এসব লোক। নামাজের মধ্যে অনিচ্ছা সত্ত্বে অন্য চিন্তায় এসে যায় এবং মুমিন যখনই অনুভব করে, তার মন নামাজ থেকে অন্য দিকে চলে গেছে তখনই সে চেষ্টা করে আবার নামাজে মনোনিবেশ করে। নামাজের প্রতি কখনো দৃষ্টি না দেয়া এবং নামাজ পড়তে পড়তে সব সময় অন্য বিষয় চিন্তা করতে থাকা অবস্থাটি নামাজে গাফিলতি করার পর্যায় ভুক্ত। কেননা এ অবস্থায় মানুষ শুধুমাত্র নামাজের ব্যায়াম করে। আল্লাহকে স্মরণ করার কোন ইচ্ছা তার মনে জাগে না নামাজ শুরু করা থেকে নিয়ে সালাম ফেরা পর্যন্ত একটা মুহূর্ত তার মন আল্লাহর প্রতি আকৃষ্ট হয় না। যেসব চিন্তা মাথায় পুরে সে নামাজে প্রবেশ করে তার মধ্যে সব সময় সেসব বিষয় ঢুকে থাকে।

কোন নামাজীদের জন্য ধ্বংস?
27/08/2025

কোন নামাজীদের জন্য ধ্বংস?

কার রাজত্ব আজ?
26/08/2025

কার রাজত্ব আজ?

26/08/2025

রাকার রাজত্ব আজ?

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ...........
26/08/2025

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ...........

আল্লাহর উপর যথাযথ ভরসা কর!
25/08/2025

আল্লাহর উপর যথাযথ ভরসা কর!

ঈমানদার, সৎ ও ধার্মিকদের মৃত্যুর প্রক্রিয়া কেমন হবে .. . . . .
19/08/2025

ঈমানদার, সৎ ও ধার্মিকদের মৃত্যুর প্রক্রিয়া কেমন হবে .. . . . .

“কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, হে মানব সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমার সেবা করো নি। মানব সন্তান বলবে, হে আমার...
19/08/2025

“কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, হে মানব সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তুমি আমার সেবা করো নি। মানব সন্তান বলবে, হে আমার প্রভূ! কীভাবে আমি আপনার সেবা করব, আপনিতো সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক? আল্লাহ বলবেন: তুমি কি জানতে না যে আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো? তুমি তো তাকে সেবা করো নি। তুমি কি জানতে না, যদি তার সেবা করতে তাহলে তার কাছে আমাকে পেতে? হে মানব সন্তান! আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাও নি। মানব সন্তান বলবে, হে আমার প্রভূ! কীভাবে আমি আপনাকে খাদ্য দেব, আপনিতো সৃষ্টিকুলের রব? আল্লাহ বলবেন: তুমি কি জানতে না যে আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিলো? তুমি তো খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে খাবার দিতে তাহলে তা আমার কাছে পেতে? হে মানব সন্তান! আমি পানি পান করতে চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে পানি পান করাওনি। মানব সন্তান বলবে, হে আমার প্রভূ! কীভাবে আমি আপনাকে পানী পান করাবো, আপনিতো সৃষ্টিকুলের প্রতিপালক? আল্লাহ বলবেন: তুমি কি জানতে না যে আমার অমুক বান্দা পিপাসিত ছিল? তুমি তো তাকে পানী পান করাও নি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে পানী পান করাতে তাহলে তা আমার কাছে পেতে?”[1]

এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে, ক্ষুধা-পিপাসায় কষ্ট পেলে সেবা ও সাহায্য পাওয়া তার একটি অধিকার। সামর্থ থাকা সত্বেও এ অধিকার আদায় না করলে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে জওয়াব দিতে হবে।

মোত্তাকীদের জন্য হিদায়াত . . . . .. .
19/08/2025

মোত্তাকীদের জন্য হিদায়াত . . . . .. .

Address

House-01. Road-06, Block-G, Bosila Garden City, Mohammadpur
Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Porom Sotto - পরম সত্য posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Porom Sotto - পরম সত্য:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram