Naqaa Healing

Naqaa Healing রুক্বইয়াহ শারইয়্যাহ এবং ইসলামিক কাউন্সেলিং
Healing with Purity By Allaah's Leave

আমরা নববী চিকিৎসা পদ্ধতি প্রদান করে থাকি আল্লহর বান্দাদের জন্য- কুর'আন ও সুন্নাহ দারা রুকইয়াহ আশ-শারইয়্যাহ, হিজামা, ও ইসলামিক কাউন্সেলিং

আলহামদুলিল্লাহ্‌গতকাল থেকে পুনরায় Naqaa Healing এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।📅এ্যাপয়েন্টমেন্ট⏲ বুক করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ ক...
11/06/2025

আলহামদুলিল্লাহ্‌
গতকাল থেকে পুনরায় Naqaa Healing এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
📅এ্যাপয়েন্টমেন্ট⏲ বুক করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন - WhatsApp, Facebook Messenger অথবা Phone-call

07/06/2025

তাক্বব্বালাল্লহু মিন্না ওয়া মিনকুম!
ঈদ মুবারাক!
----
কুরবানির সময় মুশরিক জ্বিন-জাদুকরের দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটা সমস্যা দেখা যায়। গরুর গোশত খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে বা খেতে কষ্ট হয়। কিংবা গরুর গোশত রান্না হলে মুশরিক জ্বিনগুলো শরীরে ভর করে জুলুম অত্যাচার করে। বাড়িতে বিশৃঙ্খলা করে। গ্রুপে অনেক ভুক্তভুগি আছেন, তাদের বিষয়টা জানা থাকাবে হয়ত।

এই অঞ্চলটায় মানুষদের মাঝে যেমন মুশরিকদের আধিক্য আছে, জ্বিন-শয়তানদের মাঝেও এরকমই। এজন্য এরা সুযোগ পেলেই মুসলিমদের ওপর জুলুম অত্যাচার করে।

যাহোক, যাদের সমস্যা হয় আপনারা দুইটা জিনিস মাথায় রাখবেন।

১.
গরুর গোশত খাওয়া বাদ দিবেন না। বরং রুক্বইয়াহর আয়াত/দুআ পড়ে ফু দিয়ে বেশি করে খাবেন। (“আয়াতুল কুরসি", “তিন কুল” পড়তে পারেন।
ছোট কিছু দুআ যেমন-
“বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মাআসমিহি শাই'উন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস-সামা'ই ওয়া হুয়াস সামীঊল-আলীম”
এছাড়াও সিহরের আয়াত বা সুরাহ তাওবার শুরুর কিছু আয়াত পড়তে পারেন চাইলে।)

এতে উপকার পাবেন ইন শা আল্লহ। এবং আল্লহ চাইলে এভাবে শয়তান দুর্বল হয়ে যাবে বা শিরকি জাদু নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও গরু কাটাকুটি করা, রান্না করা সব কাজেই সাধ্যমত অংশ নিবেন।

২.
ঈদের ছুটিতেও হিফাজতের আমল গুরুত্ব দিয়ে করবেন। বিশেষতঃ সকাল-সন্ধ্যায় ১০ বার পড়ার যে দুআটি আছে - “লা-ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু...ক্বদীর”
এটা মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন। আর তাকবীরুত তাশরিক তো আবশ্যক, এটাও নিয়মিত পড়বেন।

মূলত এইটুকুই কথা। এরপরেও যাদের সমস্যা আছে, তাদেরকে দেয়া পরামর্শ মোতাবেক রুক্বইয়াহ করতে থাকবেন। বাদ দিবেন না।

সবাইকে শুকরিয়া। আল্লহ আমাদেরকে নিরাপদ রাখুক। ভালো রাখুক। ঈমানের সাথে রাখুক। আমিন। ঈদ মুবারক।

© Abdullah Almahmud

ঈদুল আদ্বহা উপলক্ষে ছুটির ঘোষণাঃআজ ০৬/০৬/২০২৫ঈঃ তারিখ থেকে আগামী ০৯/০৬/২০২৫ঈঃ তারিখ পর্যন্ত Naqaa Healing-এর সকল কার্যক্...
06/06/2025

ঈদুল আদ্বহা উপলক্ষে ছুটির ঘোষণাঃ
আজ ০৬/০৬/২০২৫ঈঃ তারিখ থেকে আগামী ০৯/০৬/২০২৫ঈঃ তারিখ পর্যন্ত Naqaa Healing-এর সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল আদ্বহার অগ্রিম শুভেচ্ছা -
ঈদ মুবারক! তাক্বব্বালাল্লহু মিন্না ওয়া মিনকুম!

বিঃদ্রঃ আজ ইয়াউমুল আরাফাহ (৯ম যুল হিজ্জাহ)! আজকের দিনের স্বিয়াম-ঈবাদাত-যিকর অনেক বেশি ফাযীলাতপূর্ণ! তাই যতটা সম্ভব এই বিশেষ দিনটির যথাযথ হক্ব আদায় করার চেষ্টা করি ইন শা আল্লহ!

04/06/2025

আল্লহু আকবার্‌!
আল্লহু আকবার্‌!
লা ইলাহা ইল্লা-ল্লহ্‌
ওয়াল্লহু আকবার্‌!
আল্লহু আকবার্‌!
ওয়া লিল্লাহিল হামদ্‌!


11/04/2025

❝বাংলা নববর্ষ: আনন্দের আড়ালে অজ্ঞতার অন্ধকার❞
বাংলা নববর্ষ, আমাদের সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারে একটি বহুল আলোচিত দিন। পহেলা বৈশাখ এলেই শহর থেকে গ্রাম—সবখানে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। রঙিন পোশাক, র‍্যালি, গান-বাজনা, হরেক রকম খাবার—সব মিলিয়ে যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশ। কিন্তু, এই সব কিছুর আড়ালে এমন কিছু কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় যা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে স্পষ্টভাবে হারাম ও বিভ্রান্তিকর। চলুন দেখে নেই-
🚫১. মঙ্গল শোভাযাত্রা ও পৌত্তলিক প্রভাব:
পহেলা বৈশাখে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নামে যে কার্যক্রম পালিত হয়, সেটি মূলত হিন্দু ধর্মীয় রীতি থেকে আগত। এখানে দেখা যায় মুখোশ, দেব-দেবীর প্রতীক, প্রতিমা ইত্যাদি বহন করা হয়—যা মূলত হিন্দু পৌত্তলিকতার অংশ। একজন মুসলমানের জন্য এ ধরণের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। মহান আল্লহু তাআলা বলেন:
وَلَا تَلْبِسُوا۟ ٱلْحَقَّ بِٱلْبَـٰطِلِ وَتَكْتُمُوا۟ ٱلْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
“তোমরা সত্য ও মিথ্যাকে এক করে উপস্থাপন করো না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না।” (সূরা আল-বাকারা: ৪২)

⚠২. পূজা ও তান্ত্রিক কার্যকলাপ:
অনেক স্থানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গৃহদেবতা বা স্থানদেবতার পূজা করা হয়। আবার অনেকে বছরের শুরুতে কুসংস্কারাচ্ছন্ন তাবিজ-কবচ, কালোজাদু বা তান্ত্রিক পদ্ধতি গ্রহণ করে 'ভাগ্য ফেরানোর' চেষ্টা করে। এসব জিনিস ইসলাম স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে। রসূলুল্লহ ﷺ বলেন:
“যে ব্যক্তি গণক বা জ্যোতিষীর কাছে যায় এবং তার কথা বিশ্বাস করে, সে মুহাম্মাদ ﷺ-এর উপর অবতীর্ণ ধর্মকে অস্বীকার করল।” (আবু দাউদ, হাদীস: ৩৯০৪)
এমনকি পুরোনো জাদুও অনেকসময় জাদুকরেরা পুণঃনবায়ন করে।

❌৩. নারীদের অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা:
উৎসবের নামে অনেক নারী-পুরুষ এমনভাবে পোশাক পরে যা ইসলামের পর্দার বিধানকে চরমভাবে লঙ্ঘন করে। নাচ, গান, উচ্চ শব্দে বাজনা ইত্যাদি তো রয়েছেই। এগুলো সমাজে ব্যভিচার, ফিতনা ও অশান্তির বীজ বপন করে।
আল্লহু আযযা ওয়া জাল সতর্ক করে বলেন:
إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلْفَـٰحِشَةُ فِى ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌۭ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ ۚ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
"যারা মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তদ শাস্তি এবং আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।" (২৪:১৯)

⛔৪. ইসলামের বিকল্প মনে করা বা নতুনত্ব আনতে চাওয়া:
আমাদের অনেকেই এ দিনকে 'ঈদের' মত উদযাপন করি, অথচ যেকোনো প্রকার নববর্ষ পালনই ইসলামের কোনো উৎসব নয়! এটাকে দ্বীনের অংশ মনে করে পালন করা বিদআত, এবং অনেক ক্ষেত্রে শিরক পর্যন্ত হয়ে যায়।

❤️ সমাধান কী? —
কালোজাদু, পূজা কিংবা শিরকীয় কার্যক্রম নয়—
বরং কুর'আন তিলাওয়াত; নিজের জন্য, পরিবার-আত্নীয়সজন-বন্ধুবান্ধব ও উম্মাতের জন্য অনেক দুআ করা, আত্নার পরিশুদ্ধি এবং রুক্বইয়াহর মাধ্যমে হোক আমাদের নববর্ষের শুরু।

তাই আসুন, নতুন বছরে নিজেকে নতুন করে আল্লহর পথে ফিরিয়ে নেই।
নতুন বছরের প্রতিজ্ঞা হোক— “আমার জীবন হোক তাওহীদের আলোয় আলোকিত।”


#বাংলানববর্ষ
#তাওহীদ #রূহানিয়াত
#কালোজাদু #ইসলামবিরোধী_উৎসব

তাক্বব্বালাল্লহু মিন্না ওয়া মিনকুম!ঈদ মুবারক আলাইনা ওয়া আলাইকুম বিল-খইর!রহমাত-মাগফিরতপূর্ণ মাস রমাদ্বন শেষে এলো ঈদুল ফিত...
31/03/2025

তাক্বব্বালাল্লহু মিন্না ওয়া মিনকুম!
ঈদ মুবারক আলাইনা ওয়া আলাইকুম বিল-খইর!
রহমাত-মাগফিরতপূর্ণ মাস রমাদ্বন শেষে এলো ঈদুল ফিত্বর!
১ মাস একনিষ্ঠতার সাথে আমলের পর আজ আল-মালিকুল মুলক আল্লহ রব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদেরকে নিজ হতে প্রতিদান দিবেন- এই আনন্দের দিনই তো হলো ঈদুল ফিত্বর!
আল্লহ আমাদেরকে তাঁর সে সমস্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন যাদেরকে তিনি ক্ষমা করে দিবেন।

পরিশেষে, দুনিয়ার সকল মাজলুম মুসলিম ভাই ও বোনেদের জন্য আল্লহর কাছে খাস্ব করে দুআ করি, বিশেষ করে ফিলিস্তীনের ভাই-বোনদের জন্য, যেন আল-আযীযুল মুতাকাব্বির তাঁর নুস্বরত দান করেন, এবং আমাদেরকে তাউফীক্ব দান করেন যেন আমরা উম্মাহর দায়িত্ব যথাযথভাবে আদায় করতে পারি। আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন!

২৯শে রমাদ্বন পর্যন্ত Naqaa Healing এর রুক্বইয়াহ ও কাউন্সেলিং সার্ভিসের উপর থাকছে FLAT 50% DISCOUNTসময়সূচিঃ সকাল ৮:০০ থেক...
23/03/2025

২৯শে রমাদ্বন পর্যন্ত Naqaa Healing এর রুক্বইয়াহ ও কাউন্সেলিং সার্ভিসের উপর থাকছে FLAT 50% DISCOUNT

সময়সূচিঃ সকাল ৮:০০ থেকে বিকাল ৪:৪৫ পর্যন্ত
(সময়সূচির ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি দেখে নিন - https://www.facebook.com/share/p/1C3zrt9PqJ/ )

প্রশ্নঃ রমাদ্বন মাসে জ্বিনেরা তো বন্দী⛓ থাকে, তাহলে এই মহিমান্বিত🌙 মাসে জ্বিন/জাদু🔥 দ্বারা আক্রান্ত কিছু ভাই-বোনদের সমস্...
07/03/2025

প্রশ্নঃ রমাদ্বন মাসে জ্বিনেরা তো বন্দী⛓ থাকে, তাহলে এই মহিমান্বিত🌙 মাসে জ্বিন/জাদু🔥 দ্বারা আক্রান্ত কিছু ভাই-বোনদের সমস্যা হঠাৎ করে বেড়ে💥 যায় কেন❓❓❓

আলহামদুলিল্লাহ্‌!
ওয়াস্ব-স্বলাতু ওয়াস-সালামু আলা রসূলিল্লাহ্‌!
পবিত্র রমাদ্বন মাস হলো রহমাতের মাস! আল্লহর মাগফিরত ও জাহান্নাম থেকে নাজাতের মাস! এবং এই মাসে আল্লহ রব্বুল আলামীন জ্বিন শয়তানদেরকে শেকলবন্দি করে রাখেন। এ সংক্রান্তে আমরা রসূলুল্লহ ﷺ-এর অনেক সংখ্যক হাদীস দেখতে পাই।
..سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا كَانَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ
আবূ হুরাইরাহ (রদ্বিঃ) থেকে বর্ণিত যে, "রসূলুল্লহ ﷺ বলেছেনঃ "যখন রমাদ্বন আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।"
[সুনান আন-নাসাঈ: অধ্যায়- كتاب الصيام, ২১০৫ - সহীহ]

আরো বিস্তারিত বর্ণনায়-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ. وَفُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَيُنَادِي مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ
আবূ হুরাইরাহ (রদ্বিঃ) হতে বর্ণিত আছেঃ তিনি বলেন, "রসূলুল্লহ ﷺ বলেছেনঃ "শয়তান ও দুষ্ট
জ্বিনদেরকে রমাদ্বন মাসের প্রথম রাতেই শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয় এবং এর দরজাও তখন আর খোলা হয় না; খুলে দেওয়া হয় জান্নাতের দরজাগুলো এবং এর একটি দরজাও তখন আর বন্ধ করা হয় না। (এ মাসে) একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ 'হে কল্যাণ অন্বেষণকারী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও।' আর বহু লোককে আল্লহ্ তাআলার পক্ষ হতে এ মাসে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে।"
[সুনান আত-তিরমিযী: অধ্যায়- كتاب الصوم عن رسول الله ﷺ, ৬৮২ সহীহ]
[আব্দুর রহমান ইবনু আউফ (রদ্বিঃ), ইবনু মাসউদ (রদ্বিঃ) ও সালমান (রদ্বিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।]

উপরোক্ত হাদীসসমূহ সম্পর্কে আলিমদের ব্যাখ্যা থেকে আমরা জানতে পারি যে-
১. “শয়তানদের শৃঙ্খলিত করা হয়” (صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ):
অর্থাৎ শয়তানদের কার্যক্ষমতা দূর্বল হয়ে পড়ে এবং তারা সহজে মানুষকে গুনাহের দিকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়;
ঈমাম আন-নাবাউয়ী ব্যাখ্যা করেছেন যে, "এটি পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা নয়, বরং তাদের ক্ষমতা হ্রাস পায়।"
২. “মারদাতুল-জ্বিনদেরকে বন্দী করা হয়” (وَمَرَدَةُ الْجِنِّ):
অর্থাৎ সব জ্বিনকে নয়, বরং যারা সবচেয়ে বেশি বিদ্রোহী শয়তান জ্বিন কেবল তাদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়।
ঈমাম ইবনু হাজার আল-আসকালানী (রহঃ) তার কিতাব 'ফাতহুল বারী'-তে ব্যাখ্যা করেছেন যে, "এখানে 'শয়তান' বলতে শুধু দুষ্ট প্রকৃতির শক্তিশালী শয়তানদের (মারদাতুল-জ্বিন) বোঝানো হয়েছে। ছোট ও দুর্বল জ্বিন শয়তানরা এখনও সক্রিয় থাকতে পারে, তবে তাদের কাজের ক্ষমতা অনেকটাই সীমিত হয়।"
ইমাম আল-কুরতুবী (রহঃ) তার কিতাব 'আল-মুফহিম'-এ বলেন, "শয়তানের প্রধান কাজ হলো মানুষকে পথভ্রষ্ট করা, কিন্তু রমাদ্বনে এটি কঠিন হয়ে পড়ে। তবে মানুষ নিজের নাফসের (প্রবৃত্তির) কারণে এখনো গুনাহ করতে পারে।"

দ্বিতীয়ত,
রমাদ্বন মাসে কেন জাদুর প্রভাব বাড়ে??
অনেক জাদুতে আক্রান্ত ভাই-বোনেরা লক্ষ্য করেন যে, রমাদ্বনে তাদের উপর করা কালোজাদুর প্রভাব আরও তীব্র হয়। যদিও শয়তানরা শৃঙ্খলিত থাকে, তবুও জাদুর সমস্যার বৃদ্ধি সম্পর্কে আলিমগণ কিছু কারণ ব্যাখ্যা করেছেন:

১. শয়তান শৃঙ্খলিত, কিন্তু মানুষ ও তার সহযোগী জ্বিনরা নয়-
শয়তান ও জ্বিনের মধ্যে পার্থক্য আছেঃ যারা জাদু করে (অর্থাৎ জাদুকর), তারা নির্দিষ্ট জ্বিনদের সাহায্য নিয়ে কাজ করে।
ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) তার কিতাব 'মাজমু ফাতাওয়া'-এ বলেন, "শয়তানদের কার্যক্ষমতা কমে গেলেও যারা পূর্ব থেকেই জাদুর মাধ্যমে নিয়োজিত ছিল, তারা তাদের কাজ চালিয়ে যায়।"
২. সব শয়তান বন্ধিত্বে নয়, শুধু বিদ্রোহীরা-
ইবনে হাজার আসকালানী (রহঃ) ব্যাখ্যা করেন, "শুধু সবচেয়ে বিদ্রোহী শয়তানরা শৃঙ্খলিত হয়, কিন্তু কম শক্তিশালী শয়তানরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে রয়ে যায়।"
৩. জাদুর প্রভাব আগেও চালু ছিল-
শয়তানরা রমাদ্বনের পূর্বে কাজ করে এবং তারা একটি স্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি করে; ফলে রমাদ্বনে এটি নতুন আক্রমণ নয়, বরং আগের প্রভাবের অব্যাহত অবস্থা।
রমাদ্বনে কুর'আন তিলাওয়াত ও রুক্বইয়াহ বাড়ানোর ফলে শয়তানরা দুর্বল হয়। তারা আরও বেশি প্রতিরোধ করতে চায়, যার ফলে রোগীর উপর আরও বেশি আক্রমণের অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
৪. নাফস (প্রবৃত্তি) এবং মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব-
অনেক সময় মানুষ নিজের নাফস এবং মানসিক দুর্বলতার কারণে সমস্যাগুলোকে আরও বড় মনে করে।
ঈমাম আল-গাযযালী (রহঃ) তার কিতাব 'ইহইয়া উলুম আদ-দ্বীন'-এ বলেন, "অনেক সময় আমরা নিজেদের মানসিক চিন্তাগুলোকে শয়তানের কাজ বলে ভাবি, অথচ এর উৎস আমাদের নাফস ও মানসিক অবস্থা হতে পারে।
৫. রমাদ্বনে নতুন করে বা বেশি করে জাদু করা হয়-
রমাদ্বনে ঈমানদারদের আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়, তাই জাদুকররা প্রতিরোধের জন্য বেশি সক্রিয় হয়।
রমাদ্বনে মুসলিমদের ইবাদাতের প্রতি অধিক অগ্রসর হওয়া, কুরআন পড়া, দুআ করা ও রুক্বইয়াহ করার ফলে আগে করা জাদুর প্রভাব নষ্ট হতে থাকে; এজন্য, জাদুকররা নতুন করে জাদু করে, যাতে পূর্বের জাদুর প্রভাব পুনরায় সক্রিয় হয়।
জাদুকররা রমাদ্বনে শয়তানদের সাহায্য পাওয়ার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান করে; কিছু জাদুকররা রমাদ্বনের প্রথম রাতে এবং শেষ দশকে বিশেষ জাদুকরী অনুষ্ঠান ও কুফরী আমল করে, যাতে তারা শয়তানদের পূর্ণ সহযোগিতা পায় এবং নতুন করে জাদু করে পূর্বের জাদুকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে।

পরিশেষে, কিছু মানুষের জন্য রমাদ্বন আল্লহর পক্ষ থেকে একটি বড় ঈমানী পরীক্ষা হয়ে আসে। তাই অনেক সময় আল্লহ মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার জন্য তাদের ওপর জাদুর সমস্যা বৃদ্ধি হতে দেন।

সংক্ষেপেঃ
১. রমাদ্বনে শয়তানদের কার্যক্ষমতা কমে যায়, বিশেষ করে শক্তিশালী-বিদ্রোহী শয়তান জ্বিনেরা শেকলবন্দি থাকে, কিন্তু শয়তানের উৎপাত একদম বন্ধ হয়ে যায় না, যেহেতু অন্যান্য জ্বিন শয়তানরা (দূর্বলভাবে হলেও) মুক্ত আছে।
২. কালোজাদুর প্রভাব অব্যাহত থাকার বা বৃদ্ধি পাবার কারণ:
-> জাদুকরের নতুন করে জাদু করা
-> পূর্বের চালু থাকা জাদুর প্রভাব অব্যাহত থাকা
-> নির্দিষ্ট জ্বিনের সাহায্যে জাদুর কাজকর্ম জাদুকররা চালিয়ে যায়
-> নাফস ও মানসিক চাপের কারণে সমস্যাগুলো বেশি অনুভূত হওয়া

[মাঝে ইন্টারনেট কানেকশনে বিঘ্ন ঘটার কারণে যথা সময়ে পোস্টটি করা সম্ভব হয়ে উঠেনি, এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত]

07/03/2025

আজকে বাদ মাগরীব ❝রমাদ্বন এবং জ্বিন-জাদু❞ কুইজটির উত্তরটি জানানো হবে ইন শা আল্লহ, এবং বিজয়ীদের নামও ঘোষণা করা হবে, ইন শা আল্লহ!

05/03/2025

❔❓❔
রমাদ্বন মাসে জ্বিনেরা তো বন্দী থাকে, তাহলে এই পবিত্র মাসে কিছু জ্বিন/জাদু আক্রান্ত ভাই-বোনদের সমস্যা হুট করে বেড়ে যায় কেন⁉️

আলহামদুলিল্লাহ্‌!🌙রমাদ্বনুল মুবারক!রমাদ্বন মাস উপলক্ষ্যে সেন্টারের সময়সূচি নিম্নে দেয়া হলোঃ📅সপ্তাহে ৭ দিন⏳সকাল ৮:০০ থেকে...
01/03/2025

আলহামদুলিল্লাহ্‌!
🌙রমাদ্বনুল মুবারক!
রমাদ্বন মাস উপলক্ষ্যে সেন্টারের সময়সূচি নিম্নে দেয়া হলোঃ
📅সপ্তাহে ৭ দিন
⏳সকাল ৮:০০ থেকে ⌛বিকাল ৪:৪৫ পর্যন্ত;
দুপুর ১২:৫৫ থেকে দুপুর ১:৫৫ পর্যন্ত স্বলাতের বিরতি থাকবে
🕌জুমুআহর দিন দুপুর ১২:০০ থেকে দুপুর ২:০০ পর্যন্ত স্বলাতের বিরতি থাকবে

আল্লহু সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে এই মহিমান্বিত রমাদ্বনকে যথাযথ মূল্যায়নের তাউফীক্ব দান করুন। আমীন

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 08:00 - 13:00
14:00 - 20:00
Tuesday 08:00 - 13:00
14:00 - 20:00
Wednesday 08:00 - 13:00
14:00 - 20:00
Thursday 08:00 - 13:00
14:00 - 20:00
Friday 08:00 - 12:00
15:00 - 20:00
Saturday 08:00 - 13:00
14:00 - 20:00
Sunday 08:00 - 13:00
14:00 - 20:00

Telephone

+8801711575450

Website

https://t.me/Naqaa_Healing, https://hushup.app/naqaahealing

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Naqaa Healing posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Naqaa Healing:

Share