Dr. Md Mokbul Ahamed Belal Physiotherapy Specialist

Dr. Md Mokbul Ahamed Belal Physiotherapy Specialist বাতব্যাথা,প্যারালাইসিস,প্রতিবন্ধী,স্পোর্টস ইনজুরি ও ইউরোলজিক্যাল(মেনস্ হেলথ) এর ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ

ফিজিওথেরাপিস্টরা কি ডাক্তার?----------------------------------------------ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যারা প্রদান করেন, তারা ফিজ...
19/03/2025

ফিজিওথেরাপিস্টরা কি ডাক্তার?

----------------------------------------------

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যারা প্রদান করেন, তারা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক। উনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বিষয়ে পাঁচ বছর ( তত্ত্বীয় চার বছর ও ইন্টার্নশিপ এক বছর) পড়াশোনা করেন। এছাড়াও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের সহকারী হিসাবে সহায়তা করার জন্য ৩-৪ বছর মেয়াদি "ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি" কোর্স রয়েছে।

এই যে আমি এখানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক বললাম, এটাতে কিছু মানুষের আপত্তি থাকলেও ৫ বছর মেয়াদী "ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (বি.পি.টি)" ডিগ্রিধারীরা যে ফিজিওথেরাপিস্ট, সে বিষয়ে তাদের কোনও আপত্তি নাই।

আসুন এবার "ফিজিওথেরাপিস্ট" শব্দটি বিশ্লেষণ করি। "ফিজিওথেরাপিস্ট" শব্দটি "ফিজিক্যাল" ও "থেরাপিস্ট" দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। তো "ফিজিক্যাল" শব্দের অর্থ এখানে "ভৌত" এবং " থেরাপিস্ট" শব্দের অর্থ " চিকিৎসক"। সুতরাং "ফিজিওথেরাপিস্ট" অর্থ ভৌত চিকিৎসক। এখন আপনার মনে না মানলে চিকিৎসা শাস্ত্রে থেরাপিস্ট আর ডক্টর যে সমার্থক, তা আগে জেনে নিন।

এবার আসুন যারা বলেন এমবিবিএস বিডিএস ব্যতীত কেও ডাঃ লিখতে পারবে না, তাদের মত নিয়া কথা বলি।
আচ্ছা ভাই, এমবিবিএস ও বিডিএস কিসের ভিত্তিতে ডাঃ লিখে? তো সহজ উত্তর "বিএমডিসি আইন ২০১০" এর ভিত্তিতে। এই আইনটি কাদের জন্য, ভাই? যারা এ্যালোপ্যাথিক সিস্টেম অব মেডিসিন প্র্যাকটিস করে, তাদের জন্য। ফিজিওথেরাপিস্টরা কি এ্যালেপ্যাথিক সিস্টেম অব মেডিসিনে প্রাকটিস করে?মোটেই না।

ফিজিওথেরাপি হলো ভৌত চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে বল, তাপ, চাপ, গতি, তরঙ্গ, শক্তি, জল, শৈত্য, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিভিন্ন ভৌত উপাদান ও পদ্ধতি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আর এ্যালোপ্যাথি সিস্টেম অব মেডিসিন হলো এ্যালোপ্যাথিক ড্রাগ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আরো সোজা কথায় এ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি এসব হলো ফার্মাসিউটিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি, আর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো নন-ফার্মাসিউটিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি।
শুধু তাই নয়, এ্যালোপ্যাথিক প্রেসক্রিপশন এবং ফিজিওথেরাপি প্রেসক্রিপশনও সম্পূর্ণ পৃথক ধরনের। কাজেই ফিজিওথেরাপি কখনোই বিএমডিসি আওতাভুক্ত ছিলো না। তারপরও জাস্ট হয়রানি করার যে দূরাভিলাষ কিছু কুচক্রী লোকের ছিলো "বিএমডিসি আইন-২০১০" এর ২৯ নং ধারা দিয়ে, তাও মহামান্য হাইকোর্ট ফিজিওথেরাপিস্টদের উপর প্রয়োগমূলক নয় বলে স্হগিত করে দিছে।

এবার আসুন পরের কথায়। যখন আইনুকানুন ছিলো না, তখন লোকে কিসের ওপর ভিত্তি করে ডাঃ হতো বা লিখতো? নিশ্চয়ই তার অর্জিত নলেজ এবং সেই নলেজ রোগীর সমস্যা নির্ণয় করে সমাধানক্ষম কি না, তার উপর ভিত্তি করেই লিখতো। সেই হিসেবেও ফিজিওথেরাপিস্টদের ডাঃ বলতে হবে। কারণ ফিজিওথেরাপিস্টদের অর্জিত নলেজ পর্যাপ্ত এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, অর্থোপেডিক্স, কাইনেসিওলজি, প্যাথলজি, রিউম্যাটোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ও ফার্মাকোলজি সমৃদ্ধ। যার বিশ্বাস হবে না, তিনি বিপিটি কারিকুলাম পড়ে দেখতে পারেন। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার "ক্লাসিফিকেশন অব হেলথওয়ার্কার" এ বলে দিছে যে, ফিজিওথেরাপিস্টরা সমস্যা নির্ণয় এবং সমাধান পরিকল্পনা প্রণয়নে সক্ষম। সুতরাং এর পরেও অবিশ্বাসের কারণ থাকতে পারে না।

এবার আসুন একদল লোক মনে করে যে, ফিজিওথেরাপিস্টরা ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। এটিও স্বল্প নলেজের বহিঃপ্রকাশ। ফিজিক্যাল মেডিসিন একটি আলাদা ধারা। আর রিহ্যাবিলিটেশন একটি টিম এপ্রোচ, সেখানে বহু পেশাজীবি কাজ করে। ফিজিওথেরাপির কাজটুকু ফিজিওথেরাপিস্টরা করে। এটার মানে এটা নয় যে, ফিজিওথেরাপি মানেই রিহ্যাব। একজন এনেস্থেলজির ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে টিম মেম্বার হিসেবে থাকেন বলে এটা নয় যে, পেইন ম্যানেজমেন্টে তাদের পৃথক সত্তা নাই। রিহ্যাবের বাইরেও ফিজিওথেরাপির স্বাধীন সত্তা আছে মাস্কুলোস্কেলটাল মেডিসিনে, আছে নিউরোলজিতে, আছে ইউরোলজিতে, আছে স্কিন ভিডিতে, আছে ওমেন হেলথে, আছে ফিটনেস কেয়ারে, আছে পিডিয়াট্রিক্সে। এত বিস্তৃত একটা বিষয়কে রিহ্যাবের ভিতর চাপিয়ে দেওয়াও এক ধরনের মূর্খতা। দুর্ভাগ্য এই মুর্খতার শিকার অনেক শিক্ষিতরাও। এরপরও কিছু লোক নানান কথা দিয়ে প্যাচাঁবে। তাদের জন্য একটু ইতিহাস বলি। ১৯২৯ সালের আগে ফিজিক্যাল মেডিসিন বলে কিছু ছিলো না। তখনও ফিজিওথেরাপি ছিলো। ম্যাকেন্জি সাহেব ১৯০৪ সালে পেনসেলভেনিয়া ইউনিভার্সিটিতে ফিজিওথেরাপি পড়াতেন মেডিকেল স্টুডেন্টদের। তিনি তখন "দ্যা হ্যান্ডবুক অব ফিজিক্যাল থেরাপি" নামক টেক্সটবুক লিখেন। তার সেই বই পড়া ছাত্রদের একজন 'জন স্ট্যানলি' ফিজিক্যাল মেডিসিন স্পেশালিটি তৈরির চেষ্টা শুরু করেন। তখন আমেরিকায় ছিলো "আমেরিকান কলেজ অব রেডিওলজি এন্ড ফিজিওথেরাপি"। ১৯২৩সালে এটারই নামকরন করা হয় "আমেরিকান কংগ্রেস অব রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন", যেটার সদস্য ছিলো ফিজিক্যাল থেরাপি ফিজিশিয়ান (যারা পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে নিজেদের ফিজিয়াট্টিস্ট বলা শুরু করে এবং লোকে যাদের ফিজিক্যাল মেডিসিন বলে জানে), ফিজিক্যাল থেরাপি টেকনিশয়ান (এরা কিন্তু ফিজিওথেরাপিস্ট ছিলো না) এবং রেডিওলজিস্টরা। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে এই ফিজিক্যাল থেরাপি ফিজিশিয়ানরা মনে করেন তাদের ভিন্ন ধারায় মেডিকেল স্পেশালিটি হিসেবে বেড়ে ওঠা উচিৎ। সেই হিসেবে ১৯৩৮ সালে তারা "আমেরিকান এ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিক্যাল মেডিসিন" এর যাত্রা শুরু করেন। তারও বহু আগে ১৯২১ সালে ম্যারি ম্যাকমিলান কতৃক "আমেরিকান ফিজিক্যাল থেরাপি এ্যাসোসিয়েশন" গঠিত হয়। তারও আগে ১৮৯৪ সালে "চার্টার্ড সোসাইটি অব ফিজিওথেরাপি" লন্ডনে গঠিত হয়। সুতরাং বুঝা গেলো, ফিজিক্যাল মেডিসিন থেকে ফিজিওথেরাপি আসে নাই। বরং ফিজিওথেরাপি থেকে ফিজিক্যাল মেডিসিন জন্ম নিছে।
আজও আমেরিকায় ফিজিক্যাল মেডিসিন আছে, আছে ফিজিওথেরাপিস্টরাও। কিন্তু কেউ কারো অধীন নয়। ফিজিক্যাল মেডিসিন আলাদা রোগী দেখে, ফিজিওথেরাপিস্টরাও আলাদা বিভাগে রোগী দেখে।

এবার বাংলাদেশের কথায় আসি। বাংলাদেশেও ফিজিওথেরাপি ১৯৫৮ সালে আসছিলো। ১৯৬০ সালে ঢাকা মেডিকেলে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু হয়। এই ঢাকা মেডিকেলে ইলেক্ট্রোথেরাপিরও আলাদা বিভাগ ছিলো। চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আরো কয়েকটি মেডিকেলে পরে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু করা হয়।
১৯৬৯ সালে ঢাকা মেডিকেলের সেই ফিজিওথেরাপি বিভাগটি দখল করে "ফিজিক্যাল মেডিসিন" বিভাগ নামে এদেশের ফিজিক্যাল মেডিসিন এর যাত্রা শুরু হয়।
সুতরাং আজকে এদেশে ফিজিওথেরাপিস্টরা ডাঃ নয় বলার আগে ইতিহাসটা জেনে বলুন। তাহলে মনুষ্যত্ব থাকলে নিজের কিছুটা হলেও লজ্জা পাওয়ার কথা।

সবশেষ কথা বলি ইংল্যান্ডে এ্যালোপ্যাথিক ফিজিশিয়ানরা ডাঃ লিখে। ডাঃ লিখে না সার্জনরা। তাই বলে সার্জনরা চিকিৎসক নয়?
সার্জনদের সবচেয়ে বড় শক্তি এনাটমি। (সার্জারী কোনও প্যাথির অন্তর্ভুক্ত নয়, এটি পৃথক সিস্টেম অব ট্রিটমেন্ট)। সার্জনরা তার এনাটমির নলেজ শরীর কেটে প্রয়োগ করে, আর ফিজিওথেরাপিস্টরা খালি চোখে শরীর না কেটে এনাটমির নলেজ প্রয়োগ করে। সেই বিচারে ফিজিওথেরাপিস্টরা সার্জনদের আগে ডাঃ লিখার ও চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
উপমহাদেশের সার্জনরা ইংল্যান্ডকে ফলো করলেও ডাঃ লিখার বেলায় উপমহাদেশের ট্রেন্ডকে আইন বানিয়ে তা ফলো করে। আর পুরো উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তানে ফিজিওথেরাপিস্টরা ডাঃ লিখে প্র্যাকটিস করলেও বাংলাদেশের বেলায় অনেকের মানতে কষ্ট লাগবে। তা লাগারই কথা। কারণ দীর্ঘদিন আয়া বুয়াকে ব্যায়াম শিখায়া রোগীদের কাছে যারা বলেছে এরাই "ফিজিওথেরাপিস্ট"। হঠাৎ করে বিপিটি ডিগ্রিধারীদের রোগীদের কাছে ডাঃ বলতে তাদের জ্বলে বৈকি।

এইদেশে এই ডাঃ বিভ্রান্তি দূর হয়ে সকল চিকিৎসকদের মানুষ তার জেনেরিক নেম যেমন ইউরোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, ফিজিশিয়ান, জেনারেল সার্জন, হাকীম, কবিরাজ, ফিজিওথেরাপিস্ট, ডেন্টিস্ট ইত্যাদি নামে জানুক; প্রতারিত না হোক, এই প্রত্যাশায় এখানেই শেষ করছি।

© ডাঃ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

08/09/2024
21/08/2024

ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি সাবজেক্টে কি এমন পড়ানো হয় যারা না জেনেই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের নিয়ে আঝেবাঝে কমেন্ট করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখাটি।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকগন কেন চিকিৎসা করে, পেইন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ হয় কিভাবে, কেন রোগির চিকিৎসা করে এমন নানা প্রশ্ন।
ব্যথা, প্যারালাইজড সহ শরীরের অন্যান্য সমস্যা সমাধানে তিনটি স্টেপ বিদ্যমান। যা প্রত্যেক বিভাগের আলাদা আলাদা স্পেশালিস্ট বিদ্যমান। যেমন, মেডিসিন বিভাগ, ফিজিওথেরাপি বিভাগ এবং সার্জারি।
চিকিৎসা ব্যবস্থায় তিনটি ধাপ খুব ই গুরুত্বপূর্ণ এবং তা একজন রোগির জন্য পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা করতে হয়। মেডিসিন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা করার পরে যদি রোগির রোগ ভাল না হয় তাহলে ই সার্জারির সিদ্ধান্ত আসে। ইভিডেন্স তাই বলে।

অনেকে আবার জানেনই না যে, ফিজিওথেরাপি থেকে ৪ বছর একাডেমিক এবং ১ বছর ইন্টার্নি কোর্স শেষ করে পাশ করার পরে অর্থোপেডিক,নিউরোলজি,পেডিয়াট্রিক, গাইনি, রেসপিরেটরি ও কার্ডিওপালমোনারি সহ স্পোর্ট ইঞ্জুরি ম্যানেজমেন্ট, এক্সারসাইজ ফিজিওলজিতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার দরকার হয়।

BPT( Bachelor of physiotherapy) course details :

1st prof:
----------
Anatomy l - 200
Kinesiology-150
Physiology l -200
Biochemistry -150
Community Medicine -100
Psychology-100
Electrotherapy -150
Therapeutic exercise l -150

2nd prof:
-----------

Anatomy ll -200
Physiology ll -200
Pathology &Microbiology -150
Radiology & lmaging-100
Orthopedic & Rheumatology -150
Biomechanics -150
Therapeutic exercise ll -150
Electrotherapy & Hydrotherapy -150
Pediatric-150
Physiotherapy in orthopedic -150
Clinical practice (orthopedic)-100
Clinical practice (Spinal cord injury) -100

3rd prof:
----------
Pathology & Microbiology ll-150
Pharmacology l -150
Neurology -150
Cardiopulmonary -150
General surgery -150
Research & Methodology -100
Physiotherapy in surgical conditions -150
Physiotherapy in cardiopulmonary -150
Physiotherapy in Neurology & pediatric -150
Orthopedic medicine ( Musculoskeletal peripheral) -150
Clinical practice (cardiopulmonary) -100
Clinical practice (Neurology) -100

4'th prof:
-----------
Pharmacology ll -150
Geriatric -100
Psychiatry -100
Sports physiography -150
Orthopedic medicine (Musculoskeletal Spinal)-150
Professional Ethics & Management -150
Teaching Methodology -100
Rehabilitation medicine (Disability Development) -150
Prosthetic & Orthotics -100
Research project -200
Clinical practice (pediatrics) -100
Clinical practice (Elective)-100
Clinical practice (Musculoskeletal)-100

+ 1 Year Internship....

Total mark:6300

21/01/2024

এম.বি.বি.এস, বি.ডি.এস এর ন্যায় বিপিটি(ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি) চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র শাখা। ফিজিওথেরাপি শুধু একটি অত্যাধুনিক স্বতন্ত্র শাখাই নয়, ফিজিওথেরাপি অর্থোপেডিক্স, নিউরোমেডিসিন এর মতো চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি স্পেশাল শাখা, যা সারা বিশ্বেই সমাদৃত ।

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১৯৮৫ গেজেট অনুযায়ী ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি ডিগ্রী প্রাপ্ত গন ফিজিওথেরাপিস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ সরকার অনুমোদিত যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ বছর মেয়াদি (১ বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ) সহ যারা বিপিটি কোর্স শেষ করবেন তারাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক বলে আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী বিবেচিত হবেন।৫ বছর মেয়াদি এই কোর্স এ ভর্তি হতে হলে, এস এস সি এবং এইচ.এস.সি তে বাধ্যতামূলক বিজ্ঞান বিভাগ থেকে নুন্যতম ৮.০০ জিপিএ নিয়ে পাশ করতে হবে এবং অবশ্যই বায়োলজি বিষয় থাকতে হবে। তবে প্রকৃত পক্ষে বর্তমানে A+ ছাড়া ফিজিওথেরাপি কোর্সে ভর্তি হওয়া সম্ভব হয় না, ম্যাক্সিমাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
এই ৫ বছর মেয়াদি প্রফেশনাল কোর্সে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল বিষয় সহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পেশালাইজড কিছু বিষয় পাঠদান করানো হয়, যা আপনি আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট লেভেলের কোন শিক্ষার্থীদের কোর্স কারিকুলামে পাবেন না। নিচে আপনাদের বুঝার জন্য, বিপিটি, এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রীধারীদের কোর্স কারিকুলাম এবং নম্বর বন্টন বিস্তারিত দিলাম।
বিপিটি(ফিজিওথেরাপি)
#১ম প্রফেশনাল
এনাটমি-১ (২০০);ফিজিওলজি -১(২০০);বায়োকেমিস্ট্রি (১৫০);কাইনেসিওলজি(১৫০);
ইলেক্ট্রো থেরাপি(১৫০); থেরাপিউটক এক্সারসাইজ -১, (১৫০);কমিউনিটি মেডিসিন (১০০); সাইকোলজি (১০০)
#২য় প্রফেশনাল
এনাটমি-২ (২০০); ফিজিওলজি-২ (২০০);
প্যাথলজি & মাইক্রোবায়োলজি- ১ (১৫০);বায়োমেকানিক্স (১৫০);
রেডিওলজি & ইমেজিং (১০০); অর্থোপেডিক্স & রিউমাটোলজি (১৫০);থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ -২ (১৫০);ইলেক্ট্রোথেরাপি &হাইড্রোথেরাপি (১৫০); পেডিয়াট্রিক (১৫০);ফিজিওথেরাপি ইন অর্থোপেডিক্স (১৫০);ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস (অর্থোপেডিক্স) (১০০);
ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস ( স্পাইনাল কর্ড ইঞ্জুরি) (১০০);
#৩য় প্রফেশনাল
প্যাথলজি & মাইক্রোবায়োলজি -২ (১৫০); ফার্মাকোলজি -১ (১৫০);নিউরোলজি কার্ডিওপালমোনারি (১৫০);জেনারেল সার্জারী (১৫০)
রিসার্চ মেথডোলজি (১০০);ফিজিওথেরাপি ইন সার্জিক্যাল কন্ডিশন (১৫০);ফিজিওথেরাপি ইন কার্ডিওপালমোনারি (১৫০);ফিজিওথেরাপি ইন নিউরোলজি & পেডিয়াট্রিক্স(১৫০);ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস (কার্ডিও পালমোনারি)(১০০);ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস (নিউরোলজি) (১০০)
#চতুর্থ প্রফেশনাল
ফার্মাকোলজি-২ (১৫০);জেরিয়াট্রিক(১০০)
সাইকিয়াট্রিক (১০০);অর্থোপেডিক্স মেডিসিন (১৫০) প্রফেশনাল ইথিক্স & ম্যানেজমেন্ট (১৫০)
টিচিং ম্যাথডোলজি (১০০) রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন (১৫০) প্রোস্থেটিক্স & অর্থোটিক্স (১৫০);রিসার্চ প্রজেক্ট (২০০);ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস ( পেডিয়াট্রিক)(১০০)
ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস ( মাসকুলো স্কেলেটাল)(১০০)
ক্লিনিক্যাল প্র‍্যাক্টিস (ইলেকটিভ)(১০০)

এম বি বি এস দের কোর্স কারিকুলাম:
#১ম প্রফেশনালঃএনাটমি (৫০০);ফিজিওলজি (৪০০);বায়োকেমিস্ট্রি (৪০০)। #২য় প্রফেশনালঃ
কমিউনিটি মেডিসিন (৩০০);ফরেনসিক মেডিসিন (৩০০) #৩য় প্রফেশনালঃফার্মাকোলজি & থেরাপিউটিকস (৩০০);প্যাথলজি (৩০০); মাইক্রোবায়োলজি (৩০০) #৪র্থ প্রফেশনাল
মেডিসিন & এল্যাইড সাবজেক্টস (৪০০);সার্জারী & এল্যাইড সাবজেক্টস (৪০০);অবস & গাইনোকোলজি (৪০০)*(কালেক্টেড)

বিডিএস ডিগ্রীধারীদের কোর্স কারিকুলাম
#১ম প্রফেশনালঃএনাটমি উইথ হিস্টোলজি (২০০);ফিজিওলজি উইথ বায়োকেমিস্ট্রি (২০০);সাইন্স অব ডেন্টাল মেটেরিয়ালস(২০০) #২য় প্রফেশনাল
জেনারেল & ডেন্টাল ফার্মাকোলজি (২০০); প্যাথলজি & মাইক্রোবায়োলজি (২০০); ডেন্টাল পাবলিক হেলথ (২০০); ওরাল এনাটমি & ফিজিওলজি (২০০) #৩য় প্রফেশনালঃ জেনারেল মেডিসিন(২০০); জেনারেল সার্জারী (২০০); পেরিওডন্টোলজি & ওরাল প্যাথলজি (২০০) #৪র্থ প্রফেশনালঃ ওরাল & ম্যাক্সিলোফ্যাসিয়াল সার্জারী (৩০০);কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি & এনডোডন্টিকস(৩০০); প্রোস্থোডন্টিকস(৩০০); অর্থোডন্টিকক্স (৩০০);পেডিয়াট্রিক ডেন্ট্রিস্ট্রি (৩০০)
*(কালেক্টেড)
বাংলাদেশে এমবিবিএস/বিডিএস/বিপিটি প্রতিটি বিষয় ই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের অধীনে পরিচালিত হয়। উপরের কোর্স কারিকুলাম এবং নম্বর বন্টন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এমবিবিএস তাদের কোর্সে টোটাল ৪০০০ মার্ক, বিডিএস দের টোটাল ৩৫০০ মার্ক এবং বিপিটি ফিজিওথেরাপিস্ট দের ৬৩০০ মার্ক এর পরিক্ষায় অংশ নিতে হয়। এই কোর্স কারিকুলাম থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রা অন্যান্য চিকিৎসা প্রফেশনাল থেকে অনেক স্পেসালাইজড বিষয় অধ্যায়ন করে থাকেন এবং অনেক বেশি বিষয় ও অধ্যায়ন করেন। বিশ্বের কোন সেক্টর রিসার্চ ছাড়া উন্নতি করতে পারে না, আর একজন আন্ডার গ্রাজুয়েট বিপিটি ডিগ্রী প্রাপ্ত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক খুব সুন্দর ভাবেই এই কাজটি করতে পারেন। বাংলাদেশেও বিপিটি সম্পূর্ণ করার সাথে সাথেই দেখা যায়, ম্যাক্সিমাম ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক দের আর্টিকেল বিশ্বের বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়, যা অন্য চিকিৎসা প্রফেশনালরা চিন্তাও করতে পারেন না। কারন অন্যান্য চিকিৎসা প্রফেশনাল দের আন্ডারগ্যাজুয়েট লেভেলে রিসার্চ করার সুযোগ নেই। John Ebnezer লেখক Textbook of Orthopedics, স্যার যথার্থই বলেছিলেন তার বইয়ে, মুদ্রার এপিঠ যদি অর্থোপেডিক্স হয় ওপিঠ হবে ফিজিওথেরাপি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং WCPT অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রা স্বতন্ত্র ভাবে রোগীর রোগ নির্নয় এবং চিকিৎসা দিতে পারবে, এবং ফাস্ট কন্টাক্ট প্র‍্যাক্টিশনার হিসেবে প্র‍্যাক্টিস করবেন। ১৯৮৫ সালের বাংলাদেশ গেজেট অনুযায়ী ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রা প্রথম শ্রেনীর স্বতন্ত্র চিকিৎসা পেশাজীবি।
সর্বশেষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক দের নিয়ন্ত্রক সংস্থ্যা বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রা প্রথম শ্রেনীর স্বতন্ত্র চিকিৎসা পেশাজীবি এবং ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর রোগ নির্নয় এবং সেই অনুযায়ী রোগিদের চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন। এছাড়াও মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট এর হাইকোর্ট ডিভিশন এর রিট অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক নামের পুর্বে ডাঃ পদবী ব্যবহার করতে পারবেন। আপনারা চাইলে এই আদেশটি দেখে নিতে পারেন যার নম্বরঃ ১০৯৯৮(২০১১)
সকল কিছু পর্যালোচনা এবং সারা বিশ্বের প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশের নিজস্ব আইন অনুযায়ী ও সকল ফিজিওথেরাপিস্টই চিকিৎসক কিন্তু সকল চিকিৎসক ফিজিওথেরাপিস্ট নয়।
(কালেক্টেড)

গণবিজ্ঞপ্তি :জাতীয় পত্রিকা প্রথম আলো১০/১০/২৩ইং
30/10/2023

গণবিজ্ঞপ্তি :
জাতীয় পত্রিকা প্রথম আলো
১০/১০/২৩ইং

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি:দীর্ঘদিন ধরে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক পেশাজীবীরা লক্ষ্য করছেন, অনেকেই বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আই...
30/10/2023

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি:
দীর্ঘদিন ধরে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক পেশাজীবীরা লক্ষ্য করছেন, অনেকেই বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার উপরে ডিগ্রি বা বৈধ ডিগ্রী না থাকার পরেও নিজেকে ফিজিওথেরাপিস্ট বা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল, সেন্টার, বাসায় বাসায় গিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা শারীরিক, আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এমনকি অনেকে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে, এই আইন অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে রোগী সহ সর্ব জনসাধারণের সতর্ক থাকা খুবই জরুরী।

স্ট্রোক : স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ যেখানে  রক্ত সরবরাহের বিঘ্নতার জন্য মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু হয় সেই কারনে দেহে বিভি...
30/10/2023

স্ট্রোক : স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ যেখানে রক্ত সরবরাহের বিঘ্নতার জন্য মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু হয় সেই কারনে দেহে বিভিন্ন অঙ্গের দুর্বলতা দেখায় দেয় যেমন এক পাশের হাত/পা অথবা উভয়ই কখনো কখনো মুখের একপাশ।
স্ট্রোক প্রধানত দুই প্রকার :
১. ইস্কেমিক স্ট্রোক : মস্তিষ্কের রক্ত নালিকার ভিতরে জমাট বাধার কারণে স্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে যে স্ট্রোক হয় তাকে ইস্কেমিক স্ট্রোক বলে।
২. হেমোরেজিক স্ট্রোক : মস্তিষ্কের রক্ত নালিকা ফেটে রক্ত ক্ষরণের জন্য যে স্ট্রোক হয় তাকে হেমোরেজিক স্ট্রোক বলে।

আমাদের প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জনের স্ট্রোক হচ্ছে

স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয়ঃ

★‌উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
★‌ধুমপান ও মদ্যপান পরিহার করুন।
★‌ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
★‌রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
★‌ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
★‌প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাটুন।
★‌উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।
★‌তাজা ফলমূল এবং শাকসবজি জাতীয় খাবার খান।
★‌স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হোন।
স্ট্রোক পরবর্তী জটিলতা বা দুর্বলতার চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন :
ডা: মো: মুকবুল আহমেদ
ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
Mobile No: 01727-406954 ( what's app)

স্ট্রোকের লক্ষন দেখা দিলে যত দ্রুত  সম্ভব রোগী কে নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।স্ট্রোকের পরবর্তী জটিলতায় নিরসনে অবশ্যই একজ...
28/10/2023

স্ট্রোকের লক্ষন দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রোগী কে নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে।
স্ট্রোকের পরবর্তী জটিলতায় নিরসনে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এর শরনাপন্ন হবেন।
বিদ্র: মনে রাখবেন, ৪ বছর ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি এবং ১ বছর ইন্টার্নিশিপসহ মোট ৫ বছর সম্পুর্নকারী ব্যাক্তিই ফিজিওথেরাপিস্ট। ( বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন -২০১৮)

24/08/2023

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার লক্ষণ ধরা পড়লে আগে থেকেই সাবধান হতে হবে।

আসুন জেনে নিই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার লক্ষণগুলো।

১. অল্প হাঁটলেই পায়ে যন্ত্রণা হয় এবং মাঝেমাঝেই পা অবশ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মেদ জমার ফলে হৃদ্‌যন্ত্রের ধমনির পথ সরু হয়ে যায়। ফলে সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়।

২. চোখের চারপাশে ছোট ছোট মাংসপিণ্ড জমা হয়। সাদা বা হলদে রঙের ছোট ছোট দানা চোখের চারপাশে উঠলেই বুঝবেন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।

৩. কোলেস্টেরল বাড়লে তার প্রভাব পড়ে নখেও।
নখের সৌন্দর্য হারিয়ে যায় এবং নখ হলদে হয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রেই নখের নিচের দিকে কালচে কিংবা বাদামি রঙের রেখা পড়ে যায়।

৪. কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে জিভের ওপর বিবর্ণ ছোট ছোট দানা বের হয়। ছোট ছোট দানার মতো আস্তরণ যখন সারা জিভে ছড়িয়ে পড়লে এবং রং পরিবর্তন করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৫. শরীরের মেদ জমা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যার লক্ষণ।

বিশেষ করে তলপেটে মেদ জমতে শুরু করলে বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে।

30/07/2023

ডেঙ্গু সতর্কতা

মনে করুন আপনার জ্বর হলো। এখন কি করবেন?
* এটা নর্মাল, সিজনাল, এই কথা চিন্তা করা বন্ধ।
* দেখি ১-২দিন, দেখাদেখি বন্ধ।
* আমার তো সর্দি কাশি আছে,তাহলে এটা ডেঙ্গু না, ভাবা বন্ধ করুন।

কারন?

ডেঙ্গু জ্বরের প্যাটার্ন পাল্টেছে। একসময় চিকিৎসকরা সর্দি কাশি থাকলে আর ডেঙ্গু ভাবতো না। এখন আর সেটা নেই। গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে একটা আউটব্রেকের সময় যে কোন ফিভারেই শুরুতেই ভাবতে হবে আমি আউটব্রেকের কবলে পড়েছি। এটাই হচ্ছে নির্দেশিত। একটা সময় র‍্যাশ হতো, এখন র‍্যাশ দেখাই যায়না খুব একটা। এবছর জ্বরের তীব্রতাতেও পরিবর্তন এসেছে, অনেকেরি ১০০-১০১ এ ডেঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড শরীর ব্যথার কারণে এটাকে ব্রেক বোন ফিভার বলতো আগে, এবছর সেই প্যাটার্নেও পরিবর্তন এসেছে, আগে ৫-৬দিনের দিন রোগীর কন্ডিশন খারাপ হতো, এখন ৩দিনের মাথাতেই ইভেন জ্বরের ১-২দিনেও কেউ কেউ ক্রিটিকাল কন্ডিশনে চলে যাচ্ছে।

ডেঙ্গুর ক্লাসিক্যাল সিম্পটম:

তীব্র জ্বর, প্রচন্ড শরীর ব্যথা, বিশে করে কোমর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, মাথা ব্যথা। তবে বর্তমান ডেঙ্গুতে এমনটা নাও থাকতে পারে।

করণীয় -১:

প্রথম দিনেই হসপিটাল গিয়ে তিনটি টেস্ট করে ফেলা।
১)CBC
2)Dengue NS1
3) SGOT
করার পর কি করবেন? কারণ NS1 positive means আপনার ডেঙ্গু নিশ্চিত। কিন্তু ধরুন কোন কারণে আপনার রিপোর্ট সব নর্মাল আসলো। প্রথম দিনে এটা হতেই পারে। তবে সব নর্মাল আসার সম্ভাবনা কম।

প্রথমেই CBC report এর HCT/PCV নামে একটা টার্ম আছে, হেমাটোক্রিট বা প্যাকড সেল ভলিউম, এটা কত পার্সেন্ট আছে মার্ক করে ফেলবেন বা লিখে ফেলবেন। কারণ এটাই আপনাকে পরবর্তীতে অনেক কিছু গাইড করবে। ধরুন আপনার আসলো ৩৬%, আপনার হিমোগ্লোবিন ১২%, তাহলে নর্মাল এবং প্রথম দিন এটা নর্মাল আসবে। আর নর্মাল রেঞ্জ আপনার কত সেটি জানা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের দেশে ডেমোগ্রাফিক্যালি হেমাটোক্রিট ক্লাসিফাই করা নেই। তাই নিজের বেজ লাইন জেনে রাখবেন। হেমাটোক্রিট আপনার হিমোগ্লোবিনের ৩গুন সাধারণ অবস্থায়।

যদি দেখেন আপনার SGOT সাধারণ মাত্রার চাইতে ১-২গুন বেশি, তাহলে ওকে, এটাকে সাধারণ অবস্থা ভেবে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু যদি SGOT ৪-৫গুন হয়ে যায়, তবে এই রোগী সামনের দিকে খারাপ হওয়ার চান্স অনেক বেশি। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে আগেই।

করণীয়-২:

প্রথম দিনেই ডাক্তার দেখাবেন। প্যারাসিটামল ছাড়া কোন ব্যথার মেডিসিন খেয়েছেন তো বিপদ আছে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ শুনবেন ও মেনে চলবেন।

করণীয়-৩:

প্রতিদিন CBC টেস্ট করতেই হবে মাস্ট। সিবিসি করে কি চেক করবেন? Platelet? না। HCT বা হেমাটোক্রিট। বিলিভ মি, যত প্যাশেন্ট মারা যাচ্ছেন, সব ডেঙ্গু শক সিন্ড্রমে, কেউ প্লাটিলেট বা ব্লিডিং হয়ে মারা যাচ্ছেন না। হেমোরেজিক ডেঙ্গুর চাইতে এখন আমাদের দেশে ডেঙ্গু শক হচ্ছে বেশি। আর এই হেমাটোক্রিট আপনাকে ইন্ডিকেশন দিবে এই শক সম্পর্কে। CBC থেকে আপনি কিভাবে কি বুঝবেন এবং দ্রুত হসপিটাল যাবেন?
যদি দেখেন আপনা HCT/PCV প্রথম দিনের নর্মাল রেঞ্জের চাউতে অনেক বেড়ে গেছে, ধরুন ছিলো ৩৫%, এখন ৪০%-৪৫%, তাহলে আপনার প্লাজমা লিকেজ হচ্ছে, শক।
যদি দেখেন হিমোগ্লোবিন এবং HCT দুটোই প্রথম দিনের চাইতে অনেক কমে গেছে, তবে আপনার শরীরে কোথাও ব্লিডিং হচ্ছে, সাথে কালো পায়খানা, লাল প্রশ্রাব, দাঁতের মাড়ি থেকে, নাক থেকে রক্ত পড়ছে। দ্রুত হসপিটাল ভর্তি হবেন। এক মুহুর্ত দেরি করা যাবেনা।

আর কী কী বুঝা যাবে CBC থেকে? যদি আপনার WBC count বা হোয়াইট ব্লাড কাউন্ট ৫হাজারের নিচে নেমে যায়, লিউকোপিনিয়া, এবং মনে রাখবেন, WBC count না কমার আগে আপনার প্লাটিলেট কমবে না। WBC count কমার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার Platelet count কমতে শুরু করবে। Platelet count যখন ১লাখের নিচে নেমে যাবে, তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার প্লাজমা লিকেইজ শুরু হবে, এবং আপনি শকের দিকে ধাবিত হবেন। তাহলে CBC কতটা গুরুত্বপূর্ণ আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। মনে রাখবেন, প্রতিদিন CBC করতে হবে। প্লাটিলেট কমে গেলে মরবেন না, তাই প্লাটিলেট নিয়ে হাহুতাশ করবেন না। প্লাটিলেট ২০হাজারের নিচে না নামলে অন্য কোন প্রব্লেম না থাকলে ব্লিডিং হয়না, কারোর ১০হাজারেও কিছু হয়না। এটা আমাদের দেশে একটা অকারণ আতঙ্ক। পেপে পাতাও খাওয়া লাগবেনা, প্লাটিলেট যখন বাড়বে, একদিনেই কয়েক লাখ বেড়ে যাবে।

ক্রিটিকাল ফেইজ:
--------------------------
মনে রাখবেন, জ্বর থাকা অবস্থায় ডেঙ্গু রোগী মারা যায়না, বরং বিপদ শুরু হয় মূলত জ্বর কমার পর এবং সাধারণত আগে ৫-৬দিনের মাথায় ক্রিটিকাল ফেইজ শুরু হতো, কিন্তু এখন ৩দিনের শুরুতেই রোগীরা শকে চলে যাচ্ছে। ইভেন অনেকে জ্বর থাকা অবস্থাতেই ক্রিটিকাল হয়ে যাচ্ছে। তাই ফিভার কমে গেলে আরও সতর্ক হতে হবে। এই ফেজে আপনার প্লাটিলেট দ্রুত কমে যাবে। কিন্তু আগেই বলেছি, আপনাকে দেখতে হবে হেমাটোক্রিট।
এই ফেজে আর কী কী করলে বুঝতে পারবেন আপনার রোগী খারাপ হচ্ছে কিনা?

#ব্লাড_প্রেশার মাপবেন। দিনে ৪-৫বার মিনিমাম। বরং প্রথম দিন থেকেই মাপবেন।
এক্ষেত্রে ধরেন অনেকেরি আগে থেকে বিশেষ করে মেয়েদের ব্লাড প্রেশার লো থাকে, সো মাপার সময় আগে কত থাকতো জেনে নিবেন। বাসায় একটা ব্লাড প্রেশার মেশিন রাখবেন, ডিজিটাল মেশিন হলে পর পর দুইবার মাপবেন, আর ম্যানুয়াল হলে একবার মাপবেন।

এতে কি বুঝা যাবে? যদি ব্লাড প্রেশার সিস্টোলিক আইমিন উপরেরটা ১০০ এর নিচে নেমে যায় এবং ডায়স্টলিক মানে নিচেরটা ৬০ এর নিচে নেমে যায়, তবে এলার্ট হয়ে যান।
কিন্তু ধরেন উপরের প্রেশার ১০০-১১০ আর নিচেরটা ৯০। আপনি ভাবলেন নর্মাল। বা ৯০/৭০ বা ১২০/১০০। না, এটা নর্মাল না। দুটোর বিয়োগফল কত আসে? অনেক কাছাকাছি না? এটাকে বলে ন্যারো পালস প্রেশার এবং এই পালস প্রেশার যদি ২০ এর কম হয়, অর্থাৎ দুটোর পার্থক্য যদি ২০ এর কম হউ, ইউ আর ইন শক ওর আপনি শকে যাচ্ছেন।

দ্রুত হসপিটাল।

এই ক্রিটিকাল ফেজে আর কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ?
তীব্র পেটে ব্যথা হচ্ছে কিনা? এটা শকের লক্ষন।
লো প্রেশারের সাথে আপনার রোগীর হাত ও পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কিনা, এটা শকের লক্ষন।
আপনার রোগী অস্থিরতা দেখাচ্ছে কিনা, একদম নেতিয়ে দূর্বল ফ্যাকাশে হয়ে গ

Address

Dhaka
1212

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md Mokbul Ahamed Belal Physiotherapy Specialist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md Mokbul Ahamed Belal Physiotherapy Specialist:

Share