আহান - Ahaan

আহান - Ahaan Motherhood. Quran. Hijama. Healing The Soul. Restore to health naturally. Embrace the Sunnah.

"দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।"

দেখা হবেই বা কিভাবে?মানুষের জবানের আঘাতে অন্তর টা যে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে আছে।

জীবনের পরীক্ষা দিন দিন কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে,অথচ আমি তো জানি ই না,এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় কিভাবে!

সার্টিফিকেটের জন্য একাডেমিক পড়ালেখায় যে পরিমান খরচ করি আমরা,নিজেদের মেন্টাল হেলথের জন্য তার কানাকড়িও করিনা।

আর দিন শেষে যেই সার্টিফিকেট পাই,তা না আসে দুনিয়ার কোনো কাজে,না আসে আখিরাতের কোনো কাজে।

হাজার হাজার পরীক্ষার মাঝে জীবনকে উপভোগ করতেও তো ভুলে গেছি।মেয়ে হয়ে নিজেদের চাওয়া পাওয়া গুলো সেই কবেই ধূলিমলিন হয়েছে।

পিছন ফিরে আর না তাকিয়ে,এবার কি তাহলে সামনে আগানো যায়?

সামনে আগাবেন কিভাবে বুঝতে পারছেন না?
জীবনের সৌন্দর্য আবার কি জিনিস?জীবনের মানে খুজে ফিরে তো এতোদিন কিছুই পাইনি,নিজেকে শুধু বোঝাই মনে হয়েছে!?

নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন কিছু Purpose এ।আমাদের ভুল হতে পারে কিন্তু আমাদের সৃষ্টি কর্তা ভুলের উর্ধ্বে।

হয়তো এই গ্রুপের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমি জীবনকে ভিন্ন এক ডায়মেনশন থেকে দেখতে শিখবো,চিনতে শিখবো।বুঝতে পারবো, এই পৃথিবীতে আমাকে প্রয়োজন রয়েছে।আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে আমার রোল কি হওয়া উচিৎ সমাজ ও পরিবারের প্রতি।

★সূরা কাহাফ জার্নি★সাপ্তাহিক আমলের সূরাকে আরো কাছ থেকে জানতে চান?কাহাফ শুধু হিফজ ই নয় থাকছে তাফসীরও...চলুন শব্দে শব্দে ক...
02/08/2025

★সূরা কাহাফ জার্নি★

সাপ্তাহিক আমলের সূরাকে আরো কাছ থেকে জানতে চান?
কাহাফ শুধু হিফজ ই নয় থাকছে তাফসীরও...

চলুন শব্দে শব্দে কাহাফ হিফজ করি। প্রতি সপ্তাহে ৫ আয়াত করে হিফজ করতে হবে।
কাহাফকে আরো ভালোভাবে জানতে থাকছে তাফসীর। প্রতি শুক্রবার কাহাফের তাফসীর আলোচনা করা হবে।
প্রতি সোমবার ৫ আয়াত করে পড়া দেওয়া হবে। প্রতিদিন ১ আয়াত করে মুখস্থ করতে হবে। সোমবারের মাশক ক্লাসটা রেকর্ড থাকবে ইন শা আল্লাহ।

সাওয়াবে জারিয়াহর অংশ হতে পোষ্টটি কপি/শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। এটি মূলত জারিয়াহ প্রজেক্ট, ফি নামমাত্র শুধু সিট কনফার্মের জন্য নেওয়া হচ্ছে। এখানে মূল প্রফিট আল্লাহর সন্তুষ্টি। এই প্রজেক্টের অরগানাইজারদের পরিশ্রম আল্লাহ কবুল করুন।

ডিটেইলস কমেন্ট এ

হাজার বছরে পুরোনো প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি "আয়ুর্বেদ (Ayurved)" যা মানুষকে প্রকৃতিনির্ভর উপশম দিয়ে থাকে। শারিরীক, মানসিক, আ...
17/07/2025

হাজার বছরে পুরোনো প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি "আয়ুর্বেদ (Ayurved)" যা মানুষকে প্রকৃতিনির্ভর উপশম দিয়ে থাকে। শারিরীক, মানসিক, আত্মীক সকল সমস্যা শিকড় থেকে সমাধানে প্রাচীন এই চিকিৎসাপদ্ধতির জুড়ি নেই। আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি উন্নতি করলেও এখনো মানুষ প্রকৃতির মাঝে সুস্থতা খুঁজে ফেরে। এখনো বর্তমানের শত শত টেস্ট আর সাপ্লিমেন্টের ভীড়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাপদ্ধতি মানুষের সাথে প্রকৃতির সামঞ্জস্য রক্ষা করে সুস্থ থাকার উপায় বর্ননা করে।✨✅

তাই যারা প্রাকৃতিক ভাবে নিজেদের দেহ-মন-আত্মাকে সুস্থ রাখতে চান তাদের জন্য Natures Care Center নিয়ে এসেছে "Natural Healing Mastery" প্রোগ্রাম।

🍀এই প্রোগ্রামে আপনি জানতে পারবেন:

1. Basics of Natural Healing

2. Healing from the Kitchen

3. Natural Skin care

4. Natural Hair Care

5. Sleep Cycles & Restorative Rhythms

6. Gut Health & Natural Digestion

7. Immunity & Daily Wellness Routines

8. Hormonal Balance & Womb Wellness

9. Emotional & Spiritual Healing at Home

10.Healthy Habits that enhance the Healing processes

কোর্স ফি রেগুলার: ২০০০ টাকা

🌿আর্লি বার্ড ডিসকাউন্টে মাত্র ৯৯৯ টাকা! (৫ দিনের জন্যা)🌿

🔸কোর্স ইন্সট্রাক্টর:

Rahima Afroz Raka
Ayurvedic Doctor
BAMS (HUB)
MSc in Nutrition & Food Science (UNISA)
Trained in CND
Trained in Islamic Counseling & Psychology Lev-1 (UK)
Trained in Hijama
Trained in Panchakarma Therapy (India)

নিজেকে ভেতর থেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে এই কোর্সটি আপনার জন্য জীবনের সেরা ইনভেস্টমেন্ট হতে পারে!

শুধু তাই-ই- না!

নিজের এবং নিজের পরিবারের প্রাকৃতিক সুস্থতা এখন আপনার হাতেই।

তাই দেরি না করে রেজিস্ট্রেশন করুন এখনই‼️

01864284474 (WhatsApp)

ফেইসবুক পেইজ লিংক:
https://www.facebook.com/share/1CjcsjGkmy/

টেলিগ্রাম চ্যানেল লিংক :https://t.me/NCareC

08/07/2025
Imagine hearing these words from your Lord on the Day of Judgment“Enter My Paradise.”This is not just any reward, this i...
07/07/2025

Imagine hearing these words from your Lord on the Day of Judgment

“Enter My Paradise.”

This is not just any reward, this is Jannah, where there is no pain, no fear, no sorrow.

A place prepared by the One who created you, watched you struggle, forgave your mistakes, and saw the sincerity of your heart.

মাঝেমধ্যে মনে হয়না পারিপার্শ্বিক ব্যাস্ততার ভীড়ে নিজের যত্ন নেওয়াটাই ভুলে গিয়েছেন?🥀পরিবার, পড়াশোনা, সংসার, সন্তান আর ক্য...
29/06/2025

মাঝেমধ্যে মনে হয়না পারিপার্শ্বিক ব্যাস্ততার ভীড়ে নিজের যত্ন নেওয়াটাই ভুলে গিয়েছেন?🥀

পরিবার, পড়াশোনা, সংসার, সন্তান আর ক্যারিয়ারের যাতাকলে পিষে জীবনটা নিজের নিয়মে চলে যাচ্ছে ঠিক-ই কিন্তু হারিয়ে ফেলছেন নিজের অস্তিত্বকে। ঘোর লাগা কোন বিকেলে ঠিকই উপলব্ধি করছেন নিজের শারিরীক ও মানসিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন কিন্তু কী যেন বাঁধা দেয় আমার আমি'টাকে খুঁজে পেতে!

আসুন, একসাথে নিজেকে আবারও খুঁজে ফিরি

নিজের ভালোলাগা, শারিরীক-মানসিক সুস্থতা আর পরিচর্যা নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন একটি ফ্রি ওয়েলবিয়িং প্রোগ্রাম "Women's Wellness : the rhythm of womenhood"

৩ দিনের এই ফ্রি প্রোগ্রাম আপনাকে আপনার লাইফের সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে, নিজের সার্বিক সুস্থতা এবং স্থীরতার উপর ফোকাস করতে সাহায্য করবে। সেই সাথে জানতে পারবেন নারী জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ের পরিবর্তনগুলোর সাইন্টিফিক ব্যাখা এবং প্রতিটি মুহুর্তের সাথে কোপ-আপ করার ট্রিকস!

🔷মোট ক্লাস: ৩ টি (৮, ১০ এবং ১২ই জুলাই)

🔷ক্লাসের সময়: রাত ৯ টা

🔷বিস্তারিত মডিউল জানতে কমেন্টবক্স চেক করুন

🔷রেজিষ্ট্রেশনের শেষ সময়: ৭ই জুলাই

🌿🌿 রেজিষ্ট্রেশন লিংক: https://forms.gle/Qysc8QdLjFbuBzLu5🌿🌿

Life In The Grave              By Dr Y Mansoor Marican, Ph. D“কবর জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান, অথবা জাহান্নামের গর্ত...
26/03/2025

Life In The Grave

By Dr Y Mansoor Marican, Ph. D

“কবর জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান, অথবা জাহান্নামের গর্তগুলোর একটি গর্ত।” [তিরমিজি]

মৃত্যু হলো পরকালের প্রথম ধাপ, যা “বারযাখ” নামে পরিচিত। বারযাখ মানে হলো একটি অন্তরায় বা পর্দা, যা দুনিয়ার জীবন ও কিয়ামতের দিনের মাঝে বাধা সৃষ্টি করে। কুরআনে আল্লাহ বলেন— “তাদের সামনে থাকবে এক অন্তরায় (বারযাখ) কিয়ামতের দিন পর্যন্ত।” (সূরা মুমিনুন ২৩:১০০)

অর্থাৎ, মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ বারযাখে অবস্থান করবে, যেখানে তাদের দুনিয়ার আমল অনুযায়ী শান্তি বা শাস্তি হবে।

কবর দেওয়া হোক বা না হোক, প্রতিটি আত্মা বারযাখে তার দেহের সাথে অবস্থান করে। যদিও এই অবস্থার অভিজ্ঞতা বাস্তব, তবে এগুলো দৃশ্যমান জগতের মতো সরাসরি বোঝা যাবে না।

যখন কাউকে কবর দেওয়া হয়, তখন সবাই কবরে চেপে ধরা অনুভব করবে। এটি হতে পারে একটি ভালোবাসার আলিঙ্গন, অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।

প্রিয় নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একজন সাহাবী, সা’দ ইবনে মু’আধ (রাদিয়াল্লাহু আনহু), তিনিও কবরের চেপে ধরা অনুভব করেছিলেন, কিন্তু এরপর তা প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল। [তিরমিজি]

আল্লাহ বলেন, “মৃত্যুর যন্ত্রণা সত্যসহ উপস্থিত হবে।”__(সূরা ক্বাফ ৫০:১৯)

অর্থাৎ, মৃত্যুর মুহূর্তটি নিশ্চিত এবং তাতে কষ্ট থাকবে, যা কেউ এড়াতে পারবে না। তখন দুনিয়ার সব কিছু ছেড়ে পরকালের পথে যাত্রা শুরু হবে।

কাফের ও পাপাচারীরা মৃত্যুর সময় উপলব্ধি করবে যে, তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি অপেক্ষা করছে।

মৃত্যুর পর মানুষ অনুতপ্ত হয়ে বলবে, “হে আমার প্রভু! আমাকে ফিরে যেতে দাও, যেন আমি ভালো কাজ করতে পারি, যা আমি উপেক্ষা করেছি।”__ (সূরা মুমিনুন ২৩:৯৯-১০০)

কিন্তু তখন আর ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। দুনিয়ার জীবনই ছিল আমল করার সময়, আর মৃত্যু আসার সঙ্গে সঙ্গেই সে সুযোগ শেষ হয়ে যাবে।

মৃত্যুর পর মানুষ দুনিয়ায় ফিরে আসার আকুতি জানাবে, কিন্তু তাদের এই প্রার্থনা কবুল হবে না। আল্লাহ বলেন, “না! এটা শুধুই কথার কথা।”___ (সূরা মুমিনুন ২৩:১০০)

অর্থাৎ, তখন তাদের অনুশোচনা কোনো কাজে আসবে না, কারণ বারযাখে প্রবেশের পর দুনিয়ায় ফেরার সুযোগ আর থাকে না।

মৃত্যুর পূর্বে তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যায়, তাই তখন আর তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না।

তারা কষ্ট সহ্য করবে, কারণ তাদের দেহ থেকে আত্মা বের করে নেওয়া হবে প্রচণ্ড যন্ত্রণার মাধ্যমে—রক্তনালী ও স্নায়ু ছিঁড়ে ফেলা হবে।

পাপীদের আত্মাকে আসমানে উঠতে দেওয়া হবে না, বরং তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তাদের নাম সিজ্জীন-এ লিপিবদ্ধ হবে, যা জাহান্নামের তালিকা।

আল্লাহ বলেন— “নিশ্চয়ই পাপীদের রেকর্ড সিজ্জীনে সংরক্ষিত। তুমি কী জানো, সিজ্জীন কী? এটি এক লিপিবদ্ধ তালিকা।” (সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:৭-৮)

অর্থাৎ, পাপীদের আত্মা দুনিয়া ও আখিরাতে লাঞ্ছিত হবে, এবং তাদের পরিণাম হবে কষ্টদায়ক।

মৃতরা ভূত হয়ে যায় না!

তারা জীবিতদের দেহে প্রবেশ করতে পারে না বা বাড়িঘর ‘আতঙ্কিত’ করতে পারে না। এসব ভ্রান্ত জিনদের কাজ।

যারা আত্মার মাধ্যমে কথা বলার দাবি করে, তারা আসলে বিভ্রান্ত জিনদের সাহায্য নিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়!

নেককারদের আত্মার গন্তব্য

যারা নেককার, তাদের আত্মা সুখকর ও শান্তিপূর্ণভাবে বের হবে এবং আসমানে নিয়ে যাওয়া হবে।

নেককারদের নাম ইল্লিয়্যূন নামের জান্নাতের তালিকায় লিপিবদ্ধ হয়। আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলদের নাম ইল্লিয়্যূনে লেখা থাকবে।” ___(সূরা মুতাফফিফীন ৮৩:১৮)

পরে কিয়ামতের দিনে তাদের দেহ পুনরায় জীবিত করা হবে, আর তারা জান্নাতে চিরস্থায়ী সুখ লাভ করবে।

কবরের পরীক্ষা

দুইজন ফেরেশতা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে:
• তোমার রব কে?
• তোমার দ্বীন কী?
• তোমার নবী কে?

নেককাররা সঠিক উত্তর দিয়ে পুরস্কৃত হবে। তাদের কবর প্রশস্ত হবে, এবং তাদের ভালো আমল একজন সঙ্গীর রূপ ধারণ করে তাদের পাশে থাকবে।

তারা জান্নাতে তাদের স্থান দেখতে পাবে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করবে যেন কিয়ামত তাড়াতাড়ি আসে যাতে তারা স্থায়ীভাবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে।

কিন্তু কাফের ও পাপাচারীরা সঠিক উত্তর দিতে পারবে না এবং কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।

তাদের এত জোরে আঘাত করা হবে যে তাদের কাছাকাছি যা কিছু থাকবে (জিন ও মানুষ ছাড়া) সবাই তাদের চিৎকার শুনতে পাবে। [বুখারী ও মুসলিম]

তারা অন্ধকার ও সংকীর্ণ কবরের মধ্যে থাকবে, যেখানে তাদের দেহ এত শক্তভাবে চেপে ধরা হবে যে তারা তাদের পাঁজরের হাড় একে অপরের সাথে ধাক্কা খেতে অনুভব করবে।

তাদের মন্দ কাজগুলি তাদের কবরের মধ্যে একটি কুৎসিত ও ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে।

কিছু মানুষের জন্য মৃত্যু পরবর্তী শাস্তি হবে অবিরাম যন্ত্রণা। যেমন, কুরআনে ফিরআউনের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে— “তাদেরকে সকাল-সন্ধ্যা আগুনের সামনে উপস্থিত করা হয়।” ___(সূরা গাফির ৪০:৪৬)

অর্থাৎ, কিয়ামতের আগে থেকেই তারা শাস্তি ভোগ করতে থাকবে, যা শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত আজাবে পরিণত হবে।

“যদি কেউ বারযাখে মুক্তি না পায়, তবে তার পরবর্তী পরিণতি অত্যন্ত কঠিন হবে।” [তিরমিজি]

অবিশ্বাসী ও পাপীরা কেয়ামতের দিন স্থাপিত না হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে, যাতে তারা স্থায়ী জাহান্নামের শাস্তি থেকে রেহাই পায়।

একদিন নিশ্চিতভাবেই আসবে, যেদিন প্রতিটি মানুষ তার নিজের কাজের পূর্ণ প্রতিদান পাবে। সেই দিনে কারও প্রতি সামান্যতম অন্যায় করা হবে না।

আল্লাহ বলেন, “সেই দিন নিশ্চিতভাবে আসবে, যখন প্রত্যেক আত্মা তার উপার্জিত কর্মফল পাবে এবং কারও প্রতি অন্যায় করা হবে না।”___ (সূরা আলে ইমরান ৩:২৫)

অর্থাৎ, কিয়ামতের দিন সবাই ন্যায়বিচার পাবে, ভালো কাজের পুরস্কার ও মন্দ কাজের শাস্তি নির্ধারিত হবে।

‘কবরের যন্ত্রণা’ থেকে আশ্রয় পাওয়ার উপায় হলো এই জীবনে সঠিক পথ অনুসরণ করা।

আল্লাহ বলেন, “যে কেউ ইসলামের বাইরে অন্য কোনো ধর্ম অনুসরণ করতে চাইবে, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে থাকবে।” ___(সূরা আলে ইমরান ৩:৮৫)

অর্থাৎ, আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম হলো ইসলাম। যারা অন্য পথ বেছে নেবে, তারা পরকালে চিরস্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়বে।

যারা সঠিক পথে চলছেন, তারা নিজেদের তওবা আল্লাহর কাছে খালিসভাবে গ্রহণ করতে থাকে, যেন আল্লাহ তাদের ক্ষমা করেন এবং তাঁর দয়া দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ দেন। কুরআনে আল্লাহ বলেন— “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর কাছে তওবা করো, একেবারে খালিস তওবা।”___ (সূরা তাহরিম ৬৬:৮)

অর্থাৎ, তওবা হলো আল্লাহর কাছে ফিরে আসার একটি পবিত্র পথ, যা তাদের জান্নাতে পৌঁছানোর একটি মাধ্যম।

অনুবাদ: নুসরাত জাহান চৌধুরী

প্রিন্ট করে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এবং মসজিদে বিতরণ করতে পারেন, পিডিএফ ফাইল এর লিঙ্ক কমেন্ট এ দেওয়া আছে।
24/03/2025

প্রিন্ট করে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এবং মসজিদে বিতরণ করতে পারেন, পিডিএফ ফাইল এর লিঙ্ক কমেন্ট এ দেওয়া আছে।

সত্যকে ঘৃণা করো?لَقَدْ جِئْنَاكُم بِٱلْحَقِّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كَارِهُونَ“নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের নিকট সত্য...
22/03/2025

সত্যকে ঘৃণা করো?

لَقَدْ جِئْنَاكُم بِٱلْحَقِّ وَلَكِنَّ أَكْثَرَكُمْ لِلْحَقِّ كَارِهُونَ

“নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের নিকট সত্য এনেছি, কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যকে অপছন্দ করে।”
(সূরা আজ-যুখরুফ: ৭৮)

এটি জাহান্নামের ফেরেশতারা জাহান্নামবাসীদের উদ্দেশে বলবেন,আল্লাহ আমাদের সেখান থেকে রক্ষা করুন।

কত মানুষই না সত্যকে ঘৃণা করে!

সত্য কারো পছন্দসই নয়, এটি কারো সুবিধার জন্য নয়। এটি কারো ব্যক্তিগত খেয়াল-খুশি ও প্রবৃত্তির অনুসরণ করে না।

সত্য মানুষের কাছে বড় প্রত্যাশা রাখে,আমাদের পরিবর্তন হতে বলে, যেসব খারাপ কাজ আমরা পছন্দ করি সেগুলো ছেড়ে দিতে বলে, যেসব ভালো কাজ আমাদের কঠিন মনে হয় সেগুলো করতে বলে।

সত্য চায় মানুষ এটিকে স্বীকার করুক, তিক্ত বাস্তবতাকে মেনে নিক, বাস্তবতাকে যেমন আছে তেমন দেখুক, যেমন তারা দেখতে চায় তেমন নয়।

সত্য চায় মানুষ তাদের দায়িত্বের মুখোমুখি হোক, শুধু তাদের অধিকার নয়। তারা যেন নিজেদের ভুল ও অন্যায় স্বীকার করে, ক্ষমা চায় এবং নিজেদের করা অন্যায় সংশোধন করে। পক্ষপাত ও স্বজনপ্রীতির পরিবর্তে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুক।

সত্য আমাদের ভ্রান্ত ধারণা ও বিভ্রম ভেঙে দেয় এবং আমাদেরকে অস্বীকারের মিথ্যা জীবন থেকে বের করে আনে।

সত্য কঠিন।

অনেক মানুষ বিভ্রমকেই সত্যের চেয়ে বেশি পছন্দ করে।

বিভ্রম অনেক সুন্দর, অনেক বেশি আরামদায়ক ও স্বস্তিদায়ক। তারা যেসব মিথ্যার সঙ্গে অভ্যস্ত, সেগুলো তাদের কাছে প্রিয়,কিন্তু সত্য তাদের সেই স্বপ্নময় ঘুম থেকে চমকে জাগিয়ে তোলে।

রসূল ﷺ বলেছেন:

عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: “لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى يَكُونَ هَوَاهُ تَبَعًا لِمَا جِئْتُ بِهِ.”

আব্দুল্লাহ ইবন ‘আমর ইবন আল-‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

“তোমাদের কেউ সত্যিকার অর্থে ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার প্রবৃত্তি আমার আনীত দ্বীনের অনুগামী হয়।”

আমাদের প্রবৃত্তি সত্যের অনুগামী হতে হবে।

কিন্তু আমরা অনেকেই সত্যকে নিজেদের প্রবৃত্তির অনুগামী বানিয়ে ফেলি।

• “আমি হিজাব পরতে চাই না—তাহলে পরতে হবে না! ইসলামেও তো এটা বাধ্যতামূলক নয়!”

• “আমি এই ছেলের সাথে ডেট করতে চাই—দেখো, ডেটিং তো ইসলামে হারাম না! আমরা তো প্রকাশ্যে দেখা করছি!”

• “আমি আমার বাবা-মা হিসেবে ব্যর্থতা স্বীকার করতে চাই না—দেখো, আমার সন্তানরা তো ভালো মুসলিম! হ্যাঁ, তারা হয়তো পর্দা করে না, ঠিকমতো নামাজ পড়ে না, কখনো কখনো মাদক গ্রহণ করে বা মদ্যপান করে, কিন্তু তাদের অন্তর ঠিক আছে! আমল তো নিয়তের উপর নির্ভরশীল!”

• “আমি কোনো ভুল করিনি! আমি সঠিক, যদিও এই আয়াত/হাদিস/টেক্সট আমার বিপরীতে যায়। এটা শুধু ভুল ব্যাখ্যা, আমি ভুল না!”

• “ইসলাম ও নারীবাদ সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ! শুধু পূর্ববর্তী সব ইসলামি স্কলাররাই ভুল ব্যাখ্যা করেছেন, কারণ তারা সবাই পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাধারার ছিলেন!”

• “ইসলাম ও আধুনিকতাবাদ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, বিজ্ঞানবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা—এসব একসাথে যায়! শুধু পুরনো মুসলিম স্কলাররাই পশ্চাৎপদ ছিলেন, ব্যস। আমি তো কিছুই ভুল করছি না!”

নিজেকে ধোঁকা দেয়া বন্ধ করি।

সত্যের ওপরে নিজের প্রবৃত্তিকে না রাখি।

এটাই সত্যকে ঘৃণা করা: সত্যকে নিচু করা, সত্যকে নিজের প্রবৃত্তির অধীন করা।

যারা প্রকৃত ঈমানদার, তারা নিজেদের প্রবৃত্তিকে সত্যের অধীন করে।

আল্লাহ আমাদের সত্যের অনুসারী বানান। আমীন।

মূল লেখা : Umm Khalid
অনুবাদ : Nusrath Jahan Chowdhury

এই রমাদ্বনে যারা জিন-জাদুর কারনে অসহনীয় কষ্ট,যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা বেশি বেশি লানতের দোআ করুন।আল্লাহ যেনো যাদ...
22/03/2025

এই রমাদ্বনে যারা জিন-জাদুর কারনে অসহনীয় কষ্ট,যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা বেশি বেশি লানতের দোআ করুন।

আল্লাহ যেনো যাদুকর, তাদের কাছে যারা যায় অন্যের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে, আর সকল খাদেম শয়তানকে, যারা যাদুর আঞ্জাম দিতে আসে,
আল্লাহ লানত এদের সবার উপর।

আল্লাহ এদেরকে গুনে গুনে রাখুন, আসমান জমিনের আজাব চাপিয়ে দিন,
আল্লাহ এদেরকে সমূলে উৎপাটন করে ধংস করুক, যেভাবে আদ-সামুদ জাতিকে করেছিলেন।

নিয়ত করে সূরা আহজাবের ৬৮ নাম্বার আয়াত বেশি বেশি পড়তে পারেন।

Women's Hijama Therapy

শেষ দশ রাতের জন্য দশটি গুরুত্বপূর্ণ দোআ ও যিকরযারা দীর্ঘক্ষণ স্বলাত পড়তে পারেন না, যেমন- গর্ভবতী মা, নবজাতকের মা, বৃদ্ধ...
20/03/2025

শেষ দশ রাতের জন্য দশটি গুরুত্বপূর্ণ দোআ ও যিকর

যারা দীর্ঘক্ষণ স্বলাত পড়তে পারেন না, যেমন- গর্ভবতী মা, নবজাতকের মা, বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তি, তারা জিহ্বা ও হৃদয়ে অনেক দোআ ও যিকর করতে পারেন, যা তাদের জন্য অধিক সওয়াবের কারণ হতে পারে ইনশাআল্লাহ।

নবজাতকের মা বা ছোট সন্তানের মা, যদি আপনি দীর্ঘ তারাবীহ পড়তে না পারেন, ইতেকাফ করতে না পারেন, তাহাজ্জুদে উঠতে না পারেন, বা সম্পূর্ণ কুরআন খতম করতে না পারেন, তাহলে মন খারাপ করবেন না।

আপনিও অনেক কিছু করতে পারেন!

এখানে শেষ দশ রাতে পড়ার জন্য দশটি সহজ কিন্তু অধিক সওয়াবের যিকর ও দোআ উল্লেখ করা হলো:

১) এই দোআটি পড়ুন:

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي

অর্থ: “হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করুন।”

আমাদের মা আয়িশা (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বললেন, “হে আল্লাহর রসূল! যদি আমি জানতে পারি যে কোন রাত লাইলাতুল কদর, তাহলে আমি কী বলবো?”

নবী (ﷺ) বললেন: “বলবে, হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করুন।”
(তিরমিজি: ৩৫১৩, ইবনে মাজাহ: ৩৮৫

২) সূরা ইখলাস পড়ুন:
• ৩ বার পড়লে, সম্পূর্ণ কুরআন পড়ার সওয়াব লাভ করা যায়।

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
“তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অক্ষম?”

সাহাবিরা বললেন, “কে কিভাবে এক রাতে এক-তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে পারে?”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন:

সূরা ইখলাস এক-তৃতীয়াংশ কুরআনের সমান।”
(সহিহ বুখারি: ৫০১৫, মুসলিম: ৮১২)
• ১০ বার পড়লে, জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করা হয়।

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি দশবার ‘কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ তৈরি করা হবে। যে বিশবার পড়বে, তার জন্য দুইটি প্রাসাদ তৈরি হবে। যে ত্রিশবার পড়বে, তার জন্য তিনটি প্রাসাদ তৈরি হবে।”

৩) সূরা আল-বাকারা-এর শেষ দুই আয়াত পড়ুন:

“রসূল (ﷺ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি রাতে সূরা আল-বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়বে, তা তার জন্য যথেষ্ট হবে।”
(সহিহ বুখারি: ৫০০৯, মুসলিম: ৮০৮)

৪) “সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহি” পড়ুন:

سبحان الله وبحمده

অর্থ: “আল্লাহ পবিত্র এবং প্রশংসা তাঁরই জন্য।”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,

“যে ব্যক্তি দিনে ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহি’ বলবে, তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মতো বেশি হয়।”
(সহিহ বুখারি: ৬৪০৫, সহিহ মুসলিম: ২৬৯১)

৫) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু…” পড়ুন:

لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ ٱلْمُلْكُ وَلَهُ ٱلْحَمْدُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁরই, এবং তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।”

এই দোআ পড়ার ফজিলত:
• এটি ঈমানের শ্রেষ্ঠ দোয়া।
• এটি পড়লে জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়।
• এটি পড়ার দ্বারা শয়তান দূরে সরে যায়।
(সহিহ বুখারি: ৬৪০৩, সহিহ মুসলিম: ২৬৯৩)

শেষ দশ রাতে বলার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ দোআ ও যিকর

৬) “সুবহানাল্লাহ” পড়ুন:

سبحان الله

অর্থ: “আল্লাহ পবিত্র।”

মুসআব ইবন সা’দ (রহ.) তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন:
আমরা আল্লাহর রসূল (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি বললেন,

“তোমাদের কারো জন্য কি প্রতিদিন এক হাজার নেকি অর্জন করা কঠিন?”

সাহাবাদের একজন বললেন, “আমাদের মধ্যে কেউ কীভাবে প্রতিদিন এক হাজার নেকি অর্জন করতে পারে?”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন,
“যদি কেউ একশো বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে, তাহলে তার জন্য এক হাজার নেকি লেখা হবে অথবা এক হাজার গুনাহ মুছে ফেলা হবে।”
(সহিহ মুসলিম: ২৬৯৮, তিরমিজি: ৩৪৬৩)

৭) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু…” পড়ুন:

لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ ٱلْمُلْكُ وَلَهُ ٱلْحَمْدُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁরই, এবং তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি এক দিনে ১০০ বার এই দোয়াটি পড়বে, সে দশজন ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে, তার আমলনামায় ১০০ নেকি লেখা হবে, ১০০ গুনাহ মুছে দেওয়া হবে এবং সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের থেকে সুরক্ষিত থাকবে। এবং কেউ তার চেয়ে উত্তম আমল করতে পারবে না, তবে সে ব্যক্তি, যে এটি তার চেয়েও বেশি পড়বে।”
(সহিহ বুখারি: ৬৪০৩, সহিহ মুসলিম: ২৬৯৩)

৭) “সুবহানাল্লাহিল আজীম ওয়া বিহামদিহি” পড়ুন:

سبحان الله العظيم و بحمده

অর্থ: “মহান এবং প্রশংসার অধিকারী আল্লাহ পবিত্র।”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজীম ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে।”
(তিরমিজি: ৩৪৬৪, ইবনে মাজাহ: ৩৮০৭)

৮) রসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওপর দরুদ পাঠ করুন:

اللهم صل على محمد وعلى آل محمد

অর্থ: “হে আল্লাহ! আমাদের নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তাঁর পরিবার-পরিজনের ওপর দরুদ ও রহমত বর্ষণ করুন।”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি একবার আমার ওপর দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং তার মর্যাদা দশ ধাপ বৃদ্ধি করবেন।”
(সহিহ মুসলিম: ৪০৮)

৯) “লা হাওলা ওয়া লা কু্ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” পড়ুন:

لا حول ولا قوه الا بالله

অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোনো ক্ষমতা ও শক্তি নেই।”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
“লা হাওলা ওয়া লা কু্ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ জান্নাতের ধনভাণ্ডারের অন্যতম সম্পদ।”
(সহিহ বুখারি: ৬৩৮৪, সহিহ মুসলিম: ২৬৮৭)

১০) এই দোআটি পড়ুন:

اللهم اغفر للمؤمنين والمؤمنات الاحياء منهم والاموات

অর্থ: “হে আল্লাহ! জীবিত ও মৃত সকল মুমিন পুরুষ ও নারীদের ক্ষমা করুন।”

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি সকল মুমিন নর-নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আল্লাহ তাকে প্রতিটি মুমিন নর-নারীর বিনিময়ে একটি নেকি দান করবেন।”
(সহিহুল জামে: ৫৬০৫)

যদি সবগুলো পড়তে না পারেন, তাহলে অন্তত কয়েকটি বেছে নিন।

উদ্দেশ্য হলো, এই বরকতময় রাতগুলোতে আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা এবং যতটুকু সম্ভব ইবাদত করা।

আল্লাহ আমাদের সবার দোআ কবুল করুন, আমাদের ক্ষমা করুন, আমাদের ওপর দয়া করুন, আমাদের পরিবারসহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিন এবং জান্নাতের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমীন!

_____Umm Khalid

অনুবাদ___Nusrath Jahan Chowdhury

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আহান - Ahaan posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram