আ'ত্ম'হত্যা প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ করার লক্ষ্যে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন (এসপিসিএস)।
A Social Voluntary Organization (SPCS) to promote suicide prevention and mental health. সুইসাইড প্রিভেনশন অ্যান্ড কাউন্সেল সোসাইটি (এসপিসিএস) একটি মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান।" সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন গড়ুন আত্মহত্যাকে না বলুন" এই স্লোগান কে সামনে রেখে আমরা সমাজের নানা শ্রেনীর মানুষের মনের মধ্যে বিদ্যমান দুঃশ্চিন্তা,হতাশা ও আত্মহত্যার চিন্তা দূরীকরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের মাধ্যমে যে কেও অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে "সুইসাইড প্রিভেনশন অ্যান্ড কাউন্সেল সোসাইটি (এসপিসিএস)" এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক গণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারে।এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের দক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) মেম্বারের এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অনলাইনে বা মুঠোফোনে জরুরি মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেতে পারে।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সমাজের অনেক মানুষের মনে হতাশা,একাকীত্ব,মানসিক চাপ এবং আত্মহত্যার প্রবণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা এবং তাদের সুস্থ ও সুন্দর জীবনের জন্য মানসিক সমর্থন জোগানো।এই লক্ষ্যটি মাথায় রেখে "সুইসাইড প্রিভেনশন অ্যান্ড কাউন্সেল সোসাইটি (এসপিসিএস)" সম্পূর্ণ গোপনীয়তা এবং সহমর্মিতার সাথে,সম্পূর্ণ খোলা মনে মানুষের কথা শোনে এবং হতাশাগ্রস্ত মানুষের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদের পাশে থাকে।
আমরা অত্যন্ত মনোযোগ ও দক্ষতার এর সাথে দেশের মানুষের আত্মহত্যা রোধ করতে কাজ করে যাচ্ছি এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবায় উন্নয়নের জন্যে অবদান রাখার চেস্টা করে যাচ্ছি। যেখান থেকে শেষ বলে হাল ছেড়ে দেয় আমরা নতুন করে সেখান থেকে শুরু করি।
“এসপিসিএস” এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহঃ
১. দুঃচিন্তা, হতাশা এবং আত্মহত্যার চিন্তা দূরীকরণ ।
২. আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিকরণ।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য সর্ম্পকে সচেতনতা তৈরিকরণ।
৪. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সহজলভ্য করা।
৫. বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা।
৬. হতাশা, একাকিত্বতা, মানসিক চাপ এবং আত্মহত্যা প্রবণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা, মানসিকভাবে সাহস যোগানো।
৭. স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বুলিং প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি ও উদ্বুদ্ভকরণ।
৮. পারিবারিক সামাজিক বন্ধন, ধর্মীয় ও নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করা এবং তরুন প্রজন্মকে নেশা মুক্ত সমাজ গঠনে উদ্বদ্ধকরণ।
৯. জনসাধারণকে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে, মানসিকভাবে সুস্থ্য রাখতে শিক্ষা, বিনোদন ও সাংস্কৃকিত কর্মসূচি গ্রহন করা।
১০. দুস্থ, গরীব, মেধাবী ও ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীকে স্কুলমুখী করা ও সহায়তা প্রদান ।
১১. অসহায়, গরীব ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ।
১২. যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলা।