31/12/2019
নতুন বছর, ২০২০..... অনেকেই অনেক প্ল্যান করছেন, নতুন বছরকে ঘিরে..... এ বছরের পাওয়া, না পাওয়া অনেক কিছু হয়তো ঘুরপাক খাবে ব্রেনে আর মনে....সুস্থ আছেন তো? বেচে আছেন তো? এটাই বড় প্রাপ্তি। আমার প্রিয় একজন মানুষ আমাকে বলেছিল, " বেচে থাকাটাই অদ্ভুদ"। সুস্থ শরীর, আল্লাহর দয়া, মেহেরবানি ও রহমত...... আপনি আর যাই প্ল্যান করেন না কেন, নিজের শরীরের যত্ন করবেন, নতুন বছরে এই প্রতিজ্ঞা করেই ফেলুন। শরীর ভালো তো মন ভালো, আর মন ভালো তো সব কিছু ভালো....। এক বছর এসি চালালে আমরা সার্ভিসিং করাই, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে হয় বছর ঘুরলেই। শরীরের ফিটনেস এর জন্য কোন প্ল্যান আছে কি? সম্ভব হলে বছরের শুরুতেই শারীরিক কিছু ইনভেস্টিগেসন বা পরীক্ষা করিয়ে ফেলুন। যেমন, লিপিড প্রোফাইল, CBC, ব্লাড গ্লুকোজ, ক্রিয়েটিনিন সিরাম, থাইরয়েড ও লিভার ফাংশন। আমরা অনেক দামী প্রসাধনী, মোবাইল, পাওয়ার ব্যাংক, ল্যাপটপ, স্পিকার ও আরও কতকি ব্যবহার করি। যে ব্যাবহারকারী তার নিজের জন্য সে অর্থ ব্যয় কে অপচয় ভাবেন। যেমন ধরুন, লিপিড প্রোফাইল, এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি একটা সূচক এ বুঝা যায়। যদি পরীক্ষাটি আগেই করিয়ে এর প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেন, তবে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি হয়তো আল্লাহ চাইলে ঠ্যাকাতে পারবেন। যানেন তো, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক এ একবার আই সি ইউ তে যেতে হলে কত খরচ! তার চেয়ে অল্প টাকায় লিপিড প্রোফাইল করা বুদ্ধিমানের নয় কি?
এবার অনেকেই কমেন্ট করবেন, আল্লাহ কপালে মৃত্যু রাখলে এইসব টেস্ট করলেই কি আর না করলেই কি?
জ্বি, তাদের জন্য বলি, আল্লাহ রোগ দিয়েছেন, তার নির্নয়ের ক্ষমতা মানুষ কে দিয়েছেন, চিকিৎসা করানোর পথ করে দিয়েছেন.... আপনাকে বুদ্ধি ও বিবেচনার ও ক্ষমতা দিয়েছেন তিনি। তাই আপনি চেষ্টা করবেন, সুস্থ ভাবে বাচাঁর......... আবার একবার ফেসবুকে দেখেছিলাম, ফরেনাররা অর্থাৎ বিদেশে কেউ টেস্ট করিয়ে রিপোর্ট ভালো পেলে নাকি বলে, " "Thank God" আর আমাদের দেশের মানুষ ভালো রিপোর্ট পেলে বলে, আলহামদুলিল্লাহ না বলে। বলে, " ধ্যাৎ টাকাই নষ্ট " এবার বলেন, আছে পার্থক্য? আপনাকে ঢাকার একজন চিকিৎসক কিছু টেস্ট দিলেই বলেন তাকে কমার্শিয়াল , অথচ যারা যাচাই করতে অর্থাৎ তথাকথিত 2nd Opinion এর জন্য বিদেশে যান, তারা একবার তাদের ফাইল খুলে দেখেন, হাজারো টেস্ট...... হাসিমুখে সব করেন।বিদেশ বলে কথা। ওরা অনেক টেস্ট করিয়ে, কনফার্ম হয়ে একটা বা দুইটা মেডিসিন লিখে। আর আমাদের দেশের ডাক্তার আপনার মুখের দিক তাকিয়ে বেশী টেস্ট না করিয়ে হয়তো, দু একটা বেশী মেডিসিন লিখে। তবে হ্যা খুব ক্রিটিকাল কেইস হলে ভিন্ন, আপনি বিদেশ যেতেই পারেন। এটা সত্যি, আমাদের দেশে দক্ষ ডাক্তার থাকলেও টেক্নোলজি আর ল্যাটেস্ট যন্ত্রপাতি নেই।এতে কোন ভুল নেই যে, বাংলাদেশের পাইলট ও ডাক্তার যথেষ্ট ভালো। আমাদের দেশের ডাক্তাররা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক সুনামের সাথে কাজ করে। বিশ্বাস আনুন, ভরসা রাখুন। নতুন বছরে আমি এই কামনা করি যেন মানুষ সুস্থতার বিষয়ে সচেতন হয়। দেশের চিকিৎসা আর চিকিৎসকদের উপর আস্থা আনুন, দেশের উন্নয়নে আপনি ও সামিল হন।
#-Test Lab এর পক্ষহতে
Advanced Happy New Year