Dr. Ismat Ara Bipasha

24/09/2025

অ্যাডভান্সড gynaecological ইমার্জেন্সি :

🔴 ১. একটোপিক প্রেগন্যান্সি (Ruptured)

লক্ষণ: হঠাৎ তীব্র পেট ব্যথা, মাথা ঘোরা/অজ্ঞান হওয়া, কাঁধে ব্যথা, শক।

ডায়াগনসিস:
ইউরিন ফর পিটি বা প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ,
আল্ট্রাসাউন্ডে ইউটেরাস খালি + পেটে ফ্রি ফ্লুইড।

ব্যবস্থা: দ্রুত আইভি ফ্লুইড/রক্ত, ইমিডিয়েট ল্যাপারোস্কপি/ল্যাপারোটমি।

🔴 ২. ওভারিয়ান টরশন

লক্ষণ: একপাশে হঠাৎ তীব্র পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব/বমি।

ডায়াগনসিস: আল্ট্রাসাউন্ডে রক্ত প্রবাহ কম।

ব্যবস্থা: ইমার্জেন্সি ল্যাপারোস্কপি → ডি-টরশন ± সিস্টেকটমি/ওওফোরেকটমি।

🔴 ৩. সিভিয়ার পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (PID) / টিউবো-ওভারিয়ান অ্যাবসেস

লক্ষণ: উচ্চ জ্বর, তলপেটে ব্যথা, অ্যাডনেক্সাল মাস, সেপসিস।

জটিলতা: অ্যাবসেস রাপচার → পেরিটোনাইটিস/শক।

ব্যবস্থা: আইভি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক, প্রয়োজনে সার্জিকাল/IR drainage।

---

🔴 ৪. তীব্র ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং

কারণ: এবি.ইউ (AUB), মিসকারেজ, মোলার প্রেগন্যান্সি, ট্রমা, ক্যান্সার।

ব্যবস্থা: আইভি লাইন, রক্ত দেওয়া, ট্রানেক্সামিক অ্যাসিড, ইউটেরাইন ব্যালুন ট্যাম্পোনেড, প্রয়োজনে হিস্টেরেকটমি।

---

🔴 ৫. সিভিয়ার ওভারিয়ান হাইপারস্টিমুলেশন সিনড্রোম (OHSS)

কারণ: IVF / Ovulation induction এর পরে।

লক্ষণ: পেটে পানি, শ্বাসকষ্ট (প্লুরাল এফিউশন), ব্লাড ঘন হয়ে যাওয়া, থ্রম্বোসিস ঝুঁকি।

ব্যবস্থা: হাসপাতালে ভর্তি, ফ্লুইড ব্যালান্স, অ্যান্টিকোয়াগুলেশন, প্রয়োজনে প্যারাসেন্টেসিস।

---

🔴 ৬. ইউটেরাইন ইনভারশন

লক্ষণ: তীব্র ব্যথা, অল্প রক্তক্ষরণ হলেও শক, ভ্যাজাইনা দিয়ে মাস বের হওয়া।

ব্যবস্থা: ইমিডিয়েট ম্যানুয়াল রিপ্লেসমেন্ট ± হাইড্রোস্ট্যাটিক/সার্জিকাল ম্যানেজমেন্ট।

---

🔴 ৭. ক্যান্সার-জনিত ইমার্জেন্সি

অ্যাডভান্সড সার্ভিকাল/ওভারিয়ান ক্যান্সার → ইউরিনারি অবস্ট্রাকশন, কিডনি ফেইলিওর।

বাওয়েল অবস্ট্রাকশন → ওভারিয়ান ক্যান্সার।

ম্যাসিভ হেমোরেজ → সার্ভিকাল/এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার।

ব্যবস্থা: সাপোর্টিভ ম্যানেজমেন্ট + সার্জিকাল/অনকোলজি ইমার্জেন্সি টিম।

24/09/2025

গর্ভাবস্থার তৃতীয় ট্রাইমেস্টার (২৭–৪০ সপ্তাহ) মা ও শিশুর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

🤰 মায়ের জন্য যত্নের উপায়

1. খাদ্যাভ্যাস

পর্যাপ্ত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফল ও শাকসবজি খেতে হবে।

প্রচুর পানি পান করা জরুরি।

অতিরিক্ত মশলাযুক্ত বা তেলেভাজা খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

2. স্বাস্থ্য পরীক্ষা

নিয়মিত প্রসবপূর্ব চেকআপ (ANC Checkup) করাতে হবে।

রক্তচাপ, ওজন, প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।

আল্ট্রাসাউন্ড প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শে করতে হবে।

3. শারীরিক যত্ন

হালকা হাঁটা বা ডাক্তারের অনুমতি অনুযায়ী ব্যায়াম করতে হবে।

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা ভারী জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও সঠিক ঘুম প্রয়োজন।

4. সতর্কতা

পেটের তীব্র ব্যথা, অস্বাভাবিক রক্তপাত, শিশুর নড়াচড়া কমে যাওয়া বা হঠাৎ পানি ভাঙলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

👶 শিশুর জন্য যত্নের উপায়

এ সময়ে শিশুর ওজন দ্রুত বাড়ে, তাই মায়ের পুষ্টিকর খাদ্য খুব জরুরি।

মা যদি নিয়মিত খাবার, ভিটামিন ও আয়রন-ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খান, তবে শিশুর মস্তিষ্ক ও শরীর ভালোভাবে বিকশিত হয়।

মায়ের মানসিক সুস্থতা (স্ট্রেসমুক্ত থাকা) শিশুর জন্যও উপকারী।

👉 সংক্ষেপে:
তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে মাকে পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ডাক্তার দেখানো, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং যেকোনো জটিলতার লক্ষণ বুঝলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে—এগুলোই মা ও শিশুর সুস্থতার মূল যত্ন।🌸🥀🌻🌺

゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

21/09/2025

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট

প্রি-এক্লাম্পসিয়া একটি গুরুতর গর্ভাবস্থাজনিত জটিলতা। এর সঠিক ব্যবস্থাপনা মা ও শিশুর জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করে।

🩺 ১. সাধারণ নীতি

রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত।

নিয়মিত ব্লাড প্রেসার, ইউরিন আউটপুট, রিফ্লেক্স, ফিটাল মনিটরিং করা।

রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে গর্ভধারণ চালিয়ে যাওয়া নাকি টার্মিনেশন/ডেলিভারি করা হবে সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

💊 ২. মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট

(ক) অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ থেরাপি:

গুরুতর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে (≥160/110 mmHg):

IV Labetalol

IV Hydralazine

Oral Nifedipine (immediate release)

(খ) অ্যান্টিকনভালসান্ট থেরাপি (ফিট প্রতিরোধে):

Magnesium sulfate (MgSO₄) হলো স্ট্যান্ডার্ড।
রিফ্লেক্স, শ্বাস-প্রশ্বাস ও ইউরিন আউটপুট মনিটর করতে হবে।

(গ) স্টেরয়েড:

যদি গর্ভকাল 37 সপ্তাহ: সাধারণত ডেলিভারি করা হয়।

20/09/2025

গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস বা ফার্ষ্ট ট্রাইমেস্টারে যত্নের উপায়

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস (First Trimester) খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে মায়ের শরীর ও ভ্রূণের মধ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়। তাই মায়ের সুস্থতা বজায় রাখা ও কিছু নিয়ম মেনে চলা খুব জরুরি। নিচে প্রথম ট্রাইমেস্টারে যত্নের কিছু পরামর্শ দেওয়া হল:

1. সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন

তাজা শাকসবজি, ফল, ডাল, দুধ, ডিম, মাছ, মুরগি নিয়মিত খান।

ফোলিক এসিড ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।

অতিরিক্ত তেল-মশলা ও ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন।

2. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

প্রতিদিন কমপক্ষে ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন।

3. ভিটামিন ও ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড ও ভিটামিন খেতে হবে।

এতে শিশুর মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ড সুস্থভাবে গড়ে ওঠে।

4. বিশ্রাম নিন

যথেষ্ট ঘুম (৭–৮ ঘণ্টা) জরুরি।

বেশি ক্লান্তি এড়িয়ে চলুন।

5. বমি ও অস্বস্তি সামলানো

অল্প অল্প করে বারবার খাবার খান।

খালি পেটে বেশি সময় থাকবেন না।

6. ক্ষতিকর জিনিস এড়িয়ে চলুন

ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন বেশি খাওয়া, কাঁচা বা অপক্ক খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

7. হালকা ব্যায়াম করুন

হাঁটা বা হালকা প্রেগন্যান্সি ব্যায়াম (ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে) করতে পারেন।

8. নিয়মিত চিকিৎসককে দেখান

প্রথম ট্রাইমেস্টারে অন্তত একবার ডাক্তার দেখানো জরুরি।

প্রয়োজনীয় টেস্ট (আল্ট্রাসাউন্ড, রক্ত পরীক্ষা) করে নিন।

👉 মনে রাখবেন:
প্রথম তিন মাসে হঠাৎ রক্তপাত, তীব্র পেটব্যথা, অতিরিক্ত বমি, জ্বর বা অস্বাভাবিক দুর্বলতা হলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।🩺🫄🤰

20/09/2025

গর্ভাবস্থায় মা সুস্থ থাকলে শিশুও সুস্থ হয়। তাই কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ টিপস মেনে চলা দরকার। 🌸

🤰 গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ থাকার টিপস

গর্ভাবস্থায় মা সুস্থ থাকলে শিশুও সুস্থ হয়। তাই কিছু সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ টিপস মেনে চলা দরকার। 🌸

১. সঠিক খাবার (Balanced Diet)
প্রতিদিন ভাত রুটির সাথে সবজি, ডাল, ডিম, মাছ/মাংস, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাও। ফল ভালো করে ধুয়ে খাও। কারণ এতে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো থাকতে পারে,যা মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুব জরুরি।
কাঁচা, অর্ধসেদ্ধ বা রাস্তার খাবার এড়িয়ে চল।

২. পর্যাপ্ত পানি পান
দিনে ৮–১০ গ্লাস পানি খাও।
ডিহাইড্রেশন এড়াতে ফলের জুস/সুপ খাওয়া ভালো।

৩. নিয়মিত প্রেগন্যান্সি চেকআপ
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সময়মতো চেকআপ করো।

আল্ট্রাসাউন্ড, ব্লাড টেস্ট ও প্রেসক্রিপশন ফলো করো।

৪. ঔষধ ও ভিটামিন
ডাক্তার যেসব ভিটামিন/ফলিক এসিড/আয়রন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেন তা নিয়মিত খাও।
নিজের ইচ্ছায় কোনো ওষুধ খেও না।

৫. হালকা ব্যায়াম
প্রতিদিন হালকা বিয়াম করা বা হাঁটা, (ডাক্তারের পরামর্শে)।

এটি ডেলিভারি সহজ করতে সাহায্য করে, স্ট্রেসও কমায়।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম
দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাও ।

বাম কাত হয়ে ঘুমানো (Left side sleeping) সবচেয়ে ভালো, এতে শিশুর রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।

৭. মানসিক স্বাস্থ্য
ভালো বই পড়া, গান শোনা, পজিটিভ কথা বলা।

উদ্বেগ বা ডিপ্রেশন থাকলে পরিবারের সাথে ভাগ করো, প্রয়োজনে কাউন্সেলরের সাহায্য নাও।

৮. ক্ষতিকর জিনিস এড়িয়ে চলা
ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন বেশি গ্রহণ একদম নয়।

ভারী কাজ, বেশি স্ট্রেস বা ভারী জিনিস উত্তোলন থেকে বিরত থাকো।
✨ মনে রেখো: মা যদি হাসিখুশি ও সুস্থ থাকেন, তবে শিশুও সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে।🌹🫄🩺🌸🥀

゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

20/09/2025

19/09/2025

এক্ল্যাম্পসিয়া (Eclampsia) হলো গর্ভাবস্থার একটি গুরুতর জটিলতা। এটি প্রি-ইক্ল্যাম্পসিয়ার (উচ্চ রক্তচাপ + প্রস্রাবে প্রোটিন) পরবর্তী ধাপ। মূল বৈশিষ্ট্য হলো—

হঠাৎ খিঁচুনি (Seizure/Convulsion)।

উচ্চ রক্তচাপ।

মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

মা ও শিশুর জন্য জীবনঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

👉 সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ দিকে বা প্রসবের সময়/পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে।
👉 জরুরি চিকিৎসা (MgSO₄, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, দ্রুত প্রসব) অত্যন্ত প্রয়োজন।🤰🙏🫄
゚viralシviralシfypシ゚viralシalシ

15/09/2025

Preeclampsia

15/09/2025

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা বা আলো জ্বলজ্বল করা, পেটে ব্যথা, হাত ও মুখ ফুলে যাওয়া এবং প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া। এই লক্ষণগুলো সাধারণত গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর দেখা দেয়, তবে প্রসবের আগেও হতে পারে। রুটিন প্রসবপূর্ব চেকআপে রক্তচাপ এবং প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে এটি শনাক্ত করা হয়।

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার সাধারণ লক্ষণ:

***উচ্চ রক্তচাপ (High blood pressure): গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের পর রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা তার বেশি হওয়া।
***প্রস্রাবে প্রোটিন (Proteinuria): প্রস্রাবে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, যা একটি সাধারণ রুটিন পরীক্ষায় ধরা পড়ে।
মাথাব্যথা (Headache): দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র মাথাব্যথা।
***দৃষ্টিশক্তির সমস্যা (Vision changes): চোখে ঝাপসা দেখা, আলো জ্বালাপোড়া করা বা দৃষ্টির সমস্যা হওয়া।
পেটব্যথা (Abdominal pain): পেটের উপরের অংশে বা ডান পাশে ব্যথা হওয়া।
ফোলাভাব (Swelling): হাত, মুখ বা পুরো শরীর ফুলে যাওয়া।
***প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া (Decreased urination): প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা ঘন ঘন প্রস্রাব না হওয়া।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

প্রি-এক্লাম্পসিয়ার লক্ষণগুলো অনেক সময় গর্ভাবস্থার স্বাভাবিক অস্বস্তি থেকে আলাদা করা কঠিন হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ এটি প্রি-এক্লাম্পসিয়ার একটি গুরুতর রূপ, অর্থাৎ এক্লাম্পসিয়া (খিঁচুনি) হতে পারে।
প্রসবের পরেও প্রি-এক্লাম্পসিয়া হতে পারে, যা প্রসব-পরবর্তী প্রি-এক্লাম্পসিয়া নামে পরিচিত। 🩺🫄🤰

14/09/2025

প্রিএক্ল্যাম্পসিয়া কি??

প্রিএক্ল্যাম্পসিয়া হলো একটি গুরুতর গর্ভাবস্থার জটিলতা, যা সাধারণত গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর বা প্রসবের পরেও হতে পারে। এর প্রধান লক্ষণ হলো উচ্চ রক্তচাপ ও প্রস্রাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনের উপস্থিতি । এতে বিভিন্ন অঙ্গ (যেমন লিভার, কিডনি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই মারাত্মক হতে পারে। প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি ছাড়াও লিভার বা কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, অতিরিক্ত ফুলে যাওয়া ইত্যাদি প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার লক্ষণ হতে পারে। এই অবস্থার জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন, কারণ এটি এক্লাম্পসিয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা খিঁচুনির সৃষ্টি করে। 🩺🫄

23/08/2025

নিয়মিত স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত চেক-আপে পেলভিক পরীক্ষা ও প্যাপ স্মিয়ার (জরায়ুমুখের ক্যান্সার পরীক্ষা) করানো উচিত, যা জরায়ুমুখের ক্যান্সার, ডিম্বাশয়ের সিস্ট, এন্ডোমেট্রিওসিস, ফাইব্রয়েড এবং যৌনবাহিত সংক্রমণ (STI) প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, স্তন ক্যান্সার পরীক্ষা, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা এবং চোখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
যে পরীক্ষাগুলো করা উচিত:
পেলভিক পরীক্ষা:
এটি যোনি, জরায়ু, ডিম্বাশয় এবং মূত্রাশয় পরীক্ষা করার জন্য একটি পদ্ধতি, যা কোনো অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
প্যাপ স্মিয়ার (Pap Smear) পরীক্ষা:
এই পরীক্ষাটি জরায়ুমুখের ক্যান্সার কোষ শনাক্ত করতে সাহায্য করে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে পারলে জীবন বাঁচাতে পারে।
স্তন ক্যান্সার পরীক্ষা:
স্তন ক্যান্সার পরীক্ষা করা উচিত, যদিও নির্দিষ্ট বয়স বা পর্যায় সম্পর্কে আরও তথ্য প্রয়োজন।
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা:
এই পরীক্ষাগুলো হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা প্রতিরোধের জন্য জরুরি।
চোখ পরীক্ষা:
সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অংশ হিসেবে চোখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত।

23/08/2025