CURE Specialized Hospital Limited

CURE Specialized Hospital Limited ICU, PICU, NICU WITH SPECIALIZED OT

23/09/2025

এখন থেকে প্রতিদিন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে হার্ট অ্যাটাকের সর্বাধুনিক চিকিৎসা প্রাইমারি পিসিআই সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনামূল্যে হবে। শুধু তা-ই না, সরকারি টাকায় রিং দেওয়া হচ্ছে।

প্রাইমারি পিসিআই হলো হার্ট অ্যাটাকের (Acute STEMI) ১২ ঘন্টার মধ্যে ক্যাথ ল্যাবে নিয়ে গিয়ে ব্লক হয়ে যাওয়া রক্তনালীর ব্লক খুলে দেওয়ার চিকিৎসা। সাধারণত রিং স্থাপনের মাধ্যমে এটি করা হয়।

শুধু হৃদরোগ চিকিৎসায় নয়, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে এটি একটি চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন।

অন্য সুপার স্পেশালিটির ব্যাপারে বলতে পারব না, তবে কার্ডিওলজির কথা বলতে পারব। হার্টের প্রায় সকল চিকিৎসা বাংলাদেশে হয়। বেশ মানসম্পন্নই হয়। অন্তত ইন্ডিয়ার সঙ্গে অবশ্যই তুলনীয়।

আমার অনুরোধ থাকবে, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের এই চমৎকার যুগোপযোগী কাজটি আপনারা সবাই প্রচার করবেন। অনেক মানুষজন শুধু না জানার কারণে এই আধুনিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে। এবং কেউ কেউ মারা যাবে। যারা অসম্পূর্ণ চিকিৎসা পাবে তারা আজীবন ধুঁকবে নানা জটিলতায়। সবাই যেন জানে তাদের জন্য একটি ভরসার জায়গা রয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের ১২ ঘন্টার মধ্যে যেন তারা আসতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে প্রাইমারি পিসিআই ২৪ ঘন্টার মধ্যে করা যায়।

সবচেয়ে বড়ো রিলিফ, টাকা পয়সার কোনো চিন্তা করতে হচ্ছে না। সবকিছুই বিনামূল্যে। প্রাইভেটে এই সার্ভিস নিতে ২-৪ লাখ টাকা খুব হরহামেশাই লাগে।

ডা. মারুফ রায়হান খান
৩৯ তম বিসিএস,
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।

(আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতদের জানাতে পারেন)
Copied

20/09/2025

Prof. Dr. Md. Mofizur Rahman Mia
MBBS MS (Thoracic Surgery),
Professor , Thoracic Surgery,

ফুসফুস, খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, মিডিয়াস্টিনাম এবং বুকের প্রাচীর সহ বুকের গহ্বরের অভ্যন্তরে অঙ্গ এবং কাঠামোকে প্রভাবিত করে এমন রোগ এবং অবস্থার অস্ত্রোপচারের চিকিৎসা করা হয়।
থোরাসিক সার্জারি বিশেষভাবে অ-হৃদরোগের অবস্থার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, এটিকে কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি থেকে আলাদা করে, যার মধ্যে হৃদরোগের পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত।
ফুসফুসের ক্যান্সার, খাদ্যনালীর সমস্যা, বুকের দেয়ালের বিকৃতি এবং হাইপারহাইড্রোসিসসহবিভিন্ন অবস্থার চিকিৎসা করা হয়।

খাদ্যনালী: খাদ্যনালীর ক্যান্সার, GERD,হাইটাল হার্নিয়া এবং গিলতে সমস্যা (ডিসফ্যাজিয়া)চিকিৎসার জন্য ।
শ্বাসনালী (শ্বাসনালী): শ্বাসনালীর স্টেনোসিস (সংকীর্ণতা) এবং টিউমারের জন্য।
মিডিয়াস্টিনাম: ফুসফুসের মধ্যবর্তী অংশ, যেখানে থাইমাসের মতো অঙ্গ রয়েছে।
ডায়াফ্রাম: ফাটল বা অন্যান্য অস্বাভাবিকতা মেরামত করতে।
বুকের প্রাচীর: টিউমার, পেকটাস এক্সক্যাভ্যাটামেরমতো বিকৃতি এবং পাঁজরের খাঁচা সহ।
সাধারণ অবস্থার চিকিৎসা

ক্যান্সার: ফুসফুসের ক্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার এবং মিডিয়াস্টিনামে টিউমার।
খাদ্যনালীর সমস্যা: জিইআরডি, হাইটাল হার্নিয়া, অ্যাকালাসিয়া এবং খাদ্যনালীর স্ট্রিকচার।
ফুসফুসের রোগ: এমফাইসেমা, পালমোনারি ফাইব্রোসিস এবং ব্রঙ্কাইকটেসিস।
বুকের প্রাচীরের অবস্থা: টিউমার এবং কাঠামোগত অস্বাভাবিকতা চিকিৎসাও করা হয়।

https://www.facebook.com/share/p/1C4AiPvhHP/
09/08/2025

https://www.facebook.com/share/p/1C4AiPvhHP/

“ক্যান্সার” শব্দটা যতটা ভয়াবহ শোনায়, তার পেছনের গোপন খেলা তার চেয়েও ভয়ংকর। এটা কেবল একটা রোগ না, বরং একটি বহুজাতিক চিকিৎসা ও ফার্মাসিউটিক্যাল দানবের আখড়া, যেখানে মানুষকে রোগী বানিয়ে আজীবন শোষণ করা হয়।

ক্যান্সারের প্রকৃত কারণ গোপন করা হয় কেন জানেন?

কারণ ক্যান্সার হচ্ছে “দেহের প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া”ক্যান্সার কোষ অনেক সময় শরীরের ডিটক্স বা টক্সিন বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবেও তৈরি হয়।
টক্সিন, রেডিয়েশন, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, এবং বিষাক্ত খাদ্য শরীরের কোষগুলোকে মিউটেট করে তোলে।
কিন্তু এই root cause গুলো তারা সরিয়ে না দিয়ে শুধু লক্ষণ (symptoms) কন্ট্রোল করে।

ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবসা করে এই ক্যান্সার দিয়ে-

এক কথায় ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট = ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবসা।

একবার ক্যান্সার ধরলে রোগী অন্তত ১০–৫০ লাখ টাকায় শেষ হয়ে যায়। কেমো, রেডিওথেরাপি, ওষুধ, হসপিটাল বিল… সবই লাভের খনি।
তাদের দরকার ক্যান্সার সারানো না, রোগীকে বাঁচিয়ে রেখে ধীরে ধীরে শেষ করা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বড় বড় তারকারা, বিলিওনিয়ার, রাজনীতিকেরা ক্যান্সার হলে কেন তারা বেশিরভাগ সময় বেঁচে যায়? অথচ সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ক্যান্সার মানেই প্রায় মৃত্যু?

এর পেছনে ৩টা স্তরে লুকানো সত্য আছে

১-তারা মুলত Alternative গোপন চিকিৎসা পায় যা সাধারণ মানুষ জানে না।

বিশ্বের এলিটদের জন্য রয়েছে
Gerson Therapy > শরীরকে ডিটক্স করে, লিভার রিকভার করে, ক্ষারীয় খাবার দিয়ে ক্যান্সার কোষকে মারে।

Ozone Therapy > শরীরে অতিরিক্ত অক্সিজেন ঢুকিয়ে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে।

High-dose Vitamin C IV therapy > IV এর মাধ্যমে শরীরে বিশাল মাত্রার ভিটামিন C ঢুকিয়ে কোষকে শক্তিশালী করে।

Hyperbaric Oxygen Chamber > বায়ুচাপ ও অক্সিজেন দিয়ে ক্যান্সার কোষের পরিবেশ নষ্ট করে

Alkaline therapy + raw food > শরীরের pH এমন জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে ক্যান্সার টিকতেই পারে না।

এই থেরাপিগুলোকে FDA / WHO কখনো অনুমোদন দেয় না কারণ ফার্মা মাফিয়ারা এতে টাকা কামাতে পারে না। তাই এসব পদ্ধতি “unscientific” বলে দমন করা হয়।

২-তাদের Chemotherapy-ও হয় “customized & cleaner version”

আমরা যেটা পাই-
Toxic chemo যা ভালো কোষও ধ্বংস করে দেয়। চুল পড়ে যায়, ইমিউন সিস্টেম ভেঙে পড়ে।

তারা যা পায়-
Ultra-high tech personalized chemo + targeted therapy + stem cell support
Supplement + ইমিউন সিস্টেম বুস্টার দিয়ে side effect কমিয়ে ফেলে

৩. তারা জানে ক্যান্সার হলো “Metabolic Disease”Genetic না!
তারা বিশ্বাস করে না যে ক্যান্সার হলো “দুর্ভাগ্যজনিত জেনেটিক রোগ”।

তাদের চিকিৎসকরা জানে:
“ক্যান্সার কোষ = অস্বাভাবিকভাবে গ্লুকোজ খাওয়া কোষ”
তাই চিনি বন্ধ করে, ক্ষারীয় খাবার দিয়ে, শরীর ডিটক্স করে ফলে ক্যান্সার কোষ না খেয়ে মারা যায়।

অথচ সাধারণ মানুষকে শেখানো হয়:
“এটা কপাল, জেনেটিক, কেমো ছাড়া উপায় নাই।ক্যান্সার মানেই মৃত্যু। আপনাকে হতাশ করে তুলবে। আপনাকে চিন্তিত করে তুলবে। এবং এই সুযোগে ক্যান্সার আপনার শরীরে আরও ভয়ানক রুপ ধারন করে।”

তাহলে ক্যান্সার কি আসলেই “অপরিবর্তনীয় মৃত্যুদণ্ড?

না। প্রচলিত মেডিকেল সিস্টেম যে চিত্র তুলে ধরে ক্যান্সার মানেই মৃত্যু সেটা অনেকাংশে মিথ্যা।

ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়ার প্রকৃত পথ হচ্ছে

Alkaline Diet (pH ব্যালেন্স করে):
ক্যান্সার কোষ এসিডিক পরিবেশে বাড়ে, আলকালাইন খাদ্য এটা বন্ধ করে।
Dr. Sebi নামে এক হোলিস্টিক হিলার ছিলেন যিনি শুধু alkaline food খাইয়ে হাজারো ক্যান্সার রোগীকে সারিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তাকে পরে “ভুয়া চিকিৎসক” বলে হঠাৎ করে May 2016 এ গ্রেফতার করে মেরে ফেলা হয়।

Vitamin B17 (Laetrile):
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান, যা FDA নিষিদ্ধ করেছে।
Vitamin B17 নামে পরিচিত এই জিনিসটা আসলে একটুও ভিটামিন না।
এটি হলো একটি প্রাকৃতিক ক্যান্সার-নাশক যৌগ যার প্রকৃত নাম Amygdalin, এবং প্রক্রিয়াজাত রূপ হলো Laetrile।
এটি প্রাকৃতিকভাবে কিছু নির্দিষ্ট ফলের বীজ থেকে নেওয়া হয়। বিশেষ করে আপেল, খেজুর, তেঁতুল, আঙ্গুর, বিশেষ করে আবেগ বিচি (Apricot kernel) এ।
এটা শরীরে গিয়ে সায়ানাইড (cyanide) ছাড়ে। কিন্তু শুধু ক্যান্সার কোষের মধ্যেই।
তাই স্বাভাবিক কোষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে শুধু ক্যান্সার কোষ ধ্বংস হয়।

১৯৭০ দশকে Dr. Ernst Krebs নামে একজন গবেষক বলেন:
“B17 হচ্ছে প্রকৃত ক্যান্সার প্রতিরোধক। ক্যান্সার আসলে B17 ঘাটতির রোগ।”
তিনি Laetrile দিয়ে বহু ক্যান্সার রোগী সুস্থ করেছিলেন।কিন্তু পরে FDA এটাকে নিষিদ্ধ করে।
কারণ:
ক্যান্সার একটি ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।
তারা ক্যান্সার সারাতে চায় না। চায় রোগীকে চিরস্থায়ী খদ্দর বানাতে।

21/07/2025

মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে কোমলপ্রাণ শিশুদের মৃত্যতে আমরা শোকাহত।

কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেড

নিকট আত্মীয়ের রক্ত নিলে দূর্ঘটনার সম্ভবনা থাকেhttps://www.facebook.com/share/14yYBJiTuA/?mibextid=oFDknk
21/03/2025

নিকট আত্মীয়ের রক্ত নিলে দূর্ঘটনার সম্ভবনা থাকে
https://www.facebook.com/share/14yYBJiTuA/?mibextid=oFDknk

এফসিপিএস মেডিসিনে গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক Dr. Khairul Islam (MBBS,MCPS,FCPS) ভাই। ভাই শুধু ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞই নন, ক্লিনিসিয়ান হিসেবেও খুবই ভালো। একাডেমিক ও মানবিক একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ভাইয়ের সাথে দেখা হলে সবসময় বিভিন্ন কেইস নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেইস নিয়ে কৌতুহল থাকায় শুনতে/জানতে ভালো লাগে এবং থিংকিং ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর চেষ্টা করি। সেদিন ভাইয়া একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন জ্বর নিয়ে এবং এর সাথে তখনই/পরবর্তীতে Diarrhoea দেখা দেয়।

ঐ সময় জ্বরের কারণ হিসেবে underlying Infection চিন্তা করে পেশেন্ট কে হসপিটালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়। সেলাইয়ের জায়গার একটা অংশ কিছুটা আদ্র থাকায় সেখানে ইনফেকশন চিন্তা করা হয়। প্রথমে এম্পেরিয়াল এন্টিবায়োটিক শুরু করা হয় কিন্তু রোগীর তেমন উন্নতি নেই। বরং শরীরের গলার নিচে-বুকে-পিঠে বিভিন্ন জায়গায় Rash দেখা। গাইনোকলজিস্ট Antibiotic এর Drug Reaction চিন্তা করে Antibiotic বন্ধ করেন।

পরবর্তীতে আদ্র জায়গা থেকে Swab নিয়ে কালচারের জন্য পাঠানো হয় কিন্তু কালচারে কোন গ্রোথ ছিল না। পরবর্তীতে কয়েক দফায় এন্টাবায়োটিক পরিবর্তন করা হয়। এর পাশাপাশি ব্লাড কালচার করা হয় সেখানেও কোনো গ্রোথ পাওয়া যায় নি। এছাড়া জ্বরের কারণ খোঁজার জন্য টিবি সহ সম্ভাব্য অন্যান্য পরীক্ষাও করা হয় কিন্তু কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।

যেহেতু ডেঙ্গু সিজন চলছে ডেঙ্গু টেস্টও করা হয়েছিল ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ, Platelet count নরমাল।

এর মধ্যে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে কল দেয়া হয় মেডিসিনের সিনিয়র ডাক্তার এসেও কোনো ক্লোজ খুঁজে পাচ্ছেন না।
এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করা হল কিন্তু উন্নতি নেই।

এর মধ্যে রোগীর CBC পরীক্ষায় দেখা যায় যে wbc কাউন্ট দিন দিন কমে যাচ্ছে। জন্ডিস দেখা দিয়েছে, বিলিরুবিন বেশি। এলবুমিন ও কমে যাচ্ছে।

Procalcitonin level, HBsAg, Anti HCV সহ অনেক টেস্ট করা হয়েছিল সব নরমাল। এদিকে Albumin দিয়েও Albumin লেভেল নরমালে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ট্রাই করেও রোগীর কোন উন্নতি হচ্ছে না
কিন্তু কেন এমন হলো তার কোন ব্যাখ্যা ও দিতে পারছেন না ডাক্তাররা।

সবশেষে উনারা বলেন যে, Septicemia থেকে Multiorgan failure এর দিকে যাচ্ছে পেশেন্ট।

ঐ মুহূর্তে ডা. খাইরুল ভাইয়ার ডাক পড়ে। ভাইয়া ওয়ার্ডে গিয়ে পেশেন্ট কে দেখেন। একেবারে শুরু থেকে হিস্ট্রি নেন এবং প্রশ্ন করে পাওয়া একটা ক্লু থেকে ডায়াগনোসিস করেন। সেই মুহূর্তে ভাইয়া মোবাইলে থাকা পেশেন্টের Rash এর ছবি টা আমাকে দেখান।

পেশেন্টের হিস্ট্রি + Rash এর ছবি টা দেখে আমার মনে পড়ে যায় ১/২ বছর আগে বিশিষ্ট হেমাটোলজিস্ট Prof. Dr. Akhil Ranjon Biswas স্যারের শেয়ার করা দুটি কেইস হিস্ট্রি পড়েছিলাম Haematology Society of Bangladesh এর ওয়েবসাইটে। এবং এই পেশেন্টের Rash ও স্যারের শেয়ার করা পেশেন্টের Rash এর ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে।

তখন ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম, উনার ডায়াগনোসিস কি Blood Transfusion Associated GVHD(Graft Versus Host Disease)?

তখন ভাই জানালেন যে পেশেন্টের সিজারের সময় ব্লাড ডোনেট করে তার আপন ভাই। কেউ আসলে সেই হিস্ট্রি টা নেন নি। সবাই আসলে সিজার পরবর্তী জ্বরের কারণ হিসেবে Infective cause চিন্তা করছিলেন। তাই কোনো কনক্লুসনে আসতে পারছিলেন না কেইস টি নিয়ে। যেহেতু অনেক টেস্ট অলরেডি করা হয়ে গেছে এবং ভাইয়াও অতীতে এমন কেইস দেখেছেন তাই উনি আগ বাড়িয়ে ব্লাড ট্রান্সফিউসন হিস্ট্রি নিয়েছেন এবং ডায়াগনোসিস করতে পেরেছিলেন। আর বাইরে থেকে এলবুমিন দেয়া সত্ত্বেও পেশেন্টের এলবুমিন লেভেল কমে যাচ্ছিল তার কারণ হিসেবে ভাইয়া বললেন এক্ষেত্রে Protein loosing Enteropathy হয়।

কিন্তু GVHD এর মর্টালিটি রেইট যেহেতু অনেক বেশি, এই পেশেন্ট আসলে সার্ভাইভ করার সম্ভাবনা খুব কম ছিল। (আমি পূর্বে যে দুটো কেইস পড়েছিলাম সেই দুজনই মারা যান। একজনের ক্ষেত্রে ব্লাড ডোনার ছিলেন আপন ভাই, আরেকজনের ক্ষেত্রে আপন ছেলে।)

এই মহিলার শেষ CBC তে WBC count ছিল মাত্র ২৩০/মাইক্রো লিটার (!!!)। Neutrophil 08%, Lymphocyte 90%. ESR= 45.

পরবর্তীতে তাকে হেমোটলজি ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়। ভাইয়া আমাকে নিয়ে যান হেমোটলজি ওয়ার্ডে ভর্তি এই পেশেন্ট দেখানোর জন্য এবং ঐ সময় অধ্যাপক ডা. আখিল রন্জন বিশ্বাস স্যারও ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছিলেন। কিন্তু এই পেশেন্টের বেডে গিয়ে পেশেন্ট কে পাওয়া যায় নি। কারণ উনিও GVHD এর মত একটি Grievous condition এর নিকট হার মেনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

আল্লাহ মেহেরবানী করে রোগী কে বেশেহত নসীব করুন।
ডা. খাইরুল ভাইয়া কে অসংখ্য ধন্যবাদ কেইস টি শেয়ার করার জন্য। এর আগে TA-GVHD এর সেইম আরেকটি কেইস ভাইয়া ডায়াগনোসিস করেন যেখানে Open Heart Surgery এর পর পেশেন্টের জ্বর এবং Rash দেখা দেয়। সার্জারীর সময় নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেন ঐ পেশেন্ট এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মরণঘাতী এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন।

বি: দ্র: ইংরেজিতে একটা কথা আছে,, Knowledge increases by Sharing, not by Saving! এই সিরিজের সবগুলো লিখাই একাডেমিক আলোচনার জন্য। প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য/অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইলে করতে পারেন।
Dr. Fahim Uddin
Khulna Medical College
Session: 2012-2013

:
নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিকটাত্মীয়ের রক্ত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাধারনত Blood Transfusion এর ২ দিন থেকে ৩০ দিন পর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। Immunocompromised গ্রহীতার ক্ষেত্রে রিস্ক সবচেয়ে বেশি থাকে, তবে দৃশ্যত সুস্থ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও Rarely এমনটা ঘটে থাকে।

এর বিস্তারিত ব্যাখা দিতে গিলে অনেক বড় হয়ে যাবে লেখা। সংক্ষেপে বললে, নিকটাত্মীয়ের সাথে আপনার HLA matching থাকায় আপনার রক্তে থাকা T cell(প্রতিরক্ষা কোষ) ডোনারের রক্তে থাকা T cell কে নিজের/Self হিসেবে মনে করবে, তাই তাকে কিছু করবে না। কিন্তু ডোনারের T cell আপনার শরীরে প্রবেশের পর আপনার দেহ কোষগুলো কে Non self/Foreign হিসেবে মনে করবে এবং বিভিন্ন অঙ্গের কোষ গুলো ধ্বংস করতে শুরু করবে। যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা উন্নত বিশ্বেই ৯০% এর বেশি। তবে মাত্র ১% এরও কম কেইসে এটা ঘটে থাকে, অর্থাৎ খুব রেয়ার। কিন্তু হলে যেহেতু রক্ষা নেই, তাই নিকটাত্মীয়ের রক্ত এভয়েড করাই যুক্তিযুক্ত।

বোঝার সুবিধার্থে সাধারন ভাষায় বললে,
বাইরের রাষ্ট্রের কেউ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গেলে বিজিবি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু ধরুন বাংলাদেশ বিজিবির পোশাক পরে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সৈনিকরা এদেশে প্রবেশ করল এবং বাংলাদেশ বিজিবি ঐ সকল সৈনিক কে নিজেদের লোক মনে করে কিছুই করল না। এই সুযোগে ঐ সৈনিকরা এদেশে বংশবৃদ্ধি করলো এবং বাংলাদেশের সাধারন মানুষ দের মারতে থাকলো। ঠিক এটাই ঘটে TA-GVHD তে।
*বিজিবি= গ্রহীতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)
*সৈনিক= দাতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)

♦বিশেষ করে আপন ভাই/বোন, বাবা /মা, ছেলে/ মেয়ে, ভাতিজা/ভাতিজি, ভাগিনা/ভাগিনী থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপন ভাতিজা থেকে রক্ত নিয়ে TA-GVHD হয়ে মারা গেছেন এমন কেইসও আছে।

♣যদি ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে কোনো ডোনার খুঁজে না পাওয়া যায় তখন নিকটাত্মীয় থেকেও বাধ্য হয়ে ব্লাড নিতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে ডোনারের ব্লাড Irradiation করে গ্রহীতার শরীরে দেওয়া হয়।

পড়াশেষে Done লিখুন এবং জনস্বার্থে শেয়ার করুন।

©

জরুরি প্রয়োজনে
21/01/2025

জরুরি প্রয়োজনে

Prof. Dr. Md. Mofizur Rahman MiaMBBS MS (Thoracic Surgery), Professor , Thoracic Surgery, National Institute of Diseases...
06/01/2025

Prof. Dr. Md. Mofizur Rahman Mia
MBBS MS (Thoracic Surgery),
Professor , Thoracic Surgery,
National Institute of Diseases of the Chest & Hospital,
Mohakhali, Dhaka
Mobile: 01711301783

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহনে সাবধান হোন
24/11/2024

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহনে সাবধান হোন

কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের এনআইসিইউ, পিআইসিইউ এর কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন,  বাংলাদেশ শিশু হাসপাতা...
12/11/2024

কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের এনআইসিইউ, পিআইসিইউ এর কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনস্টিটিউট এ অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতি পাওয়ায় কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ আতিকুল ইসলাম,  বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনস্টিটিউট এ অ...
12/11/2024

কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল এন্ড ইনস্টিটিউট এ অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতি পাওয়ায় কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

Address

109 Old Airport Road, (Bijoy Sarani, Tejgaon
Dhaka
1215

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when CURE Specialized Hospital Limited posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to CURE Specialized Hospital Limited:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category