01/10/2025
✅ ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম
📌 ব্যায়াম ডায়েবেটিস রোগ চিকিৎসার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিটি রোগী কি ধরণের ব্যায়াম করবে সেটি তাঁর শারীরিক অবস্থা, খাদ্যভাস, ঔষধ এবং দৈনন্দিন কাজের ধরণের উপর নির্ভর করে।
ব্যায়াম করার লক্ষ্যঃ
১. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ ।
২. ইনসুলিন সেনসিটিভ বাড়ানো ।
৩. রক্তের চর্বির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ।
৪. ঊচ্চ রক্তচাপ কমানো ।
৫. ওজন কমানো ।
৬. শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ানো।
৭. জীবণ যাত্রার মানের উন্নয়ন এবং মানুষিক প্রশান্তি আনা।
৮. শারীরিক বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচল বাড়ানো।
# এরোবিক এক্সসারসাইজ / ব্যায়াম:
- দৌড়ানো
- সাইকেল চালানো
- ট্রেডমিল
- সাতার কাঁটা
- হাঁটা
- জগিং
- এরোবিক ড্যান্স
# এরোবিক ব্যায়ামের সুবিধাসমূহঃ
> শরীরে অক্সিজেন ব্যাবহারের মাত্রা বাড়ায়
> ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
> মাংশপেশীতে রক্ত চলাচল বাড়ায়
> উচ্চ রক্তচাপ কমায়
> রক্তের চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে
> শরীরের মেদ কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে
> ইনসুলিন রেজিসটেন্স কমায়
এন এরোবিক ব্যায়ামঃ
- ওয়েট লিফটিং
- স্প্রিনটিং বা দ্রুততার সাথে দৌড়
- স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং
এনএরোবিক ব্যায়াম এর সুবিধাসমূহঃ
- মাংশপেশির শক্তি বাড়ায়
- টেন্ডন লিগামেন্টকে দৃঢ় করে
- শরীরে নমনীয়তা আনে
- শরীরের মেদ কমিয়ে মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে
- ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি বাড়ায়
- শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে
# ব্যায়ামের সময় খেয়াল রাখা প্রয়োজনঃ
১। ব্যায়াম শুরুর আগে ওয়ার্ম আপ করে নিতে হবে (৫/১০ মিনিট) এবং ব্যায়াম শেষে আরও ৫/১০ মিনিট ধরে শরীরকে ঠান্ডা করতে হবে।(কুল ডাউন)
২। যাঁদের ডায়েবেটিসজনিত জটিলতা নেই তাঁরা সবধরনের ব্যায়াম করতে পারবে। ব্যায়ামের সাথে সাথে ঔষধের মাত্রা এবং খাবার ধরনে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হবে।
টাইপ-২ ডায়েবেটিস রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যায়াম একটি অত্যন্ত জরুরী অংশ।
- ডায়েবেটিস নিউরোপেথি রোগী যাঁদের কিনা বোধশক্তি কম তাঁদের প্রতিনিয়ত ওয়েট বিয়ারিং ব্যায়াম, যেমন দীর্ঘক্ষন হাঁটা, জগিং, ট্রেডমিল ব্যাবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। তাঁদের জন্য ননওয়েট বিয়ারিং ব্যায়াম, যেমন ইয়োগা, সাতার, সাইকেলিং করা উত্তম।
- চারকোট ফুটের রোগীদের ওয়েট বিয়ারিং ব্যায়াম করা যাবে না।
- ডায়েবেটিক রেটিনোপেথি রোগীদের এনএরোবিক ব্যায়াম করা যাবেনা। তাঁদের জন্য হাঁটা, সাইকেলিং,সাতার উপযোগী।
- অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের রোগীদের প্রেশার নিয়ন্ত্রনে আনা পর্যন্ত বায়্যাম থেকে বিরত থাকতে হবে।
- হার্টের সমস্যায় (নিয়ন্ত্রনে আছে) রোগীদের মৃদু মাত্রার ব্যায়াম করতে হবে।
- অতিরিক্ত ডায়েবেটিস/ কিস্টোসিসের রোগীদের ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে হবে।
- রক্তের শর্করার মাত্রা ৫.৫মিলি/লি এর নিচে নামলে ব্যায়ামের পূর্বে ১৫-৩০ গ্রাম গ্লুকোজ খেয়ে নিতে হবে।
- গর্ভকালীন অবস্থায় মৃদু ব্যায়াম যেমন ৩০ মিনিট হাটতে হবে(একবারে অথবা সারাদিনে)।
- নিয়মিত ব্যায়ামের মাঝখানে দুইদিনের বেশি বিরতি দেওয়া যাবেনা।
- টাইপ-২ ডায়েবেটিস রোগীদের এরোবিক ব্যায়াম সপ্তাহে ৩ দিন করতে হবে।
==
👨⚕️ ডা. চৌধুরী রাশেদুল মুগনী
প্লাস্টিক, অ্যাস্থেটিক ও হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন
সহকারী অধ্যাপক, (বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগ)
এফসিপিএস (প্লাস্টিক সার্জারি এবং রিকন্সট্রাকটিভ সার্জারি),
এমআরসিএস (ইংল্যান্ড), এমআরসিএসইডি
এমবিবিএস (এএফএমসি),
ফেলোশিপ ইন ডায়াবেটিক ফুট সার্জারী (আইপিএ, ভারত)
-
☑️রোগী দেখছেনঃ
🏥একাগ্রা হেলথ
📌ঠিকানাঃ ওহাব পয়েন্ট, লিফট ৭, বাসা ১৩, রোড ২, ধানমন্ডি, ঢাকা
(ধানমন্ডি পপুলার ডায়াগনস্টিক ভবন ১-এর পাশের বিল্ডিং)
🕔রোগী দেখার সময়ঃ শনিবার, সোমবার ও বৃহস্পতিবার ( বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮টা )
ও রবি, মঙ্গল ও বুধবার (সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা)
☎ এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য যোগাযোগ করুন: 01842-182545 (WhatsApp)
-
📌YouTube Channel: https://www.youtube.com/.rashedsurgeryinsight
🌐 Visit website: www.drcrmughni.com
==
#ডায়াবেটিসব্যায়াম #সুস্থজীবন #শরীরচর্চা #স্বাস্থ্যসচেতনতা