18/08/2025
আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে আমার রোগীর পেটে টিউমার বা চাকামত কিছু একটা পাওয়া গেছে। বেটার ইমেজিং এর জন্য একটা সিটিস্ক্যান লাগবে৷ কিন্তু রোগী সেটা করতে পারবেনা। তার টাকা নাই। সর্বোচ্চ ডিস্কাউন্ট দেবার পরও সে সেটা করতে পারবেনা।
সিটিস্ক্যানে টিউমার পাওয়া যাবে বলেই আমার ধারণা। এরপর সেটা বায়োপসি করতে হবে৷ বায়োপসির পর যদি ক্যান্সার ধরা পড়ে তাহলে ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট্রি। কারণ চিকিৎসা আজকাল কেবল কক্টেল কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি না। ম্যাব, ইমিউনোথেরাপি, টারগেটেড থেরাপিও আছে। PET CT স্ক্যান তো করতেই পারিনা। সরকারি প্রতিষ্ঠানে হয় সিরিয়াল পাইনা নয়তো FDG এর সাপ্লাই নাই তাই PET CT SCAN প্রায়ই সাময়িক বন্ধ থাকে। বেসরকারি হাসপাতালে এফর্ড করতে পারেনা রোগীরা। হয়ও অল্প কয়েকটা হাসপাতালে।
মাননীয় সরকার দয়া করে এসব নিয়ে কাজ করুন। আমরা যারা তুলনামূলক জটিল অসুখ নিয়ে ডিল করি আমরা খুব অসহায় বোধ করি। পরীক্ষা নিরীক্ষা দিতে পারিনা ঠিকভাবে। রোগীরাও ভুল বুঝে। আর আপনারাও এসব পপুলিস্ট কথা বলে রোগীদের অবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলেন।
আমরা কমিশন খাবো কি, রোগীর কাছ থেকে উচিত ভিজিটটাই তো নিতে পারিনা। অনেকক্ষেত্রে সব বাদ দিয়েও রোগীর চিকিৎসা এনশিউর করতে পারিনা। কারণ এন্টিবায়োটিক যে কিনবে, রক্ত যে দিবে সেই টাকা, ম্যানপাওয়ারই রোগীর নেই। বলে আপনি কিছু ওষুধ লিখে দেন বাড়িতে নিয়ে খাওয়াবো। এই হলো গ্রাউন্ড রিয়েলিটি।
দেশের বয়স চুয়ান্ন বছর। আজ অব্দি হেলথ ইন্সিউরেন্স নিশ্চিত করা গেলোনা৷
আজ বেশ কয়েকমাস ধরে সরকারি হাসপাতালে রেডিও এক্টিভ আয়োডিনের সাপ্লাই নেই৷ কেন নেই - তার উত্তর একেকজন একেকটা দেয়৷ এই ওষুধ আবার বেসরকারিতেও পাবেননা। সরকারকেই আনতে হয়। থাইরয়েড ক্যান্সারের রোগীদের কি অবস্থা এবার তাহলে ভাবেন।
আপনারা আছেন অতিরিক্ত টেস্ট নিয়ে। আমরা তো দেখি উচিত পরীক্ষাটাই করা যাচ্ছেনা৷
-ডা: গুলজার