Al Helal Physiotherapy Center

Al Helal Physiotherapy Center Al Helal Physiotherapy Center care for people who need therapy. Md. Book your appointment by WhatsApp or Call for therapy.

Enayet
Ul Islam, former sergeant of CMH, served 28 years more as an old hand physiotherapist.

আপনার সুস্থতায় হিজামা থেরাপি কতটুকু জরুরী ঃ  হিজামা থেরাপি (Hijama Therapy) বা কাপিং থেরাপি একটি প্রাচীন ও প্রাকৃতিক চি...
14/06/2025

আপনার সুস্থতায় হিজামা থেরাপি কতটুকু জরুরী ঃ

হিজামা থেরাপি (Hijama Therapy) বা কাপিং থেরাপি একটি প্রাচীন ও প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শরীরের নির্দিষ্ট অংশে কাপ (চোষণ) ব্যবহার করে ত্বকের নিচ থেকে বিষাক্ত রক্ত বা দূষিত উপাদান বের করে আনা হয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাহ চিকিৎসা পদ্ধতির অন্যতম এবং বিভিন্ন রোগের জন্য প্রাকৃতিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন সমাধান হিসেবে ধরা হয়।

---

🩺 হিজামা থেরাপি কীভাবে কাজ করে?

হিজামা দুইভাবে করা হয়:

1. ড্রাই হিজামা (Dry Cupping): শুধুমাত্র কাপ দিয়ে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করা হয়, কাটা হয় না।

2. ওয়েট হিজামা (Wet Cupping): কাপ দিয়ে চোষণের পর ত্বকে ছোট ছোট কাট দিয়ে দূষিত রক্ত বের করে আনা হয়।

---

✅ ১৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের জন্য হিজামা কতটা যুক্তিযুক্ত?

হিজামা থেরাপি ১৫-৬০ বছর বয়সীদের জন্য অনেকটাই নিরাপদ এবং উপকারী, তবে নিচের শর্তে:

যদি কোনো ক্রনিক রোগ না থাকে (যেমন রক্তপাতজনিত রোগ, অ্যানিমিয়া, হেমোফিলিয়া)

প্রশিক্ষিত থেরাপিস্ট দ্বারা করা হয়

থেরাপির আগে স্বাস্থ্য যাচাই করা হয়

হিজামা এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা হিসেবেও গ্রহণ করা যেতে পারে, বিশেষ করে বছরে ১-২ বার।

---

🌿 হিজামার উপকারিতা

1. ✅ রক্তচলাচল উন্নত করে

2. ✅ শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত রক্ত বের করে দেয়

3. ✅ মাথাব্যথা ও মাইগ্রেন কমায়

4. ✅ ঘাড়, পিঠ ও জয়েন্টের ব্যথা উপশম করে

5. ✅ স্ট্রেস ও মানসিক চাপ কমায়

6. ✅ হরমোন ব্যালান্স করে

7. ✅ ঘুমের সমস্যা ও ইনসোমনিয়া কমায়

8. ✅ পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী

---

🦠 কোন কোন রোগে হিজামা থেরাপি নিতে হয়?

নিচের রোগগুলোর ক্ষেত্রে হিজামা উপকারী প্রমাণিত:

রোগের নাম হিজামার ভূমিকা

মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যথা উপশম
গ্যাস্ট্রিক ও হজম সমস্যা পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি
কোমর/ঘাড়/পিঠের ব্যথা রক্ত চলাচল উন্নত করে ব্যথা কমায়
সাইনাস ও অ্যালার্জি নাক ও শ্বাসপ্রশ্বাসে স্বস্তি
উচ্চ রক্তচাপ রক্তপ্রবাহ ও হৃদপিণ্ডে চাপ হ্রাস
চর্মরোগ (সোরিয়াসিস, একজিমা) টক্সিন পরিষ্কার করে
বন্ধ্যাত্ব সমস্যা হরমোন ব্যালান্স করে, রক্তপ্রবাহ বাড়ায়
মানসিক চাপ ও হতাশা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়

---

⚠️ হিজামা কাদের জন্য নয়?

রক্তপাতজনিত রোগে আক্রান্ত

অতি দুর্বল বা অনাহারী অবস্থায়

গর্ভবতী মহিলারা (বিশেষ করে প্রথম ৩ মাসে)

হিমোগ্লোবিন খুব কম হলে

অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট ঔষধ (রক্ত পাতলা করার ওষুধ) খাওয়া অবস্থায়

---

📅 হিজামা করার সেরা সময়

ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে আরবি মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখে হিজামা করা সর্বোত্তম (বিশেষত সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার)।

তবে চিকিৎসা উদ্দেশ্যে যেকোনো সময়ে করা যেতে পারে।

---

🔚 উপসংহার

১৫-৬০ বছর বয়সীদের জন্য হিজামা থেরাপি নিয়মিত বা বছরে একাধিকবার নেয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ ও উপকারী, তবে এটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের কাছ থেকে নিতে হবে। এটি কোনো ম্যাজিক বা অলৌকিক পদ্ধতি নয়, তবে একটি শক্তিশালী সহায়ক চিকিৎসা।

না না আর পারছিনা পেটের জ্বালা  ঃ                          গ্যাস্ট্রিক বা এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যায় যারা বছরের পর বছর ধরে ...
10/06/2025

না না আর পারছিনা পেটের জ্বালা ঃ
গ্যাস্ট্রিক বা এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যায় যারা বছরের পর বছর ধরে নিয়মিত ওষুধ (যেমন ওমিপ্রাজল, র‍্যানিটিডিন, এসিওল, ইত্যাদি) খেয়ে যাচ্ছেন, তাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো:

---

🔴 দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব

১. পুষ্টি শোষণে সমস্যা

ভিটামিন B12 এর ঘাটতি হতে পারে, কারণ এসিড কমে গেলে এর শোষণ ব্যাহত হয়।

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম শোষণে সমস্যা হওয়ায় হাড় দুর্বল হয়ে যায় (অস্টিওপরোসিস) এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ে।

২. কিডনি সমস্যা

দীর্ঘমেয়াদি প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (PPI) ওষুধ যেমন ওমিপ্রাজল গ্রহণ করলে ক্রনিক কিডনি রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৩. পেটের সংক্রমণ

পাকস্থলীর অ্যাসিড কমে যাওয়ায় ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায়, বিশেষ করে H. pylori বা Clostridium difficile সংক্রমণ হতে পারে।

৪. আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন এসব ওষুধ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।

---

🟢 ওষুধ ছাড়া গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায়

ধৈর্য, নিয়মিত অভ্যাস এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক থেকে ধীরে ধীরে ওষুধ ছাড়া মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

১. খাবার-ঘুমের নিয়ম পরিবর্তন

কম করে বারবার খান, যেমন দিনে ৫–৬ বার হালকা খাবার।

রাতের খাবার শোবার ২-৩ ঘণ্টা আগে খান।

অতিরিক্ত তেল, ঝাল, টক ও ভাজাপোড়া পরিহার করুন।

২. পানি ও ভেষজ পানীয়

খালিপেটে বেশি পানি পান করা এড়ান, তবে দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

পুদিনা পাতা, তুলসী পাতা, আদা, সাদাবিচি/মেথী ভেজানো পানি উপকারী।

সোনাপাতা (Licorice root) গ্যাস্ট্রিকের জন্য প্রাকৃতিক ও কার্যকর ভেষজ।

৩. গ্যাস উৎপাদক খাবার এড়ানো

যেমন: ডাল, বাঁধাকপি, মটর, সফট ড্রিংকস, বিয়ার, ইত্যাদি।

৪. বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান

দই/ঘোল: প্রোবায়োটিক উপকারী ব্যাকটেরিয়া গ্যাস্ট্রিক কমায়।

কাঁচা আদা: খাবারের সঙ্গে ছোট করে কাটা আদা খাওয়া যেতে পারে।

কলা ও ওটস: পাকস্থলীর এসিড শুষে নিতে সাহায্য করে।

৫. স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা কমান

স্ট্রেস গ্যাস্ট্রিক বাড়ায়। নিয়মিত ধ্যান (meditation), হাঁটা, হালকা ব্যায়াম উপকারী।

---

✅ উপসংহার:

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে খেলে দেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ধাপে ধাপে জীবনযাপন পরিবর্তন ও ভেষজ পদ্ধতি অবলম্বন করে ওষুধ ছাড়াও গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে কোনো পরিবর্তন করার আগে ধীরে ধীরে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে করাই উত্তম।

ঈদের দিনের খাবার কেমন হওয়া চাই ঃ                      ঈদের দিনে বিশেষ করে কোরবানির ঈদে আমরা সাধারণত প্রচুর মাংসজাত খাবার...
07/06/2025

ঈদের দিনের খাবার কেমন হওয়া চাই ঃ

ঈদের দিনে বিশেষ করে কোরবানির ঈদে আমরা সাধারণত প্রচুর মাংসজাত খাবার খাই, যা অতিরিক্ত খেলে হজমে সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালা, পেট ফাঁপা ও উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা হতে পারে। তাই ঈদের আনন্দ ঠিক রেখে শরীর ভালো রাখতে নিচের খাদ্যাভ্যাসগুলো অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ:

---

✅ ঈদের দিনে শরীর ভালো রাখার জন্য খাবারের পরামর্শ:

১. সকালের হালকা ও পুষ্টিকর নাশতা:

ঈদের নামাজের আগে বা পরে হালকা নাশতা করুন।

উপযুক্ত খাবার: খেজুর, দুধ, ফলমূল বা ওটস, হালকা ভাত/চিড়া।

২. মাংস খাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণে থাকুন:

গরু বা খাসির মাংস একেবারে বেশি পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

পরিমাণমতো খান (১-২ পিস যথেষ্ট) এবং সঙ্গে সবজি বা সালাদ রাখুন।

৩. সবুজ শাকসবজি ও সালাদ যুক্ত করুন:

মাংস হজমে সাহায্য করে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন:

শসা, গাজর, টমেটো, পুঁই শাক ইত্যাদি।

সালাদ ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমে।

৪. ভাজাভুজি ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:

অনেকেই কাবাব, তেহারি, নেহারি খেয়ে থাকেন, যেগুলো চর্বিযুক্ত। এগুলোর পরিমাণ কমান।

৫. ফলের ব্যবহার বাড়ান:

খাবারের ফাঁকে বা শেষে ফল খান যেমন:

পেঁপে (হজমে সহায়ক), আপেল, কলা, ইত্যাদি।

৬. প্রচুর পানি পান করুন:

ঈদের দিন ঘুরাঘুরি, অতিথি আপ্যায়নের মাঝে পানি কম খাওয়া হয় — এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

৭. ধীরে ধীরে ও সময় নিয়ে খান:

তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। প্রতিটি খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে খেলে হজম ভালো হয়।

৮. হালকা হাঁটাহাঁটি করুন:

খাবারের পরে কিছু সময় হাঁটুন। এটি হজমে সাহায্য করবে।

---

⚠️ যাদের বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে (যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক):

মাংস কম খান, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত অংশ এড়িয়ে চলুন।

লবণ কম ব্যবহার করুন।

মিষ্টি জাতীয় খাবার (সেমাই, পায়েস, হালুয়া) সীমিত পরিমাণে খান।

---

ঈদের আনন্দ যেন স্বাস্থ্যহানির কারণ না হয় — এই বিষয়টি মাথায় রেখে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে ঈদের দিনও থেকে যাবেন সুস্থ, সতেজ ও সক্রিয়।

ঈদ মোবারক!

পারছিনা পারছিনা জীবন তছনছ!                                   মেদ বা ভুঁড়ি কমাতে একজন মোটা মানুষের জন্য আদর্শ ডায়েট হতে ...
02/06/2025

পারছিনা পারছিনা জীবন তছনছ!

মেদ বা ভুঁড়ি কমাতে একজন মোটা মানুষের জন্য আদর্শ ডায়েট হতে হবে এমন যা:
• কম ক্যালোরি
• পুষ্টিসমৃদ্ধ
• দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে
• রক্তে চিনি ও ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখে
🍽️ আদর্শ ডায়েট পরিকল্পনা (সাধারণ মোটা মানুষের জন্য)
🌅 সকালের নাশতা (৮–৯টা):
• ২টি সিদ্ধ ডিম, ১ বাটি(medium) সালাদ
• ১ মুঠো বাদাম
• ১ কাপ চিনি ছাড়া গ্রিন টি বা লেবু পানি
• ফল (যেমন: আপেল, পেয়ারা বা কলার অর্ধেক)
✅ প্রোটিন ও ফাইবার দিয়ে দিন শুরু করলে ক্ষুধা কমে।
🕛 দুপুরের খাবার (১–২টা):
• ২ কাপ ভাত (সিদ্ধ বা ব্রাউন রাইস) বা ২টি আটার রুটি
• ১ বাটি শাকসবজি (ভাপানো বা কম তেলে রান্না করা)
• ১ পিস গ্রিলড বা সিদ্ধ মাছ/মুরগি
• ১ প্লেট সালাদ (শসা, টমেটো, গাজর, ধনে পাতা)
✅ ভাত কম, শাকসবজি ও প্রোটিন বেশি = চর্বি কমবে।
🕓 বিকেলের নাশতা (৫–৬টা):
• ১ কাপ গ্রিন টি/লেবু পানি
• ১টি ফল (কমলা/আপেল/পেয়ারা)
• কিছু বাদাম (৫–৬টি)
🌙 রাতের খাবার (৮টার মধ্যে):
• ১ টি ডিম, ১ কাপ ভেজিটেবল স্যুপ
• গ্রিলড মাছ/মুরগি, ১ মুঠো বাদাম
• সালাদ
✅ রাতে হালকা খাবার খেতে হবে। রাতে ভাত এড়ানো উচিত।
🚫 যা বাদ দিতে হবে:
• অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার
• সফট ড্রিংকস, মিষ্টি, কেক
• অতিরিক্ত চিনি ও দুধ চা
• ফাস্টফুড ও প্রসেসড ফুড
• অতিরিক্ত লবণ
💧 জলপান ও ব্যায়াম:
• প্রতিদিন ২.৫–৩ লিটার পানি পান করতে হবে
• হালকা হাঁটা/ব্যায়াম অন্তত ৩০–৪০ মিনিট
• রাতে দেরিতে না খাওয়া, আর খাবার খাওয়ার পর ঘুম না দেওয়া
✅ বিশেষ পরামর্শ:
• খাবার সময়মতো খেতে হবে
• খেতে হবে আস্তে আস্তে, ভালোভাবে চিবিয়ে
• প্রতি সপ্তাহে ওজন পরিমাপ করুন।

মাত্র ৪ টি বিষয় আপনার জীবন পাল্টে দিবে!                            সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আদর্শ খাবার, নিয়মিত ঘুম, শরীরচ...
01/06/2025

মাত্র ৪ টি বিষয় আপনার জীবন পাল্টে দিবে!

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আদর্শ খাবার, নিয়মিত ঘুম, শরীরচর্চা, এবং পরিবেশ—এই চারটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি বিষয়ের ভূমিকা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

---

🌿 ১. আদর্শ খাবার (Balanced Diet):

সুস্থ শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য সঠিক পুষ্টি অপরিহার্য।

গুরুত্ব:

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হরমোন এবং শরীরের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার ইত্যাদি অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।

উপযুক্ত খাবার:

শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, ডাল, মাছ, ডিম, দুধ।

কম চিনি, লবণ ও তেলযুক্ত খাবার।

প্রাকৃতিক ও ঘরে তৈরি খাবারকে অগ্রাধিকার।

---

😴 ২. নিয়মিত ঘুম (Proper Sleep):

ঘুম হলো শরীরের মেরামতের প্রাকৃতিক সময়।

গুরুত্ব:

মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় থাকে।

ঘুম কম হলে মানসিক চাপ, ওজন বৃদ্ধি ও রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

আদর্শ ঘুম:

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিরাতে ৭–৮ ঘণ্টা।

একই সময়ে ঘুমানো ও জাগা অভ্যাস করুন।

---

🏃 ৩. শরীরচর্চা (Physical Activity):

নিয়মিত ব্যায়াম শরীর ও মন দুইই সুস্থ রাখে।

গুরুত্ব:

হাড়, পেশি ও জয়েন্ট সুস্থ রাখে।

হৃদপিণ্ড, ফুসফুস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মানসিক চাপ কমায় এবং ঘুম ভালো করে।

ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ও হৃদরোগ রোধ করে।

উপযুক্ত শরীরচর্চা:

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার বা হালকা ব্যায়াম।

সপ্তাহে ২-৩ দিন স্ট্রেচিং বা শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম।

---

🌱 ৪. পরিবেশ (Healthy Environment):

পরিবেশ আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

গুরুত্ব:

পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত পরিবেশ রোগের ঝুঁকি কমায়।

প্রাকৃতিক আলো ও খোলা বাতাস মানসিক শান্তি আনে।

সামাজিক পরিবেশ ভালো হলে মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

ভালো পরিবেশ মানে:

বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা।

সবুজ গাছপালা, পর্যাপ্ত আলো-বাতাস।

ধূমপান ও শব্দদূষণমুক্ত এলাকা।

---

✅ উপসংহার:

> এই চারটি দিক যদি আমরা প্রতিদিনের জীবনে গুরুত্ব সহকারে অনুসরণ করি, তাহলে শরীর ও মন থাকবে সুস্থ, কর্মক্ষমতা বাড়বে এবং জীবনের মান উন্নত হবে।

সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথা - না আর ঔষধ না!           ব্যথা নিরাময়ের জন্য সবসময় ব্যথানাশক ঔষধ সেবন না করে প্রাকৃতিক ও ভ...
31/05/2025

সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দিব কোথা - না আর ঔষধ না!

ব্যথা নিরাময়ের জন্য সবসময় ব্যথানাশক ঔষধ সেবন না করে প্রাকৃতিক ও ভেষজ পদ্ধতিতে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করলে অনেকাংশে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্তভাবে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকর ভেষজ ও প্রাকৃতিক উপায় উল্লেখ করা হলো—

---

🌿 প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যথা কমানোর ভেষজ পদ্ধতি

১. হলুদ (Turmeric)

কার্যকারিতা: এতে আছে কুরকুমিন (Curcumin) নামক উপাদান, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি।

ব্যবহার: গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া বা হলুদের পেস্ট তৈরি করে ব্যথার স্থানে লাগানো।

২. আদা (Ginger)

কার্যকারিতা: ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।

ব্যবহার: আদা চা পান করুন, অথবা আদার পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগান।

৩. লবঙ্গ (Clove)

কার্যকারিতা: দাঁতের ব্যথা, মাথাব্যথা ইত্যাদিতে ভালো কাজ করে।

ব্যবহার: লবঙ্গের তেল ব্যথার স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।

৪. তিলের তেল (Sesame Oil)

কার্যকারিতা: হাড়-জোড়ার ব্যথা এবং পেশির ব্যথা কমায়।

ব্যবহার: হালকা গরম করে আক্রান্ত স্থানে মালিশ করুন।

৫. নীম পাতা

কার্যকারিতা: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে।

ব্যবহার: নীম পাতা বেটে ব্যথার স্থানে লাগানো।

৬. পুদিনা পাতা / মিন্ট অয়েল

কার্যকারিতা: মাথাব্যথা, গাঁটের ব্যথায় শীতল প্রশান্তি দেয়।

ব্যবহার: মিন্ট অয়েল দিয়ে হালকা করে মালিশ করুন।

---

🌿 সহায়ক প্রাকৃতিক অভ্যাস

✅ গরম পানির ভাপ বা হট প্যাক – পেশি শিথিল করে।

✅ ঠাণ্ডা প্যাক – প্রদাহ কমায়।

✅ হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং – রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে ব্যথা কমায়।

✅ যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন – দীর্ঘমেয়াদে ব্যথা কমাতে ও মন শান্ত রাখতে সাহায্য করে।

---

⚠️ সতর্কতা

> ভেষজ চিকিৎসা গ্রহণের আগে যদি কারো এলার্জি বা অন্যান্য রোগ (যেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ) থাকে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

হাঁটু ব্যথা সারাতে আপনিই হোন ডাক্তার!                            ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে হাঁটুর ব্যথা খুব সাধারণ একটি স...
29/05/2025

হাঁটু ব্যথা সারাতে আপনিই হোন ডাক্তার! ৫০ ঊর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে হাঁটুর ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা, এবং এটি দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে অনেকটা ব্যাহত করতে পারে। এই ব্যথার পেছনে বেশ কিছু কারণ ও সমাধান রয়েছে, যা জানা থাকলে শুরু থেকেই প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

---

🦵 হাঁটুর ব্যথার সাধারণ কারণসমূহ (৫০ ঊর্ধ্বদের মধ্যে):

১. অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)

এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ। বয়সের সাথে সাথে হাঁটুর কার্টিলেজ ক্ষয়ে যেতে থাকে, ফলে জয়েন্টে ঘর্ষণ বাড়ে এবং ব্যথা হয়।

২. অতিরিক্ত ওজন

হাঁটুতে প্রতিনিয়ত শরীরের পুরো ওজন বহন করতে হয়। অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর জয়েন্টে বেশি চাপ ফেলে।

৩. পূর্বের ইনজুরি বা ট্রমা

পূর্বে পড়ে যাওয়া, এক্সিডেন্ট বা চোটের কারণে হাঁটুর গঠন নষ্ট হলে বয়স বাড়ার সাথে ব্যথা বেড়ে যায়।

৪. সাধারণ হাড় ক্ষয় (Bone Density কমে যাওয়া)

হাড় দুর্বল হয়ে গেলে জয়েন্টেও সমস্যা দেখা দেয়।

৫. জয়েন্টে প্রদাহ (Inflammation)

বাত, গাউট (Gout), রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদিতে হাঁটু ফুলে গিয়ে ব্যথা করে।

৬. পেশী ও লিগামেন্ট দুর্বল হওয়া

হাঁটুর চারপাশের পেশী দুর্বল হয়ে গেলে জয়েন্টে স্থিতিশীলতা কমে যায়।

---

✅ সমাধান ও করণীয়:

🔹 ১. ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা

ওজন কমলে হাঁটুর উপর চাপ কমে। ওজন কমানোর জন্য হালকা ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করুন।

🔹 ২. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম

ব্রিস্ক ওয়াকিং, সাঁতার, ইয়োগা, সাইক্লিং হাঁটুর জন্য খুব উপকারী।

ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু হাঁটুর ব্যায়াম (যেমন: স্ট্রেইট লেগ রেইজ, হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচ ইত্যাদি)।

🔹 ৩. ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া

দুধ, দই, ছোট মাছ, ডিম, সূর্যালোক গ্রহণ করা।

🔹 ৪. হাঁটুতে গরম বা ঠান্ডা সেঁক

ব্যথার অবস্থান অনুযায়ী হালকা গরম পানির প্যাড বা বরফ ব্যবহার করুন।

🔹 ৫. জুতা ও হাঁটার ভঙ্গি ঠিক রাখা

নরম কুশনযুক্ত আরামদায়ক জুতা পরা উচিত।

অতিরিক্ত সিঁড়ি উঠানামা, নিচু হয়ে কাজ করা এড়িয়ে চলুন।

🔹 ৬. ভেষজ ও প্রাকৃতিক প্রতিকার

আদা, হলুদ, মেথি ইত্যাদি নিয়মিত গ্রহণ করলে ব্যথা ও প্রদাহ কমে।

পুদিনা তেল বা ইউক্যালিপটাস তেল মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।

🔹 ৭. ফিজিওথেরাপি ও অ্যাকুপাংচার

অনেক ক্ষেত্রে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি, আকুপাংচার বা হিজামা থেরাপি চমৎকার ফল দেয়।

---

🚫 কখন ডাক্তার দেখানো জরুরি:

হাঁটু ফুলে গেছে বা লাল হয়ে আছে

ব্যথা বেড়েই চলেছে

হাঁটুতে শব্দ হয় বা নড়াচড়া সীমিত হয়ে গেছে

---

📝 উপসংহার:

> হাঁটুর যত্ন মানে চলার পথের নিশ্চয়তা।
নিয়মিত সচেতনতা, ব্যায়াম, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও থেরাপির মাধ্যমে ৫০ ঊর্ধ্বদের হাঁটুর ব্যথা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ডায়াবেটিস রোগীর অস্টিও আর্থ্রাইটিস ব্যথা কি করি!              ডায়াবেটিস থাকা কোনো রোগী যদি অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Arthritis...
26/05/2025

ডায়াবেটিস রোগীর অস্টিও আর্থ্রাইটিস ব্যথা কি করি!

ডায়াবেটিস থাকা কোনো রোগী যদি অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Arthritis) ব্যথা নিয়ে ফিজিওথেরাপি নিতে আসে, তখন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কিছু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। ডায়াবেটিস রোগীর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভিন্ন হয়, এবং কিছু ঝুঁকি থাকে। নিচে বিস্তারিতভাবে তা দেওয়া হলো:

---

১. স্নায়ু সংবেদনশীলতা (Peripheral Neuropathy) বিবেচনা করা

অনেক ডায়াবেটিক রোগীর স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়, ফলে তারা ব্যথা বা তাপমাত্রার পরিবর্তন ঠিকমতো বুঝতে পারেন না।

ঝুঁকি: হট প্যাক ব্যবহারে বার্ন বা পোড়ার সম্ভাবনা।

সতর্কতা: সবসময় তাপমাত্রা পরীক্ষা করে দিতে হবে, এবং রোগীর অনুভূতি যাচাই করতে হবে।

---

২. রক্ত সঞ্চালন (Poor Circulation) সমস্যা

ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে স্লো হিলিং ও রক্ত চলাচলের সমস্যা সাধারণ।

ঝুঁকি: খুব বেশি প্রেশার বা টান প্রয়োগে চোট সারতে দেরি হতে পারে।

সতর্কতা: হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে হবে, খুব ধীরে ধীরে অগ্রগতি করতে হবে।

---

৩. ব্লাড সুগার লেভেল মনিটরিং

ব্যায়ামের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে কমে যেতে পারে (হাইপোগ্লাইসেমিয়া)।

সতর্কতা:

সেশন শুরুর আগে ও পরে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করলে ভালো হয়।

রোগী খালি পেটে এসেছে কিনা তা যাচাই করা জরুরি।

প্রয়োজনে সাথে গ্লুকোজ ট্যাবলেট রাখতে বলা যেতে পারে।

---

৪. সংক্রমণের ঝুঁকি

ডায়াবেটিক রোগীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

সতর্কতা:

ইনসুলিন ইনজেকশন দেওয়া যায় এমন জায়গায় ম্যাসাজ/স্টিম এড়ানো।

যেকোনো ত্বকের ক্ষত বা লালচে ভাব থাকলে ব্যায়াম স্থগিত করা।

---

৫. জয়েন্টে ফোলা বা ইনফ্ল্যামেশন

ব্যথার পাশাপাশি যদি জয়েন্ট ফুলে থাকে, তাহলে ফিজিও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।

সতর্কতা:

অতিরিক্ত মোবিলাইজেশন এড়ানো।

ঠান্ডা প্যাক প্রয়োগে তাপমাত্রা ভালোভাবে পরীক্ষা করা।

---

৬. প্রতিটি ব্যায়ামের সময় ভালো পর্যবেক্ষণ

রোগীর প্রতিক্রিয়া সবসময় মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে, কারণ অনেক সময় তারা ব্যথা ঠিকমতো প্রকাশ করতে পারেন না।

---

উপসংহার:
ডায়াবেটিক আর্থ্রাইটিস রোগীর ফিজিওথেরাপি পরিচালনা করতে হলে রোগীর পূর্ণ মেডিকেল ইতিহাস জানা, রক্তে শর্করার মাত্রা মনিটর করা, এবং প্রতিটি থেরাপি পদ্ধতি রোগীর শারীরিক অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে হবে। সবসময় নিরাপত্তা ও ধৈর্য বজায় রাখতে হবে।

সুস্থ ও সুন্দর জীবনের লক্ষ্যে আমাদের কি করা উচিৎঃ    সুস্থ জীবনের লক্ষ্যে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় অনুসরণ করলে আমরা দ...
23/05/2025

সুস্থ ও সুন্দর জীবনের লক্ষ্যে আমাদের কি করা উচিৎঃ

সুস্থ জীবনের লক্ষ্যে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় অনুসরণ করলে আমরা দেহ ও মন উভয় দিক থেকেই সুস্থ থাকতে পারি। নিচে তা তুলে ধরা হলো:

করণীয়:

1. সঠিক খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টিকর ও সুষম খাবার গ্রহণ করা (শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার)।

2. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম করা।

3. পর্যাপ্ত ঘুম: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য।

4. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: হাত ধোয়া, শরীর ও বাসস্থানের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

5. মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া: স্ট্রেস কমাতে ধ্যান, প্রার্থনা বা প্রিয় কাজে মনোনিবেশ করা।

6. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো।

বর্জনীয়:

1. অতিরিক্ত ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার খাওয়া।

2. ধূমপান ও মদ্যপান: এগুলো ক্যানসার, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগের কারণ।

3. অতিরিক্ত জাংক ফুড বা চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ।

4. অলসতা বা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা: শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।

5. অপর্যাপ্ত পানি পান: পানিশূন্যতা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

6. নেগেটিভ চিন্তা ও মানসিক চাপকে উপেক্ষা করা।

সুস্থ জীবন গঠনে এই অভ্যাসগুলো চর্চা করা গেলে আমরা দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে পারি।

ভাই কোমরে ব্যথা বুড়া করে দিলো। কি করবো কি করবোনা ভেবে দেখি ঃ                                                            ...
22/05/2025

ভাই কোমরে ব্যথা বুড়া করে দিলো। কি করবো কি করবোনা ভেবে দেখি ঃ বর্তমানে কোমরে ব্যথা (low back pain) একটি খুব সাধারণ ও ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে নগর জীবনে বসে কাজ করা মানুষের মধ্যে। এটি সাময়িক হতে পারে আবার দীর্ঘস্থায়ী হয়ে দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করতেও পারে।

---

কেন কোমরে ব্যথা বাড়ছে (মূল কারণগুলো):

১. বসে বসে কাজ করা (sedentary lifestyle)
২. কম ব্যায়াম ও শরীরচর্চার অভাব
৩. ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো (কম্পিউটার, মোবাইল ব্যবহার, চেয়ারে ভুলভাবে বসা)
৪. ভুলভাবে ভারী জিনিস তোলা
৫. অতিরিক্ত মোটা হওয়া (ওবেসিটি) – শরীরের ওজনের চাপ পড়ে কোমরের উপর
৬. স্লিপ ডিস্ক, সায়াটিকা, স্পন্ডিলোসিস ইত্যাদি রোগ
৭. হরমোন বা বয়সজনিত হাড়ের ক্ষয় (osteoporosis)
৮. মানসিক চাপ ও টেনশন – পেশি শক্ত হয়ে ব্যথা সৃষ্টি করে

---

জীবন আচরণে পরিবর্তন (Life Style Modification):

১. সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও দাঁড়ানো শিখুন

চেয়ারে বসার সময় কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন

ঘাড় নিচু না করে স্ক্রিন চোখের সমান উচ্চতায় রাখুন

২. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করুন

প্রতিদিন ২০–৩০ মিনিট হাঁটুন

“ক্যাট-কাউ স্ট্রেচ”, “চাইল্ড পোজ” ব্যয়াম করুন

3. ঘন ঘন বিরতি নিন (প্রতি ৩০-৪০ মিনিট কাজের পর উঠে দাঁড়ান বা হাঁটুন)

4. ভারী জিনিস তুললে হাঁটু ভেঙে তুলুন, কোমর না বাঁকিয়ে

5. ঘুমানোর পজিশন ঠিক করুন

সোজা হয়ে ঘুমান

কাঁথা বা পাতলা বালিশ কোমরের নিচে রাখলে আরাম হয়

6. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন

---

কোন খাবার খাওয়া উচিত কোমর ব্যথা প্রতিরোধে:

১. হাড় ও জয়েন্টের জন্য উপকারী খাবার:

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: দুধ, দই, ছানা, সাদা তিল, শাকপাতা (পালং, ঢেঁড়স)

ভিটামিন D: ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক মাছ (সার্ডিন, সালমন), রোদে থাকা

ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস: বাদাম, কলা, মিষ্টি আলু

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: মাছ, চিয়া বীজ, আখরোট (anti-inflammatory)

২. প্রদাহ (inflammation) কমায় এমন খাবার:

হলুদ (কারকিউমিন), আদা

অলিভ অয়েল

সবুজ শাকসবজি, ফলমূল

টমেটো, বিট

৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

পেশি ও ডিস্ক গুলো হাইড্রেটেড রাখতে পানি দরকার

---

যা এড়িয়ে চলা উচিত:

লম্বা সময় চেয়ারে বসে থাকা

কোমরে ভর দিয়ে ভারি জিনিস তোলা

চিপস, ফাস্টফুড, সফট ড্রিঙ্কস – হাড় দুর্বল করে

অতিরিক্ত চিনি ও লবণ

ধূমপান – হাড় ও ডিস্কের ক্ষতি করে

---

চিকিৎসা দরকার কবে?

যদি ব্যথা ৩ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়

যদি ব্যথা পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে (সায়াটিকা)

যদি পা অবশ হয়ে যায় বা দুর্বল লাগে

রাতে ঘুম ভেঙে যায় ব্যথার কারণে

প্রস্রাব/পায়খানায় সমস্যা হয়

এমন ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল মেডিসিন,অর্থোপেডিক বা নিউরো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন

ঔষধসেবন ছাড়াও বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব!  ফিজিওথেরাপি, আকুপাংচার ও হিজামা থেরাপি — এই তিনটি প্রাকৃতিক ও পার্শ্বপ...
18/05/2025

ঔষধসেবন ছাড়াও বিভিন্ন রোগ থেকে আরোগ্য লাভ সম্ভব!

ফিজিওথেরাপি, আকুপাংচার ও হিজামা থেরাপি — এই তিনটি প্রাকৃতিক ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়ে অনেক সাধারণ থেকে জটিল সমস্যার চিকিৎসা করা যায়। নিচে প্রতিটি থেরাপির জন্য নির্দিষ্ট সমস্যাগুলো আলাদাভাবে দেওয়া হলো:

১. ফিজিওথেরাপি (Physiotherapy):

ব্যবহারযোগ্য সমস্যা:

পিঠ, ঘাড়, কোমর ও হাড়ের ব্যথা

স্নায়বিক সমস্যা (স্ট্রোকের পরের অবস্থা, প্যারালাইসিস)

আঘাত বা অপারেশনের পর পুনর্বাসন

স্পন্ডিলোসিস, সায়াটিকা

হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা (অস্টিওআর্থ্রাইটিস)

পেশির টান ও খিঁচুনি

ফ্রোজেন শোল্ডার

ব্যালেন্স সমস্যা ও ফিজিক্যাল ওয়াকিং থেরাপি

খেলোয়াড়দের ইনজুরি

২. আকুপাংচার থেরাপি (Acupuncture):

ব্যবহারযোগ্য সমস্যা:

মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা

ব্যাক পেইন, নেক পেইন

ইনসমনিয়া (ঘুম না হওয়া)

মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা

নারীদের পিরিয়ডের অসুবিধা, PCOS

হজমের সমস্যা (গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য)

বন্ধ্যাত্বের কিছু সমস্যা

স্নায়ুবিক ব্যথা

এলার্জি ও হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

মেনোপজ ও হরমোন ভারসাম্য সমস্যা

৩. হিজামা থেরাপি (Hijama / Wet Cupping Therapy):

ব্যবহারযোগ্য সমস্যা:

ক্রনিক মাথাব্যথা, মাইগ্রেন

বাত বা জয়েন্ট পেইন (রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস)

পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথা

উচ্চ রক্তচাপ

স্নায়বিক দুর্বলতা

চর্মরোগ (সোরিয়াসিস, একজিমা)

অনিদ্রা, মানসিক অবসাদ

দেহের বিষাক্ত রক্ত পরিষ্কার করা (ডিটক্স)

স্পোর্টস ইনজুরি

হার্ট ব্লক প্রতিরোধে সহায়ক (নিয়মিত হিজামা)

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

এই চিকিৎসাগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হলেও সঠিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এবং রোগীর উপযুক্ত ইতিহাস নিয়ে করা জরুরি।

সব রোগীকে সব থেরাপি মানায় না—সচেতনভাবে মূল্যায়ন করতে হয়।

প্যারালাইসিস কেন হয়? হলে করনীয় কি? প্যারালাইসিস (পক্ষাঘাত) একটি জটিল শারীরিক অবস্থা, যা সাধারণত স্নায়ু বা মস্তিষ্কের ক্...
14/05/2025

প্যারালাইসিস কেন হয়? হলে করনীয় কি?

প্যারালাইসিস (পক্ষাঘাত) একটি জটিল শারীরিক অবস্থা, যা সাধারণত স্নায়ু বা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণে হয়। এটি পুরো শরীর বা শরীরের নির্দিষ্ট অংশের চলাচল ও অনুভূতি হারিয়ে ফেলতে পারে।

---

প্যারালাইসিস কেন হয় – প্রধান কারণসমূহ:

1. স্ট্রোক (Stroke):

সবচেয়ে সাধারণ কারণ। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বা রক্তক্ষরণ হলে ঘটে।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অতিরিক্ত চর্বি—এসব ঝুঁকি বাড়ায়।

2. আঘাত বা দুর্ঘটনা (Spinal cord বা Brain Injury):

মেরুদণ্ডে বা মাথায় আঘাত পেলে প্যারালাইসিস হতে পারে।

3. স্নায়ুর রোগ (Neurological Disorders):

গিলেন-ব্যারে সিনড্রোম, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, স্নায়ু প্রদাহ ইত্যাদি।

4. ব্রেইন টিউমার বা ইনফেকশন:

মস্তিষ্ক বা স্নায়ুতে টিউমার বা ইনফেকশন হলে।

5. জন্মগত ত্রুটি বা জেনেটিক সমস্যা:

যেমন: সেরিব্রাল পালসি।

6. বিষক্রিয়া বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাপ বা পোকামাকড়ের বিষ, বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

--

কি করলে প্যারালাইসিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে:

1. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

2. ধূমপান ও মাদক বর্জন

3. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম

4. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

5. স্ট্রেস কমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম

6. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

7. চাপ বা দুর্ঘটনা থেকে সতর্ক থাকা (বিশেষ করে যারা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় আছেন)

---

প্যারালাইসিস হয়ে গেলে করণীয়:

1. তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেওয়া (Emergency Care)

বিশেষ করে স্ট্রোক হলে প্রথম ৩–৬ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

2. সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিকল্পনা

সিটি স্ক্যান, এমআরআই, রক্ত পরীক্ষা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে।

3. ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা শুরু করা

মাসল, স্নায়ু ও চলাফেরার উন্নতির জন্য অত্যন্ত জরুরি।

4. পুষ্টিকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

শরীর সুস্থ রাখতে ও পুনরুদ্ধারে সহায়ক।

5. মনোবল ধরে রাখা ও মানসিক সমর্থন

পরিবার ও সমাজের সহানুভূতিশীল আচরণ খুব প্রয়োজন।

6. কোনভাবেই অপেশাদার বা কবিরাজি চিকিৎসায় না যাওয়া

Address

Fulbaria

Opening Hours

Monday 09:00 - 23:00
Tuesday 09:00 - 23:00
Wednesday 09:00 - 23:00
Thursday 09:00 - 23:00
Friday 09:00 - 23:00
Saturday 09:00 - 23:00
Sunday 09:00 - 23:00

Telephone

+8801670054758

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al Helal Physiotherapy Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Al Helal Physiotherapy Center:

Share