Hazambd.com

Hazambd.com Home Services

এক_মুঠো_কাঁচের_চুরিপর্ব_০৩লেখিকা_Fabiha_bushra_nimuতানহা রুমের ভেতরে প্রবেশ করে,রোকেয়া বেগমে'র মাথায় কাছে গিয়ে বসলো'।হাত...
26/09/2023

এক_মুঠো_কাঁচের_চুরি
পর্ব_০৩
লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

তানহা রুমের ভেতরে প্রবেশ করে,রোকেয়া বেগমে'র মাথায় কাছে গিয়ে বসলো'।হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেছে'।কয়েকবার ডাক দিল'।তবু্'ও রোকেয়া বেগমে'র কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে,বুকে মাথা রাখলো'।নিঃশ্বাস এখনো চলছে'।চৈতালি ভয়ে চুপসে গেছে'।নীরবে কান্না করে যাচ্ছে'।তানহা উত্তেজিত হয়ে চৈতালিকে বলল'।

--দ্রুত রাস্তায় যাও'।গিয়ে কোনো গাড়ি দেখতে পেলে দাঁড়া করা-ও।যদি গাড়ি না পাও।তাহলে মোড়ের দিকে এগিয়ে যাবে।সময় নষ্ট করো না,আম্মাকে দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে'।চৈতালি এক মুহুর্ত দেরি করলো না।ছুটে বাহিরে বেড়িয়ে গেলো'।খুব সকাল হওয়ায়।পুরো রাস্তা ফাঁকা।মাঝে মাঝে একদল বয়স্ক মানুষ হেঁটে যাচ্ছে'।চৈতালির পা' যেনো চলছে না'।জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে'।আজকে ভিষণ করে চৈতালির বাবার কথা মনে পড়ছে'।বাবা থাকলে তাকে এতটা কষ্ট পেতে হতো না'।চৈতালি কোনোরকমে মোড়ে আসলো'।পুরো রাস্তা ফাঁকা'।ত্রিশ মিনিট পড়ে চৈতালি একটা সিএনজির দেখে পেলো'।দ্রুত সিএনজি নিয়ে,নিজের বাসার সামনে আসলো'।বাসায় এসে তানহা'কে বললে,তানহা আর চৈতালি দু'জন মিলে রোকেয়া বেগম'কে ধরে সিএনজিতে তুলে ফেললো'।সিএনজি চলতে শুরু করলো'।পথ যেনো শেষ হচ্ছে না'।এই বিপদের সময় গুলো-ও না'।এতটা দীর্ঘ হয় কেনো'।চৈতালির নিশ্বাস আঁটকে আসছে'।তানহা চৈতালির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল'।

--চিন্তা করো না।আম্মার কিছু হবে না।বাহিরে চৈতালি'কে শান্তনা দিলে-ও,ভেতরে ভেতরে তানহা-ও বেশ ভয় পাচ্ছে'।

কাছের একটি হসপিটালে নিয়ে আসা হলো রোকেয়া বেগম'কে।কয়েকজন ছাড়া সবাই ঘুমে'।তানহা সিএনজির ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে,হসপিটালের মধ্যে গেলো'।একটু পরে দু'জন মহিলা এসে রোকেয়া বেগম'কে হসপিটালের মধ্যে নিয়ে গেলো'।ডক্টর রোকেয়া বেগম'কে দেখছেন।বাহিরে অস্থির হয়ে বসে আছে তানহা আর চৈতালি।

বেশকিছু সময় অতিবাহিত হবার পরে,ডক্টর রুম থেকে বেড়িয়ে আসলেন'।তানহা আর চৈতালি ডক্টরে'র কাছে এগিয়ে গেলো'।

--আমার আম্মা কেমন আছেন'।বলল তানহা।

--আপনার আম্মা প্রচুর টেনশন করেন'।যার ফলে উনি স্ট্রোক করেছেন'।আর একটু দেরি হলে খারাপ কি হয়ে যেতে পারতো।

--এখন কেমন আছেন'।

--আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে'।আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করেছি'।জ্ঞান ফিরলে দেখা করবেন।যতটা পারবেন ওনাকে চিন্তা মুক্ত রাখবেন।এই বয়সে এত চিন্তা আর মানসিক চাপ নিলে উনি মারা'ও যেতে পারেন।

--আমরা এর পরে থেকে আম্মার খেয়াল রাখবো'।

--আপনারা অপেক্ষা করুন।আমার একটা পেসেন্ট আছে'।দেখে আসতে হবে'।আজকে ছুটি দিয়ে দিব।বলে'ই ডক্টর চলে গেলো'।

--চৈতালি ভয়ে তানহার দু-হাত আঁকড়ে ধরে আছে'।মেয়েটা খালি বড়'ই হয়েছে'।বয়সে'র তুলনায় জ্ঞান-বুদ্ধি কম হয়েছে'।

সারাদিন পেড়িয়ে গেলো'।এখনো ইফাদের কোনো ফোন আসলো না'।চৈতালির খুব রাগ হচ্ছে ভাইয়ে'র ওপরে'।

--ভাবি দেখছো'।ভাইয়ার কি' একটু-ও কান্ড-জ্ঞান নেই'।সারাদিনে একটা বার-ও আম্মুর খোঁজ নিল না'।

--তোমার ভাইয়া তো' বসে থেকে খায় না বোন।প্রবাস জীবন এত সোজা না।তোমার ভাইকে তার' মালিক বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিবে না।কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।তবেই টাকার দেখা মিলে'।সবাই শুধু প্রবাসীদের টাকাই দেখে'।কিন্তু কষ্টটা কেউ দেখে না'।সবার খালি টাকা আর টাকা।আচ্ছা টাকা দেওয়া'র মানুষটা ভালো আছে কি না'।খেয়েছে কি না'।তার কষ্ট হচ্ছে কি' না।কেউ কখনো জানতে চেয়েছে।

--স্যরি ভাবি।আমি নিজের বোন হয়ে,কি করে অকৃতজ্ঞদের মতো কথা বললাম।ভাইয়া আমাদের ভালো রাখার জন্য।নিজের সব ইচ্ছে বিসর্জন দিয়ে দূর প্রবাসে পরে আছে'।আমি তা-ও আম্মুর ভালোবাসা পাচ্ছি'।দিনশেষে ভাইয়া সেইটুকু-ও পায় না'।আপনজন ছেড়ে থাকার কষ্টটা ফিল করতে পারছি ভাবি'।

--কান্না করো না সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।কথা বলতে বলতে'ই ইফাদের ফোন আসলো'।চৈতালি দ্রুত ফোন তুলল'।ইফাদ উত্তেজিত হয়ে বলল'।

--তোর মায়ের কি অবস্থা'।এখন কেমন আছে'।টাকা লাগলে আমাকে বলিস।আমি পাঠিয়ে দিব।

চৈতালি ইফাদকে মেসেজ পাঠিয়ে রাখছিল'।মেসেজটা ইফাদের চোখে পড়তেই সাথে সাথে চৈতালিকে ফোন করে'।এমনিতেই সারাদিন মায়ের জন্য মন কেমন করছিল'।বাসায় এসে আগে ফোন হাতে নিয়েছে'।

--এমন করে বলছো কেনো'।আমার মা' কি তোমার মা হয় না'।টাকা লাগবে না।ভাবি টাকা দিয়েছে'।

--আম্মুর খেয়াল রাখিস।কি হয় না হয়'।আমাকে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে রাখবি।আমার চিন্তা হয় অনেক'।

--তাহলে দেশে চলে আসো'।এভাবে সবার থেকে পালিয়ে গেলে কেনো'।ইফাদ আর কোনো কথা বলল না।কল কেটে দিল।বরাবরের মতো চৈতালি এবার-ও হতাশ।তানহা সবকিছু শুনছিল।সবকিছু শুনে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।

রোকেয়া বেগম'কে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে'।তিনি মোটামুটি এখন অনেকটা-ই সুস্থ হয়েছেন'।তানহা আর চৈতালি মাটিতে বসে আছে'।দু'জন মিলে,গভীর মনযোগ দিয়ে কিছু একটা করছে'।

--চৈতালি ইফাদকে একটু ফোন দে'।আমি ইফাদের সাথে কথা বলতে চাই'।

--ভাইয়া তোমার সাথে কথা বলবে না মা'।

--ফোন ধরিয়ে দে'।তারপরে দেখবো কেমন করে কথা না বলে থাকে'।

চৈতালি মায়ের কথা মতো ইফাদকে ফোন দিল'।

হাসনা বেগমে'র সামনে বসে আছে আবির'।চোখে-মুখে হাজারো প্রশ্ন'।খুব খুশি হয়ে বাসায় প্রবেশ করেছিল'।আবিরে'র খুশি বেশিক্ষণ টিকে থাকলো না'।তানহা ভেবে তার ফুফাতো বোনের চোখ ধরে বলল'।

--তানহু পাখি আমি চলে এসেছি।এবার থেকে তোর আর কোনোকিছুর অভাব হবে না।একদম যোগ্য ছেলে হয়ে এসেছি তোর সামনে'।এই সমাজে বেকার ছেলের কোনো দাম নেই রে' তানহু।এবার মা আমাকে বলতে পারবে না'।তুই নিজেই আমাদের ঘাড়ে বসে খাস।বিয়ে করে বউকে খাওবি কি'।আবিরে'র এসব কথা শুনে মারিয়া থতমত খেয়ে যায়।

--ভাইয়া আমি মারিয়া'।তুমি কি সব বলছো'।আমি তোমার তানহু পাখি না'।দয়া করে আমার চোখ ছাড়ো'।

--ওহ্ স্যরি রে' মারিয়া'।আমি তোকে তানহা মনে করছিলাম।মা কোথায়'।

--আমি তো জানি না ভাইয়া'।আজ সকালে আসছি আমি'।ফুফাকে দেখলাম বাসায়'।ফুফা বলল বাজার থেকে আসি'।আমি অপেক্ষা করছি'।কিন্তু ফুপু এখনো আসে নাই'।তাই ভাবলাম নুডলস রান্না করে খাই'।

--আম্মুর কাজই তো' এটা সারাদিন শুধু পাড়া বেড়ায়'।তুই থাক আমি তানহুর সাথে দেখা করে আসি'।

আবির তানহার রুমের দিকে এগিয়ে গেলো'।যত তানহার রুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে'।হৃৎপিণ্ডের গতিবেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে'।ভেতরে কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছে'।সাহস নিয়েই তানহার রুমে প্রবেশ করলো'।পুরো রুম ঘুটঘুটে অন্ধকার'।আবির ফোন বের করে আলো জ্বালিয়ে দিল'।পুরো রুম আলোকিত হয়ে গেছে'।রুমের সবকিছু পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে'।শুধু দেখা যাচ্ছে না তার' তানহা'কে।আবিরে'র তৃষ্ণার্থ দু-চোখ পাগলের মতো তানহাকে খুঁজে চলছে'।দ্রুত তানহার রুম থেকে বেড়িয়ে আসলো আবির'।ডাইনিং রুমে আসতেই মায়ের দেখা পেলো'।খুশি হয়ে দৌড়ে মাকে জড়িয়ে ধরলো'।

--মা কেমন আছো'।সারাদিন কোথায় ঘুরে বেড়াও বলো তো'।আমি কখন থেকে এসে অপেক্ষা করছি'।মা' তানহুকে দেখতে পাচ্ছি না'।ওকে ডেকে দাও তো'।খুব উড়নচণ্ডী হয়েছে না'।আমি এসেছি এবার' ওর উড়ার পাখা ভেঙে দিব'।

হাসনা বেগম ভয়ে চুপসে গেলো'।চোখে-মুখে ভয় জেঁকে বসেছে'।ধীর গতিতে হাত-পা কাঁপছে'।ছেলেকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে'।সোফায় বসিয়ে দিলেন'।

--আমি তোকে সবকিছু বলছি'।কতদূর থেকে আসলি বল তো'।এসেই তানহা তানহা শুরু করে দিয়েছিস'।আমি তোর জন্য কিছু নিয়ে আসি'।খেতে খেতে গল্প করছি'।বলেই এক প্রকার দৌড়ে পালিয়ে গেলো' হাসনা বেগম'।

মারিয়া রান্না করে বেড়িয়ে আসছিল'।তখন-ই হাসনা বেগম রান্না ঘরে প্রবেশ করে'।

--ফুপু ভাইয়া চলে এসেছে'।এবার ভাইয়ার পাখিকে ভাইয়ার হাতে তুলে দাও।তানহা কোথায়।তানহা'কে তো' দেখছি না।

--তুই কখন আসলি মারিয়া'।আবিরের পাশে গিয়ে বস।আমি আবিরের জন্য কিছু নিয়ে আসি'।

--সকালে আসছি ফুপু তুমি মনে হয় পাড়া বেড়াতে গিয়েছিলে'।বলেই মারিয়া চলে গেলো'।

আবির আর মারিয়া অধীর আগ্রহে তানহার কথা শোনার জন্য বসে আছে'।হাসনা বেগম ঘন ঘন শ্বাস নিয়ে বলল'।

--আবির তোকে আমি কথাটা কিভাবে যে,বলবো বুঝতে পারছি না'।তুই শুনলে সহ্য করতে পারবি না'।

মায়ের গলার আওয়াজ কেমন জানি শোনাচ্ছে'।আবিরে'র মনে হাজারো চিন্তা ঘুর পাক খাচ্ছে'।হাত-পা কেমন জানি অবশ হয়ে আসছে'।তানহু পাখির কিছু হয় নাই তো' আবার।চক্ষুদ্বয় গুলো রক্তিম বর্ণ হয়ে আসছে'।লেখিকা ফাবিহা বুশরা নিমু।ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে আবিরে'র।চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো'।

--তানহার কি হয়েছে বলো মা'।হেয়ালি একদম পছন্দ করি না আমি'।

--তানহার বিয়ে হয়ে গেছে'।

কথাটা শোনা মাত্রই দু-কদম পিছিয়ে গেলো আবির'।মনে হচ্ছে বিশাল আকাশটা তার মাথা ওপরে এসে পড়েছে'।কিছু মুহুর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় আবির।অসহায় দৃষ্টি নিয়ে মায়ের দিকে তাকালো'।

--মা' গো' আমি তোমার দু'টি পায়ে পড়ি'।আমার সাথে এমন মজা করো না'।না হলে অকালে তুমি ছেলে হারা হয়ে যাবে'।আমার প্রতিটা রাত জানে'।দূর দেশে কি ভাবে আমি তানহাকে ছাড়া থেকেছি'।আমি কিভাবে তানহা'কে ভালো রাখবো।কি করলে তানহা আমার সাথে খুশি থাকবে'।এসব ভেবে এত পড়াশোনা করেছি'।তানহার ছবি বুকে নিয়ে আমি শতশত রাত পার করে দিয়েছি'।আমি তানহা'কে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম।মা' তুমি বলেছিলে না'।আমার কি' যোগ্যতা আছে'।বিয়ের পরে তানহা তোমাদের কাছে হাত পাতবে'।তখন তোমরা তানহা'কে কিছু দিতে পারবে না'।আর তানহা'কে কিছু দিতে না পারলে'।তানহা এমনি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে'।ও' মা' তখন আমার টাকা ছিল না'।আমার কোনো যোগ্যতা ছিল না'।এখন আমার সব হয়েছে মা'।তানহা'কে বিয়ে করার মতো যোগ্যতা হয়েছে'।এখন তানহা আমার কাছে ভালো থাকবে'।উচ্চ শিক্ষা লাভের আমার কোনো দরকার ছিল না'।তবু্ও তোমার কথায় আমি উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছি'।আমি না তানহা'কে তোমার কাছে আমানত রেখে গিয়েছিলাম।তাহলে তানহার বিয়ে কি করে হলো'।আমার তানহা কোথায় মা'।

হাসনা বেগম মাথা নিচু করে আছে'।কোনো উত্তর করছে না'।মারিয়া অবাক হয়ে সবকিছু দেখছে'।হাসনা বেগমের নিরবতা আবির'কে দিগুন কষ্ট দিচ্ছে'।নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে আবির চিৎকার করে উঠলো'।মারিয়া সহ হাসনা বেগমের অন্তর আত্মা কেঁপে উঠলো'।ছেলের এ' কি রুপ'।ছেলের এমন উন্মাদ আচরণের সাথে পরিচিত নন হাসনা বেগম।তানহাকে বিয়ে দিয়ে কি সে' ভুল করলো'।

চলবে.....

ভালোবাসেই যাবো পর্ব-৫লেখনীতেঃ আসমিতা আক্তার ( পাখি ) ৩ঃ হঠাৎই মোমের সামনে  কয়েকটা কার এসে থামলো,, মেম ভয় পেয়ে দু পা পিছি...
26/09/2023

ভালোবাসেই যাবো
পর্ব-৫
লেখনীতেঃ আসমিতা আক্তার ( পাখি )

৩ঃ হঠাৎই মোমের সামনে কয়েকটা কার এসে থামলো,, মেম ভয় পেয়ে দু পা পিছিয়ে গেল। দ্রুত গতিতে কার থেকে নেমে এলো অনেকগুলো ছেলে। ২৫-৩০ জন হবে,,দেখেই মনে হচ্ছে গুন্ডা। কয়েকটা ছেলে এসে মোমের মাথার উপর বন্দুক তাক করলো । আর এইখানে আগুনের ত যায় যায় অবস্থা সে কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। আগুনের মনে হচ্ছে কেউ তার বুকের উপরে বন্দুক তাক করে রেখেছে। আগুনের এটাই ভেবে ভয় লাগছে যদি মোমের কিছু হয়ে যায়? কিছু ভাবনার বিষয় এরা কারা? আর মোমের মাথায় বা বন্দুক ধরে আছে কেন? আর ভাবতে না পেরে আগুন দৌড় লাগালো মোমের কাছে যাওয়ার জন্য,, কিন্তু মাঝ পথে থেমে গেল কারন সে দেখতে পেল একটা কার থেকে আসিফ নেমে আসছে এবং আগুনের কাছেই আসছে। আগুনের কাছে আসিফ এসে বললঃ-

আসিফঃ কিরে ভয় পেয়ে গেলি নাকি? আরে আরে ভয় পাস না বেশি কিছু করবো না শুধু মেয়েটার সাথে একটু......

৩ঃ আর বলতে পারলো না আসিফ তার আগেই আগুন তাকে মারা শুরু করে দিল। আসিফ ও কম না,,, আসিফ ও আগুনকে ইচ্ছা মতো মারছে। আসিফ হচ্ছে এই মহল্লার সব থেকে বড় গুন্ডা সবাই আসিফকে অনেক ভয় পায় কারন আসিফ কেউকে মারার আগে ১ বার ও ভাবতে নারাজ। এক বার যদি ভেবে নেয় মারবে ত তাকে মেরেই ছাড়বে। তাই কেউ তাকে বাধা ও দিতে পারে না। আগুন আর আসিফ এর মারামারিটা খুবই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো তাই রাজ অভি আর নয়ন আসে আগুনকে থামাতে কিন্তু তবুও আগুন থামছে না মেরেই যাচ্ছে।
অনেক কষ্টে তারা আগুনকে ছাড়াতে পারলো । তারপর আরো কিছু গুন্ডা এসে আগুন,,রাজ,,নয়ন,,আর অভির মাথায় বন্দুক তাক করলো। মোম শুধু দেখেই চলেছে তার পক্ষে যে দেখা ছাড়া কিছু করার নেই। মোম শুধু নিচে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলছে দূর থেকে আগুন মোমকে এই অবস্থায় দেখে আগুনের বুকটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন আগুন ও নিরুপায় হয়ে গিয়েছে আগুন যদি এখন কোন পদক্ষেপ নেয় তাহলে তারা তার বন্ধু ও মোমের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে বলে আগুন কোন কিছু করতে পারছে না । অসহায়ের মতো মোমের দিকে তাকিয়ে আছে। আসিফ তার একজন লোককে বললঃ-

আসিফঃ মেয়েটাকে এখানে নিয়ে অায়,,

৩ঃ আসিফের লোকরা আসিফের কথা মতো মোমকে আসিফের কাছে নিয়ে আসলো । মোমকে আগুনের বরাবর দাঁড় করানো হয়েছে। আসিফ আগুনকে বলতে লাগলোঃ-

আসিফঃ এই মেয়েটার জন্য সেদিন তুই আমাকে মেরেছিলি তাই না? আজকে তোর সামনে দিয়ে একে উঠিয়ে নিয়ে যাব আর আজ তুই কিছুই করতে পারবি না। তুই চিন্তা করিস না আমি আবার ওকে ফেরত দিয়ে দিব কাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর আজ মনের পিপাসাটা ত মিটিয়ে নেই।

৩ঃআগুনের প্রচুর রাগ হচ্ছে আসিফের এগুলো কথা শুনে কিন্তু আপাতত সে এখন চুপ আছে কিছুই বলছে না। আসিফ আগুনকে কথা গুলো বলেই মোমকে নিয়ে পিছন ফিরে হাটা দিল ওমনি আগুন নয়ন রাজ আর অভিকে কি যেন ইশারা করলো। আর সাথে সাথে ৩ জনই মাথা নারিয়ে সায় জানালো যার মানে হলো আচ্ছা। তারপর রাজ, অভি,আর নয়ন যে তাদের মাথায় বন্দুক তাক করে রেখেছিল তাদের হাত মুচড়ে দিয়ে বন্দুক তাদের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে মাটিতে হাটু গেড়ে বসিয়ে দিল আর আগুন দৌড় দিয়ে আসিফের কাছে গিয়ে আসিফের পকেটে থাকা বন্দুকটি বের করে আসিফের মাথায় ধরে বললঃ-

আগুনঃ কি যেন বলছিলি? মনের পিপাসা মিটাবি তাই না? দেখাচ্ছি তোকে কিভাবে মনের পিপাসা মিটাতে হয়!

৩ঃ বলেই আগুন আসিফকে এলোপাথারি মারা শুরু করে দিল। আর এইদিকে রাজ, নয়ন, আর অভি মিলে কয়েকজনকে ইচ্ছা মতো পিটাচ্ছে কয়েকটা গুন্ডা ত আগুনের মাইর দেখে পালিয়ে গেছে। আসিফকে এভাবে মারতে দেখে মোম আগুনের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে । অনেকক্ষন যাবত মারার পর আগুন শান্ত হলো মোমের দিকে তাকিয়ে দেখলো মোমের চোখ দুটি টলমল করছে আর অনেকটা ভয় পেয়েছে তা তার চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আগুন মোমের এই অবস্থা দেখতে পারছিল না তাই মোমকে উদ্দেশ্য করে বললঃ-

আগুনঃ চল

৩ঃ আগুন চল বলেই হাটা শুরু করলো মোম ও কিছু বলে নি সেও আগুনের পিছে পিছে যাচ্ছে হঠাৎ মোমের চোখ গেল গাড়ির গ্লাসে সেখানে পুরো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে আসিফ বন্দুক হাতে নিয়ে আগুনের বরাবর করে রেখেছে। আসিফ যখন আগুনকে শুট করতে যাবে তখনই মোম আগুনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় আর গুলিটা মোমের শরীরে লাগে। আগুন গুলির শব্দ পেয়ে পাশ ফিরে দেখে মোম ঢলে পড়ে যাচ্ছে আর তার পেট থেকে অঝোরে রক্ত বের হচ্ছে। রক্ত দেখে আগুনের মাথায় যেন বাজ পড়ে গেল সে দ্রুত গিয়ে মোমকে ধরলো আর কাপা কালা গলায় বলতে লাগলোঃ-

আগুনঃ মমমোম,,, মোম কি হয়েছে তোমার?

৩ঃ মোম কিছুই বলতে পারছে না। চোখ দুটি শুধু পিটপিট করে তাকিয়ে আছে সে যথেষ্ট চেষ্টা করছে যেন তার চোখ বন্ধ না হয়,, কিন্তু বেশিক্ষন চোখ খোলা রাখতে পারেনি। এই সুযোগে আসিফ তার এক ছেলে-পেলেকে ইশারা করে বলল আগুনকে মারতে,,আর তার লোকটা তাই করলো। মোটা একটা রড দিয়ে আগুনের মাথায় বারি মারলো,, বারিটা এতটাই জোড়ে দিয়েছিল যে বারিটা দেয়ার সাথে সাথে আগুনের মাথা থেকে রক্ত পড়া শুরু হয়ে গেল। আগুনের এই অবস্থা দেখে নয়ন, রাজ আর অভি ছুটে চলে গেল আগুনের কাছে তারপর এম্বুলেন্স ডাকলো আগুন আর মোমকে একসাথে হসপিটালে নেয়া হয়েছে। আর পুলিশ এসে আসিফ আর সেখানে থাকা কয়েকটা ছেলেকে নিয়ে চলে গেছে। আজ দুদিন হয়ে গেল কিন্তু আগুনের এখনও সেন্স ফিরেনি। এই দুদিন এর মধ্যে নয়ন, রাজ আর অভি আগুনের পাশেই থেকেছে,, আর কান্নাও করেছে কারণ ডাক্তার বলেছে সে নাকি কোমাতে চলে গেছে। মাথার আঘাতটা অনেক জোরে পাওয়ার কারণে আগুনের আজ এই অবস্থা। আগুনের মা এই কথা শুনার পর বেশ কয়েকবার সেন্স হারিয়েছে তার একমাত্র সন্তানের এই অবস্থা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। নয়ন খেয়াল করলো আগুনের আংগুল নড়ছে আবার সে আগুনের চেহারার দিকে তাকাল দেখলো আগুন নিজের চোখ খোলার চেষ্টা করছে । তাই নয়ন জলদি করে ডাক্তার কে ডাক দিল,, ডাক্তার এসে বললঃ-

ডাক্তারঃ এখন রোগী ঠিক আছে কিন্তু বেশি উত্তেজনার মধ্যে তাকে রাখবেন না আর সবসময় হাসিখুশি রাখবেন। এমন কোন প্রশ্ন করবেন না যেন তার মাথায় চাপ পড়ে ।

নয়নঃ ডাক্তার আমি কি এখন ওর সাথে একটু কথা বলতে পারবো?

ডাক্তারঃ হুম,,, কিন্তু একজন একজন করে দেখা করবেন আর যে কথা গুলো বলেছি তা যেন মনে থাকে নাহলে ক্ষতিটা আপনাদেরই হবে ।

নয়নঃ জ্বি আচ্ছা আমি মনে রাখবো।

৩ঃ তারপর ডাক্তার চলে যায় আর নয়ন ফোন করে আগুনের আম্মু আব্বুকে জানিয়ে দেয় যে আগুনের সেন্স ফিরেছে। রাজ আর অভি আগুনের সাথে দেখা করতে যায় কিন্তু নয়ন যায়নি। কারন নয়ন আগুনকে কিভাবে মোমের কথাটা বলবে তাই বুঝে উঠতে পারছে না। অনেক দিধা নিয়ে নয়ন কেবিনের মধ্যে প্রবেশ করলো। আগুনের পাশে বসে আগুনের হাত নিজের হাতে রেখে বললঃ-

নয়নঃ কেমন লাগছে এখন?

৩ঃ আগুন তেমন একটা কথা বলতে পারছে না কথা বলতে গেলে মাথায় চাপ অনুভব করে তাই ছোট করে সে বললঃ-

আগুনঃ হুম আগের থেকে একটু ভালো লাগছে।

নয়নঃ আচ্ছা তুই এখন রেস্ট কর,, আমি আসি!

৩ঃ আগুন নয়নের হাত হালকা চেপে ধরে ইশারায় বসতে বললো,, নয়ন ও বসে পরলো। তারপর নয়ন বললঃ-

নয়নঃ কিছু বলবি?

আগুনঃ হুম,, মমমোম কককোথায়?

৩ঃ নয়ন যেটার ভয় পেয়েছিল তাই হল। এখন কি জবাব দিবে তাই ভেবে পাচ্ছে না। তাই সে কথা এড়ানোর জন্য বললঃ-

নয়নঃ এখন তুই রেস্ট কর,, তোর এখন রেস্ট এর প্রয়োজন।

৩ঃ কিন্তু আগুন এগুলো কথা শুনতে বাধ্য সে শুধু মোমের ব্যাপারে জানতে চায়।

আগুনঃ না আগে বল মোম কোথায়? কেমন আছে এখন? ঠিক আছে ত?

৩ঃ নয়ন আর নিজেকে আটকাতে না পেরে,, সত্যটা যখনই বলতে যাবে তখনই আগুনের আব্বু আম্মু রুমে প্রবেশ করলো। আগুনের আম্মু আগুনকে আলতো করে জরিয়ে ধরে বললঃ-

আগুনের আম্মুঃ কেমন আছিস বাবা? ঠিক আছিস ত?

৩ঃ আগুন তার উত্তরে শুধু চোখের পাতা নাড়িয়ে বোঝাতে চেয়েছে যে সে এখন ঠিক আছে। আগুনের আব্বু ও বেশ কিছুক্ষন কথা বলল। এভাবে চলে গেল একটা সপ্তাহ,, এই এক সপ্তাহের মধ্যে নয়নের সাথে তেমন একটা আগুনের দেখা হয় নি আর যখন দেখা হয়েছে,, তখন কেউ না কেউ পাশে থাকার কারণে আগুন নয়নকে মোমের কথা জিজ্ঞেস করতে পারেনি। আর নয়ন? নয়ন ত ইচ্ছে করেই আগুনের কাছে বেশি একটা আসতো না কারন ও জানে সে যদি একা থাকে তাহলে আগুন তার কাছে মোমের কথা জানতে চাইবে। তাই সে বেশি একটা আগুনের কাছে আসে না। আজকে আগুনকে হসপিটাল থেকে ডিসচার্জ করা হবে। তারপর আগুনকে নিয়ে আসা হয় বাসায়,, বাসায় এসে নয়ন,, অভি আর রাজ আগুনকে তার রুমে দিয়ে আসে নয়ন যখনই রুম থেকে বের হতে যাবে তখনই আগুন বলে উঠলো,,

আগুনঃ নয়ন,,,?

নয়নঃ হুম,, কিছু বলবি?

আগুনঃ হ্যাঁ,, কিছু কথা ছিল তোর সাথে কিছুদিন ধরেই চেষ্টা করছি কিন্তু বলতে পারছি না। আজকে আমার সব প্রশ্নের উত্তর চাই।

৩ঃ নয়নের ও আজকে বাধা দিতে মন চাই নি তাই নয়ন রাজ আর অভিকে ইশারা করে বলল তারা যেন রুম থেকে চলে যায় ৷ রাজ আর অভি চলেও যায় তারপর নয়ন বলে,,

নয়নঃ হুম কি বলবি বল?

আগুনঃ মোম কোথায়? ঠিক আছে ত ও?

নয়নঃ না ও ঠিক নেই ( মাথা নত করে)

৩ঃ আগুন চোখ জোড়া ছলছল করে বললঃ-

আগুনঃ কি হয়েছে ওর?

নয়নঃ সেদিন আমরা তোকে আর মোম দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে আসি,, তোদের দুজনেরই অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল ছিল। তোকে অার মোমকে ওটিতে নেয়া হয়েছিল,, তোর অবস্থাটা একটু স্বাভাবিক হলেও মোমের অবস্থা অনেক বেশি পরিমাণেই খারাপ ছিল৷ তখন আমি পিছন থেকে শুনতে পাই যে একজন পুরুষ মোমের কথা রিসেশনে জিজ্ঞেস করছে আমি গিয়ে তাকে বললাম,, কে আপনি আর মোমের কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন? লোকটা তখন কান্না জড়িত কন্ঠে বললেনঃ-

মোমের বাবাঃ আমি মোমের বাবা,, তুমি কি মোমকে চিনো?

নয়নঃ হুম,,না মানে তেমন ভাবে চিনি না রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছি সে আহত তাই হাসপাতালে নিয়ে আসছি।

মোমের আব্বুঃ কেমন আছে এখন আমার মেয়ে?

নয়নঃ তেমন একটা ভালো নেই,, ডাক্তার এখন কিছু বলতে পারছে না । কিন্তু আপনি কিভাবে জানলেন যে মোম এখানে আছে?

চলবে,,

গল্প  ----  ধর্ষিতা বউলেখক   -----  মাহমুদ      পার্ট  ----  ১২****************************************১১ এর পরপ্রাপ্তি ...
26/09/2023

গল্প ---- ধর্ষিতা বউ
লেখক ----- মাহমুদ
পার্ট ---- ১২
****************************************
১১ এর পর
প্রাপ্তি সুস্থ হওয়ার পরে তার মায়ের সাথে বাসায় ফিরে যায়।ওর বাবা সব জানার পরে ওকে অনেক প্রেসার দিচ্ছিলো বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলার জন্য।কিন্তু প্রাপ্তি কোনো ভাবেই তার বাচ্চার কোনো ক্ষতি হতে দিবেনা।প্রাপ্তির বাবাও কোনোভাবে মানছে না।তিনি প্রাপ্তিকে বলল,
-দেখ প্রাপ্তি আমি একজন ব্যবসায়ী ব্যক্তি।সমাজে আমার মান সন্মান আছে।তোর কারনে আমি সেটা হারাতে চাইনা।
-নিজের মেয়ের জীবন থেকে মান সন্মান বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে তোমার?
-দেখ মা,আমি একজন ব্যবসায়ী লোক।রোজ রোজ অনেকের সাথে আমার উঠা বসা।ওরা যখন জানতে চাইবে এই বাচ্চার বাবা কে,মেয়ে বাপের বাড়িতে এতোদিন কেনো থাকছে তখন আমি কি উত্তর দিবো বল?
-সেটা তুমি আমার উপরে ছেড়ে দাও বাবা।আমি হ্যান্ডেল করতে পারবো এই নিকৃষ্ট সমাজ আর সমাজের মানুষকে।
প্রাপ্তির বাবাকে ও অনেকভাবে বোঝালো।তারপর তিনি আর কথা বাড়ালেন না।এডমিশনের সময় প্রায় কাছাকাছি এসে পড়েছে।আর ১ মাস বাকী।তূর্যের সাহায্য নিয়ে প্রাপ্তি একটা প্রাইভেট ভার্সিটি তে এডমিশন নিলো।এবার ওর স্বপ্ন পূরণের পালা।ও উকিল হতে চেয়েছিলো।তাই law নিয়ে পড়াশুনো করছে বর্তমানে।

একদিন প্রাপ্তির শ্বাশুড়ি তাকে কল দিলো।বলল,
-আমার ছেলেটাকে আমি তোর হাতে দিয়ে এসেছি রে মা।আমার বিশ্বাস ছিলো তুই ওকে মানুষ করে তুলতে পারবি।কিন্তু তুই ওকে ছেড়ে চলে গেলি?
-মা আপনাকে কে বলেছে আমি ওকে ছেড়ে চলে এসেছি?
-সায়ান আমাকে ফোন দিয়েছিলো ও বলেছে।
-বাহ!!আমি অবাক হচ্ছি আপনার ছেলের কথা শুনে।আপনি কি জানেন আপনার ছেলে আমার সাথে কি করেছে?
-আমি জানি ও তোর সাথে খারাপ ব্যবহার করে,অন্য মেদের নিয়ে পড়ে থাকে,নেশা করে।কিন্তু তার সমাধান তো আমি দিয়ে এসেছি তোকে।
-হ্যাঁ মা আপনি সমাধান দিয়েছেন আমাকে।কিন্তু আপনার সমধান অনুযায়ী কাজ আমি শুধু সামান্য কিছুদিন করতে পেরেছি তার বেশি না।আপনি কি জানেন আপনার ছেলে আমাকে খুন করতে চেয়েছিলো?
-খুন!!!!কি সব বলছিস তুই?
-হ্যাঁ মা খুন।ও আমার সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয় করে আমাকে যত্ন করে খুন করতে চেয়েছিলো।শুনবেন সে কি করেছে?
তিনি প্রাপ্তির কাছে ঘটনা জানতে চাইলো বিস্তারিতভাবে।প্রাপ্তি সবকিছু তাকে খুলে বলল।কথাগুলো বলতে বলতে একটা পর্যায়ে প্রাপ্তির গলা আটকে এসেছে।ও ডুকরে কেঁদে উঠলো।সায়ানের মা আর নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারলেন না।বললেন
-তোর বাচ্চা হবে?মানে আমাদের বংশের প্রথম প্রদীপ আসবে?
-না মা।এই বাচ্চা আমার।আর কারো না।আমি এই বাচ্চাটা কে কারো অংশীদার হতে দিবোনা।
বলেই প্রাপ্তি ফোন কেটে দিলো।সায়ানের মা সেদিনই ঢাকা ফিরে এলো।রাতে এসে দেখে সায়ান আর রিয়া একসাথে ডিনার করছিলো।এসব দেখে তিনি নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলেন না।সায়ানের কাছে গিয়েই ওকে একটা থাপ্পড় দিয়ে বসে।তারপর মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে পড়ে।তারপর তিনি বললেন
-আমার ছেলেটা তার জীবনটাকে নষ্ট করেছে এটা জানতাম কিন্তু এতোটা নষ্ট হয়ে গেছে তা জানার ছিলো না আমার।
-মা কি যা-তা বলছো।আমি রিয়াকে ভালোবাসি।ওকেই আমি বিয়ে করবো এখন।প্রাপ্তির কোনো জায়গা নেই আমার জীবনে।
-তাহলে আগে বলিস নি কেনো?অন্তত আমার ভাইঝি এর জীবনটা তো এইভাবে নষ্ট হতো না।
-আগে আমাকে বলার সু্যোগ দিয়েছো একবারো?
-তুই জানিস সেদিন যদি প্রাপ্তি মারা যেতো তাহলে শুধু প্রাপ্তিই না সাথে আরো একজন মারা যেতো!!
-মানে?আর কে?
-তোর সন্তান।প্রাপ্তির গর্ভে তোর সন্তান আছে।সেদিন যদি প্রাপ্তির কিছু হয়ে যেতো তাহলে......
-কি বলছো মা?প্রাপ্তি ত আমাকে কখনো বলেনি যে ও প্রেগন্যান্ট।
-বলার সুযোগ দিয়েছিলি ওকে?
সায়ান আর কোনো কথা বলে নি।চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।সায়ানের মা রিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
-তোমার কি একটুও লজ্জা হয়না একটা পর পুরুষের সাথে এইভাবে রাত কাটাতে,সারাদিন ঘুরে বেড়াতে?
-আমি কি জানতাম নাকি ও বিবাহিত!!
-জানতে না মানে?প্রাপ্তিকে খুন করার সময় তো ঠিকই ওর সাথে ছিলে ওকে সাহায্য করেছিলে।
-হ্যাঁ।কিন্তু আমি জানতাম ও আপনাদের বাসার কাজের মেয়ে।আমাদের সম্পর্কে ও সব জেনে গেছিলো তাই ওকে খুন করার জন্য বলেছি সায়ানকে।
-তার মানে সায়ানের মাথায় এই কু-বুদ্ধিটা তুমি দিয়েছিলে?কেমন বাবা মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েছো তুমি?লজ্জা বলতে কিছু নেই তোমার?
-Whatever.. আগে জানলে কি ওর সাথে আমি রিলেশন রাখতাম নাকি!!আপনার ছেলেরই লজ্জা নেই যে ঘরে এতো সুন্দর বউ থাকতে অন্য মেয়ের সাথে রাত কাটিয়েছে।
কথাটা বলেই রিয়া তার ব্যাগ নিয়ে চলে যাচ্ছিলো।সায়ান দৌড়ে গেলো ওর পিছু নিয়ে।বাইরে গিয়ে ওর হাত ধরে বলল,
-কোথায় যাচ্ছো তুমি রিয়া?
-কোথায় আবার বাসায়!
-কখন আসবে আবার?
-আর কখনোই আসবো না।
-আমরা বিয়ে করবো বলেছিলাম আগামীকাল।
-Don't be silly Shayan...I can't marry you..
-মানে?কি বলতে চাচ্ছো তুমি?
-ইংলিশ বুঝ না??আমি তোমায় বিয়ে করতে পারবোনা।
-কেনো?
-কারন তুমি বিবাহিত।আর তুমি তোমার বিবাহিতা স্ত্রীকে এইভাবে জ্বালিয়েছো,অত্যাচার করেছো,রোজ রাতে ওকে ধর্ষণ করেছো,ওর যথেষ্ঠ যত্ন নাওনি,আমার সাথেও যে এমন করবে না তার কি নিশ্চয়তা সায়ান?
-আমি তোমাকে ভালোবাসি রিয়া।
-এনাফ।তোমার এসব ফালতু আর মিথ্যে ভালোবাসা দেখার সময় আমার নেই।যে অন্য কারো জন্য নিজের বিয়ে করা বউ কে খুন করতে পারে সে আমাকেও করতে পারে আরেকজনের জন্য।
বলেই রিয়া চলে গেলো।

সায়ানের মা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সব শুনছিলো।তারপর সায়ানকে ঘরে নিয়ে বুঝালো।
-বাবা এখনো সময় আছে প্রাপ্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে নে।ওকে ফিরিয়ে আন।ও আমার ঘরের লক্ষী।ওর মতো আর কোনো মেয়ে তোকে ভালোবাসতে পারবেনা।
সায়ান কোন উত্তর না দিয়ে নিচের দিকে চুপ করে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এদিকে প্রাপ্তির নবজীবনের সূচনা শুরু।ভার্সিটি তে প্রথম দিনেই বেশ কয়েকজনের সাথে খুব ভালো পরিচয় হয় প্রাপ্তির।দুইজনের সাথে খুব ভালো ফ্রেন্ডশিপ হয়।জয়া আর আরিয়ান।ওদের সাথে ভালোই চলতে থাকে প্রাপ্তির দিনকাল।

রিয়ার সাথে এতো ঘটার পরে সায়ান একেবারেই ভেঙে পড়ে।ও বুঝে উঠতে পারছিলো না কি করবে।মায়ের কথাগুলো বারবার ওর কানে বাজে।ওকে তাড়া করে বেড়ায়।অবশেষে সায়ান সিদ্ধান্ত নিলো ওর ঘরের লক্ষীকে ও ফিরিয়ে আনবে যে কোনো কিছুর মূল্যে।কারন ও হয়তো বুঝে গেছে ওইটাই ওর ঘরে সোনার হরিন ছিলো।
বেশ কয়েকটা রাত সায়ানের চোখে ঘুম ছিলোনা।অবশেষে এই সিদ্ধান্তে আসলো।সেদিন রাতেই সায়ান প্রাপ্তিকে অনেক কল দিলো কিন্তু প্রাপ্তি একটা কলও রিসিভ করে নি।সায়ান অস্থির হয়ে পড়েছিলো।ও বুঝে উঠতে পারছিলো না কি করবে।প্রতিটা মুহুর্ত অস্থির লাগছিলো ওর।সকাল কখন হবে এই অপেক্ষায় সারাটা রাত আবারো নির্ঘুম রাত কাটায় সায়ান।পরদিন সকাল সকাল গাড়ি নিয়ে সায়ান প্রাপ্তিদের বাসায় গেলো ওকে ফিরিয়ে আনার জন্য।প্রাপ্তি জানালা দিয়ে সায়ানের গাড়ি দেখেই ছাদে চলে যায়।সায়ান কলিং বেল এ চাপ দেওয়ার পরে প্রাপ্তির ভাই দরজা খোলে।মা কে ডেকে বলে-মা সায়ান ভাইয়া এসেছে
সায়ান ভেতরে ঢুকলো।ডইং রুমে বসলো।প্রাপ্তির মা এসে ওকে বলল
-কেনো এসেছো তুমি এখানে?
-প্রাপ্তিকে নিতে এসেছি!
-প্রাপ্তিকে কোন অধিকারে নিতে এসেছো তুমি?
-ও আমার বিবাহিতা স্ত্রী মা।
-এই জন্য ওকে মেরে ফেলতে চেয়েছো তাইনা?আমার মেয়ে কোথাও যাবেনা।
-প্লিজ আপনি ওকে ডেকে দিন আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই।
-ও বাসায় নেই।
-কোথায় গেছে ও?
-ছাদে গেছে।
তারপর সায়ান ছাদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলো।যত উঠছে ততই ওর হার্টবিট বাড়ছে।নিজের কাছেই নিজেকে প্রশ্ন করছে কোন মুখ নিয়ে যাবে প্রাপ্তির সামনে।তারপর নিজে নিজেকে সামাল দিচ্ছিলো যে ও পারবে।ওকে পারতে হবে।ও বুঝে গিয়েছে প্রাপ্তিকে ছাড়া ওর চলবেনা।প্রাপ্তিই ওর সব এখন।ছাদে গিয়ে দেখে প্রাপ্তি ছাদের এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে।বাতাসে ওর খোলা চুলগুলো উড়ছে এলোমেলো ভাবে।প্রাপ্তি সায়ানের উপস্থিতি বুঝতে পারলো।সায়ান অনেক সাহস যুগিয়ে প্রাপ্তির পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।

চলবে.........

এক_মুঠো_কাঁচের_চুরিপর্ব_০২লেখিকা_Fabiha_bushra_nimuতানহা'কে আশেপাশে'র সবাই দেখে যাচ্ছে'।ঘরোয়া ভাবে-ই তানহা আর ইফাদে'র বি...
26/09/2023

এক_মুঠো_কাঁচের_চুরি
পর্ব_০২
লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

তানহা'কে আশেপাশে'র সবাই দেখে যাচ্ছে'।ঘরোয়া ভাবে-ই তানহা আর ইফাদে'র বিবাহ সম্পূর্ণ হয়েছে'।সবাই তানহা'র খুব প্রশংসা করছে'।ইফাদে'র কথা জানতে চাইলে,রোকেয়া বেগমে'র মুখে আধার ঘনিয়ে আসে'।কোনে রকম সবাই'কে বুঝিয়ে বিদায় করেছেন'।

আবির বাসায় আসছে,শুনে তানহা'র চাচির ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে'।ছেলে বাসায় আসলে ছেলেকে সে' কি' জবাব দিবে'।তার থেকে-ও বেশি ভয়ংকর তার ছেলে'।একমাস পরে আবির বাসায় আসবে'।আজকে'ই মা'কে ফোনে জানিয়েছে'।এসে'ই তানহা'কে বিয়ে করবে'।বুদ্ধি হওয়া বয়স থেকে তানহা'কে নিয়ে,তার সব স্বপ্ন।আবিরের মনের রাণী করে রাখতে চায় তানহা'কে।আবির যতদিন বাসায় ছিল।তানহা'র শরীরে কেউ ফুলের টোকা দেওয়া'র সাহস পেত না'।হাজার হলে-ও আবির বাসার একমাত্র ছেলে'।ছোট বেলা থেকে-ই সাধ্যের মধ্যে থাকলে আবিরে'র সব ইচ্ছে পূরণ চেষ্টা করেছে আবিরে'র মা'।যেদিন আবির তানহা'র কথা বলেছিল।সেদিন আবিরে'র মায়ের মুখ কালো হয়ে গিয়েছিল।কৌশলে আবির'কে পড়াশোনার জন্য বাহিরে পাঠিয়ে দেয়'।আবির যাওয়া'র সময় তার মাকে বলে গিয়েছিল।আমার তানহাকে তোমার কাছে আমানত রেখে গেলাম মা'।তুমি আমার তানহাকে দেখে রেখো'।আবির তানহাকে কখনো বুঝতে দেয় নাই।আবির তানহাকে কতটা ভালোবাসে'।আবির চায় নাই।তানহার ছোট মস্তিষ্কে আবিরের জন্য ভয় তৈরি হোক'।তবে ভাই হিসেবে তানহা আবিরকে অনেক ভালোবাসে'।

ইফাদ রেডি হয়ে কাজে বেড়িয়ে পড়ল'।সৌদি আরবের বিশাল এক রেস্টুরেন্টে কাজ করে আবির'।প্রবাস জীবন এত সোজা না'।দুই মিনিট বসে থাকার সময় নেই'।বসিয়ে বসিয়ে তো' আর মালিক টাকা দিবে না ইফাদকে'।ইফাদ কাজ করছিল।ঠিক সেই সময়ে স্রুতি আসে রেস্টুরেন্টে'।পরনে তার টিয়া রংয়ের সালোয়ার কামিজ পড়া'।সৌদি আবর হওয়া'য় খুব শালিন ভাবে চলাফেরা করে স্রুতি'।সৌদি আরবে স্রুতির খালা থাকে'।প্রায় ঘুরতে আসে খালার বাসায় ভিসা শেষ হয়ে গেলে আবার দেশে ফিরে যায়'।স্রুতিকে দেখে ইফাদে'র জলন্ত রাগ আরো দিগুণ বেড়ে গেলো'।স্রুতি এসে বসতে বসতে বলল'।

--কি গো' কালা চাঁদ কেমন আছো'।শুনলাম দেশে গিয়েছিলে নাকি'।আমাকে বলো নাই' যে'।আমাকে বললে,আমি তোমার বাসায় চলে যেতাম।খেতে দেওয়া'র ভয়ে বলো নি'।কতটুকুই আর খেতাম বলো'।আমার এইটুকুই পেট'।

--খালার বাসায় কি খাবার কম দিচ্ছে ম্যাডাম'।সৌদি আবর থেকে বাংলাদেশে গিয়ে খেয়ে আসতে হবে'।আমার তো' মনে হচ্ছে,খাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব এসেছেন।মানুষ এক দেশে কতবার ঘুরতে আসে'।

--ভালোই কথা বলতে শিখে গেছো'।আমি এই বার দিয়ে দু'বার আসলাম।পাঁচ বছর আগে আসছিলাম'।আবার পাঁচ বছর পরে আসলাম'।তিনমাস থেকে চলে যাব'।তারপর বলো,দেশে গিয়েছিলে কি করতে'।

--বিয়ে করতে গিয়ে ছিলাম'।

ইফাদের কথায় স্রুতি হেঁসে দিলো'।তারপরে বলল'।

--তোমার মতো কালা মানিক'রে আমি ছাড়া কেউ বিয়ে করবে না'।যতই ভাব দেখা-ও না কেনো।শেষমেশ আমাকে-ই তোমার বিয়ে করতে হবে'।

--এই কালা মানিকরে'ই আসমানের পরী বিয়ে করছে'।তোমার থেকে সুন্দর আমার বউ'।

নিজের কথাতে নিজেই অবাক হলো ইফাদ'।এটা সে, কি বলে ফেললো'।সে,বিয়ে করেছে ঠিকি'।কিন্তু তার বউকে চোখের দেখা-ও দেখে নাই।মায়ের ওপরে রাগ করে চলে এসেছে'।

--তুমি খুব সুন্দর জোক্স বলতে পারো ইফাদ'।বিয়ে করেছো'।তাহলে তোমার বউকে দেখা-ও দেখি।কেমন সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করেছো তুমি'।

ইফাদ এবার মাথা চুলকিয়ে ভাবতে লাগলো'।এখন কি করবে সে'।কোনো উপায় না পেয়ে বলল'।

--কি খাবেন বলুন।নিয়ে আসি'।

--কথা উল্টিয়ে দিচ্ছো'।

--ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে এখানে আসেন নাই নিশ্চয়'।

--কিন্তু আমার কালা মানিক সত্যি সত্যি বিয়ে করলো নাকি'।জানতে হবে না।

ইফাদ খুব ধৈর্য সহকারে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করছে'।দেশটা যদি সৌদি আরব না হতো'।বাংলাদেশ হলে কানের নিচে দু'টো লাগিয়ে দিত।ছ্যাঁচরা মেয়ে কোথাকার'।এমন ছ্যাঁচরা মেয়ে দু'টো দেখে নাই ইফাদ'।স্রুতির থেকে অনুমতি নিয়ে খাবার নিয়ে এসে দিল ইফাদ'।ইফাদকে যখন দেখেছে'।প্রতিদিন আসবে।বিরক্ত হয়ে নিজের কাজে মন দিল ইফাদ'।

চৈতালি আর তানহা এক বিছানায় পাশাপাশি শুইয়ে আছে'।চৈতালির মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এলো'।

--ভাবি ভাইয়া'কে ফোন দেই।কথা বলবে'।

তানহা'র বুকের ভেতরে ধক করে উঠলো'।বিয়ে হয়েছে,অথচ মানুষটাকে চোখের দেখা'ও দেখে নাই'।অসহায় দৃষ্টিতে চৈতালির দিকে তাকিয়ে আছে'।চৈতালি ইফাদ'কে ফোন দিল'।ইফাদ কাজ করছিল'।কল কেটে দিয়ে কাজ করতে শুরু করলো'।

'লেখিকা ফাবিহা বুশরা নিমু।

সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে নিজের রুমে ফিরলো ইফাদ'।গোসল করে খেতে বসেছে'।খাওয়া দাওয়াটা ঠিকমতো হয় না'।খেয়ে বিছানায় গা' এলিয়ে দিয়ে,নিজের ফোনটা হাতে নিলো'।ছোট বোনের অনেক গুলো কল দেখে বোন'কে ফোন দিল'।পৃথিবীতে এই একটা মানুষের ওপরে রাগ করে থাকতে পারে না।ইফাদ ছাড়া মেয়েটার আবদার পূরন করার মানুষ নেই।চৈতালি যত আবদার ইফাদের কাছে'।বাবা মারা যাওয়া'র চল্লিশ দিনের মাথায় ইফাদের বড় ভাই আত্নহত্যা করে'।পরিবারে সব চাপ এসে পরে ইফাদের ওপরে'।ইফাদ তখন অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল'।পরিবারের হাল ধরতে পড়াশোনা ছেড়ে দূর প্রবাসে পাড়ি জামাতে হয় ইফাদের'।

চৈতালি ভাইয়ের ফোন পেয়ে খুশিতে আটখানা'।ভাবতেই পারে নাই।তার ভাই তার সাথে কথা বলবে'।তড়িঘড়ি করে ফোন তুললো'।

--আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।কেমন আছো'।আমি তোমার ওপরে রাগ করছি।তুৃমি এভাবে না বলে চলে গেলে কেনো'।কথা বলবে না আমার সাথে'।

ইফাদ সালামের উত্তর নিয়ে,একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল'।

--তুই সবকিছু জানতি।তবু্-ও আমাকে কিছু জানাসনি কেনো'।

--ভাইয়া আম্মু তোমার ভালোর জন্যই করেছে'।তুমি একটা ভুল ধারনা মনে বেঁধে রেখেছো'।তুমি তো' ভাবিমনি'কে দেখো নাই'।দেখলে ভাবিমনি'কে দেখলে আর বিদেশে যেতে চাইবে না।

চৈতালির কথা শুনে ইফাদ চৈতালিকে ধমক দিল'।চৈতালি ভয়ে চুপসে গেলো'।মন খারাপ করে ফেললো'।

--তোর কিছু লাগবে'।পড়াশোনা করছিস ঠিকমতো'।তুই এবার ইন্টার দ্বিতীয় বর্ষে না'।সামনে তোর পরীক্ষা'।পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাদিন ফোন ঘাঁটিস।বাসায় গেলে এবার ফোন কেঁড়ে নিব।আর দিব না।

--ভাইয়া মায়ের কথা জানতে চাইলে না।

--আমার কোনো মা নেই'।তোর কোনো কথা থাকলে বল'।না হলে আমার ঘুম পেয়েছে।আমি ঘুমাবো।সকালে কাজে যেতে হবে'।

--তোমার বউদের সাথে কথা বলবে ভাইয়া'।ওপাশ থেকে আর কোনো উওর আসলো না'।ইফাদ কল কেটে দিয়েছে'।রোকেয়া বেগম দরজার কাছে থেকে সবকিছু শুনছিলেন'।দু-চোখে পানি এসে ছলছল করছে'।তিনি আর এক মুহুর্ত দাঁড়ালেন না।রুম ত্যাগ করে বেড়িয়ে গেলেন'।তানহা'র নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে '।আজ তার জন্য এতগুলো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে'।সে আসলে'ই অপয়া।যার জীবনে যায়।সব সুখ শান্তি নষ্ট করে দেয়'।তানহাকে কান্না করতে দেখে চৈতালি তানহার মাথায় হাত রাখলো'।

--তুমি কান্না করো না ভাবি।সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।ভাইয়া সাময়িক ভাবে অভিমান করে আছে।ভাইয়ার অভিমান শেষ হলে,সবকিছু এতটা সুন্দর হবে।তুমি ভাবতে-ও পারবে না।তুমি যতটা কল্পনা করবে।তার থেকে বেশি সুন্দর হবে।তোমার জীবন।

পরের দিন সকাল বেলা রোকেয়া বেগম দরজা খুলছেন না'।চৈতালির বেশ চিন্তা হচ্ছে'।নামাজ পড়ার জন্য তিনি খুব ভোরে উঠেন'।তানহা নামাজ পড়ে বাহিরে এসে চৈতালিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চৈতালির কাছে আসলো'।তানহার উপস্থিতি পেয়ে চৈতালি ভয়ে তানহার দু'হাত আঁকড়ে ধরলো'।কাঁপা কাঁপা গলায় বলল'।

--ভাবি আম্মু দরজা খুলছে না।

--ডেকেছিলে'।উনি তো সকালে উঠেন তাই না'।

--আম্মু সবার আগে উঠে নামাজ পড়ে রান্না করে।

পুরো বাসা নিস্তব্ধ হয়ে আছে'।দু'জনের গা কেমন ছমছম করে উঠলো'।দু'জন অনেক চেষ্টা করে-ও দরজা খুলতে পারলেন না'।ভয়ে দুজনের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে'।চৈতালি বাধ্য হয়ে ইফাদকে ফোন দিল।অনেক বার কল কেটে যাওয়ার পরে ইফাদ কল রিসিভ করল'।সৌদি আরবে এখনো ভোরের আলো ফুটেনি।বেশ বিরক্ত হয়ে বলল'।

--কি হয়েছে'।এভাবে ফোন দিচ্ছিস কেনো'।

--ভাইয়া মা' দরজা খুলছে না'।

--ডাক দিলেই তো পারিস।আমাকে কেনো ফোন করছিস।

--ডেকেছি।মা কোনো সাড়াশব্দ করছে না'।

--আবার কোন নাটক সাজিয়েছে কে' জানে'।

--ভাইয়া কি সব বাজে কথা বলছো'।আমি জানি মা তোমাকে বিয়ে দেওয়া'র জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে।তাই বলে যে,মা প্রতিদিন সকালে নামাজ বাদ দেয় না।সেই মা নামাজ পড়তে-ও উঠে নাই।বিষয়টা কি তোমাকে একটু-ও ভাবাচ্ছে না'।

ইফাদ ঘুমের রেশ কাটিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে শুরু করলো '।তারপরে বলল'।

--বাসার পেছনে যা'।জানালা দিয়ে ভেতর গিয়ে দেখ কি হয়েছে'।আমাকে ফোন করে জানাবি'।চৈতালি তাড়াতাড়ি করে বাসার পেছনে গেলো'।হালকা ধাক্কা দিতেই জানালা খুলে গেলো'।চৈতালি রুমের মধ্যে গিয়ে দেখলো'।রোকেয়া বেগম কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুইয়ে আছে'।চৈতালি দ্রুত মায়ের কাছে গেলো'।মায়ের হাত-পা কেমন জানি ঠান্ডা লাগছে'।ভয়ে কথা গলায় এসে আঠকে আসছে'।দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিল চৈতালি'।

চলবে.....

ভালোবেসেই  যাবো পার্ট-৪ লেখনীতেঃআসমিতা আক্তার (পাখি ) অচেনা ছেলেঃ তুই কি আগুন? ৩ঃআগুন রেগে গিয়ে বললঃ- আগুনঃ আগে কলারটা  ...
26/09/2023

ভালোবেসেই যাবো
পার্ট-৪
লেখনীতেঃআসমিতা আক্তার (পাখি )

অচেনা ছেলেঃ তুই কি আগুন?

৩ঃআগুন রেগে গিয়ে বললঃ-

আগুনঃ আগে কলারটা ছাড়,,,

অচেনা ছেলেঃ আগে বল তুই আগুন কি না?

৩ঃ আগুন এইবার শান্ত গলায় বললো,

আগুনঃ হুম আমিই আগুন,,,

৩ঃ আগুন ধাক্কা দিয়ে ছেলেটির হাত তার কলার থেকে সরিয়ে নিল,,,,। তারপর বললঃ-

আগুনঃ কিন্তু তোরা কে?

৩ঃ আগুনকে কিছু না বলেই ছেলেটা আগুনকে মারতে যাচ্ছিলো ,,, ওমনিই আগুন তার হাত ধরে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে মারতে শুরু করে দেয়। একে একে করে সবাইকে মারে। কেউ যদি একটা ছেলের কলার ধরে তাহলে কোন ছেলেই সহ্য করতে পারে না। এবং আগুনেরও সহ্য হলো না,,, আগুন যখন দেখলো কেউ আর তেমন ভাবে মারতে আসছে না তখন আগুন তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে বললঃ-

আগুনঃ এখন বল কে তোরা? আর আমাকেই বা কেন মারতে চাচ্ছিস?

অচেনা ছেলেঃ আমাদেরকে আমাদের বস পাঠিয়েছে। আর বলেছে,,, আপনাকে ইচ্ছা মতো মারতে যাতে আপনি ১ মাস অবদি হাসপাতালে পড়ে থাকেন।

আগুনঃ বস? কোন বস? আর আমাকেই বা কেন চায় তোদের বস?

অচেনা ছেলেঃ আমাদের বসের নাম আসিফ আহমেদ।

আগুনঃ কোন আসিফ?( কিছুটা চিন্তিত হয়ে )

অচেনা ছেলেঃ কয়েকদিন আগে যে আপনি একটা ছেলেকে মেরেছিলেন সেই ছেলেটা হলো আসিফ। আমাদের বস!

আগুনঃ ওহ,,,,আচ্ছা তোরা এখন যা। আর তোর আসিফ ভাইকে বলবি পরের বার আমাকে মারতে যেন সে আসে। ভিতুদের মতো যেন বাড়িতে বসে না থাকে।

৩ঃ আগুনের কথা শেষ হতেই সব গুলো দৌড়ে পালিয়ে গেল,,আর আগুন মনে মনে বলতে লাগলোঃ-

আগুনঃ আগের বার ছেড়ে দিয়েছিলাম বলে মনে করবি না যে এইবারও ছেড়ে দিব। এইবার আগুনের আসল রুপ দেখবি। আসিফ খেলাটা শুরু তুই করেছিস কিন্তু শেষটা আমি করবো,,, ( মনে মনে)

৩ঃ আগুন পিছন ফিরতেই দেখতে পেল মোম তার দিকে তাকিয়ে আছে। আগুন বেশ কয়েক সেকেন্ড মোমের চোখে চোখ রেখে সরিয়ে নিল। মোম এইখানে কি কি হয়েছে তা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছে। আগুন ও তাকে কিছুই বলতে পারছে না,, আর বলবেই বা কি? মোম আর এক মুহূর্ত ওখানে না দাঁড়িয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেল। আর আগুন ওখানে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে সেও নিজের বাসায় চলে গেল। রাতে খাবার খেয়ে আগুন বেলকনির রেলিং ধরে আকাশের দিকে মুখ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর মনে মনে ভাবতে থাকেঃ-

আগুনঃ এ কেমন অনুভূতি আমি কিছুই বুঝতে পারছি না,,,তোমার থেকে দূরে আমি থাকতে পারি না। প্রতিদিন তোমাকে এক নজর না দেখলে মনের তৃষ্ণাটা মিটে না। আচ্ছা মোম,, তুমিও কি আমার মতো এমন কিছু অনুভূতির সম্মুখীন হচ্ছো? আহ আমি আর ভাবতে পারছি না। ভাবতে ভাবতে আমি ক্লান্ত হয়ে পরেছি।

৩ঃ আগুন মাথায় হাত দিয়ে তার রুমে প্রবেশ করলো। মাথায় হাত থাকা অবস্থাতেই উল্টো হয়ে বিছানায় গা টা এলিয়ে দিল। সকালের মৃদ সূর্যের আলো আগুনের চোখে পরতেই আগুন বিরক্তি নিয়ে বার বার এপাশ ওপাশ করছে। বেশ কিছুক্ষন ঘুমানোর পর সে উঠে পড়লো,,, কলেজে যেতে হবে বলে। নাস্তা করে চলে গেল কলেজের উদ্দেশ্যে। কলেজে গিয়ে সব ক্লাস ঠিক ঠাক করে আড্ডা দিচ্ছিলো সবাই মিলে। কিন্তু আগুনের চোখ শুধু মোমকে খুজছে। প্রায় ১০ মিনিট পর মোমের দেখা পেল আগুন। কিন্তু মোম তার দিকে একবার ও তাকায় নি। আগেও তেমন একটা তাকাতো না। মাঝে মাঝে বেখেয়ালি ভাবে চোখ চলে যেত। কিন্তু কালকের ঘটনার পর আগুন মনে করেছিল আগে যা একটু আমার দিকে তাকাতো এখন মনে হয় তাও তাকাবে না। আর তাই হলো,,,, আগুনের মন খারাপ কেউ বুঝতে না পারলেও তার প্রিয় বন্ধু নয়ন ঠিকি বুঝেছে তার কষ্টটা আগুন তাকে কোন কিছু বলে নি মোমের ব্যাপার নিয়ে। কিন্তু নয়ন তা বুঝতে পেরেছে আগুনের ব্যবহার এর মাধ্যমে। আগুনের আগে অল্প কথাতেই রাগ উঠে যেত কিন্তু মোমের সাথে দেখা করার পর থেকে আগুনের মধ্যে অনেক কিছুই চেঞ্জ দেখা দিয়েছে। যেমন,,,,, আগের মতো তেমন একটা কেউর সাথে রাগারাগি করে না । সব ক্লাস করে তার পর প্রতিদিন কলেজে বসে সবার সাথে অাড্ডা দেয়। আগেও আড্ডা দিত কিন্তু আগে সে অনেকটাই গম্ভির ছিল আর এখন? এখন সে সবসময় হাসি খুশি থাকে আর সবাইকেও রাখে। কিছুক্ষন আড্ডা দেয়ার পর রাজ আর অভি চলে যায় তাদের বাসায় থেকে যায় শুধু আগুন আর নয়ন। নয়ন ত এই সুযোগ টার ই অঅপেক্ষা করছিল যে কখন আগুনের সাথে সে একান্ত ভাবে কথা বলতে পারবে। নয়ন বললঃ-

নয়নঃ আচ্ছা আগুন একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি কি?

৩ঃ আগুন খানিকটা ভ্রু কুচকে বললঃ-

আগুনঃ হঠাৎ এমন করে কথা বলছিস যে ? এর আগে ত কখনও কিছু বলার আগে এমন ভাবে পারমিশন চাস নি ত আজ কেন?

৩ঃ নয়ন কিছুটা ঘাবড়ে বললঃ-

নয়নঃ না মানে,,,,,তেমন কোন কিছুই হয়নি কিন্তু কথাটা তোর পারসোনাল লাইফ নিয়ে তাই জিজ্ঞেস করেছি।

আগুনঃ পারসোনাল লাইফ? আমার সব কিছুই ত তুই জানিস।

নয়নঃ হুম সবই জানি কিন্তু একটা কথা তুই আমাকে এখনও বলিস নি।

৩ঃ আগুন ভাবনার জগতে পা দিয়ে বললঃ-

আগুনঃ কোন কথাটা আমি তোকে জানাই নি?

নয়নঃ মোমের কথাটা,,,

৩ঃ আগুন অবাক হয়ে নয়ন এর দিকে তাকিয়ে আছে তারপর আমতা আমতা করে বললঃ-

আগুনঃ কোন মোম?

৩ঃ নয়ন খানিকটা রাগ নিয়ে বললঃ-

আগুনঃ হয়েছে আর ঢং করতে হবে না। এমন ভাবে ভাব করছিস যেন ওর নামটা এই প্রথম শুনলি!

আগুনঃ এহ আচ্ছা আচ্ছা সেই মেয়েটার কথা বলছিস যাকে আমি সেই দিন বাচিয়েছিলাম ওগুলো ছেলেদের হাত থেকে?

নয়নঃ জ্বি আমি ওই৷ মোমের কথাই বলছি।

আগুনঃ আমি আবার কি জানাই নি মোমের ব্যাপার নিয়ে? সে দিন যা হলো তা ত তোদের চোখের সামনেই হলো।

নয়নঃ হুম সে দিন যা হয়েছে তা ত আমরা দেখেছি কিন্তু আমি তোর চোখের ভিতরের কথা বলছি।

আগুনঃ মানে কি বুঝাতে চাচ্ছিস তুই?

নয়নঃ এটাই যে তুই মোমকে পছন্দ করিস। হয়তো বা ভালোও বাসিস।

আগুনঃ কি ফালতু কথা বলছিস? আমি আর মোমকে পছন্দ করবো? কখনই না,,, নয়ন তুই ত আমার টেস্ট সম্পর্কে সবই জানিস তাহলে তার পরেও কেন এই কথাটা কিভাবে বলতে পারলি?

নয়নঃ আমি সবই জানি কিন্তু তুই যে মোমকে ভালোবাসিস তাও আমি জানি। আর তুই যতই আমার অস্বীকার করিস না কেন আমি তোর কথা বিশ্বাস করবো না। কারণ আমি তোর চোখে মোমের জন্য ভালোবাসা দেখতে পেয়েছি। আমি দেখেছি যখন মোম আসতে একটু লেট করে তখন তুই কিভাবে ছটফট করিস।

৩ঃ আগুন আর পারলো না নিজেকে অাটকাতে তাই বাধ্য হয়ে নয়নকে বললঃ-

আগুনঃ হুম আমি অনেক ছটফট করি ওকে না দেখতে পারলে। কিন্তু এটা ভালোবাসা কি না তা আমি জানি না। জানিস নয়ন,, যখন ওকে আমি দেখি তখন আমার মনের মাঝে আলাদা একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আমি জানি না এ কেমন অনুভূতি কিন্তু এই অনুভূতিটা আমার অনেকই ভালো লাগে।

নয়নঃ এই অনুভূতিটার নামই হলো ভালোবাসা।

আগুনঃ তুই ত জানিস মোম কতটা ছোট আমার থেকে। ও এখন মাত্র ক্লাস ৮ এ পড়ে।

নয়নঃ ত কি হয়েছে? এখনও ত অনেক সময় আছে। এমন ত না যে মোম কোথাও পালিয়ে যাচ্ছে।

আগুনঃ- হুম এখন চল বাসায়। নাহলে আম্মু বকাঝকা দেয়া শুরু করবে।

৩ঃ তারপর দুজন চলে যায় নিজেদের বাসায়। প্রতিদিনের মতো আজও আগুন তার বেলকনিতে গেল সাথে আছে এক কাপ কফি,,,, এক হাতে কফি আর আরেক হাতে বেলকনির রেলিং ধরে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে আর বলছেঃ-

আগুনঃ হুন ভালোবাসি,,, খুব বেশিই ভালোবাসি। কিন্তু আফসোস ভালোবাসি কথাটা তোমায় এখন বলতে পারবো না । তোমাকে ভালোবাসি কথাটা যদি বলি হয়ত বা তুমি এখন এইটার মানে বুঝবে না। তাই আমাদের দুজনেরই সময় এর প্রয়োজন,,।

৩ঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে আগুন নিজের টাইম টেবিল হিসেবে চলে যায় কলেজে কিন্তু আজ তার কেমন যেন একটা অনুভূতি হচ্ছে। এটা ভালো লাগার অনুভুতি নয় কিছু হারানোর ভয়। তবুও নিজের মনকে শান্ত রাখার যথার্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আগুন । ক্লাসেও তেমন একটা মনযোগী হয়ে পারে নি,, অাড্ডা স্থানে গিয়ে বার বার এদিক ওদিক করছে আগুন তার চোখ জোড়া যে মোমকে খুজছে কিন্তু মোমকে দেখতে পারছে না। ৩০ সেকেন্ড এর পর আগুন মোমকে দেখতে পেল,,, আগুনের চোখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্চে যে সে কতটা খুশি হয়েছে মোমকে দেখে কিন্তু তার খুশিটা বেশিক্ষণ থাকতে পারলো না। হঠাৎই মোমের সামনে এসে কয়েকটা কার এসে থামলো মোম ভয় পেয়ে দু পা পিছিয়ে গেল,,

চলবে,,,

Address

Madani Road, Ali Nagar, Kamrangir Char
Dhaka
1211

Telephone

+8801811868198

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hazambd.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Hazambd.com:

Share