As-sunnah hijama and ruqyah centre Uttara

As-sunnah hijama and ruqyah centre Uttara assalamuaikum wa rahmatullahi wa barakatuh

সন্দেহজনক কিছু বা কোন তাবিজ যদি পাওয়া যায় তাহলে সেটা নষ্ট করার জন্য একটি পাত্রে পানি নিন। তারপর সেই পানিতে সিহরের আয়াত প...
11/09/2025

সন্দেহজনক কিছু বা কোন তাবিজ যদি পাওয়া যায় তাহলে সেটা নষ্ট করার জন্য একটি পাত্রে পানি নিন। তারপর সেই পানিতে সিহরের আয়াত পড়ে ফুঁ দিন (অর্থাৎ সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২, ইউনুস ৮১-৮২, সুরা ত্বহা ৬৯নং আয়াত), এরপর সূরা ফালাক্ব ৩বার, সূরা নাস ৩বার পড়ে ফুঁ দিন।

সুরা আরাফের আয়াতগুলো

وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰی مُوْسٰۤی اَنْ اَلْقِ عَصَاكَ ۚفَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْن﴿۱۱۷﴾ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا کَانُوْا یَعْمَلُوْنَ ﴿۱۱۸﴾ فَغُلِبُوْا هُنَالِكَ وَانْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَ ﴿۱۱۹﴾ وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَ ﴿۱۲۰﴾ قَالُوْۤا اٰمَنَّا بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ ﴿۱۲۱﴾ رَبِّ مُوْسٰی وَهٰرُوْنَ ﴿۱۲۲﴾◌

সুরা ইউনুসের আয়াতগুলো

فَلَمَّاۤ اَلْقَوْا قَالَ مُوْسٰی مَا جِئْتُمْ بِهِ ۙالسِّحْرُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ سَیُبْطِلُہٗ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِیْنَ ﴿۸۱﴾ وَیُحِقُّ اللّٰهُ الْحَقَّ بِکَلِمٰتِہٖ وَلَوْ کَرِهَ الْمُجْرِمُوْنَ ﴿۸۲﴾◌

সুরা ত্বহার আয়াত

وَ اَلْقِ مَا فِیْ یَمِیْنِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوْا ؕ اِنَّمَا صَنَعُوْا کَیْدُ سٰحِرٍ ؕ وَ لَا یُفْلِحُ السَّاحِرُ حَیْثُ اَتٰی ﴿۶۹﴾◌

এর সাথে সুরা ফালাক (قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ الۡفَلَقِۙ‏ ) এবং সুরা নাস (قُلۡ اَعُوۡذُ بِرَبِّ النَّاسِۙ‏) পুরোটা পড়ুন।

সিহরের আয়াতগুলো একত্রে পিডিএফ পাবেন – https://ruqyahbd.org/ayat এই ঠিকানায়। এরপর তাবিজ বা জাদুর জিনিসগুলো খুলে আলাদা আলাদা করে ভালভাবে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। ইনশাআল্লাহ তাহলে জাদু নষ্ট হয়ে যাবে। এরপর মানুষ চলাচল করেনা এমন যায়গায় ফেলে দিন।

লক্ষণীয়ঃ

১। তাবিজ,পুতুল,কাগজ,যাদুকরের দেয়া যেকোনকিছু উপরের আয়াতগুলো পড়া পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন কিছুক্ষণ। কাগজে লেখা থাকলে পানিতে রেখেই সেটা ঘষে মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন। লেখা মুছার পরে ছিড়ে অনেকগুলো টুকরো করবেন। তারপর শুকিয়ে বা কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবেন। পুড়ানোর সময়ে নিশ্বাসের সাথে সেটার ধোঁয়া নেয়া থেকে বিরত থাকবেন।

২। তাবিজ খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করা ভাল। গ্লাভস না পেলে হাতে পলিথিন মুড়িয়ে বা রুকইয়ার আয়াত পড়া তেল হাতে মেখে নিতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরোটা সময়ে বারবার সুরা ফালাক, নাস পড়বেন।

৩। তামা বা অন্য ধাতুর তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা তাবিজ লেখা থাকলে লেখাটা ঘষে ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী। নিজে করতে না পারলে কোন স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে লেখাটা মুছে ফেলবেন।

৪। তাবিজে গিট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিট খুলবেন। কোন পুতুল, মূর্তি, পাখি, মাছ ইত্যাদি পাওয়া গেলে সাবধানে খেয়াল করবেন এদের গায়ে কোন পিন আছে কিনা। থাকলে প্রতিটা পিন খুলবেন। পিনগুলোও পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন।

৫। জীবন্ত কোনকিছু যেমন- পাখি পাওয়া গেলে তার ডানার নিচে এবং শরীরের প্রতিটা জায়গায় খুঁজে দেখবেন কোন তাবিজ,পিন বা সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা। থাকলে এগুলো সাবধানে খুলে নিয়ে পাখিকে তাবিজ নষ্টের পানি দিয়ে ভিজিয়ে ছেড়ে দিবেন। তাবিজের ভেতরে কাগজ ছাড়াও অন্যকিছু থাকতে পারে। তাবিজ খুলতে গেলে অনেক সময় খোলস ভেঙ্গে বের করা লাগতে পারে। যাই থাকুক, ভাঙ্গা টুকরোসহ সবটুকুই পানিতে ঢালবেন। একইভাবে যাদুকরের দেয়া তেলপড়া, পানিপড়া ইত্যাদি জিনিসপত্র পানিতে ঢালবেন।

৬। কারো বাসার দেয়ালে, ফ্লোরে অথবা যেকোন স্থানে তাবিজ আঁকা অথবা খোদাই করা থাকলে লেখাটা ঘষে মুছতে হবে। তারপর তাবিজ নষ্টের পানিটা ওখানে ছিটিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় বাসা বানানোর সময়ে প্রতি কোণায় তাবিজ রেখে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে তাবিজ না তুলতে পারলে এসব কোণায় আয়াতগুলো পড়া পানিটা ছিটিয়ে দিবেন পরপর তিনদিন। আর দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাবিজ নষ্ট করে দেন।

৭। জ্যোতিষীর দেয়া কোন বিশেষ আংটি থাকলে তাবিজ নষ্টের পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন। কিছুক্ষণ রেখে পাথরটা ভেঙে তারপর ফেলে দিবেন। জ্যোতিষীরা বিশ্বাস করে পাথরের ক্ষমতা আছে। তাই কোনমতেই এই পাথর রেখে দেয়া যাবেনা।

৮। তাবিজ নষ্টে ব্যবহৃত পানি ফেলার জন্য এবং তাবিজ পুড়ানোর জন্য, সাধারনত মানুষের যাতায়াত হয়না এমন কোন জায়গা ঠিক করে নিন। জাদুর জিনিসপত্র নষ্ট করার পরেও নিজেদের খাবার, ব্যবহারের জিনিস বা দৈনন্দিনের ময়লার মাঝে এটা ফেলবেন না।

৯। কোন রাস্তায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, বাড়ির আশেপাশে, ফুলের টবে বা অন্য কোনো সন্দেহজনক জায়গায় তাবিজ রাখা আছে মনে হলে সেখানে পরপর তিনদিন উল্লেখিত আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফু দিয়ে ছিটিয়ে দিন বা পানি ঢেলে দিন। যদি নির্দিষ্ট কোনো যায়গায় জাদুর জিনিস রাখার কথা স্বপ্নে দেখেন, কিন্তু সেখানে খুঁজে না পান, সেক্ষেত্রেও একই নিয়ম।

১০। আপনি আগে তাবিজ ব্যবহার করলে সেটাও উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী তাবিজ নষ্ট করবেন। তারপর তাবিজ ব্যবহার করার জন্য তাওবা করবেন।

تحمل هذه الكتابة من بيان الشيخ عبد السلام البالي حفظه الله ورعاه وكتابة الشيخ عثيمن رحمه الله

04/09/2025

# জুমার দিন আসরের পর ৮০ বার দুরুদ পাঠ করলে কী ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়?

রুকইয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি সাপ্লিমেন্টারি হলো,রুকইয়ার পানির ব্যবহার, আর যদি তা বৃষ্টির পানি কিংবা জমজমের পানি হয় তাহলে ...
13/08/2025

রুকইয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটি সাপ্লিমেন্টারি হলো,রুকইয়ার পানির ব্যবহার, আর যদি তা বৃষ্টির পানি কিংবা জমজমের পানি হয় তাহলে রুকইয়ার উপকারিতা আরো বেড়ে যায়। তাইতো রাসূল সা:বলেন.
১. خير ماء علي وجه الارض ماء زمزم فيه (المعجم الاوسط) ٠طعام من الطعم وشفاء من السقم
অর্থাৎ :পৃথিবীর বুকে সর্বোত্তম পানি হচ্ছে জমজমের পানি, যাতে রয়েছে ক্ষুধার্তের জন্য খাদ্য এবং অসুস্থতার জন্য আরোগ্য "।(মুজামুল আওসাত ৮১২৫)।

২.জমজমের পানির পর উত্তম হচ্ছে বৃষ্টির পানি।
যেমনটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কুরআনুল কারীমে এরশাদ করেন।
ونزلنا من السماء ماء مباركا فانبتنا به جنات وحب الحصيد٠٠
"আমি আকাশ থেকে বরকতময় বৃষ্টি বর্ষণ করি। আর তা দ্বারা বাগান ও ফসল উদগত করি, যা আহরণ করা হয়"। (সুরা কাফ,আয়াত:৯)

এ ছাড়া রাসূল সা:এর ঘটনা লক্ষণীয় :
قال انس اصابنا ونحن مع رسول الله ص٠ مطر قال فحسر رسول الله ص٠ثوبه حتي اصابه من المطر فقلنا يا رسول الله لم صنعت هذا قال لانه حديث عهد بربه تعالي ٠رواه مسلم
"আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলেন, একবার আমরা রাসূল সা:এর সাথে ছিলাম, তখন বৃষ্টি নামলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আর কাপড় প্রসারিত করলেন, যাতে সেটা পানি স্পর্শ করে। আমরা বললাম, আপনি কেন এমন করলেন? তিনি বললেন, কারণ এটা তার মহান রবের নিকট থেকে এখনই এসেছে। (সহীহ মুসলিম ৮৯৮)

ব্যবহারের নিয়ম :
রুকইয়ার পানি সাধারণত করার জন্য এবং গোসলে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া রুকিয়া চলাকালীন রোগীর উপর তার ছিটিয়ে দেয়া হয়। তাবিজ বা জাদুর কিছু পাওয়া গেলে সেটাকেও রোখিয়ার পানিতে ডুবিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়।

13/08/2025

# রুকিয়াহ কি সুন্নাহ সম্মত চিকিৎসা ?
,

 # হারিয়ে যাওয়া একটি সুন্নাহ চিকিৎসা  হলো হিজামা। তাইতো রাসূল সা:  বলেছেন. ان افضل ماتداويتم به الحجامة  অর্থাৎ  তোমরা ...
09/08/2025

# হারিয়ে যাওয়া একটি সুন্নাহ চিকিৎসা হলো হিজামা। তাইতো রাসূল সা: বলেছেন. ان افضل ماتداويتم به الحجامة অর্থাৎ তোমরা যে সমস্ত জিনিসের মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করে থাক এর মধ্যে সর্বোত্তম হলো হিজামা। সহিহ মুসলিম

09/08/2025

ডিপ্রেশন বা হতাশা কাটানোর ৬ টি কার্যকর আমল:

১. একটানা ১৫-২০ মিনিট কুরআন তিলাওয়াত করা। শর্ত হলো তিলাওয়াত বিশুদ্ধ হতে হবে।

২. ইস্তিগফার বা দুয়া ইউনুস একনাগাড়ে পড়ে যাওয়া।

৩. রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মনোযোগ সহকারে অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ। যত মনোযোগ দেওয়া হবে আমল তত কাজে দিবে।

৪. অত্যাধিক পরিমাণে "লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পড়া।

৫. প্রতিদিন মনোযোগ সহকারে আল্লাহ তা'আলার কাছে লম্বা সময় দুয়া করা এবং দুয়ার পূর্বে অল্প বা বেশি সদাকা করে দুয়া শুরু করা।

৬. অত্যধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির করা।

কখনো যে কোন এক আমলেই কাজ হয়ে যেতে পারে। সবগুলো আমল করতে পারলে উত্তম হয়।

— ইশতিয়াক আহমেদ তুষার

যেসব বাড়িতে জিনদের উৎপাত আছে, সেখানে অদ্ভুত কিছু সমস্যা দেখা যায়, যেমন,১. বিভিন্ন ছায়া বা আকৃতি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা।২. রা...
02/08/2025

যেসব বাড়িতে জিনদের উৎপাত আছে, সেখানে অদ্ভুত কিছু সমস্যা দেখা যায়, যেমন,
১. বিভিন্ন ছায়া বা আকৃতি দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা।
২. রাতে অথবা কেউ যখন থাকে না তখন রান্নাঘর, অন্যান্য কামরা বা ছাদ থেকে মানুষের আওয়াজ আসা।
৩. ফাঁকা ঘর বা ছাদ থেকে বাড়ির লোকদের নাম ধরে ডাকছে এমন শোনা।
৪. বাহিরে বা দূরে কোথাও অবস্থা করছে এমন কাউকে বাড়িতে দেখতে পাওয়া।
৫. অকারণে টয়লেটের ট্যাপ-ঝর্না চালু হওয়া, লাইট-ফ্যান অন-অফ হওয়া, দরজা-জানালায় ধাক্কা দেয়ার শব্দ পাওয়া।
৬. নিজেরা না করলেও জিনিশপত্র বারবার লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া, এক যায়গার জিনিশ অন্য যায়গায় পাওয়া।
৭. অকারণে কাঁচের জিনিসপত্র বা আয়না ভেঙ্গে যাওয়া। এখানে সেখানে আগুন লাগা।
৮. অদ্ভুতভাবে জিনিশপত্র হারিয়ে যাওয়া।
৯. ঘুমের সময় কাঁথা-কম্বল টান দিয়ে বিরক্ত করা।
১০. রাতে বাড়ির আশেপাশের কুকুরগুলো অতিরিক্ত ডাকাডাকি করা। ইত্যাদি…

বাড়ি থেকে দুষ্ট জিন তাড়ানো ও বাড়িকে নিরাপদ রাখার ইসলাম সম্মত উপায়।

মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমাদের কিছু
বিষয় জানা দরকার,
১. পৃথিবী মানুষ জিন সবার জন্য, তাই বাড়িঘরে-আশেপাশে কিছু জিন বসবাস করতেই পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা আমাদের বিরক্ত করছে, তাদের গায়ে পড়ে ঝামেলা করা উচিত না।
২. ইসলাম আমাদেরকে একটিভ থাকতে শেখায়। এরকম নির্ভরযোগ্য এবং স্থায়ী কোনো পদ্ধতি নেই যে, সেটা একবার করে রাখলে আর কখনওই কোনো জিন আপনার বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবে না।

আমাদের যেটা করতে হবে, যদি বাড়িতে জিনের উৎপাত থাকে, সেটা দূর করতে হবে। আর নিয়মিত যিকর-আযকার তিলাওয়াত করতে হবে, যাতে শয়তান বাড়িতে যায়গা না পায়।
তাহলে আমাদের প্রথম জানা দরকার, কোনো বাড়িতে যদি জ্বিনের উৎপাত থাকে, তাহলে তাড়াবেন কিভাবে?
এর বেশ কয়েকটি বৈধ পদ্ধতি আছে, সবগুলোই কমবেশি ফলপ্রসূ।

প্রথম পদ্ধতি :
আপনি আরো দুজন লোক সাথে নিয়ে ওই বাড়িতে যাবেন, তারপর জোরে জোরে কয়েকবার বলবেনঃ

أُنَاشِدُكُمْ بِالْعَهْدِ الَّذِيْ أَخَذَهُ عَلَيْكُمْ سُلَيْمَانَ أَنْ تَرْحَلُوْا وَتَخْرُجُوْا مِنْ بَيْتِنَا أُنَاشِدُكُمُ اللّٰهُ أَنْ تَخْرُجُوْا وَلَا تُؤْذُوْا أحَدًا

অর্থাৎ: “আমি তোমাদের সেই ওয়াদার জন্য আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যে ওয়াদা সুলাইমান আ. তোমাদের থেকে নিয়েছেন। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমরা বের হয়ে যাও আর কারো কোনো ক্ষতি করো না।”

একটা বড় পাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি নিন, এরপর পানির কাছে মুখ নিয়ে নিচের দু’আটি পড়ুন।
بِسْمِ اللّٰهِ ، اَمْسَيْنَا بِا للّٰهِ الَّذِيْ لَيْسَ مِنْهُ شَيْءٌ مُمْتَنِعٌ ، وَبِعِزَّةِ اللّٰهِ الَّتِيْ لَا تُرَامُ وَلَا تُضَامُ، وَبِسُلْطَانِ اللّٰهِ الْمَنِيْعِ نَحْتَجِبُ، وَبِأَسْمَائِهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا عَائِذٌ مِّنَ الْأَبَالِسَةِ ، وَمِنْ شَرِّ شَيَاطِيْنِ الْإِنْسِ وَالْجِنِّ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ مُعْلِنٍ اَوْ مُسِرٍّ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ بِاللَّيْلِ وَيَكْمُنُ بِالنَّهَارِ ، ويَكْمُنُ بِاللَّيْلِ و يَخْرُجُ بِالنَّهَارِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ اِبْلِيْسِ وَجُنُوْدِهِ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ اَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ ، اَعُوْذُ بِمَا اسْتَعَاذَ بِهٖ مُوْسٰى ، وَعِيْسٰى ، وَاِبْرَاهِيْمَ الَّذِيْ الَّذِيْ وَفّٰى ، وَمِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ اِبْلِيْسِ وَجُنُوْدِهِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْبَغِيْ،

এরপর সূরা সাফফাতের এর প্রথম ১০ টি আয়াত পড়ুন।

সব পড়ে পানিতে হালকা থুতুসহ ফুঁ দিবেন। এবং ওই পানি পুরো বাড়ীতে ছিটিয়ে দিবেন। ইনশাআল্লাহ আর কোনো সমস্যা থাকবে না। বাড়িতে দুষ্ট জ্বিন থাকলে চলে যাবে। প্রয়োজন হলে এটাও কয়েকদিন করবেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি (সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তি) পদ্ধতি:
কোনো বাড়িতে জ্বিনের উৎপাত থাকলে সেই বাড়িতে পরপর তিনদিন সুরা বাক্বারা তিলাওয়াত করতে হবে। আর নতুন বাড়ি করার পর যদি পরপর তিনদিন সুরা বাক্বারা তিলাওয়াত করা হয়, তাহলে আগে থেকে কোনো জ্বিন বা অন্য ক্ষতিকর মাখলুক থাকলে চলে যাবে। এর সমর্থনে হাদিসও আছে।

তো, এই হচ্ছে বাড়ি থেকে দুষ্ট জ্বিন তাড়ানোর কিছু পদ্ধতি।

জিনের সমস্যা থেকে বাড়িকে নিরাপদ রাখতে করণীয়।
তবে এসব করার পরে বাড়িতে যেন আর সমস্যা না হয়, এজন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেনঃ
১. বাড়িতে ইসলামী পরিবেশ চালু রাখার চেষ্টা করবেন, বিশেষতঃ কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য বা ছবি যেন ঘরে টাঙানো না থাকে। হাদিসে এসেছে, যেই ঘরে কুকুর বা জীবজন্তুর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
২. আর নফল – সুন্নাত নামাজ সম্ভব হলে ঘরে পড়বেন। স্ত্রী থাকলে বলবেন, যে ঘরে সবসময় নামাজ পড়া হয়, সেটা বাদে অন্যান্য ঘরেও যেন মাঝেমাঝে পড়ে।
৩. সম্ভব হলে প্রতিমাসে ১-২বার সুরা বাক্বারা পড়া।
৪. বিসমিল্লাহ বলে বাড়িতে প্রবেশ করবেন। খাবার আগে বিসমিল্লাহ

৫.জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে বিসমিল্লাহ বলে ড্রয়ারে/আলমারিতে রাখবেন। বিসমিল্লাহ ঘরে বলে দরজা – জানালা বন্ধ করবেন।
৬. টয়লেটের দরজা বন্ধ রাখা। টয়লেটে প্রবেশের দোয়া পড়া।
৭. সকাল-সন্ধ্যা ও অন্যান্য সময়ের হিফাজতের যিকরগুলোর অভ্যাস করা।
فالله خير حافظا وهو ارحم الراحمين٠
تحمل هذه الكتابة من كتابي(الوابل الصيب في الكلم الطيب لابن القيوم٠ ولقط المرجان في احكام الجان للسيوطي رحمهماالله٠)

02/08/2025
১.পড়ালেখায় আগে ভালো থাকলেও হুট করে সবকিছুতে ধবস ,পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া। ২.এক জায়গায় অল্পক্ষণ থাকলেই অধৈর্...
26/07/2025

১.পড়ালেখায় আগে ভালো থাকলেও হুট করে সবকিছুতে ধবস ,পরীক্ষা আসলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া। ২.এক জায়গায় অল্পক্ষণ থাকলেই অধৈর্য হয়ে যাওয়া, কোন কাজ ধীরস্থিরভাবে করতে না পারা, পাগল বানানোর জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। এছাড়াও আরো কিছু সিমটম রয়েছে যেগুলোর দ্বারা বোঝা যায়
উক্ত ব্যক্তি পাগল বানানোর যাদুতে আক্রান্ত।...

উল্লেখ্য.. পড়ালেখা নষ্ট করা এবং পাগল বানানোর জন্য মূনামালত একই জাদু করা হয়। এই জাদুর ক্ষেত্রে প্রায়ই জিনের সাহায্য নেওয়া হয়।

৩.কোন কারণ ছাড়াই হাঁটতে থাকা। হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া, অথবা কারজরত না করলেও বারবার এমন ইচ্ছা জাগা।
৪.ঠিকমতো ঘুমাতে না পাড়া।
৫.মাঝেমধ্যে একদম পাগলের মত আচরণ করা, বিশেষত প্রতিদিন বিকেলের পর পূর্ণিমা কিংবা অমাবস্যার রাতে।

পাগল বানানোর জাদুর জন্য রুকইয়া।
১.মোখলিস দক্ষ কোন রাকির শরণাপন্ন হবেন, আর উক্ত রাকি জোর আওয়াজে রোকিয়ার আয়াতগুলো পড়বেন। যদি জিন চলে আসে তাহলে জ্বীনের রোকেয়ার মাধ্যমে জিনকে বিদায় করবেন। সুযোগ থাকলে জিন কে জিজ্ঞেস করুন, কেন জাদু করেছে কি দিয়ে যাদু করেছে? জাদুর জিনিস গুলো কোথায়? এসব জিজ্ঞেস করে জীন বিদায় করতে হবে। জাদুর জিনিস পাওয়া গেলে নিয়ম অনুযায়ী নষ্ট করে ফেলতে হবে।
২.আর যদি জিন না আসে, তবে আরো ২/৩বার রোকিয়া করে দেখুন। এরপর এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়াতুল কুরসি, সূরা আরাফ :১১৭-১২২,সূরা ইউনুস :৮১-৮২,সূরা তোহা :৬৯-এ আয়াতগুলো পরে পানিতে ফু দিন। এ পানি এখনই খেতে বলুন। অনেকের ক্ষেত্রে পানি খাওয়া মাত্রই বমি হয়ে যাদু নষ্ট হয়ে যায়।

পাগল বানানোর জাদুর জন্য সেলফ রোকিয়া।
১.সাধারণত এই যাদুর ক্ষেত্রে জিনের সাহায্য নেওয়া হয়। তাই সেলফ রোকিয়া করার দিনগুলোতে কাউকে পাশে রাখা উচিত যেন প্রয়োজনে তার সহযোগিতা নেওয়া যায়।
২.ভালোভাবে পাক পবিত্র হয়ে দুই রাকাত নফল সালাত পড়ুন। এরপর দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে আপনার সুস্থতা এবং বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করে ইস্তেগফার ও দুরুদ শরীফ পড়ে রোখিয়া শুরু করুন। প্রথমে সমস্যা থেকে মুক্তির নিয়তে রোকিয়ার আয়াতগুলো তেলাওয়াত করুন, অথবা কোন কারীর সাধারণ রুকিয়া শুনুন।
৩.এরপর এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়াতুল কুরসি, সূরা আরাফ :১১৭-১২২,সূরা ইউনুস :৮১-৮২সূরা তোহা :৬৯এ আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফু দিয়ে খেয়ে নেন।

আশা করা যায় যদি আল্লাহ আল্লাহ তায়ালা চান তাহলে সুস্থ হয়ে উঠবেন। اللهم ابطل كل سحر اينما كانت وكيف كانت

সংগৃহীত :
ওস্তাদ টিম হাম্বলের বক্তব্য থেকে।

সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের অগ্নিকাণ্ডে শোকগ্রস্ত পুরো জাতি। পুড়ে মারা যাওয়া ব্...
21/07/2025

সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের অগ্নিকাণ্ডে শোকগ্রস্ত পুরো জাতি। পুড়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিগণ ইসলামের দৃষ্টিতে শহীদ। তারা শহীদের মর্যাদা পাবেন। আহতরা হবেন সবরকারী। আর আল্লাহ সবরকারীদের সাথে আছেন। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে, জাবির ইবনু আতীক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন, “ আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছে এরূপ ব্যক্তি ছাড়াও সাত শ্রেনীর লোক শহীদের মর্যাদা পাবে । (১) মহামারীতে মৃত ব্যাক্তি শহীদ (২)ডুবে মারা গেছে এরূপ ব্যাক্তি শহীদ (৩) যাতুল জানব বা শ্বাসকষ্ট রোগে যে মারা গেছে সে শহীদ (৪) পেটের রোগে মৃত ব্যাক্তি শহীদ (৫) যে ব্যাক্তি পুড়ে মারা গেছে সে শহীদ (৬) কোন কিছু চাপা পরে মারা যাওয়া ব্যাক্তি শহীদ এবং (৭) প্রসব কষ্টে মৃত নারী শহীদ । ” (আহমদ, আবু দাউদ, নাসঈ-হাদীস সহীহ মালেক)

18/07/2025

বদনজর লাগলে করণীয় কী ?

Address

Road/6c, House/34, Sector-12, Uttara, Opposite Sector 12 Grave, Near Ena Mart Superstore, Lift 3
Dhaka
1230

Telephone

+8801786457909

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when As-sunnah hijama and ruqyah centre Uttara posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram