Dr. Sumaiya Akter

Dr. Sumaiya Akter Fertility doctor

মাঝে মাঝে তোলা কিছু ছবি,  কিছু গল্প, কিছু স্মৃতি 💖
03/09/2025

মাঝে মাঝে তোলা কিছু ছবি, কিছু গল্প, কিছু স্মৃতি 💖

তিন তিন বার  চার মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আমার কাছে এসেছিল এই বাচ্চাটির মা। নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আবিষ্কার...
09/08/2025

তিন তিন বার চার মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর আমার কাছে এসেছিল এই বাচ্চাটির মা। নানান পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আবিষ্কার হলো সারভাইক্যাল ইনকমপিটেন্স বা জরায়ু মুখের দুর্বলতা।
এরপর জরায় মুখ সেলাই করলাম।
আলহামদুলিল্লাহ। ৩৭ সপ্তাহ ৫ দিনে বাচ্চাটি ডেলিভারি হলো। মা বাচ্চা দুজন ই ভালো আছে।
সিজারের সময় একটা জরায়ু টিউমার পেয়ে সেটাও অপসারণ করা হলো।

হাফসার( ছদ্মনাম)  শুরুতে যে আলট্রাসনোগ্রাম করিয়েছিলাম তা ছিলো খুবই সাধারণ একটি প্রেগন্যান্সি সনোগ্রাম। জরায়ুতে একটি ৯ সপ...
06/08/2025

হাফসার( ছদ্মনাম) শুরুতে যে আলট্রাসনোগ্রাম করিয়েছিলাম তা ছিলো খুবই সাধারণ একটি প্রেগন্যান্সি সনোগ্রাম। জরায়ুতে একটি ৯ সপ্তাহের জীবিত বাচ্চা আছে যার হার্টবিট ----। অন্যান্য রিপোর্ট ও বেশ ভালো। কিন্তু তার কমপ্লেইন তলপেটের ডান পাশে বেশ ব্যথা। আমি চিন্তিত। বেশ কিছু সম্ভাবনা মাথায় উকিঝুকি মারছে।
কিছু মেডিসিন দিয়ে বাড়ি পাঠালাম। ২ সপ্তাহ পর আসেন।আর কোনো সমস্যা হলে যোগাযোগ করবেন। হাফসা ২ সপ্তাহ পরই আসলো তবে ব্যথা কমেনি, আরও বেড়েছে।
আবার আলট্রাসনোগ্রাম করালাম। ডায়াগনোসিস হেটারোট্রপিক প্রেগ্ন্যাসি। অর্থাৎ টুইন প্রেগ্ন্যাসির ১ টা বাচ্চা জরায়ুতে বসেছে অন্যটি ডান পাশের টিউবে। এবং তা রাপচার হয়েছে। তৎক্ষণাত পেশেন্ট ওটিতে নিলাম। অপারেশনের ( ল্যাপারোটমি) করলাম। আলহামদুলিল্লাহ মেয়েটি সেভ হয়েছে। ওর গর্ভের বাচ্চা টির জন্য খুব চিন্তিত ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ৩৭ সপ্তাহে সিজারিয়ান এর মাধ্যমে বাচ্চাটি ডেলিভারি হলো। সে সুস্থ আছে।
বেশিরভাগ সময় সনোগ্রাফির ফাইন্ডিংস এর উপর রোগ ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা নির্ভর করে। আমি এমন অনেক রিপোর্ট পেয়েছি যে এক্টপিক প্রেগন্যান্সি তাও বলতে পারেনি আবার নরমাল প্রেগ্ন্যাসিকে এক্টোপিক বলেছে। ডায়াগনস্টিক ডাইলেমা থাকতেই পারে, তারপরো চিকিৎসক ও রোগী উভয়েরই এক্ষেত্রে সচেতন হওয়া দরকার।

21/07/2025

সূরা মারিয়াম একটু গভীর ভাবে পড়লে

একটা ইন্টারেস্টিং প্যাটার্ন চোখে পড়ে

আল্লাহর একটা নাম এখানে বার বার রিপিট হয়েছে

নামটা হলো রহমান

অথচ যেখানে সূরা রহমানে এই নামটা এসেছে মাত্র একবার

সেখানে সূরা মারিয়ামে এসেছে গুনে গুনে মোট ষোল বার !

কেন?

কারণটা পাওয়া গেল অবশ্য একটু ঘাঁটাঘাঁটি করতেই

সহীহ তিরমিযীর ১৯০৭ হাদিসে আল্লাহর রসুলু বলেন

আল্লাহ নিজে ঘোষণা দিচ্ছেন

"আমি হলাম "রহমান"

এবং আমিই এই রহম কে (মাতৃ গর্ভের স্থানটাকে) সৃষ্টি করেছি

এবং একে যে রহম বলা হয় এটা আমার নামের জন্যই বলা হয়!"

অর্থাৎ বুঝাই যাচ্ছে যে

রহমান নামের সাথে মাতৃত্বের একটা স্পেশ্যাল বন্ডিং আছে

আর সূরা মারিয়ামে তো মাতৃত্বকে ট্রিবিউট করা একটা পুরোদস্ত সূরা

এখানে সন্তানের শুরুর পূর্বের গল্প থেকে শুরু করে ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত

মোটামুটি মাতৃত্বের প্রতিটা সোশ্যাল স্টেইজকেই ফোকাস করা হয়েছে।

যেমন

এই সূরাতে আমরা পাই হজরত জাকারিয়া আ কিভাবে বুড়ো বয়সে সন্তানের জন্য ক্রেইভ করছেন

দেখতে পাই কিভাবে মারিয়াম আ না চাইতেও কিভাবে তাকে মাতৃত্বের সুসংবাদ দিয়ে তাকে সম্মানিত করা হলো

দেখতে পাই তার মাতৃত্বকালীন ডেভেলপমেন্ট স্টেইজ গুলো

দেখতে পাই তার প্রসব যন্ত্রণার বর্ণনা

দেখতে পাই ঈসা আ এর ভূমিষ্ঠ

দেখতে পাই এই মাতৃত্বের কারণে তার মানুষের কাছে লাঞ্ছনা

আর দেখতে পাই ছোট্ট ঈসা আ এর দোলনা থেকে কথা বলার অদ্ভুৎ ঘটনা!

মাতৃত্বের প্রতি মনে হয় প্রতিটা মানুষেরই একটা তীব্র আকর্ষণ আছে

তাইতো বোধহয় আল্লাহর নামের হিলিং ইফেক্ট নিয়ে লেখাটা লেখার পর

অগণিত মানুষ এই একটা জিনিস নিয়ে আমাকে ইনবক্স করেছেন

সবার যেন একটাই প্রশ্ন

মাতৃত্ব রিলেটেড কমপ্লেক্সিটি দূর করার জন্য ড. ইব্রাহিম কি কোনো নাম সাজেস্ট করে রেখেছেন?

উত্তর: হ্যা করেছেন!

তবে সেডলি সেটা ইয়া রহমানু নয়!

নামটা হলো "ইয়া খলিকু" অর্থ সৃষ্টিকারী!

যারা জানি না তাদের জন্য বলে রাখি

ড: ইব্রাহিম করিম একজন ইজিপশিয়ান বায়ো ফিজিসিস্ট

দীর্ঘ ৩ বছর গবেষণার পর তিনি দেখতে পান যে

আল্লাহর বিভিন্ন নাম আমাদের বডির বিভিন্ন অর্গানের উপর হিলিং ইম্প্যাক্ট আনতে সক্ষম!

তিনি অ্যাডভান্সড স্যাটেল এনার্জি মুভমেন্ট মেশার করে দেখান যে

সেই নামগুলো আমাদের বডির এনার্জি ফ্লো কে স্টিমুলেট করে স্পেসিফিক অর্গান গুলোর ইমিউন সিস্টেমকে বুস্ট করতে থাকে।

সেই সূত্রে ইয়া খালিকু বুস্ট করে ওভারি রিলেটেড ইমিউনকে

তবে একটা জিনিস একটু বলে রাখি

"ইয়া খলিকু" হয়ত ফিজিক্যালি আপনার কমপ্লেক্সিটি হিল করবে

তবে এর কোনো গ্যারান্টি নেই যে

এটা আপনাকে সন্তান পাইয়ে দিবে!

কারণ সন্তানের বিষয়টা একমাত্র উনার হাতেই

তবে একজন মুমিনের এই বিষয় আবার নিরাশ হওয়া যাবে না

কারণ আল্লাহর রাসূল বলেন

"একজন মুমিনেই ব্যাপারটাই আশ্চর্যের

সব অবস্থাই তার জন্য কল্যাণকর

যদি তার কোনো ভালো অবস্থা আসে, সে শোকর করে

এটা যেমন তার জন্য ভালো

আর যদি সে বিপদে পড়ে, সে সবর করে

এটাও তার জন্য ভালো"

[সহীহ মুসলিম ২৯৯৯]

আর তার থেকেও বড় কথা

এক জন মুমিন তো শুধু এই টাইমলাইনেই আবদ্ধ নয়

মুমিননের বিগেস্ট টাইমলাইন হচ্ছে জান্নাহ

এবং স্রষ্টা জানিয়েছেন

জান্নাতে সে যা চাইবে তাই পাবে [সূরা ক্বাফ, ৫০:৩৫]

এমনিকি কেউ যদি মাতৃত্বের সাধ অনুভব করতে চায়

সেটাও সে সেখানে পাবে!

জি ঠিকই শুনেছেন!

সহীহ তিরমিযী শরীফের ২৫৬৩ নং হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি

জান্নাতে সে চাইলে গর্ভধারণ করতে পারবে

চাইলে গর্ভপাতও করাতে পারবে

এবং চাইলে সেই ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তানকে বড়ও হতে দেখতে পারবে

এবং এ সবই পারবে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে

মানে সুপার ফাস্ট মুডে!

তো যা বলছিলাম

দুনিয়াতে তিনি সন্তান কাকে দিবেন আর কাকে দিবেন না

মোর ইম্পোর্টেন্টলি কখন দিবেন আর কখন দিবেন না

এটা একমাত্র তারই হাতে

কারণ অহরহ দেখছি

কেউ না চাইতেই পেয়ে যাচ্ছে

আবার কেউ কেউ হাজার চেষ্টা তদবির করেও পাচ্ছে না

কেউ আবার এমন কোনো মেডিক্যাল প্রসিডিউর নেই যে করে নাই কিন্তু পায় নাই

কিন্তু বাইতুল্লাহ গিয়ে ফরিয়াদ করতেই পেয়ে গিয়েছে

আবার এও দেখেছি যে

মেডিক্যাল প্রসিডিউর কমপ্লিট করে বাইতুল্লাহর গিলাফ ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়েও কেঁদেও কেউ পায়নি

সো স্ট্রংলি বলা যায় না যে

এর কোনো কোনো স্পেসিফিক রেসিপি বা প্যাটার্ন আছে কিনা!

তবে জান্নাতে পাবো বলে দুনিয়াতে আকাঙ্ক্ষা ছেড়ে দিবো?

একদমই না!

কুরআন সেটা শিখায় নি বরং শিখিয়েছে উল্টোটা

ইব্রাহিম আ আর জাকারিয়া আ এর ঘটনা শুনিয়ে শিখিয়েছে যে

প্রয়োজনে বুড়ো বয়স পর্যন্ত আমরা তা চাইতে থাকবো

তবে এই চাওয়ার ভিতরে অবশ্য একটা প্যাটার্ন ঠিকই লক্ষ্য করা যায়

আর তা হলো

নিরাশ না হয়ে একটা স্পেশাল নামে তার কাছে চাইতে হবে

স্পেশাল নামটা আমাদের সবারই জানা

"ইয়া রব" বা "হে রব"

রব্বি অর্থ "আমার রব" আর রব্বানা অর্থ "আমাদের রব"

কুরআন খুললেই দেখতে পাবেন

এই রব্বি বা রব্বানার কম্বিনেশনে এটলিস্ট ৪০ টা দুয়া এসেছে!

যদিও এই রব নামটা আসমাউল হুসনাতে নেই

তবুও কেন জানি নবি রাসূলগণ এই নামটাকেই বেছে নিয়েছিলেন বারবার!

যেমন

এই সূরা মারিয়ামেই আমরা দেখতে পাই

যেখানে রহমান নামটা ১৬ বার এসেছে

সেখানে কিন্তু হজরত জাকারিয়া সন্তান চাওয়ার বেলায় ইয়া রাহমানু বলে চাননি

চেয়েছেন এই "ইয়া রব" বলেই [সূরা মরিয়াম ১৯:৪-৫]

আবার হজৰত ইব্রাহিমও কিন্তু এই নামেই ডেকেছিলেন তার সন্তান চাওয়ার বেলাতেও [৩৭:১০০-১০১]

শুধু কি তাই?

মোটামুটি প্রতিটা নবি রাসূলই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ চাওয়া ছিল এই ইয়া রব কে ঘিরে

যেমন এই ইয়া রব নাম নিয়ে ডেকেছিলেন

আদম আ তার গুনাহ মাফের জন্য [সূরা আরাফ ৭:২৩]

নূহ আ ডেকেছিলেন নৌকা থেকে ক্ষমার পাওয়ার জন্য [সূরা হুদ ১১:৪৭]

মুসা আ ডেকেছিলেন ফেরাউনের বিরুদ্ধে সাহস সঞ্চারের জন্য [সূরা তোহা ২০:২৫-২৮]

ইউসুফ আ স্মরণ করেছিলেন টেম্পটেশন থেকে বাঁচার জন্য [সূরা ইউসুফ ১২:২৩-৩৩]

আর লুত আ ডেকেছিলেন তার এলাকার ওই নিকৃষ্ট মানুষগুলো নষ্টামি থেকে বাঁচার জন্য [সূরা শুরা ২৬:১৬৯]

তবে নবি রসুলের কথা না হয় বাদই দিলাম

খোদ ইবলিশও যখন এই নাম নিয়ে দুয়া করেছিল

ইয়া রব তুমি আমাকে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত সময় দাও [সূরা হিজর ১৫:৩৬]

আমার রব কিন্তু তার দুয়াও ফেলেননি

কেয়ামত পর্যন্ত তাকে সময় দিয়ে রেখেছেন!

অর্থাৎ এই ইয়া রব ডেকে চাওয়াটা আসলে কোনো অ্যাক্সিডেন্টাল বিষয় না...

সো সন্দেহ ছাড়া এই নামে ডাকা শুরু করেন

কারণ চাওয়া পাওয়ার সাথে এই রব নামটা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।

প্রশ্ন আসতেই পারে যে

এই রব শব্দের অর্থ টা কি

শব্দটা এসেছে র-বা-বা (ر-ب-ب) থেকে

র-বা-বা একটা বিশাল স্পেকট্রাম

এর মানে একইসাথে লালনপালন করা, রক্ষা করা, ঠিকভাবে পরিচালনা করা আবার বাড়িয়ে তোলা

অর্থাৎ এই এক নামে মোটামুটি সবকিছুই কভার্ড

অর্থাৎ রব মানে শুধু স্রষ্টা না

রব মানে হলো একজন অভিভাবক

যিনি আমাদেরকে শুধু তৈরিই করেননি

সাথে যত্নের সাথে লালনপালন করছেন এবং

পরপর মমতায় আগলে রাখছেন এবং

দিন কে দিন ধীরে ধীরে আমাদেরকে বাড়িয়ে তুলছেন!

সো যদি ডাকতেই হয়

এই নামেই ডাকাটাই আসলে লজিকাল

আর তিনি তো বলেই রেখেছেন

"আমি নিকটেই আছি

দুয়াকারী যখনই আমার কাছে দুয়া করে

আমি সাথে সাথেই সেই দোয়ায় সাড়া দেই"

[কুরআন ২:১৮৬]

সো যদি চাইতেই হয়

এই নামে চাইতে থাকুন

আশা নিয়ে চাইতে থাকুন

ব্যাকুল হয়ে চাইতে থাকুন

কারণ সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি

কে জানে হয়তো তিনি অপেক্ষায় আছে আপনার মুখে জাস্ট এই একটা ডাকটা শুনার জন্যই!
Samiul Huq

বারবার গর্ভপাতের কারণ কি?চিকিৎসা কি আছে?? যখন একজন মহিলার ২৪ সপ্তাহের পূর্বে পরপর দুই বা তার বেশি বার বাচ্চা নষ্ট হয় তাক...
14/07/2025

বারবার গর্ভপাতের কারণ কি?
চিকিৎসা কি আছে??

যখন একজন মহিলার ২৪ সপ্তাহের পূর্বে পরপর দুই বা তার বেশি বার বাচ্চা নষ্ট হয় তাকে বারবার গর্ভপাত বা recurrent pregnancy loss বলে।
এটি যেকোনো দম্পতির জন্য কত যে কষ্টের অভিজ্ঞতা তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না।

বারবার গর্ভপাতের কারণ

জেনেটিক কারণ
বারবার গর্ভপাতের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হল জেনেটিক অস্বাভাবিকতা। মা অথবা বাবা থেকে বাহিত ক্রোমোজমে এবনরমালিটি থাকার কারণে বাচ্চার ক্রোমোজোমাল এবনরমালিটি হয় অর্থাৎ একটি অস্বাভাবিক বাচ্চা তৈরি হয়। প্রকৃতিগতভাবেই অস্বাভাবিক বাচ্চা গুলো নষ্ট হয়ে যায়।

প্রথম তিন মাসের গর্ভপাতের অর্ধেক এর জন্য দায়ী এই জেনেটিক এবনরমালিটি । বেশিরভাগ মহিলা পরপর দুইবার গর্ভপাতের পর, প্রায়ই চিকিত্সা ছাড়াই তৃতীয়বার সফল গর্ভধারণ করেন।

রক্ত জমাট বাঁধা
অ্যান্টিফসফোলিপিড সিন্ড্রোম (এপিএস) এমন একটি অবস্থা যা রক্ত ​​​​জমাট বাঁধা এবং স্ট্রোক হতে পারে। এটি একটি অটোইমিউন ডিসঅর্ডার যা শরীরে অস্বাভাবিক অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা রক্তের কোষ এবং তাদের আবরণকে আক্রমণ করে, যাকে ফসফোলিপিড বলা হয়।

রক্তকণিকা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ফসফোলিপিড প্রয়োজন। যখন অ্যান্টিবডিগুলি ফসফোলিপিড আক্রমণ করে, তখন কোষগুলি আটকে যায় এবং রক্তনালীগুলির মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে যেতে পারে না। ফলে রক্ত ​​জমাট বাঁধে।

এই বিরল অটোইমিউন ডিসঅর্ডারটি বার বার গর্ভপাত ঘটাতে পারে কারণ, জমাট রক্ত প্ল্যাসেন্টায় রক্ত ​​​​প্রবাহকে ব্যাহত করতে পারে। ফলস্বরূপ, ভ্রূণ প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হয়, ফলে গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়।

জরায়ুর সমস্যা

সেপ্টাম বা পর্দা: এটি জরায়ুর বিকৃতির একটি বিরল রোগ যেখানে সেপ্টাম নামক একটি টিস্যু জরায়ুকে দুটি গহ্বরে বিভক্ত করে।
অ্যাশারম্যান সিন্ড্রোম: এটি একটি আঘাত বা পূর্ববর্তী অস্ত্রোপচারের যেমন এম আর, ডি এন সি, ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে হতে পারে। যাতে জরায়ুর গহবরে বাচ্চা বসার জায়গাটি নষ্ট হয়ে যায়।
ফাইব্রয়েড: এগুলি জরায়ুর টিউমার। ফাইব্রয়েডগুলি ভারী রক্তপাত, ব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গের কারণ হতে পারে।

হরমোনজনিত ব্যাধি
যেমন:

হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি)
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম বা PCOS (ইস্ট্রোজেন ভারসাম্যহীনতা)
অতিরিক্ত প্রোল্যাক্টিন স্তর (পিটুইটারি গ্রন্থি দ্বারা নিঃসৃত একটি হরমোন) ইত্যাদি।

অন্যান্য কারণ

বয়স আরেকটি কারণ যা বারবার গর্ভপাতের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে। 35 বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের এবং 40 বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে ঝুঁকি বেশি।

ধূমপান (ফার্স্ট-হ্যান্ড বা প্যাসিভ), ক্যাফিন বা অ্যালকোহলের অতিরিক্ত সেবন এবং স্থূলত্বের মতো কিছু জীবনধারার কারণও গর্ভাবস্থার ক্ষতির ঝুঁকির কারণ।

রোগ নির্ণয়
বারবার গর্ভপাতের কারণ শনাক্ত করার জন্য যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায় ----

ক্যারিওটাইপিং
পিতামাতার মধ্যে ক্রোমোজোম অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করার জন্য, তাদের ক্রোমোজোমের কনফিগারেশন নির্ধারণের জন্য পিতামাতা উভয়ের জেনেটিক স্ক্রীনিং করা যেতে পারে। এটি ক্যারিওটাইপিং নামে পরিচিত।

রক্ত পরীক্ষা
অ্যান্টিফসফোলিপিড অ্যান্টিবডিগুলির উপস্থিতি সনাক্ত করা থাইরয়েড হরমোন এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করা।

ইমেজিং
জরায়ুর সমস্যা দেখার জন্য আল্ট্রাসাউন্ড, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (MRI), এক্স-রে ইত্যাদির মতো ইমেজিং। করা যেতে পারে।

হি স্টেরোস্কোপি

এটি জরায়ুর ভিতরের অংশ পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। Hysteroscopy জরায়ু ফাইব্রয়েড পলিপ, গঠনগত সমস্যা নির্ণয় ও সমাধান একই সাথে করা যায়।

বারবার গর্ভপাতের চিকিৎসা

বারবার গর্ভপাতের চিকিৎসা নির্ভর করে কারণের উপর। অর্থাৎ কি কারনে বারবার গর্ভপাত হচ্ছে সেটি সঠিকভাবে খুঁজে বের করতে পারলেই চিকিৎসা করা সম্ভব।

রক্ত পাতলা
এপিএস ধরা পড়লে সফল গর্ভধারণের জন্য রক্ত ​​পাতলা করার ওষুধ দেয়া হয়। এটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মত এবং তত্ত্বাবধানে থেকে নিতে হবে।
প্রোজেস্টেরন
প্রোজেস্টেরন সাপোর্ট ---ইনজেকশন, মুখে খাওয়ার মেডিসিন ও ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়। এই চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো গবেষণাধীন।

আইভিএফ ও প্রিইমপ্লান্টেশন জেনেটিক টেস্টিং ( PGT)
এই চিকিত্সা পদ্ধতিটি পিতামাতার মধ্যে জেনেটিক এবনরমালিটি থাকলে সুপারিশ করা হয়।

সার্জারি
জরায়ুর সমস্যার জন্য আমরা বিভিন্ন সার্জারী যেমন অ্যাডেসিওলাইসিস এবং ফাইব্রয়েড অপসারণ, বাইকর্নুয়াট জরায়ুর জন্য মেট্রোপ্লাস্টি, সেপটাম রিসেকশন ইত্যাদি করে থাকি।

ওষুধ
অন্যান্য কারণ, যেমন থাইরয়েড রোগ এবং ডায়াবেটিস, সাধারণত ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়।

মনে রাখবেন রক্তে সুগার বেশি থাকার কারণে শুধু গর্ভপাতই নয়, গর্ভাবস্থার জটিলতা হতে পারে, যেমন জন্মগত ত্রুটি এবং মৃতপ্রসব ইত্যাদি ও হতে পারে।

বারবার গর্ভপাতের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি হৃদয় বিদারক অভিজ্ঞতা।

ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতা, অ্যান্টিফসফোলিপিড সিনড্রোম, জরায়ু সমস্যা, হরমোনজনিত ব্যাধি, বয়স এবং জীবনযাত্রার কারণগুলি যেমন ধূমপান এবং অত্যধিক অ্যালকোহল পান সহ বারবার গর্ভপাতের অনেক কারণ রয়েছে।

আপনার ক্ষেত্রে কী কারণে সমস্যা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আপনার চিকিৎসা।

ধূমপান কি বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা করে? ধূমপান কমালে  কি প্রজননক্ষমতা বেড়ে যাবে? ধূমপায়ী বাচ্চা নিতে চাইলে  কি ক...
08/07/2025

ধূমপান কি বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা করে? ধূমপান কমালে কি প্রজননক্ষমতা বেড়ে যাবে? ধূমপায়ী বাচ্চা নিতে চাইলে কি করা উচিৎ?

ধূমপান শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) এবং গুণগত মান (মোটিলিটি এবং মর্ফোলজি) কমাতে পারে। তাছাড়া ধূমপায়ীদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশন এবং যৌন ইচ্ছাশক্তি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত ১০ স্টিক ধূমপানের ফলে নিশ্চিত ভাবে সকল পুরুষেরই স্পার্ম কাউন্ট কমেছে। এমনকি স্পার্মের গতিবিধিও কমছে। পাশাপাশি শুক্রাণুর গঠনেও সমস্যা দেখা দেয়।

সুখবর হলো, ধূমপান বন্ধ করলে স্বাভাবিক প্রজননক্ষমতা বাড়তে পারে।
এছাড়াও ধূমপান এবং প্যাসিভ ধূমপান মহিলাদের মধ্যেও বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাদের প্রেগনেন্সি আসতে বেশি সময় লাগে। তাছাড়া কম বয়সে মেনোপজের ঝুঁকি বেশি থাকে। উপরন্তু, ধূমপান গর্ভপাতের এবং এক্টোপিক প্রেগনেন্সির (জরায়ুর বাইরে প্রেগনেন্সি) সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
যে কোন এডভান্সড বন্ধাত্ব চিকিত্সার পরেও (আইইউআই, আইভিএফ) ধূমপায়ীদের প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা কম থাকে।

সৌভাগ্যবশত, গর্ভাবস্থার আগে ধূমপান বন্ধ করা, এই ঝুঁকিগুলি কমাতে পারে।

একেকটা বাচ্চা দুনিয়াতে আসে , যেনো একেকটা গল্প তৈরি করে। বাচ্চার মা আমাদের ওটি নার্স। অনেক দিনের চেষ্টা সাধনায় এই প্রাপ্ত...
22/06/2025

একেকটা বাচ্চা দুনিয়াতে আসে , যেনো একেকটা গল্প তৈরি করে।
বাচ্চার মা আমাদের ওটি নার্স। অনেক দিনের চেষ্টা সাধনায় এই প্রাপ্তি। সবাই তাই খুবই খুশি । একটা পিংকি পাই মাশায়াল্লাহ।

সত্যি বলতে, তমার ল্যাপারোস্কপি হিস্টারোস্কপি করতে গিয়ে  চিন্তাও করিনি তার সেই জরায়ু তে কখনো কন্সিভ হবে। জরায়ুর ভেতরে এতো...
16/06/2025

সত্যি বলতে, তমার ল্যাপারোস্কপি হিস্টারোস্কপি করতে গিয়ে চিন্তাও করিনি তার সেই জরায়ু তে কখনো কন্সিভ হবে। জরায়ুর ভেতরে এতো খারাপ অবস্থা (intrauterine adhesion) আর পেটের মধ্যে ও জরায়ু ডিম্বাশয় আর টিউবের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। স্বাভাবিক এনাটমি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। যতটা সম্ভব ঠিক করা হয়েছিল।
তারপর আলহামদুলিল্লাহ ও কন্সিভ করে।আর তার ফলাফল এই ছোট্ট পরীটা।
মাশায়াল্লাহ বারাকাল্লাহু ফি।

ক্ল্যামাইডিয়া  যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এমন একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই হতে পারে। তবে ...
15/06/2025

ক্ল্যামাইডিয়া যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এমন একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই হতে পারে। তবে সাধারণত পুরুষ বাহক হিসেবে কাজ করে ও মহিলাদের ক্ষেত্রে ইনফেকশন এবং ফলাফল বেশি খারাপ হয়। আমাদের দেশে এটি আগে অনেক বিরল থাকলেও ইদানিং বেশ পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করা হয় বিদেশে থাকা পুরুষদের মাধ্যমে এটি এদেশে বিস্তার ঘটছে।
ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ সাধারণত ৪০--৯৬% ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ ছাড়াই হতে পারে।তবে কিছু ক্ষেত্রে যোনি বা শিশ্ন থেকে অস্বাভাবিক স্রাব, প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, বা তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
বন্ধাত্ব সমস্যার পরীক্ষা নিরীক্ষা বিশেষ করে ল্যাপারোস্কপি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ (পিআইডি) এবং বন্ধ্যাত্ব। এটি টিউব জরায়ু ডিম্বাশয় এমনকি লিভারের গায়ে এক ধরনের ফ্লিমজি এডহেশন তৈরি করে ও টিউব নষ্ট করে দেয়।
সময়মতো ধরা পড়লে ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ সহজেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যায়।
স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ততা এ ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায়।

অবশেষে অনেক দিনের একসাথে পথচলার অবসান হলো।আলহামদুলিল্লাহ।  একটি সন্তান যেন জীবনের পূর্নতা, পরিবারের শান্তি সুখের বারতা।💗
09/06/2025

অবশেষে অনেক দিনের একসাথে পথচলার অবসান হলো।আলহামদুলিল্লাহ। একটি সন্তান যেন জীবনের পূর্নতা, পরিবারের শান্তি সুখের বারতা।💗

Address

চেম্বারঃ ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কন্যানপুর, ঢাকা।
Dhaka

Opening Hours

Monday 16:00 - 18:00
Wednesday 16:00 - 18:00
Saturday 16:00 - 18:00

Telephone

+8801703725590

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Sumaiya Akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Sumaiya Akter:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram