Dr. Md. Didarul Alam

Dr. Md. Didarul Alam I am Dr. Md Didarul Alam,working as an addiction professional.

Rock Bottom Is A Deadly Myth.Addiction is a progressive brain disease that affects thinking, impulse control, and behavi...
26/02/2025

Rock Bottom Is A Deadly Myth.

Addiction is a progressive brain disease that affects thinking, impulse control, and behaviors. Abusing substances changes one's brain chemistry overriding the prefrontal cortex responsible for executive functions such as abstract thinking, motivation, planning, reasoning, and impulse control. Addiction hijacks the brain's ability to think clearly, rerouting thoughts through the old reptilian brain, the area responsible for survival. This part of the brain screams, 'get dope or die,' leaving addicted persons more fearful of withdrawal than dying from an overdose.

Some believe rock bottom must be reached before addicted persons will seek help. But what is rock bottom? Is it the first time you get a DUI? Or the first time you get fired or evicted? Is it when you steal grandma’s jewelry? Or pawn your child's electronics? Is rock bottom when you stop seeing your kids? Or maybe it's when you start selling drugs, or yourself, to supply your habit? Is overdose rock bottom?

Truthfully, rock bottom has a trap door.

Rock bottom is like an avalanche. It starts small and builds. Wait long enough, and rock bottom is death.

While it’s important to allow addicted persons to experience the consequences of their actions, this is not the same thing as rock bottom. Consequences are necessary to facilitate change. But not every person struggling with addiction has the luxury of time.

Addiction is a progressive illness, and there are varying stages along the spectrum. Addicted people don't have to lose it all. We don’t wait until cancer patients have reached stage four to treat them, and we shouldn’t wait until addicted persons are terminal, either. By then, their thinking is pathological. Their body and organs are damaged, and physically and psychologically, they’re completely dependent on their DOC–the same way your body is dependent on air.

With all the different opinions and controversies surrounding substance use disorder, it’s easy to become overwhelmed and confused when considering treatment options. With so many programs available, what’s the right one? Is harm reduction the way to go? Is keeping addicted persons on drugs a good choice? What about abstinence? Which program is more successful? How do you know if your loved one is ready for treatment? Should you wait for them to come to their senses? What happens if they don’t?

To answer this correctly, a thorough medical and psychological evaluation is essential. Each individual is unique, and so are their circumstances. While some do well on medications, others do not, and abstinence should not be overlooked.

While some can stop using on their own, others can’t. There’s a difference between heavy users and those who are truly addicted. Heavy users are problematic. They understand they have a problem, and after experiencing harmful consequences due to their use, they stop. Addicted persons may also realize they have problems and experience the same consequences. They try many times to stop but can’t. This is when the last stage of addiction is reached, for the substance abuser gives up and surrenders to their illness. In other words, they stop trying to stop using.

If your loved one needs help but is resistant to treatment, an interventionist can help. These folks are highly skilled at what they do. Not only that, they’ll help you and your family members, too.

People who are mentally ill and chronically addicted don't magically wake up one day and say enough. Instead, they give up. However, mandated treatment can change that. With enough time and the right help, their brain can heal, and change can happen.Because when you suffer from addiction, there are only four outcomes; jails, institutions, death, or recovery.

If you, or someone who know is in a crisis for substance abuse(Drug addiction)

Dr. Md. Didarul Alam
Ph- 01706-260752

03/02/2025

People who have lost the ability to fight for their lives don't magically wake up one day and say enough. Instead, most give up and get sicker. When you struggle with addiction, there are only four ways to stop; jails, institutions, death, or recovery.

I hope you choose recovery.

মাদকাসক্তি অথবা মাদকাসক্তি জনিত মানসিক সমস্যায়-

Dr. Md. Didarul Alam
MBBS (Sher-E-Bangla medical College,Barishal)
Member - International society of substance use professional(ISSUP)

"Sober Life De-Addiction Centre"
Section -06, Block -D, Road -12, House-03
Mirpur-1216
Ph: +88 01706-260752

শীতের আগমনী বার্তায় ভয়ংকর রোগের নাম নিপাহ ভাইরাস খেজুর গুড় বা রস ফুটিয়ে খেলেও কি এটি ছড়ায়? কাঁচা খেজুরের রস খেলে নিপা ভা...
21/12/2024

শীতের আগমনী বার্তায় ভয়ংকর রোগের নাম নিপাহ ভাইরাস খেজুর গুড় বা রস ফুটিয়ে খেলেও কি এটি ছড়ায়?
কাঁচা খেজুরের রস খেলে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে এবং নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ১০০ জনের মধ্যে ৭১ জনই মারা যায়। বাংলাদেশে আক্রান্তের অনেক উদাহরণ আছে। খেজুর গাছের নেট দিয়ে রাখলেও নিপা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কারণ বাদূরের প্রসাব, লালা ও পায়খানা সবগুলো থেকেই নিপা ছড়ায়। বাদুর একই সাথে রস খায় এবং সাথে সাথে প্রস্রাবও করে। সুতরাং নেটের ফুটো দিয়ে রসে বাদুড়ের প্রসাব পরে।
নিপা ভাইরাস আক্রান্ত খেজুরের রস খাওয়ার সব থেকে ১৪ দিন বা কোন কোন ক্ষেত্রে ২১ দিন পরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
জেনেশুনে বিষ আমরা না করি পান।

শীতের আগমন মানেই খেজুরের রস খাওয়ার মৌসুম। খেজুরের কাঁচা রস থেকে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, এটি এখন কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু আরও কীভাবে এটি ছড়ায় এটি অনেকেরই জানা নেই। নিপাহ ভাইরাস কি বাঁচতে পারবে?
আনুমানিক 40% থেকে 75% ক্ষেত্রে ভাইরাসটি মারাত্মক । একটি প্রাদুর্ভাবের তীব্রতা প্রভাবিত এলাকাটি তার কেসগুলি কতটা ভালভাবে পরিচালনা করে তার উপর নির্ভর করে। কিছু লোকের মধ্যে, ভাইরাসটি সুপ্ত বা সুপ্ত সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এর মানে ভাইরাসের সংস্পর্শে কয়েক মাস বা বছর পরেও লক্ষণ বা মৃত্যু ঘটতে পারে।

✅নিপাহ ভাইরাস কী
নিপাহ ভাইরাস একটা প্যারামিক্সো ভাইরাস ভাইরোলজির সঙ্গা অনুযায়ী। এনভেলপড ভাইরাস অর্থাৎ কোভিডের মতোই এর চারদিকে আবরণ থাকে, যেটা তৈলাক্ত।

১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। শুকরের মাধ্যমে ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছিল। আর নিপাহ ভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় ২০০১ সালে। প্রথম মেহেরপুরে অজ্ঞাতনামা মস্তিষ্কের প্রদাহরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে ফরিদপুরে অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়।

২০০৫ সালে টাঙ্গাইলে আউটব্রেক হয়। তখন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন, খেজুরের কাঁচা রস বাঁদুড়ের মাধ্যমে দূষিত হয় এবং সেই কাঁচা রস যদি মানুষ খায় তাহলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জাল বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখলেও বাদুড়কে নিবৃত্ত করা যায় না। বাদুড় তা সরিয়ে প্রস্রাব করে আর তা রসে মিশে যায়। গাছের যে অংশটা কাটা হয় সেখান থেকে রস তৈরি হয় বাঁদুড় সেখানে চাটলে রস দূষিত হয়। কোনভাবেই রস নিরাপদ থাকে না।

✅কীভাবে ছড়ায়
প্রাকৃতিকভাবেই বাঁদুড়ের দেহে নিপাহ ভাইরাস থাকে। কিন্তু তারা নিজেরা আক্রান্ত হয় না। এই ভাইরাস কোনোভাবে মানুষের মধ্যে আসলে মানুষ আক্রান্ত হয়।

বাঁদুড়ের লালা ও প্রস্রাব থেকে ভাইরাস আসে খেজুরের কাঁচা রসে, সেখান থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস।

খেজুরের কাঁচা রস ছাড়াও কোনো ফল যদি বাঁদুড় খায় সেই আধা খাওয়া ফল মানুষ খেলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বাঁদুড় ছাড়াও কোনো পাখি বা প্রাণীর আধা খাওয়া ফলই খাওয়া উচিত নয়।

বনাঞ্চল কেটে উজার করে ফেলা হয়েছে। আবাস ও খাবারের উৎস নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কষ্টে থাকে বাঁদুড়। ফলে বাঁদুড়ের দেহ থেকে নিপাহ ভাইরাস বেশি নিঃসৃত হয়। জাল দিয়ে খেজুর রসের জায়গা ঢেকে দেয়ার কারণে বাঁদুড়কে কষ্ট ও পরিশ্রম করে রস খুঁজতে হয়,এতে বাঁদুড়ের লালা ও প্রস্রাব থেকে ভাইরাস নিঃসরণের পরিমাণ বেড়ে যায়।

✅নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মস্তিষ্কের প্রদাহ ঘটে। মস্তিস্ক সংক্রমিত হয়।

প্রচণ্ড জ্বর, তীব্র মাথা ব্যথা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে লালা ঝরা, আবোলতাবোল কথা বলা, জ্ঞান হারিয়ে ফেলার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

বাংলাদেশে কিছু ক্ষেত্রে কাশির লক্ষণ পাওয়া গেছে। কাশিসহ যে লক্ষণ নিপাহ ভাইরাসে আক্রমণ সেটা বাংলাদেশে নতুন। এর মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে হাঁচি কাশির মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে আশঙ্কার কথা জানান ডা. মুশতাক হোসেন।

খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ার পর সর্বোচ্চ ২১ দিন নিপাহ ভাইরাসের সুপ্তিকাল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রস খাওয়ার পর ৩ থেকে ৭ দিন বা ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। আবার কখনো রস খাওয়ার ২১ দিন পরেও কেউ কেউ সংক্রমিত হয়েছেন।

✅কিভাবে নিপাহ ভাইরাস নির্ণয় করা হয়?

যেহেতু ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণগুলি অন্যান্য অবস্থার উপসর্গও হতে পারে, ডাক্তাররা খুব কমই প্রথমে নিপাহ নির্ণয় করেন।

কিন্তু আপনি যদি আরো উপসর্গ দেখান বা আপনি যদি এমন কোনো এলাকায় থাকেন যেখানে নিপাহ সাধারণ, তাহলে আপনার ডাক্তার পরীক্ষার মাধ্যমে এটি নির্ণয় করতে পারেন যেমন:

রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন প্রতিক্রিয়া (RT-PCR)। এই পরীক্ষাটি প্রাথমিক পর্যায়ে নিপাহ ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য গলা বা অনুনাসিক সোয়াব, সেরিব্রোস্পাইনাল (মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড) তরল, প্রস্রাব এবং রক্ত ​​ব্যবহার করে।
এনজাইম-লিঙ্কড ইমিউনোসর্বেন্ট অ্যাস (ELISA)। চিকিত্সকরা অ্যান্টিবডিগুলি সন্ধান করতে এই পরীক্ষাটি ব্যবহার করেন। এটি পরবর্তী পর্যায়ে বা পুনরুদ্ধারের পরে নিপাহ ভাইরাস সনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

✅নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুঝুঁকি ও চিকিৎসা

বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত শতকরা ৭১ জন অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে ৭১ জন মারা গেছেন বলে জানান ডা. মুশতাক হোসেন। মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি, আক্রান্তের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ মানুষই মারা যায়।

নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিভাইরাল কোন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। কোনো ভ্যাকসিনও তৈরি হয়নি। মস্তিষ্কের তীব্র প্রদাহের যে চিকিৎসা নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিতদেরতদের জন্য একই চিকিৎসা। আইসিইউ সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে রোগীকে। লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে এবং লক্ষণ দেখা দিলেই দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

✅খেজুরের গুড় খেলে বা রস ফুটিয়ে খেলে নিপাহ ভাইরাস থাকে কি?
৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় নিপাহ ভাইরাস নষ্ট হয়। খেজুরের গুড় তৈরির সময় অনেক বেশি তাপমাত্রায় রস জ্বাল দিতে হয়, তাতে ভাইরাস থাকার কোন আশঙ্কা থাকে না। খেজুরের রস জ্বাল দিয়ে তৈরি পিঠা পায়েসও নিরাপদ। তবে সঠিক তাপমাত্রায় জ্বাল দিয়ে খেতে হবে।

✅নিপাহ ভাইরাসের চিকিৎসা কি?

এমন কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই যা সরাসরি নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা করে।

ডাক্তাররা পরিবর্তে সহায়ক যত্ন ব্যবহার করেন। এর অর্থ হল তারা বিশ্রাম, হাইড্রেশন এবং নির্দিষ্ট উপসর্গগুলি ঘটার সাথে সাথে চিকিত্সা করার দিকে মনোনিবেশ করে।

গবেষকরা নিপাহ ভাইরাসের চিকিত্সার দিকে নজর দিচ্ছেন যা ইমিউন সিস্টেমকে জড়িত , যাকে বলা হয় মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। বিশেষজ্ঞরা সংক্রামিত প্রাইমেটদের মধ্যে রেমডেসিভির , একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধও অধ্যয়ন করেছেন ।

প্রাথমিক মালয়েশিয়ান প্রাদুর্ভাবের সময় অল্প সংখ্যক লোকের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা অ্যান্টিভাইরাল রিবাভিরিন ব্যবহার করেছিলেন। তবে এটি কতটা ভাল কাজ করে তা স্পষ্ট নয়।

✅প্রতিরোধে করণীয়

১. খেজুরের রস কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না, একবারে নিষেধ।

২. খেজুরের কাঁচা রসের সংস্পর্শে আসলে হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে।
৩. মানুষে থেকে মানুষে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায় হাঁচি কাশির মাধ্যমে, সেজন্য কোভিডকালীন যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও দূরত্ব বজায় রাখা তা অনুসরণ করতে হবে।
৪. কোনো ফাটা বা আধা খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে এ ব্যাপারে বাচ্চাদের দিকে নজর রাখতে হবে, যাতে কুঁড়িয়ে পাওয়া আধাখাওয়া পাকা ফল যেন না খায়।
৫. যেকোনো ফল, সবজি খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
৬. খেজুরের গাছ কাটার সময় ঝুঁকি থাকে না, রস নামানোর সময় কিছুটা ঝুঁকি থাকে। যেহেতু রস নাড়াচাড়া করেন গাছিরা. সেজন্য ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, মুখে কাপড় বেঁধে নিতে হবে।
৭. ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাঁচা রস খাওয়ার প্রচলন ছাড়াও শীতকালে বিভিন্ন স্থানে রস উৎসব হয়। অনলাইনে রস বিক্রি হয় ভুল তথ্য দিয়ে যেমন নিরপাদ উপায়ে খেজুর রস সংগ্রহ, জাল দিয়ে প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা। এসব বন্ধ করা উচিত।

নিপাহ ভাইরাসে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। শীতের সময় খেজুরের রস খেয়ে কেউ মারাত্মক অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

ডাঃ মোঃ দিদারুল আলম
চেম্বার১ঃ Sober Life De-Adiction centre
Section -06,Block -D,Road -12,House-03
Mirpur-1216
Ph- 01706260752

চেম্বার২ঃ হেলথ এইড ডক্টরস কনসাল্টেশন সেন্টার
৬৫/ক,মাটিকাটা মেইন রোড(বাইতুন নূর মসজিদের পার্শ্ববর্তী ভবন),দ্বিতীয় তলা।
ফোন: 01706-260752

মাদকাসক্তির লক্ষণ ও চিকিৎসামাদকাসক্তির লক্ষণ : সাধারণত যারা মাদকসেবী, তাদের চিন্তা ও আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন দেখা যায়। মাদকস...
20/11/2024

মাদকাসক্তির লক্ষণ ও চিকিৎসা
মাদকাসক্তির লক্ষণ : সাধারণত যারা মাদকসেবী, তাদের চিন্তা ও আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন দেখা যায়। মাদকসেবীদের চিন্তাভাবনা হয় বিক্ষিপ্ত, কোনোকিছুতে বেশিক্ষণ তারা মনোসংযোগ করতে পারে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে শান্ত-সুবোধ ছেলে বা মেয়েটি হঠাৎই পরিবারের অবাধ্য হয়ে ওঠে। মাদকসেবীদের জীবনযাত্রা একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, তারা কম ঘুমায়, সারা রাত জেগে থাকে এবং পরদিন দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঘুমায়। খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ক্ষুধা কমে যায়, বমিভাব দেখা দেয়। মাদকসেবীরা কারণে-অকারণে মিথ্যা কথা বলে। তারা প্রয়োজনের তুলনায় বাবা-মার কাছে বারবার বেশি টাকা চায়। টাকা না পেলে রাগারাগি করে। এ ছাড়া মাদকসেবীদের নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়, লেখাপড়ার ইচ্ছা ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং চাকরির ক্ষেত্রেও তাদের বার বার সমস্যা হয়। মাদক গ্রহণের ফলে তাদের নতুন নতুন বন্ধুবান্ধব গড়ে ওঠে এবং পুরনোদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে। ঘরের ভেতর মাদক গ্রহণের বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া যায়। বাসার জিনিসপত্র, টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন চুরি হতে থাকে। অনেক সময় বিনা কারণে খুব উৎফুল্ল বা বিষন্ন ভাব দেখা দেয় এবং অসংলগ্ন কথা বলা বেড়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সব সময় ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকে, স্বাভাবিক যৌনজীবন ব্যাহত হয়। সব সময় উৎকণ্ঠা বা অহেতুক ভীতির মধ্যে থাকে।

মাদকাসক্তির চিকিৎসা : এই চিকিৎসার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়, মাদকাসক্তির ধরন নির্ণয় করা হয়। শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হয়। এরপর তার ‘উইথড্রয়াল’ সিনড্রোম এবং মাদক প্রত্যাহারজনিত শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা করা হয়। শরীর থেকে মাদকের ক্ষতিকর রাসায়নিক অংশগুলো বের করে দেওয়া হয়। এই ধাপটিকে বলা হয় ‘ডিটক্সিফিকেশন’।

এ সময় তার পুষ্টি নিশ্চিত করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হয়। মাদকমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন স্বীকৃত ওষুধ নির্দিষ্ট নিয়মে মনোচিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করা লাগতে পারে। পরবর্তী ধাপে তাকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মাদকমুক্ত থাকার প্রেরণা দেওয়া হয়। আবার যাতে মাদক গ্রহণ না করে, সেই বিষয়ে উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হয়। ফের আসক্ত হওয়ার জন্য যেসব ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ রয়েছে, সেগুলো থেকে দূরে থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন মাদকাসক্তকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সাহায্য করা হয়, নানা রকম সামাজিক কর্মকান্ডেও উৎসাহিত করা হয়। আসক্ত হওয়ার আগের যোগ্যতা ও গুণাবলি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুনর্বাসনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মাদকাসক্তি চিকিৎসার ধাপগুলো বেশ দীর্ঘমেয়াদি। তাই ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করাতে হয়। অপরিপূর্ণ চিকিৎসার কারণে আবারো আসক্তি (রিল্যাপ্স) হতে পারে। ফ্যামিলি কাউন্সেলিংও চিকিৎসার একটি জরুরি ধাপ।

পরিবারের করণীয় : পারিবারিক পরিবেশ হতে হবে ধূমপানমুক্ত। সন্তানদের কার্যকলাপ এবং সঙ্গীদের ব্যাপারে খবর রাখতে হবে। সন্তানরা যেসব জায়গায় সব সময় যাওয়া-আসা করে, সেই জায়গাগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলা ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা নিজে থেকেই তাদের বন্ধু-বান্ধব ও কার্যাবলি সম্পর্কে আলোচনা করে। পরিবারের সব সদস্যই ড্রাগের ক্ষতিকর বিষয়গুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। ধৈর্য ধরে সন্তানদের সব কথা শোনার জন্য অভিভাবকরা নিজেদের প্রস্তুত করবেন। সন্তানদের মঙ্গলের জন্য পরিবারের সদস্যরা যথেষ্ট সময় দেবেন। সন্তানদের সামাজিক, মানসিক, লেখাপড়া সংক্রান্ত অর্থনৈতিক চাহিদাগুলো যথাসম্ভব মেটাতে হবে, তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দিয়ে তাদের প্রত্যাশা বাড়তে দেওয়া যাবে না। পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন, প্রায়ই তারা সবাই মিলে আনন্দদায়ক কিছু কার্যকলাপের পরিকল্পনা করবেন এবং পরিবারের সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটাবেন। ‘গুড প্যারেন্টিং’ বিষয়ক জ্ঞান নিতে হবে বাবা-মাকে।

If you, or someone who know is in a crisis for substance abuse feel free to share with us....

Dr. Md. Didarul Alam
MBBS (Sher-E-Bangla medical College,Barishal)
Addiction professional (ICAP1)
Member - International society of substance use professional(ISSUP)

Sober Life De-Addiction centre
Section -06,Block -D,Road -12,House-03
Mirpur-1216
Ph: +88 01706-260752

অনেকে জিজ্ঞাসা করে আমি সিগারেট ছাড়তে চাই, কিন্তু পারি না l অনেকে বলে আমি ওজন কমাতে চাই , কিন্তু কিছুদিন ডায়েট করার পর আর...
05/10/2024

অনেকে জিজ্ঞাসা করে আমি সিগারেট ছাড়তে চাই, কিন্তু পারি না l অনেকে বলে আমি ওজন কমাতে চাই , কিন্তু কিছুদিন ডায়েট করার পর আর কন্টিনিউ করতে পারি না l সিগারেটের জন্য ক্রেভিং হয়, জাংক ফুডের জন্য ক্রেভিং হয় l অনেকেই বলে ব্রেকাপের পর মুভ অন করতে চান কিন্তু মুভ অন করতে পারছেন না l মনে হয় সেই পার্টনার ছাড়া জীবন অচল l
কিছুদিন আগে ক্রিকেটার নাসির এবং তামিমা তাম্মির কেইসের রায় PBI দিয়েছে যে, "তাদের তালাক বৈধ ছিলনা." মেয়েটির প্রাক্তন স্বামী তাকে গ্রহন করতে চায় l এতকিছুর পর সে বিশ্বাস করে যে তামিমা তার স্ত্রী এবং সন্তানের মা and she belongs to him. it could be his belief not necessarily the truth.
এটা ব্যক্তির বিশ্বাস হতে পারে কিন্তু এটা বাস্তব নয় l
প্রশ্ন হলো এমন কেন হয়??

এমন হয় কারন আমাদের ব্রেইনে রিজনিং বা যুক্তি তৈরী করার ক্ষমতা রয়েছে l যেমন আমরা যুক্তি দিয়ে বুঝতে পারি স্মোকিং ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর l যুক্তি দিয়ে আমরা বুঝতে পারি শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেলে ওবিসিটি জনিত নানা রকম রোগ শরীরের বাসা বাধতে পারে l আবার একজন পার্টনার কে ছেড়ে থাকা সম্ভব না সেটাও আমরা বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে নিজেদের বোঝানোর চেষ্টা করি l
আমাদের ব্রেইন যে কোন তথ্য যুক্তি দিয়ে ফিল্টার করে প্রসেস করার ক্ষমতা রাখে l
সে কারনেই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নেই -- "স্মোকিং কুইট করবো", "ওজন কমিয়ে ফেলবো","কাল থেকে শরীর চর্চা করবো", "নিজের জন্য সময় ব্যায় করবো", "আগের রিলেশনশীপ আমার জন্য ক্ষতিকর ছিল", "আমি মুভ অন করবো ইত্যাদি" l

সমস্যা হয় যখন এসব সিদ্ধান্ত আমরা নেই তখন মোটিভেটেড হয়েও কিছুদিন পর সেই মনোবল থাকে না l
এখানে দুটো বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ:
১) বিশ্বাস বা belief system
২) অবচেতন মন বা subconscious mind

১) বিশ্বাস (belief system)
আমরা যা বিশ্বাস করি জরুরী নয়,যে সেটাই সত্য l আমি যদি বিশ্বাস করি আমার দুটি ডানা আছে , সেটা শুধুই আমার বিশ্বাস l সেটার কোন সত্যতা নেই l তেমনি আপনি যখন বিশ্বাস করবেন আপনি স্মোকিং ছাড়তে পারবেন না ,স্মোকিং ছাড়া বাঁচা সম্ভব না lফ্যাক্ট হলো, স্মোকিং ছাড়লে কেউ মরে যায় না, শুধু স্মোকিং কেন প্রেমের ক্ষেত্রেও আমরা বিশ্বাস করি এই পার্টনার ছাড়া আমি বাঁচবো না l আসলে কি আপনাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে আপনারা মরে যান?

ঠিক তাই l আপনারা অনেকেই মুভ অন করে আরও সুন্দর করে বেঁচে থাকেন l অনেকে এই মুভ অন করতে পারেন না কারন আপনারা বিশ্বাস করেন সেই মানুষ টা ছাড়া আপনার জীবন অচল l
২) অবচেতন মন সাবকনসাস মাইন্ড: আমাদের কনফ্লিক্ট শুরু হয় যখন আমাদের ব্রেইন রিজনিং করে ফিল্টার করে তথ্য গুলো প্রসেস করে ঠিকই কিন্তু অবচেতন মনে আমরা সেই তথ্য প্রসেস করতে অক্ষম হই l
আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একটি ক্ষতিকর রিলেশনশীপ থেকে বেড়িয়ে আসবেন এবং বেড়িয়ে এসেছেন l
আপনার অবচেতন মন কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত নয় l অবচেতন মনে স্মৃতি স্টোরড করা আছে l কিছু সুখকর কিছু ক্ষতিকর l সেই তথ্যগুলো ব্রেইন যখন ফিল্টার করেছে আপনার সাবকনসাস মাইন্ড সেই ফিল্টার করা তথ্য সম্পর্কে অবহিত হয়নি l
এই জন্যই আপনি মুভ অন করতে পারছেন না, স্মোকিং কুইট করতে পারছেন না, ডায়েট কন্টিনিউ করতে পারছেন না l
আমাদের ব্রেইন এবং অবচেতন মন একই level থাকতে হবে l যখন আপনি ব্রেইনের তথ্য অবচেতন মনকে পৌছিয়ে দিতে পারবেন তখন আপনাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না l আপনার ডিটারমিনেশন আপনাকে লক্ষ্যে পৌছে দিবে l
এই অবচেতন মনের সাথে কমিউনিকেশন কিভাবে করবেন?

এর জন্য আপনি থেরাপিস্ট এর সাহায্য নিতে পারেন l হিপ্নোসিস সাবকনসান্স মাইন্ড নিয়ে কাজ করে l এছাড়া সিবিটি , পারসন সেন্টার্ড থেরাপী আপনাকে লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করতে পারে l মাইন্ডফুলনেস আপনাকে রিল্যাক্স হতে সাহায্য করবে l সাবকনসান্স মাইন্ডের সাথে কমিউনিকেশন করতে হলে রিল্যাক্সেশন খুবই জরুরী l যে কোন pluralistic থেরাপিস্ট,( যার সব ধরনের থেরাপির উপর দখল আছে )এমন থেরাপিস্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী সেবা নিতে পারলে আপনার পরবর্তী সমস্যা গুলো সমাধান সহজ হয়ে যাবে l

© : Rupsha Rup
National counseling & Psychotherapy(NCPS)
England

10th september, World Su***de Prevention Day (WSPD)আপনার একটুখানি মনোযোগ হয়তো বাঁচাতে পারে একজনের জীবন!মানুষের জীবনে মাঝ...
10/09/2024

10th september, World Su***de Prevention Day (WSPD)

আপনার একটুখানি মনোযোগ হয়তো বাঁচাতে পারে একজনের জীবন!
মানুষের জীবনে মাঝেমধ্যে এমন সময় আসে যখন তার সবকিছু ছেড়ে চলে যেতে ইচ্ছে হয়,কিন্তু এটা কোনো সমাধান নয়,মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়,ভালো সময়ের জন্য ভালো কিছুর জন্য ধৈর্য্য- সহ্য- অপেক্ষা আর সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ কামনা করতে হয়।

বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষা অনুযায়ী গত ৮ মাসেই শুধু শিক্ষার্থীই আত্নহত্যা করেছে ৩৬৪ জন।

আত্মহত্যা কোনো উত্তর নয় বরং জীবন নামক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর অজুহাত মাত্র।

মানুষ নিজেকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। সেই ‘নিজে’কে শেষ করার মতো নির্মম কাজটিও কিন্তু কম মানুষ করছেন না!সব বয়সীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের প্রিয়জনদের মনে সহজাত প্রশ্ন জাগে, কোনো লক্ষণ দেখে কি পারতাম তাঁর আত্মহননের পথ রোধ করতে, কেন সে এমন করল, কী ভেবেছিল আত্মহত্যা করার আগে...। এই পরিতাপ রয়ে যায় সারা জীবন।

আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছেন, এমন মানুষের মধ্যে থাকে কিছু আগাম লক্ষণ। প্রধান লক্ষণ হচ্ছে আত্মহত্যার ইচ্ছা সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলা। কেউ আত্মহত্যার কথা বললে অনেকে মনে করেন তিনি হয়তো এমনি বলছেন, আদতে কাজটা করবেন না। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা আত্মহত্যা করেন, তাঁদের দুই–তৃতীয়াংশ কারও না কারও কাছে মৃত্যুর ইচ্ছা প্রকাশ করে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছিলেন। এসব ক্ষেত্রে সমস্যা তখনই দেখা দেয়, বারবার যখন কেউ আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এঁদের মধ্যেও অনেকে কিন্তু পরে আত্মহত্যা করেন। তবে করে ফেলার আগে আগে কথার ধরন ও প্রকাশভঙ্গিতে থাকে পরিবর্তন।

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আগের আত্মহত্যাচেষ্টার ইতিহাস। দেখা গেছে, যাঁরা আত্মহত্যা করেন, তাঁদের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশেরই আগে আত্মহত্যাচেষ্টার ইতিহাস আছে। এসব ক্ষেত্রে তাঁদের আত্মহত্যার ইচ্ছা থাকে দীর্ঘমেয়াদি, গভীর এবং আসেও বেশ ঘন ঘন। তাঁরা সাধারণত এমন কিছু পদ্ধতি বেছে নেন, যাতে মৃত্যু নিশ্চিত করা যায় এবং কাজটা এমন সময় করেন যেন উদ্ধার করার মতো কেউ আশপাশে না থাকেন। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বোঝা যায় যে সব দোষ, সব ব্যর্থতা, সব ভুলের দায় যেন তাঁরা নিজের ঘাড়েই নিতে চান।

এছাড়াও যারা হতাশ, সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন, বৃদ্ধ এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও আত্মহত্যার ঝুঁকিতে থাকেন। তাঁদের লক্ষণ হতে পারে বিষণ্নতা। এসব সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের যদি পর্যাপ্ত সহায়তা না থাকে তবেই বিপদ। কাজেই বিষণ্নতার লক্ষণগুলো চিনে রাখা জরুরি।

পরিবার বা আশপাশের কাউকে যদি দেখেন মনমরা, কাজকর্মে নিরুৎসাহী, নিরানন্দ, অমনোযোগী, খিটমিটে; যদি কারও খাবার আর ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন দেখেন, দুর্বলতার জন্য বা এমনিতেই কাউকে কাজকর্মে ধীর হয়ে যেতে দেখেন, কথায় কথায় নিজেকে দোষী বা অপরাধী ভাবতে ও বলতে শোনেন, যদি কেউ অনেক পুরোনো কথা মনে করে কাঁদতে থাকেন—তাহলে জানবেন এই সবই বিষণ্নতার লক্ষণ। আরও মনে রাখতে হবে যে বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের ক্ষেত্রে প্রকাশভঙ্গি হতে পারে ভিন্ন রকম। বিশেষ করে ছোটরা তাদের মনের অবস্থা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না বলেই জেদ করে, অভিমান করে, খিটমিটে হয়ে যায়। এমনকি জিনিসপত্র ছোড়ে, নষ্ট করেও বিষণ্নতা প্রকাশ করে থাকে। বিষণ্নতা বোঝাতে পেটব্যথা, মাথাব্যথার মতো শারীরিক সমস্যার কথাও সামনে নিয়ে আসতে পারে।

আপনার আশপাশে বা আপনজন কারও মধ্যে এসব লক্ষণ দেখতে পেলে পাশ কাটিয়ে যাবেন না। তাকে যথেষ্ট সময় দিন, বোঝার চেষ্টা করুন, তিনি কী বলতে চান শুনুন, প্রয়োজন হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে বলুন।

শেষ করি আমার ধর্মের(ইসলাম)একটা বার্তা দিয়ে -
আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।’
— বুখারি ও মুসলিম

Dr. Md. Didarul Alam

18/06/2024

একটু সতর্কতায় বাঁচতে পারে প্রাণ,অজ্ঞান মানুষ যেভাবে প্রাণ ফিরে পেতে পারে দেখালেন ডাক্তার।

  নেশায় জড়িয়ে পড়া বা ‘মাদকাসক্তি’ একটি রোগ বা ব্যাধি। সাধারণ সামাজিক সমস্যা বলে এটাকে হালকা করে দেখার কিংবা অপরাধ বলে এড়...
23/04/2024


নেশায় জড়িয়ে পড়া বা ‘মাদকাসক্তি’ একটি রোগ বা ব্যাধি। সাধারণ সামাজিক সমস্যা বলে এটাকে হালকা করে দেখার কিংবা অপরাধ বলে এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই! মাদকাসক্তিকে বলা হয় ‘ক্রনিক রিলাপসিং ব্রেইন ডিজিজ’ বা বারবার হতে পারে এমন রোগ। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করলে এ রোগ থেকে নিরাময় সম্ভব।

প্রথম দিকে কৌতূহলের বশে বা বন্ধুদের তাড়নায় কিংবা সাময়িক কোনো হতাশার কারণে বা নিছক শখ ও ফ্যাশন হিসেবে কেউ মাদক গ্রহণ করে। এরপর ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার (একধরনের রাসায়নিক পদার্থ) ও রিওয়ার্ড সেন্টার (আনন্দ অনুভব করার জায়গা) ক্রমাগত মাদক গ্রহণ করার জন্য শরীরকে বার্তা পাঠায় এবং একপর্যায়ে ব্যক্তির শরীর ও মন মাদকনির্ভর হয়ে পড়ে।

মাদকাসক্তি অথবা মাদকাসক্তি জনিত মানসিক সমস্যায়-

Dr. Md. Didarul Alam
MBBS (Sher-E-Bangla medical College,Barishal)
Member - International society of substance use professional(ISSUP)

"Sober Life De-Addiction Centre"
Section -06, Block -D, Road -12, House-03
Mirpur-1216
Ph: +88 01706-260752

★  বা মাদকাসক্তি জনিত মানসিক রোগের প্রাথমিক লক্ষনঃ১)আচরণে হটাৎ করেই পরিবর্তন আসা।২)হটাৎ করে আসক্ত ব্যাক্তির টাকাপয়সার চা...
18/04/2024

★ বা মাদকাসক্তি জনিত মানসিক রোগের প্রাথমিক লক্ষনঃ

১)আচরণে হটাৎ করেই পরিবর্তন আসা।

২)হটাৎ করে আসক্ত ব্যাক্তির টাকাপয়সার চাহিদা বেড়ে যাওয়া।

৩)টাকা বা চাহিদা পূর্ণ করতে না পারলে প্রিয়জনের সাথে খারাপ আচরণ করা যা পূর্বে ছিলো না।

৪)ক্ষুধা ও ঘুম কমে যাওয়া অথবা বেড়ে যাওয়া।

৫)ওজন কমা অথবা বাড়া

৬)অসামাজিক হয়ে পড়া যেমন আত্নীয় স্বজনরা বা বাসায় কোনো মেহমান/গেস্ট আসলে তাদের এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা অথবা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে না যেতে চাওয়া।

৭)অল্পতেই রেগে যাওয়া,নার্ভাস বা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠা।

৮) উদ্বেগ ও সন্দেহবাতিক বেড়ে যাওয়া।ইত্যাদি....

★মাদকের ফলে আসক্ত ব্যাক্তির আত্মিক ক্ষতিঃ

মাদকাসক্তের নৈতিক মূল্যবোধ সমূলে উৎপাটিত হয়ে যায়, একাকার হয়ে যায় ন্যায়-অন্যায় বোধ। অনবরত মিথ্যা বলে, অন্যায় আচরণের জন্যে অনুশোচনায় ভোগে না। তাদের মনে তীব্র হতাশা কাজ করে।

মাদকাসক্তি শুরুর আগের মানুষ এবং পরের মানুষের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটে যায়, যেন নিজের মধ্যে জেগে ওঠে অন্য ধরনের এক দানব। সহজ করে বলা যায় মাদকাসক্তের মস্তিষ্ক এক রাসায়নিক বোমায় পরিণত হয়।

মানববোমা হয়ে তারা পরিবারে সমাজে ঘুরে বেড়ায়। এই বোমা বহনকারী দানব-মানুষ পারে না হেন অপরাধ নেই জগতে। এ কারণে মাদকাসক্তি চিকিৎসায় আত্মিক উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হয় বিশ্বব্যাপী।

ধর্মে বিশ্বাস থাকলেও হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারে না বলেই মাদকাসক্ত ব্যক্তির অন্তরে বিরাট শূন্যতা বিরাজ করে। আধ্যাত্মিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যায় তারা।

আমার রুগীদের আমি একটা কথা সবসময় বলি- "জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে তোমার বিপদগামী বন্ধুরা তোমাকে ডাকছে,যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ তুমি নিঃসঙ্গতায় ভুগছো! "
সৃষ্টিকর্তা সবাইকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ রাখুক এই প্রত্যাশা রইলো।
মাদকাসক্তি এবং মাদকাসক্তি জনিত মানসিক সমস্যায়-

Dr. Md. Didarul Alam
MBBS (Sher-E-Bangla medical College,Barishal)
Member - International society of substance use professional(ISSUP)

Sober Life De-Addiction centre
Section -06,Block -D,Road -12,House-03
Mirpur-1216
Ph: 01706-260752 (WhatsApp)

অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবনতা একটি অস্বাভাবিক মানসিক সমস্যা।এই সন্দেহপ্রবনতার মাত্রা বাড়তে বাড়তে একসময় সে পরিণত হয় একজন মানসিক ...
15/01/2024

অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবনতা একটি অস্বাভাবিক মানসিক সমস্যা।এই সন্দেহপ্রবনতার মাত্রা বাড়তে বাড়তে একসময় সে পরিণত হয় একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিতে। প্রতি মুহূর্তে সন্দেহের বীজ লালন করতে করতে সে ভুলে যায় স্বাভাবিক জীবন।

ধীরে ধীরে সে আক্রান্ত হয় সিজোফ্রেনিয়ায়।

#সিজোফ্রেনিয়া কি?

সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক রোগ।

সিজোফ্রেনিয়া শব্দটির উৎপত্তি গ্রিক শব্দমূল Skhizein (to Split বা বিভক্ত করা) এবং phrenos (mind বা মন) থেকে।

এ রোগের লক্ষণ হচ্ছে চিন্তাধারা (প্রত্যক্ষণ, চিন্তন) এবং অনুভূতি প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি না থাকা। এতে মনের স্বাভাবিকতা হারিয়ে যায় এবং মস্তিষ্কের বিঘ্ন ঘটে। সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগী সে কখনওই বুঝেই না সে অসুস্থ।

এই রোগকে অনেক সময় মানসিক রোগের ক্যান্সার হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

সিজোফ্রেনিয়া মূলত মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কে সমস্যা,
বংশগত কারণসহ একাধিক কারণে এই রোগ হতে পারে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজনদের প্রতি ভ্রান্ত বিশ্বাস, অহেতুক সন্দেহপ্রবণতা (ডিল্যুশন), অবাস্তব চিন্তাভাবনা, হ্যালুসিনেশন (অলীক প্রত্যক্ষণ), অসংলগ্ন কথাবার্তা ইত্যাদি সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। তাঁর মতে, সিজোফ্রেনিয়া রোগীরা কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না।

সিজোফ্রেনিয়া রোগ ও রোগী সম্পর্কে আমাদের অনেকেই জানে না। এজন্য কারও ঘরে রোগী থাকলে কেউ বুঝতে পারে না।এই রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।

সিজোফ্রেনিয়ার ধরণ:

আমেরিকান সাইকিয়াটিক এসোসিয়েশন (এপিএ) সিজোফ্রেনিয়াকে নয়টি ভাগে বিভক্ত করেছে।এগুলো হলোঃ- ১. সরল টাইপ ২. হেবিফ্রেনিক টাইপ ৩. ক্যাটাটনিক টাইপ ৪. প্যারানয়েড টাইপ ৫. আনডিফারেনসিয়েটেড টাইপ ৬. শৈশব টাইপ ৭.সিজো-অ্যাফেকটিভ টাইপ ৮.তীব্র-মিশ্র টাইপ ৯.দীর্ঘস্থায়ী মিশ্র টাইপ

সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ:

সিজোফ্রেনিয়া রোগ ও রোগী সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুবই সীমিত। এজন্য কারও ঘরে রোগী থাকলে কেউ বুঝতে পারে না। এই রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। মুলত: সচেতনতার অভাবে বর্তমানে এই রোগ ঘরে ঘরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কীভাবে বুঝবেন কেউ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে, জেনে নেই প্রাথমিক কিছু বিষয় বা লক্ষণ: অকারণে বা অহেতুক সন্দেহ করা, অবিশ্বাস, আবেগপ্রবণ, নিজে নিজে কথা বলা, মৃত্যভয় বা ষড়যন্ত্রের ভয়, হঠাৎ কিছু শুনতে পাওয়া, অবচেতন মনের ভয়, চিন্তাশক্তি নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এসব লক্ষণ বলে দেয় একজন মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত।

নিরাময়:

চিকিৎসার প্রধান মাধ্যম হল এন্টিসাইকোটিক ওষুধ, যা মূলত ডোপামিন (এবং কখনও কখনও স্টেরোটোনিন) গ্রহণ কার্যক্রমকে অবদমিত করে। সেই সাথে মনোচিকিৎসা এবং বৃত্তিমূলক ও সামাজিক পুনর্বাসনও চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বেশি গুরুতর ক্ষেত্রে, যেখানে নিজের এবং অন্যদের প্রতি ক্ষতির ঝুঁকি থাকে - সেখানে রোগীর অনিচ্ছা থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন হতে পারে, যদিও হাসপাতালে থাকার মেয়াদ এখন আগের থেকে কম হয় এবং হাসপাতালে যেতেও হয় আগের থেকে অনেক কম।তবুও রোগীর বিপজ্জনক কিছু করে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্যাধি মূলত চেতনাকে আক্রান্ত করে বলে ধারণা করা হয়, কিন্তু এটা একই সাথে প্রায়শই আচরণ এবং আবেগ গত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বৃদ্ধি করে।

পরিশেষে বলতে চাই, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রোগী সে কখনওই বুঝেই না সে অসুস্থ।

তাই এক্ষেত্রে পরিবারের সচেতন হওয়া প্রয়োজন সবার আগে। লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করে তার প্রতি অবহেলা নয় বরং পরিবারের সদস্যদের সহযোগীতায় এবং আন্তরিকতায় সে আবার সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবে।

প্রতিটি ঘর, প্রতিটি পরিবারই সন্দেহমুক্ত হোক। হোক সুখের। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।

মাদকাসক্তি এবং মাদকাসক্তি জনিত মানসিক সমস্যায়-

Dr. Md. Didarul Alam
MBBS (Sher-E-Bangla medical College,Barishal)
Addiction professional (ICAP1)
Member - International society of substance use professional(ISSUP)

"Sober Life De-Addiction Centre"
Section -06, Block -D, Road -12, House-03
Mirpur-1216
Ph: +88 01706-260752

(এপয়েনমেন্ট অথবা পরামর্শ পেতে চাইলে সরাসরি কল না দিয়ে উপরোক্ত নাম্বারে আপনার নাম অথবা রুগীর নাম লিখে হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ফোন নম্বরে ম্যাসেজ দিয়ে রাখার অনুরোধ রইলো।)

Address

Chamber/"Sober Life " , Section/06, Block/D, Road/12, House-03, Mirpur
Dhaka
1216

Telephone

+8801706260752

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Didarul Alam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md. Didarul Alam:

Share