আপনার স্বাস্থ্য - Your Health

আপনার স্বাস্থ্য - Your Health আপনার স্বাস্থ্য - Your Health We share health related information and articles published on newspapers, magazines and online platforms.

এটি একটি স্বাস্থ্য সচেতনা মুলক ফেসবুক পেজ। বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও প্রতিবেদন সকলের জন্য শেয়ার করা হয় ।


This is a health awareness page on face book.

মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম কেন হয়, চিকিৎসা কীআমাদের মস্তিষ্কে অসংখ্য রক্তনালি জালের মতো বিস্তৃত হয়ে রক্ত সরবরাহ করে। অ্যানিউ...
09/07/2025

মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম কেন হয়, চিকিৎসা কী
আমাদের মস্তিষ্কে অসংখ্য রক্তনালি জালের মতো বিস্তৃত হয়ে রক্ত সরবরাহ করে। অ্যানিউরিজম মস্তিষ্কের রক্তনালির ফোলা বেলুনের মতো অংশ। মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম হলে মস্তিষ্কের রক্তনালির ফোলা অংশ হঠাৎ ফেটে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। ফলে হেমোরজিক স্ট্রোক হয়। এ রোগ প্রাণঘাতী। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১০ থেকে ২০ শতাংশ মারা যান হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই।

অ্যানিউরিজমের কারণ
বংশগত, উচ্চ রক্তচাপ, মাথায় গুরুতর আঘাত, ধূমপান ইত্যাদির কারণে মস্তিষ্কে অ্যানিউরিজম হয়ে থাকে। জন্মগতভাবে থাকতে পারে কারও।

কীভাবে বুঝবেন
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যতক্ষণ মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমগুলো না ফাটে, ততক্ষণ কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। তাই শনাক্ত করা সহজ নয়। তবে অন্য কোনো কারণে মস্তিষ্কের পরীক্ষা করতে গিয়ে শনাক্ত হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমগুলো ফেটে গেলেই তার লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর মধ্যে রয়েছে—

হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা।

ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া।

বমি বমি ভাব।

চোখের কাছে বা পেছনে ব্যথা।

অস্পষ্ট দৃষ্টি বা দ্বিগুণ দৃষ্টি।

মুখের এক পাশ অবশ হওয়া বা অসাড়তা।

মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমের ফলে সাব-অ্যারাকনয়েড হেমোরেজ বা রক্তক্ষরণ হতে পারে। এমন রোগীদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে প্রায় তিনজনই দুই সপ্তাহের মধ্যে মারা যান।
রোগনির্ণয়
এনজিওগ্রাম হলো অ্যানিউরিজম শনাক্ত করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা। পায়ের রক্তনালির মাধ্যমে একটি ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে ঘাড়ের রক্তনালিগুলোর মাধ্যমে মস্তিষ্ক পর্যন্ত নেওয়া হয়। মস্তিষ্কের সব রক্তনালি দেখতে কনট্রাস্ট ডাই ইনজেকশন করা হয়। এই পরীক্ষা চিকিৎসককে সহজেই অ্যানিউরিজমের অবস্থান নির্ণয়ে সহায়তা করে। এ ছাড়া এই রোগ শনাক্তে এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও সিএসএফ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।

চিকিৎসা
এই রক্তক্ষরণের বিপদ শুধু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। একটি পন্থা হলো রোগীর কুঁচকি দিয়ে ক্যাথিটার ঢুকিয়ে মগজের সংশ্লিষ্ট ধমনি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং ওই ক্যাথেটার দিয়েই অ্যানিউরিজমে প্লাটিনামের অতি সূক্ষ্ম প্যাঁচানো তার ঢোকানো হয়। ফলে ফোলা জায়গায় আর কোনো রক্ত ঢুকতে পারে না। অ্যানিউরিজমটিকে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফলে তার ভেতরের রক্তও আর জমাট থাকে না, বরং তরল হয়ে আসে৷ অন্য উপায়টি হলো সরাসরি মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার৷ সে জন্য সবচেয়ে কাছ দিয়ে অ্যানিউরিজম পর্যন্ত পৌঁছানো দরকার৷ অতি সাবধানে কাজ করতে হয়—অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অ্যানিউরিজমে টাইটানের তৈরি ক্লিপ লাগাতে হয়। চাপবাঁধা জায়গাটার ঠিক তলায় ক্লিপ বসিয়ে ফোলা জায়গায় আর যাতে রক্ত না ঢোকে, তার ব্যবস্থা করা হয়।
----------ডা. হারাধন দেবনাথ, অধ্যাপক, নিউরোসার্জারি বিভাগ, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

ডায়েট প্ল্যান ৮০ কেজি বা তার বেশি ওজনের মানুষের জন্যসম্প্রতি ভারতীয় ফিটনেস কোচ ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিনা বেদি তার ইনস্টাগ্...
30/04/2025

ডায়েট প্ল্যান ৮০ কেজি বা তার বেশি ওজনের মানুষের জন্য

সম্প্রতি ভারতীয় ফিটনেস কোচ ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ হিনা বেদি তার ইনস্টাগ্রামে সাত দিনের একটি ডায়েট প্ল্যান শেয়ার করে। অল্প সময়ের মধ্যেই সেই পোস্টের রিচ হয় প্রায় ৫০ হাজার। ডায়েট প্ল্যানটি মূলত ৮০ কেজি বা তার বেশি ওজনের মানুষের জন্য। পোস্টে হিনা জানান, ওজন কমানো মানে না খেয়ে থাকা নয়। বরং সঠিক খাবার নির্বাচন করে ক্যালরি ঘাটতি (caloric deficit) তৈরি করতে হবে, যাতে আপনি খাবার উপভোগ করেও ওজন কমাতে পারেন।

৮০ কেজি বা তার বেশি ওজনের জন্য ৭ দিনের ডায়েট প্ল্যান

১. ভোরবেলা (খালি পেটে)
• গরম পানি + লেবু অথবা অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
• ৫টি ভেজানো বাদাম + ২টি আখরোট

২. সকালের নাশতা (যে কোনো একটি উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার)
• অপশন ১: সবজি মেশানো ওটস বা সবজি খিচুড়ি বা চিনি ছাড়া সুজি
• অপশন ২: বেসন বা মুগডালের রুটি
• অপশন ৩: ২টি সেদ্ধ ডিম + ১টি মাল্টিগ্রেইন টোস্ট + শসা
• সঙ্গে: ১টি ফল (আপেল, পেঁপে বা কলা)

৩. মধ্য সকালের (Mid-morning) স্ন্যাকস
• নারকেল পানি বা গ্রিন টি
• ১টি ফল বা কিছু মাখনা

৪. দুপুরের খাবার (ভারসাম্যপূর্ণ খাবার)
• ১-২টি মাল্টিগ্রেইন রুটি বা ১ বাটি ব্রাউন রাইস
• ডাল/রাজমা/ছোলা/গ্রিল করা পনির বা টফু
• মিক্সড সবজি তরকারি
• সালাদ এবং দই
বিকেলের স্ন্যাকস
• হারবাল টি বা গ্রিন টি
• ভাজা ছোলা বা এক মুঠো বাদাম

৬. রাতের খাবার (হালকা ও প্রোটিন-সমৃদ্ধ)
• মুগডাল/সবজি স্যুপ/স্টার-ফ্রাইড সবজি
• গ্রিল করা পনির, টফু বা ডাল
• যদি ক্ষুধার ভাব বেশি হয়, তবে ১টি লাল আটার রুটি

৭. রাতের খাবারের পর (ঐচ্ছিক)
• গরম দুধ বা মৌরি পানি

দ্রুত ফল পেতে হিনার গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
প্রতিদিন ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন।

চিনি, ভাজা খাবার এবং বেকারি পণ্যের পরিমাণ কমান।

প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা যোগব্যায়াম করুন।

রাতের খাবার ঘুমানোর ২-৩ ঘণ্টা আগে শেষ করুন।

ওজন কমানো মানে নিজেকে কষ্ট দেওয়া নয়
হিনা বেদি মনে করিয়ে দেন, ওজন কমানোর মূল মন্ত্র হলো-ধৈর্য, নিয়ম মেনে চলা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস। শরীরকে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করে ধীরে ধীরে ওজন কমানোই দীর্ঘ মেয়াদে সফল ও টেকসই সমাধান।

About Dopamine!!!!ডোপামিন (Dopamine) হলো মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার, যা আমাদের অনুভূতি, আচরণ এবং শার...
11/03/2025

About Dopamine!!!!

ডোপামিন (Dopamine) হলো মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার, যা আমাদের অনুভূতি, আচরণ এবং শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করে। এটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংকেত পাঠানোর কাজ করে এবং আনন্দ, প্রেরণা, মনোযোগ এবং শেখার সাথে গভীরভাবে জড়িত।

ডোপামিন কীভাবে কাজ করে?

ডোপামিন মূলত নিউরনের মধ্যে সংকেত পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। যখন মস্তিষ্ক কোনো পুরস্কারমূলক অভিজ্ঞতা পায় (যেমন প্রিয় খাবার খাওয়া, প্রশংসা পাওয়া, নতুন কিছু শেখা), তখন ডোপামিন নিঃসৃত হয় এবং আমাদের আনন্দ অনুভূতি তৈরি হয়।

ডোপামিনের প্রধান কার্যাবলি

১. আনন্দ ও পুরস্কার (Reward System):

ডোপামিন আনন্দ অনুভূতির জন্য দায়ী এবং আমাদের কোনো কাজের প্রতি আকৃষ্ট করে।

এটি পুরস্কার-মূলক আচরণকে শক্তিশালী করে, যার ফলে আমরা সেই কাজটি বারবার করতে চাই।

2. প্রেরণা ও মনোযোগ:

এটি আমাদের কোনো লক্ষ্য অর্জনে উত্সাহিত করে।

মনোযোগের অভাবজনিত সমস্যা যেমন ADHD-এর সঙ্গে ডোপামিনের ঘাটতি সম্পর্কিত।

3. স্মৃতি ও শেখার ক্ষমতা:

নতুন কিছু শেখার সময় ডোপামিন নিঃসৃত হয়, যা আমাদের তথ্য মনে রাখতে সাহায্য করে।

4. আচরণ ও নেশা:

ডোপামিন আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া ও অভ্যাস গঠনে ভূমিকা রাখে।

অতিরিক্ত ডোপামিন বিভিন্ন নেশাজাতীয় বস্তু (যেমন ড্রাগ, সোশ্যাল মিডিয়া, ফাস্ট ফুড) গ্রহণে আসক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

5. শারীরিক কার্যক্রম:

এটি আমাদের চলাফেরা ও পেশী নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

পার্কিনসন রোগের ক্ষেত্রে ডোপামিনের ঘাটতি থাকার কারণে রোগীরা শরীরের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

ডোপামিনের ঘাটতি হলে কী হয়?

বিষণ্ণতা (Depression)

উদ্যম বা আগ্রহের অভাব

ক্লান্তি অনুভব করা

মনোযোগের অভাব

পার্কিনসন ডিজিজ

ডোপামিন বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়

নিয়মিত ব্যায়াম (বিশেষ করে দৌড়ানো, যোগব্যায়াম)

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া (প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, ফলমূল, সবজি)

ভালো ঘুম

নতুন কিছু শেখা

ধ্যান ও মেডিটেশন

সঙ্গীত শোনা

সামাজিক সংযোগ রক্ষা করা।

সাইকেল চালানো দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক—এটা শোনার পর হাসি আসা স্বাভাবিক। তবে একটু ভেবে দেখুন, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে এ...
25/01/2025

সাইকেল চালানো দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক—এটা শোনার পর হাসি আসা স্বাভাবিক। তবে একটু ভেবে দেখুন, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে একটি গভীর বার্তা।

একজন সাইকেল চালক বা হেঁটে চলা ব্যক্তি আসলে কী কী করেন না?

তিনি গাড়ি কেনেন না।

লোন নেন না।

গাড়ির বীমা করান না।

তেল কেনেন না।

গাড়ির সার্ভিসিং বা পার্কিংয়ের খরচ করেন না।

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন, ফলে মোটা হন না।

এখন এই সুস্থতা আবার দেশের অর্থনীতির জন্য "ক্ষতিকর"!

কারণ:

তিনি বেশি ওষুধ কেনেন না।

হাসপাতালে যান না বা ডাক্তার দেখান না।

তিনি GDP-তে উল্লেখযোগ্য খরচের জায়গা তৈরি করেন না।

তার বিপরীতে, একজন ফাস্ট ফুড ব্যবসায়ী কী করেন?

১০ জন হার্টের চিকিৎসক,

১০ জন দাঁতের ডাক্তার,

এবং ১০ জন ওজন কমানোর পরামর্শদাতা বা ট্রেনারের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করেন।

আর যারা পায়ে হেঁটে চলেন, তারা তো আরও "ক্ষতিকর"! কারণ, তারা সাইকেলটাও কেনেন না।

শিক্ষণীয় বার্তা:

এটি নিছকই একটি রসিকতার আড়ালে বড় একটি সত্যকে তুলে ধরে—আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো অর্থনীতির কোনো বিশেষ অংশে সরাসরি প্রভাব ফেলে না। তবে এটি সামগ্রিকভাবে সমাজের জন্য উপকারী। আপনার সুস্থতা শুধু আপনার নয়, পরোক্ষভাবে একটি সুস্থ জাতি তৈরিতে সাহায্য করে।

তাই, অর্থনীতির চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের স্বাস্থ্যকেই অগ্রাধিকার দিন। নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যদেরও সুস্থ থাকার অনুপ্রেরণা দিন.

ওরাল থ্রাশ কি?ওরাল থ্রাশ হল একটি সংক্রমণ যা তখন ঘটে যখন ক্যান্ডিডা নামক একটি ছত্রাক সাধারণত মুখ এবং পরিপাকতন্ত্রে উপস্থি...
25/01/2025

ওরাল থ্রাশ কি?

ওরাল থ্রাশ হল একটি সংক্রমণ যা তখন ঘটে যখন ক্যান্ডিডা নামক একটি ছত্রাক সাধারণত মুখ এবং পরিপাকতন্ত্রে উপস্থিত হয়, অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এটি মৌখিক গহ্বরের বিভিন্ন স্থানে প্রদাহ এবং সাদা বা হলুদ ছোপ সৃষ্টি করে, যেমন গালের ভেতরের অংশে, জিহবা, এবং কখনও কখনও মুখের ছাদ, মাড়ি এবং টনসিল। এই প্যাচগুলি বেদনাদায়ক হতে পারে এবং এটি গিলতে বা খাওয়া কঠিন করে তোলে।

ওরাল থ্রাশের লক্ষণ
ওরাল থ্রাশের প্রধান লক্ষণ হল জিহ্বা, গালের ভেতরের অংশে বা মুখের অন্যান্য অংশে সাদা বা হলুদ ক্ষত। অন্যান্য উপসর্গ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

মুখের মধ্যে লালভাব বা ঘা
গিলতে বা খেতে অসুবিধা
রুচি নষ্ট হওয়া
ফাটা বা শুকনো ঠোঁট
রক্তক্ষরণ মুখ থেকে
ওরাল থ্রাশের কারণ কী?
বেশ কয়েকটি কারণ ক্যান্ডিডা ছত্রাকের অত্যধিক বৃদ্ধিকে ট্রিগার করতে পারে, যেমন:

দুর্বল ইমিউন সিস্টেম
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার
ডায়াবেটিস
গর্ভাবস্থা
শুষ্ক মুখ
দরিদ্র মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি
দাঁতের বা অন্যান্য মৌখিক যন্ত্রপাতি
ধূমপান বা অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন
ওরাল থ্রাশের ঝুঁকির কারণ
বেশ কয়েকটি কারণ মৌখিক থ্রাশ বিকাশের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

দুর্বল ইমিউন সিস্টেম (যেমন, এইচআইভি/এইডস, ক্যান্সারের চিকিৎসা, অঙ্গ প্রতিস্থাপন)
ডায়াবেটিস
গর্ভাবস্থা
শুকনো মুখ (জেরোস্টোমিয়া)
নির্দিষ্ট ওষুধের ব্যবহার (যেমন, অ্যান্টিবায়োটিক, কর্টিকোস্টেরয়েড)
দাঁতের বা অন্যান্য মৌখিক যন্ত্রপাতি
ধূমপান বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
ওরাল থ্রাশের জটিলতা
যদিও ওরাল থ্রাশ সাধারণত গুরুতর অসুস্থতার কারণ হয় না, তবে চিকিত্সা না করা হলে এটি বিভিন্ন জটিলতার কারণ হতে পারে, বিশেষ করে দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। সম্ভাব্য জটিলতার মধ্যে রয়েছে:

গিলতে বা খেতে অসুবিধা
পুষ্টির ঘাটতি
শরীরের অন্যান্য অংশে (যেমন, অন্ননালী, ফুসফুস) মৌখিক থ্রাশ সংক্রমণের বিস্তার
সেকেন্ডারি ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়
বিরল ক্ষেত্রে, ওরাল থ্রাশ সিস্টেমিক ক্যান্ডিডিয়াসিস হতে পারে, একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করে এবং অবিলম্বে চিকিত্সা না করা হলে জীবন-হুমকি হতে পারে।
যখন একজন ডাক্তার দেখবেন
আপনি যদি নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে কোনটি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে চিকিত্সার যত্ন নিন:

গুরুতর বা ক্রমাগত মৌখিক থ্রাশ যা ওভার-দ্য-কাউন্টার চিকিত্সায় সাড়া দেয় না
গিলতে বা খেতে অসুবিধা
জ্বর বা সিস্টেমিক সংক্রমণের অন্যান্য লক্ষণ
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম বা অন্যান্য অন্তর্নিহিত সিস্টেমিক অবস্থা
রোগ নির্ণয়
আপনার ডেন্টিস্ট একটি রুটিন মৌখিক পরীক্ষা এবং চিকিৎসা ইতিহাসের মাধ্যমে ওরাল থ্রাশ নির্ণয় করতে পারেন। জিহ্বা, অভ্যন্তরীণ গাল বা গলায় বৈশিষ্ট্যযুক্ত সাদা ক্ষত সাধারণত এই অবস্থা নির্দেশ করে। আপনার ডাক্তার ক্যান্ডিডার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পটাসিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH) প্রস্তুতি বা সংস্কৃতি নামক একটি সাধারণ পরীক্ষাও করতে পারেন। অতিরিক্তভাবে, যদি ওরাল থ্রাশ বারবার বা ক্রমাগত হয়, তবে ডাক্তাররা ডায়াবেটিস বা ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডারগুলির মতো সংক্রমণে অবদানকারী অন্তর্নিহিত অবস্থাগুলি নির্ধারণ করতে আরও তদন্তের সুপারিশ করতে পারেন।

ওরাল থ্রাশের চিকিৎসা
ক্যান্ডিডা ওরাল থ্রাশের চিকিত্সা সংক্রমণের তীব্রতা এবং অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ওরাল থ্রাশ চিকিৎসার জন্য বেশি গ্রহণযোগ্য। সাধারণ মৌখিক থ্রাশ চিকিত্সা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত:

অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ:
টপিকাল অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধগুলি সরাসরি মুখের প্রভাবিত জায়গায় প্রয়োগ করা হয়।
ডাক্তাররা আরও গুরুতর বা ক্রমাগত ক্ষেত্রে মুখে মুখে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ দিতে পারেন।
probiotics:
প্রোবায়োটিক, যেমন ল্যাকটোব্যাসিলাস, মুখ এবং পাচনতন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে পারে।
ডায়েটরি পরিবর্তন:
চিনিযুক্ত এবং পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট খাবারের ব্যবহার কম করুন, যা ক্যান্ডিডিয়াল বৃদ্ধি-প্রমোটকারী এজেন্ট। পরিবর্তে, পুরো শস্য, ফল, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ সুষম খাবারের দিকে মনোনিবেশ করুন। অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন সেবন সীমিত করা আপনার শরীরের মৌখিক থ্রাশ সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতাকে আরও সমর্থন করতে পারে।
উন্নত মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি:
ভাল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করুন। দিনে দুবার সঠিকভাবে আপনার দাঁত ব্রাশ করুন, আপনার দাঁত ফ্লস করুন এবং একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
অন্তর্নিহিত শর্ত পরিচালনা:
যেসব ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত অবস্থা ক্যান্ডিডা ওরাল থ্রাশে অবদান রাখে, কার্যকরী চিকিত্সার জন্য এই অবস্থার সমাধান করা অপরিহার্য।
ওরাল থ্রাশ প্রতিরোধ
মৌখিক থ্রাশ প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য, ভাল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করা এবং একটি সুস্থ ইমিউন সিস্টেম বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু টিপস আছে:

দিনে দুবার সঠিক কৌশলে দাঁত ব্রাশ করুন এবং নিয়মিত ফ্লস করুন
একটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন
দাঁতের বা অন্যান্য মুখের যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরিষ্কার করুন এবং প্রতিস্থাপন করুন
চিনিযুক্ত বা পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারের অত্যধিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
ডায়াবেটিসের মতো অন্তর্নিহিত চিকিৎসা পরিস্থিতি পরিচালনা করুন
রক্ষণাবেক্ষণ ক সুষম খাদ্য এবং আপনার ডাক্তার দ্বারা সুপারিশ করা হলে প্রোবায়োটিক বা সম্পূরক গ্রহণ করুন
উপসংহার
ওরাল থ্রাশ, একটি সাধারণ ছত্রাকের সংক্রমণ, অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং কখনও কখনও যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, প্রকাশ এবং ঝুঁকির কারণগুলি বোঝার মাধ্যমে, আপনি কার্যকরভাবে মৌখিক থ্রাশ প্রতিরোধ এবং পরিচালনা করতে বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নিতে পারেন। আপনি যদি ক্রমাগত মুখের অস্বস্তি বা ওরাল থ্রাশের কোনো উপসর্গ অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে দ্বিধা করবেন না।

বিবরণ
1. ওরাল থ্রাশের সমস্যা কতটা গুরুতর?
ওরাল থ্রাশ সাধারণত একটি গুরুতর অসুস্থতা নয়, তবে এটি অস্বস্তির কারণ হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে, যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি জটিলতার কারণ হতে পারে। এই জটিলতাগুলি দুর্বল ইমিউন সিস্টেম বা দীর্ঘস্থায়ী সিস্টেমিক অবস্থার ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি সাধারণ।

2. মুখের থ্রাশের প্রধান কারণ কী?
অরোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্ডিডিয়াসিসের প্রাথমিক কারণ হল ক্যান্ডিডা ছত্রাকের অত্যধিক বৃদ্ধি। বেশ কিছু উপাদান, যেমন দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার, ডায়াবেটিস, গর্ভাবস্থা, শুষ্ক মুখ, দুর্বল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি, দাঁতের বা অন্যান্য মৌখিক যন্ত্রপাতি, এবং ধূমপান বা অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন, এই অত্যধিক বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

3. কিভাবে আমি ওরাল থ্রাশের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারি?
মৌখিক থ্রাশ থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে, আপনার ডাক্তারের প্রস্তাবিত চিকিত্সা পরিকল্পনা অনুসরণ করুন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, প্রোবায়োটিক, খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন এবং উন্নত মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি। ওভার-দ্য-কাউন্টার অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধগুলি সাময়িক ত্রাণও দিতে পারে, তবে ক্রমাগত বা গুরুতর ক্ষেত্রে প্রেসক্রিপশন-শক্তির ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।

4. নোনা জল কি ওরাল থ্রাশ নিরাময় করতে পারে?
নোনা জল প্রদাহ হ্রাস এবং নিরাময় প্রচার করে মৌখিক থ্রাশের লক্ষণগুলি উপশম করতে সহায়তা করতে পারে। যাইহোক, এটি মৌখিক থ্রাশের জন্য একটি নিরাময় নয় এবং আপনার ডাক্তার দ্বারা সুপারিশকৃত অন্যান্য চিকিত্সার সাথে একত্রে ব্যবহার করা উচিত।

5. ওরাল থ্রাশ কি নিজেই নিরাময় করতে পারে?
কিছু ক্ষেত্রে, হালকা ওরাল থ্রাশ নিজে থেকেই সমাধান হতে পারে, প্রাথমিকভাবে যদি ওরাল থ্রাশের অন্তর্নিহিত কারণটি সমাধান করা হয় (যেমন, মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি উন্নত করা, ডায়াবেটিস পরিচালনা করা, বা একটি সুস্থ ইমিউন সিস্টেম পুনরুদ্ধার করা)। যাইহোক, উপসর্গগুলি অব্যাহত থাকলে বা আরও খারাপ হলে চিকিৎসা নির্দেশিকা চাওয়া অপরিহার্য, কারণ চিকিত্সা না করা মৌখিক থ্রাশ বিভিন্ন জটিলতার কারণ হতে পারে।

ঠান্ডায় কি স্নায়ুর ব্যথা বাড়েনিউরোপ্যাথি বা স্নায়ুজনিত ব্যথার কারণ অনেক। সাধারণ কারণগুলো হলো, দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়...
06/01/2025

ঠান্ডায় কি স্নায়ুর ব্যথা বাড়ে

নিউরোপ্যাথি বা স্নায়ুজনিত ব্যথার কারণ অনেক। সাধারণ কারণগুলো হলো, দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, নানা ধরনের নার্ভ এনট্রাপমেন্ট বা নার্ভে চাপ পড়ার সমস্যা, ভিটামিন বি১২–এর অভাব, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি।

শীতকালে তীব্র ঠান্ডায় স্নায়ুজনিত ব্যথা বাড়তে পারে। কারণ, শীতে হাত–পায়ে রক্ত সঞ্চালন কমে। এ কারণে স্নায়ুতে যে রক্তপ্রবাহ করে সরু রক্তনালি দিয়ে—‘ভাসা নারভোসা’—তা সংকুচিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন আরও কমে যেতে পারে, বেড়ে যেতে পারে ব্যথা। এমনকি তীব্র ঠান্ডায় কারও কারও মাইগ্রেনের মাথাব্যথা বেড়ে যেতে পারে। মাংসপেশিতে রক্ত সঞ্চালন কমার কারণেও ব্যথা অনুভূত হয় বেশি।
এ ছাড়া শীতে অনেকেরই হাত–পা অতিরিক্ত ঠান্ডা হয়ে যায়। বিভিন্ন জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির চারপাশের ত্বক খুব বেশি ঠান্ডা হলে স্নায়ু প্রান্তগুলোর সংবেদনশীলতা বেশি হয়। কোনো কিছুর সঙ্গে আঘাত বা স্পর্শ লাগলে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। শীতকালে অনেক ক্ষেত্রে ভিটামিন ডির পরিমাণ হ্রাস পায়, যা মুড বা ভাব, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, পেশি কামড়ানো, হাড় ও জয়েন্টের সমস্যা তৈরি করে।

করণীয়
• শীতে যথেষ্ট গরম কাপড় পরুন। বিশেষ করে পায়ে মোজা ও হাতে গ্লাভস পরার চেষ্টা করুন। কারণ, হাত–পায়ের আঙুলে প্রান্তিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশি।
• ঠান্ডা কমাতে গরম সেঁক নেওয়া যায়। শীতে ড্রাই বা শুষ্ক সেঁক ভালো। তবে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির রোগীরা সতর্ক থাকবেন। কারণ, তাঁদের স্নায়বিক অনুভূতি কমে যায় বলে যথেষ্ট তাপ হলেও বুঝতে পারেন না এবং অতিরিক্ত গরমে পা পুড়িয়ে ফেলতে পারেন। রাতে কম্বল বা লেপের নিচে হট ব্যাগ নিয়ে ঘুমাতে হলে আগে তাপমাত্রা পরখ করে নিন বা হালকা গরম পানি ভরে নিন।
• শীতে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল, সনা বাথ ইত্যাদি বেশ কার্যকর।
• বয়স্ক ও ডায়াবেটিসের রোগীরা রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন। তবে এতে পরিবেশ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে শরীর পানিশূন্য হতে পারে। তাই ঘরের কোণে পানি রাখা ভালো।
• ক্যাফেইন শরীরকে পানিশূন্য করে রক্ত চলাচল আরও কমিয়ে দেয়। ধূমপানও করবেন না। যথেষ্ট পানি পান করুন।
• শীতে আলসেমি ও ব্যথাবেদনা বয়স্কদের কাবু করে ফেলে। লেপের নিচে শুয়ে থাকতে মন চায় বেশি। কিন্তু বিপাকক্রিয়া বাড়াতে ও তাপ উৎপাদন করতে সচল থাকতে হবে। বাইরের ঠান্ডা এড়াতে চাইলে ঘরের ভেতরে হাঁটুন বা ইনডোর অ্যাকটিভিটি করুন। হাত–পায়ের ব্যায়াম করুন। এতে রক্ত চলাচল বাড়বে।
• যথেষ্ট ভিটামিন ডি পেতে দিনের একটা সময় বারান্দা বা ছাদে রোদে অবস্থান নিন। ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যায়।
যদি ব্যথার তীব্রতা বাড়ে, হাত–পায়ের রং পরিবর্তিত হয়ে নীলচে হয় বা সেঁক নিতে গিয়ে ত্বকে পরিবর্তন চোখে পড়ে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

------------- ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি বিভাগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, ঢাকা

HMPV: চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভাইরাস 'এইচএমপিভি'! কী এই এইচএমপিভি? জানুন লক্ষণগুলিHMPV: বর্তমানে ফের চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি মারা...
06/01/2025

HMPV: চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভাইরাস 'এইচএমপিভি'! কী এই এইচএমপিভি? জানুন লক্ষণগুলি

HMPV: বর্তমানে ফের চোখ রাঙাচ্ছে আরও একটি মারাত্মক ভাইরাল। করোনা মহামারীর পর প্রায় ৫ বছর পর এবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (HMPV)। সম্প্রতি, চিনে একটি নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

ইতিমধ্যেই চিনের নানা প্রান্তে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। আবার বেশ কিছু মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। তবে বিশেষত, বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

তথ্য সূত্রে খবর, এই নয়া ভাইরাসের ক্ষেত্রে করোনার মতোই উপসর্গ। রোগীদের শ্বাসকষ্ট, জ্বর-কাশি ইত্যাদির মত সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসকরা এই ভাইরাস সম্বন্ধে আরও বিষদে জানতে ইতিমধ্যেই নানান বিষয়ে নজর রাখছেন। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নিই, হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস কী এবং এর লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় কী? হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি কী (What is Human Metapneumovirus)? বিশেষজ্ঞদের মতে, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি আবিষ্কৃত হয়েছিল ২০০১ সালে। অন্যান্য শ্বাসনালীর সংক্রমণকারী ভাইরাসের মতোই হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস। শিশুদের ক্ষেত্রে ফ্লুয়ের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যা বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। এর সঙ্গে 'ইনফ্লুয়েঞ্জা এ', 'মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া'-সহ আরও বেশ কয়েকটি ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভির লক্ষণ (Symptoms of HMPV)- হিউম্যান মেটোপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণের কিছু হালকা উপসর্গ থাকে ৷ যেমন সর্দি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা । গুরুতর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া। এই ভাইরাসের প্রভাব সংক্রমিত হওয়ার ৩-৬ দিন পরে দৃশ্যমান হয়। হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি প্রতিরোধের ব্যবস্থা (HMPV prevention measures)- আপনার কাছাকাছি কেউ হাঁচি দিলে মুখ ঢেকে রাখুন। হাত না ধুয়ে মুখ ও নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরুন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। এই ভাইরাস এড়াতে সময়ে সময়ে হাত ধুয়ে নিন।

❤️💚বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস নিয়মিত চেক করুন।১) ব্লাড প্রেসার।২) ব্লাড সুগার।🔸চারটি জিনিস একেবারেই ভুলে যান৷১) বয়স ...
03/09/2023

❤️💚বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুটো জিনিস নিয়মিত চেক করুন।
১) ব্লাড প্রেসার।
২) ব্লাড সুগার।

🔸চারটি জিনিস একেবারেই ভুলে যান৷
১) বয়স বাড়ছে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা,
২) অতীত নিয়ে সর্বদা অনুশোচনা করা,
৩) সবসময় দুঃখে কাতর হয়ে থাকা,
৪) মানসিক উৎকণ্ঠা বা উদ্বেগ।

🔸পাঁচটি জিনিস খাবার থেকে যত পারুন এড়িয়ে চলুন।
১) লবন,
২) চিনি,
৩) অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার ।
৪) অতিরিক্ত ভাজা ভূজি খাবার
৫) বাইরের কেনা খাবার বা প্রসেসেড ফুড।

🔸পাঁচটি জিনিস খাবারে যত পারুন বাড়িয়ে নিন।
১) সব রকমের সবুজ শাক
২) সব রকম সবুজ সব্জি, সীম বা মটরশুটি ইত্যাদি
৩) ফলমূল,
৪) বাদাম,
৫) প্রোটিন জাতীয় খাবার।

🔸মানসিক শান্তি বা সুখী হতে সাতটি জিনিস সবসময় সাথে রাখার চেষ্টা করুন।
১) একজন প্রকৃত ভালো বন্ধু,
২) নিজের সমগ্ৰ পরিবার,
৩) সবসময় সুচিন্তা,
৪) একটি নিরাপদ ঘর কিংবা আশ্রয়,
৫) অল্পেতে খুশি হওয়ার চেষ্টা,
৬) অতিরিক্ত অর্থ চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা,
৭) কিছু সময় আধ্যাত্মিক চর্চায় বা সৎসঙ্গ দেওয়া।

🔸ছয়টি জিনিষের চর্চা রাখুন।
১) অহংকার না করা,
২) সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলা,
৩) মানুষের সাথে ভালো আচরণ করা,
৪) নিয়মিত শরীর চর্চা করা ।কিছুক্ষণ হাঁটা নিয়মিত ।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।
৬) সরল ও সৎ জীবন যাপন

🔸সাতটি জিনিস এড়িয়ে চলুন।
১) কর্য,
২) লোভ,
৩) আলস্য,
৪) ঘৃণা,
৫) সময়ের অপচয়,
৬) পরচর্চা,পরনিন্দা
৭) কোনো রূপ নেশা বা আসক্তি

🔸পাঁচটি জিনিষ কখনোই করবেন না।
১) অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ে খেতে যাওয়া,
২) অতিরিক্ত পিপাসায় কাতর হয়ে জল পান করা,
৩) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে ঘুমোতে যাওয়া,
৪) অতিরিক্ত দূর্বল হয়ে বিশ্রাম নেওয়া,
৫) একেবারে অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া,

সব সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে সচেতন হোন

“সুস্থ্য থাকুন - ভাল থাকুন - ভাল রাখুন”

৷৷ সংগৃহীত।।

জেনে নিন ফ্যাটি লিভারে কী খাবেন, কী খাবেন নাফ্যাটি লিভার বর্তমান বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। অনেকে অল্প বয়সেই আক্রান্ত হচ্ছে...
31/07/2023

জেনে নিন ফ্যাটি লিভারে কী খাবেন, কী খাবেন না

ফ্যাটি লিভার বর্তমান বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। অনেকে অল্প বয়সেই আক্রান্ত হচ্ছেন ফ্যাটি লিভারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ফলে হতে থাকে যকৃতে প্রদাহ, আর ক্রমাগত প্রদাহ থেকে পরবর্তী সময়ে সিরোসিস বা ক্যানসার হওয়াও বিচিত্র নয়। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে হেপাটাইটিস ভাইরাসজনিত লিভার সিরোসিসকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেছে ফ্যাটি লিভারজনিত সিরোসিস। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে ফ্যাটি লিভার।

আমাদের দেশে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজই বেশি দেখা যায়। এর প্রধান কারণ স্থূলতা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও কায়িক শ্রমের অভাব। এই ফ্যাটি লিভারের আদতে কোনো চিকিৎসা নেই, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ছাড়া। ওজন কমানো, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামই পারে একমাত্র এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে। তাহলে জেনে নিন ফ্যাটি লিভার হলে কী কী খাবেন আর কী কী খাবেন না।

কী খাবেন

সবুজ শাকসবজি: গবেষণা বলছে, সবুজ পাতাওয়ালা শাকসবজির মধ্যে যে পলিফেনল ও নাইট্রেট পাওয়া যায়, তা যকৃতের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে রান্না ও সেদ্ধ করে ফেললে এর পলিফেনলের পরিমাণ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। তাই সেদ্ধ করে পানি না ফেলে বা সম্ভব হলে কাঁচা সালাদে যতটা সম্ভব সবুজ পাতাওয়ালা সবজি, যেমন শাক, লেটুস ও অন্যান্য পাতা খেতে চেষ্টা করুন।

ডাল ও বীজজাতীয় খাবার: ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদি খাবারে স্টার্চ ও আঁশ প্রচুর। এসব খাবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর, একই সঙ্গে ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে। সয়াপ্রোটিন ও টফুও উপকারী। সয়াতে যে বিটা কনগ্লাইসিন থাকে, তা ট্রাইগ্লিসারাইড ও ভিসেরাল ফ্যাট কমায়। সূর্যমুখীর বীজে আছে প্রচুর ভিটামিন ই, যা ফ্যাটি লিভারের জন্য ভালো।

সামুদ্রিক মাছ: ইলিশ, রূপচাঁদা, টুনা, স্যামন, সার্ডিন ইত্যাদি ওমেগা ৩ তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছ উপকারি এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে যকৃতে চর্বি ও প্রদাহ কমায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সপ্তাহে অন্তত তিন দিন মাছ খাওয়া উচিত।

ওটস ও জটিল শর্করা: ফ্যাটি লিভার থেকে রেহাই পেতে আপনাকে জটিল শর্করা, যেমন ওটমিল বা লাল আটার বা যবের রুটি খেতে হবে।

বাদাম: নানা ধরনের বাদাম রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। বাদাম ইনসুলিন রেজিসট্যান্স কমায়, প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। চার-পাঁচটা আখরোট, কাজুবাদাম হতে পারে আপনার রোজকার বৈকালিক নাশতা।

মসলা: কাঁচা হলুদের কারকিউমিন ও কাঁচা রসুন যকৃতের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

যে ছয়টি খাবার খাবেন না

চিনি: ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু কিন্তু চিনি বা শর্করা, ফ্যাট নয়। সাদা চিনি এবং চিনিযুক্ত যেকোনো খাবার, ডেজার্ট, জুস বা পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়তি চিনিই ট্রাইগ্লিসারাইড হিসেবে যকৃতে জমা হয়।

ভাজাপোড়া খাবার: উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা যেকোনো খাবার এড়িয়ে চলুন। চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, যেকোনো ফাস্ট ফুড আপনার জন্য নিষেধ।

লবণ: দৈনিক ২ হাজার ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। এর মানে রান্নায় যে লবণ ব্যবহৃত হয় এর বাইরে যেকোনো লবণ, লবণযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার নিষেধ।

সহজ শর্করা: সাদা ভাত, ময়দার তৈরি পাউরুটি ও পরোটা, নান, নুডলস, পাস্তা ইত্যাদি যকৃতে চর্বি বাড়াবে। এর পরিবর্তে বেছে নিন লাল আটার রুটি, ব্রাউন ব্রেড বা লাল চাল, তা-ও পরিমিত পরিমাণে।

রেড মিট: রেড মিট, যেমন গরু বা খাসির মাংস খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। মাসে এক বা দুই দিন দু-তিন টুকরা চর্বি ছাড়ানো মাংস খেতে পারেন। এর সম্পৃক্ত চর্বি আপনার জন্য ক্ষতিকর।

অ্যালকোহল: অ্যালকোহল যকৃতের শত্রু। তাই যেকোনো ধরনের অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন ফ্যাটি লিভার হলে।

ফ্যাটি লিভারের জন্য একটি আদর্শ খাদ্যতালিকা:

সকালের নাশতা: এক বাটি ওটস বা দুটি লাল আটার রুটি বা ব্রাউন ব্রেড (পিনাট বাটার দিয়ে খেতে পারেন), এক চামচ চিয়া সিড, যেকোনো একটা ফল, এক কাপ কফি বা গ্রিন টি।

দুপুরের খাবার: মাঝারি আকারের এক বা দুই পিস মাছ বা মুরগির মাংস দিয়ে এক কাপ লাল চালের ভাত, সবুজ পাতাওয়ালা সবজি সেদ্ধ বা সালাদ (অলিভ অয়েল ড্রেসিং দিয়ে নিতে পারেন), ডাল।

বিকেলের নাশতা: একটা আপেল অথবা পাঁচ-ছয়টা কাজুবাদাম বা আখরোট।

রাতের খাবার: বিনস, ব্রকলি, শসা, টমেটো ইত্যাদি দিয়ে এক বাটি সালাদ, এক কাপ টক দই।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

Address

Dhaka
1212

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আপনার স্বাস্থ্য - Your Health posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram