Psychologist Farzana Khatun

Psychologist Farzana Khatun I am a mental health professional.

The purposes of this page is to give the psychological services (counselling/ psychotherapy) this services should be paid and unpaid system too.

01/08/2025

বিষয় : এসারটিভ কমিউনিকেশন (Assertive Communication) কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Farzana Khatun
Assistant Educational Psychologist
MS (Department of Educational and Counselling Psychology, DU)
BS (Psychology, JNU)
Chamber: Shin Shin Japan Hospital,sector 11,Uttora.
For appointment: Call or whatsApp: 01779532144

এসারটিভ কমিউনিকেশন (Assertive Communication) হল এমন একটি যোগাযোগ পদ্ধতি যেখানে ব্যক্তি স্পষ্টভাবে তার চিন্তা, অনুভূতি এবং চাহিদা প্রকাশ করে, তবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এবং তাদের অধিকারকে সম্মান করে। এটি একটি গঠনমূলক এবং সম্মানজনক উপায়ে নিজের মতামত এবং অনুভূতি প্রকাশ করার একটি মাধ্যম।

সংক্ষেপে, এসারটিভ কমিউনিকেশন হল:

নিজের অধিকার এবং অনুভূতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া।

অন্যের অধিকার এবং অনুভূতিকে সম্মান করা।

স্পষ্ট এবং সরাসরি যোগাযোগ করা।

নিজের চাহিদা এবং মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা।

অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং তাদের কথা শোনা।

দ্বন্দ্ব এড়াতে সাহায্য করা এবং সম্পর্ক উন্নত করা।

এসারটিভ কমিউনিকেশন-এর মূল বিষয়গুলো হল:

স্পষ্টতা:

নিজের চাহিদা এবং অনুভূতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা।

সরাসরি:

সরাসরি যোগাযোগ করা, যা অপ্রয়োজনীয় জটিলতা এড়িয়ে চলে।

শ্রদ্ধা:

অন্যের মতামত এবং অনুভূতিকে সম্মান করা।

আত্মবিশ্বাস:

নিজের কথায় এবং আচরণে আত্মবিশ্বাসী হওয়া।

সম্মান:

নিজের এবং অন্যের প্রতি সম্মান বজায় রাখা।

উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি কারো আচরণে অসন্তুষ্ট হন, তবে এসারটিভলি আপনি বলতে পারেন, "আমি আপনার এই আচরণে দুঃখিত, কারণ এটি আমার অনুভূতিতে আঘাত করে। অনুগ্রহ করে ভবিষ্যতে এই ধরনের আচরণ করা থেকে বিরত থাকবেন।" এই উদাহরণে, আপনি আপনার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন, সরাসরি কথা বলেছেন এবং অন্যের প্রতি সম্মান বজায় রেখেছেন।

যেকোনো ধরনের মানসিক সহায়তা পেতে পেজে এসএমএস করুন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুন এই নাম্বারে( 01779532144) আপনার সম্পূর্ণ তথ্য গোপন রাখা হবে।

26/07/2025

বিষয়: মাইলস্টোন স্কুল বিমান দুর্ঘটনা ও শিশুদের মানসিক ট্রমা:
ঘটনায় শিশু ও কর্মচারী মারা যান এবং আহত হন, যার অনেকেই শিশুসহ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল যখন অনেক শিশু খেলার মাঠে, শ্রেণিকক্ষে বা করিডরে অবস্থান করছিল। অনেকেই ঘটনাটি সরাসরি দেখেছে বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনা শিশুদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে এক গভীর মানসিক আঘাত, যা দীর্ঘমেয়াদী ট্রমা বা PTSD এ রূপ নিতে পারে।

শিশুর ট্রমা ও PTSD কী?
PTSD (Post-Traumatic Stress Disorder): PTSD হল এমন এক মানসিক অবস্থা, যা একজন ব্যক্তি যখন কোনো ভয়ানক, জীবন-হানিকর বা ধ্বংসাত্মক ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন তার মানসিক কাঠামোতে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন ঘটে।

শিশুদের ক্ষেত্রে, এই ট্রমা অনেক সময় বোঝা যায় না । কারণ তারা কথা দিয়ে ব্যথা প্রকাশ করতে পারে না। তাদের আচরণ, ছবি আঁকা, খেলার ধরন, ঘুম, খাওয়া-দাওয়ায় ইত্যাদির মধ্যেমে তাদের PTSD লক্ষণ গুলো প্রকাশ করে। সেগুলো নিচে আলোচনা করা হল-

শিশুদের PTSD এর লক্ষণ – বিভিন্ন স্তর অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলাম:
🟡 ১ম স্তর – তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া (দুর্ঘটনার ১ম সপ্তাহ) লক্ষণ:
1. আতঙ্ক, কান্নাকাটি- যেমন বারবার কাঁদে, বলে “প্লেন আসবে”
2. বিমানের শব্দে ভয়- হঠাৎ পাশ দিয়ে প্লেন গেলে কেউ কেউ কান বন্ধ করে ফেলে
3. কথা কমিয়ে ফেলা- কোনো কথা বলে না, শুধু তাকিয়ে থাকে ।

🟠 ২য় স্তর – মাঝারি সময়ের ট্রমা (২ সপ্তাহ থেকে ১ মাস) লক্ষণ:
1. দুঃস্বপ্ন- ঘুমের মাঝে চিৎকার করে উঠে, “আগুন লাগছে!”
2. খাওয়া-দাওয়ায় অনীহা- কিছুই খেতে চায় না, বমি আসে
3. একা থাকতে না চাওয়া - সবসময় বাবা বা মাকে ধরে রাখে, বাথরুমেও একা যায় না

🔴 ৩য় স্তর – দীর্ঘমেয়াদী PTSD (১ মাসের বেশি) লক্ষণ:
1. স্কুলে না যেতে চাওয়া - স্কুল দেখলেই কাঁদে, বলে “সেই স্কুল, আমি যাব না”
2. একা একা খেলা করা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা- কারো সঙ্গে খেলে না, নিজের পুতুলের সঙ্গে কথা বলে
3. নিজের প্রতি ঘৃণা / আত্মঘাতী ইঙ্গিত- কেউ কেউ বলে “আমি না থাকলেই ভালো হতো”

🔶 শিশুরা ট্রমা কীভাবে প্রকাশ করে (Developmental Expression) লক্ষণ:
1. ৩–৬ বছরের শিশু- আঁকাআঁকি, ঘুমে ভয়, পুতুলের মাধ্যমে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে।
2. ৭–১২ বছর- চুপচাপ থাকা, স্কুলে সমস্যা, দুঃস্বপ্ন, হঠাৎ রাগ
3. ১৩–১৮ বছর- বিষণ্ণতা, একাকীত্ব, আত্মঘাতী চিন্তা, Substance use ঝুঁকি

করণীয় : শিশুর জন্য সহায়তামূলক পরিবেশ তৈরি
🏠 পরিবারে করণীয়:

✅ শ্রবণ ও সাহচর্য: শিশুর গল্প মন দিয়ে শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন — তারা বলুক বারবার, আপনি শুনুন
✅ ভয়কে স্বাভাবিক করুন: বলুন “ভয় পাওয়া একেবারে ঠিক, আমি তোমার পাশে আছি”
✅ নিয়মিত রুটিন বজায় রাখুন: ঘুম, খাওয়া, খেলাধুলা, পড়াশোনা — এই রুটিন শিশুর মনে নিরাপত্তা তৈরি করে
✅ সৃজনশীল প্রকাশের সুযোগ দিন: আঁকাআঁকি, পুতুল খেলা, গান, নাটক—এগুলো শিশুদের ট্রমা প্রকাশে সহায়ক
✅ পরিবারে সংবাদ বা আলোচনা নিয়ন্ত্রণ করুন: বারবার টিভিতে দুর্ঘটনার ছবি/ভিডিও দেখানো থেকে বিরত থাকুন।

🏫 স্কুলে করণীয়:

✅ ট্রমা-সেনসিটিভ ক্লাসরুম:
• শিক্ষকেরা যেন শিশুদের আচরণকে শাস্তির চোখে না দেখে
• শিশু যদি কাঁদে, আতঙ্কিত হয় — সহানুভূতির সঙ্গে পাশে থাকুন

✅ কাউন্সেলিং ও Safe Space:
• সপ্তাহে অন্তত একদিন একজন পেশাদার কাউন্সেলর যেন স্কুলে ভিজিট করেন
• শিশুদের জন্য একটি ‘Calm Room’ তৈরি করা যেতে পারে

✅ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক:
• শিক্ষকদের জন্য ট্রমা-সচেতনতা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়ার্কশপ আয়োজন করুন

✅ সামাজিক পুনর্বাসন:
• দলগত কাজ, গ্রুপ আর্ট, মিউজিক থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে শিশুদের মানসিক সংযোগ ফিরিয়ে আনুন

কখন বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে?

1. ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন- ২ সপ্তাহের বেশি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট দেখান
2. আত্মঘাতী ইঙ্গিত যে কোনো সময় তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ
3. স্কুল-খেলাধুলা-সামাজিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন ৩ সপ্তাহের বেশি ডেভেলপমেন্টাল থেরাপি প্রয়োজন
4. বার্ন ইনজুরি + PTSD একত্রে চিকিৎসা দরকার বার্ন ইউনিটে সাইকোলজিকাল সাপোর্ট সংযুক্ত করুন

🔶 বাংলাদেশে সহায়তা পাওয়ার স্থান

সরকারি:
• জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (NIMH), ঢাকা
• BSMMU Child Psychiatry Unit/ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
• Shishu Hospital Mental Health Cell (Proposed).

Writer: Md. Ashadujjaman Mondol
Clinical Psychologist

22/07/2025
বিষয়: ধর্মীয় ওসিডি (Religious OCD) / স্ক্রুপুলোসিটি:ধর্মীয় ওসিডি মানে এমন একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে একজন ব...
12/07/2025

বিষয়: ধর্মীয় ওসিডি (Religious OCD) / স্ক্রুপুলোসিটি:
ধর্মীয় ওসিডি মানে এমন একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে একজন ব্যক্তি:
•অতিরিক্ত ভয় পান যে তিনি আল্লাহ, ভগমান, গড, ঈশ্বরকে অপমান করেছেন বা পাপ করেছেন
•ধার্মিক আচরণ যেমন নামাজ, দোয়া, রোজা, কোরআন, পূজা , বাইবেল, গীতা, ত্রিপাঠক পাঠ — সেগুলোতে “ভুল হয়েছে” এমন অনুভূতিতে ভোগেন
•বারবার ধর্মীয় আচার পালন করেন, যাতে নিজের সন্দেহ দূর হয়। এর ফলে রোগীর মধ্যে একধনের ভয় কাজ করে ।

আরেকটি বিষয় ধর্মীয় OCD কিন্তু যার যার ধর্ম অনুযায়ী আলাদা আলাদা হবে । অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের হলে ইসলামের বিষয় যেমন আল্লাহ, কোরআন, নামাজ, ওজু, ইত্যাদি নিয়ে হবে । ঠিক তেমনি হিন্দু ধর্মের হলে হিন্দু ধর্মের বিষয়, খ্রিস্টান ধর্মের হলে সেটার বিষয় নিয়ে হবে, বৌদ্ধ ধর্মের হলে সেটার বিষয় নিয়ে হবে ।

প্রধান লক্ষণ: গুলো মুলত দুইটি ভাবে ভাগ করা হয়:

১. অবসেশন (Obsessions): এই চিন্তাগুলো আকস্মিকভাবে আসে এবং ব্যক্তি সেগুলো না চাইলেও বারবার মাথায় আসে:
• “আমি কি আল্লাহকে অপমান করেছি?”
• “আমার মনে খারাপ চিন্তা এসেছে, আমি কি পাপ করছি?”
• “নামাজে ভুল হয়ে গেলে কি সব বরবাদ হয়ে গেল?”
• “আমি ঠিকভাবে রোযা রাখলাম তো?”

২. কম্পালশন (Compulsions): মানসিক চাপ কমাতে বারবার করা হয় এইসব কাজ:
• এক নামাজ বারবার পড়া
• কোরআন বা হাদিস বারবার পড়ে “সঠিক” বুঝে নেওয়া
• অন্যদের (মাওলানা, পীর, বাবা-মা) কাছে বারবার জিজ্ঞেস করা “আমি ঠিক আছি তো?”
• মসজিদ বা ধর্মীয় জায়গাগুলোতে অযথা বারবার যাওয়া
• ধর্মীয় কাজ নিয়ে অতিরিক্ত গিল্টি ফিলিং, এমনকি নিখুঁতভাবে করলেও

এইখানে ধর্মীয় অংশটা মুখ্য নয় — মুখ্য হলো:
• চিন্তাকে “বিপজ্জনক” মনে করা
• ভুল না করার চাপ
• নিজেকে সবসময় বিশুদ্ধ প্রমাণ করার প্রবণতা

এগুলোর যেকোনো বিষয় (ধর্ম, স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, নৈতিকতা) কেন্দ্র করে OCD তৈরি হতে পারে।

নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:

ইসলাম ধর্মের উদাহরণ:

ফারহানা ওজু করার সময় মনে করে, “একটু জায়গা হয়তো শুকনো রয়ে গেছে!” — সে বারবার ঘষে পানি দেয়, এক সময় আঙুলে ক্ষত তৈরি হয়।

জুবায়ের নামাজে দাঁড়ালেই মনে হয় সে “মন থেকে ঠিক মনোযোগ দিতে পারছে না।” তাই সে প্রতি নামাজ ৪–৫ বার করে পড়ে।

নাঈমা রাতে ঘুমাতে পারছেন না, কারণ মনে হয় “আমার মনে খারাপ চিন্তা এসেছে, আল্লাহ্‌ হয়তো আমাকে মাফ করবেন না।” সে কাঁদতে কাঁদতে সারা রাত তাওবা করে।

শামীম, ২০ বছরের ছাত্র, প্রতিবার অজু করতে গিয়ে ভাবে, “নাক ঠিকমতো ধুলাম তো?”, “চোখে পানি গেছে তো?”, তাই অজু করতে তার ১৫-২০ মিনিট লেগে যায়।
➡️ এই বেশি সময় অজু করার পেছনে ইচ্ছা নয়, বরং ভয়: “নামাজ অশুদ্ধ হয়ে যাবে, আল্লাহ রুষ্ট হবেন।”

মাহমুদা আপা, নামাজে দাঁড়ালেই তার মনে হয় — “আমি হয়তো আল্লাহকে অসম্মান করলাম, ভুল পড়লাম, বা খারাপ চিন্তা চলে এলো।”
➡️ সেই কারণে তিনি প্রতিটি নামাজ ২-৩ বার করে পড়ে, একঘন্টারও বেশি সময় লাগে।

তামান্না, প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে ১০০ বার তাওবা পড়ে, কারণ তার ভয় — “আমার মনে একবার খারাপ চিন্তা এলো, আমি শাস্তি পাবো।”

হিন্দু ধর্মের উদাহরণ:

অর্ণব প্রতিদিন পূজার আগে ঘরের মেঝে কমপক্ষে ৭ বার পানি দিয়ে ধুয়ে নেন। কারণ তার মনে হয়, জায়গাটা অপবিত্র হতে পারে।
জয়ন্তী কোনো ভুলভাবে মন্ত্র উচ্চারণ করলে মনে করেন, “দেবতা রেগে গেছেন।” তিনি আবার পূজার সমস্ত প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করেন।

রাজীব, পূজার সময় এক পলকে মনে করল — “এই প্রতিমা যদি পাথর হয়?” এরপর সে ভয়ে কাঁপতে থাকে এবং পূজা বন্ধ করে দেয়।
➡️ তার চিন্তাটি বাস্তব না হলেও, OCD এর কারণে মনে হচ্ছে সে ভয়ানক পাপ করেছে।
সুমিত্রা, পূজার আগে মনে করে, তার কাপড় পুরোপুরি বিশুদ্ধ হয়নি। সে বারবার গোসল করে, পোশাক বদলায়, পূজা করতে গিয়ে ২ ঘণ্টা দেরি হয়।

খ্রিস্টান ধর্মের উদাহরণ:

এলিজা বাইবেল পড়ার সময় কোনো শব্দ স্পষ্টভাবে না বুঝলে ভয় পায় — “আমি কি ঈশ্বরের বাণী ঠিকমতো নিলাম না?” এরপর সে পুরো অধ্যায় আবার পড়ে।
জ্যাকব প্রার্থনার সময় হঠাৎ এক নেতিবাচক চিন্তা আসে, “আমি ঈশ্বরকে অপমান করলাম কি?” — এরপর সে নিজেকে থাপ্পড় মেরে শাস্তি দেয়।

ড্যানিয়েল, প্রার্থনার সময় মনে করে — “আমি কি ঈশ্বরের নাম সঠিকভাবে বললাম?”
➡️ সে প্রতিবার প্রার্থনা ৩-৪ বার করে করে যতক্ষণ না মনে হয় ঠিক হয়েছে।
আনা, চার্চে গিয়ে কনফেশন করে, কিন্তু বাসায় ফিরে আবার ভাবেন “আমি সব পাপ বলিনি!” — তাই তিনি সপ্তাহে ৩-৪ বার কনফেশন করতে যান।

বৌদ্ধ ধর্মের উদাহরণ:

মায়া প্রতিদিন “পাঁচটি প্রতিজ্ঞা” (Five Precepts) পাঠ করেন, কিন্তু মনে হয় সঠিকভাবে স্মরণ হয়নি। তিনি তা ২০–৩০ বার পড়েন যতক্ষণ না পুরোপুরি ‘বিশুদ্ধ’ মনে হয়।

অমিত, যখন কোনো ক্ষুদ্র প্রাণীকে ভুলে পিষে ফেলে, তখন কয়েকদিন খাবার না খেয়ে নিজেকে শাস্তি দেয়।

সুজাতা, ধ্যান করতে গিয়ে হঠাৎ একটি ‘মন্দ’ চিন্তা মনে এলো — সে ভয় পায় এই খারাপ চিন্তার কারণে তার কুশল কর্ম শেষ হয়ে গেছে।
➡️ সে দিনে ৫-৬ বার ধ্যান করে শুধুমাত্র সেই চিন্তাটি দূর করার জন্য।
মোহন, বৌদ্ধ উপাসক, হঠাৎ হাঁটার সময় একটি পিঁপড়ে পিষে ফেলে। সে এরপর অনেকক্ষণ অনুতপ্ত থাকে এবং নিজের ওপর মানসিকভাবে কঠোর হতে থাকে।

শিক্ষার্থী / তরুণদের উদাহরণ:
ইকরাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পরীক্ষা দিতে গিয়ে মাঝে মাঝে মনে করে — “এই পরীক্ষার আগে ঠিকমতো নামাজ পড়লাম তো?” — চিন্তায় পরীক্ষা চলাকালীন বারবার বাইরে গিয়ে নামাজ পড়ে।

প্রীতি, কলেজ ছাত্রী, প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে ওঠে ৭ বার দোয়া পড়ে। কারণ মনে হয় না পড়লে তার পরিবারের কেউ হয়তো মারা যাবে।

বাচ্চা বয়সে OCD শুরু: ১১ বছর বয়সী নাফিসা, নামাজ পড়তে গেলে ভাবে, “আমি মন থেকে খারাপ কিছু ভাবলাম না তো?” — তাই সে অজান্তে নিজের উপর রাগ করে, কান্না করে।

পরিবারের প্রভাব: মা বলেন, “ভুল হলে পাপ হবে”, এই কথা শোনার পর থেকে ছেলে রাব্বি মনে করে যে প্রতিটি দোয়া যদি ঠিক না হয়, সে জাহান্নামে যাবে। ফলে OCD বাড়ে।

ধর্মীয় ওসিডি (Religious OCD) চিকিৎসার জন্য কি ধর্মীয় মনোবিজ্ঞানী (Religious Psychologist) দরকার?
উত্তর:
না, আবশ্যিক নয়।

ধর্মীয় গুরু বা ধর্মীয় মনোবিজ্ঞানী(ইমাম, পাদ্রী, পুরোহিত, ভিক্ষু) কেন ধর্মীয় OCD-এর চিকিৎসায় কার্যকর হন না?

১. OCD একটি মানসিক রোগ — ধর্মীয় নয়
•OCD বা Religious OCD মূলত আনইচ্ছাকৃত চিন্তা ও তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া নিয়ে গঠিত।
•এটি মস্তিষ্কের overactive error-detection system, anxiety এবং compulsive behavior–এর সমন্বয়ে তৈরি হয়। অর্থাৎ, ব্যক্তির মস্তিষ্ক সবকিছুতে “ভুল” বা “বিপদ” খুঁজে পায়।

🧬 মস্তিষ্কের ভূমিকায়:
•Orbitofrontal Cortex — এই অংশটি চিন্তা ও ভুলের বিশ্লেষণ করে। OCD-তে এটি অতিরিক্ত সচল হয়ে ওঠে।
•Amygdala — ভয় ও উদ্বেগ তৈরি করে
•Serotonin imbalance — OCD রোগীদের ক্ষেত্রে ব্রেনের সেরোটোনিন কার্যকারিতায় সমস্যা দেখা যায়।

• এই রোগের চিকিৎসা হয় থেরাপি (CBT/ERP) ও কখনও ওষুধ দিয়ে।

* অনেক ক্ষেত্রে বিষয়টি লার্নিং হয়ে থাকে আবার বংশগত হয়ে থাকে বা জেনেটিক এর প্রভাব থাকে ।

ধর্মীয় গুরু পাপ নিয়ে চিন্তা বোঝেন, কিন্তু রোগ হিসেবে চিনেন না:
•ওসিডি-তে রোগীর মাথায় অসংখ্য অনিচ্ছাকৃত চিন্তা আসে, যেগুলো সে নিজেই চায় না
•ধর্মীয় গুরু সাধারণত এসব চিন্তাকে “গুনাহ”, “ঈমান দুর্বলতা”, বা “শয়তানের ওয়াসওয়াসা” বলে ব্যাখ্যা করেন
•ফলে রোগী নিজেকে আরও বেশি দোষী ভাবতে শুরু করে

২. OCD হলো মানসিক রোগ, বিশ্বাসের দুর্বলতা নয়
•OCD রোগীর মস্তিষ্কে ভুল সংকেত পাঠায়, তাই সে বারবার সন্দেহ করে বা কাজ পুনরাবৃত্তি করে এটা কোনো আত্মিক দুর্বলতা নয় — এটা neurochemical imbalance এবং cognitive distortion
•ধর্মীয় গুরু সাধারণত এই মস্তিষ্কগত বা মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া বোঝেন না

৩. তারা চিকিৎসা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন: ধমীয় সাইকোলজিস্ট ধর্ম সম্পর্কে ভাল জানেন কিন্তু থেরাপি সম্পর্কে তার কোন প্রশিক্ষণ নাও থাকতে পারে। আবার থেরাপিস্ট ইসলাম ধর্মের কিন্তু পেশেন্ট আসল হিন্দু বা অন্য ধর্মের তখন কি হবে? মনে একদম জগাখিচুড়ি।

৪. উল্টো অনেক সময় রোগ বাড়িয়ে দিতে পারেন
•কেউ কেউ বলেন: “তুমি ঈমান দুর্বল, বেশি দোয়া করো, শয়তান তাড়াও”
• ফলাফল:
• রোগী আর বেশি কম্পালসন (রিচুয়াল) করতে থাকে
• OCD-এর চক্র আরও শক্তিশালী হয়

➡️ রোগী শান্তি পায় না, বরং ধর্মকে ভয় পেতে শুরু করে

⚠️ ধর্মীয় গুরু কখন সহায়ক?

✅ যদি তারা বুঝেন যে রোগী মানসিক সমস্যায় আছেন
✅ যদি তারা রোগীকে মানসিক থেরাপিস্ট বা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে রেফার করেন
✅ যদি তারা বলেন:

“তুমি অসুস্থ, পাপী নও। চিকিৎসা নাও — আল্লাহ তোমার মনের শান্তি চান।”

📌 রোগী কী করতে পারে?
• ধর্মীয় গুরুকে সম্মান করুন, কিন্তু মানসিক চিকিৎসা নিন পেশাদারদের কাছ থেকে
• রোগ সম্পর্কে পরিবার ও গুরুজনকে সচেতন করুন
• বিশ্বাস করুন: আপনার চিন্তা পাপ নয়, এটা একটি অসুস্থতা — এবং আপনি নিরাময়ের পথে যেতে পারেন

✅ ধর্মীয় ওসিডি চিকিৎসার মূল উপাদান হলো:
• Cognitive Behavioral Therapy (CBT), বিশেষ করে ERP (Exposure and Response Prevention)
• প্রয়োজনে SSRI জাতীয় ওষুধ
• থেরাপিস্টের সহানুভূতি ও বিজ্ঞানভিত্তিক বোঝাপড়া

Writer:
Md.Ashadujjaman Mondol

20/06/2025

যুদ্ধ কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। সাধারন মানুষ হয় ভুক্তভোগী। তবে ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ব্যাতীত কোন উপায় ছিলো কি?

টক্সি'ক মাদার!⁉️বিষ'ক্ত মা!!⁉️জি।অনেক পাবেন আশেপাশে। অনেকে এটা মানতেই চায় না যে, অনেক মায়েরাও সন্তানের বেলায় টক্সিক হয়ে ...
14/06/2025

টক্সি'ক মাদার!⁉️বিষ'ক্ত মা!!⁉️

জি।অনেক পাবেন আশেপাশে।
অনেকে এটা মানতেই চায় না যে, অনেক মায়েরাও সন্তানের বেলায় টক্সিক হয়ে থাকে।
হ্যাঁ, জন্মদাত্রী মা!⁉️
এসব মায়েরা ছেলে-মেয়ের মধ্যে কিংবা দুই মেয়ে/দুই ছেলের ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। এক সন্তান থাকে চোখের মনি, অন্য সন্তান যেন দুই চোখের বিষ। একজনের একশটা ভুল অনায়াসে মাফ, অন্যজনের একটি মাত্র ভুলকে দশগুণ বড় করে তোলে মানসিক অত্যাচার!
-------------------------------------------
টক্সিক মায়েরা অবলীলায় সন্তানদের দূর্নাম করে বেড়ান আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের নিকটে। এমনকি তাদের সামনে সন্তনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেও ছাড়েন না। এমন ভাব দেখান, এ যেন তার সন্তান-ই নয়।😅

এর সীমালঙ্ঘনের জন্য দায়ী পরিবারের পুরুষ, অর্থাৎ সন্তানের পিতা।প্রায় সময় দেখা যায়,স্বামী তার টক্সি'ক স্ত্রীকে সমর্থন করে যাচ্ছে। কেবল, নিজে বাঁচার জন্য। সন্তান তার মায়ের টক্সি'ক আচরণের শীকার হয়ে ভয়ে পাংশু মুখে অধীর আগ্রহে পিতার ঘরে ফিরার অপেক্ষা করে যখন দেখে, পিতাও তাল মিলিয়ে অপ্রীতিকর আচরণ করছে, তখন সে-ই সন্তানের আশার প্রদীপ এমনিও নিভে যায়।

সে তখন ভাবতে শুরু করে, পৃথিবীর বুকে সে এক নিঃসঙ্গ জীব।যার কেউ নেই,কিছুই নেই।

একটি শিশুর শৈশব নষ্ট হওয়ার জন্য টক্সি'ক বাবা-মা-ই যথেষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে শুধু শৈশব নয়, পুরো জীবনটাও বরবাদ হয়ে যায়। এটা আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না। কেবল পরিস্থিতির শীকার হওয়া সন্তানরা বুঝে তাদের জীবন কতটা নিরানন্দ হয়ে গেছে।

আপনার সন্তানকে ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ দিন। স্ত্রী/স্বামীর টক্সিক আচরণের প্রতিবাদ করুন। স্ত্রী/স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে তাল মিলিয়ে সন্তানকে আক্রম'ন করবেন না। সন্তানকে বুঝার চেষ্টা করুন, সবসময় বাবা-মা-ই সঠিক হয় না। আপনার সঙ্গী/সঙ্গীনী যখন সন্তানের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করে, তখন বিষয়টা ভালোভাবে বুঝে সমাধানের চেষ্টা করুন। একটি সন্তানকে শৈশব থেকে নেতি'বাচক প্রভাবে বেড়ে তুলবেন না।

সময় ঠিকই একদিন আপনার সব হিসেব চুকিয়ে দিবে। যে-ই দূর্বল ছোট্ট শিশুর প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে মানসিক ট'র্চার করছেন, একদিন সে-ও সমগ্র শক্তি নিয়ে বড় হবে। সেদিন যেন আপনার করা আচরণ আপনাকে ফিরিয়ে না দেয়!

11/06/2025

Allah says: “Take one step towards me, I will take ten steps towards you. Walk towards me, I will run towards you.”

Hadith Qudsi.

Collected picture
05/06/2025

Collected picture

collected picture
04/06/2025

collected picture

আমার মা একজন ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গৃহিনী এবং আমাদের বাসার সেকেন্ড হায়েস্ট ইকোনমিক কন্ট্রিবিউটর। গৃহিনীরা আবার কীভাবে...
03/06/2025

আমার মা একজন ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গৃহিনী এবং আমাদের বাসার সেকেন্ড হায়েস্ট ইকোনমিক কন্ট্রিবিউটর। গৃহিনীরা আবার কীভাবে ইকোনমিক কন্ট্রিবিউশন করে এইটা অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তাই একটা এক্সামপল দিয়ে এক্সপ্লেইন করি।

আমি যে পরিমাণ ভাত প্রতিবেলায় খাই, সেটার জন্য প্রায় ১৫০ গ্রাম মত চাল লাগে। আমরা যে চালের ভাত খাই সেটার ১৫০ গ্রামের দাম প্রায় ১৪ টাকা। আমরা দ্বিমুখী চুলার গ্যাস বিল দিই ১০৮০ টাকা, এর মানে এক চুলার জন্য মাসে ৫৪০ টাকা, দিনে ১৮ টাকা, ঘন্টায় ৭৫ পয়সা। ভাত রান্না করতে ২০ মিনিট লাগলে গ্যাস যাচ্ছে ২৫ পয়সার। এর সাথে ধরেন আরও ২৫ পয়সার পানি। তাহলে, ১৪+০.২৫+০.২৫=১৪.৫ টাকা, এর সাথে আম্মুর এফোর্ট যোগ হয়ে যে ভাত তৈরি হচ্ছে, সেই কোয়ালিটির ভাত রেস্টুরেন্টে খেতে আমার লাগতো মিনিমাম ৫০ টাকা। তার মানে, ৫০-১৪.৫=৩৫.৫ টাকা এইটা হচ্ছে প্রতিবেলায় শুধু আমার ভাতের জন্য আম্মুর এফোর্টের মূল্য। আমরা বাসায় চারজন লোক, চারজনের জন্য দুইবেলা করে ভাত রান্না করলে দিনেই বাঁচাচ্ছেন ২৮৪ টাকা, মাসে ৮৫২০ টাকা। 'বাঁচাচ্ছেন' মানে কিন্তু উল্টো করে এটাও বলা যায় উনি এই টাকাটা বাসায় কন্ট্রিবিউট করছেন।

এ তো গেলো শুধু ভাতের হিসাব। এই ছাড়া ভাতের সাথে আমরা যে তরকারি খাই, সকালে-সন্ধ্যায় নাস্তা খাই, চা খাই, ঘরে আম্মু যে কাজগুলো করেন, সব মিলিয়ে উনার কন্ট্রিবিউশন মাসে ৬৮ থেকে ৭৫ হাজার টাকার মত।

এবং, আমার আম্মুর মত লাখ লাখ আম্মুরা মিলে শুধু বাংলাদেশের ইকোনমিতে যে কন্ট্রিবিউশন করছেন, তার ভ্যালু প্রায় ৭ থেকে ১০ লক্ষ কোটি টাকা মাত্র।

এই যে হিসাবটা আপনাদের দিলাম, এই হিসাবের সিমিলার কিছু ছোটবেলা থেকে কোনো পাঠ্যবইয়ে পেয়েছেন? আমি পাই নি, বরং আমি উল্টোটাই দেখেছি। ইন্ডাস্ট্রিতে লেবার সেল করা নারীদের 'ওয়ার্কিং উমেন' হিসেবে প্রমোট করে বিপরীতে গৃহিণীদের কাজকে ছোট করে দেখার মানসিকতা স্লো পয়জনের মত পুশ করা হয়েছে। ছেলেকে বুঝানো হয়েছে তোমার মা যে কাজ করে সেটার তেমন কোনো ভ্যালু নাই, মেয়েকে শিখানো হয়েছে তোমার মায়ের মত হলে তোমারও সম্মান থাকবে না। এটার এন্ড টার্গেট যে আসলে কী, সেটা আশা করি বলে দিতে হবে না।

এই যে গৃহিণীদের কাজকে এতো ছোট করে দেখানো হলো, এটার পেছনের কারণটা কী? এই ব্যাপারে আমার অবজারভেশন হলো, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনে লেবার সাপ্লাই বাড়ানো। আর সাপ্লাই বাড়লে দাম কমে যাবে, এই কোরিলেশন কারও অজানা থাকার কথা নয়। একটু বুঝিয়ে বলি। ধরেন একটা অফিসে একই পজিশনে দুইটা পোস্ট ফাঁকা আছে, কোম্পানির রিক্রুটমেন্ট বাজেট ২০০ টাকা। এখন, ক্যান্ডিডেট দুইজন হলে কোম্পানি দুইজনকেই ২০০ টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য। কিন্তু, ক্যান্টিডেট যদি ৪ জন হয়, তখন কোম্পানি ৫০টাকা করে ৪ জনকে অনবোর্ড করবে, নাকি 'আরও ক্যান্ডিডেট আছে' বলে সবার সাথেই নেগোশিয়েট করে কম স্যালারিতে এমপ্লয়ি অনবোর্ড করার চেষ্টা করবে? এর মধ্যে কেউ হয়তো প্রয়োজনের চাপে কম স্যালারিতেই রাজি হয়ে যাবে। একটু মনে করে দেখেন, ৩০-৪০ বছর আগেও একজনের ইনকামে ১০ জনের একটা ফ্যামিলি অনায়াসে চলতে পেরেছে, টুকটাক সেভিংসও করতে পেরেছে, যেতা এখন প্রায় অসম্ভব। 'চলছে না' বলে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই শ্রমবাজারে নিজেদের বিক্রির জন্য তুলে দিচ্ছেন, লেবার এক্সপ্লয়েটেশনে নিজেদের ক্রমাগত সঁপে দিয়ে আরও বেশি লেবার এক্সপ্লয়েটেশনের সুযোগ করে দিচ্ছেন।

এ তো গেলো শুধু ইকোনমির হিসাব। এর সাথে, সময়ের অভাবের কারণে বিভিন্ন অ্যাপ্লায়েন্সের পিছনে লিভিং কস্ট বাড়া, প্রসেসড ফুড খেতে বাধ্য হওয়া এবং এর কারণে বাড়া মেডিকেল কস্টের হিসাব করলে যে কারোরই মাথা ঘুরবে, আমারও ঘুরেছিলো। আর ইমোশনাল লস তো টাকায় হিসাব করা যায় না, সেইটার ভ্যালু যার যার উপরেই ছেড়ে দিলাম।

লাস্ট দুইটা কথা বলি।

এক, গৃহিণী নারীরা পুরুষের উপর 'নির্ভরশীল', এই প্রোপাগান্ডাকে ডিনাই করতে শিখুন। নির্ভরশীলতা হতো যদি সহযোগিতাটা একপাক্ষিক হতো। পরিবারে আর্নিং পার্সন, হাউজহোল্ড ওয়ার্কিং পার্সনের ভূমিকাটা মিথোজিনিক, একজন আরেকজনকে সাপোর্ট দিচ্ছে, এখানে কোনো 'নির্ভরশীলতা' নেই।

দুই, একাডেমিয়াকে হোলি প্লেস ভাবা বন্ধ করুন। একাডেমিয়ার লক্ষ্য 'আলোকিত মানুষ করা' এটা সর্বৈব মিথ্যা, বরং একাডেমিয়ার ডিজাইনটা হচ্ছে 'দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত ডগম্যাটিক স্লেভারি' ট্রেনিং দেয়া। আপনাকে, আমাকে যেই মানসিকতায় বড় করলে আমাদের শাসক, শোষকদের সুবিধা হয়, একাডেমিয়া সেভাবেই চেঞ্জ হয়। 'সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত' এই কথাটাকে বিশ্বাস করুন, নিজের ব্যক্তিগত পড়াশুনা, জ্ঞান চর্চা, চিন্তাভাবনা বাড়ান।

(কালেক্টেড)

Address

Dhaka
1229

Telephone

+8801408199865

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Psychologist Farzana Khatun posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Psychologist Farzana Khatun:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram