Psychologist Farzana Khatun

Psychologist Farzana Khatun I am a mental health professional.

The purposes of this page is to give the psychological services (counselling/ psychotherapy) this services should be paid and unpaid system too.

20/06/2025

যুদ্ধ কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। সাধারন মানুষ হয় ভুক্তভোগী। তবে ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ব্যাতীত কোন উপায় ছিলো কি?

টক্সি'ক মাদার!⁉️বিষ'ক্ত মা!!⁉️জি।অনেক পাবেন আশেপাশে। অনেকে এটা মানতেই চায় না যে, অনেক মায়েরাও সন্তানের বেলায় টক্সিক হয়ে ...
14/06/2025

টক্সি'ক মাদার!⁉️বিষ'ক্ত মা!!⁉️

জি।অনেক পাবেন আশেপাশে।
অনেকে এটা মানতেই চায় না যে, অনেক মায়েরাও সন্তানের বেলায় টক্সিক হয়ে থাকে।
হ্যাঁ, জন্মদাত্রী মা!⁉️
এসব মায়েরা ছেলে-মেয়ের মধ্যে কিংবা দুই মেয়ে/দুই ছেলের ক্ষেত্রে বৈষম্য করে থাকেন। এক সন্তান থাকে চোখের মনি, অন্য সন্তান যেন দুই চোখের বিষ। একজনের একশটা ভুল অনায়াসে মাফ, অন্যজনের একটি মাত্র ভুলকে দশগুণ বড় করে তোলে মানসিক অত্যাচার!
-------------------------------------------
টক্সিক মায়েরা অবলীলায় সন্তানদের দূর্নাম করে বেড়ান আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিবেশীদের নিকটে। এমনকি তাদের সামনে সন্তনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেও ছাড়েন না। এমন ভাব দেখান, এ যেন তার সন্তান-ই নয়।😅

এর সীমালঙ্ঘনের জন্য দায়ী পরিবারের পুরুষ, অর্থাৎ সন্তানের পিতা।প্রায় সময় দেখা যায়,স্বামী তার টক্সি'ক স্ত্রীকে সমর্থন করে যাচ্ছে। কেবল, নিজে বাঁচার জন্য। সন্তান তার মায়ের টক্সি'ক আচরণের শীকার হয়ে ভয়ে পাংশু মুখে অধীর আগ্রহে পিতার ঘরে ফিরার অপেক্ষা করে যখন দেখে, পিতাও তাল মিলিয়ে অপ্রীতিকর আচরণ করছে, তখন সে-ই সন্তানের আশার প্রদীপ এমনিও নিভে যায়।

সে তখন ভাবতে শুরু করে, পৃথিবীর বুকে সে এক নিঃসঙ্গ জীব।যার কেউ নেই,কিছুই নেই।

একটি শিশুর শৈশব নষ্ট হওয়ার জন্য টক্সি'ক বাবা-মা-ই যথেষ্ট। অনেক ক্ষেত্রে শুধু শৈশব নয়, পুরো জীবনটাও বরবাদ হয়ে যায়। এটা আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না। কেবল পরিস্থিতির শীকার হওয়া সন্তানরা বুঝে তাদের জীবন কতটা নিরানন্দ হয়ে গেছে।

আপনার সন্তানকে ভালোভাবে বাঁচার সুযোগ দিন। স্ত্রী/স্বামীর টক্সিক আচরণের প্রতিবাদ করুন। স্ত্রী/স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে তাল মিলিয়ে সন্তানকে আক্রম'ন করবেন না। সন্তানকে বুঝার চেষ্টা করুন, সবসময় বাবা-মা-ই সঠিক হয় না। আপনার সঙ্গী/সঙ্গীনী যখন সন্তানের সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করে, তখন বিষয়টা ভালোভাবে বুঝে সমাধানের চেষ্টা করুন। একটি সন্তানকে শৈশব থেকে নেতি'বাচক প্রভাবে বেড়ে তুলবেন না।

সময় ঠিকই একদিন আপনার সব হিসেব চুকিয়ে দিবে। যে-ই দূর্বল ছোট্ট শিশুর প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে মানসিক ট'র্চার করছেন, একদিন সে-ও সমগ্র শক্তি নিয়ে বড় হবে। সেদিন যেন আপনার করা আচরণ আপনাকে ফিরিয়ে না দেয়!

11/06/2025

Allah says: “Take one step towards me, I will take ten steps towards you. Walk towards me, I will run towards you.”

Hadith Qudsi.

06/06/2025
Collected picture
05/06/2025

Collected picture

collected picture
04/06/2025

collected picture

আমার মা একজন ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গৃহিনী এবং আমাদের বাসার সেকেন্ড হায়েস্ট ইকোনমিক কন্ট্রিবিউটর। গৃহিনীরা আবার কীভাবে...
03/06/2025

আমার মা একজন ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন গৃহিনী এবং আমাদের বাসার সেকেন্ড হায়েস্ট ইকোনমিক কন্ট্রিবিউটর। গৃহিনীরা আবার কীভাবে ইকোনমিক কন্ট্রিবিউশন করে এইটা অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, তাই একটা এক্সামপল দিয়ে এক্সপ্লেইন করি।

আমি যে পরিমাণ ভাত প্রতিবেলায় খাই, সেটার জন্য প্রায় ১৫০ গ্রাম মত চাল লাগে। আমরা যে চালের ভাত খাই সেটার ১৫০ গ্রামের দাম প্রায় ১৪ টাকা। আমরা দ্বিমুখী চুলার গ্যাস বিল দিই ১০৮০ টাকা, এর মানে এক চুলার জন্য মাসে ৫৪০ টাকা, দিনে ১৮ টাকা, ঘন্টায় ৭৫ পয়সা। ভাত রান্না করতে ২০ মিনিট লাগলে গ্যাস যাচ্ছে ২৫ পয়সার। এর সাথে ধরেন আরও ২৫ পয়সার পানি। তাহলে, ১৪+০.২৫+০.২৫=১৪.৫ টাকা, এর সাথে আম্মুর এফোর্ট যোগ হয়ে যে ভাত তৈরি হচ্ছে, সেই কোয়ালিটির ভাত রেস্টুরেন্টে খেতে আমার লাগতো মিনিমাম ৫০ টাকা। তার মানে, ৫০-১৪.৫=৩৫.৫ টাকা এইটা হচ্ছে প্রতিবেলায় শুধু আমার ভাতের জন্য আম্মুর এফোর্টের মূল্য। আমরা বাসায় চারজন লোক, চারজনের জন্য দুইবেলা করে ভাত রান্না করলে দিনেই বাঁচাচ্ছেন ২৮৪ টাকা, মাসে ৮৫২০ টাকা। 'বাঁচাচ্ছেন' মানে কিন্তু উল্টো করে এটাও বলা যায় উনি এই টাকাটা বাসায় কন্ট্রিবিউট করছেন।

এ তো গেলো শুধু ভাতের হিসাব। এই ছাড়া ভাতের সাথে আমরা যে তরকারি খাই, সকালে-সন্ধ্যায় নাস্তা খাই, চা খাই, ঘরে আম্মু যে কাজগুলো করেন, সব মিলিয়ে উনার কন্ট্রিবিউশন মাসে ৬৮ থেকে ৭৫ হাজার টাকার মত।

এবং, আমার আম্মুর মত লাখ লাখ আম্মুরা মিলে শুধু বাংলাদেশের ইকোনমিতে যে কন্ট্রিবিউশন করছেন, তার ভ্যালু প্রায় ৭ থেকে ১০ লক্ষ কোটি টাকা মাত্র।

এই যে হিসাবটা আপনাদের দিলাম, এই হিসাবের সিমিলার কিছু ছোটবেলা থেকে কোনো পাঠ্যবইয়ে পেয়েছেন? আমি পাই নি, বরং আমি উল্টোটাই দেখেছি। ইন্ডাস্ট্রিতে লেবার সেল করা নারীদের 'ওয়ার্কিং উমেন' হিসেবে প্রমোট করে বিপরীতে গৃহিণীদের কাজকে ছোট করে দেখার মানসিকতা স্লো পয়জনের মত পুশ করা হয়েছে। ছেলেকে বুঝানো হয়েছে তোমার মা যে কাজ করে সেটার তেমন কোনো ভ্যালু নাই, মেয়েকে শিখানো হয়েছে তোমার মায়ের মত হলে তোমারও সম্মান থাকবে না। এটার এন্ড টার্গেট যে আসলে কী, সেটা আশা করি বলে দিতে হবে না।

এই যে গৃহিণীদের কাজকে এতো ছোট করে দেখানো হলো, এটার পেছনের কারণটা কী? এই ব্যাপারে আমার অবজারভেশন হলো, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনে লেবার সাপ্লাই বাড়ানো। আর সাপ্লাই বাড়লে দাম কমে যাবে, এই কোরিলেশন কারও অজানা থাকার কথা নয়। একটু বুঝিয়ে বলি। ধরেন একটা অফিসে একই পজিশনে দুইটা পোস্ট ফাঁকা আছে, কোম্পানির রিক্রুটমেন্ট বাজেট ২০০ টাকা। এখন, ক্যান্ডিডেট দুইজন হলে কোম্পানি দুইজনকেই ২০০ টাকা দিয়ে নিতে বাধ্য। কিন্তু, ক্যান্টিডেট যদি ৪ জন হয়, তখন কোম্পানি ৫০টাকা করে ৪ জনকে অনবোর্ড করবে, নাকি 'আরও ক্যান্ডিডেট আছে' বলে সবার সাথেই নেগোশিয়েট করে কম স্যালারিতে এমপ্লয়ি অনবোর্ড করার চেষ্টা করবে? এর মধ্যে কেউ হয়তো প্রয়োজনের চাপে কম স্যালারিতেই রাজি হয়ে যাবে। একটু মনে করে দেখেন, ৩০-৪০ বছর আগেও একজনের ইনকামে ১০ জনের একটা ফ্যামিলি অনায়াসে চলতে পেরেছে, টুকটাক সেভিংসও করতে পেরেছে, যেতা এখন প্রায় অসম্ভব। 'চলছে না' বলে স্বামী-স্ত্রী দুইজনেই শ্রমবাজারে নিজেদের বিক্রির জন্য তুলে দিচ্ছেন, লেবার এক্সপ্লয়েটেশনে নিজেদের ক্রমাগত সঁপে দিয়ে আরও বেশি লেবার এক্সপ্লয়েটেশনের সুযোগ করে দিচ্ছেন।

এ তো গেলো শুধু ইকোনমির হিসাব। এর সাথে, সময়ের অভাবের কারণে বিভিন্ন অ্যাপ্লায়েন্সের পিছনে লিভিং কস্ট বাড়া, প্রসেসড ফুড খেতে বাধ্য হওয়া এবং এর কারণে বাড়া মেডিকেল কস্টের হিসাব করলে যে কারোরই মাথা ঘুরবে, আমারও ঘুরেছিলো। আর ইমোশনাল লস তো টাকায় হিসাব করা যায় না, সেইটার ভ্যালু যার যার উপরেই ছেড়ে দিলাম।

লাস্ট দুইটা কথা বলি।

এক, গৃহিণী নারীরা পুরুষের উপর 'নির্ভরশীল', এই প্রোপাগান্ডাকে ডিনাই করতে শিখুন। নির্ভরশীলতা হতো যদি সহযোগিতাটা একপাক্ষিক হতো। পরিবারে আর্নিং পার্সন, হাউজহোল্ড ওয়ার্কিং পার্সনের ভূমিকাটা মিথোজিনিক, একজন আরেকজনকে সাপোর্ট দিচ্ছে, এখানে কোনো 'নির্ভরশীলতা' নেই।

দুই, একাডেমিয়াকে হোলি প্লেস ভাবা বন্ধ করুন। একাডেমিয়ার লক্ষ্য 'আলোকিত মানুষ করা' এটা সর্বৈব মিথ্যা, বরং একাডেমিয়ার ডিজাইনটা হচ্ছে 'দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত ডগম্যাটিক স্লেভারি' ট্রেনিং দেয়া। আপনাকে, আমাকে যেই মানসিকতায় বড় করলে আমাদের শাসক, শোষকদের সুবিধা হয়, একাডেমিয়া সেভাবেই চেঞ্জ হয়। 'সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত' এই কথাটাকে বিশ্বাস করুন, নিজের ব্যক্তিগত পড়াশুনা, জ্ঞান চর্চা, চিন্তাভাবনা বাড়ান।

(কালেক্টেড)

29/05/2025

বিষয় : রাগ নিয়ন্ত্রণে সাইকোথেরাপিই কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Farzana Khatun
Assistant Educational Psychologist
MS (Department of Educational and Counselling Psychology, DU)
BS (Psychology, JNU)
Chamber: Shin Shin Japan Hospital,sector 11,Uttora.
For appointment: Call or whatsApp: 01779532144

রাগ একটি স্বাভাবিক আবেগগত স্বভাব হলেও কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটা মাত্রাতিরিক্ত থাকার ফলে তাদের সাথে অন্যদের সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। এটা যে কেবল অন্যদের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে তা কিন্তু নয়, এর সাথে জরিত রয়েছে মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা। অনেকেই আবার রাগের তীব্রতায় নিজেরই ক্ষতি করে ফেলে। তাই এমন পরিস্থিতিতেও একজন সাইকোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।

যেকোনো ধরনের মানসিক সহায়তা পেতে পেজে এসএমএস করুন অথবা হোয়াটসঅ্যাপ করুন এই নাম্বারে( 01779532144) আপনার সম্পূর্ণ তথ্য গোপন রাখা হবে।

29/05/2025

বাংলাদেশের পিতামাতা তাদের মেয়েকে, তার চেয়ে সাত আট দশ বছরের বড় কারো সাথে 'বিয়ে' দিয়ে দিবে হাসিমুখে!
বিয়ের পরে মেয়ের এডজাস্ট করতে সমস্যা হবে প্রচুর, বাবা মা বলবে এডজাস্ট করে নিতে তবু। মেয়ে চেষ্টা করে যাবে, একটা পর্যায়ে এই যন্ত্রণা ঝগড়া নিয়েই মেয়েটা বেঁচে থাকতে শিখে যাবে।
বাংলাদেশি পিতামাতা এইসব কিছুই হাসিমুখে মেনে নিবে, কিন্তু মেয়ে তার পছন্দের ব্যাচমেট বা ভালোবাসার মানুষটাকে বিয়ে করুক, এইটা বাংলাদেশি পিতামাতা কখনোই মেনে নিবেন না, NEVER EVER!
এইটা বাংলাদেশের খুব কমন একটা দৃশ্য!
We are a generation that has grown up with completely wrong parenting.
স্কুলে যখন স্টাডি ট্যুরের এনাউন্সমেন্ট আসতো, তখন প্রথম কোন চিন্তাটা আপনি করতেন? ঐদিন কোন জামা বা জুতা পরবেন সেটা? নাকি কত মজা হবে সেটা?
না। প্রথম যে কথাটা আপনি ভাবতেন, সেইটা হলো আপনাকে আপনার বাসা থেকে পারমিশন দিবে কি না, কিভাবে বাসায় রাজি করাবেন, আদৌ যাইতে পারবেন কিনা, এসব!
আমাদের অনেকের এই স্মৃতিটা আছে : পিকনিকের দিন আগায় আসতেছে, ক্লাস টিচারকে সবাই পিকনিকের টাকা দিচ্ছে, নাম এন্ট্রি করাচ্ছে, আর আপনি বেঞ্চের এক কোণায় বসে এসব দেখতেছেন। পিকনিকের দিন আসছে, সবাই যখন বাসে চড়তেছে, তখন আপনি বাসায় বসে পড়তেছেন, কারণ পিকনিকের দিন স্কুল ছুটি থাকে, তাই আপনাকে বলা হয়েছে সকালে এই সময়টা নষ্ট না করে পড়তে। আপনার মন খারাপ, হু কেয়ারস ম্যান?
তারা কেন এমন করতো? কারণ উনারা ভয় পাইতো আপনাকে নিয়ে। যাইতে দিতো না, কারণ পিকনিকের বাস এক্সিডেন্ট করতে পারে, পিকনিক স্পটে পানি আছে, আপনি ডুবে যাইতে পারেন। আমাদেরকে সাঁতার শিখানোর বদলে যেখানে পানি থাকে সেখানে না গিয়ে বাসায় বসে থাকা শিখানো হয়সে সবসময়।
ছোটবেলায় এক টাকা দিয়ে খেলা গেমসগুলোর কথা মনে আছে? বিকেলবেলা মাঝেমধ্যে খেলতে যাইতাম। এই গেইম খেলার মধ্যে খারাপ কোন কিছু না থাকার পরও দেখতাম কয়েকজনকে তাদের বাপ মা গেইমের দোকান থেকে কান ধরে মেরেধরে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। কেন? গেইম খেলার মধ্যে খারাপের কি? আমি উত্তর পাই নাই কোনদিন সেটার!
আমাদেরকে বলা হয়সে, বাবা মায়ের সব কথা শুনতে হয়, তাদের কথা না শোনা পাপ। আমরা শুনে গেছি, শুনে শুনে অনেকের শৈশব কৈশোরের আনন্দময় বিকাল কাটসে স্যারের সামনে পড়ার টেবিলে। আমরা অনেক শুনসি, শুনে শুনে একটা বয়সে এসে দেখসি, আমাদের পড়াশোনার বাইরে কিছু শেখা হয় নাই, পড়াশোনাটাও আমাদের ইচ্ছামত লাইনে পড়া হয় নাই, আমাদের আসলে কিছুই করা হয় নাই। আপনি যদি খুব ভদ্র কেউ হোন, কখনো তাদের কথার বিরুদ্ধে না যান, তাহলে একটা সময় গিয়ে দেখবেন, আপনার প্রাপ্তি বা আনন্দের খাতাটা শূন্য। আপনি বার্ষিক পরীক্ষার পরে এঞ্জয় না করে উনাদের কথা শুনে কোন বড় ভাই বোন থেকে পুরাতন বই এনে অগ্রীম পড়সেন, জেএসসি পরীক্ষার পরে পঁয়তাল্লিশ দিন বন্ধেও আপনি উনাদের কথা শুনে আগে থেকে নাইন টেনের পড়া পড়সেন, মেট্রিকের পরের বন্ধে সারাদিন টোটো না করে ইন্টারের পড়া পড়সেন, সব কিছু করসেন তাদের কথামত, আপনাকে বলা হয়সে পরে আনন্দ করা যাবে। কিন্তু আনন্দ একটা সময় নির্ভর ব্যাপার, একেক বয়সের আনন্দটা একেকরকম। ক্লাস ফোরে আপনাকে বিকেলে বরফ পানি খেলতে দেয় নাই পড়ার চাপ দিয়ে, বলসে পড়ালেখা শেষ করে আনন্দ করা যাবে। পড়ালেখা শেষ করে পঁচিশ ত্রিশ বছরে কেউ বরফ পানি খেলবে? এখন এসে আপনি জীবনের সার্কেলে ব্যস্ত হয়ে গেছেন, ব্যস্ততার ভীড়ে আপনার ঐসব শখ আর কাজ করে না আগের মত, ভবিষ্যতেও আরো করবে না। অথচ এমনও হইতে পারতো, আপনাকে বার্ষিক পরীক্ষা, জেএসসি বা এসএসসি পরীক্ষার পরে মুক্ত পাখির মত আনন্দ করতে দিতে পারতো, আপনার পছন্দের লাইনে পড়তে দিতে পারতো, পছন্দের মানুষটাকে বিয়ে করতে দিতে পারতো।
আমাদেরকে ধর্মের দোহাই দিয়ে উনাদের কথা শুনতে বলা হয়সে, অথচ সেই ধর্মের কথা অনুসারে যখন আপনি পায়ে ধরে সালামটা ঠিক না বলবেন, তখন দেখবেন আপনাকে বেয়াদব আখ্যা দিয়ে ফেলা হয়সে, যখন আপনি গুনাহ কমাতে দ্রুত বিয়ে দেওয়ার কথা বলবেন, তখন উনারা সেটা এড়িয়ে যাবেন।
উনারা আমাদের ভালো চান নিঃসন্দেহে, কিন্তু আমাদের খুশিটা কোথায় সেটা জানেন না, জানতে চানও নাই কোনদিন।
এই ভুল প্যারেন্টিংয়ের ফাঁকে আমরা "ভালো চাওয়ার" অত্যাচারের মধ্যেই বড় হয়ে গেছি সবাই, মনের মধ্যে অনেক ক্ষোভ আর ক্ষত নিয়ে।
আমরা কেউ প্রকাশ করি নাহ! বাবা দিবস বা মা দিবসে খুব ভালোবাসার স্ট্যাটাস আমরা দেই... কিন্তু যে ক্ষতটা তৈরি হয়ে আছে, সেইটা আমরা কখনো একটুও ভুলি নাই।

-copied from tawsif

শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি।
25/05/2025

শুভ জন্মদিন প্রিয় কবি।

💖💖আপনার দাম্পত্য কলহ কি অস্বাভাবিক? উত্তর—না।আপনি যদি ভাবেন, আপনার দাম্পত্য সমস্যা একমাত্র আপনার জীবনে—আপনি ভুল করছেন।বি...
24/05/2025

💖💖আপনার দাম্পত্য কলহ কি অস্বাভাবিক? উত্তর—না।
আপনি যদি ভাবেন, আপনার দাম্পত্য সমস্যা একমাত্র আপনার জীবনে—আপনি ভুল করছেন।
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন হাজারো পরিবারে ছোট-ছোট ভুল বোঝাবুঝি থেকে বড় বড় কলহ জন্ম নিচ্ছে। পার্থক্য শুধু এতটুকু—কেউ লড়ছে, কেউ লুকাচ্ছে, কেউ হাল ছেড়ে দিচ্ছে।
কিন্তু সম্পর্ক ভাঙার আগে একবার থামুন, নিজেকে প্রশ্ন করুন— আসল সমস্যাটা কোথায়?
একটা গল্প, একটা যুদ্ধ, দুইটা জীবন...

সকালে ঘুম ভাঙলে পাশে যাকে দেখেন, সে শুধু একজন সঙ্গী নয়। সে আপনার গল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
বিয়ে শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়—এটা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

বিয়ের সৌন্দর্য তখনই ফুটে ওঠে, যখন তা শীতের উষ্ণতা, বর্ষার ধৈর্য, বসন্তের সৌরভ, আর শরতের প্রশান্তি এনে দেয়।
সুখী দাম্পত্য মানে ঝামেলা নেই—এমন নয়। বরং ঝামেলার পরও একসঙ্গে থাকার ইচ্ছাটাই আসল।
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসার চেয়েও বেশি লাগে— ধৈর্য, বোঝাপড়া, দায়িত্ববোধ।

বিয়ে মানে কি ঝামেলা? নাকি মুক্তি?

বিয়ে মানে সেই সম্পর্ক—যেখানে আপনি নিজের আসল রূপে থাকতে পারেন।
যেখানে আপনার দুর্বলতা নিয়ে লজ্জা পাবার দরকার নেই, বরং কেউ হয়তো বলবে— "তোমার অপূর্ণতা এখন আমাদের।"

জীবন একটা গল্প, যেখানে কিছু পথ একা চলে গেলেও, কিছু পথে সঙ্গী দরকার।
বিয়ে মানে সেই সঙ্গী—যার সঙ্গে আপনি পাহাড়ে উঠবেন, সমুদ্র দেখবেন, হেরে যাবেন, জিতবেন—কিন্তু কখনো একা হবেন না।

দাম্পত্য কলহের বাস্তবতা (Research Highlights 2024):

WHO (2024): কোভিড পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে দাম্পত্য কলহ ২৮% বেড়েছে।

Harvard Study (2020): ভালো দাম্পত্য সম্পর্ক মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রধান রক্ষাকবচ।

Indian Journal of Psychiatry (2019): দীর্ঘমেয়াদি দাম্পত্য কলহে থাকা নারীদের মধ্যে বিষণ্ণতা এবং আত্মসম্মান হ্রাস ৬৫% বেশি।
বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ জরিপ (2023): বাংলাদেশের ৫২% দাম্পত্য কলহের মূল কারণ—আর্থিক সংকট ও শ্বশুরবাড়ি কেন্দ্রিক মানসিক চাপ।

দাম্পত্য কলহের ২০টি প্রধান কারণ:
স্বামীর দিক থেকে: ১. আবেগ চেপে রাখা
২. বিষাক্ত পুরুষত্ববোধ
৩. আর্থিক চাপ ও ব্যর্থতা
৪. আত্মকেন্দ্রিকতা
৫. ক্ষমতা দেখানো
৬. আর্থিক দায়িত্ব এড়ানো
৭. স্ত্রীর ইচ্ছা অবহেলা করা
৮. অতিরিক্ত পরিবার নির্ভরতা
৯. নিরবতা বা রাগের অভ্যাস
১০. পরকীয়া বা গোপন সম্পর্ক

স্ত্রীর দিক থেকে: ১১. অতিরিক্ত প্রত্যাশা ও তুলনা
১২. সন্দেহ ও দোষারোপ
১৩. আত্মনির্ভরতার অভাব
১৪. আবেগিক চাপ ও অভিমান
১৫. প্রশংসার অভাব
১৬. দাম্পত্যে একঘেয়েমি
১৭. পারিবারিক চাপ
১৮. যোগাযোগের অভাব
১৯. আত্মসম্মান সংক্রান্ত স্পর্শকাতরতা
২০. যৌন ও আবেগিক চাহিদা পূরণ না হওয়া

দাম্পত্য কলহের ভয়াবহ পরিণতি (Psychological & Social Outcomes):
Emotionally absent relationship
Chronic Anxiety & Depression
Attachment disorder in children
Disrupted communication pattern
Stress-induced physical illness (উচ্চ রক্তচাপ, অনিদ্রা)

Emotional Divorce
সামাজিক সম্মান ক্ষয় ও পারিবারিক জটিলতা
দাম্পত্য কলহ ঠেকাতে ১৫টি প্রয়োজনীয় পরামর্শ (Updated 2024):
1. Emotional Intelligence বাড়ান।

2. React নয়, Respond করুন।

3. স্মৃতি নয়, মুহূর্ত তৈরি করুন।

4. দোষারোপ নয়, অনুভব প্রকাশ করুন।

5. পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখুন।

6. ভুল স্বীকার করার সাহস রাখুন।

7. খোলামেলা কথা বলুন।

8. যৌনতা ও ভালোবাসা নিয়ে কথা বলুন।

9. সামাজিক মিডিয়ার সাথে নিজের জীবন তুলনা করবেন না।

10. নিজেকে আপডেট করুন।

11. সন্তানের সামনে কলহ করবেন না।

12. Couple Therapy নিতে দ্বিধা করবেন না।

13. বাইরের হস্তক্ষেপ এড়ান।

14. একসঙ্গে ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়ুন।

15. ভালোবাসার ছোট ছোট অভিব্যক্তি বজায় রাখুন।
শেষ কথা...

একটি সম্পর্ক ভাঙার আগে সম্পর্ক 'অসুস্থ' হয়ে ওঠে।
দাম্পত্য কলহ তখনই ভয়ংকর, যখন দুইজনের কেউ 'শুনতে' বা 'বোঝাতে' চায় না।
আপনার জীবনসঙ্গীকে প্রতিপক্ষ নয়, সহযোদ্ধা ভাবুন।
হাতে হাত রেখে হাঁটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে দাম্পত্যের সবচেয়ে সুন্দর গল্প।
ভালো লাগলে শেয়ার করুন। কাউকে হয়তো নতুন চোখে সম্পর্ক দেখতে সাহায্য করতে পারেন।

Address

Dhaka
1229

Telephone

+8801408199865

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Psychologist Farzana Khatun posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Psychologist Farzana Khatun:

Share