26/07/2025
জাহাঙ্গীর স্যারের প্রদাহ কমানো ডায়েট আর গেঁটে বাতের কাহিনি❞
শামীম ভাই ৪৭ বছরের একজন দোকানদার। গত ২ বছর ধরে রিউমাটোইড আর্থ্রাইটিস (RA) ধরা পড়েছে। সকালে হাত-পা শক্ত হয়ে থাকে, মাঝে মাঝে গাঁটে গাঁটে জ্বালাপোড়া আর ব্যথা তীব্র হয়। ডাক্তার মেথোট্রেক্সেট ও কিছু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ দিয়েছেন, কিন্তু তিনি ঠিকমতো খেতে চান না।
হঠাৎ একদিন ইউটিউবে পেলেন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের ভিডিও —
"আমি ইনফ্ল্যামেশন (প্রদাহ) কমিয়ে ফেলেছি শুধু ডায়েট দিয়ে। ওষুধ লাগে না। গেট-বাটে আর কেটো করলেই হবে!"
ব্যস, আর কী লাগে!
শামীম ভাই ভাবলেন — “গেঁটে বাত তো ইনফ্ল্যামেশনই তো! তাহলে আমিও গেট-বাটে থাকি। ওষুধ বন্ধ!”
দিন যায়, প্রথমে একটু হালকা লাগছিল। চিনি, চাল, ভাত বাদ দিয়ে ফাস্টিং করছেন, ঘাড় উঁচু করে বলছেন — “দেহে তো আগুন নিভতেছে!” 😌
কিন্তু ২ সপ্তাহ যেতে না যেতেই আচমকা এক রাতে ডান হাঁটু ফুলে গেল, হাতের কবজিতে আগুন জ্বলে, ঘুম হারাম। সকালে দাঁড়াতেই পারলেন না।
👉 দুপুরে তার জায়গা হলো হাসপাতালে — স্যালাইন হাতে, ব্যথায় কাতর হয়ে।
ডাক্তার বললেন —
“গেঁটে বাত শুধু ডায়েট দিয়ে যাবে না। এটি অটোইমিউন রোগ, যার সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা আছে — ওষুধ, রেগুলার ফলোআপ, কখনো কখনো ইঞ্জেকশন।”
---
🔍 প্রদাহ কমানোর নামে সব রোগের এক চিকিৎসা হয় না।
👉 RA, গেঁটে বাত, লুপাস বা অন্যান্য অটোইমিউন রোগে শুধুমাত্র লাইফস্টাইল ফলো করে ওষুধ বাদ দিলে ক্ষতি অনিবার্য।
👉 ইউটিউবের লাইফস্টাইল গুরুদের শরীর হয়ত কিছুদিন ভালো যায় — কিন্তু আপনাকে তারা চেকআপ করে না, আপনার ESR বা Anti-CCP রিপোর্ট দেখে না, আপনার গাঁটের ফোলা হাতে ধরে দেখে না।
---
📌 শেষ কথা:
প্রদাহ মানেই এক প্রেসক্রিপশন না।
সবার শরীর, রোগ ও সমাধান আলাদা।
জাহাঙ্গীর স্যারের লাইফস্টাইল তার শরীরের জন্য, আপনার রোগের জন্য নাও হতে পারে।
লাইফস্টাইল নয়, চাই লাইফ-সেভিং মেডিকেল গাইডলাইন।
---
#গেঁটে_বাত #জাহাঙ্গীর_স্যার #মিথ_ভেঙে_সত্য #স্বাস্থ্য_সচেতনতা