24/07/2022
“ভূড়ি বিহীন পুরুষ এ যেন এক দূর্লভ এবং দূষ্পাপ্য সুন্নত”
-শারিরিক ভাবে ফিট থাকতে কেন জীম বা ডায়েট করতে হবে? আর এটা কি শরিয়ত সম্মত?
-ফিট থাকতে আপনি চাইলে যে কোন জায়গাতেই ব্যায়াম করতে পারেন। এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য জীম করা অবশ্যই শরিয়ত সম্মত।
-শরিয়তসম্মত বুঝলাম কিন্তু এটার দ্বারা নবী (স.) একটা সুন্নত ও জিন্দা হয়! কিভাবে?
-দেখুন নবী (স.) এর ভূড়ি বিহীন সুঠাম শক্তিশালী পুরুষ ছিলেন। এবং বিভিন্ন হাদীসের দ্বারা প্রমানীত যে তিনি পুরুষের পেট (ভূড়ি) সামনে বেড়ে যাওয়া অপছন্দ করতেন। সুতরাং ব্যায়াম করার দ্বারা ভূড়ি বিহীন পুরুষ হওয়ার দ্বারা একটি সুন্নত জিন্দা করা হচ্ছে।
-নবী (স.) কিভাবে ডায়েট করতেন?
-ডায়েট করা তো নবী (স.) এর শক্তিশালী সুন্নত। কারন তিনি তার পূরা জীবনেও কখনোই পুরো পেট ভরে খাবার খান নি। পেটের ৩ভাগের ১ভাগ খাবার, ১ভাগ পানি, বাকি ১ভাগ খালি রাখতেন। খাবার থাকা সত্বেও যেটা অপ্রয়োজনীয় সেটা এড়িয়ে যেতেন। এটাকেই বর্তমানে আমারা ডায়েট বলে থাকি। অপ্রয়োজনীয় ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যাচ্ছি এবং শুধুমাত্র যেটা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন সেটাই গ্রহন করছি এটার দ্বারা নবী (স.) একটা সুন্নত ও জিন্দা করা হচ্ছে না?
-জ্বি ভাই বুঝতে পারছি। আমি এই প্রশ্নটা অনেককেই করেছি কিন্তু কেউই আপনার মত বুঝাতে পারেনি। ধন্যবাদ ভাই। আমাকে সঠিকটা বুঝানোর কারনে।
#পেটের_চর্বি_কমানোর_সহজ_উপায়:-
শরীরের এই বাড়তি মেদ কিভাবে দূর করা যায় তার কয়েকটি সহজ উপায় পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
🌸. প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে সরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
🌸. সাদা ভাত কম খান অথবা কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিন সাদা চালের ভাত খাওয়া। সাদা চালের ভাতের বদলে বিভিন্ন গম জাতীয় শস্য যুক্ত করে নিন আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়। তাছাড়া লাল চালের ভাত, গমের রুটি, ওটস, অন্যান্য শস্য যুক্ত করে নিতে পারেন।
🌸৩. চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরেই থাকুন অর্থাৎ চিনিকে না বলুন। এছাড়া মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম, ফিরনী, সেমাই ইত্যাদি থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নিয়ে নিন।
🌸 উচ্চ তেলযুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চর্বি জমিয়ে রাখে। যেমন আমাদের পেট কিংবা উরু। সুতরাং বুঝেই ফেলেছেন যে এই খাবারগুলো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।
🌸. পেটের মেদ কাটিয়ে উঠতে চাইলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। তাহলে শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলোকে দূর করে দিবে। তাই পানিকে প্রাকৃতিক ক্লিঞ্জার বলা হয়।
🌸. কাঁচা রসুনের কয়েক কোয়া সকাল বেলা চুষে খান। তারপরে লেবুর সরবত পান করুন। এই চিকিৎসাটি আপনার ওজন কমানোর জন্য সাহায্য করবে এবং শরীরের রক্ত প্রবাহ সহজ করবে।
🌸. যতদিন পেটের মেদ না কমবে ততদিন নন-ভেজ খাদ্য অর্থাৎ মাংস, মাছ, ডিম, দুধ বাদ দিতে হবে। তবে মাছের টুকরোর চামড়া ফেলে খাওয়া যেতেই পারে।
🌸. প্রতিদিন সকাল এবং বিকাল এই দুই সময়ে ফল ও সবজি খান। তবে এক্ষেত্রে পানি জাতীয় ফল বাছাই করুন। এই অভ্যাসটি আপনার দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজলবণ এর ঘাটতি পূরণ করবে।
🌸 ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝালগুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।
সবকিছু করার পরেও আপনাকে যেটা করতে হবে তাহলো ব্যায়াম। মেদ কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করতে হবে
পরবর্তী পোস্টগুলো পেতে সঙ্গেই থাকুন।