Homeopathic Study & Treatment

Homeopathic Study & Treatment Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Homeopathic Study & Treatment, Medical and health, Dhaka.

“Homeopathic Study and Treatment” একটি নির্ভরযোগ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রদান করা হয়। রোগ নয়, রোগীকে বোঝাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
ডা ইশরাত জাহান
বি.এইচ.এম.এস (ঢাবি)

❄️ চিলব্লেইন (Chilblains) — ঠান্ডায় ত্বকের লুকানো যন্ত্রণা ও হোমিওপ্যাথিক নিরাময়চিলব্লেইন হলো ত্বকের ওপর ছোট ছোট, চুলকান...
08/10/2025

❄️ চিলব্লেইন (Chilblains) — ঠান্ডায় ত্বকের লুকানো যন্ত্রণা ও হোমিওপ্যাথিক নিরাময়

চিলব্লেইন হলো ত্বকের ওপর ছোট ছোট, চুলকানিযুক্ত ও ফোলা দাগ, যা ঠান্ডা বা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে দীর্ঘসময় থাকার ফলে তৈরি হয়। ত্বকের টিস্যু প্রদাহগ্রস্ত হয়ে পড়ে, ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলোর (capillaries) ক্ষতি দেখা দেয় এবং এর ফলে ত্বকে ব্যথা, জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও লালচে ভাব দেখা যায়।
সাধারণত এটি শরীরের ঠান্ডাসংবেদনশীল অংশে বেশি হয়—যেমন আঙুলের ডগা, পায়ের আঙুল, নাক, কান ও গোড়ালি। তবে চিলব্লেইন সচরাচর স্থায়ী ক্ষতি করে না; সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা নিলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে যায়। একে Perniosis বা Chilburns নামেও ডাকা হয়।

---

🌬️ চিলব্লেইনের কারণ (Causes of Chilblains)

চিলব্লেইন সাধারণত idiopathic condition, অর্থাৎ যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ সবসময় পাওয়া যায় না। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মূলত ঠান্ডা ও উষ্ণতার হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে হয়।

যখন কেউ ঠান্ডা বা আর্দ্র পরিবেশে থাকে, তখন ত্বকের উপরের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। ধীরে ধীরে গরমে এগুলো স্বাভাবিকভাবে প্রসারিত হয়, কিন্তু যদি হঠাৎ উষ্ণ পরিবেশে আসে, তখন রক্তনালীগুলো দ্রুত প্রসারিত হয়ে অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ সৃষ্টি করে। ফলে ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলো সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আশপাশের টিস্যুতে রক্ত লিক করে — যার ফলেই চুলকানি, ফোলাভাব ও ব্যথা দেখা দেয়।

চিলব্লেইন কখনো কখনো বংশগত কারণেও হতে পারে; পরিবারের কারও এ সমস্যা থাকলে অন্য সদস্যদেরও ঝুঁকি থাকে।
আবার দীর্ঘমেয়াদি বা বারবার চিলব্লেইনে আক্রান্ত হওয়া connective tissue disorder-এর ইঙ্গিতও দিতে পারে।

---

⚠️ চিলব্লেইনের ঝুঁকির কারণ (Risk Factors)

১. পরিবেশগত প্রভাব: যারা অত্যন্ত ঠান্ডা বা স্যাঁতস্যাঁতে এলাকায় থাকেন, তাদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।

২. ঋতু পরিবর্তন: গরম থেকে ঠান্ডা মৌসুমে যাওয়ার সময়, বিশেষত নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে।

৩. দুর্বল রক্তসঞ্চালন: যাদের রক্তপ্রবাহ দুর্বল, তারা তাপমাত্রার পরিবর্তনে সংবেদনশীল হয়ে ওঠেন।

৪.Autoimmune রোগ: যেমন Lupus, যেখানে শরীরের টিস্যু ফুলে যায় এবং ঠান্ডায় প্রতিক্রিয়া বাড়ে।

৫.Raynaud’s disease: এ অবস্থায় রক্তনালী সংকুচিত হয়ে আঙুল ও পায়ের আঙুলে রক্তপ্রবাহ কমে যায় — এতে আক্রান্তরা চিলব্লেইনে সহজেই ভোগেন।

৬.লিঙ্গ: নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি আক্রান্ত হন।

৭.ওজন: যাদের শরীরের ওজন খুব কম, তাদের ঝুঁকি বেশি।

৮. টাইট পোশাক বা জুতা: ঠান্ডা ও স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় টাইট জুতা বা পোশাক রক্তসঞ্চালনে বাধা দেয়, ফলে চিলব্লেইনের সম্ভাবনা বাড়ে।

---

🔍 চিলব্লেইনের উপসর্গ (Symptoms of Chilblains)

🌿 ত্বকের রঙ পরিবর্তন: আক্রান্ত অংশ লালচে, নীলচে বা দাগযুক্ত হয়ে যায়, অনেক সময় রঙে প্যাচ বা দাগ দেখা যায়।
🌿 ফোলাভাব: হঠাৎ উষ্ণতা পেলে রক্ত আশপাশের টিস্যুতে লিক হয়ে ফোলা দেখা দেয়।
🌿 ব্যথা: চিলব্লেইনের ব্যথা হালকা থেকে তীব্র পর্যন্ত হতে পারে — কখনো চিমটি দেওয়া, কখনো টান টান ধুকপুক করা ব্যথা হয়।
🌿 চুলকানি: আক্রান্ত স্থানে বিরক্তিকর চুলকানি দেখা দেয়, বিশেষ করে গরমে।
🌿 জ্বালাপোড়া ও ঝিনঝিন ভাব: ত্বকের নিচের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে জ্বালাপোড়া বা অবশ অনুভূতি হয়।

---

🌿 হোমিওপ্যাথিতে চিলব্লেইনের নিরাময়

হোমিওপ্যাথি দেহের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য ঠিক করে চিলব্লেইনকে মূল থেকে সারিয়ে তোলে। এটি প্রাকৃতিক, নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শুধু উপসর্গ কমায় না, বরং দেহের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে ঠান্ডার প্রতি সংবেদনশীলতা কমায় ও ত্বকের ক্ষতি সারিয়ে তোলে।

প্রাথমিকভাবে এটি চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমায়; ধীরে ধীরে ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
এটি acute (তাৎক্ষণিক) ও recurrent (বারবার হওয়া) — দুই অবস্থাতেই কার্যকর।

হোমিওপ্যাথি কোনো বাহ্যিক মলমের পরামর্শ দেয় না; বরং মুখে খাওয়ার ওষুধের মাধ্যমে শরীরের ভেতর থেকে নিরাময় ঘটায়। এটি উপসর্গকে চাপা দেয় না — বরং সমস্যার মূল কারণ মুছে দেয়।

---

Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College And Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

 #আর্টিকেরিয়ার জন্য সেরা ৮টি হোমিওপ্যাথিক ওষুধআর্টিকেরিয়া বা হাইভসের চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকরী ৮টি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ...
07/10/2025

#আর্টিকেরিয়ার জন্য সেরা ৮টি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ

আর্টিকেরিয়া বা হাইভসের চিকিৎসায় সবচেয়ে কার্যকরী ৮টি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ হলো — Apis Mellifica, Natrum Mur, Urtica Urens, Rhus Tox, Dulcamara, Astacus, Sulphur এবং Chloralum।

---

☘️🏵️১. Apis Mellifica – পোড়া ও ছ্যাঁকা লাগার মতো জ্বালাযুক্ত আর্টিকেরিয়ায়

এটি আর্টিকেরিয়ার একটি প্রধান ওষুধ। এর মূল লক্ষণ হলো— ত্বকে লাল, ফোলা ফুসকুড়ি বা দাগ (wheals), যেগুলোতে প্রচণ্ড জ্বালা ও ছ্যাঁকা লাগার মতো অনুভূতি থাকে। চুলকানি রাতে বেশি হয়, এবং আক্রান্ত স্থান স্পর্শ করলে ব্যথা ও কোমলতা অনুভূত হয়। গরমে এই ফুসকুড়ি বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বেশি থাকা আবহাওয়ায় বা পোকামাকড়ের কামড়ের পর হাইভস হলে এই ওষুধ উপকারী।

কবে ব্যবহার করবেন?
ত্বকে লাল ফোলাভাবযুক্ত ফুসকুড়ি, যার সঙ্গে জ্বালাযুক্ত পোড়া ও ছ্যাঁকা লাগার অনুভূতি থাকে।

---

☘️🏵️২. Natrum Mur – গরম বা ব্যায়ামের পর হাইভস (Cholinergic Type)

এই ওষুধ গরম বা অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে হওয়া আর্টিকেরিয়ার জন্য খুব কার্যকর। সারা শরীরে বড় লাল ফুসকুড়ি হয়, সঙ্গে প্রচণ্ড চুলকানি, জ্বালা ও খোঁচা খোঁচা ব্যথা থাকে।

কবে ব্যবহার করবেন?
গরম বা ব্যায়ামের পর হাইভস উঠলে এই ওষুধ উপযোগী।

---

🏵️🍀৩. Urtica Urens – একই ঋতুতে বারবার ফিরে আসা হাইভসে

যাদের প্রতি বছর একই ঋতুতে হাইভস হয়, তাদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। লাল ফুসকুড়ি, চুলকানি, জ্বালা এবং খোঁচা খোঁচা অনুভূতি থাকে। অনেক সময় মুখ ফোলা দেখা যায়। শেলফিশ (shellfish) খাওয়ার পর হাইভস হলে এটিও প্রয়োগ করা যায়।

কবে ব্যবহার করবেন?
প্রতি বছর একই মৌসুমে হাইভস হলে।

---

🏵️☘️৪. Rhus Tox – পানিতে স্পর্শে হাইভস (Aquagenic Type)

যাদের ত্বকে পানির সংস্পর্শে এলেই হাইভস ওঠে, তাদের জন্য Rhus Tox কার্যকর। চুলকানি, তারপর ঘষার পর জ্বালাযুক্ত পোড়া অনুভূতি এবং সুচ ফোটার মতো ব্যথা দেখা যায়।

কবে ব্যবহার করবেন?
পানির সংস্পর্শে হাইভস উঠলে।

---

🏵️🍀৫. Dulcamara – ঠান্ডা হাওয়ায় হাইভস (Cold Induced Type)

ঠান্ডা হাওয়ায় এক্সপোজার হলে হাইভস উঠলে Dulcamara খুব উপকারী। শরীরে লাল ফুসকুড়ি ওঠে, সঙ্গে প্রচণ্ড চুলকানি ও সুচ ফোটার মতো অনুভূতি থাকে।

কবে ব্যবহার করবেন?
ঠান্ডা হাওয়ায় বের হলে হাইভস উঠলে।

🏵️🍀৬. Astacus – যকৃতের সমস্যাসহ আর্টিকেরিয়ায়

যখন আর্টিকেরিয়া দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং এর সঙ্গে লিভারের সমস্যা থাকে, তখন Astacus ভালো কাজ করে। শরীরজুড়ে ফুসকুড়ি, চুলকানি ও জ্বালা থাকে।

কবে ব্যবহার করবেন?
যকৃতের সমস্যা বা লিভারজনিত আর্টিকেরিয়ায়।

---

৭. Sulphur – প্রচণ্ড চুলকানিযুক্ত আর্টিকেরিয়ায়

Sulphur ত্বকে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ির জন্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ ওষুধ। চুলকানি চুলকালে কিছুটা আরাম লাগে। ফুসকুড়ি সারা শরীরে ছড়িয়ে থাকতে পারে, এবং সঙ্গে জ্বালাযুক্ত পোড়া ও সুচ ফোটার মতো ব্যথা থাকতে পারে। অনেক সময় মনে হয় ত্বকের নিচে কিছু হামাগুড়ি দিচ্ছে (formication)।

কবে ব্যবহার করবেন?
যখন চুলকানিটাই প্রধান সমস্যা।

---

৮. Chloralum – ঘষা বা আঁচড়ে উঠা হাইভস (Dermatographic Type)

এই ওষুধ বিশেষভাবে উপযোগী যখন ত্বকে আঁচড় দিলে সেই জায়গায় হাইভস উঠে যায়। তীব্র চুলকানি, জ্বালা, ফোলা ও ব্যথা থাকে। অনেক সময় মুখ ও চোখের পাতা ফোলেও যায়। রাতে উপসর্গ বেশি হয়, দিনে কিছুটা কমে। অ্যালকোহল খাওয়ার পর হাইভস উঠলেও এই ওষুধ কাজে লাগে।

কবে ব্যবহার করবেন?
ত্বকে আঁচড় দিলে বা চুলকালে হাইভস উঠলে।

---

Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

🌾 Secale Cornutum — জ্বলন্ত আগুনের ভিতরে জমে থাকা বরফকখনো শরীরের ভেতরটা জ্বলে আগুনের মতো, অথচ বাইরে থেকে ত্বক ঠান্ডা বরফ...
05/10/2025

🌾 Secale Cornutum — জ্বলন্ত আগুনের ভিতরে জমে থাকা বরফ

কখনো শরীরের ভেতরটা জ্বলে আগুনের মতো, অথচ বাইরে থেকে ত্বক ঠান্ডা বরফের মতো লাগে।
ঢেকে রাখলেই যেন আরও পুড়ে যায়, বরং ঠান্ডা বাতাসে কিছুটা মুক্তি…
এই বিপরীত অনুভূতিটাই বলে দেয় — এখানে Secale cornutum কাজ করবে।

এ ওষুধ রক্তসঞ্চালনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
অ্যালোপ্যাথিতে এর মূল উপাদান Ergotamine ব্যবহার হয় রক্তনালী সংকুচিত করার জন্য,
আর হোমিওপ্যাথিতে Secale ব্যবহার হয় সেই ভারসাম্যহীন রক্তসঞ্চালন ঠিক করতে —
বিশেষত যেখানে শরীরে একদিকে রক্তক্ষরণ চলছে, আর অন্যদিকে ত্বক বরফের মতো ঠান্ডা।

---

🩸 মূল ক্ষেত্র

🔹জরায়ুর রক্তপাত (Uterine hemorrhage): ধীরে ধীরে চলা, গাঢ়, জমাট না বাঁধা রক্ত।

🔹প্রসব বেদনা দুর্বল বা বন্ধ হয়ে যাওয়া।

🔹গর্ভপাতের আশঙ্কা, বিশেষ করে তৃতীয় মাসে।

🔹নাক দিয়ে রক্ত পড়া, পুরপুরা, কলেরা, রক্তাক্ত ডায়রিয়া।

---

🧠 মানসিক অবস্থা

মনে একধরনের হতাশা, উদাসীনতা, মানসিক ঝিমুনি।
এক ভেতরের ভয় কাজ করে — “আমি হয়তো পাগল হয়ে যাচ্ছি।”
বয়স্ক বা শীর্ণ, রক্তশূন্য, কৃশ রোগীদের মধ্যে এই মানসিক ক্লান্তি স্পষ্ট দেখা যায়।

---

🌡️ সার্বিক বৈশিষ্ট্য

🔸শরীরে তীব্র জ্বালাপোড়া ও গরম অনুভব, কিন্তু ঠান্ডায় আরাম।

🔸গরমে উপসর্গ বাড়ে, খোলা বাতাসে বা ফ্যানের হাওয়ায় আরাম পায়।

🔸ত্বক ঠান্ডা, কিন্তু রোগী নিজে আগুনে পুড়ছে বলে অনুভব করে।

🔸শরীর শীর্ণ, মুখে বলিরেখা, মৃতদেহের মতো চেহারা।

---

🦵 অঙ্গপ্রত্যঙ্গ

🔹হাঁটলে পায়ে ক্র্যাম্প ও ব্যথা (Claudication)।

🔹গ্যাংগ্রিন, বিশেষত হাত-পায়ের প্রান্তে — সঙ্গে অসাড়তা, পোকা হাঁটার মতো অনুভূতি।

🔹পা গরম ও ঢেকে রাখতে পারে না, ঠান্ডা বাতাসে আরাম পায়।

🔹Varicose veins-এ জ্বালাময় ব্যথা, যা গরমে বাড়ে, ঠান্ডায় কমে।

---

🩹 ত্বক

🔸কালো, জ্বালাময় ঘা (Ulcers) যা পোড়ার মতো অনুভূতি দেয়।

🔸রক্তসঞ্চালন কম এমন জায়গায় নীলচে দাগ, Ecchymosis।

🔸Formication — ত্বকের নিচে পোকা হাঁটার অনুভূতি।

---

🔍 তুলনায়

Sulphur: গরমে উপসর্গ বাড়ে, ঠান্ডায় আরাম, জ্বালাময় ব্যথা, ঢেকে রাখতে পারে না।

Arsenicum Album: জ্বালা, দুর্বলতা, ভয়, ঠান্ডায় আরাম, গ্যাংগ্রিনে কার্যকর।

---
Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
Bhms (DU)

বাচ্চাটার শরীরে প্রায় দুই মাস ধরে চুলকানি ছিল। ফার্মেসি থেকে নিজের মতো কিছু ওষুধ খাওয়ানোর পর এখন ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ...
05/10/2025

বাচ্চাটার শরীরে প্রায় দুই মাস ধরে চুলকানি ছিল। ফার্মেসি থেকে নিজের মতো কিছু ওষুধ খাওয়ানোর পর এখন ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। এভাবে না বুঝে এলোমেলোভাবে ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিটি রোগের নিজস্ব কারণ ও লক্ষণ থাকে—তাই সঠিক সিম্পটম অনুযায়ী ওষুধ নির্বাচন করাই আসল চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা শুরু করুন, ইনশাআল্লাহ ভালো ফল পাবেন।

Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

রোগীরা যখন মেসেজ বা ফোন দিয়ে এসব মেসেজ পাঠায়,আসলেই ভালো  লাগা কাজ কর😍
04/10/2025

রোগীরা যখন মেসেজ বা ফোন দিয়ে এসব মেসেজ পাঠায়,আসলেই ভালো লাগা কাজ কর😍

🌿 আর্টিকেরিয়া (Urticaria) বা হাইভস: কারণ, উপসর্গ ও হোমিওপ্যাথিক সমাধান 🌿আর্টিকেরিয়া, যাকে আমরা হাইভস বা নেটল র‍্যাশ বলি,...
04/10/2025

🌿 আর্টিকেরিয়া (Urticaria) বা হাইভস: কারণ, উপসর্গ ও হোমিওপ্যাথিক সমাধান 🌿

আর্টিকেরিয়া, যাকে আমরা হাইভস বা নেটল র‍্যাশ বলি, হলো ত্বকে হঠাৎ উঁচু হয়ে ওঠা চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি বা ফোলাভাব (wheals)। এগুলির সাথে অনেক সময় জ্বালাপোড়া, খোঁচা খোঁচা ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি শরীরের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার ফল।

✨ কেন হয়?

এই রোগের মূল কারণ হলো অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল ইমিউন সিস্টেম। কোনো খাবার বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী পদার্থ শরীরে প্রবেশ করলে ত্বকের নিচে থাকা মাস্ট সেল ও বেসোফিল থেকে হিস্টামিন নামক রাসায়নিক নিঃসৃত হয়। এর ফলে রক্তনালী প্রসারিত হয়, প্রদাহ তৈরি হয় এবং রক্তনালী থেকে তরল বাইরে চলে এসে ত্বকে ফোলাভাব ও ফুসকুড়ি তৈরি করে।

তবে শুধু অ্যালার্জিই নয়, স্ট্রেস, সংক্রমণ, আঁটসাঁট পোশাক ইত্যাদিও অনেক সময় আর্টিকেরিয়ার কারণ হতে পারে। অনেক সময় আবার সঠিক ট্রিগার খুঁজে পাওয়া যায় না।

✨ কী কী কারণে বেড়ে যায়?

১. কিছু খাবার: ডিম, বাদাম, চিংড়ি বা শেলফিশ

২. ওষুধ: অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথানাশক (NSAIDs)

৩. পরিবেশ: অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা, রোদ, ধুলাবালি, পানির সংস্পর্শ

৪. অন্যান্য: পোকামাকড়ের কামড়, পশুর লোম, আঁচড়ানো, মানসিক চাপ

৫. সংক্রমণ: সর্দি-কাশি, হেপাটাইটিস, স্ট্রেপ থ্রোট

৬. অটোইমিউন রোগ: থাইরয়েডের সমস্যা, সিলিয়াক রোগ

✨ কী কী উপসর্গ দেখা যায়?

১. ত্বকে উঁচু হয়ে ওঠা চুলকানিযুক্ত দাগ (wheal)

২. রঙ গোলাপি, লাল, ফ্যাকাশে বা ত্বকের রঙের মতো হতে পারে

৩. আকার ছোট দানা থেকে বড় ফোলাভাব পর্যন্ত

৪. কয়েক ঘণ্টায় মিলিয়ে যায়, কিন্তু একদিনের বেশি থাকে না

৫. অনেক সময় একত্রিত হয়ে বড় আকার ধারণ করে (plaques)

৬. চোখ, ঠোঁট, হাত-পা বা যৌনাঙ্গে ফোলাভাব (angioedema)

৭. খুব বিরল হলেও গুরুতর ক্ষেত্রে অ্যানাফাইল্যাক্সিস হতে পারে, যেখানে শ্বাসকষ্ট, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি থাকে — এটি জীবনহানিকর অবস্থা এবং জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

🌿 হোমিওপ্যাথির ভূমিকা

হোমিওপ্যাথি শুধু সাময়িক আরামই দেয় না, বরং রোগের মূল কারণ অর্থাৎ অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীল ইমিউন সিস্টেমকে স্বাভাবিক করতে কাজ করে। এতে ধীরে ধীরে হিস্টামিন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ফুসকুড়ি ও চুলকানি কমতে থাকে।

শুরুতে ওষুধ ফুসকুড়ি ও অস্বস্তি উপশম করে, পরে ধীরে ধীরে পুনঃআক্রমণের প্রবণতা ও তীব্রতা কমায়। এর ফলে রোগ ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ নিরাময়ের দিকে এগোয় এবং অ্যান্টিহিস্টামিন বা প্রচলিত ওষুধের ওপর নির্ভরশীলতাও কমে যায়।

👉 তবে মনে রাখতে হবে, প্রতিটি রোগীর জন্য আলাদা ওষুধ নির্বাচন করতে হয়। কারণ কারও আর্টিকেরিয়া খাবারে বেড়ে যায়, কারও আবার ঠান্ডা বা স্ট্রেসে। তাই অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সর্বোত্তম।

---
Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Khairul Ibne Samad, Jayita Chatterjee Nathh, Pabitra Bose...
04/10/2025

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Khairul Ibne Samad, Jayita Chatterjee Nathh, Pabitra Bose, Sarwar Kamal, Kazi Safakot Islam, Supradip Das, Shampa Bahri, Munshi Sahidul Hoque, Sanjoy Dhar, Mrinmoy Sinha Roy, Tapan Kumar Mondal, Kabirul Islam, Pratik Pyne, Goutam Dutta, Morshed Alam Rasel Cma, Selim Reza, Subrata Bose, Debasish Dutta, Sujit Paul, Rubel Masud, Sanjay Modak, Animesh Roy, Rabiul Islam, Souvik Dutta, Dinanath Atri Sen, দীপঙ্কর ভাণ্ডারী, Murad Hussain, Bivash Sen, Subrata Kumar Sikdar, Suprakash Sardar, Monowara Khatun, Subhajit Chakraborty, Narayanchandra Debnath, Barun Mondal, Kusmanta Shyamal, Kbd-Homeopath Mushfiqur Rahman Hasib, Subhasis Chakraborty, Rana Dey, MD Jalal Molla, Sharif Nabi, Emdadul Karzon, Syed MD Eqtear Uddin, Md Selim Reza, Pritha Datta Raksh*t, Papiya Chatterjee Podder, Sumit Roy, Arun Kumar Mohanty, Sumon Mandal Ratul, Apu Hossain, Dipen Basak

02/10/2025

কেউ কল করবেন না।পেইজে ইনবক্সে মেসেজ দিয়ে রাখবেন।নেক্সট কোন বিষয়ে পোস্ট চান,তা কমেন্ট করুন।

ওয়ার্টস বা আঁচিলের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাসাধারণ চিকিৎসায় ওয়ার্টস দূর করতে কটারাইজেশন (পোড়ানো) ব্যবহার করা হয়, যা...
01/10/2025

ওয়ার্টস বা আঁচিলের জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

সাধারণ চিকিৎসায় ওয়ার্টস দূর করতে কটারাইজেশন (পোড়ানো) ব্যবহার করা হয়, যা অনেক সময় ব্যথা ও দাগের সৃষ্টি করে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওষুধ দমন করে না, বরং শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ভেতর থেকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্থায়ীভাবে ওয়ার্টস সারাতে সাহায্য করে। যেহেতু এসব ওষুধ প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি, তাই এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ওয়ার্টস দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ওষুধ হলো Thuja Occidentalis, Causticum এবং Nitric Acid। এগুলো গভীর কার্যক্ষমতা সম্পন্ন এবং অত্যন্ত সফল ফলাফল দেয়।

---

🍀🏵️১. Thuja Occidentalis – ওয়ার্টস সারানোর উৎকৃষ্ট ওষুধ

Thuja হলো ওয়ার্টসের জন্য অন্যতম প্রধান ওষুধ। বিশেষ করে যেসব ওয়ার্টস দানাদার, বড় বা ডাঁটার মতো উঁচু হয়ে থাকে। শরীরের যেকোনো অংশে উঠা ওয়ার্টসের জন্য Thuja কার্যকর। অনেক সময় এর সাথে ত্বক শুষ্কভাব ও স্পর্শে সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। বিশেষ করে যৌনাঙ্গের ওয়ার্টসের ক্ষেত্রে Thuja অসাধারণ কাজ করে।

🍀🏵️২. Causticum – ওয়ার্টস ও স্কিন ট্যাগের জন্য

Causticum বড়, খসখসে, আঁকাবাঁকা ওয়ার্টস দূর করতে খুব কার্যকর। বিশেষ করে মুখ, ঠোঁট, নাক, চোখের পাতা ও আঙুলের ডগায় ওয়ার্টস হলে এটি প্রয়োজনীয়। ব্যথাযুক্ত ও ডাঁটার মতো উঁচু ওয়ার্টসের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর।

🍀🏵️৩. Nitric Acid – সহজে রক্ত পড়ে এমন ওয়ার্টসের জন্য

Nitric Acid এমন ওয়ার্টসের জন্য কার্যকর যেগুলো হালকা ছোঁয়া বা ধোয়ার সময়ই রক্ত পড়ে যায়। এ ধরনের ওয়ার্টস স্পর্শকাতর, চুলকানিযুক্ত হতে পারে এবং অনেক সময় তীক্ষ্ণ বা সূঁচ ফোটার মতো ব্যথা অনুভূত হয়।

🍀🏵️৪. Dulcamara ও Lycopodium – মুখে ওয়ার্টসের জন্য

Dulcamara: বড়, চ্যাপ্টা বা মসৃণ ওয়ার্টসের জন্য কার্যকর।

Lycopodium: ছোট বা ডাঁটার মতো উঁচু ওয়ার্টসের ক্ষেত্রে উপকারী, বিশেষ করে থুতনিতে উঠা ওয়ার্টসের জন্য।

🍀🏵️৫. Causticum ও Nitric Acid – চোখের পাতার ওয়ার্টসের জন্য

Causticum: বড়, দানাদার ও ব্যথাযুক্ত ওয়ার্টসের ক্ষেত্রে কার্যকর, এমনকি ভ্রুতেও ওয়ার্টস উঠলে।

Nitric Acid: বড়, খসখসে ও সহজে রক্ত পড়া ওয়ার্টসের জন্য উপকারী।

🍀🏵️৬. Antimonium Crudum ও Silicea – পায়ের পাতার নিচে ওয়ার্টস (Plantar warts)

Antimonium Crudum: শক্ত ও শিংয়ের মতো ওয়ার্টসের জন্য কার্যকর। বিশেষ করে কর্ন ও ওয়ার্টস একসাথে হলে।

Silicea: অতিরিক্ত ঘামসহ পায়ের পাতার নিচে ওয়ার্টসের ক্ষেত্রে উপকারী।

🍀🏵️৭. Sepia ও Causticum – মাথায় ওয়ার্টসের জন্য

Sepia: মাথার ওপরে ঠান্ডা অনুভূতি, চুল পড়া বা কপালে ওয়ার্টস হলে।

Causticum: বড় ও সহজে রক্ত পড়ে এমন ওয়ার্টসের জন্য।

🍀🏵️৮. Causticum ও Dulcamara – আঙুলে ওয়ার্টসের জন্য

Causticum: শক্ত, মোটা ও নখের পাশে (periungual warts) উঠা ওয়ার্টসের জন্য কার্যকর।

Dulcamara: সমতল, মসৃণ বা হাতের তালুর ওয়ার্টসের ক্ষেত্রে কার্যকর।

🏵️🍀৯. Sepia – ওয়ার্টস ও তিলের জন্য

Sepia এমন রোগীদের জন্য উপকারী যাদের মুখে ছোট, শক্ত, দানাদার ওয়ার্টস এবং একই সাথে তিল থাকে। ওয়ার্টসের সাথে চুলকানি থাকতে পারে। নাক ও গালে হলুদ-বাদামী দাগ বা পিগমেন্টেশন এবং অনেক সময় কালো রোমকূপও দেখা যায়।

---

👉 হোমিওপ্যাথি ওষুধ শুধু ওয়ার্টস দূর করে না, বরং ভেতর থেকে দেহের ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে ভবিষ্যতে নতুন ওয়ার্টস হওয়ার প্রবণতাও কমিয়ে দেয়।

---

Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

নাক থেকে রক্ত পড়া (Epistaxis) এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাহোমিওপ্যাথি নাক থেকে রক্ত পড়া বা এপিস্ট্যাক্সিসের স্থায়ী প্রবণতা...
29/09/2025

নাক থেকে রক্ত পড়া (Epistaxis) এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথি নাক থেকে রক্ত পড়া বা এপিস্ট্যাক্সিসের স্থায়ী প্রবণতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। সম্পূর্ণ আরোগ্যের জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ মূল কারণকে সংশোধন করার চেষ্টা করে, যা নাক থেকে রক্তক্ষরণের দিকে নিয়ে যায়। নাক থেকে রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ হলো Hamamelis, Phosphorus, Arnica, Millifolium, এবং Carbo Veg।

---

১. Hamamelis – এপিস্ট্যাক্সিসের প্রধান ওষুধ

Hamamelis একটি চমৎকার anti-hemorrhagic ওষুধ। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণে কার্যকর, যার মধ্যে নাকও অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে যখন রক্ত গাঢ়, জমাট বাঁধে না, তখন এটি বেশি কার্যকর। রক্তের সঙ্গে নাকে ব্যথা, টানটানভাব ও চাপের অনুভূতি থাকে। রোগী প্রচণ্ড দুর্বল ও অবসন্ন থাকে।

---

২. Phosphorus – উজ্জ্বল লাল রক্তক্ষরণের জন্য

Phosphorus উজ্জ্বল লাল রক্ত পড়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের রক্তক্ষরণে সমানভাবে উপকারী। বিশেষ করে নাসার পলিপ বা দীর্ঘস্থায়ী ক্যাটার থেকে রক্ত পড়লে Phosphorus দেওয়া হয়। এটি বারবার নাক থেকে রক্ত পড়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে।

---

৩. Crocus Sativus – কালো বা দড়ির মতো লম্বা রক্তের জন্য

Crocus Sativus খুব কার্যকর, যখন রক্ত কালো, ঘন ও সুতো বা দড়ির মতো লম্বা হয়ে ঝুলে পড়ে। এর সঙ্গে চরম দুর্বলতা ও মাথা ঘোরা থাকতে পারে, এমনকি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় রক্ত পড়ার প্রবণতা থাকলে এটি কার্যকর।

---

৪. Arnica – আঘাত বা ধাক্কার পর রক্তক্ষরণে

Arnica একটি সুপরিচিত anti-trauma ওষুধ। নাকে আঘাত, পড়ে যাওয়া বা ধাক্কার কারণে রক্ত পড়লে Arnica অবশ্যই দিতে হয়। এটি দ্রুত রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। রোগী নাকে ব্যথা ও আঘাত লেগেছে এমন অনুভূতি পায়। এছাড়া টাইফয়েড জ্বরের সময় রক্ত পড়লেও Arnica কার্যকর।

---

৫. Carbo Veg – বারবার নাক থেকে রক্ত পড়ার জন্য

যাদের প্রায়ই নাক থেকে রক্ত পড়ে, তাদের জন্য Carbo Veg একটি আদর্শ ওষুধ। রোগীর মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়, শরীর ঠান্ডা ও ঘামে ভিজে যায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এমনকি অজ্ঞানও হতে পারে। রোগী ঠান্ডা বাতাসে ভালো বোধ করে। এটি রক্তক্ষরণের প্রবণতা কমায় এবং শক্তি পুনরুদ্ধার করে।

---

৬. Melilotus – রক্ত পড়লে মাথাব্যথা কমে যায়

যখন প্রচণ্ড ধপধপে মাথাব্যথা ও মুখ লাল হয়ে থাকে, আর নাক থেকে রক্ত পড়লেই আরাম আসে – তখন Melilotus সবচেয়ে উপযুক্ত। রক্ত সাধারণত উজ্জ্বল লাল ও বেশি পরিমাণে হয়।

---

৭. Lachesis – কালো ও ঘন রক্তের জন্য

Lachesis খুব কার্যকর anti-hemorrhagic ওষুধ। বিশেষ করে যখন রক্ত কালো, ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত হয়। কখনো কখনো রক্তে অম্লতা থাকে যা ঠোঁট ও নাসারন্ধ্রকে জ্বালিয়ে দেয়।

---

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধসমূহ

১. উজ্জ্বল লাল রক্তক্ষরণে

Phosphorus – নাসার পলিপ, কফ জমা বা অন্য যেকোনো কারণে উজ্জ্বল লাল রক্ত।

Ipecac – প্রচুর উজ্জ্বল লাল রক্তের সঙ্গে বমিভাব থাকলে।

Millifolium – ব্যথাহীন, প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণে।

---

২. গাঢ় রক্তক্ষরণে

Lachesis – কালো, ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত রক্তক্ষরণে।

Hamamelis – গাঢ় রক্তের সঙ্গে নাকের শিকড়ে টানটানভাব ও প্রচণ্ড দুর্বলতা থাকলে।

---

৩. জমাট বাঁধা রক্তে

Crocus Sativus – টানটান, জমাট ও দড়ির মতো রক্তক্ষরণে।

China – অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর প্রচণ্ড দুর্বলতা, অবসাদ, অজ্ঞান হলে।

---

৪. আঘাতজনিত রক্তক্ষরণে

Arnica ও Hamamelis – আঘাত, ধাক্কা বা নাকে পড়ে যাওয়ার কারণে হলে।

---

৫. রক্তাল্পতা (Anemia) জনিত রক্তক্ষরণে

Ferrum Met – রক্তাল্প রোগীর উজ্জ্বল লাল রক্তক্ষরণে।

China – রক্তাল্পতার সঙ্গে প্রচণ্ড দুর্বলতা, অবসাদ, অজ্ঞান হলে।

---

৬. শুকনো নাকের খোসা থেকে রক্তক্ষরণে

Ammonium Carb ও Kali Bichrome – শুকনো খোসা খসে নাক থেকে রক্ত পড়লে।

---

👉 এভাবে রোগীর অবস্থা ও লক্ষণ অনুসারে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বেছে নেওয়া হলে নাক থেকে রক্ত পড়ার প্রবণতা স্থায়ীভাবে কমানো যায়।

---
Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

🌾 কর্ন এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাপায়ের আঙুল বা তালুতে শক্ত চামড়া জমে ছোট ছোট গুটি তৈরি হয়, যাকে বলা হয় কর্ন (Corn)। এটি কখনো...
28/09/2025

🌾 কর্ন এর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

পায়ের আঙুল বা তালুতে শক্ত চামড়া জমে ছোট ছোট গুটি তৈরি হয়, যাকে বলা হয় কর্ন (Corn)। এটি কখনো শক্ত আবার কখনো নরম হতে পারে। হাঁটার সময় ব্যথা, জ্বালা, প্রদাহ বা পুঁজের সমস্যাও দেখা দেয়। হোমিওপ্যাথিতে কর্নের জন্য বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ আছে, যা রোগীর অবস্থাভেদে নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি হলো –

---

১. Antimonium Crudum – শক্ত ও ব্যথাযুক্ত কর্নে

এই ওষুধ কর্নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে যেসব কর্ন শক্ত, বড় ও শিংয়ের মতো শক্ত হয়ে যায়। এগুলো পায়ে বা আঙুলে হতে পারে। কখনো ব্যথাহীন থাকে, আবার হাঁটার সময় তীব্র সুচ ফোটার মতো, চাপের মতো বা জ্বালা ধরণের ব্যথা হয়।

---

২. Silicea – আঙুলের ফাঁকের নরম কর্নে

আঙুলের মাঝখানে নরম কর্ন হলে Silicea বিশেষভাবে উপযোগী। এই কর্নে তীব্র সেলাই করার মতো ব্যথা, জ্বালা, কখনো পুঁজ হওয়ার প্রবণতাও থাকে। আক্রান্ত পায়ে ঘাম হয় এবং দুর্গন্ধ ছড়ায়।

---

৩. Hepar Sulph – ইনফেকশন ও পুঁজযুক্ত কর্নে

যেসব কর্ন ইনফেক্টেড হয়ে পুঁজ বের করে এবং তীব্র সুচ ফোটার মতো ব্যথা হয়, সেখানে Hepar Sulph অসাধারণ কাজ করে। এসব কর্ন স্পর্শে অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, সামান্য ছোঁয়াতেই প্রচণ্ড ব্যথা করে।

---

৪. Ranunculus Bulbosus – জ্বালা ও দাহযুক্ত কর্নে

এই ওষুধ সবচেয়ে কার্যকর যখন কর্ন শক্ত ও শিংয়ের মতো হয়ে যায় এবং প্রচণ্ড জ্বালা বা দাহজনিত ব্যথা তৈরি হয়। সামান্য ছোঁয়াতেই ব্যথা বেড়ে যায়, রোগী অস্বস্তিতে থাকে।

---

৫. Sulphur – প্রদাহযুক্ত কর্নে

Sulphur মূলত সেই কর্নে উপযোগী যেগুলো লালচে, ফোলা, গরম ও ব্যথাযুক্ত। সবচেয়ে স্পষ্ট উপসর্গ হলো তীব্র জ্বালা। এছাড়া সুচ ফোটার মতো, খোঁড়ার মতো, চাপের মতো বা সেলাই করার মতো ব্যথাও থাকতে পারে।

---

৬. Lycopodium – নানা ধরনের ব্যথাযুক্ত কর্নে

যেসব কর্ন শক্ত, মোটা হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ব্যথা করে – যেমন চাপের মতো, টান ধরা, ছিঁড়ে যাওয়ার মতো, সেলাই করার মতো বা জ্বালা ব্যথা – সেখানে Lycopodium অত্যন্ত কার্যকর। অনেক সময় প্রদাহ হয়ে দাহধর্মী ব্যথাও তৈরি করে।

---

✨ কর্নের প্রকৃতি আলাদা, তাই চিকিৎসার ক্ষেত্রেও আলাদা ওষুধ প্রয়োজন হয়। সঠিক উপসর্গ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ বেছে নিলে দীর্ঘদিনের কর্নও ধীরে ধীরে নিরাময়ের পথে আসে।

Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

🌿 কর্নস (Corns) – ধরন, কারণ, লক্ষণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকর্নস বা হেলোমাস (Helomas / Clavus) হলো ত্বকের উপরিভাগে সৃষ্ট ঘ...
27/09/2025

🌿 কর্নস (Corns) – ধরন, কারণ, লক্ষণ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

কর্নস বা হেলোমাস (Helomas / Clavus) হলো ত্বকের উপরিভাগে সৃষ্ট ঘন, শক্ত ও রুক্ষ মৃত কোষের স্তর, যা অতিরিক্ত ঘষা, চাপ বা ঘর্ষণের কারণে তৈরি হয়। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পা, আঙুল, হাত ও আঙুলের গাঁটে। কর্নস হাঁটা বা দাঁড়ানোর সময় ব্যথা সৃষ্টি করে।

---

🌸 কর্নসের ধরন (Types of Corns)

1. হার্ড কর্নস (Hard corns / Heloma durum বা Clavus durus):
ছোট ছোট শক্ত ত্বকের স্তূপ, সাধারণত আঙুলের উপরিভাগে গজায়।

2. সফট কর্নস (Soft corns / Heloma molle বা Clavus mollis):
নরম প্রকৃতির, সাদা বা ধূসর রঙের। সাধারণত আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে তৈরি হয়।

3. সীড কর্নস (Seed corns):
ছোট, পায়ের তলার দিকে গজানো কর্নস।

4. হেলোমা নিউরোভাসকুলারে (Heloma neurovasculare):
এগুলো স্নায়ু বা রক্তনালী যুক্ত কর্নস।

5. সাবআঙ্গুয়াল হেলোমা (Subungual heloma):
নখের নিচে তৈরি কর্নস।

---

🔎 কর্নসের লক্ষণ ও উপসর্গ (Signs & Symptoms)

অবস্থান: পায়ের তলা, আঙুলের উপরে বা পাশে। হাত ও আঙুলেও হতে পারে।

রঙ: প্রাথমিকভাবে হলুদ, পরবর্তীতে লাল, বাদামি বা কালো হয়ে যেতে পারে।

উপসর্গ:

1. ঘন, রুক্ষ ও গোলাকার অংশ, যার ভেতরে ধারালো অংশ প্রবেশ করে।

2. ত্বকে শক্ত উঁচু গুটি।

3. ব্যথা ও স্পর্শে কোমলতা। হাঁটার সময় মনে হয় যেন পাথরের উপর হাঁটছি।

---

⚡ কর্নস হওয়ার কারণ (Causes)

কর্নস আসলে ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া – অতিরিক্ত চাপ ও ঘষা থেকে রক্ষা করতে ত্বক শক্ত হয়।

প্রধান কারণ ও ঝুঁকি ফ্যাক্টর:

1. খুব টাইট বা ঢিলা জুতো পরা।

2. হাই-হিল পরা।

3. দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটা।

4. খেলাধুলা বা পেশাগত কাজ যেখানে পায়ে চাপ পড়ে।

5. অতিরিক্ত ঘাম।

6. খালি পায়ে হাঁটা বা মোজা না পরা।

7. হাঁটার সময় ভেতরের বা বাইরের দিকে বেশি চাপ।

8. ভারী জিনিস বহন, যন্ত্র বা বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার – হাতেও কর্নস হতে পারে।

9. বংশগত কারণ (Keratosis punctata)।

10. শারীরিক সমস্যা – Bunion, Hammertoe, Arthritis।

---

🚨 জটিলতা (Complications)

1.চিকিৎসা না করলে কর্নস বড় হতে পারে, ব্যথা বৃদ্ধি পায়, হাঁটা কষ্টকর হয়।

2.সংক্রমিত হলে লালচে ও ফোঁড়ার মতো তরল বের হতে পারে।

3.ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি।

---

🌿 হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে কর্নসের চিকিৎসা

1.হোমিওপ্যাথি কর্নসের জন্য নিরাপদ, প্রাকৃতিক ও স্থায়ী সমাধান।

2.কোনও বাহ্যিক মলম বা প্যাচ ব্যবহার হয় না।

3.মুখে খাওয়ার ওষুধ ভেতর থেকে কাজ করে।

4.হার্ড বা সফট, বেদনাযুক্ত বা বেদনাহীন কর্নস, এমনকি সংক্রমিত কর্নসও দ্রুত সারে।

5.ওষুধ নির্বাচন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উপসর্গ ও কর্নসের ধরন অনুযায়ী হয়।

✅ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সুবিধা:

1.পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

2.যে কোনো বয়সের মানুষ নিতে পারেন।

3.মূল থেকে কর্নস দূর করে, স্থায়ী ফল দেয়।

---

👉 সচেতনতা: জুতো ঠিকভাবে নির্বাচন, পরিষ্কার রাখা, মোজা ব্যবহার ও সঠিক হাঁটার অভ্যাস কর্নস প্রতিরোধে সহায়ক।

Dr-Esrat Jahan Metu
Govt Homeopathic Medical College and Hospital, Mirpur 14
BHMS (DU)

বিদ্রষ্ট :কেউ লিখা নিজের নামে চালাবেন,একটা লিখা অনেক সময় ধরে লিখি,নিজে টপিক নিয়ে পড়াশোনা করে।

Address

Dhaka

Opening Hours

09:00 - 17:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Homeopathic Study & Treatment posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Homeopathic Study & Treatment:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram