Occupational Therapist SM Farhan Bin Hossain

Occupational Therapist SM Farhan Bin Hossain Applied Behaviour Analysis

B.S.c.OT(BHPI-DU), M.Sc.OT(BHPI-DU),EMHE(DU)
Graduate in Science of Living,
Certified in Sensory Registration, Modulation & Integration; Oral Placement Therapy (Part 1,2)
Trained in Behaviour Technology for Autistic Children.

ডিসেম্বর, ২০১৫ একটা অনলাইন টিভির স্বাস্থ্য প্রোগ্রামে ডাক পরল, অকুপেশনাল থেরাপি নিয়ে কথা বলতে হবে অতিথি হিসেবে। চ্যানেলে...
22/10/2025

ডিসেম্বর, ২০১৫
একটা অনলাইন টিভির স্বাস্থ্য প্রোগ্রামে ডাক পরল, অকুপেশনাল থেরাপি নিয়ে কথা বলতে হবে অতিথি হিসেবে। চ্যানেলের নাম নতুন সময় ডট টিভি। উপস্থাপকের তথ্য অনুযায়ী কিছুদিনের মধ্যেই তারা অন এয়ারে যাবে। তখন আমি ইন্টার্ন শেষের দিকে। দুটো টিভি প্রোগ্রাম এ এর আগে এটেনড করে ফেলেছি। আমাকে সহ দুজন গেস্ট চাইল। মিরপুর থেকে তখন সিনিয়র অকুপেশনাল থেরাপিসট সারদা কুমার সাহা অরুণ স্যারকে নির্বাচন করা হল। অনলাইন টিভি, কতক্ষণ কি হয়, আউটপুট কেমন হবে এত কিছু তখন চিন্তা করি নাই। অকুপেশনাল থেরাপি বিষয়ে কিছু তথ্য তো শেয়ার করার সুযোগ পাওয়া গেল। তাই এটা আর মিস করি নাই। পুরানা পল্টন অফিসে আমি আর অরুণ স্যার উপস্থাপক শামিম ভাইয়ের সাথে বসলাম কি কি বিষয় নিয়ে কথা বলব। মূল অনুষ্ঠানের আগেই একটা জম্পেশ আড্ডা হয়ে গেল। এই অনুষ্ঠানের একটা বৈশিষ্ট্য ছিল যে এটা রেকর্ডেড প্রোগ্রাম হবে, লাইভ না। আর সময়টাও লম্বা ৩০ মিনিটের। বিজ্ঞাপন বিরতির ঝামেলা নাই, স্লিপ অফ টাং হলেও এডিটিং হবে। বিষয়গুলো আত্নবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। তো শুরু হয়ে গেল ‘হেলথ ইজ ওয়েল’ অনুষ্ঠান। অকুপেশনাল থেরাপির সংজ্ঞা, ইতিহাস থেকে শুরু করে ধামাকা গতিতে প্রথম শুরু করলেন অরুণ স্যার। আমি পরে গিয়ে কন্ডিশন, সেবা প্রাপ্তি স্থান ,কিভাবে কাজ করে সেগুলো নিয়ে বললাম। তো এই অনুষ্ঠানের দিন আরেকটা ঘটনা ঘটেছিল। দৈনিক ইনকিলাবে আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয় ‘হৃদরোগ পুনর্বাসনে অকুপেশনাল থেরাপি’। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটার বাস্তবায়ন না থাকলেও বহির্বিশ্বে এই সেবা চালু রয়েছে। একইদিনে পত্রিকায় প্রকাশনা ও অনুষ্ঠান আমার জীবনে একটা ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল। সাভার থেকে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগে ডিপার্টমেন্টে প্রকাশনার খবরটি শেয়ার করার পর সহকর্মীগণ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। এটা ছিল আমার জীবনের জন্য অন্যতম একটা মাইলফলক। এরপরেও টিভি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু একইদিনে এরকম যুগলকাণ্ড আর ঘটেনি। ঠিক যেন প্রথম দেখায় পছন্দ আর প্রেম নিবেদন একই দিনে একসাথে।

২৫ অক্টোবর ২০১৫ আরেকটি স্বরনীয় দিন। প্রথম অনুষ্ঠানে আমার পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে মাই টিভি এবার অকুপেশনাল থেরাপিতে ...
21/10/2025

২৫ অক্টোবর ২০১৫
আরেকটি স্বরনীয় দিন। প্রথম অনুষ্ঠানে আমার পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে মাই টিভি এবার অকুপেশনাল থেরাপিতে ব্যবহৃত সহায়ক সামগ্রী দেখাতে আগ্রহী। সেই সাথে বিভাগীয় প্রধানের সাথে আমাকে রেখে বিশ্ব অকুপেশনাল থেরাপি দিবস উপলক্ষে পর্ব পরিচালনা করবে। এবারের অনুভূতিটা আমার কাছে আরও স্পেশাল। কেননা ইন্টার্ন পিরিয়ডে আবার টিভিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগীয় প্রধানের সাথে। তৎকালীন সিআরপির অকুপেশনাল থেরাপি বিভাগের প্রধান জনাব জুল্কার নায়েন স্যারের সাথে বিষয়টি শেয়ার করলাম যে স্যার ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে উপস্থিত থাকতে হবে, সাথে আমাদের কিছু এসিসটিভ ডিভাইস দেখাতে হবে যা এর আগে কেও দেখেনি টিভি অনুষ্ঠানে। প্রথম অনুষ্ঠানে এটেনড করার ব্যাপারে ট্রাফিক জ্যাম ও যানজট এর অভিজ্ঞতা স্যারের সাথে শেয়ার করেছিলাম আর বলেছিলাম যে স্যার একটা দ্রুতযান থাকলে ভাল হয়। জুল্কার স্যার আমাকে নির্ভয় ও সাহস দিলেন এবং বললেন যে ওটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে আর আমি যেন একটা স্ক্রিপ্ট বা প্রশ্নাবলী সেট করি। এসেছে সেই মাহেন্দ্র ক্ষন। সকালেই স্যারের সাথে বসে বিকেলের রোগী ম্যানেজমেনট প্ল্যান করে স্যারকে আবার জিজ্ঞেস করলাম যে স্যার যাব কিভাবে! স্যার তখন বললেন যে দেখি অফিসের কোন গাড়ি ম্যানেজ করা যায় কিনা। আমি বললাম যে স্যার বিকেল তিনটায় না বের হলে তো পৌছা মুশকিল হয়ে যাবে। স্যার তখন বললেন যে প্রিন্সিপাল স্যারের গাড়িতে উঠে যাব, যা আছে কপালে। বিকেল ৩.৫০ নাগাদ আমি আর জুল্কার স্যার তৎকালীন প্রিন্সিপাল স্যার কাদের স্যারের নীল জিপে উঠে গেলাম। স্যার তো টিভি প্রোগ্রামের কথা শুনে মহাখুশি। আমাকে আর জুল্কার স্যারকে অভিনন্দন জানালেন আর ড্রাইভারকে বলে দিলেন যে প্রোগ্রাম শেষ হবার পর যেন আমাদেরকে সাভারে ঠিকঠাক পৌঁছে দেয়। বাংলা মোটরস্থ মাইটিভির অফিসে বিকেল ৫টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম। সেখানে উপস্থাপক ডাঃ সাকলায়েন রাসেল আর মাইটিভির একজন সাংবাদিকের সাথে দেখা হল, কথা হল, নাস্তার পর স্টুডিওতে ঢুকে স্যার আর আমাকে মেকাপ দিল মেকাপ আর্টিস্ট। এবার একটু সময় নিয়ে মেকাপ নিলাম। আফটার মেকাপ, স্যার আর আমি পুরাই চকচক, ঠিক যেন সাদা চকের মত অবস্থা। বিভিন্ন ধরণের স্প্লিনট, মডিফাইড নেইল কাটারসহ আরও ডিভাইস টেবিলের উপর সাজিয়ে ফেললাম। আমাদের অকুপেশনাল থেরাপিসটদের বানানো এই ডিভাইসগুলো দেখে ক্যামেরাম্যান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও সঞ্চালক খুব খুশি হলেন এবং আজকের প্রোগ্রামটি জমজমাট হবে বলে উচ্ছাস প্রকাশ করলেন।ক্যামেরা, লাইট অন। লাইভ অন এয়ার শুরু হল। বিরতির মাঝে আমরা একটু চা আর আলাপ করে নিলাম কি কি পাঞ্চ দেয়া যায় তথ্যে। এভাবেই আমাদের অনুষ্ঠান শেষ হল। তারপর একটু হাল্কা খাওয়া দাওয়া আর আলাপচারিতা। অফিসের গাড়িতে ফিরতি যাত্রা। জুল্কার স্যারের উচ্ছ্বাস দেখে আমি আপ্লূত আর স্যারও আমার উদ্দীপনা দেখে বিমোহিত। কারণ আমি তখন নবীন প্রফেশনাল, ইন্টার্ন করছিলাম অকুপেশনাল থেরাপি বিভাগে। আমার কাছে মনে হয়েছিল যে জনসাধারনের কাছে অকুপেশনাল থেরাপির সুবিধা , প্রয়োগ ,সেবা প্রাপ্তি স্থান তুলে ধরলে তারা উপকৃত হবেন আর আমি শুধু এই মেসেঞ্জারের দায়িত্ব নিয়েছিলাম মিডিয়াকে ব্যবহার করে। আমি যা জানি তা যদি অন্যকে না জানাই তাহলে মনে হয় আমারও জানার রাস্তা বন্ধ হতে পারে। তাই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে প্রচার-প্রসারের কাজ করি নতুনভাবে।

৭জুন, ২০১৫আমার ক্যারিয়ার, অকুপেশনাল থেরাপির ইতিহাস এবং রিহ্যাবিলিটেশন কমিউনিটির ইতিহাসে একটা অনন্য দিন। আমার জীবনে প্রথম...
20/10/2025

৭জুন, ২০১৫
আমার ক্যারিয়ার, অকুপেশনাল থেরাপির ইতিহাস এবং রিহ্যাবিলিটেশন কমিউনিটির ইতিহাসে একটা অনন্য দিন। আমার জীবনে প্রথম টেলিভিশন চ্যানেলের স্বাস্থ্য প্রোগ্রামে উপস্থিতি, তাও আবার ইন্টার্ন লাইফে অকুপেশনাল থেরাপি পেশাকে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে এবং তৎকালীন সিনিয়র ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক শফিউল্লাহ প্রধানের সাথে প্রথমবারের মত তথ্য যুদ্ধ। তাও এটা হবে লাইভ প্রোগ্রাম, কোন এডিটিং নাই, রেকর্ড সিস্টেম নাই। ২০ মিনিটের লাইভ, ১০ মিনিটের বিজ্ঞাপন বিরতি। মানে তথ্য দিতে হবে মার মার কাট কাট জনগণের জন্যে উপকারী। একটু নার্ভাস ছিলাম, আবার ছিল প্রাণঢালা উচ্ছ্বাসও। কেননা তখন আমি নবীন প্রফেশনাল। ইন্টার্ন হিসেবে কেও টক শোতে ডাক পেয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে মাইটিভি থেকে ডাক পাবার পর মনে হচ্ছিল উঁচু একটা লাফ দেই। তখন আমি সিআরপি সাভারে স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি ইউনিটে ইন্টার্নগিরি করছিলাম, ইয়ে মানে ইন্টার্নশিপ। একদিনের মত সময় পাই প্রস্তুতি নেবার। একটু আশেপাশে খোঁজখবর নিই, কি পোশাক পরব, কি পারফিউম মাখব, সাভার থেকে কিভাবে যাব। মাইটিভির অফিস ছিল তখন বাংলা মোটর। টিভি প্রোগ্রামের অতিথিরা সবাই যায় হাই ফাই কোর্ট প্যানট ড্রেস পরে গাড়িতে চড়ে আর আমি যে কি করব! মনকে একটু সাহস দিলাম “আমার যা বেস্ট আছে তাই পরব, পাবলিক ট্রান্সপোর্টেই যাব। অকুপেশনাল থেরাপিসট হিসেবে ওখানে আমিই বস, আমার কথা, তথ্যের মুল্যায়নই সবচেয়ে বড় বিষয়”। তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান জুল্কার নায়েন স্যারকে বললাম যে স্যার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে স্টুডিওতে থাকতে হবে, বিকেল ৩ টায় বের হতে হবে। স্যার আমার এই টিভিতে ডাক পাওয়াকে অভিনন্দন জানালেন এবং আমার পথটাকে সুগম করে দিলেন। বিকেল ৩ টায় বের হয়ে ফার্মগেটের জ্যামে এক ঘণ্টায় বিকেল ৫.৪৫ বেজে গেল। স্টুডিও থেকে কল আসলো যে কোথায় আছি, হেটে যেন রওনা দেই কেননা মেকাপ নেবার বিষয় আছে। সেই ফার্মগেট থেকে বাংলা মোটর ২০ মিনিট দৌড়ে পৌঁছেছি ঘর্মাক্ত দেহে ফুল হাতা শার্ট পরিহিত অবস্থায় আর চোখে মুখে ধুলাবালি। গিয়ে দেখি লাইভ শুরু হয়ে যাবে, অতিথি-উপস্থাপক সবাই বসে পরেছেন। আমি কোন রকম মুখটা ধুয়ে হাল্কা মেকাপ নিয়ে বসে পরলাম। বেশ ভাব সাব চলে আসলো, পুরো জাতি আমাকে দেখবে, কয়েকটা কথা শুনবে। সকাল থেকেই অবশ্য পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম দেখার জন্য। লাইভ শুরু হয়ে গেছে, প্রথমেই প্রতিপক্ষ। তারপর আমার দিকে প্রশ্ন আসল অকুপেশনাল থেরাপি কি, কাদের জন্য ইত্যাদি। ধীরে ধীরে হাল্কা হলাম আর ফলো করছিলাম পাশের অতিথি আর উপস্থাপকের দিকে। অনুষ্ঠান শেষে পার্শ্ববর্তী অতিথি প্রশংসা করলেন এবং তাঁর গাড়িতে করে আমাকে ড্রপ করে দিলেন। এই ছিল আমার অকুপেশনাল থেরাপি ইন্টার্ন লাইফের প্রথম টিভি প্রোগ্রামের গল্প। ঐ দিনটার কথা ভুলতে পারি না, ঠিক যেন প্রথম প্রেমের মত। আর এখন পর্যন্ত কেও এই রেকর্ড ছুঁতে পারেনি মানে ইন্টার্ন অবস্থায় প্রথম টিভি প্রোগ্রাম!

Finally Department of Occupational Therapy of Centre for the Rehabilitation of the Paralysed (CRP)-Mirpur, Bangladesh is...
26/10/2024

Finally Department of Occupational Therapy of Centre for the Rehabilitation of the Paralysed (CRP)-Mirpur, Bangladesh is ready to celebrate 15th World Occupational Therapy Day 2024 titled 'Occupational Therapy for All' at tomorrow.
This year an Occupational Therapy Awareness Program and Screening camp for clients with Spinal Muscular Atrophy will be happened in collaboration with CRP-Mirpur, Bangladesh Occupational Therapy Association and Cure SMA Bangladesh Foundation.
Bangladeshi Occupational Therapy community will celebrate this day neck and neck with 111 countries across the world through different professional development and promotional activities to empower community people.
Thanks in advance from me to all well wishers, students, occupational therapy professionals, clients, volunteers, media professionals, supporters, colleagues, health & rehabilitation professionals, seniors-juniors to make the event successful, impactful, unique, entertaining.
News link: https://www.risingbd.com/health/news/579374?fbclid=IwY2xjawGJ3MNleHRuA2FlbQIxMAABHZM8epANclyut9d2lQnqqR8Ja67m0sX5iCyfRR8ydzkqje93QH2P3yqwOA_aem_JwI4MDPWcch2mtvfaR5kkw

গাজা-মদ এর চেয়েও খারাপ যে বিষ আপনি প্রতিনিয়ত বছরের পর বছর বিভিন্ন খাবারের সাথে যুক্তভাবে শরীরে নিচ্ছেন আর ন্যুনতম ২০টি র...
28/04/2024

গাজা-মদ এর চেয়েও খারাপ যে বিষ আপনি প্রতিনিয়ত বছরের পর বছর বিভিন্ন খাবারের সাথে যুক্তভাবে শরীরে নিচ্ছেন আর ন্যুনতম ২০টি রোগের রোগী হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে নিচ্ছেন, সাথে টাকা, সময় ও স্বাস্থ্যের অপচয় তো হচ্ছেই। তো নিজের এত ক্ষতি যে করছেন শয়তান এর প্ররোচনায়, এটা পোষাবেন কিভাবে?
-চিনির দাম বৃদ্ধি নিয়ে হাউকাউ করে!
-হাসপাতালের ও ব্যবসায়ীদের উচ্চ মূল্যের বিল দিয়ে!
-আরাম আয়েসে আড্ডা দেয়ার প্রভাবে!
-বিজ্ঞাপনী রংগে হাবুডুবু খেয়ে!
-চলতি ট্রেন্ডে মন ভাসিয়ে!
এই সব পয়েন্টে ঘুরে ফিরে চেহারা পাল্টিয়ে চিনি আসে আপনার জীবন এ প্রতিদিন। বয়কট যদি কিছু করতেই হয়, তবে সবার আগে চিনি বয়কট করুন। একটাও ভালো প্রতিদান দেয় না এই চিনি। বরং চিনি বয়কট করলে আপনি-
১) অনেক রোগ (কমপক্ষে ২০টি) থেকে মুক্তি পাবেন।রোগমুক্তি মানে ঔষধ ও চিকিৎসা বিল থেকে মুক্তি
২) ব্রেইন -মাইন্ড সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন
৩) ক্ষুধা নিয়ন্ত্রিত থাকবে
৪) অর্থ ও সময় সঞ্চয় হবে ইত্যাদি।
তাই চলুন আজ থেকে চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার বয়কট করি, নিজের ভালো নিজে গড়ি।

12/04/2022

is Occupational Therapy?
#অকুপেশনাল থেরাপী কি?

Answer: উত্তরঃ অকুপেশনাল থেরাপী হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি স্বীকৃত বিভাগ এবং একটি আধুনিক স্বাস্থ্য সেবামূলক পেশা যেখানে শারীরিক বা মানসিক ভাবে অসুস্থ বা প্রতিবন্ধি ব্যক্তিদের দৈনন্দিন কাজে যথাসম্ভব সর্বাধিক সাবলম্বী (স্বনির্ভর) করার উদ্দেশ্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

অকুপেশনাল থেরাপী চিকিৎসার মাধ্যমঃ

ডাক্তাররা যেমন চিকিৎসার মাধ্যম হিসাবে ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন, অকুপেশনাল থেরাপিস্টরা তেমনি বিভিন্ন উদ্দ্যেশমূলক কাজ , শারীরিক ব্যায়াম , বিশেষ সহায়ক সামগ্রির ব্যবহার, নৈপূণ্য প্রশিক্ষন, রোগীর পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নয়ন এবং বিকল্প কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীকে দৈনন্দিন কাজে সর্বাধিক স্বাবল¤ী^ হতে সাহায্য করে থাকেন।

অকুপেশনাল থেরাপীর ইতিহাসঃ

অতি প্রাচীনকাল থেকেই কাজ’ চিকিৎসার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাচীন মিশর, গ্রিস ও রোম সভ্যতার ইতিহাসে মানসিক রোগীদের জন্য আনন্দদায়ক কাজের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে পেশা হিসাবে অকুপেশনাল থেরাপীর সূচনা হয় উনিশ শতকের শেষ এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর মানসিক রোগীদের পাশাপাশি যুদ্ধাহত মানুষের চিকিৎসায় সমগ্র ইউরোপ এবং আমেরিকায় অকুপেশনাল থেরাপীর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সমগ্র পৃথিবীতে অকুপেশনাল থেরাপী বিস্তার লাভ করে ।

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পরপরই যুদ্ধাহত মানষের চিকিৎসার প্রয়োজনে তৎকালীন RIHD (বর্তমান NITOR) এ অকুপেশনাল থেরাপী কোর্স চালু হয়। ১৯৭৬ সালে ৩ জন গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর দূর্ভাগ্যজনকভাবে কোর্সটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সাভারস্থ পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পূনর্বাসন কেন্দ্র, সি আর পি’র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হেলথ্ প্রফেসন্স ইনস্টিটিউট (BHPI)’এ ১৯৯৩ সালে অকুপেশনাল থেরাপী অ্যাসিস্টেন্ট কোর্স, ১৯৯৫ সালে ড়িপ্লোমা কোর্স এবং ১৯৯৯ সালে বি এস সি (অনার্স) ইন অকুপেশনাল থেরাপী কোর্স চালু হয়।

চিকিৎসা ক্ষেত্র সমূহঃ

শারীরিক, মানসিক, চিন্তা বা উপলব্ধিগত, পরিবেশগত কিংবা সামাজিক কারণে দৈনন্দিন কাজ সম্পাদনে নির্ভরশীল, সমস্যাগ্রস্থ কিংবা অক্ষম যে কেউই অকুপেশনাল থেরাপী চিকিৎসা সেবায় উপকৃত হতে পারেন। অকুপেশনাল থেরাপিস্টগণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন এমন কিছু অতি পরিচিত রোগের নাম নিচে উল্লেখ করা হল-

 øায়ুরোগ বিষয়ক (ঘবঁৎড়ষড়মরপধষ ঈড়হফরঃরড়হ)- স্ট্রোক, মস্তিস্কে আঘাত, মেরুরজ্জুতে আঘাত, বৃদ্ধদের ক্রমর্ধমান ব্যাধি, øায়ুর আঘাত, প্যারালাইসিস, গুলেন বারি সিন্ড্রোম ইত্যাদি।

 শিশুরোগ বিষয়ক - মস্তিস্কে পক্ষাঘাত (Stroke & Paralysis), শিশুদের কঠিন মানসিক পীড়া (Autism), বাকানো পা (Club Feet), ডাউন সিন্ড্রোম, মেরুদন্ডে গর্ত (Spinal Bifida) ইত্যাদি।

 পেশী ও হাড় সংক্রান্ত - হাড় ভাঙ্গা, বাত, রিওমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অঙ্গহানি, হাতে আঘাত, আগুনে পোড়া, কোমর ব্যথা ইত্যাদি।

 মনোরোগ বিষয়ক- বিষন্নতা, অস্থিরতা, সিজোফ্রেনিয়া, অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার, মাদকাসক্তি, ভগ্ন মনস্কতা ইত্যাদি।

অকুপেশনাল থেরাপিস্ট হিসাবে কাজের ক্ষেত্র সমূহঃ

উপরিউক্ত রোগসমূহের চিকিৎসা ও পূনর্বাসনে অকুপেশনাল থেরাপিস্ট কাজ করতে পারেন-

 সাধারন ও বিশেষায়িত হাসপাতাল

 মানসিক হাসপাতাল

 মাদকাসক্তি পূনর্বাসন কেন্দ্র

 প্রতিবন্ধী পূনর্বাসন কেন্দ্র

 বিশেষ শিক্ষা স্কুল

 বয়স্কদের পূনর্বাসন কেন্দ্র

 প্রাইভেট প্র্যাকটিস

এমনকি আঘাত ও কাজ থেকে সৃষ্ট সমস্যা প্রতিরোধে অকুপেশনাল থেরাপিস্টগণ বড় বড় কল কারখানা ও অফিস সমূহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।

চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

১. অকুপেশনাল থেরাপী চিকিৎসার শুরুতেই একজন রোগীর শারীরিক, মানসিক, উপলব্ধি ও চিন্তাগত, তার বাসস্থান ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয় যাকে বলা হয় অ্যাসেসমেন্ট। সংগৃহীত তথ্যের আলোকে তৈরী করা হয় একটি সমস্যা ছক এবং প্রতিটি সমস্যার বিপরীতে নেয়া হয় কিছু স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। দৈনন্দিন কাজে সর্বোচ্চ স্বাবলম্বী করার মূললক্ষ্যকে সামনে রেখে তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়- প্রতিকার মূলক, বিকল্প পদ্ধতির ব্যবহার, সহায়ক সামগ্রী ব্যবহার, শিক্ষা মূলক পদ্ধতির ব্যবহার, রোগ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে প্রতিবন্ধি শিশুর মাকে সচেতন করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্বে অকুপেশনাল থেরাপীঃ

আমাদের দেশে চিকিৎস ক্ষেত্রে শুধু ডাক্তার ও নার্সের উপস্থিতি থাকলেও উন্নত বিশ্বে একজন রোগীকে বিভিন্ন পেশার সমন্বয়ে গঠিত একটি টিমের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। আর অকুপেশনাল থেরাপী বিভিন্ন পেশার এই টিমের একটি স্বীকৃত ও গুরুত্বপূর্ন পেশা। সমগ্র বিশ্বে এটি একটি জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন থেরাপী চিকিৎসা। বিশ্বে প্রায় ৬৫ টি দেশে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার অকুপেশনাল থেরাপিস্ট কাজ করছেন এবং এ সংখ্যা চাহিদার সাথে সাথে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় অকুপেশনাল থেরাপী একটি জনপ্রিয় পেশা এবং যুক্তরাজ্যে এটি সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন থেরাপী পেশা।

বাংলাদেশে অকুপেশনাল থেরাপীঃ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)’র তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ লোক প্রতিবন্ধি। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা ও পূনর্বাসনে অকুপেশনাল থেরাপিস্ট আছেন প্রায় ৫০ জন। আর তাই বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পাশাপাশি প্রতিবন্ধিদের জন্য নিয়জিত প্রায় শতাধিক বেসরকারী সংস্থায় অকুপেশনাল থেরাপিস্টের রয়েছে ব্যাপক ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা।

28/12/2021
To know Occupational Therapy service as well, follow this page.
14/10/2021

To know Occupational Therapy service as well, follow this page.

W sitting , বিষয়টা খুবই Interesting শুধু জানার জন্য। এটা শুধুমাত্র বসার একটা ধরন। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে শিশুরা এই ...
09/08/2021

W sitting , বিষয়টা খুবই Interesting শুধু জানার জন্য। এটা শুধুমাত্র বসার একটা ধরন। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে শিশুরা এই ধরন অনুসরণ করে খেয়ালে কিংবা বেখেয়ালে। আমাদের জানতে হবে যে এটা সন্তানের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ কিনা।

[ ] W sitting কি?
শিশুর দুই হাটু ভাজ করে পিছনের দিকে দুপা এলিয়ে দেয়া ও মেঝেতে নিতম্ব ও পায়ের পাতা স্পর্শ অবস্থানকে ডব্লিউ সিটিং বলে। এ সময় সামনের দিকে তার হাটু দুটো ভিতরের দিকে বাঁকানো থাকে। এটা শিশুর কাছে সবচেয়ে আরামদায়ক অবস্থান মনে হয়। শিশু মেঝেতে বসে যে কোন কাজ যেমন খাওয়া, খেলাধুলা, টিভি দেখা এর ক্ষেত্রে এই অবস্থান এ বসে।মাঝেমাঝে বিছানায়ও এ অবস্থানে বসতে পারে।
[ ] কেন করে?
১) শিশুর কাছে খুব আরামদায়ক আর স্থিতিশীল অবস্থান
২) শারীরিক ভারসাম্য এ প্রতিবন্ধকতা বাদ দিতে চায়
৩) অল্প সময়ে খুব দ্রুত অন্যত্র মুভ করা যায় মানে শর্টকাট পলিসি
৪) সেন্সরি বা অনুভুতিজনিত সমস্যা, মাংসপেশীর দূর্বলতা, অস্থিরতা, শারীরিক ভারসাম্যহীনতা, দ্রুত চলার প্রবনতা, অত্যধিক আরাম পছন্দ এরকম শিশুরা এই অভ্যাস বেশি করে
[ ] খারাপ দিক
# ক্রমাগত এই আরামদায়ক অবস্থান বয়সের সাথে সাথে বদভ্যাস এ পরিনত হয়ে ব্যারামদায়ক হয়ে ওঠে ফলে শিশুর হাড় ও মাংস পেশী সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে।এমনকি তার শারীরিক সক্ষমতা ও গঠনের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়
# হাই ফাংশন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন শারীরিক অংগভংগী ও মুভমেন্ট প্যাটার্ন এর বিকাশ সঠিকভাবে হয়না, দেরি হয়।
# কোমর, উরু ও আশেপাশের মাংশপেশী শক্ত হয়ে যায় এবং টানটান অবস্থানে থাকে ফলে স্বাভাবিক বিভিন্ন জয়েন্টের সমন্বয়, মুভমেন্ট এবং ভারসাম্য বাধাগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন এই বদভ্যাস এর কারণে সামনের দিকে হাটু দুটো লেগে যাচ্ছে মনে হয় যাকে নক নি বা হাটু লক হয়ে যাওয়া বলে।
# বেজ অফ সাপোর্ট এর পরিধি বেড়ে যায় যার ফলে মুভমেন্ট, খেলাধুলা, জিনিসপত্র ধরার ক্ষেত্রে শারীরিক ভর ও ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ কমে যায় কিন্তু শিশুর বিভিন্ন শারীরিক দক্ষতা নির্মানের জন্য এই নিয়ন্ত্রণ খুব দরকার।
[ ] ডব্লিউ সিটিং থেকে প্রতিকার
শিশুকে বকাঝকা না করে উত্তম অবস্থানে বসার জন্য উৎসাহিত করুন। যেমন আসন বা ক্রস করে বসা, দুপা সামনে লম্বা করে বসা, একপাশে বসা, বাংলা কমোড আসনে বসা অনুশীলন করা
ধারাবাহিকতায় ইতিবাচকভাবে বলুন 'পা সামনে এনে বসো, আসন করে বসো' তাহলে দ্রুত মানিয়ে নিবে স্বাভাবিক আসনের সাথে
সঠিক অবস্থানে বসার জন্য সন্তানের প্রশংসা করুন, হাত তালি দিন তাহলে দ্রুত সুঅভ্যাসে পরিনত হবে এবং খারাপ দিকগুলো কমে আসবে।
[ ] অভিজ্ঞতাঃ
সেরেব্রাল পালসি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নি লক পজিশন বেশি দেখা যায়। তবে অটিজম বা অন্যান্য নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার এ আক্রান্ত শিশুরাও এ ধরনের পজিশনে বসে কাজ করতে চায়। ফলশ্রুতিতে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের মুভমেন্ট প্যাটার্নে অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায়। তবে সমস্যাটি দ্রুত চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নিলে এ ধরনের বদ অভ্যাস দূর করা সম্ভব।
বৈজ্ঞানিক অবস্থান বা মুভমেন্ট অনুসরণ করুন, শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে সহযোগী হোন এবং প্রফেশনাল চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। আপনার সন্তানের জন্য সব সময় শুভকামনা।
এস এম ফারহান বিন হোসেন
ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিস্ট
সুপারভাইজার, অটিজম কর্নার ইউনিট,
সি আর পি মিরপুর ঢাকা।

*****সন্তান লালন পালনে দৃষ্টিভঙ্গি*****আপনার সন্তান আপনার কাছে পৃথিবী। আবার আপনি/আপনারাও কিন্তু তার কাছে পৃথিবী। বিশেষ শ...
09/08/2021

*****সন্তান লালন পালনে দৃষ্টিভঙ্গি*****
আপনার সন্তান আপনার কাছে পৃথিবী। আবার আপনি/আপনারাও কিন্তু তার কাছে পৃথিবী। বিশেষ শিশুর চাহিদা পূরণে আমরা অনেক সময় হিমশিম খেয়ে যাই। অপ্রতুলতা, তথ্য উপাত্তের অভাব, সম্মানহানিকর পরিস্থিতি, দীর্ঘসুত্রিতা প্রভৃতি নেতিবাচক বিষয় আমাদের পৃথিবীকে সংকীর্ণ করে ফেলে। বাবা-মায়ের পৃথিবী যখন সংকীর্ণ হয়ে যায়, সন্তানের পরিমণ্ডলও তখন ছোট হয়ে যায়। আবার বিশেষ শিশুর পাশাপাশি স্বাভাবিক শিশু থাকলে তৈরি হয় পক্ষপাতিত্ব। বিশেষ শিশুর প্রতি শুরু হয় অবহেলা। অথচ সুস্থ স্বাভাবিক শিশুই কিন্তু বিশেষ শিশুর জন্য সহযোগী, সহমর্মী হতে পারে যদি তাকে সেভাবে গাইড করা যায়। যে পরিবারে বিশেষ শিশু জন্ম নেয়, সে পরিবারে মা-বাবাকে আল্লাহ বিশেষ একটা ক্ষমতা দেন যা আমরা অনেকেই বুঝে ব্যবহার করতে পারিনা, পারছি না।তাই সন্তান সুস্থ/অসুস্থ যেভাবেই পৃথিবীতে আসুক না কেন লালন পালনে দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে ইতিবাচক। সমস্যা আছে, সমাধানও আছে। পুরো পৃথিবীটাই তো আমাদের। যেখানে দরকার সেখানে গিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। না পেলে অন্যত্র যাবেন। একা না যেতে পারলে একসাথে যাব। তবুও ক্লান্ত হওয়া যাবে না, হতাশাকে জায়গা দেয়া যাবে না, অস্থিরতাকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।একজন সুস্থ শিশুর জন্য যেমন আদর-শাসন প্রয়োজন, বিশেষ শিশুর ক্ষেত্রেও তেমনি। তবে একটু বিশেষভাবে সন্তানের মনস্ত্বাত্বিক ব্যাপারগুলো বুঝে যেমন- তার ক্ষুধা, ঘুম, বিরক্তি, পছন্দ-অপছন্দ, চাহনি, ইশারা, প্রকাশভঙ্গী ইত্যাদি বুঝে।ভাবতে হবে সন্তানের স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যা থাকতে পারে কিন্তু ব্রেইন আমাদের চেয়েও ফ্রেশ।আমি বিশেষ শিশুকে দেখার সময় সমস্যার পাশাপাশি ভাল দিক এবং সম্ভাবনাগুলোও দেখি যা সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরিতে আমাকে সহায়তা করে। কিন্তু সব সমস্যা শোনার পরে যখন সন্তানের ভাল দিকগুলো অভিভাবকদের কাছে জানতে চাই তখন প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ অভিভাবক কিছু বলতে পারেন না। এটার কারণ সন্তানের সমস্যাগুলো বারবার বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে বলতে বলতে তিনি আসলে ভাল দিকগুলো হারিয়ে ফেলেন। আজ থেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে আপনার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুটিরও ইতিবাচক ও ভাল দিক আছে।বিশেষ শিশু লালন পালনে প্রফেশনালদের সহযোগিতা নিন, পিয়ার সাপোর্ট বা অন্য অভিভাবকদের সাথেও কথা বলুন, আলোচনা করুন। দেখবেন নিজের দুঃখ কষ্টের কথা যখন বলছেন হাল্কা লাগবে, আবার সন্তানের সুখ বা আনন্দের কথা যখন শেয়ার করবেন তখন আনন্দ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। সৃষ্টিকর্তার উপরে পূর্ণ ভরসা রেখে দায়িত্ব পালন করে যান।একজন মানুষের জন্ম-বিবাহ-মৃত্যু তিনি নির্ধারণ করেন। কাজেই আপনার মৃত্যুর পর কি হবে বা সন্তান বৈবাহিক জীবন যাপন করতে পারবে কিনা, তার দায়িত্ব কে নিবে সেটা নিয়ে আসলে ভাবাটা অসংলগ্ন। বরং বর্তমান সময়টা কিভাবে তার ভবিষ্যতে ভাল হবে সেটাই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। আমি দশ বছর আগে ভাবতে পারতাম না যে প্রতিবন্ধী/ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের বিয়ে হয়, সন্তান হয়। কিন্তু দশ বছরের বাস্তবতা আমার অতীত ধারণাকে বদলে দিয়ে ভবিষ্যৎ এ নিয়ে যাচ্ছে- এক সময় এদেশে তাদের মধ্য থেকেও লিডার আসবে যেটা পশ্চিমা বিশ্বে দেখা যাচ্ছে। তাই একটাই অনুরোধ রাখব অভিভাবকদের প্রতি- আজ, এই মুহূর্ত থেকে সন্তানের ব্যাপারে সবসময় ইতিবাচক থাকব। আপনার সন্তানের জন্য আপনি/ আপনারা একা নন। আমরা সবাই আছি আপনার পাশে, ইনশাল্লাহ থাকব।
এস এম ফারহান বিন হোসেন
ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিসট,
সুপারভাইজর, অটিজম কর্নার ইউনিট, সি আর পি-মিরপুর, ঢাকা
#অকুপেশনালথেরাপি

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Occupational Therapist SM Farhan Bin Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Occupational Therapist SM Farhan Bin Hossain:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram