খিদমাহ হিজামা ও রুকইয়্যাহ কেয়ার

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • খিদমাহ হিজামা ও রুকইয়্যাহ কেয়ার

খিদমাহ হিজামা ও রুকইয়্যাহ কেয়ার Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from খিদমাহ হিজামা ও রুকইয়্যাহ কেয়ার, Therapist, Dhaka.

🍁 হিজামা (Cupping therapy)
🌿 রুকইয়াহ শারইয়াহ।
🍁 কাউন্সিলিং।
🌿 দাওয়াহ।
••••
📖 আর আমি নাযিল করছি এমন কোরআন, যাতে রয়েছে মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত। তবে তা জালিমদের জন্য ক্ষতি ছাড়া অন্যকিছু বৃদ্ধি করেনা।
---- সুরা বনী ইসরাইল-৮২

শরীরের সদকা করছেন তো?রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য সদকা রয়েছে। এটি কেবল দান...
25/10/2024

শরীরের সদকা করছেন তো?

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে, মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য সদকা রয়েছে। এটি কেবল দান বা অর্থসম্পর্কিত নয়, বরং বিভিন্ন সৎ কাজও সদকার অন্তর্ভুক্ত। নীচে শরীরের সদকার কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হলো:

১. সালাম দেওয়া:
সালাম বিনিময় করা সদকার একটি রূপ। এটি সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব তৈরি করে।
রেফারেন্স: (সহিহ বুখারি: 2989)

২. সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে বারণ করা:
অন্যকে ভালো কাজে উৎসাহিত করা এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করাও সদকা।
রেফারেন্স: (সহিহ মুসলিম: 1009)

৩. কোনো কষ্টদায়ক জিনিস পথ থেকে সরিয়ে ফেলা:
রাস্তা থেকে কোনো কাঁটা, পাথর বা অন্য কোনো বিপদজনক বস্তু সরিয়ে দিলে তা সদকা হিসেবে গণ্য হয়।
রেফারেন্স: (সহিহ মুসলিম: 1009)

৪. ভালো কথা বলা:
মিষ্টি কথা বা কারও প্রতি সদয় হওয়া, ভালো পরামর্শ দেওয়া, এবং কাউকে উৎসাহিত করা — এসব কাজও সদকা।
রেফারেন্স: (সহিহ বুখারি: 2989)

৫. মুসকান বা হাসি:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: "তোমার ভাইয়ের প্রতি হাসি হলো সদকা।"
রেফারেন্স: (তিরমিজি: 1956)

৬. কেউকে পথ দেখানো:
যদি কেউ পথ হারিয়ে ফেলে বা দিকনির্দেশনা চায়, তাকে পথ দেখানোও সদকা।
রেফারেন্স: (তিরমিজি: 1956)

৭. পানির ব্যবস্থা করা:
কাউকে পানি পান করানো বা পানি পাওয়ার ব্যবস্থা করাও সদকার মধ্যে গণ্য।
রেফারেন্স: (আবু দাউদ: 1677)

৮. নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য খরচ করা:
আপনি যদি আপনার পরিবারের জন্য খরচ করেন, তা-ও সদকা হিসেবে গণ্য হবে।
রেফারেন্স: (সহিহ বুখারি: 4006)

৯. নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা:
খারাপ অবস্থায় ধৈর্য ধারণ করা এবং নিজের আবেগ বা রাগ নিয়ন্ত্রণ করাও সদকা।
রেফারেন্স: (তিরমিজি: 2024)

এই কাজগুলো সহজে করা যায় এবং এগুলোর প্রতিটি মানুষের দেহের সদকার অন্তর্ভুক্ত।এসবের বিপরীতে ফজর নামাজের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত জিকির আজকারে সময় দিয়ে পরবর্তীতে দুই রাকআত সালাতুল এশরাক পড়লেও শরীরের সমস্ত জোড়ার সদকা আদায় হয়ে যায়।

অনেকের প্রশ্ন এশরাক ও দুহা'র নামাজ কি একই? তাদের জন্য বলা যেতে পারে
হ্যাঁ, এশরাকের নামাজ এবং সালাতুত দুহা (দুহার নামাজ) মূলত একই ধরনের নামাজ, তবে এর সময়ের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন নামে পরিচিত হয়।

১. এশরাকের নামাজ:

এশরাকের নামাজ সূর্যোদয়ের পর কিছুটা সময় (প্রায় ১৫-২০ মিনিট) অপেক্ষা করে আদায় করা হয়। এটি নফল নামাজ এবং দুটি বা চার রাকাত পড়া যায়।

এশরাকের নামাজের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা, এবং এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।

২. সালাতুত দুহা (দুহার নামাজ):

দুহার নামাজ দিনের প্রায় মধ্যভাগের কাছাকাছি সময়ে (সূর্যোদয়ের প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর থেকে শুরু করে জোহরের আজানের আগে পর্যন্ত) আদায় করা হয়। এটি ২, ৪, ৬ বা ৮ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।

এই নামাজেরও অনেক ফজিলত রয়েছে এবং এটাকে "আওয়াবিনদের নামাজ" (আল্লাহর দিকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের নামাজ) বলা হয়।

মূল পার্থক্য:

এশরাক: সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পর (প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর)।

সালাতুত দুহা: সূর্যোদয়ের ১-১.৫ ঘণ্টা পর থেকে জোহরের সময়ের আগ পর্যন্ত।

ফজিলত:

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"মানুষের দেহের ৩৬০টি অস্থির প্রত্যেকটির উপর সদকা রয়েছে। এবং দুহা সময়ে ২ রাকাত নামাজ পড়া সমস্ত অস্থির জন্য সদকা হিসেবে পরিগণিত হয়।"
— (সহিহ মুসলিম: 720)

তাহলে, এশরাক এবং সালাতুত দুহা একই ধরনের নামাজ, তবে সময়ের ভিত্তিতে তাদের ভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে।

25/10/2024

No Caption 😭😭

21/10/2024

মাশাআল্লাহ.!!

14/10/2024

🟤🟡 হিজামা ও রুকইয়াহর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি.!!

◾ব্যথার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা করে যারা কোন প্রকার উপকার পাচ্ছেন না তাদের জন্য হিজামা খুবই উপকারী। একবার হিজামা করলেই ফলাফল বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
--------------
◾হিজামায় যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়:-

🍀এলার্জি☘️কোলেস্টেরল☘️এজমা বা হাপানী
☘️ইউরিক এসিড
🍀চর্মরোগ 🍀মাইগ্রেন ☘️মাথা ব্যথা ☘️বাত ব্যথা
☘️কোমর ব্যথা ☘️পায়ে ব্যথা হাঁটু ব্যথা☘️ঘাড়ে ব্যথা
☘️মাংস পেশির ব্যথা ☘️দীর্ঘ মেয়াদি মাথা ব্যথা
☘️মেরুদন্ড ব্যথা🍀গোড়ালি ব্যথা🍀স্পোর্টস ইঞ্জুরি
🍀গেঁটে বাত🍀চুল পড়া সমস্যা🍀ফুসফুসের সমস্যা
🍀রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস🍀সায়েটিকা
🍀ঘুমের সমস্যা।🍀মানসিক সমস্যা🍀হতাশা
🍀স্মরন শক্তির দূর্বলতা।🍀প্যারালাইসি
🍀হাত পা ঝিন ঝিন।🍀পায়ের পাতা ব্যথা
🍀ইউরিক এসিড🍀হরমোনাল সমস্যা
🍀সাইনোসাইটিস🍀লিভারের সমস্যা🍀হাড় ক্ষয়
🍀বডি ডিটক্স ইত্যাদি প্রায় সকল রোগের জন্য হিজামা করানো হয়।
তাছাড়া নিকোটিনের ক্ষতির প্রভাব থেকে বাচঁতে ধুমপায়ীদের জন্য হিজামা করা উত্তম।
👉 হিজামা কি.?

হিজামা একটি বিজ্ঞান সম্মত সুন্নতি চিকিৎসা,যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত। হিজমা ৩ হাজার বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি। হিজামা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতৃক বহু সহীহ হাদিসে বর্নিত চিকিসা ব্যবস্থা। মিরাজের রজনিতে ফিরিশতাগন রাসুলকে ও উম্মাহকে হিজামা নেয়ার আদেশ করেছেন। এজন্য এটাকে আসমানি চিকিৎসা বলে।
হিজামার মাধ্যমে কাপ ব্যবহার করে দূষিত রক্ত(toxin) বের করা হয়। ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় নার্ভগুলো একটিভ হয়,শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরির হয় সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।
👉 দূষিত রক্ত(Toxin) কি.?

টক্সিন শরিরের নিরব ঘাতক।টক্সিন হল জৈব বিষ যা মানব দেহে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়,আবার শরিরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মল, মূত্র,ঘাম এবং নিঃশ্বাসের সাথে টক্সিন বের হয়ে যায়।যদি উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমান নির্গত বর্জ্যের থেকে বেশি হয় তবে কিছু পরিমান এই দূষিত দেহে জমতে জমতে টক্সিনে পরিনত হয়।হজমে সমস্যা থাকলে,মলত্যাগে সমস্যা হলে,ঘাম না হলে,পরিমিত পানি পান না করলে শরিরে টক্সিন জমতে শুরু করে বা টক্সিন উৎপন্ন হওয়া সহজ হয়ে যায়।টক্সিন শরিরের কোষগুলোকে দূর্বল করে দেয়। যার ফলে আমরা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।প্রতিদিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে এই টক্সিন গুলো উৎপন্ন হয়,যেমনঃ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে,বাহিরের ভাজাপুড়া,মাছে বা ফলে থাকা ফরমালিন,পানিতে থাকা আয়রন বা আর্সেনিক,ধুমপানের অভ্যাস থাকলে,বায়ূ দুষণের কারনে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে সীসা,অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি এর মত ক্ষতিকারক বস্তু সমুহ।মোটকথা প্রায় সকল মানব দেহেই টক্সিন বিদ্যমান,কারো পরিমানে কম অথবা বেশি।হিজামা/কাপিং এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ঐ সমস্যা লুকিয়া থাকা টক্সিনগুলো বের করে ফেলি।যার ফলে আপনি হবেন সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।এই জন্যই সুস্থ অবস্থায় প্রতি চার মাস অন্তর হিজামা/কাপিং করা উত্তম।
👉 নাইট্রিক অক্সাইড কি.?

আমাদের শরীর গঠিত নাইট্রিক অক্সাইডের উপর যা ১৯৯৮ সালে আবিষ্কার হয়। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের কাজ এই আশ্চর্য অণু কণার উপর নির্ভর করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড থেরাপি বর্তমান বিশ্বে বহুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অথচ হিজামাতে নাইট্রিক অক্সাইড প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়। সাথে সাথে তৈরি হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া।
------------
❤ হিজামা সংক্রান্ত কিছু হাদিস:

🌹 রাসূলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন,"নিশ্চয়ই হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময়(বুখারী-৫২৯৪/সহিহ মুসলিম-২২০৫)
🌹 রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন,গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামা করো,কারন গরমে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে মৃত্যু হতে পারে(আল হাকিম-৭৪৬১)
🌹 রাসুলুল্লাহ(স.)বলেছেন,"আমি মিরাজের রাতে যাঁদের মাঝ দিয়ে গিয়েছি,তাদের সবাই আমাকে বলেছেন;হে মুহাম্মাদ আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করুন(সুনানে তিরমিযীঃ২০৫৩)
🌹 রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন,"হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক,সে দুষিত রক্ত বের করে মেরুদণ্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে(সুনানে তিরমিযীঃ২০৫২)
🌹 যে ব্যক্তি আরবি চাঁদের মাসের ১৭তম,১৯তম এবং ২১তম দিনে হিজামা করাবে তা হবে সর্ব রোগের ঔষধ (আবু দাউদ-৩৮৬১)
🌹মানুষ চিকিৎসার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে তন্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম(আল হাকিম-৭৪৭০)
👉 সুন্নাহ দিন হিসেবে (সোমবার,মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার) সকালে খালি পেটে হিজামা করা উত্তম। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে যে কোন দিন হিজামা করা যায়।
📌 আমরা জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ৫ বছরের অভিজ্ঞ হিজামা থেরাপিষ্ট দ্বারা হিজামা/কাপিং করিয়ে থাকি।

🌿 হিজামায় কোন সাইড ইফেক্ট নেই। অভিজ্ঞ হাতে হিজামা/কাপিং করালে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া পাবেন না ইনশাআল্লাহ।
👉হিজামা/কাপিং এর খরচ:

◾প্রতি কাপ (পয়েন্ট) ১০০ টাকা।
◾ঢাকার ভিতর হোম সার্ভিস ২৫০০ টাকা প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ-৩০/টি পয়েন্ট।
◾আমাদের সেন্টারে ৫০০/- টাকা থেকে ৩০০০ টাকার প্যাকেজ আছে। আপনার সুবিধামত বাজেটে হিজামা করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
◾গরীব অসহায় লোকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে।
📌 আমাদের হিজামা থেরাপিষ্ট ৫ বছরের অভিজ্ঞ। আপনারা যেখানেই হিজামা করাবেন,হিজামা করানোর পূর্বে অভিজ্ঞতা জেনে নিবেন। এতে আপনার জন্য ভাল হবে ইনশাআল্লাহ।
আশা করি নিরাশ হবেন না ইনশাআল্লাহ।
📌হিজামার পূর্বে যা করনীয়:

১) হিজামার পূর্বে গোসল করে আসলে ভালো হয়।
২) হিজামার পূর্বে খালি পেটে থাকতে হয়,পানি খাওয়া যাবে।
৩) হিজামার পূর্বে কঠোর পরিশ্রম করা যাবে না।
৪) হিজামার পূর্বে গায়ে জ্বর থাকলে হিজামা করা যাবে না।
📌 হিজামার পরে যা করনীয়:

১) হিজামার পর নরমাল/ডাবের পানি/অথবা মধু মিশ্রিত খাবেন বেশি।
২) হিজামার পর যত দ্রুত সম্ভব ওরস্যালাইন,মধু,কালোজিরা,খেজুর অথবা একটা সিদ্ধ ডিম খাবেন। হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীরা ওরস্যালাইন এবং ডিম খাবেননা। ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি এড়িয়ে চলবেন।
৩) হিজামার পর যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক খাবার খেয়ে নিবেন যেমন- ভাত-তরকারি।
৪) হিজামার পর ১২ ঘন্টা গোসল করা যাবে না।
(বিশেষ প্রয়োজনে আমরা নিয়ম বলে দিব ইনশাআল্লাহ)
৫) ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাম ঝোড়ানো পরিশ্রম করা যাবে না।
৬) ৩ দিন সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না।
৭) প্রত্যেক গোসল শেষে হিজামার জায়গাগুলোতে নারিকেল তেল,অলিভ ওয়েল অথবা কালোজিরা তেল ব্যবহার করবেন ৩ দিন।

🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿

➡️ রুকইয়াহ সম্পর্কে কিছু কথা..!!

রুকইয়াহ আরবি শব্দ আরবি প্রতিশব্দ رقى যা رقيـة শব্দের বহুবচন।
"রুকইয়াহ অর্থ ঝাড়ফুঁক।
আমরা রুকইয়াহ শব্দের সাথে পরিচিত না হলেও আমাদের দেশের মানুষ "ঝাড়ফুঁক শব্দটির সাথে বেশ পরিচিত।

☘️ রুকইয়াহ পরিচয়.!
===========
রুকইয়াহ শাব্দিক অর্থ ফু দেওয়া, ঝাড়ফুঁক করা। তবে পারিভাষিক অর্থে শব্দটিকে আমরা ফু দেয়া অর্থে ব্যবহার করি না; বরং ‘পাঠ করা’ অর্থে ব্যবহার করি। অর্থাৎ রুগী নিজে কুরআন পাঠ করবে কিংবা অন্য কেউ রুগির কাছে পাঠ করবে ।

ব্যক্তি যখন শারীরিক, মানসিক, আত্মিক কিংবা জ্বীন বা যাদু ও বদনযর ইত্যাদি রোগ থেকে আরোগ্যের প্রত্যাশায় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল হয়ে নিজে কুরআন পাঠ করে কিংবা অন্য কেউ তাকে পাঠ করে শোনায়, একে আমরা শারইয়াহ্ রুকইয়াহ বলি। জেনে রাখা ভালো যে শারইয়াহ্ রুকইয়াহ এর মাঝে শুধু কুরআন নয় হাদীসে বর্ণিত দুআসমূহও অন্তর্ভূক্ত।

সংক্ষিপ্তভাবে বুঝানোর জন্য বলা যায়,
• বদনজরের সমস্যা। • কুফর বা শিরকদ্বারা যাদুকৃত যাদুতে আক্রান্ত সমস্যা। • জ্বীন সংক্রান্ত সমস্যা। • ওয়াসওয়াসা ইত্যাদি সমস্যায় কুরআন ও হাদীস দ্বারা আল্লাহ তা'য়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করাকেই রুকইয়াহ বলা হয়।

একেক এক রোগীর একেক এক ধরনের সমস্যার দিক বিবেচনায় আলাদা আলাদা ভাবে আমরা রুকইয়ার আমল গুলো suggest করে থাকি, যেটাকে সেল্ফ রুকইয়াহ বলা হয়। (যে ব্যক্তি রুকইয়াহ করে তাহাকে রাক্বি বলা হয়)
🌿 এবার আপনাকে একটু বিস্তারিতভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো, ইনশা'আল্লাহ।

পারিভাষায় রুকইয়াহ আমরা যে অর্থে ব্যবহার করছি, সে অর্থে শব্দটির প্রয়োগ আমরা হাদীস থেকেই নিয়েছি; এবং শরয়ী রুকইয়াহ এর সমস্ত পাঠও আমরা হাদীস থেকেই লাভ করেছি। আবু সাইদ খুদর্রী (রা) এর হাদিসটি দেখুন -

“জিবরীল আমিন রাসুল (স.)এর কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? রাসুল (স.) বলেন, হ্যাঁ, জিবরীল আমিন বললেন,
بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ ، اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
অর্থাৎ আল্লাহর নামে আমি আপনাকে রুকইয়াহ্ করছি, যে সমস্ত বিষয় আপনাকে কষ্ট দেয় তা থেকে; সমস্ত মানুষ ও হিংসুকের হিংসার অনিষ্ট থেকে; আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুন; আল্লাহর নামে আপনাকে রুকইয়াহ্ করছি।” (মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

ঝাড়ফুঁক হতে পারে সরাসরি রোগীর উপর বা পানি কিংবা খাদ্যের উপর।
ঝাড়ফুঁক করা ও করানো বৈধ, যদি নিচের দুটো শর্ত লঙ্ঘন না করে কেউ।

(ক) কুরআনের আয়াত অথবা সহীহ হাদীসের দুআ দ্বারা হতে হবে।
(খ) সাথে সাথে এই দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে,আরোগ্যদাতা কেবল মহান আল্লাহ।
আমাদের দেশে কবিরাজেরা যে নিয়মে ঝাড়ফুঁক করে,তাতে উপরের দুইটা শর্তের মারাত্মক লঙ্ঘন করে।
🌿 প্রশ্ন.?রুকইয়ার Audioতে কী থাকে?

রুকইয়ার Audio গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এক এক ধরনের সমস্যার দিক বিবেচনা করে এক এক ধরনের রুকইয়ার audio তৈরী করা হয়। এতে মৌলিকভাবে যা থাকে, তা হচ্ছে:

সমস্যার দিক বিবেচনা করে কুরআন থেকে বাছাইকৃত আয়াত সমূহ, হাদীস থেকে সংগ্রহকৃত কিছু দু'আ। তবে popular রাক্বী, যাদের মাতৃভাষাই আরবী, তারা তাদের ভাষায়ও কিছু দু'আ করে থাকেন। যেমন: রুকইয়াহ শুরু করার আগে, আল্লাহ তা'য়ালা যেন এই রুকইয়ার মাঝে রহমত, বরকত এবং শিফা দান করেন এজন্য দু'আ করা।
ঝাড়ফুঁকের বিধান সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন: ঝাড়ফুঁকে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
(বর্ণনায় মুসলিম)
🌿 যে ঝাড়ফুঁক রুকইয়াহ শারইয়াহ হবে না:

রুকইহ্য়া মানে ঝাড়ফুঁক হলেও ইসলামে কেবল সে সব রুকিইয়াহ্ অনুমতি আছে, যেটা সরাসরি কুরআন সুন্নাহ হতে গৃহিত। যদি কুরআন-সুন্নাহ ছাড়া অন্য কিছু পাঠ করে রুকইয়াহ্ করা হয়, তা কখনোই শরিয়তসম্মত রুকইয়াহ্ বলে গন্য হবে না। যেমন কুফুরি কালাম বলা কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সাহায্য চাওয়া। অস্পষ্ট অর্থসম্পন্য বাক্য পড়া তবে হ্যাঁ, সরাসরি আল্লাহর কাছে যে কোন ভাষায় আরোগ্যের দুআ করে, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে ফু দিলে কোন সমস্যা নেই। এটা জায়েজ ক্যাটাগরির রুকইয়াহ । রাসুল (স.) শুধু সেই রুকইয়াহ এর অনুমতি দিয়েছেন, যেখানে কোন শিরক নেই। রাসুল (স) বলেন,
لا بأس بالرقي إذا لم يكن فيه شرك
ঝাড়-ফুঁকে কোন সমস্যা নেই যদি তাতে কোনো শিরক না থাকে।
আল- হাদীস।
_______________________________________________

♻️ এক নজরে আমাদের সার্ভিস এর বিষয়সমুহ :
ব্ল্যাক ম্যাজিক, যাদুটোনা,জ্বীনের আছর, বদ নজর, ওয়াসওয়াসা, বিভিন্ন প্যারানরমাল জাতীয় সমস্যার শারীরিক ও মানসিক সমস্যার রুকইয়াহ ও হিজামা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
___________________________________

☘️ হিজামা ও রুকইয়াহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আশা করছি আমাদের পেজ ফলো করবেন.!

✅ পেইজ লিংক:
https://www.facebook.com/khidmahijama?mibextid=JRoKGi
----------------
🛖 ঠিকানা:
১। লোহার ব্রীজের ঢাল, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
২। আরামবাগ, (গোহাটা ব্রীজ) গোপালগঞ্জ।
Raqi Mahmud Bin Siraj
☎️ 01912-67 88 90 ☎️ 01621-18 14 88

🍁 হিজামা (Cupping therapy)
🌿 রুকইয়াহ শারইয়াহ।
🍁 কাউন্সিলিং।
🌿 দাওয়াহ।
••••
📖 আর আমি নাযিল করছি এমন কোরআন, যাতে রয়েছে মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত। তবে তা জালিমদের জন্য ক্ষতি ছাড়া অন্যকিছু বৃদ্ধি করেনা।
---- সুরা বনী ইসরাইল-৮২

14/10/2024

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন আগামীকাল চালু হচ্ছে।
৩৫০ কোটি টাকা ছাড়াই দুই মাসের মধ্যেই সব কিছু প্রস্তুত।
তারপরও কিছু লোকের আফসোস আমরা আগে......!!

13/10/2024
জাতির ভাগ্য ভালো যে, মেয়র মহোদয় শুধু ১বেলা খবার এনেছেন.! একটু ভাবুনতো, উনি যদি ৩ বেলা খাবার আনাতেন বাসা থেকে তাহলে শুধু ...
11/10/2024

জাতির ভাগ্য ভালো যে, মেয়র মহোদয় শুধু ১বেলা খবার এনেছেন.!
একটু ভাবুনতো, উনি যদি ৩ বেলা খাবার আনাতেন বাসা থেকে তাহলে শুধু জ্বালানি বাবদ জাতির কতো টাকা গচ্চা যেতো.?
তারপরও শুনতে হয়, আগেই ভালো ছিলো.!!!

আলহামদুলিল্লাহ.!!
10/10/2024

আলহামদুলিল্লাহ.!!

কুফর শিরক করা ছাড়া শয়তান জ্বিনরা সাহায্য করে না। এসব তারা সুলায়মানি বিদ্যার নামে করলেও আসলে এসব কুফর। সুলাইমানের(আ) রাজত...
09/10/2024

কুফর শিরক করা ছাড়া শয়তান জ্বিনরা সাহায্য করে না। এসব তারা সুলায়মানি বিদ্যার নামে করলেও আসলে এসব কুফর। সুলাইমানের(আ) রাজত্বে শয়তানেরা যা আবৃত্তি করত, তারা তা অনুসরণ করত। অথচ সুলাইমান (আ) কুফরী (সত্যপ্রত্যাখ্যান) করেননি বরং শয়তানেরাই কুফরী (অবিশ্বাস) করেছিল। (সুরা বাকারাহ-১০২)।

وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِنَ الْإِنْسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا

“আর নিশ্চয় কতিপয় মানুষ কতিপয় জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা তাদের অহংকার বাড়িয়ে দিয়েছে।”

সূরা জিনঃ ০৬

পূজা চলাকালীন অবস্থায় জ্বীন-যাদুগ্রস্ত ভিক্টিদের অনেক সমস্যা বৃদ্ধি হয়ে যায়। এর ব্যাখ্যা করতে গেলে বিশাল বড় লেখা হয়ে যাবে, কিন্তু উক্ত সময়ে আমাদের কি কি করনীয় এই বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করবো।

শুধু এইটুকু জেনে রাখেন-

প্রত্যেক নারী মূর্তির সাথেই একজন করে নারী শয়তান-জ্বীন থাকে। "তারা (মুশরিকরা) তাঁকে (আল্লাহকে) বাদ দিয়ে কেবল নারী দেবতাদেরকেই ডাকে" আয়াতের এই অংশের তাফসির সম্পর্কে ইবনে আবি হাতিম রহিমাহুল্লাহ বলেন,

عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: ﴿إِنْ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ إِلا إِنَاثًا﴾ قَالَ: مَعَ كُلِّ صَنَمٍ جنيَّة.

উবাই ইবনে কা'ব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, প্রত্যেক মূর্তির সাথেই একজন নারী জ্বীন রয়েছে।

অন্য বর্ণনায় :

উযযা মূর্তির রূপ ধরে মহিলা জিন মূর্তিপূজা করার জন্য উৎসাহ দিত। এজন্য রাসূল (ছাঃ) উক্ত নগ্ন নারী জিনকে প্রকৃত উযযা বলেছেন।

(নাসাঈ কুবরা হা/১১৫৪৭)।

উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক মূর্তির সাথে একজন করে নারী জিন থাকে’ (আহমাদ হা/২১২৬৯)। যে মানুষকে তার দিকে প্রলুব্ধ করে।

_______________________

আমরা দেখেছি পূজা চলকালীন সময়। জ্বীন যাদুগ্রস্ত রোগীর মাঝে সমস্যাগুলো প্রবল আকারে বৃদ্ধি হয়ে যায়, এর পিছনে কিছু কারণ রয়েছে।

যেমন : শিরক কুফুরের দ্বারা জ্বীন শয়তানদের কে সৃষ্টিকর্তার আসিনে স্থান দেওয়া হয়। পূজার সময় জ্বীন শয়তান মূর্তির জন্য অনেক কিছু বলি (উৎস্বর্গ) করা হয়ে থাকে

। আর এই বলি দেওয়ার কারণে শয়তান খুশি হয়ে তাদের কে শক্তি দান করে। যার জন্য উক্ত সময় বহু ড্যামেজড যাদু কে রিনিউ করার মৌসুম চলে। অপরদিকে বহু শক্তিশালি যাদু চর্চা করা যায়! যেটা অন্য সাধারণ সময় গুলোতে করা যায়না। এই জন্য যাদুকরদের যাদুবিদ্যার অর্জনের শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে উক্ত সময়ে। সব মিলিয়ে যাদুকরদের যাদু চর্চার বসন্ত সময় চলে পূজা আসার কারনে! এই কারণে পূজার সময়গুলোতে ভিক্টিমদের উপর বেশ প্রভাব পড়ে। যেটা অন্যান্য সাধারণ সময় গুলোর থেকে অনেক ভয়ঙ্কর খারাপ হয়ে যায়।

✅ভিক্টিমদের করনীয় কি...???

_________________________

পূজার মন্ডপ এলাকাগুলো তে অবস্থান না করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। অতপর পূজাচলাকালীন সময়ে ঘরের দরজা জানালা গুলো বিসমিল্লাহ বলে বলে বন্ধ করে রাখা ভালো, যেন এতে করে পূজার মন্ডপের আওয়াজ ভিক্টিমের ঘরে যেনো না পৌঁছে।

তারপর সকল ভিক্টিমদের জন্য করনীয় হইলো : -নিজেকে পবিত্র রাখা এবং ওযুরত অবস্থায় থাকা -দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মতো আদায় করা, -সকাল সন্ধ্যার মাসনুন আমল গুলো যথার্থভাবে পাঠ করা।

- বাড়িতে একটি মাটির কলসে কিংবা পাতিলে বৃষ্টির বা সাধারন পানি রেখে, সে পাত্রের মাঝে সুরা বাকরাহ ১ বার তিলাওয়াত করে উক্ত পানিতে ফুক দেওয়া। এবং সে পানিটা বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাসার রুমের সকল স্থানে বিসমিল্লাহ বলে বলে স্প্রে করা।

-মাঝে মধ্যে বাসার ভিতরে উচ্চসুরে সুরা বাকরাহ তিলাওয়াত করা কিংবা সাউন্ডবক্স দিয়ে সুরা বাকরাহ তিলাওয়াত চালু রাখা।

- ঘরে বা বাড়িতে ফেরেশতা প্রবেশ করতে পারেনা এমন প্রানীর ছবি বা বস্তুু থাকলে সেগুলো কে ঘর থেকে বের করে ফেলে দেওয়া।

-লানতের রুকইয়াহ করা, যাদু রিনিউ না হবার জন্য দোয়া করা বা রুকইয়াহ করা।

- আজওয়া খেজুর জমজমে কূপের পানি রুকইয়াহ এর পড়া পানি খাওয়া , বিশেষ করে হিন্দু যাদুকরদের যাদু ও বলি দেয়া যাদু নষ্ট করার জন্য সেল্ফ রুকইয়াহ চালু রাখা। -

-সমস্যা মাত্রারিক্ত বৃদ্ধি পেলে ভালো অভিজ্ঞ রাকীদের নিকট সরাসরি সাজেশন গ্রহন করা বা রুকইয়াহ করা।

মহান আল্লাহ উক্ত আমলগুলো আমাদের সকল কে আদায় করার মতো শক্তি সাহস তাউফিক দান করুক, এবং সকল মুসলীম উম্মাহ কে জ্বীন যাদুর ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করুক।

লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন। যেনো ভুক্তভোগীদের নিকট এই রিমাইন্ডার টি পৌছিয়ে দিতে পারে।

© Raqi Amir Hamza ..

রুকইয়াহ করে কি পারিশ্রমিক নেওয়া যায়?  ইমাম ইবনুল তাইমিয়্যা রহিমাহুল্লাহ বলেন, রুকইয়াহ করে বিনিময় নেওয়ার কোনও আপত্তি নেই।...
09/10/2024

রুকইয়াহ করে কি পারিশ্রমিক নেওয়া যায়?

ইমাম ইবনুল তাইমিয়্যা রহিমাহুল্লাহ বলেন, রুকইয়াহ করে বিনিময় নেওয়ার কোনও আপত্তি নেই। এ বিষয়ে ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহ এর সুস্পষ্ট অভিমত রয়েছে। [ মুসলিম,আস-সহীহ ২১৯৯ ]

প্রমাণস্বরূপ আমরা আবূ সাঈদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত পূর্বের হাদীসটি স্মরণ করতে পারি। হাদিসটি আবারও বিশু।দভাবে তুলে ধরা হলো৷

রাসূল সাঃ এর সাহাবিদের এক জামাআত সফরে ছিলেন, তারা আরবের একটি জনবস্তিতে অবতরণ করলেন। তারা জনপদবাসিকে মেহমানদারীর অনুরোধ করলেন,কিন্ত জনপদবাসী সাহাবিদের আপ্যায়ন করল না৷ ইতোমধ্যে তাদের গোত্রপ্রধান কে সাপ দংশন করল৷ তখন তারা বল্ল, আপনাদের মাঝে কি কোনও রাকী আছে? কারণ আমাদের জনবসতির প্রধান সাপের দংশনের শিকার এবং যাদুর দ্বারা আক্রান্ত। সাহাবিদের জামাত থেকে বলা হলো, হ্যাঁ আছে। তবে আপনারা আমাদের কে আপ্যায়ন করেননি। সুতরাং আগে আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ করুন, তারপর রুকইয়াহ করব, তারা একপাল মেষ নির্ধারণ করল। তখন একজন সাহাবি সূরা ফাতিহা পড়ে গোত্রপ্রধানকে রুকইয়াহ করলেন। গোত্রপ্রধান ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে গেলন। ফলে সাহাবিদের কে এক পাল মেষ দেওয়া হলো।

তখন আবার সাহাবিগণ পারিশ্রমিক নিতে অস্বীকৃতি জানালেন এবং বল্লেন, আগে রাসূল সাঃ কে বিষটি বলি। তারা রাসূল সাঃ এর কাছে এলেন, রাকী রাসূল সাঃ কে বল্লেন ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি সুদু সূরা ফাতিহা পড়ে তাকে রুকইয়াহ করেছি। রাসূল সাঃ সব শুনে হেসে বল্লেন, কে বলেছিল তোমাকে এটা রুকইয়াহ? আচ্ছা! তাদের থেকে সেগুলো গ্রহণ করো এবং আমাকেও সেখান থেকে একটি অংশ দিয়ো।

ইমাম নাবাবি রহিমাহুল্লাহ বলেন, এ হাদিস সুস্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোনও ধরণের কারাহাত ছাড়াই ফাতিহা ও কুরআন দ্বারা রুকইয়াহ করে পারিশ্রমিক নেওয়া হালাল এবং জায়েজ।
[ নববি শারহু সহীহ মুসলিম ১৪/১৮৮ ]

রুকইয়াহ করে অর্থ গ্রহণ বৈধ হলেও রাকী ভাই বোনদের এতটুকু লক্ষ রাখা কর্তব্য যে, কুরআন মাজীদ সকলের জন্য এবং তা কোনও পার্থিব সম্পদ নয়। সুতরাং টাকার অভাবে কেউ যেন শারঈ চিকিৎসা রুকইয়াহ থেকে বঞ্চিত না হয়। যদি অর্থের কারণে কাউকে রুকইয়াহ থেকে বঞ্চিত করা হয়, নিঃসন্দেহে এ হবে চরম গর্হিত কাজ। কুরআনকে আল্লাহ তাআলা সার্বজনীন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন।

"কুরআন হলো বিশ্ববাসীর জন্য যিকির"
[ সূরা আত- তাকভীর ২৭ ]

উল্লেখ্য উপরোল্লিখিত হাদীসে রাসূল সাঃ মেষপালের একটি অংশ চেয়ে প্রশ্নকারী সাহাবিগণকে বোঝালেন যে, এই উপঢৌকন হালাল হাওয়ার বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

⚠ ️গায়রত কী? ⚠️-মক্কার এক মুশরিক তার উটকে জবেহ করে দিচ্ছিলো! যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো জবেহ কেন করলে তোমার প্রয়োজন হলেত ব...
09/10/2024

⚠ ️গায়রত কী? ⚠️
-
মক্কার এক মুশরিক তার উটকে জবেহ করে দিচ্ছিলো! যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো জবেহ কেন করলে তোমার প্রয়োজন হলেত বিক্রি করে দিতে পারতে।

তখন লোকটি বললো, এই উটের উপর আমার মহিলারা বসত, বিক্রি করে দিলে এই উটের উপর অন্যপুরুষ বসবে এটা আমার সহ্য হবেনা, তাই এই উট ই রাখবোনা।

একজন মুশরিক হওয়া সত্ত্বেও তার কত গায়রত!আর আমাদের, আমার ভাই-বোনদের কি দশা, আস্তাগফিরুল্লাহ।

প্রকৃতি কাশফুলে অপরুপ সাজে,সেজে আছে.!!💚💚💚💚💚
09/10/2024

প্রকৃতি কাশফুলে অপরুপ সাজে,
সেজে আছে.!!
💚💚💚💚💚

Address

Dhaka
1211

Telephone

+8801912678890

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when খিদমাহ হিজামা ও রুকইয়্যাহ কেয়ার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to খিদমাহ হিজামা ও রুকইয়্যাহ কেয়ার:

Share

Category