14/10/2024
🟤🟡 হিজামা ও রুকইয়াহর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি.!!
◾ব্যথার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন চিকিৎসা করে যারা কোন প্রকার উপকার পাচ্ছেন না তাদের জন্য হিজামা খুবই উপকারী। একবার হিজামা করলেই ফলাফল বুঝতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
--------------
◾হিজামায় যে সকল রোগের চিকিৎসা করা হয়:-
🍀এলার্জি☘️কোলেস্টেরল☘️এজমা বা হাপানী
☘️ইউরিক এসিড
🍀চর্মরোগ 🍀মাইগ্রেন ☘️মাথা ব্যথা ☘️বাত ব্যথা
☘️কোমর ব্যথা ☘️পায়ে ব্যথা হাঁটু ব্যথা☘️ঘাড়ে ব্যথা
☘️মাংস পেশির ব্যথা ☘️দীর্ঘ মেয়াদি মাথা ব্যথা
☘️মেরুদন্ড ব্যথা🍀গোড়ালি ব্যথা🍀স্পোর্টস ইঞ্জুরি
🍀গেঁটে বাত🍀চুল পড়া সমস্যা🍀ফুসফুসের সমস্যা
🍀রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস🍀সায়েটিকা
🍀ঘুমের সমস্যা।🍀মানসিক সমস্যা🍀হতাশা
🍀স্মরন শক্তির দূর্বলতা।🍀প্যারালাইসি
🍀হাত পা ঝিন ঝিন।🍀পায়ের পাতা ব্যথা
🍀ইউরিক এসিড🍀হরমোনাল সমস্যা
🍀সাইনোসাইটিস🍀লিভারের সমস্যা🍀হাড় ক্ষয়
🍀বডি ডিটক্স ইত্যাদি প্রায় সকল রোগের জন্য হিজামা করানো হয়।
তাছাড়া নিকোটিনের ক্ষতির প্রভাব থেকে বাচঁতে ধুমপায়ীদের জন্য হিজামা করা উত্তম।
👉 হিজামা কি.?
হিজামা একটি বিজ্ঞান সম্মত সুন্নতি চিকিৎসা,যা ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত। হিজমা ৩ হাজার বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি। হিজামা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতৃক বহু সহীহ হাদিসে বর্নিত চিকিসা ব্যবস্থা। মিরাজের রজনিতে ফিরিশতাগন রাসুলকে ও উম্মাহকে হিজামা নেয়ার আদেশ করেছেন। এজন্য এটাকে আসমানি চিকিৎসা বলে।
হিজামার মাধ্যমে কাপ ব্যবহার করে দূষিত রক্ত(toxin) বের করা হয়। ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পায় নার্ভগুলো একটিভ হয়,শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে শরির হয় সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।
👉 দূষিত রক্ত(Toxin) কি.?
টক্সিন শরিরের নিরব ঘাতক।টক্সিন হল জৈব বিষ যা মানব দেহে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়,আবার শরিরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থায় মল, মূত্র,ঘাম এবং নিঃশ্বাসের সাথে টক্সিন বের হয়ে যায়।যদি উৎপন্ন বর্জ্যের পরিমান নির্গত বর্জ্যের থেকে বেশি হয় তবে কিছু পরিমান এই দূষিত দেহে জমতে জমতে টক্সিনে পরিনত হয়।হজমে সমস্যা থাকলে,মলত্যাগে সমস্যা হলে,ঘাম না হলে,পরিমিত পানি পান না করলে শরিরে টক্সিন জমতে শুরু করে বা টক্সিন উৎপন্ন হওয়া সহজ হয়ে যায়।টক্সিন শরিরের কোষগুলোকে দূর্বল করে দেয়। যার ফলে আমরা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।প্রতিদিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে এই টক্সিন গুলো উৎপন্ন হয়,যেমনঃ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে,বাহিরের ভাজাপুড়া,মাছে বা ফলে থাকা ফরমালিন,পানিতে থাকা আয়রন বা আর্সেনিক,ধুমপানের অভ্যাস থাকলে,বায়ূ দুষণের কারনে আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে সীসা,অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি এর মত ক্ষতিকারক বস্তু সমুহ।মোটকথা প্রায় সকল মানব দেহেই টক্সিন বিদ্যমান,কারো পরিমানে কম অথবা বেশি।হিজামা/কাপিং এর মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে ঐ সমস্যা লুকিয়া থাকা টক্সিনগুলো বের করে ফেলি।যার ফলে আপনি হবেন সুস্থ,সবল এবং শক্তিশালী।এই জন্যই সুস্থ অবস্থায় প্রতি চার মাস অন্তর হিজামা/কাপিং করা উত্তম।
👉 নাইট্রিক অক্সাইড কি.?
আমাদের শরীর গঠিত নাইট্রিক অক্সাইডের উপর যা ১৯৯৮ সালে আবিষ্কার হয়। আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের কাজ এই আশ্চর্য অণু কণার উপর নির্ভর করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড থেরাপি বর্তমান বিশ্বে বহুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অথচ হিজামাতে নাইট্রিক অক্সাইড প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়। সাথে সাথে তৈরি হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া।
------------
❤ হিজামা সংক্রান্ত কিছু হাদিস:
🌹 রাসূলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন,"নিশ্চয়ই হিজামার মধ্যে রয়েছে নিরাময়(বুখারী-৫২৯৪/সহিহ মুসলিম-২২০৫)
🌹 রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন,গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামা করো,কারন গরমে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে মৃত্যু হতে পারে(আল হাকিম-৭৪৬১)
🌹 রাসুলুল্লাহ(স.)বলেছেন,"আমি মিরাজের রাতে যাঁদের মাঝ দিয়ে গিয়েছি,তাদের সবাই আমাকে বলেছেন;হে মুহাম্মাদ আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করুন(সুনানে তিরমিযীঃ২০৫৩)
🌹 রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন,"হিজামাকারী কতইনা উত্তম লোক,সে দুষিত রক্ত বের করে মেরুদণ্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে(সুনানে তিরমিযীঃ২০৫২)
🌹 যে ব্যক্তি আরবি চাঁদের মাসের ১৭তম,১৯তম এবং ২১তম দিনে হিজামা করাবে তা হবে সর্ব রোগের ঔষধ (আবু দাউদ-৩৮৬১)
🌹মানুষ চিকিৎসার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে তন্মধ্যে হিজামাই হল সর্বোত্তম(আল হাকিম-৭৪৭০)
👉 সুন্নাহ দিন হিসেবে (সোমবার,মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার) সকালে খালি পেটে হিজামা করা উত্তম। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে যে কোন দিন হিজামা করা যায়।
📌 আমরা জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ৫ বছরের অভিজ্ঞ হিজামা থেরাপিষ্ট দ্বারা হিজামা/কাপিং করিয়ে থাকি।
🌿 হিজামায় কোন সাইড ইফেক্ট নেই। অভিজ্ঞ হাতে হিজামা/কাপিং করালে কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া পাবেন না ইনশাআল্লাহ।
👉হিজামা/কাপিং এর খরচ:
◾প্রতি কাপ (পয়েন্ট) ১০০ টাকা।
◾ঢাকার ভিতর হোম সার্ভিস ২৫০০ টাকা প্রয়োজন অনুযায়ী সর্বোচ্চ-৩০/টি পয়েন্ট।
◾আমাদের সেন্টারে ৫০০/- টাকা থেকে ৩০০০ টাকার প্যাকেজ আছে। আপনার সুবিধামত বাজেটে হিজামা করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
◾গরীব অসহায় লোকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা আছে।
📌 আমাদের হিজামা থেরাপিষ্ট ৫ বছরের অভিজ্ঞ। আপনারা যেখানেই হিজামা করাবেন,হিজামা করানোর পূর্বে অভিজ্ঞতা জেনে নিবেন। এতে আপনার জন্য ভাল হবে ইনশাআল্লাহ।
আশা করি নিরাশ হবেন না ইনশাআল্লাহ।
📌হিজামার পূর্বে যা করনীয়:
১) হিজামার পূর্বে গোসল করে আসলে ভালো হয়।
২) হিজামার পূর্বে খালি পেটে থাকতে হয়,পানি খাওয়া যাবে।
৩) হিজামার পূর্বে কঠোর পরিশ্রম করা যাবে না।
৪) হিজামার পূর্বে গায়ে জ্বর থাকলে হিজামা করা যাবে না।
📌 হিজামার পরে যা করনীয়:
১) হিজামার পর নরমাল/ডাবের পানি/অথবা মধু মিশ্রিত খাবেন বেশি।
২) হিজামার পর যত দ্রুত সম্ভব ওরস্যালাইন,মধু,কালোজিরা,খেজুর অথবা একটা সিদ্ধ ডিম খাবেন। হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীরা ওরস্যালাইন এবং ডিম খাবেননা। ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি এড়িয়ে চলবেন।
৩) হিজামার পর যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক খাবার খেয়ে নিবেন যেমন- ভাত-তরকারি।
৪) হিজামার পর ১২ ঘন্টা গোসল করা যাবে না।
(বিশেষ প্রয়োজনে আমরা নিয়ম বলে দিব ইনশাআল্লাহ)
৫) ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাম ঝোড়ানো পরিশ্রম করা যাবে না।
৬) ৩ দিন সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না।
৭) প্রত্যেক গোসল শেষে হিজামার জায়গাগুলোতে নারিকেল তেল,অলিভ ওয়েল অথবা কালোজিরা তেল ব্যবহার করবেন ৩ দিন।
🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿🍂🌿
➡️ রুকইয়াহ সম্পর্কে কিছু কথা..!!
রুকইয়াহ আরবি শব্দ আরবি প্রতিশব্দ رقى যা رقيـة শব্দের বহুবচন।
"রুকইয়াহ অর্থ ঝাড়ফুঁক।
আমরা রুকইয়াহ শব্দের সাথে পরিচিত না হলেও আমাদের দেশের মানুষ "ঝাড়ফুঁক শব্দটির সাথে বেশ পরিচিত।
☘️ রুকইয়াহ পরিচয়.!
===========
রুকইয়াহ শাব্দিক অর্থ ফু দেওয়া, ঝাড়ফুঁক করা। তবে পারিভাষিক অর্থে শব্দটিকে আমরা ফু দেয়া অর্থে ব্যবহার করি না; বরং ‘পাঠ করা’ অর্থে ব্যবহার করি। অর্থাৎ রুগী নিজে কুরআন পাঠ করবে কিংবা অন্য কেউ রুগির কাছে পাঠ করবে ।
ব্যক্তি যখন শারীরিক, মানসিক, আত্মিক কিংবা জ্বীন বা যাদু ও বদনযর ইত্যাদি রোগ থেকে আরোগ্যের প্রত্যাশায় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল হয়ে নিজে কুরআন পাঠ করে কিংবা অন্য কেউ তাকে পাঠ করে শোনায়, একে আমরা শারইয়াহ্ রুকইয়াহ বলি। জেনে রাখা ভালো যে শারইয়াহ্ রুকইয়াহ এর মাঝে শুধু কুরআন নয় হাদীসে বর্ণিত দুআসমূহও অন্তর্ভূক্ত।
সংক্ষিপ্তভাবে বুঝানোর জন্য বলা যায়,
• বদনজরের সমস্যা। • কুফর বা শিরকদ্বারা যাদুকৃত যাদুতে আক্রান্ত সমস্যা। • জ্বীন সংক্রান্ত সমস্যা। • ওয়াসওয়াসা ইত্যাদি সমস্যায় কুরআন ও হাদীস দ্বারা আল্লাহ তা'য়ালার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করাকেই রুকইয়াহ বলা হয়।
একেক এক রোগীর একেক এক ধরনের সমস্যার দিক বিবেচনায় আলাদা আলাদা ভাবে আমরা রুকইয়ার আমল গুলো suggest করে থাকি, যেটাকে সেল্ফ রুকইয়াহ বলা হয়। (যে ব্যক্তি রুকইয়াহ করে তাহাকে রাক্বি বলা হয়)
🌿 এবার আপনাকে একটু বিস্তারিতভাবে বুঝানোর চেষ্টা করবো, ইনশা'আল্লাহ।
পারিভাষায় রুকইয়াহ আমরা যে অর্থে ব্যবহার করছি, সে অর্থে শব্দটির প্রয়োগ আমরা হাদীস থেকেই নিয়েছি; এবং শরয়ী রুকইয়াহ এর সমস্ত পাঠও আমরা হাদীস থেকেই লাভ করেছি। আবু সাইদ খুদর্রী (রা) এর হাদিসটি দেখুন -
“জিবরীল আমিন রাসুল (স.)এর কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনি কি অসুস্থতা বোধ করছেন? রাসুল (স.) বলেন, হ্যাঁ, জিবরীল আমিন বললেন,
بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ ، اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
অর্থাৎ আল্লাহর নামে আমি আপনাকে রুকইয়াহ্ করছি, যে সমস্ত বিষয় আপনাকে কষ্ট দেয় তা থেকে; সমস্ত মানুষ ও হিংসুকের হিংসার অনিষ্ট থেকে; আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করুন; আল্লাহর নামে আপনাকে রুকইয়াহ্ করছি।” (মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
ঝাড়ফুঁক হতে পারে সরাসরি রোগীর উপর বা পানি কিংবা খাদ্যের উপর।
ঝাড়ফুঁক করা ও করানো বৈধ, যদি নিচের দুটো শর্ত লঙ্ঘন না করে কেউ।
(ক) কুরআনের আয়াত অথবা সহীহ হাদীসের দুআ দ্বারা হতে হবে।
(খ) সাথে সাথে এই দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে,আরোগ্যদাতা কেবল মহান আল্লাহ।
আমাদের দেশে কবিরাজেরা যে নিয়মে ঝাড়ফুঁক করে,তাতে উপরের দুইটা শর্তের মারাত্মক লঙ্ঘন করে।
🌿 প্রশ্ন.?রুকইয়ার Audioতে কী থাকে?
রুকইয়ার Audio গুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এক এক ধরনের সমস্যার দিক বিবেচনা করে এক এক ধরনের রুকইয়ার audio তৈরী করা হয়। এতে মৌলিকভাবে যা থাকে, তা হচ্ছে:
সমস্যার দিক বিবেচনা করে কুরআন থেকে বাছাইকৃত আয়াত সমূহ, হাদীস থেকে সংগ্রহকৃত কিছু দু'আ। তবে popular রাক্বী, যাদের মাতৃভাষাই আরবী, তারা তাদের ভাষায়ও কিছু দু'আ করে থাকেন। যেমন: রুকইয়াহ শুরু করার আগে, আল্লাহ তা'য়ালা যেন এই রুকইয়ার মাঝে রহমত, বরকত এবং শিফা দান করেন এজন্য দু'আ করা।
ঝাড়ফুঁকের বিধান সম্পর্কে
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন: ঝাড়ফুঁকে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
(বর্ণনায় মুসলিম)
🌿 যে ঝাড়ফুঁক রুকইয়াহ শারইয়াহ হবে না:
রুকইহ্য়া মানে ঝাড়ফুঁক হলেও ইসলামে কেবল সে সব রুকিইয়াহ্ অনুমতি আছে, যেটা সরাসরি কুরআন সুন্নাহ হতে গৃহিত। যদি কুরআন-সুন্নাহ ছাড়া অন্য কিছু পাঠ করে রুকইয়াহ্ করা হয়, তা কখনোই শরিয়তসম্মত রুকইয়াহ্ বলে গন্য হবে না। যেমন কুফুরি কালাম বলা কিংবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সাহায্য চাওয়া। অস্পষ্ট অর্থসম্পন্য বাক্য পড়া তবে হ্যাঁ, সরাসরি আল্লাহর কাছে যে কোন ভাষায় আরোগ্যের দুআ করে, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে ফু দিলে কোন সমস্যা নেই। এটা জায়েজ ক্যাটাগরির রুকইয়াহ । রাসুল (স.) শুধু সেই রুকইয়াহ এর অনুমতি দিয়েছেন, যেখানে কোন শিরক নেই। রাসুল (স) বলেন,
لا بأس بالرقي إذا لم يكن فيه شرك
ঝাড়-ফুঁকে কোন সমস্যা নেই যদি তাতে কোনো শিরক না থাকে।
আল- হাদীস।
_______________________________________________
♻️ এক নজরে আমাদের সার্ভিস এর বিষয়সমুহ :
ব্ল্যাক ম্যাজিক, যাদুটোনা,জ্বীনের আছর, বদ নজর, ওয়াসওয়াসা, বিভিন্ন প্যারানরমাল জাতীয় সমস্যার শারীরিক ও মানসিক সমস্যার রুকইয়াহ ও হিজামা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
___________________________________
☘️ হিজামা ও রুকইয়াহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আশা করছি আমাদের পেজ ফলো করবেন.!
✅ পেইজ লিংক:
https://www.facebook.com/khidmahijama?mibextid=JRoKGi
----------------
🛖 ঠিকানা:
১। লোহার ব্রীজের ঢাল, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা।
২। আরামবাগ, (গোহাটা ব্রীজ) গোপালগঞ্জ।
Raqi Mahmud Bin Siraj
☎️ 01912-67 88 90 ☎️ 01621-18 14 88
🍁 হিজামা (Cupping therapy)
🌿 রুকইয়াহ শারইয়াহ।
🍁 কাউন্সিলিং।
🌿 দাওয়াহ।
••••
📖 আর আমি নাযিল করছি এমন কোরআন, যাতে রয়েছে মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত। তবে তা জালিমদের জন্য ক্ষতি ছাড়া অন্যকিছু বৃদ্ধি করেনা।
---- সুরা বনী ইসরাইল-৮২