13/05/2025                                                                            
                                    
                                                                            
                                            বছর খানেক আগে আমার একজন সন্মানিত প্রফেসর আমাকে ফোন দিয়ে বল্লো একটি প্রাইভেট হাসপাতালে উনার আন্ডারে একজন অল্প বয়স্ক ছেলে ভর্তি আছে, উনাকে একটু দেখে দিতে হবে, এটা একটা রেগুলার কল, এই রকম প্রায় এ আমি দেখি। তো গেলাম সেইখানে, গিয়ে দেখি অল্প বয়সের একজন ছেলে বিছানায় শুয়ে আছে, পিঠে ব্যথায় কারতাচ্ছে।দুই পায়ে একদম এ শক্তি নাই, দুই পা ঝিন ঝিন করে, দুই পা অবশ হয়ে আছে, হাটা চলা করতে পারে না কিছু দিন ধরে, বিছানায় পড়া যাকে বলে আরকি! প্রসাব এর রাস্তায় ক্যাথেটার লাগানো। আমি উনার রোগের ইতিহাস নিলাম, প্রয়োজনীয়  সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা দেখলাম, রোগ সম্পর্কে একটা ধারণা নিয়ে রোগীর পরিবার এর সাথে কথা শুরু করলাম। উনার বাবা, মা, বোন সবাইকে খুব উদবিগ্ন দেখলাম। উনার এম আর আই ছবি দেখে আমার মাথায় দুইটা রোগের কথা ঘুড়ছে। একটি হলো মেরুদণ্ড এর যক্ষা , আরেকটি হলো কোন খারাপ জাতের মেরুদণ্ড এর টিউমার।  সিদ্ধান্ত দিলাম অপারেশন এর। উনারা আল্লাহর উপর ভরসা রেখা আমার কথায় রাজি হলো। আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন এর প্রতিটি ধাপ আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করে দিলেন, আমাদের পরিকল্পনা মাফিক ই অপারেশন শেষ করলাম। এবার বায়োপসি রিপোর্ট এর অপেক্ষা।  রিপোর্ট আসলো মেরুদণ্ড এর যক্ষা। বুকের উপর থেকে একটা পাথর সড়ে গেলো। যাক আল্লাহর রহমতে খারাপ কোন জাতের মেরুদণ্ড এর টিউমার হয় নাই, আলহামদুলিল্লাহ। এরপর শুরু হলো যক্ষা রোগের মেডিসিন এর মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা।  আমার একটা বিশ্বাস ছিলো যে সঠিক চিকিৎসা পেলে কায়েস সাহেব একদিন হেটে হেটে আমার চেম্বার এ আসবে।  আজ উনি হেটে হেটেই আমার চেম্বার এ একা একা আসলো, আলহামদুলিল্লাহ , এই দিনটির জন্য এ অপেক্ষায় ছিলাম। খুব ভালো লাগছে উনাকে দেখে, উনার কিছু সমস্যা এখনো আছে, তবে উনি আগে থেকে অনেক অনেক ভালো আছে, অফিস করছে, যাবতীয় সকল কাজ করছে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে আল্লাহর রহমতে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠে। মহান আল্লাহ সকল অসুস্থ জনকে সুস্থতা দিন, আমিন।