22/08/2025
আজকের শিশুদের জীবনে মোবাইল ফোন, ট্যাব আর টিভি যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে কাটাচ্ছে, যা প্রথমে নিরীহ মনে হলেও আসলে তা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুর দৃষ্টিশক্তিকে দুর্বল করে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং শারীরিক কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। এর ফলে স্থূলতা, ক্লান্তি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, মনোযোগের ঘাটতি এবং সামাজিক দক্ষতা হ্রাসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে মস্তিষ্কের বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা শিশুর শেখার ক্ষমতা ও মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তাই প্রতিটি অভিভাবকেরই উচিত শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহারে সচেতন হওয়া। বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, তাদেরকে বই পড়তে উৎসাহিত করা, খেলাধুলায় অংশ নিতে দেওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর অভ্যাস গড়ে তোলা—এসবই শিশুকে সুস্থ, প্রাণবন্ত ও মানসিকভাবে দৃঢ় হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন, এখনই সঠিক পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। আপনার সন্তানের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সময়মতো সঠিক পরামর্শ নিন।
#শিশু_স্বাস্থ্য #শিশু_বিশেষজ্ঞ #ডাক্তার #শিশু_চিকিৎসা #পেডিয়াট্রিক #শিশু_সেবা #শিশুর_স্বাস্থ্য_পরামর্শ #মায়েদের_জন্য_টিপস