Doc Pedi

Doc Pedi নবজাতক ও শিশু রোগ, শিশু পুষ্টি, শিশুদের জটিল রোগ ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য যোগাযোগ করুন।

আজকের শিশুদের জীবনে মোবাইল ফোন, ট্যাব আর টিভি যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে ক...
22/08/2025

আজকের শিশুদের জীবনে মোবাইল ফোন, ট্যাব আর টিভি যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রিনের সামনে কাটাচ্ছে, যা প্রথমে নিরীহ মনে হলেও আসলে তা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুর দৃষ্টিশক্তিকে দুর্বল করে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং শারীরিক কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। এর ফলে স্থূলতা, ক্লান্তি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, মনোযোগের ঘাটতি এবং সামাজিক দক্ষতা হ্রাসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে মস্তিষ্কের বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যা শিশুর শেখার ক্ষমতা ও মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

তাই প্রতিটি অভিভাবকেরই উচিত শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহারে সচেতন হওয়া। বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, তাদেরকে বই পড়তে উৎসাহিত করা, খেলাধুলায় অংশ নিতে দেওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর অভ্যাস গড়ে তোলা—এসবই শিশুকে সুস্থ, প্রাণবন্ত ও মানসিকভাবে দৃঢ় হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

মনে রাখবেন, এখনই সঠিক পদক্ষেপ নিলে ভবিষ্যতে বড় ক্ষতি এড়ানো সম্ভব। আপনার সন্তানের সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সময়মতো সঠিক পরামর্শ নিন।
#শিশু_স্বাস্থ্য #শিশু_বিশেষজ্ঞ #ডাক্তার #শিশু_চিকিৎসা #পেডিয়াট্রিক #শিশু_সেবা #শিশুর_স্বাস্থ্য_পরামর্শ #মায়েদের_জন্য_টিপস

20/08/2025

জন্মের পর নবজাতক সবকিছু সাদা-কালোভাবে দেখে। কয়েক সপ্তাহ পর তারা প্রথমবারের মতো লাল রং চিনতে পারে। ধীরে ধীরে রঙের জগতে তাদের দৃষ্টি প্রসারিত হয়, আর প্রায় ৬ মাস বয়সে তারা বড়দের মতো সব রং স্পষ্টভাবে দেখতে শুরু করে।

জন্মের পর তাদের দৃষ্টি ঝাপসা থাকে এবং তারা মাত্র ২০–৩০ সেন্টিমিটার দূর পর্যন্ত দেখতে পারে। এ সময় তারা কাঁদলেও চোখ দিয়ে পানি পড়ে না, কারণ টিয়ার ডাক্ট সম্পূর্ণ তৈরি হতে প্রায় ২–৩ মাস সময় লাগে।

প্রথম দুই মাসে শিশুর হাসি মূলত ঘুমের মধ্যে রিফ্লেক্স হিসেবে দেখা যায়। জেগে থেকে সচেতনভাবে হাসা শুরু হয় দুই মাসের পর থেকে।

প্রাকৃতিক রিফ্লেক্সের কারণে অনেক নবজাতক পানিতে সাঁতার কাটার মতো অঙ্গভঙ্গি করতে পারে। পানিতে ডুবালে তারা শ্বাস বন্ধ রাখতে পারে, তবে এই ক্ষমতা সাধারণত ৬ মাস বয়স পর্যন্ত থাকে। এরপর ধীরে ধীরে তা হারিয়ে যায়, আর ২–৩ বছর বয়সে আবার নতুন করে সাঁতার শিখতে হয়।
#শিশু_স্বাস্থ্য #শিশু_বিশেষজ্ঞ #ডাক্তার #শিশু_চিকিৎসা #পেডিয়াট্রিক #শিশু_সেবা #শিশুর_স্বাস্থ্য_পরামর্শ #মায়েদের_জন্য_টিপস

09/08/2025

👨‍⚕️ অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ
মুখ খোলার পর ৭-১০ দিনের মধ্যে ব্যবহার শেষ করুন। সময় পেরিয়ে গেলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

👨‍⚕️ প্যারাসিটামল সিরাপ
মুখ খোলার পর ১৪-২১ দিনের মধ্যে ব্যবহার করুন। নির্দিষ্ট সময়ের পর ওষুধের গুণাগুণ নষ্ট হতে পারে।

👨‍⚕️ কাশির সিরাপ
মুখ খোলার পর ১৪-২১ দিনের মধ্যে ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় রেখে দিলে ওষুধ অকার্যকর হতে পারে।

📌 মনে রাখবেন: মুখ খোলার পর সিরাপ সবসময় ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গায়, শিশুর নাগালের বাইরে সংরক্ষণ করুন।

26/07/2025
একজন শিশু চিকিৎসক হিসেবে সবচেয়ে বেশি শুনি—“বাচ্চা কিছুই খায় না।”কিন্তু ওই বাচ্চাই আবার চিপস বা দোকানের জুস দিব্যি খায়! ত...
26/07/2025

একজন শিশু চিকিৎসক হিসেবে সবচেয়ে বেশি শুনি—“বাচ্চা কিছুই খায় না।”
কিন্তু ওই বাচ্চাই আবার চিপস বা দোকানের জুস দিব্যি খায়! তাহলে সমস্যা কোথায়?
সমস্যা হলো যখন মায়েরা খাবারকে রুচি মনে করে। সমস্যা খাবারে নয়, অভ্যাসে।
খাবার ‘রুচি’র বিষয় নয়, এটি এক ধরনের অভ্যাস। যদি খাবার সত্যিই অপছন্দ হতো, তাহলে বাইরের খাবারও খাওয়ার কথা না।
অনেক মা বলেন—“বাহিরের খায়, কিন্তু বাসার খায় না।”

📌 শিক্ষণীয় বিষয়:

বাবা-মা ঠিক করবেন, বাচ্চা কী খাবে।

বাচ্চা ঠিক করবে, কখন খাবে (ক্ষুধা লাগলে)।

এখন উল্টো চিত্র-
বাচ্চা বলে, "আমি চিপস, আইসক্রিম খাব।"
আর বাবা-মা বলেন, "বাচ্চা তো কিছুই খায় না।" ফলে ২০-৩০ মিনিট পরপর খাবার নিয়ে হাজির হয়ে শুধু পরিস্থিতি খারাপ করেন। জোর করলে বাচ্চা বমি করে।

✅ সমাধান:

খাবারের মাঝে গ্যাপ দিন

ক্ষুধা লাগতে দিন

ঘরের খাবারে অভ্যাস গড়ে তুলুন

রুচি বাড়ানোর ওষুধ নয়, সঠিক অভ্যাসই সমাধান।
#শিশু_স্বাস্থ্য #শিশু_বিশেষজ্ঞ #ডাক্তার #শিশু_চিকিৎসা #পেডিয়াট্রিক #শিশু_সেবা #শিশুর_স্বাস্থ্য_পরামর্শ #মায়েদের_জন্য_টিপস

🦠 Hand, Foot and Mouth Disease (HFMD)শিশুদের একটি সাধারণ ও সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত ৫ বছরের নিচে বেশি দেখা যায়।📌...
24/07/2025

🦠 Hand, Foot and Mouth Disease (HFMD)

শিশুদের একটি সাধারণ ও সংক্রামক ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত ৫ বছরের নিচে বেশি দেখা যায়।

📌 রোগের কারণ:

Coxsackievirus A16 ও Enterovirus 71

📍 লক্ষণসমূহ:

• হালকা–মাঝারি জ্বর
• মুখে ব্যথাযুক্ত ঘা (জিভ, গাল, মুখের ভেতরে)
• হাত-পায়ের তালুতে ফুসকুড়ি বা ফোস্কা
• দুর্বলতা, খাওয়ার অনীহা, গলা ব্যথা
• কখনো লাল চোখ

🧪 সংক্রমণ ছড়ায় যেভাবে:

• লালা, কফ, ফোসকার তরল, মল
• খেলনা, কাপড়, স্পর্শ
• স্কুল বা ডে-কেয়ারে শিশুদের কাছাকাছি থাকলে

⏳ রোগের সময়কাল:

সাধারণত ৭–১০ দিনে ভালো হয়ে যায়।

🩺 চিকিৎসা:

🔹 নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা:
• প্যারাসিটামল – জ্বর ও ব্যথায়
• ঠান্ডা তরল খাবার, বরফ চুষতে দিন
• প্রচুর পানি ও বিশ্রাম
• স্যালাইন গার্গল (যদি উপযুক্ত বয়স হয়)
⚠️ অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না

👨‍👩‍👧‍👦 Parent Guideline Checklist:

✅ পর্যবেক্ষণ করুন:
• জ্বর, মুখের ঘা, হাত-পায়ে র‌্যাশ
• খাওয়া ও পানি পান ঠিক আছে কিনা

✅ বাসায় যত্ন নিন:
• ঠান্ডা খাবার দিন, মসলা-টক খাবার এড়ান
• ফোস্কায় খোঁচা না দিতে বোঝান
• পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিন

✅ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
• বারবার হাত ধোয়ানো
• খেলনা, থালা-বাসন, জামাকাপড় পরিষ্কার
• আলাদা বাসন ও তোয়ালে ব্যবহার
• স্কুলে পাঠানো বন্ধ রাখুন যতদিন না উপশম হয়

✅ চিকিৎসক দেখান যখন:
• শিশু খেতে পারছে না
• ফোস্কায় ইনফেকশনের লক্ষণ
• ৩ দিনের বেশি জ্বর
• শিশু খুব দুর্বল বা ঝিম ধরে যাচ্ছে
• বয়স ৬ মাসের নিচে

✅ অন্যদের রক্ষা করুন:
• আক্রান্ত শিশুকে আলাদা রাখুন
• ভাইরাস ছড়াতে পারে ৭ দিন পর্যন্ত – সতর্ক থাকুন

23/06/2025

🧒 আপনার একটু সচেতনতা – একটি শিশুর জীবন বাঁচাতে পারে

🔴 যখন শিশুর গলায় খাবার আটকে যায়: কী করবেন বয়স অনুযায়ী

শিশুরা ছোট বলে দুর্বল নয়—তবে তারা নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। গলায় খাবার বা ছোট বস্তু আটকে যাওয়া (চকিং) একটি মারাত্মক পরিস্থিতি, যা মুহূর্তেই শিশুর শ্বাস বন্ধ করে দিতে পারে।

তাই বাবা-মা, দাদা-দাদী, খালা-ফুপুরা, যাঁরা শিশুর আশেপাশে থাকেন, সবারই এই জরুরি জ্ঞান থাকা দরকার। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই পারে একটি নিষ্পাপ প্রাণ রক্ষা করতে।

🟢 ০–১২ মাস বয়সী শিশু (যে হাঁটতে শেখেনি)

🛑 চকিং-এর লক্ষণ:

হঠাৎ কাশির বন্ধ হয়ে যাওয়া

কোনো শব্দ বের না হওয়া

শ্বাস নিতে না পারা

মুখে রঙ পরিবর্তন (নীলচে বা ধূসর)

🚑 প্রাথমিক করণীয়:

🔹 ১. ব্যাক ব্লো (৫ বার):

শিশুকে উল্টো (উপুড় করে) হাতে বা হাঁটুর ওপর রাখুন, মাথা নিচের দিকে ঝুলে থাকবে।

পিঠের মাঝখানে (কাঁধের মাঝ বরাবর) হাতের তালুর গোড়ালি দিয়ে ৫ বার চাপ দিন।

🔹 ২. চেস্ট থ্রাস্ট (৫ বার):

শিশুকে চিত করে ধরে রাখুন, মাথা নিচু দিকে।

বুকের মাঝ বরাবর (স্তনবৃন্তের নিচে) দুই আঙুল দিয়ে ৫ বার নিচে চাপ দিন।

🔁 এই দুটি ধাপ পালাক্রমে চালিয়ে যান যতক্ষণ না:

খাবার বা বস্তুটি বেরিয়ে আসে

শিশুটি শ্বাস নিতে শুরু করে

অথবা জরুরি চিকিৎসা সহায়তা এসে পৌঁছায়

---

🟡 ১–৫ বছর বয়সী শিশু

এই বয়সে শিশুরা খেলারত অবস্থায় খাবার মুখে দিয়ে ফেলার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।

🩺 Heimlich Maneuver (পেট চাপ দিয়ে বস্তুকে বের করা):

1. শিশুকে দাঁড় করান বা কোলে বসান।

2. পিছন থেকে আলতোভাবে জড়িয়ে ধরুন।

3. এক হাত মুঠি করে শিশুর নাভির একটু ওপর রাখুন।

4. অন্য হাত দিয়ে মুঠি হাতটি ধরে দ্রুত উপরের দিকে ধাক্কা দিন – যেন খাবারটি উঠে আসে।

5. ৫ বার প্রয়োগ করুন।

খুব ছোট শিশুর ক্ষেত্রে ধাক্কাটি অবশ্যই হালকা হবে।

---

🔴 অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে:

শিশুর চেতনা হারালে

খিঁচুনি শুরু হলে

মুখ নীল বা ধূসর হয়ে গেলে

গলা ফুলে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে

দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান এবং CPR শুরু করার প্রস্তুতি নিন

---

✅ চকিং প্রতিরোধে সহজ কিছু নিয়ম:

🔸 শিশুকে বসিয়ে খাওয়ান, কখনোই শুয়ে খাওয়াবেন না
🔸 খেলতে খেলতে বা দৌড়াতে দৌড়াতে যেন কিছু না খায়
🔸 ছোট জিনিস—বাদাম, কাঁচা গাজর, আঙুর, হার্ড ক্যান্ডি, মার্বেল, কয়েন, ব্যাটারি – শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন
🔸 খাবার যেন বয়স অনুযায়ী ছোট করে কাটা ও নরম হয়

---

🌟 শেষ কথা:

একটি শিশুর জীবন অনেক সময় মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ওপর নির্ভর করে।
আপনার জানা, আপনার হাতের মৃদু একটি চাপ—এটিই হয়তো তাকে আবার শ্বাস নিতে সাহায্য করবে।

জীবনের প্রথম শিক্ষা ঘর থেকেই শুরু হয়। শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সেখান থেকেই।

শিশুকে মধু খাওয়ানোর পর ক্লস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম টক্সিন বিষক্রিয়ায় শিশুর কি অবস্থা হয়েছে দেখুন!Infant Botulism (শিশু ...
01/06/2025

শিশুকে মধু খাওয়ানোর পর ক্লস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম টক্সিন বিষক্রিয়ায় শিশুর কি অবস্থা হয়েছে দেখুন!

Infant Botulism (শিশু বোটুলিজম) একটি বিরল কিন্তু গুরুতর নিউরোলোজিক্যাল রোগ, যা Clostridium botulinum নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে উৎপন্ন টক্সিনের কারণে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ১ বছর বয়সের নিচের শিশুরা আক্রান্ত হয়।

🦠 Infant Botulism এর কারণ:

Clostridium botulinum ব্যাকটেরিয়ার spores (বীজাণু) শিশুর অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং সেখানে বৃদ্ধি পেয়ে botulinum toxin উৎপাদন করে। এই টক্সিন acetylcholine নামক স্নায়ুবিষয়ক রাসায়নিকের নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে শিশুর পেশিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।

🧬 সংক্রমণের উৎস:

মাটি বা ধুলাবালি। প্রাকৃতিক পরিবেশ (বাগান, কৃষিক্ষেত্র) গিয়ে সেগুলো মুখে খাওয়া।

মধু (হানি) — ১ বছরের নিচে শিশুদের কখনোই মধু খাওয়ানো উচিত নয়

ঘরের ধুলোবালি (spore-দূষিত হতে পারে)

⚠️ লক্ষণসমূহ (Symptoms):

জীবাণু মুখ দিয়ে পেটে প্রবেশের পর সাধারণত ৩ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই রোগটির লক্ষণ দেখা যায়। লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে:

১. শিশুর অতিরিক্ত নিস্তেজতা (floppiness) – “floppy baby syndrome”

২. শিশু সঠিকভাবে মাথা ধরে রাখতে পারে না

৩. শিশুর চুষে খাওয়ার ক্ষমতা কমে যায় – খাওয়ায় সমস্যা

৪. শিশুর কাঁদার শব্দ দুর্বল হয়ে পড়া

৫. শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) দেখা দেয়– প্রাথমিক লক্ষণ

৬. শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতা দেখা যায়

৭. শিশুর রক্তচাপ কমে যায় এবং অবচেতনতা দেখা যায় (চরম ক্ষেত্রে)

🧪 রোগ নির্ণয় (Diagnosis):

শিশুর মল পরীক্ষা (stool test) – toxin বা ব্যাকটেরিয়ার স্পোর শনাক্ত করতে

শিশুর রক্ত পরীক্ষা

শিশুর EMG (Electromyography) – স্নায়ু-পেশি কার্যকলাপ দেখতে

শিশুর নিউরোলজিক্যাল পরীক্ষা। যা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিজ হাত দিয়ে করে দেখবেন।

💉 চিকিৎসা (Treatment):

১. Botulism Immune Globulin (BIG-IV) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে “BabyBIG®” নামে ব্যবহৃত হয়

২. সমর্থনমূলক চিকিৎসা (Supportive care):

শ্বাসযন্ত্র সহায়তা (যদি দরকার হয়) বা ventilation

তরল ও পুষ্টি প্রদানের জন্য IV therapy

NG tube দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানো

৩. অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত প্রয়োজন হয় না, কারণ এন্টিবায়োটিক টক্সিন এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।

🚫 প্রতিরোধ:

১ বছরের নিচের বয়সের শিশুদের মধু খেতে না দেওয়া

শিশুকে পরিষ্কার এবং ধুলাবালিমুক্ত পরিবেশে রাখা

শিশুর খাবার রান্নার সময় সবজির ভালোভাবে রান্না করে সিদ্ধ করে খাওয়ানো উচিত

📌 মনে রাখবেন:

Infant botulism একবার শনাক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে বেশিরভাগ শিশুই পুরোপুরি সেরে ওঠে। তবে এটি একটি জরুরি অবস্থা, তাই উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি দেখা গেলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

ডা. মানিক মজুমদার

বাচ্চাদের খাবার নির্বাচনে সতর্ক হোন“চ” অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া বেশ কিছু খাবার বাজারে সহজেই পাওয়া যায় এবং এগুলো বাচ্চারা খ...
06/04/2025

বাচ্চাদের খাবার নির্বাচনে সতর্ক হোন

“চ” অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া বেশ কিছু খাবার বাজারে সহজেই পাওয়া যায় এবং এগুলো বাচ্চারা খুব পছন্দ করে। যেমন—চকলেট, চানাচুর, চুইংগাম, চিপস, চাটনি, চুষনী ও চিনি। এসব খাবার সাধারণত মুখরোচক হলেও পুষ্টিগুণ খুবই কম এবং বাচ্চাদের ক্ষুধা নষ্ট করে দেয়। ফলে তারা প্রয়োজনীয় ও পুষ্টিকর খাবারের প্রতি আগ্রহ হারায়, যা দীর্ঘমেয়াদে পুষ্টিহীনতার দিকে ঠেলে দেয়।

একইভাবে, কিছু সাদা বা সাদাটে রঙের খাবার—যেমন সুজি, চালের গুঁড়া, সাবু, বার্লি এবং বাজারজাত কিংবা ঘরোয়া উপায়ে তৈরি সেরেলাক—দেখতে ভালো হলেও নিয়মিতভাবে বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিত নয়। কারণ এগুলো দীর্ঘদিন খেলে শিশুদের দেহে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা থেকে রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) হতে পারে।

তাই শিশুর খাদ্য নির্বাচনে সচেতন হন, রঙ ও স্বাদের পিছনে না ছুটে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন।

শিশুর প্রথম সলিড খাবার: কীভাবে শুরু করবেন?শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর ধীরে ধীরে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিক...
05/04/2025

শিশুর প্রথম সলিড খাবার: কীভাবে শুরু করবেন?

শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হওয়ার পর ধীরে ধীরে বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।

✅ প্রথম সলিড ফুড হিসেবে উপযোগী কিছু খাবার:

চটকানো পাকা কলা

মিষ্টি আলুর পিউরি

আপেলের পিউরি

সেদ্ধ গাজর

ডালের পানি মেশানো নরম ভাত

ফলের রস (টক ফল বাদে)

জাউ ভাত, সেদ্ধ সবজি

ধীরে ধীরে চাল, ডাল, ২ রকম সবজি দিয়ে রান্না করা নরম খিচুড়ি

---

✅ শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত অন্তত ৪ ধরনের খাবার এই ৭টির মধ্যে থেকে:

১. মাছ/মাংস
২. ডিম
৩. রঙিন শাকসবজি
৪. অন্যান্য সবজি ও ফল
৫. ভাত/রুটি
৬. বাদাম ও ডাল জাতীয় খাবার
৭. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

---

🍽 শিশুর সলিড খাবার দেওয়া শুরু করবেন যেভাবে:

১. প্রথম দিন: ১ চামচ, দুপুরে
২. দ্বিতীয় দিন: ২ চামচ, সকালে ও দুপুরে
৩. তৃতীয় দিন: ৩ চামচ, সকাল, দুপুর, রাতে

> রান্না করা খাবারে ২–৩ চামচ তেল ব্যবহার করা উচিত।

প্রতিদিন শিশুকে ঘরে তৈরি খাবার দিন:

দিনে ২ বার আধা বাটি বাড়তি খাবার

১–২ বার পুষ্টিকর নাস্তা (যেমন: কলা, ডাবের পানি, ফলের রস, দুধ)

সারাদিনে ৩ ঘণ্টা পরপর খাওয়ান

সকালে অবশ্যই বুকের দুধ দিয়ে দিন শুরু করুন

বুকের দুধ ২ বছর পর্যন্ত দেওয়া যেতে পারে

---

🥗 শিশুর অভ্যস্ত হওয়ার পর একটি সম্ভাব্য ফুড চার্ট:

সকাল ৮টা:
নরম খিচুড়ি (১ মুঠ চাল, অর্ধেক পরিমাণ ডাল, ২ রকম সবজি, ২–৩ চামচ তেল, কাঁটা ছাড়া মাছ/চিকেন/কলিজা)

সকাল ১১টা:
বুকের দুধ /দুধ দিয়ে তৈরি পায়েস / মৌসুমী ফল (১ বছরের আগে গরুর দুধ দিবেন না)

দুপুর ২টা:
নরম খিচুড়ি বা ডাল-ভাত, সাথে এক পিস মাছ বা মাংস

বিকেল ৫টা:
ফল (পাকা কলা/পেঁপে/আম), ডিমের কুসুম, নরম বিস্কুট বা নুডলস (ইন্সট্যান্ট নয়)

রাত ৮টা:
দুপুরের মতো ভাত-সবজি-মাছ

ঘুমানোর আগে:
বুকের দুধ

---

✅ শিশুকে পানি খাওয়ানো:

৬ মাসের পর থেকে সামান্য পানি খাওয়াতে পারেন

বাজারের প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন

ঘরে তৈরি খাবার দিন যাতে শিশুর অভ্যস্ততা গড়ে ওঠে

---

⚠️ কিছু সতর্কতা:

প্রতিটি নতুন খাবার আলাদাভাবে শুরু করুন

হুট করে একসাথে অনেক কিছু দেবেন না

কোনো খাবার খেয়ে অ্যালার্জি বা হজমে সমস্যা হলে সেটি বন্ধ রাখুন

নতুন খাবার খাওয়ানোর পর পায়খানা খেয়াল করুন

ব্লেন্ড করা খাবার না দিয়ে চটকানো খাবার দিন

Address

Dhaka Shishu Hospital & Institute, Sher-e-Bangla Nagar
Dhaka

Telephone

+8801765429229

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Doc Pedi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Doc Pedi:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category