Dr. Md. Abdullah-Al Faisal

Dr. Md. Abdullah-Al Faisal I am Dr. Md. Abdullah-Al Faisal. This Page is related to my Blog www.drfaisal.com.bd Dr. Md. He did his MBBS from Bangladesh Medical College, Dhaka.

Abdullah-Al Faisal is a young enthusiastic Paediatric Surgeon from Bangladesh. He completed MS (Masters in Surgery) in Paediatric Surgery from Bangladesh Shishu (Children) Hospital, Shyamoli, Dhaka under affiliation from Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University, Shahbag, Dhaka.

বিপর্যয়কর ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। ভূতাত্ত্বিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থি...
02/08/2025

বিপর্যয়কর ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।

ভূতাত্ত্বিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত- একটি ভারতীয় প্লেট, পূর্বদিকে মিয়ানমার প্লেট এবং উত্তরে ইউরেশিয়ান প্লেট। ভারতীয় ও মিয়ানমার প্লেটের সংযোগস্থলে জমা হওয়া শক্তি যেকোনো মুহূর্তে ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।

বিশেষ করে গত মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগরের গভীরে পরপর চারটি শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশের জন্য এক নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুরের ভূগর্ভস্থ ফাটল রেখায় বিগত ১৮৮৫ সালে ৭.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। গবেষকদের ধারণা, যদি সেই ফাটল রেখায় ৬.৯ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে কেবল ঢাকায় প্রায় ৮ লাখ ৬৪ হাজার ভবন ধসে পড়তে পারে, যা রাজধানীর মোট ভবনের ৪০ শতাংশ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখনই সকলকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি। COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই...
08/06/2025

আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি। COVID-Omicron XBB অতীতের থেকে আলাদা কারণ এটি মারাত্মক এবং সনাক্ত করা সহজ নয়, তাই সকলকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

১. নতুন COVID-Omicron XBB এর লক্ষণগুলি হল:

i). কাশি সাধারণত থাকে না।
ii). জ্বর থাকে না বা হাল্কা থাকে।

এর বেশিরভাগ লক্ষণগুলি নিম্নরূপ:-

iii). জয়েন্টে ব্যথা।
iv). মাথাব্যথা।
v). গলা ব্যথা।
vi). পিঠে ব্যথা।
vii). নিউমোনিয়া।
viii). ক্ষুধা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২. এছাড়াও, COVID-Omicron XBB ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি বিষাক্ত এবং এর মৃত্যুর হারও বেশি হতে পারে। তবে ভ্যাকসিন দেওয়া থাকলে সাধারণত এর ঝুঁকি কম থাকে এবং তা মৃদু হয়ে থাকার সম্ভবনাই বেশি।

৩. তবে ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার ব্যক্তিদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে লক্ষণগুলি অত্যন্ত তীব্র হয়ে উঠবে এবং স্পষ্ট লক্ষণগুলির অনুপস্থিতিতেও পরিবর্তন ঘটার আশংকা করা হচ্ছে।

৪. তাই আপনাকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

* এই রূপটি নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল অঞ্চলে পাওয়া যায়নি, এবং তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এটি সরাসরি ফুসফুসের "জানালা" প্রভাবিত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।

৫. COVID-OmicronXBB-তে সংক্রামিত অল্প সংখ্যক রোগীকে জ্বর-মুক্ত এবং ব্যথা-মুক্ত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, তবে এক্স-রেতে হালকা নিউমোনিয়া দেখা যেতে পারে। এছাড়াও, নাকের গহ্বরের মধ্য দিয়ে তুলার সোয়াব পরীক্ষা করে COVID-Omicron XBB নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং নাসোফ্যারিঞ্জিয়াল পরীক্ষার সময় মিথ্যা নেতিবাচক পরীক্ষার উদাহরণ বাড়ছে। তাই এই ভাইরাসটি খুবই ধূর্ত। এর ফলে, ভাইরাসটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে।

৬. যতটা সম্ভব জনাকীর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গায় এমনকি ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, মাস্কের উপযুক্ত স্তর পরুন এবং লক্ষণ ছাড়া কাশি বা হাঁচি না দিলে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।


* অতএব, বিচক্ষণ, বৈচিত্র্যময় এবং নিবিড় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

অনুগ্রহ করে আপনার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের যতটা সম্ভব বলুন।

নিরাপদ থাকার জন্য বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না।

ঈদুল আযহার পবিত্র দিনে আল্লাহ সকলের ত্যাগ কবুল করুন, জীবনকে করুন শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর। ঈদ মোবারক! 🌙✨
07/06/2025

ঈদুল আযহার পবিত্র দিনে আল্লাহ সকলের ত্যাগ কবুল করুন, জীবনকে করুন শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর। ঈদ মোবারক! 🌙✨

ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং "হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স"২০১৭ সালের পহেলা এপ্রিল আমেরিকান নিউজ চ্যানেল ...
06/05/2025

ট্রেনঃ পৃথিবীর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড ঘাতকের রহস্য এবং "হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স"

২০১৭ সালের পহেলা এপ্রিল আমেরিকান নিউজ চ্যানেল "এনবিসি" তে একটা আশ্চর্যজনক ভিডিও প্রচার করা হয়। জেফ রোসেন নামের একজন রিপোর্টারের করা এক্সপেরিমেন্টাল রিপোর্ট। এক্সপেরিমেন্টের নাম "আসলেই কি ট্রেন লাইনে দাঁড়ালে পেছনে আসা ট্রেনের শব্দ শোনা যায় না?"

এক্সপেরিমেন্টে পরে আসি। প্রথমে প্রেক্ষাপট।

আমাদের অনেকেরই ধারণা ট্রেনে কাটা পড়ে কেবল বাংলাদেশীরাই মারা যায়। বাংলাদেশের মানুষজন বেকুব, ইতর। তারা সিগন্যাল মানে না। হেডফোন লাগিয়ে লাইনে হাঁটে। ট্রেনে কাটা পড়ার এটাই মূল কারণ।

ট্রেনে চাপা পড়ার এটা অবশ্যই একটা কারণ, কিন্তু একমাত্র না। সম্ভবত সবচেয়ে বড়ো কারণও নয়। মোবাইল ও হেডফোনের সঙ্গে মানুষের পরিচয়ের বয়স ১৫-২০ বছর। তার আগে কি এসব ঘটনা ঘটেনি? অনেক ঘটেছে, প্রচুর ঘটেছে।

ব্রিটেনের মতো দেশে প্রতি বছর ৫০০ টার মতো ঘটনা ঘটে যেখানে লোকজন অসতর্কভাবে ট্রেনের নিচে পড়ে বা একদম শেষ মুহূর্তে উদ্ধার পায়। মানুষ মরে খোদ আমেরিকাতেও। শুধু ২০১৩ সালেই আমেরিকায় ট্রেনের লাইনে জীবন গেছে ৭৮৪ জন মানুষের।

ব্যাক টু এক্সপেরিমেন্ট।

ট্রেনে কাটা পড়ার খবর দেখলে প্রায় প্রত্যেকটা মানুষের মাথায় প্রশ্ন আসে, "লোকটা ট্রেনের শব্দ শুনল না কেন?" এত ভারী একটা বাহন। ঝকঝক শব্দ, হুইসেলের তীব্র আওয়াজ..কিছুই কীভাবে কারো কানে যায় না?

সদূর আমেরিকায় এনবিসি রিপোর্টার জেফ রোসেনও একই ধাঁধায় আটকে যান। ধাঁধার উত্তর না পেয়ে ক্যামেরা সমেত একদিন নিজেই চলে যান ট্রেন লাইনে। ট্রেন আসার উল্টো দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকেন লাইনে। সামনে ক্যামেরা। লোকজন আছে যথাযথ প্রোটেকশন নিয়ে।

কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর একটা ট্রেন আসে রোসেনের পেছনে। সাপের মতো বাক নিয়ে এগোয়৷ কিন্তু একি! রোসেনের খবর নেই! ট্রেন আরো কাছে আসে, তবুও রোসেনের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। একসময় পেছনে ঘাতকের উপস্থিতি টের পান রোসেন, ট্রেন তাকে অতিক্রম করে। তিনি হিসেব কষে দেখেন, ট্রেনের শব্দ প্রথম শোনা ও ট্রেন তাকে অতিক্রম করে চলে যাবার মাঝখানের সময় মাত্র ৫ সেকেন্ড!

আরেকটা ফ্যাক্টর আছে এখানে। এই বিশেষ স্থানে ট্রেনটার গতি ছিল বেশ কম। মাত্র ২৫ মাইল পার ঘন্টা। ইউএসএ তে গড়ে ৭০ মাইল বেগে চলে এই অজগর। আরেকবার হিসেব করা হলো। দেখা গেল, ট্রেনের গতি ৭০ থাকলে রোসেন সময় পেতেন মাত্র দুই সেকেন্ডেরও কম। অর্থাৎ সরে যাবার কোনো সুযোগই ছিল না। (এই ভিডিও লিংক কমেন্ট বক্সে দিচ্ছি)

আমেরিকান জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল 'এনবিসি' অবশেষে স্বীকার করতে বাধ্য হয়, ট্রেনের শব্দ শোনা ব্যাপারটা এতটা সরল না। এসব এক্সিডেন্টে ভিক্টিমের খামখেয়ালির পাশাপাশি আছে বিরাট এক রহস্য। কিছুটা সায়েন্স, কিছুটা সাইকোলজি। সেই রহস্যের ব্যাখা পরে দিই।

গতকালকে এক তরুণ ফটোগ্রাফার মারা গেছে। একটা লাইনে দাঁড়িয়ে সে অন্য লাইনে ট্রেনের ভিডিও করছিল। কেউ বলছে ট্রেন নয়, ফুলের ছবি তোলা ছিল তার উদ্দেশ্য। যাই হোক, ঠিক তখনই পেছন থেকে এসে দ্বিতীয় একটা ট্রেন তাকে ধাক্কা মারে। স্পট ডেড।

দুইটা ট্রেন একসাথে চলে আসার কারণে সবাই ভাবছে এটাই তাহলে মূল কারণ। দুইটা ট্রেনের শব্দকে সে আলাদা করতে পারেনি। হতেও পারে কারণ আসলে তাই। কিন্তু ট্রেন দুইটার জায়গায় একটা হলেও আসলে এমন ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এর কারণটা জেফ রোসেন কিছুটা ব্যাখা করেছেন।

আচ্ছা বলুন তো, বাংলাদেশে কত মানুষ এমন দুর্ঘটনায় মারা যায়? এক্সাক্ট ফিগার আমার ধারণা খুব কম মানুষ জানেন।

প্রথম আলো বলছে, ২০২৩ সালে ট্রেনে চাপা পড়ে মৃত্যু ঘটেছে ১ হাজার ৬৪ জনের। দিনে গড়ে প্রায় ৩ জন। মৃত্যুগুলোর বিস্তারিত ক্যাটাগরি আলাদা করা হয়েছে সেই রিপোর্টে।

১০৬৪ জনের ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মরেছে ২৩ জন, আত্মহনন ও কারণ জানা যায়নি এমন মৃত্যু ১৩৪ টি। সবচেয়ে আলোচিত "কানে এয়ারফোন" ঘটনায় মারা গেছে মাত্র ১৮ জন। ট্রেনের লাইনে বসে গল্প, আড্ডাবাজি ও গেইম খেলা এবং লাইন ধরে হাঁটার সময় এক্সিডেন্টে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০২ জন। রেল ক্রসিং এ প্রাণ গেছে ৩৮৭ জনের।

প্রচুর ঘটনা ঘটেছে যেখানে একসাথে একাধিক মানুষ চাপা পড়েছে। এই সংখ্যা দুইজন থেকে পাঁচজন অব্দি আছে। এখন বলুন তো, পাঁচজন মানুষ যখন এক দল হয়ে বসবে বা হাঁটবে, এদের কানে কি এয়ারফোন থাকার কথা?

এক সঙ্গে সকলে বধির হয়ে গেল কীভাবে? এই ম্যাজিকটা কী?

আমি অনেক ঘাটাঘাটি করেছি। কোনো গবেষণা, কোনো এনালাইসিস কোথাও ঠিকঠাক মতো প্রশ্নটার জবাব দিতে পারেনি। কিন্তু প্রচুর আর্টিকেল পেয়েছি যেখানে এই রহস্যটাকে স্বীকার করা হয়েছে। বহু লোক বলেছেন, তাদের লাইফে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাদের কানে এয়ারফোন ছিল না, তারা খুব অসতর্ক ছিলেন তাও নয়। শুধু লাইনটার দিকে নজর ছিল না এবং হঠাৎ তারা আবিষ্কার করেছেন গায়ের সাথে ঘেষে একটা ট্রেন বুলেটের মতো চলে যাচ্ছে।

দুর্বল কিছু ব্যাখা আছে। এসব ব্যাখার একাংশ সায়েন্টিফিক, অন্য অংশ সাইকোলজিক্যাল। সায়েন্টিফিক একটা ব্যাখামতে, ধাতব মোটা লাইন ট্রেনের কিছু শব্দ ভাইব্রেশনের মতো করে খেয়ে ফেলে। লাইনের কাছাকাছি দাঁড়ানো মানুষের কাছে মূল শব্দটা পৌঁছায় না।

আরেক ব্যাখা বলে, ট্রেন দৈর্ঘ্য-প্রস্থে অসম একটা বাহন। অনেক লম্বা কিন্তু কম চওড়া। তার শব্দ সামনের দিকে V এর উল্টো শেইপে বাতাস কেটে আসে। এ কারণে একদম মুখোমুখি দাঁড়ানো ব্যক্তির কানে পুরোপুরি যায় না।

ট্রেন লাইনের অবস্থান নিয়েও আলোচনা আছে। সড়ক-মহাসড়কের পাশে বিল্ডিং থাকে। বিল্ডিং না থাকলেও গাছগাছালি খুব একটা থাকে না দুপাশে। কিন্তু ট্রেন লাইনের ব্যাপারটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপরীত। চারপাশে গাছ থাকে বেশিরভাগ স্থানে। গাছের পাতা ট্রেনের শব্দ এবসর্ব করে ফেলে অনেকটা। ঐ যে সাউন্ডপ্রুফ ঘরের দেয়ালের মতোন।

সায়েন্টিফিক ব্যাখাগুলোর চেয়ে সাইকোলজিক্যাল ব্যাখা আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য লেগেছে।

শহরের কথা যদি ভাবেন, একজন পথচারীকে মোটামুটি সব সময় সকল ইন্দ্রিয় সজাগ রেখে পথ চলতে হয়। মূল সড়কের কথা বাদই দিলাম। একটা ছোটো গলির ভেতরেও অসতর্ক থাকলে রিকশা ধাক্কা দিয়ে দিতে পারে। ইন্দ্রিয়গুলোর এক্টিভ থাকার একটা সীমা আছে। মানুষ যখন রেল ক্রসিং এর কাছাকাছি আসে, নিজের অজান্তে সে রিলাক্সড হয়ে যায়। সড়কে বহু রকম বাহন চলে। ট্রেন লাইনে চলে একটা বাহনই। সেটাও অনেকক্ষণ পরপর আসে। একাধিক নয়, একটা। সো, চিল। একটু ফোন বের করে নোটিফিকেশন চেক করি। অফিস, বাসা, বাচ্চা, প্রেমিক বা প্রেমিকার কথা ভাবি।

দ্বিতীয় ব্যাখাটা ইন্টারেস্টিং এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য।

এটা ব্যাখা করার আগে ট্রেনে চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনাগুলো গভীরভাবে এনালাইসিস করা দরকার।

সর্বশেষ মারা যাওয়া আলোচিত ফটোগ্রাফের কথাই বলি। তার পোস্ট করা সর্বশেষ ভিডিও রেল স্টেশনের। ২৩ এপ্রিল কুমিল্লায় ট্রেনে একসাথে কাটা পড়েছিল ৩ কিশোর। এরা স্টেশনের টোকাই। সারাদিনই ট্রেন লাইনের আশেপাশে ছিল তাদের আনাগোনা।
গত বছরের জুলাইয়ে নরসিংদীতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করার সময় একজন উদ্ধারকারী কাটা পড়ে আরেক ট্রেনে। গত বছরের নভেম্বরে লালমনিরহাটে ট্রেনের লাইনে বসে টাকা ভাগাভাগির সময় মারা যান ৪ দিনমজুর। লাইনে বসার আগে তারা স্টেশন মসজিদে নামাজ পড়ে আসে।

এই চারটা ঘটনাকেই এনালাইসিস করেন।

ফটোগ্রাফার তরুণের রেল স্টেশনে পোস্ট করা ভিডিও বলছে, ট্রেন লাইন ও ট্রেনের সাথে তার সখ্য আগেই ছিল। জীবনে প্রথমবার লাইনে দাঁড়িয়ে সে দুর্ঘটনার শিকার হয়নি। তিনটা কিশোরের ঘর বাড়িই রেল স্টেশন। তারা নিশ্চয়ই জানে ট্রেন কত দ্রুত আসে, কীভাবে যায়। লাইনে কাটা পড়া লাশ উদ্ধারে যে ব্যক্তি এসেছেন তিনি দক্ষ ও অভিজ্ঞ। অনকোরা ও অস্থানীয় কেউ লাশ উদ্ধারে যাবে না। রেল লাইনে বসে টাকা ভাগ করা ও স্টেশনে নামাজ পড়া শ্রমিকেরাও স্টেশন এলাকার বলেই ধারণা করা যায়।

প্রশ্ন হলো, এদের সবার এমন পরিণতি কেন ও কীভাবে হলো?

উত্তরটাই হলো সর্বশেষ ব্যাখা।

"হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স"।

দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততা মানুষের মনে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে প্রথমে ভয় লাগে। ঐ যে কোনো এলাকায় প্রথম গেলে লোকজন ফোন মানিব্যাগ শক্ত করে চেপে ধরে যেরকম। এই বুঝি পকেট কেটে ফেলল কেউ। পেছনে পায়ের শব্দ শুনলে সতর্ক হয়। বেশ কিছুদিন যাবার পরেও যখন কিছুই ঘটে না, শুরুর সতর্কভাবটা ধীরে ধীরে আর থাকে না। এটা প্রত্যেকটা মানুষের খুবই ন্যাচারাল একটা অভ্যাস। তারপর যখন একদিন পকেটটা সত্যি সত্যিই কাঁটা যায়, মানুষের মনে পড়ে সতর্কতায় কোনো ছুটির দিন নাই। টার্গেট ফিলআপ নাই। সতর্ক ও সাবধান প্রতিদিনের কাজ।

যারা ট্রেনের সাথে বেশি পরিচিত, স্টেশনে বা স্টেশনের কাছাকাছি কাজ করে, প্রতিদিন ক্রসিং পার হতে হয়...এরা জীবনে বহুবার লাইন পার হবার আগে হয়তো সাবধানে পেছনে ফিরে তাকিয়েছে। প্রতিবার দেখেছে, ট্রেনের খোঁজ নেই। এরপর নিজের অজান্তে তারা অভ্যস্ত হয়েছে। ব্রেনে সিগন্যাল গেছে, লাইনে ট্রেন থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। আমি ৩-৪ ফুটের লাইনে পা রাখব আর ঠিক তখনই বাতাস ফুঁড়ে একটা জিনিস এসে আমাকে ধাক্কা মারবে এমন হয় নাকি! এই জিনিস এমনিই লেট করে। সো, নো টেনশন।

এটাই হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স। এই আত্মবিশ্বাসে মানুষ চোখকে কাজে লাগায় না। কান ঠিকমতো কাজ করে না। হ্যাবিচুয়াল কনফিডেন্স তাকে আরো বলে, পুরো শহরে ট্রেন লাইনটাই সেইফ। যত জায়গা দিয়ে সে হেঁটেছে, প্রত্যেকটা জায়গায় রিক্সা, গাড়ি, বাইক এমনকি মানুষের ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ট্রেন লাইন এমন একটা স্থান যেখানে কেবল ট্রেনই চলে। আর ট্রেন আসে দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে। ক্রসিং এ গদা ফেলার পরেও কয়েক মিনিট পাওয়া যায়। লাইন পার হতে লাগে কয়েক সেকেন্ড। অর্থাৎ, নিশ্চিন্তে সামনে ফেলো পা।

ভাগ্য ও ইন্দ্রিয় বিশ্বাসঘাতকতা করে ফেলে একদিন। পত্রিকায় ছোটো করে নিউজ "অমুক জায়গায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু"। মানুষ সেই খবর স্কিপ করে। যেমন স্কিপ হয়তো ভিক্টিমও করতো। মানুষ খবর পড়লে শুরুতেই প্রশ্ন করে " এত শব্দ কানে শুনলো না কেন?" এই প্রশ্ন ভিক্টিমের মাথায়ও একদিন ছিল।

লেখা প্রায় শেষ।

ট্রেনে কতটা ভয়ানক, ট্রেনে কত মানুষের প্রাণ যায় এটা কম মানুষ জানতেন বলে আমার ধারণা। গত বছর শুধু ভৈরবে মারা গেছেন ৮৫ জন, আখাউড়ায় ৬৫। বছরে এক হাজার মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে রেললাইনে। এটা সেই বিরল দুর্ঘটনা যেখানে চালকের দায় শূন্য। ক্রসিং এ সিগন্যালম্যানের অবহেলা বাদ দিলে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দায় খুব বেশি নেই। দায় ও দুর্ভাগ্যের প্রায় পুরোটাই ভিক্টিমের।

এখন বলি, এই লেখা কেন লিখেছি।

জেফ রোসেনসহ দুনিয়ার সকলের মতো আমার মনেও প্রশ্ন ছিল, মানুষ কেন ট্রেনের শব্দ শুনে না? কান কি বন্ধ করে রাখে নাকি?

গত বছরের কোনো একদিন কাওলা রেল ক্রসিং এ প্রশ্নের আংশিক উত্তর পেলাম। আমার স্ত্রী সহ হেঁটে যাচ্ছিলাম ক্রসিং এর দিকে। রাস্তায় গদা ফেলে রাখা। আমাদের দুজনের কারো কানেই হেডফোন এয়ারফোন নেই। কথাবার্তা বলছি না কেউই। তবে কিছুটা অন্যমনস্ক ছিলাম। মুহূর্তের খামখেয়ালিতে ক্রসিং এর বাঁশের সাইড ঘেষে একটু সামনে চলে গেছি। না, ক্রসিং পার করার ইনটেনশন ছিল না। শুধু একটা পা চলে গেছে সামনে। তারপর খেয়াল হয়েছে। থেমে গেছি দুজনেই। মাথা তুলেছি। আর তখনই ভীষণ অবাক ও ভয়ংকর আতংক নিয়ে দেখলাম একটা ট্রেন চলে যাচ্ছে বাতাস কেটে।

একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম আমরা। দুজনের চোখেমুখে একটাই প্রশ্ন।

"শব্দ পেলাম না কেন?"

যাই হোক, এটা লেখাটা ভিক্টিমের কেয়ারলেস হবার জাস্টিফিকেশন নয়। কেউ দয়া করে বেশি বুঝে এমন উপসংহারে যাইয়েন না। আমি শুধু ট্রেনের কাঁটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যার ভয়াবহ বাস্তবতা ও পেছনের কারণে একটা ব্যাখা দিলাম।

অনুরোধ করছি, ট্রেনের লাইনের কাছাকাছি গেলে নিজের কানকে একবিন্দু বিশ্বাস করবেন না। ট্রেনের শব্দ আসলেই শোনা যায় না নতুবা বিশেষ সময়ে কান প্রতারণা করে এটা বাস্তব ফ্যাক্ট। লাইন ও ক্রসিং এ গেলে শুধুমাত্র ও একমাত্র চোখের ওপর নির্ভরশীল হোন। আর অবশ্যই সিগন্যাল ভেঙে দৌড় বা হাঁটা দেবেন না।

সকল ভিক্টিমের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

লেখা ক্রেডিটঃ Joynal Abedin

20/03/2025

শিশুদের অপারেশন মানেই বাড়তি সতর্কতা। হাইড্রোসিল, হার্নিয়া, টাং-টাই, জন্মগত মলদ্বারের সমস্যা অথবা জন্মগত যেকোনো ত্রুটির নির্ভরযোগ্য সার্জারির জন্য ফারাবি জেনারেল হসপিটালে রয়েছেন বিশিষ্ট শিশু সার্জারী বিশেষজ্ঞ:

ডা. মো. আবদুল্লাহ-আল ফয়সাল
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমএস (শিশু সার্জারি), সিসিডি (বারডেম)
রেসিডেন্ট সার্জন (অ্যাক্টিং)
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

রোগী দেখার সময়:
শনিবার, রবিবার, সোমবার
সন্ধ্যা ৭ঃ০০ - রাত ৯ঃ০০ টা

অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন:
📞 01776117704 / 01703958178

বাসায় গ্যাসের চুলায় অতি সহজে রান্না করুন বিখ্যাত হ্যান্ডি বীফ/মাটন। আজকে তাই দেওয়া হল অত্যন্ত সহজ ইপায়ে তৈরি হ্যান্ডি বী...
15/10/2024

বাসায় গ্যাসের চুলায় অতি সহজে রান্না করুন বিখ্যাত হ্যান্ডি বীফ/মাটন। আজকে তাই দেওয়া হল অত্যন্ত সহজ ইপায়ে তৈরি হ্যান্ডি বীফ/মাটন রান্নার রেসিপি ও পদ্ধতি।

বাসায় গ্যাসের চুলায় অতি সহজে রান্না করুন বিখ্যাত হ্যান্ডি বীফ/মাটন। আজকে তাই দেওয়া হল অত্যন্ত সহজ ইপায়ে তৈরি হ্য.....

ছাদ খোলা দোতালা পর্যটক বাসে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে দিয়ে ভ্রমণের ছোট্ট ভ্লগের চেষ্টা।
15/10/2024

ছাদ খোলা দোতালা পর্যটক বাসে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশে দিয়ে ভ্রমণের ছোট্ট ভ্লগের চেষ্টা।

25/09/2024

অনেক আগের একটি ভিডিও বা আমার বানানো ভ্লগ পেলাম। ২০০৬ সালে আমার আব্বা এবং আম্মার সাথে সিলেট ভ্রমণের অংশ হিসেবে জাফ....

25/09/2024

বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের একটি বড় অংশই শিশু। শিশুরা সাধারণত তাদের শারীরিক পরি...

আপনারা অনেকেই জানেন মাংকি পক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তবে অনেকেরই এই বিষয়ে ধারণা নেই। আমি ...
17/08/2024

আপনারা অনেকেই জানেন মাংকি পক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তবে অনেকেরই এই বিষয়ে ধারণা নেই। আমি চেষ্টা করছি নিজের ভাষায় একটু সহজ করে লিখার জন্য।

Details:

আপনারা অনেকেই জানেন মাংকি পক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তবে অনেকেরই এই বিষয়ে ধারণা ন...

আপনারা অনেকেই জানেন মাংকি পক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তবে অনেকেরই এই বিষয়ে ধারণা নেই। আমি ...
17/08/2024

আপনারা অনেকেই জানেন মাংকি পক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তবে অনেকেরই এই বিষয়ে ধারণা নেই। আমি চেষ্টা করছি নিজের ভাষায় একটু সহজ করে লিখার জন্য।

25/04/2024

তাপপ্রবাহ সতর্কতা

২৭/২৮/২৯ তারিখে দেশে অনূভূত হতে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অগ্নি। তাপ প্রবাহ অগ্নি চলাকালীন পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৩ডিগ্রী এর উপরে উঠে যাবে। অন্যান্য অঞ্চলে যথারীতি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০-৪২ডিগ্রী) অব্যাহত থাকবে।

সতর্কতা ও উপদেশঃ

১। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হবেন না
২। বেশী বেশী পানি পান করুন
৩। রোদে কাজ করতে হলে ১০/১৫ মিনিট পরপর কিছু সময়ের জন্য বিশ্রাম গ্রহণ করুন
৪। ব্যাগে সবসময় ছাতা ও বোতলভর্তি পানি রাখুন
৫। ফুটপাথ থেকে খাবার কিনে খাওয়া বন্ধ করুন, জানি এতে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীর কষ্ট হবে, তাও
৬। ভারী খাবার বর্জন করুন, বেশী বেশী সবজি ও সিজনাল ফলমূল খাওয়ার অভ্যেস গড়ুন
৭। হাতপাখা কিংবা ছোট চার্জার ফ্যান সাথে রাখতে পারেন
৮। হিটস্ট্রোক সম্বন্ধে ধারণা নিন, লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ডাক্তার দেখান

ধন্যবাদ।

Source: BWOT.

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801973039459

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Md. Abdullah-Al Faisal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Md. Abdullah-Al Faisal:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category