Sunnah Cure

Sunnah Cure সুন্নাহ কিউর: রাসূল সাঃ এর নির্দেশিত চিকিৎসা পদ্ধতির আলোকে জ্বীন জাদু বদনজর ও এ সংক্রান্ত শারীরিক মানসিক সমস্যার চিকিৎসার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান

29/09/2025
29/09/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars –

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

বিয়ে বন্ধের জাদুর পরিচয়, লক্ষণ ও রুকইয়াহ 📌 ১. পরিচয়বিয়ে বন্ধের জাদু হলো এমন এক ধরনের জাদু যা শয়তান ও জাদুকরের সহযো...
28/09/2025

বিয়ে বন্ধের জাদুর পরিচয়, লক্ষণ ও রুকইয়াহ

📌 ১. পরিচয়

বিয়ে বন্ধের জাদু হলো এমন এক ধরনের জাদু যা শয়তান ও জাদুকরের সহযোগিতায় করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো একজন নারী বা পুরুষকে বিবাহ থেকে বিরত রাখা, অথবা তাদের বিবাহের পথে অদৃশ্য বাধা সৃষ্টি করা।

ইসলামে এই ধরনের জাদু হারাম ও বড় কবিরা গুনাহ, এবং কুরআন-হাদীসে স্পষ্টভাবে জাদুর নিন্দা ও শাস্তি উল্লেখ রয়েছে।

📌 সাধারণ লক্ষণ / উপসর্গ

বিয়ে বন্ধের জাদুতে আক্রান্ত হলে সাধারণত নিম্নলিখিত উপসর্গ দেখা যায়:

1. প্রস্তাব আসলেও পূর্ণতা না পাওয়া, বারবার অকারণে প্রস্তাব ভেঙে যাওয়া।
2. উপযুক্ত ছেলে/মেয়েকে দেখে অকারণে বিরক্তি, বিতৃষ্ণা বা অস্বস্তি অনুভব করা।
3. বুকে চাপ, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা বা প্রচণ্ড ভয় লাগা।
4. সাপ, কুকুর, বিয়ে ভেঙে যাওয়া, কালো পোশাক পরা নারী, কবরস্থান বা অন্ধকার জায়গার স্বপ্ন দেখা।
5. বিয়ে নিয়ে অনীহা, হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা।
6. প্রস্তাব এলেও তুচ্ছ কারণে অমিল, পরিবারের মধ্যে হঠাৎ ঝগড়া।

📌 ৬. চিকিৎসা (রুকইয়াহ শারইয়াহর মাধ্যমে)

1. তাওহীদ ও ইমান মজবুত করা – শুধু আল্লাহর ওপর ভরসা করা।

2. নিয়মিত রুকইয়াহ পড়া –

মাসনূন আয়াত— সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী সূরা আল-বাকারাহ (বিশেষ করে ১০২, ২৫৫, ২৮৫-২৮৬ নং আয়াত) সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস (বারবার পড়া)

কিছু নির্দিষ্ট দো‘আ যেমন:
اللَّهُمَّ ابْطِلْ كُلَّ سِحْرٍ يُعَطِّلُ الزَّوَاج
(হে আল্লাহ! যে সমস্ত জাদু বিয়ে বন্ধ করে দেয় তা নষ্ট করে দিন।)

বিবাহের আয়াত— সূরা বাকারাহ ২৩৫, ২৩৬. সূরা নিসা ২০. সূরা রূম ২১. সূরা রা'দ ৩৮. সূরা তাকভীর ৭. সূরা ফুরকান ৭৪. সূরা নাবা ৮. সূরা জারিয়াত ৪৯ নং আয়াত।

জাদুর আয়াত— সূরা বাকারাহ ১০২, সূরা আরাফ ১১৭-১২২, সূরা ইউনুস ৮১-৮২, সূরা ফুরকান ২৩, সূরা আনফাল ৭ নং আয়াত।

3. পানি ও তেল রুকইয়াহ করা – আয়াত ও দুআ পড়ে ফুঁ দিয়ে পানি ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা।

4. ইস্তিগফার ও যিকর বৃদ্ধি করা – আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া ও নিয়মিত যিকর করা।

5. সদকা ও নফল সালাত – আল্লাহর রহমত কামনায় নিয়মিত ইবাদত করা।

6. সমস্যা জটিল হলে সেলফ রুকইয়ার পাশাপাশি অভিজ্ঞ রাকির কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করা।

📌 ৭. প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

সকাল-সন্ধ্যার আযকার নিয়মিত পড়া।
বাসায় সপ্তাহে ২-৩ দিন পড়া পানি স্প্রে করা।
তাবিজ-কবজ পরিহার করা।
শিরক ও কুফরির সব মাধ্যম থেকে দূরে থাকা।

👉 সারসংক্ষেপ:
বিয়ে বন্ধ বা প্রস্তাব ব্যর্থ করার জাদু। এর মূল উদ্দেশ্য একজনকে বিবাহ থেকে বিরত রাখা। এতে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নানা লক্ষণ দেখা যায়। ইসলামে এটি সম্পূর্ণ হারাম, এবং এর চিকিৎসা হলো অভিজ্ঞ রাকির কাছে সরাসরি করা, সেলফ রুকইয়াহ, আল্লাহর ওপর ভরসা, যিকর-আজকার ও কুরআন তিলাওয়াত করা।

রুকইয়াহ কনসালটেন্সি, রুকইয়াহ ডায়াগনসিস, পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য এপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন— 01715-212298

28/09/2025

মাইগ্রেন সমস্যার রোগীদের ৮০-৮৫ পার্সেন্ট মানুষই জ্বীন-জাদু আক্রান্ত।
আপনার কি বিশ্বাস হবে??
জ্বীন-জাদুর এমন কোনো রোগী পাইনি যার মাইগ্রেন নেই।

28/09/2025

বিয়ে করছেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ। বিয়ের পর স্ত্রীর পেটব্যথার মাধ্যমে সমস্যা শুরু হয়। চিকিৎসা শুরু করেন ৯ থেকে। এ পর্যন্ত মেডিক্যাল চিকিৎসার পিছনে খরচ হয়েছে সাড়ে সতেরো লাখ টাকা। কিন্তু একটা ঘন্টার জন্যও শান্তি ও সুস্পষ্ট বোধ করেননি। আলহামদুলিল্লাহ গত দুই আড়াই মাস আগে জ্বীনের সমস্যা বুঝতে পেরে রুকইয়াহ করান। একটি মাত্র সেশনে মাত্র তিন হাজার টাকা খরচ করেই সুস্থ হয়ে গেছেন। আজকে দ্বিতীয় সেশন রুকইয়াহ করে গেলেন।

28/09/2025

রুকইয়াহ'র সময় শরীরে থাকা জ্বীনের রিয়েকশন।

যদি কেউ জ্বীন, জাদু ও বদনজর এবং এ সংক্রান্ত শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক কোনো সমস্যা আক্রান্ত হয়, তাহলে রুকইয়াহ শুনলে বিভিন্ন ইফেক্ট ও রিয়্যাকশন হয়। আর এর মাধ্যমে শিওর হওয়া যায় সমস্যা আছে কি নেই। জ্বীনের প্রচন্ড কষ্ট ও যন্ত্রণা হওয়ারও প্রমাণ। সমস্যা দূর হয়ে স্থায়ী সুস্থতার পথে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত।

রুকইয়াহ শুনে যেধরনের ইফেক্ট হতে পারে—
প্রচন্ড বা হালকা ঘুমঘুম ভাব, ঘুমিয়ে যাওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ব্যাথা/যন্ত্রণা করা, প্রচন্ড অস্বস্তি, বুকে ব্যথা করা। শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা করা। অস্বাভাবিক গরম বা ঠান্ডা লাগা।‌ শরীর, কান, মুখ ,মাথা দিয়ে গরম বা আগুনের মতো তাপ বের হওয়া। পেটে শক্ত কিছু অনুভব হওয়া। শরীর, ঘাড়, মাথা ভার ভার লাগা। শ্বাস কষ্ট হওয়া। মুখ তেতো লাগা। কফ বের হওয়া। হাত-পা অবশ লাগা। বমিবমি ভাব লাগা। বমি হওয়া। হাত-পা নাড়াচাড়া করা, কেঁপে উঠা , ঝাঁকি দেওয়া। সামান্য বা প্রচন্ড জ্বর-সর্দি হওয়া। ইত্যাদি।

রাক্বী ইব্রাহীম মাগরিবী

28/09/2025

❖ ক্বারীন কী?

ক্বারীন হলো এমন এক সত্তা, যা মানুষের সঙ্গে সর্বদা লেগে থাকে এবং তাকে ছেড়ে যায় না।
ক্বারীনের মূল কাজ হলো মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা ঢোকানো, তার কাছে পাপ ও কামনাকে সুন্দর করে দেখানো, বুক সংকীর্ণ করা এবং দুঃখ-বেদনা সৃষ্টি করা।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“তোমাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই একটি করে ক্বারীনকে নিয়োগ করা হয়েছে—জ্বীন থেকে এবং ফেরেশতা থেকেও।”
সাহাবারা বললেন: “হে আল্লাহর রাসূল! আপনার সাথেও কি?”
তিনি ﷺ বললেন: “হ্যাঁ, তবে আল্লাহ আমাকে তাঁর ক্বারীনের ওপর সাহায্য করেছেন, ফলে সে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং আমাকে কেবল কল্যাণের দিকেই নির্দেশ করে।”

❖ ক্বারীন কী করে?

মানুষের সঙ্গে থাকা জ্বীন ক্বারীনের কাজ হলো—
অন্তরে কুমন্ত্রণা দেওয়া,
সন্দেহ ও কু-ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া,
অন্যায় ও মন্দকে মানুষের কাছে সুন্দর করে তোলা,
প্রয়োজনে জাদুকর ও তাদের শয়তান সঙ্গীদের সঙ্গে সহযোগিতা করা।

❖ ক্বারীন মানুষের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেললে এর লক্ষণসমূহ:

সারাক্ষণ দুঃখ, কষ্ট ও মনখারাপ অনুভব করা, প্রায়ই কান্না আসা।
খাবারে অনীহা, খাওয়ার ইচ্ছা না থাকা।
কোনো কাজ করার আগ্রহ ও উদ্যম হারানো।
ঘুম কম হওয়া, প্রায়ই ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখা।
মনোযোগ দুর্বল হয়ে যাওয়া, অলসতা, মাথাব্যথা ও হতাশা।
মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা জন্মানো, শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
নারীর মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক রক্তপাত।
পুরুষের যৌনদুর্বলতায় আক্রান্ত হওয়া।

❖ কিভাবে ক্বারীনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচা যায়?

নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করা।
সকাল-সন্ধ্যার যিকির ও দোয়া পড়া।
প্রতি তিন দিনে একবার সুরাহ বাকারাহ পড়া।
প্রতিদিন সুরাহ ক্বাফ পড়া।
সবসময় অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করা।
শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া।

❖ ক্বারীনের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে সহায়ক কিছু দোয়া:

১. “হে মানুষের প্রতিপালক! কষ্ট দূর করে দাও। আমাকে শেফা দাও। তুমি-ই একমাত্র শেফাদানকারী। তোমার শেফা ছাড়া আর কোনো শেফা নেই, এমন শেফা দাও যা কোনো রোগ অবশিষ্ট রাখবে না।”

২. “হে আল্লাহ! তুমি আমাকে দেহে সুস্থতা দাও, তুমি আমার শ্রবণে সুস্থতা দাও, তুমি আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা দাও।”

৩. “আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর কাছে—যিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ—শয়তানের কুমন্ত্রণা, তার অহংকার ও তার কবিতার (কুমন্ত্রণা ও ফুঁ) থেকে।”

৪. “আমি আশ্রয় নিচ্ছি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালিমাগুলোর মাধ্যমে—প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং দুষ্টচোখের অনিষ্ট থেকে।”

৫. “হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রাণ সৃষ্টি করেছ এবং তুমি-ই তার মৃত্যু ঘটাবে। এর জীবন ও মৃত্যু তোমার হাতেই। তুমি যদি তাকে জীবিত রাখো তবে তাকে হেফাজত করো, আর যদি তার মৃত্যু ঘটাও তবে তাকে ক্ষমা করো। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সুস্থতা কামনা করি।”

👉 সংক্ষেপে, ক্বারীন হলো সেই সঙ্গী জ্বীন, যে সর্বদা মানুষের সঙ্গে থাকে এবং তাকে কুমন্ত্রণা দিয়ে বিপথগামী করার চেষ্টা করে। তবে কুরআন, যিকির, দোয়া এবং ঈমানি শক্তির মাধ্যমে মানুষ সহজেই তার ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

27/09/2025

এক ভাইয়ের পুরো পরিবার খুব বাজেভাবে জ্বীন-জাদু দ্বারা আক্রান্ত। উনার বোনকে আমাদের সেন্টারে কয়েক সেশন হিজামা করিয়েছেন। সবাই নিয়মিত রুকইয়াহ করেন এক জায়গায়, এবং নিজেরা ঘাঁটাঘাঁটি করে সেই অনুযায়ী। সেই বোনের অবস্থা হিজামা করার পর অনেকটাই ভালো।

উনিও নিয়মিত রুকইয়াহ করেন, মাঝেমধ্যে সেই জায়গায় সরাসরি রুকইয়াহও করেন। তবে চট্টগ্রামে চাকরির কারণে সমস্যা হওয়ার চলতি মাসে সরাসরি রুকইয়াহ করতে পারেন নি এবং সেলফ রুকইয়াহ'তেও একটু ত্রুটি হয়। সেই সুযোগে উনার সমস্যা বেড়ে যায়।

উনি হঠাৎ একদিন কোমর ও পা ব্যথা অনুভব করলেন। আর তা অল্প সময়ের মধ্যেই জটিল পর্যায়ে চলে যায়। দ্রুত ডাক্তারের যান। ডাক্তার বলেন খুব তাড়াতাড়ি অপারেশন করতে হবে অন্যথায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে, পা পুরোপুরি প্যারালাইজ্ড হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত অপসারণ করেন। অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পর হঠাৎ বডিতে থাকা জ্বীন এক্টিভ হয়ে যায় এবং বলে সেই এই সমস্যা করেছে, তার কারণেই অপারেশন লেগেছে। হুদাই অপারেশন করেছে, এটা মেডিক্যাল সংক্রান্ত কোনো সমস্যা ছিল না, অপারেশন করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। (অর্থাৎ রুকইয়াহ করলেই ঠিক হয়ে যেতো।)

অপারেশন শেষে যেখানে অন্তত ৯৫ % ভালো কথা , সেখানে ১০ পার্সেন্টও ভালো হয়নি। ডাক্তার পুরাই অবাক হয়ে যায় এবং দ্রুত অন্য একজনের কাছে থেরাপির জন্য রেফার করে।

তবে ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে দুইদিন দেরী হওয়ায় পেশেন্ট রুকইয়াহ করতে আসেন আমার কাছে। রুকইয়াহ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই জ্বীন এক্টিভ হয়ে যায়। তো এক পর্যায়ে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রেশার দিতে থাকলাম এবং অসুস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে এবার স্বীকার করেছে যে, সেই এইগুলো করেছে, আর অপারেশন করার দরকার ছিল না, হুদাই অপারেশন করেছে। সেই সাথে জানালো যে, সবার সাথে যতগুলো জ্বীন আছে এইগুলোর মধ্যে সেই সর্দার এবং সবার বড়।

যাই হোক সমস্যা যেহেতু অনেক বেশি, জ্বীনও শক্তিশালী হয়ে আছে এবং বের হবে না। তাই এই সমস্যা কমিয়ে আনার জন্য রুকইয়াহ করে বিদায় দেয়। তারপর তিনি থেরাপির জন্য ডাক্তারের সিরিয়াল নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি।

ঘটনা থেকে শিক্ষা
জ্বীন-জাদুর বিষয়টি কখনই অবহেলা করা উচিত নয়। গুরুত্ব দিয়ে রুকইয়াহ করা জরুরী। সমস্যা জটিল হলে অবশ্যই অভিজ্ঞ রাকির কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করা।

জ্বীন-জাদুর কারণে ব্যথা, নার্ভে সমস্যা এমনকি প্যারালাইসিস সহ যেকোনো সমস্যা হতে পারে। তাই উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরী।

27/09/2025

ধমক দিচ্ছে জ্বীন

27/09/2025

❇️💢 সন্তান না হওয়া বা গর্ভপাত ঘটানোর জাদু

📌 ১. সংজ্ঞা
সিহরুল উক্‌ম (سحر العقم) বা বন্ধ্যাত্বের জাদু হলো সেই ধরণের জাদু যার মাধ্যমে নারী-পুরুষের সন্তান হওয়ার ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যায়, কিংবা বারবার গর্ভপাত ঘটে। রুকইয়াহ চিকিৎসায় এটিকে আরবি ভাষায় سحر العقم واسقاط الحمل এবং سحر تعطيل الحمل والانجاب ইত্যাদি বলা হয়।

এই জাদুর উদ্দেশ্য সাধারণত—

দাম্পত্য জীবনে অশান্তি তৈরি করা।
দম্পতিকে আলাদা করে দেওয়া।
পরিবার ধ্বংস করা।
বংশধারা বন্ধ করে দেওয়া।

📌 ২. এটি কিভাবে কাজ করে?

শরীরের প্রজনন অঙ্গকে লক্ষ্য করে: পুরুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর দুর্বলতা, নপুংসকতা বা যৌন দুর্বলতা সৃষ্টি করা হয়। নারীর ক্ষেত্রে ডিম্বাণু নষ্ট হওয়া, জরায়ুতে সমস্যা সৃষ্টি, মাসিক চক্রে অনিয়ম আনা।

জিনের প্রভাব: অনেক সময় প্রেমাসক্ত জ্বীন বা আশিক জ্বীন (مس عاشق) গর্ভধারণ হতে দেয় না। ডিম্বাণু নষ্ট করে দেয় বা জরায়ুতে বসতে দেয় না।

বারবার গর্ভপাত: গর্ভস্থ ভ্রূণের ওপর আক্রমণ করে, শিশুর রক্ত নষ্ট করে দেয়, বা অক্সিজেনে বাধাগ্রস্ত করে, অথবা মা’কে ভয়ঙ্কর স্বপ্ন, রক্তপাত বা শারীরিক আঘাত ঘটিয়ে গর্ভপাত ঘটায়।

📌 ৩. লক্ষণ ও উপসর্গ

নারীর ক্ষেত্রে:

একেবারেই কনসিভ না হওয়া, ডাক্তারি রিপোর্টে সবকিছু স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও গর্ভধারণ না হওয়া।

হরমোন সমস্যা, মাসিক অনিয়ম, জরায়ুর ব্যথা, তলপেটে ও কোমরে ব্যথা।

বারবার গর্ভপাত হওয়া, বিশেষ করে নির্দিষ্ট সময় (৩ মাস, ৪ মাস বা ৭ মাসে)।

পেটে অজানা ব্যথা বা ভারী অনুভূতি।

স্বপ্নে বারবার শিশু মারা যাওয়া, বিকলাঙ্গ বাচ্চা, দুধ শুকিয়ে যাওয়া, রক্তপাত দেখা।

স্বপ্নে প্রায়শই কিছু খেতে দেখা, বিশেষ করে ওভুলেশনের সময়ে খেতে দেখা, অথবা খেতে দেখার পর গর্ভপাত ঘটা।

পুরুষের ক্ষেত্রে:

শুক্রাণু কমে যাওয়া বা অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া।

অকারণে যৌন দুর্বলতা বা নপুংসকতা।

স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে বাধা সৃষ্টি হওয়া।

📌 ৪. প্রাথমিক চিকিৎসা ও করণীয়

নিয়মিত রুকইয়াহ তিলাওয়াত বা শ্রবণ করা (বিশেষত সন্তান লাভ, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত প্রতিরোধের জন্য নির্দিষ্ট আয়াত যেমন: সূরা আনবিয়া ٨٩, সূরা শূরা ٤٩-٥٠)।

কিছুদিন প্রথমেই বদনজরের রুকইয়াহ করুন।

হেফাজতের মাসনূন দুআ ও আমল প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত পালন করা।

একজন অভিজ্ঞ রাকীর কাছে সরাসরি রুকইয়াহ এবং তার তত্বাবধানে কয়েক সেশন হিজামা করা।

💢✳️ এপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করুন 01715-212298

আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ এই ডাক্তার দম্পতির বিয়ের ৭ বছর হয়ে গেলেও কনসিভ হচ্ছিল না। উনারা হাজবেন্ড ওয়াইফ উভয়েই ড...
26/09/2025

আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
এই ডাক্তার দম্পতির বিয়ের ৭ বছর হয়ে গেলেও কনসিভ হচ্ছিল না। উনারা হাজবেন্ড ওয়াইফ উভয়েই ডাক্তার। মেডিক্যাল চিকিৎসাও করেছেন দীর্ঘদিন। এজন্য কয়েক সেশন রুকইয়াহ ও হিজামা করেন। সেই সাথে সেলফ রুকইয়াহ সাজেশনও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে কনসিভ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।

আল্লাহ তায়ালা উনাদেরকে নেককার সন্তান দান করুন আমীন।

26/09/2025

পূজার প্রসাদ খাওয়ার বিধান
প্রশ্ন : গাইরুল্লাহের নামে জবাইকৃত প্রাণী খাওয়া তো নাজায়েজ এটা স্পষ্ট। অনেকে এই দাবী করছেন প্রাণী ছাড়া অন্যান্য যত বস্তু আছে তা তা যদি হিন্দুদের দেবদেবীদের জন্য উৎসর্গিত হয় তাহলে তা খাওয়া যাবে। যেমন হিন্দুদের পূজার সময় মিষ্টান্ন ও ফলমূল বিভিন্ন প্রসাদ ইত্যাদি দেবদেবির জন্য উৎসর্গ করা হয়। এগুলোর বিধান কী?

নিবেদক : Iftekhar Sifat হা.

উত্তর : আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গিত খাবার চাই তা প্রাণী হোক, মিষ্টান্ন বা ফলমুল এমনকি পানিও হোক না কেন, তা কোনো মুসলমানের জন্য খাওয়া বা ব্যবহার করা নাজায়েয ও হারাম। চাই তা মুশরিকরা তাদের দেবদেবির জন্য করুক বা কোনো মুর্খ মুসলিম কোনো ওলি-আউলিয়াদের নামে করুক।

বর্তমানে হিন্দু মুসলিমদের অগাদ মেলামেশায় ও মুসলিমদের মাঝে ওয়ালা বারার সঠিক চর্চা না থাকার কারণে এই অকাট্ট মাসআলাটি বহু মুসলিম জনসাধারণ একধরনের ভুলে বসে আছেন। সাথে বিভিন্ন অপপ্রচারেও অনেককে বিভ্রান্তির শিকার হয়।

বর্তমানে এই মাসআলা নিয়ে একটি বড় বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় হিন্দুদের প্রসাদের নামে। এখানে ধোঁকা দেওয়ার সূরত একেক রকম হয়ে থাকে। কাউকে বলা হয় প্রসাদ এটা তো পবিত্র জিনিস হারাম হবে কেন! কাউকে বলা হয়, প্রসাদ যেটা প্রাণী জাতিয় তা হারাম, তবে মিষ্টান্ন বা ফলমূল হারাম নয়। ইত্যাদী।

এই বিভ্রান্ত দূর করতে এই বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা এখানে উল্লেখ করছি।

১. প্রথমে ‘প্রসাদ’ কাকে বলে তা জেনে নেওয়া জরুরি।

‘আমার কোষ ডিকশনারি ইন্ডিয়া’তে প্রসাদের পরিচয় দেওয়া হয়েছে এভাবে, খাওয়া বা পান করার বস্তু যা দেবতাকে উত্সর্গ করা হয়ে গেছে। (১)

হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ গীতায় প্রসাদের পরিচয়ে লেখা হয়েছে, যে শুদ্ধ দ্রবাদি ভক্তিসহকারে ভগবানকে উতসর্গ করা হয়। তাহাই ভগবান উপহার হিসেবে গ্রহন করেন এবং তাহাই প্ৰসাদ রুপে জগৎ খ্যাত হয়। তুমি যাহা কিছুই করো, যাহা কিছু গ্রহন করো, যাহা কিছু পরিত্যাগ করো, যাহা হোম করো। সমস্ত কিছুই আমাতে সমর্পন পূবক করো।- শ্রীমদ্ভাগবত গীতা ৯/২৬-২৭ (হিন্দুদের একটি লেখা থেকে নেওয়া)

অর্থাৎ, খাবার প্রাণীয় জাতীয় হোক বা অন্যান্য, যাই দেবদেবীদের জন্য ভক্তি ভরে উৎসর্গ করা হয় তাই প্রসাদ।

প্রসাদের বিধান :

শরীয়তের পরিভাষায় উৎসর্গকে বলা হয় ‘নজর’ যাকে আমরা মান্নত বলি। ইসলামের অকাট্ট বিধান হলো গাইরুল্লাহের নামে মান্নত করা হারাম। আর প্রসাদ চাই তা প্রাণী জাতীয় খাদ্য হোক বা মিষ্টান্ন অথবা ফলমূল তা গাইরুল্লাহের নামে মান্নতের অন্তর্ভুক্ত।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন,
{ إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنْزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ} [البقرة: 173]
তিনি তাে তােমাদের জন্য কেবল মৃত জন্তু, রক্ত ও শুকরের গােশত হারাম করেছেন এবং সেই জন্তুও, যার প্রতি আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম উচ্চারণ করা হয়।- সূরা বাকারাহ : ১৭৩

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফতি শফী রহ. বলেন,
یہاں ایک چوتھی صورت اور ہے جس کا تعلق حیوانات کے علاوہ دوسری چیزوں سے ہے، مثلاً مٹھائی، کھانا وغیرہ جن کو غیراللہ کے نام پر نذر (منت) کے طور سے ہندو لوگ بتوں پر اور جاہل مسلمان بزرگوں کے مزارات پر چڑھاتے ہیں، حضرات فقہاء نے اس کو بھی اشتراکِ علت یعنی تقرب الی غیراللہ کی وجہ سے "ما اہل لغیر اللہ" کے حکم میں قرار دے کر حرام کہا ہے، اور اس کے کھانے پینے دوسروں کو کھلانے اور بیچنے خریدنے سب کو حرام کہا ہے" ۔
এখানে একটি চতুর্থ সূরত হলো, যা প্রাণী ছাড়া অন্যান্য বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত। যেমন মিষ্টান্ন, খাবার জাতীয় বস্তু ইত্যাদী যেগুলো হিন্দুরা তাদের দেবতার সামনে এবং মুর্খ মানুষরা বিভিন্ন বুজুর্গের মাজারে মান্নত করে দান করে ফুকাহায়ে কেরাম এগুলোকেও ইল্লত এক হওয়ার কারণে হারাম বলেছেন। সুতরাং এমন বস্তু খাওয়া বা কাউকে খাওয়ানো, ক্রয়-বিক্রয় সব হারাম হবে। - মাআরিফুল কুরআন ১/৪২৪, যাকারিয়্যাহ বুক ডিপো

হযরত থানভি রহ. এক হিন্দুদের দেবিদের জন্য উৎসর্গকৃত পানি খাওয়াও নাজায়েজ বলেছেন। পুরো ফতোয়াটি হলো,
"سوال: موسمِ گرما میں اکثر اہل ہنود جگہ جگہ پانی پلایا کرتے ہیں، اس کے متعلق ایسا سنا ہے کہ وہ پانی دیوتاؤں کے نام پر پلاتے ہیں، تو اس پانی کا مسلمان کو پینا جائز ہے نہیں؟

الجواب: اگر محقق ہوجاوے کہ دیوتاؤں کے نام کا ہے تو "ما اهل لغیر اللّٰه" کے حکم میں ہے، لہذا ناجائز ہے۔"
প্রশ্ন: গরমের মৌসুমে হিন্দুদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করে রাখা হয়। বলা হয়, তারা এই পানি মানুষকে দেব-দেবির নামে খাওয়ায়। মুসলমানদের জন্য কী এই পানি খাওয়া জায়েয হবে?
উত্তর : যদি নিশ্চিতভাবে জানা যায় পানি দেবতাদের নামে তাহলে তা সুরা বাকারার ১২৭ নং আয়াতের হুকুমে হবে। তাই তা পান করা জায়েয হবে না। - ইমদাদুল ফতোয়া ৮/৫৬৩, শাব্বির আহমদ কাসেমী সাহেবের তাহকিককৃত নুসখা

দারুল উলুম বানুরি টাউনের এক ফতোয়ায় বলা হয় :
جب یقینی طور پر معلوم ہے کہ ہندو کی طرف سے دی گئی مٹھائی بت کے نام پر دی گئی ہے تو اس کا کھانا ہرگز جائز نہیں ہے۔
যদি নিশ্চিতভাবে জানা যাবে যে হিন্দুদের পক্ষ থেকে দেওয়া মিষ্টি মুর্তির নামে উৎসর্গ করা তাহলে তা খাওয়া কোনোভাবেই জায়েয নেই। (২)

দারুল উলুম দেওবন্দের এক ফতোয়ায় বলা হয়,
غیر مسلم اپنی دیوی دیوتاوٴں پر جو مٹھائیاں وغیرہ چڑھاتے ہیں جسے وہ پرشاد کہتے ہیں مسلمانوں کے لیے اس کا کھانا ناجائز ہےاگر مٹھائی چڑھاوے کی نہ ہو تو اس کو لینے کی گنجائش ہے۔
অমুসলিমরা দেব-দেবীর সামনে যে মিষ্টান্ন ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য রাখে যাকে তারা প্রসাদ বলে মুসলমানদের জন্য তা খাওয়া জায়েয নেই। তবে যদি সাধারণ মিষ্টি হিন্দুরা হাদিয়া দেয় তাহলে তা গ্রহণ করার সুযোগ আছে। (৩)

তবে উৎসর্গ ছাড়া অন্যান্য খাবার গ্রহণ করার সুযোগ থাকলেও পূজা বা মুশরিকদের ও বেদয়াতিদের উৎসবের দিনগুলোতে তাদের থেকে কোনো খাবার গ্রহণ করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকাই উচিত ও এটা হারাম থেকে বাঁচতে বেশি নিরাপদ।

আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুক। আমীন।

উত্তর প্রদানে— উস্তায আব্দুল্লাহ বিন বশির হাফি.

Address

House-8, 9 , Road-7, Block/M, Banasree, Rampura
Dhaka
1219

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sunnah Cure posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sunnah Cure:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram